#ওহে_প্রিয়
#জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_১৮
.
নিঝুম রাত। আগরবাতির কড়া ঘ্রাণে পরিবেশে ভীতি উদ্রেককারী এক ভাব সৃষ্টি হয়েছে। কাঁপা হাতে ডায়েরি বন্ধ করে পাশে রেখে দু’হাঁটু জরিয়ে চাপা কান্নায় ভেঙে পড়লো আহি৷ নির্মল,সাবার পরিণতি তাঁর বুকের বাপাশে চিনচিনে এক ব্যাথার সৃষ্টি করছে। আল্লাহ না করুক আর কারো জীবনে এমন পরিণতি ঘটে। ভাবা মাএই আঁতকে ওঠলো আহি। হ্যাভেন হসপিটালে তাঁর অপারেশন ছিলো। এখন কি অবস্থা কে জানে? জ্ঞান ফিরেছে? যদি জ্ঞান ফেরার পর তাঁকে খোঁজে? না পেয়ে যদি নির্মলের মতোই স্ট্রোক করে কোন ক্ষতি হয়ে যায়। অপারেশন যদি সাকসেসফুল না হয়? আর যাই হোক হ্যাভেনের জীবনে তাঁর জন্য কোন ক্ষতি হয়ে গেলে সে সেটা মানতে পারবেনা৷ কেনো পারবেনা? সে তাঁর স্বামী তাই নাকি এর থেকেও বেশী কিছু? যদি বেশী কিছুই হতো সে কি পারতো এমন দুঃসময়ে তাঁকে ছেড়ে তাঁর বাড়ি ছেড়ে এভাবে পালিয়ে আসতে? কেনো পালাবে না? ঐ মানুষ টা তো তাঁর চোখে খুবই নিচু এবং খুবই জঘন্য। পরোক্ষণেই ভাবলো তাঁর এই নিচু মানসিকতা কে সে চাইলেই কি বদলে দিতে পারতো না? নির্মলও তো বদলে গিয়েছিলো সাবার জন্য। তাহলে হ্যাভেন কেনো বদলাতে পারবেনা আহির জন্য। পরোক্ষণেই মনে পড়ে গেলো হ্যাভেন তো সুস্থ নয়। তাঁকে তো একজন ভালো সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো উচিত। একজন মানুষ তো জন্মলগ্ন থেকে খারাপ হয়ে জন্মায় না। অতিতে হ্যাভেনও তো এমনটা ছিলোনা৷ বরং সে বেশ রুচিসম্মত ব্যাক্তিত্বের মানুষ ছিলো। সময়, পরিস্থিতি, কিছু নিকৃষ্ট মানুষের করা বিশ্বাসঘাতকতার ফল সরূপ আজ হ্যাভেন এমন হিংস্র হয়ে ওঠেছে। এবং তাঁর হিংস্রতার শিকার দিনের পর দিন হতে হচ্ছে আহিকে। অধৈর্য হয়ে পড়লো আহি। হিংস্রতা থেকে মুক্তির নেশায় স্বামী নামক ঐ ভয়ংকর মানুষটাকে ছেড়ে চলে এসেছে সে। কিন্তু মনের সুপ্ত কোনে তাঁর জন্য তৈরী হওয়া কিছু অনুভূতি যেনো পিষে মারছে তাঁকে। ভয় হচ্ছে ভীষণ ভয় হ্যাভেনের কিছু হয়ে যাবে না তো? নির্মলের মতোন হ্যাভেনের মনেও যদি আহির জন্য দূর্বলতা বা ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে থাকে? সত্যি কি হয়েছে নাকি শুধু মাএ সৌন্দর্যের মোহে পড়ে জেদ বজায় রাখতেই সংসার গড়ে তুলেছে? এতোদিনে মানুষ টাকে পুরপুরি কেনো জানতে পারলোনা আহি তাই ভেবেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
ভয়ানক এক আর্তচিৎকারে কেঁপে ওঠলো আহি। বিছানা ছেড়ে ছুটে বেরিয়ে গেলো বাইরে। কে কাঁদছে এভাবে? এক ঢোক গিলে কাঁপা পায়ে এগিয়ে যেতে থাকলো আহি। আগরবাতির কড়া ঘ্রাণে বমি বমি পাচ্ছিলো। শাড়ির আঁচল দিয়ে নাক, মুখ চেপে এগিয়ে যাচ্ছে। তখনই পিছন থেকে কেউ তাঁর হাত টেনে ধরলো। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে ঘুরতেই অতি সুদর্শন এক পুরুষের সম্মুখীন হলো। পুরুষটি হাত ছেড়ে দিয়ে মৃদু হাসলো। মুখ থেকে আঁচল আপনাআপনিই সড়ে গেলো আহির। ফ্যালফ্যাল চোখে চেয়ে আছে সে। ওপাশের রুম থেকে ভয়ংকর ক্রন্দনধ্বনি বেজে ওঠছে। আহির পুরো শরীর শির শির করে ওঠলো কম্পনরত অবস্থায় ঠাঁই দাঁড়িয়েই রইলো সে। সামনের পুরুষটিকে দেখে কেনো জানি নির্মল নির্মল মনে হচ্ছে তাঁর। ডায়েরি তে তো নির্মলের চোখ দুটো ঝাপসাই লেখা ছিলো। চুলগুলোও বাদামী বর্ণের ছিলো। অনেক লম্বা, সুঠাম দেহের অধিকারি ছিলো। ইনি কি তাহলে নির্মল?
