#আগুনের_তৃষ্ণা
#Maishara_Jahan
Part………..30(শেষ পর্ব)
অয়ন সন্ধ্যায় ফিরে আসে। এসে তার মাকে মারুর কথা জিজ্ঞেস করতেই একটা জোরে চিৎকার এর আওয়াজ শুনে অয়ন দৌড়ে উপরে যায়। গিয়ে দেখে মারু নীরে পরে আছে, নীচে রক্ত দিয়ে মেঝে ভেসে যাচ্ছে।
আর সাইডেই দাঁড়িয়ে আছে সায়ন, হাতে মোটা রোড নিয়ে, যেটা খাটে থাকে, মশারী টাঙানোর জন্য।
প্রায় দু বছর পর,,,,,
ছোট্ট পিচ্চি একটা মেয়ে দৌড়াচ্ছে, আর তার পিছনে পিছনে শার্ট প্যান্ট আর কোর্ট পড়া একটা সুদর্শন লোক দৌড়াচ্ছে। একটু পড় লোকটি মেয়েটিকে ধরে কোলে উঠিয়ে হাসতে থাকে।
মেয়েটা অস্পষ্ট ভাষায় থেমে থেমে বলে,,, ছোট পাপ্পা তুমি আমাতে আবার ধরে ফেলেতো।
লোকটি হাসতে হাসতে বললো,,,, ওরে আমার মামনিটা, তুমি তো দেখি অনেক দ্রুত দৌড়াতে পাড়ো।
মেয়েটা খিলখিল করে হেঁসে বলে,,, বাবাই বলেতে আমি নাকি চাচ্চুর মতো হয়েতি।
লোকটি মেয়েটার নাক টেনে বলে,,, একদম ঠিক বলেছে তোমার বাবাই।
পিছন থেকে একজন ডাক দেয়,,,, প্রহর ভাইয়া, তুমি এখানে তুলির সাথে খেলছো আর অয়ন ভাইয়া তোমাকে খুঁজছে।
বাচ্চা মেয়ের সাথে খেলা করা লোকটি হলো প্রহর। প্রহর তুলিকে কোলে নিয়ে পিছনে তাকিয়ে বলে,,,, সায়ন পুরো তিনদিন পর দেখছি তুলিকে, একটু ভালো করে দেখতে দে আমার মামনিটাকে।
সায়ন সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,,, তুমি তিনদিন কাজে গিয়েছিলে আর তুলি শুধু পাপ্পা যাবো পাপ্পা যাবো করছিলো।
প্রহর তুলির দিকে তাকিয়ে বলে,,,, সরি মামনি, আমি তো তোমার থেকে বেশি মিস করেছি তোমাকে।
,,,আপনাদের হয়ে থাকলে যাবেন ভিতরে।
প্রহর সায়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, আজকে তোকে এতো অন্য রকম লাগছে কেনো।
,,,,,অন্য রকম মানে।
,,,মানে চুল গুলো লম্বা থেকে একদম জেন্ডার মেন কাটিন দিয়েছিস, আবার কোর্ট প্যান্ট,তাও আবার নীল কালার।
সায়ন মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে,,,, না মানে, ভাবছি আজ আলোকে সোজা বিয়ের জন্য প্রপোজ করবো।
প্রহর খুশি হয়ে বলে,,,,,, ওহ ওয়াও, দেস্ গ্রেট,,,, মেয়েটা তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনার জন্য কতো বছর ধরে অপেক্ষা করছে। দেখিস আবার হার্ট অ্যাটাক যাতে না করে।
,,,, ভাইয়া তুমিও না।
,,,,হুমম, আচ্ছা চল, তুলিকে খাওয়াতে হবে, ওর তো এখানে মা নেয় তাই আমাদের মধ্যেই কাওকে খাওয়াতে হবে।
,,,হুমম
দুজনে বাড়ির ভিতরে চলে যায়। সেখান অয়ন চুপচাপ মারুর ছবির দিকে তাকিয়ে আছে। প্রহর এসে অয়নের কাঁধে হাত রেখে বলে,,, কি মারুকে মিস করছিস।
অয়ন মারুর ছবির দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে বলে,,, হুমম অনেক, এই সময় নীর থাকলে খুব ভালো হতো। আজ আমাদের মেয়ে তুলির জম্মদিন আর নীর ওর সাথে নেয়।
সায়ন,,,,,, ভাইয়া তুলির সামনে এসব কথা বলো না, পরে মাম্মা মাম্মা বলে কান্না করে দিবে।
তুলি আঁটকে আঁটকে বলে,,,,,বাবাই মাম্মাম কোথায়।
অয়ন,,,,,, তোমার মাম্মাম বাহিরে গিয়েছে তাড়াতাড়ি এসে যাবে।
