তুই যে আমারই পর্ব-২৪+২৫

0
4098

#তুই_যে_আমারই
#আঁখি আজমীর নুরা
part 24
সকাল থেকেই মন খারাপ। কেননা সবাই আজিফা আপুর শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু আমি যেতে পারছি না। কারণ আয়াজ ভাইয়া মানা করে দিয়েছে। গেলে নাকি আমার আর আস্ত রাখবে না। তাই মন খারাপ করে রুমে বসে আছি। সবাই গেছে, আমি গেলে কি এমন হতো। যাবো না আর কোনোদিনই যাবো না। নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকতে ডাকতে শহীদ হয়ে গেলেও নাহ।
আয়াজ আঁখির রুমে ঢুকে দেখে মুখটাকে পেঁচার মতো করে বসে আছে। তাই রুমের ডোরটা বন্ধ করে আঁখির সামনে গিয়ে বসলো।

আয়াজ ভাইয়াকে সামনে বসতে দেখে মুখটাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলাম। তাকাবো না তোর দিকে [মনে মনে]…
এবার আয়াজ আমাকে টান দিয়ে তার বুকে নিয়ে নিলো। আর ঘারে নাক ঘষতে ঘষতে আদুরে গলায় বলল আমার প্রিয়তমার কি আমার উপর রাগ হয়েছে? হুমম?
-নাহ
-তাই?
-হুমম
–বাবভা মিথ্যে ও বলতে পারে তাইলে?
-সবাই গেছে আমি যাইতে পারি নাই বলেই ভ্যা করে কেঁদে দিলাম।
-আরে আরে পাগল মেয়ে। এই নিয়ে ওতো কান্না করার কি আছে। এমনতো না যে তুই আগে কখনো ফুফীর বাসায় যাসনি? যাবি আরকি সামনে। দিনতো আরো অনেক পরে রয়েছে। আর আমি কি এমনি এমনি যেতে দেয়নি বুঝি? সেদিন যে ছেলেটার সাথে হেসে কথা বলেছিলি ওই ছেলের হাবভাব আমার মোটেও ভালো লাগেনি। আর তাছাড়া ওখানে আরো অনেক ছেলে থাকবে। যেহেতু বিয়ে বাড়ি আরতো কোনো কথায় নেই। তাই আর যেতে দেয়নি
-কেন ওখানে কি আমি কি একা, ইফতি আপুরা সহ আরো অনেকেইতো আছে।
-সবাই আর তুই কি এক?
-চুপ করে আছি আমি।

আমাকে চুপ থাকতে দেখে দিলো ঘারের উপর এক কামড়।
-আহহ!
-চুপ করে আছিস কেন?
-ততো কি ববলবো আর!
–কেন কথা বলবি?
–ককি কি কথা বলবো?
-যা তোর বলতে হবে না আমিই বলছি। বলেই আঁখির ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলাম। আঁখি ভিষণ ছুটাছুটি করছে ছাড়া পাওয়ার জন্য। পাক্কা বিশ মিনিট পর ছাড়লাম। দেখলাম আঁখি জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে আর হাঁপাচ্ছে।
-এতোটুকুতেই ধম শেষ? বিয়ের পর কি করবি? তখনতো আরো অনেককিছুই হবে।
–আপনি আপনি অনেক পঁচা। ককথা নায় আআপনার সসাথে।
–ওলে ওলে বাবুনিটা তাই। আমার সাথে কথা না বলে কার সাথে কথা বলবি?
-জজানিনা।
-থাপ্পড় চিনিস?
-ককেন? ভয়ে পেয়ে বললাম।
-ওমন তোতলাস কেন সবসময়? টেনে মারবো এক চড়। সবার সাথে তো ঠিকি কথা বলিস, আমার কাছে আসলে তোতলানি শুরু হয়ে যায়।
-ভয়ে আমি মাথা নিচু করে আছি।
আয়াজ আমাকে ওমন ভয় পেতে দেখে আমাকে বুকের সাথে চেপে ধরে বলতে লাগে, ওমন ভয় পেলে হবে? নয়তো আমাকে সামলাবি কি করে? যদি আমার কিছু হয়ে যায় তখন কি করবি?
-ধক করে আমার বুকটা ধরে উঠলো। কি হবে ওনার। ককি হহবে আপনার?
-যদি কখনো কোনো দুর্ঘটনায় দূরে কোথাও হারিয়ে যা..
সাথে সাথে ওনার মুখটা চেপে ধরলাম। ধরা গলায় বললাম
–চুপ! একদম চুপ। ককিসব বলছেন? ককি হবে আপনার, কিছুই হবে না। আপনার কিছু হলে আমার কি হবে, আমিতো বাঁচবোই না। মরেই যাবো। প্লিজ এসব কথা আর বলবেন না। আমার যে ভয় হয় বড্ড ভয় হয়। বলেই হুঁ হুঁ করে কেঁদে দিলাম।
-দূর পাগলি মেয়ে আমার আবার কি হবে? কিচ্ছু হবে না। আমিতে জাস্ট একটু মজার চলে বললাম। এই যে আমি এখানে আছি। একদম সুস্থ।
–নাহ আর কক্ষনো এমনটি বলবেন না কিন্তু?
-আচ্ছা বাবা আর বলবো না। সরি! এই যে কান ধরেছি, এবার কান্না থামা। দেখতো কেঁদে কেটে মুখের কি অবস্থা করেছিস?
ওনার এমন ইনোসেন্ট মার্কা সরি বলা দেখে হিহি করে হেসে দিলাম।

