আসক্তিময়_ভালবাসা পর্ব-১৯

0
3356

#আসক্তিময়_ভালবাসা
#Part_19
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

— হ্যাপি নিউ ইয়ার রিয়ুপাখি।

“রিয়ুপাখি” নামটি শুনার সাথে সাথে শরীরের মধ্যে কেমন শিহরণ তৈরি হয়ে যায়। ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠে মিষ্টি হাসি। রিয়ান সাধারণত আমায় রিয়ুপাখি বলে ডাকে না। হুটহাট করে ডেকে উঠে। আর সেই মূহুর্তটি হয় অতুলনীয়। আমি রিয়ানের দিকে ঘুরে মিষ্টি সুরে বলি,

— হ্যাপি নিউ ইয়ার ডা. রিয়ান।

রিয়ান আমার দিকে ছোট চোখে তাকিয়ে থেকে মিষ্টি হাসি উপহার দেয়। তারপর আমার পাশে রেলিং-এ দুই হাত ভর দিয়ে দাঁড়ায়। শূন্য দৃষ্টিতে তাকায় আকাশের পানে। আমিও ঘুরে দাঁড়াই। আর স্নিগ্ধ নয়নে আকাশের দিকে তাকিয়ে রই। পুরো আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ফানুস। দূর আকাশে দেখা যাচ্ছে রঙে-বেরঙের আতসবাজি। লাউড মিউজিকের বিটগুলো কানে এসে বাড়ি খাচ্ছে। যা মূহুর্তেই পুরো ভালো লাগাটাকে তেতো করে দিচ্ছে। মিউজিকটা একদম বেমানান লাগছে। নিরিবিলি পরিবেশ হলে কতটাই না ভালো হতো। এইসব ভাবতে ভাবতেই রিয়ান বলে,

— এইদিকে আজ বেশি সোরগোল। একটু নিরিবিলি দিকে যাবে? এত সোরগোল ভালো লাগছে না।

আমি সাথে সাথে সম্মতি জানাই৷ সে আমায় নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি এসে থামে শহর থেকে একটু দূরে। গাড়ির ভিতর থেকেই বুঝতে পারছি বেশ গাছগাছালি আছে চারপাশে। আমি রিয়ানের দিকে তাকাতেই সে আমায় চোখের ইশারায় নামতে বলে৷ আমিও বিনাবাক্যে নেমে পড়ি। তারপর চারপাশে চোখ বুলাতে থাকি। হাইওয়ের মত খোলা লম্বা চওড়া রাস্তা। রাস্তার মাঝে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো বেরা। যা রাস্তাকে দুইভাগে বিভক্ত করছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মী গাছ লাগানো। রাস্তার দুইপাশ ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাছ। মাথার উপর খোলা আকাশ। তার মধ্যে ঝলঝল চাহনিতে চেয়ে আছে চাঁদটি। হিম শীতল বায়ুর ছড়াছড়ি চারদিকে। মূহুর্তেই মনটা সতেজ আর ফুরফুরে হয়ে যায়। একটু পরই রিয়ান আমার পাশে এসে দাঁড়ায়। আমি রিয়ানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করি,

— এইটা কোন জায়গা? জায়গাটা বেশ নিরিবিলি।

রিয়ান গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে বলে,

— পূর্বাচল ৩০০ ফিট। সুন্দর না জায়গাটা?

আমি মাথা দুলিয়ে সে সম্মতি জানাই। আমি সামনের দিকে তাকাতেই হুট করে রিয়ান আমার চুলের ব্যান্ড টেনে খুলে ফেললো। সাথে সাথে পিঠ অবধি চুলগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। আমি অবাক চোখে তার দিয়ে তাকাতেই সে কাঠ কাঠ গলায় বলে,

— এতক্ষণ পেত্নী পেত্নী লাগছিল। আর তোমাকে না পেত্নী রুপে ভালো লাগে না। তাই তোমায় রাক্ষসনীতে কনভার্ট করলাম।

আমি কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলি,

— আর আপনাকে সবসময়ের মত মি. খারুশ লাগছে। হুহ!

