তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 11
In Bangladesh Airport
একজন লোক আসছে।।।(লোকটা দেখতে একদম sanam purir মত,অনেক সুন্দর) তার পিছনে অনেক গুলা গার্ড আসছে।।।। airport এর সামনে অনেকগুলা কালো গাড়ি রাখা আছে।।।।
একটা লোকঃ স্যার সব রেডি।।।।।
অজানাঃঠিক আছে।।।।।।
(এই অজানা সম্পর্কে আমরা পরে জানব)
এইদিকে
রুশা মন খারাপ করে সব গুছাইতাছে।।।।।।।।
আমিঃরুশা এমন করিস না।।।।।।
আমার কথা শুন।।।।।। ভাইয়া এমনিই বলেছে।।।
রুশা কিছু বলছে না।।।।
রুশা চলে গেল।।।।।
আমি মন খারাপ করে বসে আছি।।।
ভাইয়া এসেছে।।।।।।
ভাইয়াঃ কিরে টুকু এভাবে বসে আছিস কেন???
বিশালঃ ভাইয়া রুশা চলে গেছে।।।।তাই মন খারাপ করে বসে আছে।।।।।
ভাইয়া খুব খুশি হল।।।।।।
ভাইয়াঃ যাক বাবা বাচলাম।।।।।
আমিঃ তোর সবগুলা কথা রুশা শুনেছে ভাইয়া।।।।।।
ভাইয়াঃ কোন কথাগুলা??যেগুলা আমি তোকে বলেছিলাম???????
আমিঃহুমমম।।।
ভাইয়াঃ ত কি হয়েছে??যা হইছে ভালই হইছে।।।।।।।
আমরা তিনজন অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।।।।।
ভাইয়া কিছু না বলে চলে গেল
আমরা আর কিছু বললাম না।।।।
পরেরদিন,
আমি,বিশাল,জন শপিং এ যাব।।
ভাইয়া আসবে একটু পরে।।।।।
আমরা তিনজন যাচ্ছি হঠাৎ করে বিশাল ধাক্কা খেয়ে পরে গেল।।।।
আমি আর জন হাসতে হাসতে শেষ।।।।।।
মেয়েঃওই কালা বান্দর,,,দেইক্কা চলতে পারস না।।।।
বিশালঃআরে ঠিক করে কথা বলুন।।।।।।
আমিঃ মেয়েটাকে পিছন থেকে দেখেছি।।।।।তাই তাদের ঝগড়া থামাতে যাচ্ছি।।।।।।।
আমিঃ দেখুন আপু আসলে ওর কোন…………….
আমি আর বলতে পারলাম না।। কারন সামনে থাকা মেয়েটা আমার ছোটবেলার বন্ধু সায়মা।।।।।।
আমি আর সায়মা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।।।।।।।
সায়মাঃ ফারিইইইইইইইইইইই
বিশাল ঃ আস্তে।।।।। কানটা নষ্ট করে দিল।।।।।
সায়মাঃ কালা বান্দর তুই চুপ থাক।।।।
বিশালঃ ভদ্র ভাবে কথা বলুন
আমিঃ তোরা থাম।।।।।
সায়মাঃ ফারি তুই কই ছিলি এতদিন।।।। ওই দিন এর পর আমি তোকে কত এত খুজেছি।।।।।
আমিঃ সরি রে আসলে আমি London চলে গেছিলাম।।।।।।।
সায়মাঃ আচ্ছা এসব বাদ দে।।।।এই নে বিয়ের কার্ড।।।।
আমিঃ কার বিয়ে???????
বিশালঃ কার আবার হবে ওর আরকি।।।।।
সায়মাঃ আমার দাভাইএর।।।।
আমিঃ কিইইইইইইইই।।।।।দাভাইয়ের বিয়ে!!!!!!!!!!
সায়মাঃ হুমম।।।।। আচ্ছা তোর নাম্বার দে।।।রাত এ কল দিব।।।।।।এখন আসি।।।।বাই
আমিঃ বাই।।।।
এইদিকে….
