#প্রথম_ভালোবাসার_সুর❤️
#লেখনীতে:অনুসা_রাত(ছদ্মনাম)
#অন্তিম পর্ব
মেহেরের এখনো চিকিৎসা চলছে!তবে স্নেহা বলেছে মেহের চাইলেই কন্সিভ করতে পারবে।শেহনাজ পারভীনও বেশ খুশি।উনি বেশ গিল্ট ফিল করছেন এটা ভেবে যে একটা তুচ্ছ কারণে তিনি মেহেরের সাথে ঠিক কিরূপ আচরণ করেছেন! তাই এখন মেহেরের যত্ন নিয়ে সেটা পুষিয়ে নিচ্ছেন।
যা হোক!আজ মীরার মেহেন্দির অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে মেহের ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসে সাজতে ব্যস্ত!আরবাজ বেশ রেগে আছে মেহেরের অনিয়ম নিয়ে।সে ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে ঘড়ি নিতে নিতে বললো,
-“বেশ সাজুগুজু হচ্ছে! ”
মেহের লিপস্টিক লাগানো শেষ করে বললো,
-“একমাত্র ননদের বিয়ে।সাজব না আমি?”
আরবাজ ঘড়ি পড়তে পড়তে ড্রেসিং টেবিলের আয়না দিয়ে মেহেরের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“আর তুমি যে অনিয়ম করছ তার বেলায়?”
-“কোথায় অনিয়ম করলাম আমি বলোতো?”
আরবাজ রাগী চোখে তাকালো মেহেরের দিকে। তারপর বললো,
-“করছ না?সকালের ওষুধ দুপুরে।দুপুরের টা বিকালে!”
-“আরে বাড়ি ভর্তি মানুষ! এত কি খেয়াল থাকে বলোতো?”
বলতে বলতে মেহের উঠে দাঁড়ালো।আরবাজ মেহেরকে ভালো করে পরখ করে বললো,
-“তোমাকে দেখে তো দূর্বল লাগছে।”
মেহের হাসার চেষ্টা করে বললো,
-“একদমই না। দেখো,আমি তো ঠিক আছি।”
আরবাজ মেহেরের কপালে হাত দিয়ে চেক করলো।জ্বর নেই!তবে মেহেরের চোখ বলছে যে সে দূর্বল।আরবাজ এমতাবস্থায় মেহেরকে ছাড়তে চাইলো না।বলে উঠলো,
-“তুমি এখন যেও না।আরো পরে যাও।”
-“আরে এক্ষুণি যেতে হবে।মেহমান কত বাসায়।”
বলতে বলতে মেহের পা বাড়ালো ঘরের দরজার দিকে। আরবাজ মেহেরকে চেয়েও আটকাতে পারলো না।
মেহের দরজা ডিঙিয়ে ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল মীরার ঘরে।সেখানে সবাই বসে বসে মীরাকে মেহেদী দিচ্ছে।আর শেহনাজ পারভীন বসে বসে অন্যান্য মহিলাদের সাথে গল্প করছেন।মেহের যেতেই উনি মেহেরকে ডেকে নিজের সাথে বসিয়ে দিয়ে বললেন,
-“এইযে হলো আমার বউ।আর এইযে সব রান্না খেলে,সব ওই তো করলো।”
মেহের হালকা হাসলো।আসলেই তো তার বেশ দূর্বল লাগছে।কিন্তু এ কথা আরবাজকে জানালে আরবাজ তার উপর রেগে যাবে।সেই আন্টিগুলো মেহেরের অনেক প্রশংসা করছে।তবে একজন বলতে লাগলো,
-“বিয়ের এত মাস হয়ে গেল,এখনো বাচ্চা নাওনা কেন?নাকি পড়াশোনা করো?”
মেহের কিছু না বলে বিরক্তি প্রকাশ করলো।শেহনাজ পারভীন বলতে লাগলেন,
-“বাচ্চা নেয়ার সময় হলে ঠিকই নিবে।আগে ওদেরও তো কিছু সময় একসাথে কাটানো উচিত।এরপর না বাচ্চা।”
-“যাই বলো না কেন ভাবী।তোমার বউমার যদি পড়াশোনা শেষ হয়ে থাকে তাহলে তো বয়স অনেক।আর মেয়েদের বেশি বয়স হয়ে গেলে বাচ্চা হতে তো সমস্যা হবেই!”
কিছু আন্টিরা মত জানালো।মেহের কিছু বলতে যাচ্ছিলো।তার আগেই শেহনাজ পারভীন বলে উঠলো,
-“দেখো ভাবী,এটা আমার পরিবারের বিষয়।ওর বয়স কম নাকি বেশি সেটা জেনে তো তোমার কোনো লাভ নেই তাই না!”
-“তুমি যেচে ঝগড়া করছ নাকি আরবাজের মা।”
মেহের দুজনকে থামিয়ে বললো,
-“আন্টি আপনি কেনই বা খুঁচা দিচ্ছেন আর কেনই বা ঝগড়াঝাটি করছেন।এটা একটা বিয়ে বাড়ি।”
-“আমি ঝগড়া কেন করবো?সত্যি কথা বললে বুঝি সবারই গায়ে লাগে।”
হঠাৎ আরবাজ এসে সেখানে উপস্থিত হলো।আর বলতে লাগলো,
-“আমার বউয়ের নাহয় বয়সটা বেশি হয়ে গেছে। আপনাদের তো বয়স কম।তো এই বয়সেও একটা বেবি নিতেই পারেন আন্টি।”
এবার একদম মুখটা বন্ধ হয়ে গেল সেই মহিলাটার।আর বাকি সবাই হো হো করে হাসতে লাগলো।মেহের মুখ চেপে হাসছে।শেহনাজ পারভীন বিষয়টাকে সামাল দিয়ে বললেন,
-“আচ্ছা হয়েছে অনেক।চলো তোমরা বরং আমায় একটু কাজে সাহায্য করবে।বাচ্চারা এখানে মজা করুক।”
বলে বের হয়ে গেল সবাই।মেহের উঠে গিয়ে মীরার পাশে বসলো।আরবাজ মেহেরের সাইডে বসতে বসতে বললো,
-“তোমার কি মন খারাপ? ”
-“নাহ।”
মীরা কথাটা শুনে বললো,
-“আরে ভাবীর মন খারাপ? তোমরা ভাবীকে মেহেদী দিচ্ছ না কেন?এক্ষুণি দাও বলছি।”
মেহের হালকা হেসে বললো,
-” না না। আমি দিব না।”
আরবাজ অবাক হয়ে বললো,
-“দিবে না মানে?দিবে না কেন?”