-‘ আপনি ভাবির স্টুডেন্ট ‘?
চমকে ওঠলো আহি। নাহ নির্মল কিভাবে হবে? সে তো বহু তৃষ্ণার্ত হয়ে প্রিয়জনকে হারানোর ভয়ে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছে। তাহলে ইনিই নির্ঝর? দুভাইয়ের মাঝে মিল তো থাকতেই পারে। নির্ঝরের করা প্রশ্নে মাথা নাড়ালো আহি। প্রশ্ন করলো,
-‘ ওঘরে কে কাঁদছে ‘?
নির্ঝর এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
-‘ আপনি ওদিকটায় যাবেন না। সারাদিন নিজের সাথে যুদ্ধ করে রাতের এই সময়টুকুই সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এবং ফিরে আসে নিজের আসল সত্তায়। সেখানে ভাবি আছে যতদূর শুনলাম ভাবির ডায়েরিটা আপনাকে দেওয়া হয়েছে পড়ে নিবেন আর দয়া করে ওদিকটায় যাবেন না ‘।
-‘ আমি পড়েছি পুরোটা’।
নির্ঝর আগাগোড়া আহিকে পর্যবেক্ষণ করলো। ডায়েরিটা পুরোটা পড়েছে বিধায় আহির এমন বিধ্বস্ত মুখশ্রী তে খুব একটা মাথা ঘামালো না। সাবা নির্মলের অতিত যেই শুনবে তাঁরই এমন অবস্থা হবে। পৃথিবীর বুকে এমন কেউ কি আছে যারা ওদের দুজনের জীবনি শুনে পুরোটাই স্বাভাবিক নেবে এবং থাকবে? জানা নেই নির্ঝরের। এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
-‘ বেশ অনেক রাত হয়েছে শুয়ে পড়ুন গিয়ে ‘। বলেই নিজের রুমে পা বাড়ালো।
আহির মাথা ঝিমঝিম করছে “প্রিয়জন হারানোর বেদনা এতটা যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে? হ্যাভেন যখন রূপসাকে হারিয়েছিলো তাঁরও কি এমনই যন্ত্রণা হয়েছে? সাবা ম্যাম শুধু হারিয়েছে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়নি কিন্তু হ্যাভেন বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে এজন্যই কি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? সাবা ম্যাম একজন মেয়ে যথেষ্ট স্ট্রং বলেই সে টিকে আছে। হ্যাভেন মানসিক দিক দিয়ে কি খুব বেশী উইক ছিলো তাই নিজের আসল সত্তা হারিয়ে ফেলেছে? ভালোবাসা থাকুক না থাকুক সেকেন্ড টাইম আমি তাঁকে ছেড়ে এলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবেনা তো”?
দুকান চেপে ধরে বার কয়েক শ্বাস ফেললো আহি। নানারকম দ্বিধায় পড়ে গিয়ে অধৈর্য হয়ে দোতালা থেকে ছুটে নিচে নেমে এলো। মেইন দরজা খুলে ছুটে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে। একবারো তাঁর মাথায় এলো না সেকেন্ড টাইম সে যা করেছে তাঁর কি ভয়ানক শাস্তি হতে পারে? সে আবেগের বশীভূত হয়ে প্রিয়জনকে হারানোর ভয়ে ছুটে যতোই যাক যে মানুষ টা মানসিকভাবে অসুস্থ সে কি দেবে এই অনুভূতির মূল্য? সাবা ম্যামকে না জানিয়ে এভাবে চলে যাওয়া কি তাঁর উচিত হলো? অল্পবয়সী ভুলগুলো জীবনে মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে। যেমনটি এনেছিলো সাবার জীবনে। আহির জীবনে যেনো কোন ভুল না থাকে, কোন দ্বিধা না থাকে। এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেজন্য তাঁর মনের বিশুদ্ধ অনুভূতিটাকে নিখুঁত ভাবে বুঝতে চেয়েছিলো সাবা। এবং সে অনুযায়ী তাঁকে সহায়তা করে পাশে থাকতে চেয়েছিলো। সে ধারণাও করতে পারেনি আহি এভাবে ফিরে যাবে। যদি এমন কিছুর আভাস পেতো তাহলে আগেই সচেতন করে দিতো অন্তত এভাবে যেনো ফিরে না যায়। একজন সাইকো কখনোই যুক্তিবুদ্ধি মানবেনা সে সবসময় নিজের যুক্তিতে নিজের বুদ্ধি তে বিশ্বাসী থাকবে হোক সেটা ভুল বা অন্যায়।
.