তুলি মন খারাপ করে বলে ,,, বাবাই তুমি শুধু এটাই বলো কিন্তু মাম্মাম আসে না।
অয়ন তুলিকে কোলে নিয়ে বলে,,, আসে যাবে মামনি,,, আমি তোমার জন্য একটা সুন্দর ড্রেস এনেছি, চলো দেখবে চলো।
প্রহর,,,,তুলিকে খায়িয়ে তাড়াতাড়ি রেডি করে আন, মেহমান আসা শুরু করে দিয়েছে।
অয়ন,,,হুমম,,,আচ্ছা সায়ন তুই বার বার দরজার দিকে কি দেখছিস, কারো আসার অপেক্ষা করছিস মনে হয়।
সায়ন,,,,,,, ভাইয়া তুমিও শুরু হয়ে গেছো।
বেশ অনেক ক্ষন পরে, নিচে সবাই এসে যায়। সব মেহমান ও এসে পড়ে, তুলিকে খুব সুন্দর একটা প্রিন্সেস ড্রেস পড়ানো হয়। প্রহর তুলিকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, অয়ন ও তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
,,,,
স্নেহা এসে তুলিকে বার্থডে ওয়িশ করে প্রহরের দিকে তাকায়। অয়ন তুলিকে কোলে নিয়ে প্রহরের দিকে তাকিয়ে অন্যদিকে চলে যায়।দুজন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। নিরবতা ভেঙে স্নেহা বলে,,, কেমন আছো।
,,,, হুমম ভালো,, তুমি।
,,,,ভালোই আছি।
,,,,,হুমম,, শুনেছি বিয়ে করছো।
স্নেহা হাল্কা হেঁসে বলে,,,,, আমি কারো জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করলেও মা বাবা তো আর সেই অপেক্ষা বুঝবে না।
,,,,তাহলে এই বিয়েতে তোমার কোনো মত নেয়, তাহলে কেনো করছো, মানা করে দাও।
,,,,,, আর কতো বার, কতো জনকে মানা করবো। আমিও হয়রান হয়ে গেছে।
,,,,হুমম,,বিয়েটা কবে।
,,,,বলেছিলাম তো দু সপ্তাহ পরে, ভুলে গেলে।
,,,,,,তাহলে সত্যি বিয়ে করছো।
স্নেহা আগ্রহ ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,,,,, কেনো করবো না। না করার কি কোনো কারন আছে প্রহর।
,,,,,, বিয়ে না করার কি কারন থাকতে পারে।
এবার স্নেহা একটু রেগে গিয়ে বলে,,,,, ঠিক বলেছে, তুমি তো আমার ফ্রেন্ড তাই না, তাহলে এক কাজ করো আমার বিয়ের সব দায়িত্ব কিন্তু তোমাকেই পালন করতে হবে। মন্ডব সাজানো থেকে বিদায় পর্যন্ত।
বলে অন্য দিকে চলে যায়। প্রহর দাঁড়িয়ে ভাবছে কি করা যায়। এই সময় সায়ন আলোর কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
আলো,,,,,, কি হলো সায়ন কিছু বলবে।
,,,,হুমম,,,আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
আলো একটু লজ্জা পেয়ে বলে,,,, থ্যাংকস, তোমাকেও আজকে অন্য রকম লাগছে।
,,,,,,তোমাকে কিছু বলার ছিলো।
,,,,,কি বলো।
,,,,,,, এতো দিন যেকোনো পরিস্থিতিতে তুমি আমার সাথে ছিলে। কোনো দিন ছেড়ে যাওনি, আমাকে সামলিয়েছো, আজ আমি সুস্থ ভাবে শুধু মাত্র তোমার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। বুঝতে একটু দেড়ি হলেও ভালো আমি তোমাকে ভেসে ফেলেছি। তুমি সব সময় বলতে না, দিয়ার জায়গা তুমি নিতে পারবে না।কথা ঠিক, কারন তুমি আমার মনে তোমার জন্য একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছো।
আলো হা করে সব কিছু শুনছে। তখন সায়ন হাঁটু গেড়ে বসে, পকেট থেকে একটা আংটির বাক্স খুলে বলে,,,, উইল ইউ ম্যারি মি??