আমি ভেবেছিলাম আমার কথা শুনে রিয়ান রেগে যাবে। কিন্তু সে আমায় অবাক করে দিয়ে মৃদু শব্দ করে হেসে উঠেন। চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় তার মুখটা ঝলঝল করছে। তার হাসিটা দেখা মাত্র আমার রাগ উবে যায়। আমিও মিষ্টি হাসি হেসে দেই। তারপর হাত দিয়ে চুলগুলো ঠিক করে নিয়িয়ে কানে গুঁজে দেই। একটু পর রিয়ান বলে,

— এইখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি একটু হাটবে।

— চলুন হাটি।

অতঃপর দুইজন পাশাপাশি খোলা রাস্তায় হাটতে শুরু করি। আমি হাটতে হাটতে রিয়ানকে জিজ্ঞেস করি,

— আচ্ছা আপনি যে আন্টিকে বললেন, প্রতিবারের মত আন্টিকে প্রতিবারের মত আঙ্কেলকে সামলে নিতে তা কেন বললেন? আমার জানা মতে আপনি তো এতবছর সিডনিতে ছিলেন। সেখান থেকেই নিজের স্টাডি শেষ করে দেশে ফিরেছিলেন। তাহলে?

রিয়ান আমার কপালে টোকা মেরে বলে,

— ষ্টুপিড! আমি কি সারাজীবন সিডনিতে ছিলাম নাকি? ইন্টার কমপ্লিড করার পর বাকি এডুকেশনের জন্য সিডনি গিয়েছিলাম।

আমি রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলি,

— তাহলে কি আগে এইখানে আসতেন?

রিয়ান মাথা দুলায়। মৃদু কন্ঠে বলে,

— অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে বাবা ব্রিজের ওইদিকটায় বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। কারণ তখন আমাদের বর্তমান ফ্যাল্টের কাজ চলছিল বলে। তো সেখানে থাকা অবস্থায় আমি সাইকেলিং করা শিখি। নতুন নতুন শিখছিলাম তাই শখ করে যখন তখন বেড়িয়ে পড়তাম। রাত আটটা কি নয়টা পর্যন্ত সাইকেলিং করে ঘুরে বেড়াতাম। বাবা-মা কখনোই আমাকে কোনকিছুর জন্য বাধা নিষেধ দেন নি বলে রাত পর্যন্ত সাইকেলিং করতে পারতাম। শুরু দিকেই ব্রিজটা বেশ পছন্দের জায়গা ছিল। দশম শ্রেণি পর্যন্ত ওইদিকটাই বেশি থাকতাম। অতঃপর ইন্টারে উঠার পর এইদিকটায় আসি। ভালো লাগে খুব। সেই থেকে যখন কিছু ভালো লাগতো মা তখন বেশির ভাগ রাতে বের হয়ে এইখানে এসে পড়তাম। হয়তো ব্রিজে সময় কাটাতাম নাইলে এইখানে। ওই সময় মাকে বলে আসতাম যাতে টেনশন না করে প্লাস বাবাকে সামলে নেয়। বাবা আবার এত রাতে বের হওয়া পছন্দ করতেন না। তাই লুকিয়েই বের হতাম। তো এমনই একদিন থার্টি ফাস্ট নাইটে বের হয়েছিলাম। তখনই এই মনোরম দৃশ্য দেখতে পাই। এরপর যতদিন বাংলাদেশে ছিলাম থার্টি ফাস্ট নাইটে এইদিকে আসতাম। এইটা কখনো মিস হয় নি। অতঃপর সিডনিতে যখন যাই তখন আর আশা হয় নি। আবার বাংলাদেশে যখন ফিরে আসি আবার এই অভ্যাসটা শুরু হয়ে যায়।

আমি সব শুনে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলি,

— সিডনিতে থার্ডি ফাস্ট লাইট কিরকম হয়?

রিয়ান পকেটে হাত গুঁজে বলে,

— এক জাঁকজমকপূর্ণ। বলতে গেলে গ্রেন্ড ভালো। সেখানে রাত ১২ টা বাজতেই সিডনি হারবোর ব্রিজে ফাইয়ারওয়ার্ক (আতসবাজি) ডিসপ্লে হতো। তাও আমার এমন তেমন নয় একদম গ্রেন্ড ভালো। পুরো ওয়ার্ল্ডের বেস্ট ফাইয়ারওয়ার্ক ডিসপ্লে হয় সেখানে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসতো এই ডিসপ্লে দেখার জন্য। এতটা মোহনীয় ছিল সেটা। সেইসাথে পাব গুলোতে সকাল পর্যন্ত পার্টি তো থাকতোই।

আমি কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করি,

— পার্টিতে কি কি হতো?

রিয়ান একটু নড়েচড়ে বলে,

— এই তো নাচ-গান, ডিংক্স করা, আড্ডা দেওয়া। ব্লাহ!ব্লাহ!