গতরাতে সাবা ম্যামের বাসা থেকে বের হতেই হ্যারি গাড়ির ডোর খুলে দেয়। আহি প্রথমে ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু হ্যারি যখন তাঁর সাথে স্বাভাবিক আচরণ করে সম্মানের সাথে গাড়িতে ওঠতে বলে সে আর একমুহূর্তও সময় নেয়নি। অস্থিরতায় চাঞ্চল্য ভঙ্গিতে সমানে প্রশ্ন করে যায় হ্যাভেন কেমন আছে? তাঁর জ্ঞান ফিরেছে কিনা? হ্যারি সঠিক তথ্যই জানায় তাঁকে।
__________
বিছানার এক কোনায় গুটিশুটি হয়ে বসে আছে আহি। তাঁর শাশুড়ী মা কয়েকবার ডেকে গেছে সকালের খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু সে খেতে যায়নি। বড্ড অদ্ভুত লাগে এ বাড়ির সদস্যদের। গতকাল সে পালিয়ে গিয়েছিলো আবার ফিরেও এসেছে। অথচ এ নিয়ে কেউ তাঁকে কোন প্রশ্ন করলো না। যেখানে ছিলো সে বাড়ির সামনে দেবর সহ আরো লোকজন কে পেয়েছিলো। কি অদ্ভুত কি ভয়ংকর পরিবার এটা?
হসপিটাল থেকে ফোন এসেছে। হ্যাভেনের জ্ঞান ফিরেছে এবং সে ইমিডিয়েটলি তাঁর ওয়াইফের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে চায়। হিয়া ফোন নিয়ে আহিকে দিতেই আহি ভয়ে গুটিশুটি হয়ে বসে। মাথায় বেশ বড়সড়ো আঁচল টেনে নেয়। স্ক্রিনে উপস্থিত ঘটে হ্যাভেনের হাসিহাসি মুখের। বেডে উপুত হয়ে শুয়ে স্ক্রিনে চেয়ে মিটিমিটি হাসছে সে। অথচ তাঁর চোখ দুটি হলদে বর্ণ। মানুষের সুখ,দুঃখ,হাসি,কান্না,অসুস্থতা সবকিছুই সর্বপ্রথম চোখ দুটোতেই দৃশ্যমান হয়। হ্যাভেন ঠিক নেই একদম ঠিক নেই অথচ মানুষ টা হাসছে। যখন জানবে আহির পালিয়ে যাওয়ার খবর তখন এই হাসিটা ক্ষোপে পরিণত হবে নিশ্চয়ই। আহি ভয়ে আরো গুটিয়ে গেলো। জোর পূর্বক হেসে জিগ্যেস করলো,
-‘ আপনি কেমন আছেন ‘?
-‘ ভীষণ খারাপ আছি সুন্দরী। পতি চিন্তায় পত্নীর এমন বিষাদে ভরা মুখশ্রী কি আর সহ্য হয় আমার ‘।
আহি ইতস্ততবোধ করতে শুরু করলো। হিয়ার দিকে একপলক চেয়ে আবার হ্যাভেনের দিকে তাকালো। হ্যাভেন গলা উঁচিয়ে বললো,
-‘ হিয়া তুই এখনো রুমে কি করছিস? স্বামী-স্ত্রীর প্রেমময় মিটিং চলছে আউট ‘।
হিয়া মুচকি হেসে আহিকে এক চোখ টিপ মেরে বেরিয়ে গেলো। আহি হ্যাভেনকে জিগ্যেস করলো,
-‘ আপনি হ্যারি ভাইয়াকে একটু বলে দেবেন যেনো আমায় হসপিটাল নিয়ে যায় ‘?
হ্যাভেনের হাসিটা নিভে গেলো। সন্দেহী গলায় জিগ্যেস করলো,
-‘ কেনো হসপিটাল কি কাজ ‘?