আমাকে হাসতে দেখে আয়াজ বললো সবসময় এভাবে হাসি খুশি থাকবি। একদম চোখের পানি ঝরাবি না। আমার পিচ্চিটাকে তো সবসময় এমন হাসি খুশিতেই মানায়।
-হুম বলেই ওনাকে টাইট করে জড়িয়ে ধরলাম।
আয়াজ বললো একমাস পর থেকেইতো তোর ফাইনাল প্রিটেস্ট শুরু হবে? পড়াশোনা কিছু কি হয়েছে।
কথাটা শুনতেই মুডটাই নষ্ট হয়ে গেলো। ধ্যাত আবার এই পড়াশোনা। জীবনটা তেজপাতা করে দিলো।
-এভাবে নাক ছিটকে কোনো লাভ নেই। কালতো রিসিপশন। পরশু থেকে পড়া শুরু করে দিবি। আমি চাই না এসএসসি তে কোনো খারাপ রেজাল্ট হোক। আদরের সময় আদর। রেজাল্টে কোনো গ্যাফালতি হয়েছে তো পিঠের চামড়া হাতে তুলবো মনে রাখিস রাগি গলায় বলে উঠলো।
–হহুম
-যা ফ্রেশ হয়ে নে।
এরপর আমি উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।

পরেরদিন সন্ধ্যায় রিসিপশন পার্টি ও শেষ হলো। আপুও ফিরেনি ঘুরে শ্বশুর বাড়িতে চলে গেলো। আর আমি বেচারি বই নিয়ে পড়তে বসছি। আসলে পড়তে বসেছি বললে ভুল হবে, পড়ার বই নিয়ে বসে আছি, আর পাতা উল্টাচ্ছি। কোনো পড়ায় পড়তে ইচ্ছে করছে না। খালামনির ফোনটা চুরি করে এনে বইয়ের ভিতর রেখে ফেসবুকিং করতে লাগলাম। হটাৎ আয়াজ ভাইয়ার গাড়ির আওয়াজ শুনতেই ফোনটা তাড়াতাড়ি বেডের নিচে লুকিয়ে রেখে বই খুলে চট করে বসে পরলাম।