আমার মনে হুট করে প্রশ্ন করে বসি,

— আপনি কি এইসব পার্টিতে গিয়েছেন কখনো?

রিয়ান আমার দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

— তা গিয়েছি কয়েকবার।

আমি অস্বস্তি ভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করি,

— সেখানে মেয়েরা ছিল?

রিয়ান আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে কি যেন ভেবে হাল্কা হেসে বলে,

— ছিল তো অবশ্যই। না থাকার তো কারণ দেখছি না। আর যারা যারা আসতো সবই ছিল একদম হুরদের মত। যেন আসমান থেকে নামা ডানাকাটা পরী।

কথাটা শুনার সাথে সাথে আমি রিয়ানকে ভয়ংকর প্রশ্ন করে বসি,

— আপনার গার্লফ্রেন্ড ছিল?

রিয়ান বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি হেসে বলে,

— তা তো ছিল। এত বছর দেশের বাইরে ছিলাম তাও একা। বাবা-মা কেউ ছিল না সঙ্গ দেওয়ার সো একটা দুইটা গার্লফ্রেন্ড তো রাখতেই হয়। কাজের কাজ হলো সাথে টাইম পাসও হলো। কি বলো?

আমি আর কিছু বললাম না। চুপ করে রইলাম। নিমিষেই মনটা খারাপ হতে গেল। প্রচন্ড কান্না পেতে লাগলো আমার। জানি না কেন? শুধু মনে চাচ্ছে হাত পা ছড়িয়ে কান্না করতে। আমি কিছু না বলে চুপচাপ মাথা নুয়ে হাটছি আর নিজের কান্না থামানোর চেষ্টা করছি। এমন সময় রিয়ান থেমে যায়। আমি তার থামা দেখে নিজেও থেমে যাই। রিয়ান কিছু না বলে আমার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে এসে আচমকাই জড়িয়ে ধরে। তার বুকের উপর এসে পড়তেই আমি হতভম্ব হয়ে যাই। অতঃপর বুঝতে পেরে চুপ করে রই। এক সময় কান্না আটকাতে না পেরে কেঁদে দেই। রিয়ান আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,

— আরে আমি মজা করছিলাম রিয়ুপাখি। আমার কোনকালেই কোন গার্লফ্রেন্ড ছিল না। এমনকি আমার ওইদেশের কোন মেয়ের প্রতিই কোন ইন্টেরেস্ট ছিল না। বরং ওদের প্রতি ছিল এক রাশ বিরক্তি। কেন না কেউ আমার টাইপের ছিল না। তার উপর সবাই ছিল কেমন গায়ে পড়া টাইপ। যা আমার একদমই পছন্দ ছিল না। কিন্তু এইটা বলবো না যে আমি কখনো তাদের দিকে চোখ তুলে তাকাই নি। আফটার অল আমিও তো ছেলে মানুষই।

আমি কান্না জড়িত কন্ঠেই বলি,

— এইসব আমায় কেন বলছেন? আমি কি জানতে চেয়েছি?

রিয়ান মুচকি হেসে বলে,

— তা আমি কখন বললাম আমি তোমাকে জানানোর জন্য এই কথা গুলো বলছি? আমি তো এইভাবেই কথাগুলো বলছি। এখন কথাগুলো যদি তুমি শুনো তাহলে এইটা কি আমার দোষ?

আমি নাক টানতে টানতে বলি,

— আপনি খুব খুব খারাপ।

রিয়ান হেসে বলে,

— আর কি শুনি?

— নির্লজ্জ, বেশরম, খারুশ।

— ঘুরে ফিরে আবার ওই খারুশই?

— হু!

রিয়ান এইবার আমাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে আমার মুখের পানে তাকায়। হলদে ফর্সা মুখটা কেমন লাল হয়ে গিয়েছে। গোল গোল গালদুটো আর নাকের ডগা তো একদম টুকটুকে লাল। চাঁদের স্নিগ্ধ আলো মুখের উপর পড়তেই চোখের পানিগুলো চিকচিক করে উঠছে। সরু ঠোঁট গুলো মৃদু কাঁপছে। রিয়ান আলতো হাতে আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,

— তোমার এই হরিণী চোখ শুধু ঘায়েল করতে জানে, ঘায়েল হতে নয়। আর এমনেও কান্নাতে তোমায় একদম মানায় না বুঝলে? নেক্সট টাইম যাতে তোমায় কাঁদতে না দেখি। না হলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।