খুশিতে আলোর চোখে পানি এসে পড়ে, তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।সে হাত বাড়িয়ে মাথ নাড়িয়ে হ্যাঁ করতে থাকে। সায়ন আলোর হাত ধরে আংটি পড়িয়ে, হাতে একটা কিস করে। তারপর উঠে আলোকে জড়িয়ে ধরে।
সবাই হাত তালি দিচ্ছে। অয়ন আর প্রহর ও খুশিতে হাত তালি দিয়ে সায়নের কাঁধে হাত দিয়ে কংগ্রাচুলেশনস জানাতে থাকে।
বেশ অনেক ক্ষন পড়ে কেক কাটার সময় এসে পড়ে।কেকের সামনে দাঁড়িয়ে তুলি শুধু মাম্মাম মাম্মাম করছে।
তুলি,,,, আমি মাম্মামকে ছাড়া কেক কাটবো না।
অয়ন,,,,, মামনি মাম্মাম এসে পড়বে, তুমি কেক কাটো।
দরজায় গোলাপি কালার একটা শাড়ি পড়ে একজন দাঁড়িয়ে বলে,,,, এসে গেছে মাম্মাম।
তুলি মাম্মাম করে ডাকদিয়ে কোল থেকে নেমে দৌড়ে চলে যায় মেয়ের কাছে। মেয়েটা তুলিকে কোলে নিয়ে গালে আদরের পরশ দিয়ে দেয়।
অয়ন,,,,,,নীর তুমি এসে গেছো,, বাবা কেমন আছে।
মারু অয়নের কাছে এসে বলে,,,,,, বাবা একদম ঠিক আছে। আর ওরা আমার সাথেই এসেছে।
সামনে তাকিয়ে দেখে মারুর মা বাবাও এসেছে।
প্রহর,,,,, একটু আগে আসলে দেখতে সায়ন আলোকে প্রপোজ করেছে।
মারু,,,, কিহহ সত্যি,, ইশশ মিস করে গেলাম।
সায়ন,,,, আচ্ছা এখন কেক কাটা হোক।
কেক কাটার সময় অয়ন মারুর কানে বলে,,,, বাপের বাড়িতে কেও এতো দিন থাকে। আমার কথা না মানে তুলির কথা এক বারো মনে পড়লো না।
,,,, আমি তো তুলিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু মা বাবা,তুমি সায়ন নিয়ে যেতে দিলে কোথায়। আর দুদিন ছিলাম মাত্র।
কি মনে করেছেন মারু মারা গেছে,, না,, দুবছর আগে।
মারুকে রক্তাত অবস্থায় হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। কন্ডিশন খুব খারাপ। সবাই সায়নকে ভুল বুঝে। সায়ন চুপচাপ হসপিটালে দাঁড়িয়ে আছে।
ডক্টর এসে বলে,,, প্রচুর রক্ত যাওয়ায় রক্ত প্রয়োজন। O+ রক্ত দরকার।
সায়ন দাঁড়িয়ে বলে,,,, আমার রক্ত O+। আমি দিবো।
অয়ন,,,,, প্রহরের রক্তও O+,,, ও দিবে তোর দেওয়ার দরকার নেয়।
প্রহর,,,,, হ্যাঁ ডক্টর চলেন।
সায়ন চুপচাপ মন খারাপ করে বসে থাকে। ভিতরে অপারেশন চলতে থাকে। অয়ন মারুর অপারেশন দেখতে পারবে না, তাই বাহিরে এসে বসে থাকে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কিন্তু মুখে কোনো শব্দ নেয়।
বেশ অনেক ক্ষন পরে ডক্টর এসে বলে,,,, আপনার মেয়ে হয়েছে, সে সুস্থ আছে।
অয়ন ব্যস্থ হয়ে বলে,,,, আর নীর, আমার ওয়াফ।
ড,,,,,, হুমম তিনিও এখন ঠিক আছে।
অয়ন শান্তির নিশ্বাস ফেলে বসে। মেয়েকে এনে অয়নের কোলে দেয়। অয়ন মুচকি হেঁসে বেবির মাথায় একটা চুমু খায় খায়। তারপর ওর কানে কানে আজান দেয়।
প্রহর ও চলে আসে, সবাই মেয়েকে কোলে নিচ্ছে। সায়ন শুধু দাঁড়িয়ে দেখছে। অয়ন মেয়েকে নিয়ে সায়নের কাছে গিয়ে তার কোলে নিতে বলে।
সায়ন তুলিকে কোলে কিভাবে নিবে সেটাই বুঝতে পারছে না। শুধু হাত ঘুরাচ্ছে। অয়ন সায়নকে দেখিয়ে দেয়।ওর কোলে দিয়ে বলে,,,, আমি জানি, আমার ভাই তার ভাবী আর তার বাতিজার কোনো ক্ষতি করতে পারে না৷ চোখে দেখা সব কিছু সত্যি হয় না।