-‘ আপনাকে দেখতে যাবো ‘।
-‘ এ যুগে দেখার জন্য অতো কাঠখড় পোহাতে হয় না সুন্দরী। সারাদিন, রাত দেখবো এভাবে দেখি মাথার ঘোমটা টা সড়াও তো। এমন প্যাকেট হয়ে বসে আছো কেনো জান প্যাকেট খুলে ফেলো ‘। বলেই চোখ মারলো।
আহি মাথা নিচু করে ফেললো। দৃষ্টির এলোমেলো স্বচক্ষে দেখতে পারলেও নিঃশ্বাসের ভীষণ এলো মেলো ভাব একটুও টের পেলো না হ্যাভেন ৷ নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে আহি। হ্যাভেনের ভিতর অবদি পৌঁছাতে হলে তাঁকে অবশ্যই সম্পর্ক টা স্বাভাবিক করতে হবে। একসাথে দেড়বছর কাটিয়েও যা সে করেনি এবার তাই করবে। মানুষ টা কে আপন করে নেওয়ার শুধরে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। সে স্বীকার করুক বা না করুক সত্যি তো এটাই রূপসার বিষয়টা সেদিন যদি না জানতো হ্যাভেনের প্রতি শুরু হওয়া অনুভূতি টা আজ গাঢ় থেকেও গাঢ় হতো।
-‘ স্বামী অসুস্থ আর স্ত্রী হয়ে আমি আপনাকে দেখতে যেতে পারবো না। ভিডিও কলে দেখা আর বাস্তবে দেখা কি এক ব্যাপার হলো ‘? বললো আহি।
-‘ উহুম উহুম একদম এক ব্যাপার নয়। এই যেমন চুমু খেতে ইচ্ছে করছে তবুও ইচ্ছে টাকে দমিয়ে রাখতে হচ্ছে। ভীষণ অসভ্যতামি পেয়েছে সুন্দরী ‘।
আহি ইতস্ততভাবে বললো,
-‘ রাখছি ‘।
হ্যাভেন হু, হা করে হেসে ওঠলে পিঠের সেলাইয়ের জায়গায় টান পড়লে আউচ করে ওঠে। আহি উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করে,
-‘ কি হলো আপনার ‘?
-‘ আই লাইক ইট সুন্দরী কিন্তু এই দরদের পিছনের রহস্যটা কি জান? ওয়েট ওয়েট হসপিটাল আসতে চাইলে পালানোর মতলব করছো নাকি ‘?
ভয়ে গা শিউরে ওঠলো আহির। কাঁপা গলায় বলে ওঠলো,
-‘ না না এমন কিছু নয়। বিশ্বাস করুন এমন কিছু নয় ‘।
আহির অমন মুখশ্রী দেখে চিন্তায় কপালে তিন ভাঁজ পড়লো হ্যাভেনের। ‘ রাখছি ‘ বলেই কল কেটে দিলো। আহি ভয়ে এক ঢোক গিললো। হ্যাভেন কল কেটে ফোন করলো হিরা কে এবং বললো,
-‘ গতকাল সন্ধ্যা থেকে সকাল অবদি সিসি ক্যামরায় রেকর্ডকৃত পুরো বাড়ির ভিডিও দেখার ব্যবস্থা কর। আমার রুম থেকে ল্যাবটপ নিয়ে আয় কুইক ‘।
-‘ ভাইয়া ‘।
-‘ উহুম যা বলেছি তাই কোন কথা নয় ‘।
হিরাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ফোন কেটে দেয় হ্যাভেন পরপরই আবার আহিকে ফোন দিয়ে দীর্ঘসময় কথা বলে কল কেটে দেয়। কিন্তু মনের খচখচ দূর হয় না হ্যাভেনের। আহির এতো স্বাভাবিক এতো ভালো আচরণ তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। তাঁর দূর্ঘটনার জন্যই এই ভালো আচরণ নাকি এর পিছনে কোন রহস্য রয়েছে? নারী যে বড় রহস্যময়ী প্রাণী। ভেবেই অদ্ভুত এক হাসি দিলো হ্যাভেন।
.
-‘ সিসি ক্যামেরায় একটু সমস্যা হয়েছে ভাইয়া ‘। মাথা নিচু করে বললো হ্যারি৷ হিরা যখন হ্যারিকে ফোন করে সবটা জানায় হ্যারি দ্রুত হসপিটাল চলে আসে এবং জানায় সিসি ক্যামেরায় প্রবলেম হয়েছে। হ্যারির কথাটা শোনামাএই হ্যাভেন উগ্র মেজাজে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে,
-‘ জ্বিব টেনে ছিঁড়ে ফেলার আগে যা বলেছি তাই কর। আর কোন মিথ্যা শুনে কান নষ্ট করতে ইচ্ছুক নই আমি হ্যারি’।
চলবে..