আমি চুপচাপ মাথা দুলাই। সে মুচকি হেসে বলে,

— চা খাবে? সামনেই একটা টং ঘর আছে। সেখানের মালাই চা অনেক ভালো।

আমি স্মিত হেসে বলি,

— চলুন।

____________________________________________

বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে আছে আনিশা। মোবাইলটা মুখের উপর ধরে আছে। মারুফ একেক পর এক মেসেজ করেই চলেছে। কিন্তু আনিশা রিপ্লাই দিচ্ছে না। প্রথম দিকে অনেক বার ফোন করেছিল সে কিন্তু আনিশা ধরে। অতঃপর শুরু হয় মেসেজ দেওয়া। আনিশার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মেসেজ দিতে পারছে না। সে যে নিরুপায়। সে নির্বাক ভঙ্গিতে শুধু মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে থেকে মেসেজগুলো পড়ছে।

” এত মেসেজ দিয়েছি একটির তো উত্তর দাও।”
” আর কত পোড়াবে আমায়?”
“আচ্ছা সত্যি কি আমার জন্য তোমার মনে কোন অনুভূতি নেই বলো?”
“আমার ভালবাসা কি তোমার কাছে এতই ঠুকনো?”
” কিছু তো একটা বলো? ড্যাম ইট!”

এর পর বেশ কিছুক্ষণ কোন মেসেজ আসে নি। অতঃপর আনিশা মোবাইল রাখতে নিলেই মারুফ মেসেজ করে,

” এখন তো তোমার পিছে ঘুরছি বলে দাম দিচ্ছ না। আমার ভালবাসার উপলব্ধি করতে পারছো না। যেদিন হারিয়ে যাব সেইদিন বুঝবে আমার ভালবাসাটা। সময় থাকতে নিজের জিনিস আঁকড়ে নাও শ্যামলতা। এমন না হয় যে তুমি আঁকড়ে ধরার আগেই তা বহুত দূর চলে যায়। তখন কিন্তু আফসোস ছাড়া কিছুই করার থাকবে না।অবশেষে এতটুকুই বলতে চাই,

ভালবাসি তোমায় শ্যামলতা।”

মেসেজটি পড়ে আনিশা আর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না। হু হু করে কেঁদে উঠে। অতঃপর মনে পড়ে পাশেই ওর বোন নিশু ঘুমিয়ে আছে। কান্নার আওয়াজ ওর কানে গেলে নির্ঘাত উঠে যাবে। তাই সে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে কাঁদতে থাকে। একসময় তার হেঁচকি উঠে যায়। আনিশা কোন মতে নিজেকে সামলে নিতে থাকে। কিন্তু তাও চোখ দিয়ে অনাবর‍ত পানি পড়তেই থাকে। নিজেকে আজ বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে।

____________________________________________

পায়েল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আতসবাজি দেখছে। এমন সময় পিছন থেকে কেউ ওর কোমর জড়িয়ে ধরে। পায়েল প্রথমে চমকে উঠে। অতঃপর বুঝতে পারে এ কেউ নয় বরং আদিব। আদিব পায়েলের কাধে থুতনি রেখে বলে,

— আমার বউটা বুঝি ভয় পেয়ে গিয়েছিল?

পায়েল আদিবের বুকের উপর ভর দিয়ে বলে,

— এইভাবে হুট করে কেউ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলে যে কেউ ভয় পাবে।

আদিব দুষ্টুমি ভরা কন্ঠে বলে,

— তাই নাকি?

পায়েল আদিবের পেটে আলতো করে গুতা দিয়ে বলে,

— একদম সাধু সাজবে না তো।

আদিব মুচকি হেসে পায়েলের কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলে,

— হ্যাপি নিউ ইয়ার প্রেয়সী।

পায়েল মিষ্টি হাসি হেসে বলে,

— হ্যাপি নিউ ইয়ার মি. হাজবেন্ড।

আদিব পায়েলকে ছেড়ে দিয়ে নিজের পকেট থেকে একটা বেলি ফুলের মালা বের করে পায়েলের সামনে ধরে বলে,

— পড়িয়ে দেই।

— জিজ্ঞেস করা লাগে বুঝি?

আদিব হাল্কা হেসে পায়েলের হাত খোঁপা করা চুলে বেলিফুলের মালাটা গুঁজে দেয়। অতঃপর পায়েলকে সামনে ঘুরিয়ে ওর কপালে ভালবাসার পরশ নিয়ে বলে,

— ভালবাসি প্রেয়সী।

পায়েল মিষ্টি হাসি হেসে বলে,

— আমিও!

#চলবে