আর আয়াজ বাড়িতে ডুকেই আগে আঁখির রুমে ঢুকলো। ঢুকেই জিজ্ঞেস করলো
-কখন পড়তে বসেছিলি।
–সসসন্ধ্যায়?
-তাই? এর মধ্যে কয়বার ফাঁকি দিছিস।
-ককই একবার না। এএই যে পপপড়ছি।
-ওও তাই বুঝি। এমন পড়া পড়ছিস যে, পড়তে পড়তে একেবারে গল্পের বইসহ পড়ে ফেলছিস।
-আমমমি বইয়ের দিকে তাকাতেই ভয়ে ভয়ে আয়াজ ভাইয়ার দিকে তাকালাম, কারণ আয়াজ ভাইয়া আসার আওয়াজ শুনে দ্রুত করতে গিয়ে ভুলে গল্পের বই নিয়ে ফেলেছি।
–আআসলে ভাইয়া🥺🥺🥺
-কি আসলে নকলে চটকানি দিয়ে চুকচুকানি সব বের করে দিবো রেগে বলে উঠলো। ফাইযলামি হচ্ছে? হাতের মোয়া পেয়েছিস এক্সামটাকে। বদমাশ মেয়ে কোথাকার। বলেই একটা ম্যাথ করতে দিলো। আর বলল আমি ফ্রেস হয়ে এসে যেনো ম্যাথটা সলভ করা পাই। বলেই হনহনিয়ে চলে গেলো।

আর আমি বেচারি বসে বসে ম্যাথ সলভ করার ট্রাই করছি। কিন্তু দুইটার ক,খ করতে পারলেও গ কিছুতেই মিলাতে পারছি না। ভিষণ কান্না পাচ্ছে। কারণ আয়াজ ভাইয়া আমাকে ম্যাথ গুলো করিয়েছে। আর আমি সব খেয়ে বসে আছি। আসার আগে করতে না পারলে আমি জানি মার খাবো।

আয়াজ এসে দেখলো ম্যাথ না করে কলম একবার খাতায় বসায়তো আবার উঠায়।
-সব খেয়ে ফেলেছিস? বিয়ের খাবারের সাথে পড়াও সব খেয়ে ফেলেছিস। হাত পাত?
–🥺🥺🥺
–হাত পাত নয়তো বারি একটা বেড়ে যাবে।
-হাত বাড়িয়ে দিতেই পরলো দুই হাতে দুইটা।
–😭😭😭
-কেঁদে কোনো লাভ নাই। মাইর পরলে তুই ঠিক থাকিস। নয়তো মাথায় চড়ে বসিস। তোকে মাইর না দিলে হবে না। টেস্ট পেপার বের কর?
-আমি টেস্ট পেপার বের করতেই আমাকে পড়াতে শুরু করলো। আমিও পড়ায় মনোযোগী হওয়ার ট্রাই করছি।
-রাতে পড়া শেষ করেই আয়াজ নিজে খাবার বেড়ে আমাকে খাইয়ে দিয়ে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেই, মোবাইল ফোনের রিংটনের আওয়াজ শুনতে পাই। নোটিশ করে দেখলো বেডের নিচে। আমারতো কাঁপা-কাঁপি অবস্থা। আয়াজ বেড উল্টিয়ে দেখে মায়ের ফোন। ভ্রু কুঁচকে আঁখির দিকে তাকায়ে বলতে লাগে
–লুকিয়ে ফোন চালানো হচ্ছে? আজকের মতো ছেড়ে দিলাম নেক্সটে এমনটা দেখেছি তো কঠিন পানিশমেন্ট পাবি বলেই লাইটটা অফ করে নিচে চলে গেলো।

নিচে গিয়ে ফোনটা রোজিনা চৌধুরী হাতে দিয়ে বলল
-ফোনটা আজকে থেকে আঁখির কাছ থেকে লুকিয়ে রেখো। আমি চাইনা এক্সাম কোনোরকম প্রবলেম আসুক।
এরপর ফোনটা হাতে দিয়ে ড্রয়িংরুমে বসে টিভিতে নিউজ দেখতে লাগলাম। বারোটা বাজতেই টিভি অফ করে রুমের দিকে আগালাম। যাওয়ার আগে আঁখির রুমে গিয়ে দেখলাম ঘুমোচ্ছে। আস্তে করে কপালে একটা চুমু দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলাম।
চলবে