সায়ন,,,,হুমম তার জন্যই তো ভাবিকে আমার রক্ত দিতে দিলে না।
অয়ন,,,,, কারন এটা না,, তোর অনেক স্ট্রং মেডিসিন নেওয়া লাগে, যেটা নীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই দিতে দেয়নি। তুই বেবিকে দেখ, আমি নীরকে দেখে আসি।
অয়ন নীরের কাছে গিয়ে বসে, চোখের পানি ফেলে হাত ধরে বসে আছে। পুরো একদিন পরে মারুর জ্ঞান ফিরে, তখন সে বলে,,, সে পাপোসে পিছলে পড়ে যায়, তার চিৎকার শুনে সায়ন আসে, আর তখনি রডটা তার উপর পড়ে যেতে নেয় আর সায়ন ধরে ফেলে, তারপরে আর কিছু মনে নেয়।
বর্তমানে,,,,,,,,
পার্টিতে সবাই অনেক আনন্দ করছে। স্নেহা মন খারাপ করে বসে আছে, আর প্রহর ও কেমন মুখ গোমরা করে কথা বলছে।
মারু প্রহরকে ডেকে এক সাইডে এনে বলে,,,,, প্রহর স্নেহা কিন্তু তোমাকে অনেক ভালোবাসে, আর কোথাও না কোথাও তোমারও কিন্তু স্নেহার জন্য ফিল আছে, যেটা তুমি এক্সেপ্ট করছো না। সুযোগ সবার জীবনে আসে না। তোমার এসেছে সো কাজে লাগাও। এটা যাতে না হয়, তুমি তোমার ফিলিং বুঝতে বুঝতে অনেক দেড়ে হয়ে গেছে। জীবনকে একটা সুযোগ দিয়ে তোহ দেখো। আমার পুরো বিশ্বাস স্নেহা ঠিক তোমার মন জয় করে নিবে। ওর বিয়ে হয় গেলে কিন্তু আর পাবে না।
,,,,তোহহ এখন আমি কি করবো।
,,,আরে স্নেহাকে গিয়ে বলো, ও এখনি রাজি হয়ে যাবে, যাও আর দেড়ি করো না।
প্রহর অনেক ভেবে স্নেহার কাছে গিয়ে বলে,,,,, স্নেহা আমার মনে হয়, মনে হয়।
স্নেহা দাঁড়িয়ে বলে,,,, কি বলো।
প্রহর কিছু ক্ষন চুপ থেকে বলে,,,,,, তুমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করো না।
,,,, তোহহ কাকে করবো।
,,,,,,, কেনো আমাকে।
স্নেহা অভাক হয়ে বলে,,,,, হেহহ।
,,,,হুমম,,আমি ওয়াদা করছি, আমি আমার বেস্ট ট্রাই করবো তোমাকে খুশি রাখার। আর ৫০% না আমি আমার ১০০% চেষ্টা করবো।
স্নেহা প্রহরকে জরিয়ে ধরে। প্রহর ও স্নেহাকে জরিয়ে ধরে, মারুর দিকে তাকিয়ে ভাবে,,,, (আমার উপর সব অধিকার একজনের নামে দিয়ে দিলেও, মনের কোনো না কোনো এক কোনে তুমি অবশ্যই থাকবে, যেটা মুছা সম্ভব না। তুমি আমার সেই প্রহর সেই মূহুর্ত যেটা আমার কোনো দিন ও হয়নি)
অয়ন এসে বলে,,,, তাহলে দুটো বিয়ে এক সাথেই দিবো।
রাতে, সব মেহমান চলে যায়। তুলিও ঘুমিয়ে পড়ে, অয়ন গিয়ে তুলিকে প্রহরের রুমে দিয়ে আসে। তারপর রুমে আসে।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে বলি,,,,,, অয়ন তুলি কোথায়।
অয়ন আমার কোমরে ধরে টান দিয়ে কাছে এনে বলে,,,, আমি তুলিকে প্রহরের রুমে দিয়ে এসেছি।
,,,,,, কিন্তু কেনো।
,,,,,, তুলি বলছিলো ওর একটা ভাই চাই, তার জন্য কিছু একটা তো আমাকেই করতে হবে।
আমি অয়নকে ধাক্কা দিয়ে বললাম,,,,, অয়ন দিন দিন তোমার বয়স বাড়ছে না কমছে, যতসব ঢং, এমন ভাবে দেখছো যেনো আজ আমাদের নতুন বিয়ে হয়েছে।
অয়ন আমাকে কোলে নিয়ে বলে,,,,,, তুমি আমার তৃষ্ণা, ভেবেছিলাম বিয়ের পর এই তৃষ্ণা মিটে যাবে, কিন্তু না, যতো দিন যাচ্ছে তোমার প্রতি আমার তৃষ্ণা ততো বেড়ে যাচ্ছে। এই তৃষ্ণা কোনো দিন মিটবে না। তুমি এই আগুনের তৃষ্ণা।
সমাপ্ত,,,,,,,,,,
Thanks for reading…….