রুদ্রঃ জানপাখি তুমি কবে আমার হবা।।।।।???আমি যে আর তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না।।।।।তুমি কেন নিজেকে এত কস্ট দাও।।তোমার সব দুখ আমি মুছে দিব আমার জানপাখি।।।।।।। তুমি শুধু আমার।।।।।শুধুই আমার।।তোমাকে প্রথম দেখার পর থেকেই আমি তোমার প্রেমে পাগল হয়ে গেছি।।।।।।এবার কেউ আর আমাদের আলাদা করতে পারবে না।।
অন্যদিকে রুশা শুধু কান্না করেই যাচ্ছে।।।।।
রুশাঃআমি আর তোমার সামনে যাব না স্রোত।।।।।।।। কখনও না।।।।।
এবার আসুন অজানা সম্পর্কে কিছু জানা যাক।।
(ফারহান সিদ্দিকী শুদ্ধ।আমাদের ভাই।।।।আমার ভাইয়ারা যমজ। দুইজনকে দেখতে একিরকম।দুইজন এ রাগি,বদমেজাজি,।ফারদিন ভাইয়া ফারহান ভাইয়ার ১ সেকেন্ডের বড়।তাই আমি বড়ভাইয়া ছোট ভাইয়া বলে ডাকতাম।কিন্তু ভাইয়া ১০ বছর আগে আমার বাবার জন্য আমাকে আর ভাইয়াকে ছেড়ে চলে গেছে।।আমি আর ছোটভাইয়া অনেক কান্না করেছিলাম।কিন্তু বড়ভাইয়া কোন কথাই শুনল না।।।।।সেই থেকে ছোট ভাইয়া আর বড়ভাইয়ার নাম ও শুনতে পারে না।।।।বলতে পারেন একধরনের অভিমান।। কিন্তু কোন চিন্তা করবেন না আমি আছি তো।আমরা তিন ভাইবোন আবার এক হব।বড়ভাইয়া ও আমেরিকার নামকরা বিজনেসম্যান।বলতে গেলে আমার দুই ভাইয়াই সফল বিজনেসম্যান।দুই ভাইয়ার কলিজা আমি।আমি ও তাদেরকে খুবই ভালবাসি।আমাদের আলাদা হওয়ার পিছনে আমার বাবা মা দায়ি।।।)
আমি,বিশাল আর জন শপিং শেষএ বাহির হওয়ার সময় একজন কে দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম।।।।সেতা আর কেউ নয় আমার বড় ভাইয়া।।। আমি দৌড়ে গিয়ে ভাইয়াজে জড়িয়ে ধরলাম।। ঠিক এই সময় ছোট ভাইয়া আসল।।।ভাইয়া এসে সব দেখে দাঁড়িয়ে আছে।।।। আমি ভাইয়াকে দেখে ভয় পেয়ে গেলাম।।।।
ভাইয়াঃ টুকু তুই যদি এনার সাথে যাস তাহলে আমাকে আর কোন দিন ও ভাইয়া বলে ডাকবি না।।।।(রেগে)
আমি কি করব বুঝতাছি না।আমি একবার ভাইয়ার দিকে একবার বড়ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছি।।।।আমার অবস্থা বুঝতে পেরে বড়ভাইয়া ইশারা করল।।।।
আমিঃ ভাইয়া আমি তামার সাথেই থাকব।।।(কান্না করে)
ভাইয়া আর কিছু না বলে আমাদের নিয়ে বাহির হয়ে বাসায় চলে গেল।।।
in khan vila
রুদ্রঃকিরে রুশা তোর কি হয়েছে????এতদিন ধরে দেখছি তুই কেমন যেন মন মরা হয়ে আছিস।।।।কি হয়েছে বল আমায়।।
রুশাঃ আমার কিচ্ছু হয় নাই ভাইয়া।।।। আমি ঠিকাছি।।।
রুদ্রঃ শুন আজকে আমি,বাবা,মা ফারিয়াদের বাড়িতে যাব।।।তুই যাবি??
রুশাঃ না ভাইয়া।।।।
রুদ্র আর কিছু বলল না।।।কারন তার মাথায় এখন আমাকে শাস্তি দেয়ার পথ খুজছে।।
রুদ্রঃ তুমি এতদিনে ও আমাকে একটা কল করলে না।।।।।। আমার খোজ নিলা না।এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে জানপাখি।। (মনে মনে বাকা হেসে)
চলবে…….