#তুই_যে_আমারই
#আঁখি আজমীর নুরা
part 25
সকালে উঠে নামায আদায় করে বই নিয়ে ঢুলতে ঢুলতে আয়াজ ভাইয়ার রুমে যাচ্ছি। কারণ তখন সময় মাত্র সাড়ে ছয়টা। চোখে যেনো ঘুম লেগেই আছে। রুমের সামনে আসতেই কোনোরকম টেনে চোখ দুটো খুলে আয়াজ ভাইকে ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম
-আআসবো?
আমার আওয়াজ পেতেই আয়াজ আমার দিকে তাকালো। আর দেখলো নিবু নিবু চোখে বই নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। দেখেই অসম্ভব কিউট লাগছে। কিন্তু নিজেকে যথেষ্ট সংযত রেখে মুখে গাম্ভীর্যের ভাব ফুটিয়ে বলল
–আয়।

আমিও গুটি গুটি পায়ে টেবিলে গিয়ে বসলাম। আমি বসতেই আয়াজ ভাইয়া বলল

-গতকালের কমপজিশনটা রিভিশন করে পড়া দে। কুইক!

-আমিও মিনমিন করে পড়া শুরু করলাম। কিন্তু পড়তে পড়তে চোখ বন্ধ হয়ে ঢুলে ঢুলে নিচে পরে যেতে নিচ্ছি তো আবার কোনোরকম নিজেকে প্রটেক্ট করছি। এমন করতে করতে একসময় টেবিলে মাথা দিয়ে হা করে ঘুমোচ্ছি। আয়াজ তখন আঁখিকে রিভিশন করতে বলে ওয়াশরুমে গিয়েছিল। এসেই দেখে এই অবস্থা।
পাশ থেকে স্কেল নিয়ে পিঠের উপর দুই তিনটা দিয়ে ধমক দিয়ে ওয়াশরুমে পাঠায় চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে আসার জন্য। আঁখিও কাঁদো কাঁদো হয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে পানি দিয়ে এসে আবার পড়তে বসে। আয়াজ যখন আঁখির কাছ থেকে যখন পড়া নেয়, তখন আঁখি পড়া বলতে বলতে আবার জুড়তে থাকে। আয়াজের এবার মেজাজ গরম হয়ে গেলো। আর রেগে বলল

–ইউ ইডিয়ট.. সারারাত ঘুমিয়ে ও তোর ঘুম শেষ হয়নি। এখনো জুড়ছিস বজ্জাত মেয়ে। চোখ খোল চিৎকার করে বলে উঠলো।
আমি চিৎকার শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠি।
–সসরি! পপপড়ছি
-আবার জুড়ছিস তো বেতের বারি একটাও মিস যাবে না।
-হুম। এরপর আঁখি নিজের পড়াটা কমপ্লিট করে নাস্তা করে স্কুলে চলে গেলো।

এরমধ্যে কখন যেনো একমাসটা শেষ হয়ে যায়। আর এই পুরো কয়েকমাস সম্পূর্ণ আয়াজের ধমকের আর মাইরের উপর ছিলো। আর এখনো ওই সিচুয়েশনেই আছি। আর এটাও ভালো করে বোঝা হয়ে গেছে যে, যতোদিন না ফাইনাল এক্সাম শেষ হচ্ছে ততদিন এই অবস্থায় থাকবে। সকালে নামায আদায় করে আয়াজের কাছে পড়তে বসা, দেন স্কুলে যাওয়া, এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ঘুমানো বিকালে উঠে নাস্তা করে নিয়মমাফিক আবার আয়াজ ভাইয়ার কাছে পড়তে বসা উঠে ডিনার সেরে ঘুমানো। খেলাধুলা সম্পূর্ণ বাদ। দিনগুলো যেনো এভাবেই চলছে। আর আমি এদিকে আয়াজ ভাইয়াকে আগের থেকে দুইগুণ বেশি ভয় পেয়ে চলতে হয়। কারণ কোনো কিছু একটা ভুল বা বিশৃঙ্খলা হয়েছে তো শেষ আমি। নরমালি কথা বললেও ভিষণ গম্ভীর হয়েই কথা বলে। তাই যথেষ্ট সঠিকভাবে চলার ট্রাই করি।

এক্সামের প্রথমদিন সবার থেকে দোয়া নিয়ে আয়াজ ভাইয়াকে বললাম,
–ভভভাইয়া আআসছি। ভয়ে ভয়ে বললাম।
–আয়াজ আমার কাছে এসে গাল দুটো নিজের দু হাতের ভিতর নিয়ে বলল, এক্সাম ভালোভাবে দিবি। ঠান্ডা মাথায় আনসার করবি। যতটুকু পারবি ততটুকুই আনসার করবি, মাথায় অতিরিক্ত প্রেশার নেওয়ার কোনো দরকার নেই। ওকে?
-আঁখি ঘার কাদ করে মাথা নাড়ালো।
আয়াজ আঁখির কপালে আর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলল
-চল দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমিও পিছু পিছু যেতে লাগলাম।

এভাবে ফাইনাল এক্সাম গুলো শেষ হয়ে যায়..

মোটামুটি ভালোই দিলাম। এক্সাম শেষ করে সন্ধ্যায় বেলকনিতে মন খারাপ করে বসে আছি। বের হলে যদি আয়াজ ভাইয়া বকে তাই আর বের হচ্ছি না।

আয়াজ আস্তে আস্তে আঁখির পাশে এসে বসে। আঁখি একমনে বাইরের দিকে এমন করে তাকিয়ে আছে যে, আয়াজ যে ওর পাশে এসে বসেছে কোনো খবরই নেই। আয়াজ এটেনশন পাওয়ার জন্য একটা গলা খাঁকারি দিলো। কারো আওয়াজ শুনতেই আঁখি ধ্যান থেকে ফিরে আসলো। আর দেখলো পাশে আয়াজ।

তাই একটু নড়েচড়ে বসে বললাম
– আআসলে এএমনি ববসে ছিলাম বলেই উঠতে নিলাম ওমনি আয়াজ আমার হাতটা টান দিয়ে ধরে কোলের উপর বসিয়ে দিলো। আর বলছে..

–কোথাও যেতে হবেনা।
…….
–রেগে আছিস?
আমি কিছু বললাম নাহ।
-আয়াজ আমাকে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে সরি।
-হুমম
-কি হুমম?
-কিছুনা
-সরি এই কদিন বকার জন্য। কি করবো বল? না বকলেতো তুই পড়িসনা। আর না পড়লে রেজাল্ট ভালো হবে কি করে? আমিতো চাই আমার বাবুনিটা ভালো একটা রেজাল্ট করুক। তাইতো এতো ট্রাপে রেখেছি।
-আমি মাথা নিচু করে নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতে লাগি। আয়াজ আমাকে টান দিয়ে সামনে ঘুরিয়ে চোখের পানি গুলো ঠোঁট দিয়ে চুষে নিতে শুরু করে। আর অভিমান ভাঙ্গানোর নানান খুঁনসুটি।

সকালে উঠে আয়াজসহ সবাই একসাথে টেবিলে নাস্তা করতে বসে। তখন আয়াজ বলে উঠে
-আম্মু আমি ভাবছি আঁখির এক্সাম শেষ তাই কোথা থেকে ঘুরে আসি।

-আলতাফ চৌধুরী বললেন ঠিক বলেছো। যাও ঘুরে আসো। এতদিন মেয়েটা একেবারে নাকানিচুবানির মধ্যে ছিলো। ঘুরেও আয় ওর ও ভালোও লাগবে, দুইজনে খুব ভালো সময়ও কাটাতে পারবি।
কথাটা শুনেই আঁখি যেনো লজ্জা পেয়ে গেলো। তাই সে উঠে রুমে চলে গেলো। আঁখির এভাবে চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সবাই হেসে দিলো।
–ভাবছি কক্সবাজার যাবো।
-যেটা তুই ভালো বুঝিস
-হুমম

আয়াজ রুমে এসে ভাবতে থাকে তার প্রিয়তমাকে নিজের করে পাওয়ার সময় এসে গেছে। কক্সবাজার থেকে ঘুরে এসেই একেবারে ধর্ম আইন পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে জানিয়ে নিজের করবো। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয়তমাকে পাবো। ভাবতেই যেনো বুকটা ভরে উঠলো।
চলবে