মীরাও বলতে লাগলো,
-“আরে দিবে না কেন ভাবী?বললেই হলো?”
-“আমি দিব না মীরা।জোর করিও না।”
বলে মেহের চুপ করে বসে রইলো।আরবাজ বলতে লাগলো,
-“আচ্ছা তুই দে আগে।”
মীরা বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে ব্যস্ত হয়ে গেলো।
আরবাজ মেহেরকে কড়া চোখে তাকিয়ে দেখছে।সে চাইছে মেহের ঘরে গিয়ে রেস্ট করুক।ওষুধের পাওয়ারে হয়ত তার শরীর এমন দূর্বল।মেহের আরবাজের নজর থেকে বাঁচতে একজন মেহেদী আর্টিস্ট কে উদ্দেশ্য করে বললো,
-“আচ্ছা আপনাদের মেহেদী ভালো তো?”
-“জ্বী ম্যাম,একদম প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী।অর্গানিক।দেখছেন না কেমন সুন্দর গন্ধ বের হয়েছে?আপনি চাইলে শুকেও দেখতে পারেন।”
বলে একটা মেহেদী মেহেরের দিকে এগিয়ে দিলো।মেহের নিলো না।তার এই গন্ধ সহ্য হচ্ছে না।তাই উঠে ঘরে চলে গেল।ঘরে গিয়ে বিছানায় বসলো।বেশ ২০ মিনিট পর আরবাজ এসে উপস্থিত হলো হাতে ডিম আর দুধের গ্লাস নিয়ে।মেহেরের দিকে এগিয়ে এসে বললো,
-“শরীর দূর্বল লাগছে তো?”
-“হুমম।”
-“নাও এই ডিমটা আর দুধটা খেয়ে ওষুধ গুলো খেয়ে শুয়ে পড়ো।মাকে বলে এসেছি।মা বলেছে তোমায় রেস্ট করতে।”
মেহের একবার তাকালো সিদ্ধ ডিম আর দুধের দিকে।
দেখেই কেমন যেন বমি পেয়ে গেল।আরবাজ ডিম এগিয়ে দিয়ে বললো,
-“আগে বরং এটা খাও।খাইয়ে দিতে হবে?”
বলতে বলতে মেহেরের পাশে বসে ডিমটা মুখের সামনে ধরতেই মেহের মুখ চেপে ধরে বললো,
-“এটা সরাও প্লিজ।আমার বমি আসছে।”
-“বমি আসছে মানে!”(অবাক হয়ে)
-“হ্যা আমার ভীষণ বমি পাচ্ছে।”
-“নাটক করিও না মেহের।খেতে হবে।নাও খাও বলছি।”
বলে আরেকটু সামনে ধরতেই মেহেরের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেল।আরবাজের গায়ের মধ্যেই বমি করে দিলো।তারপর দূর্বল হয়ে বালিশে হেলান দিলো।আরবাজের সেদিকে খেয়াল নেই।সে মেহেরের এই অবস্থা দেখে বলতে লাগলো,
-“কি হয়েছে তোমার মেহের?ডাক্তার ডাকবো?আমি বলেছিলাম এসব বা* চিকিৎসার দরকার নেই।কি হত বাচ্চা না থাকলে!বা* এর চিকিৎসা করতে গিয়ে এখন এই অবস্থা!”
-“ত..তুমি রা..রাগ করছ কেন?ত..তোমার শ..শার্ট…”
দূর্বল গলায় বললো মেহের।আরবাজ স্নেহাকে কল করতে করতে বললো,
-“রাখো তোমার শার্ট!তুমি এখন আমায় কতটা চিন্তায় দেখেছ আইডিয়া আছে?মাআআ?ও মাআআআ?”
আরবাজের ডাকে বাড়ির সবাই এসে উপস্থিত হলো।আরবাজের তার শার্টের কথা মনে পড়তেই তৎক্ষনাৎ গিয়ে শার্ট টা পাল্টে ফেললো।মেহেরকে শুইয়ে দিয়েছে বিছানায়।শেহনাজ পারভীন এসে ব্যস্ত হয়ে বলতে লাগলো,
-“কি হয়েছে ওর?আরবাজ?কি হয়েছে!”
-“বমি করছে মা।”
শেহনাজ পারভীন কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন।চুপচাপ ভাবলেন,
-“কয়েকদিন ধরেই তো দেখছি মেয়েটার এই অবস্থা।আরবাজকে তো বলতে নিষেধ করে।এসব লক্ষণ তো…”
কিছু সময় পরই স্নেহা এসে পড়লো বাড়িতে।সেও বেশ ব্যস্ত ছিল।ওই বাড়িতেও কত কাজের প্রেশার।স্নেহা ভালো করে দেখলো মেহেরকে।আরবাজ চিন্তিত গলায় বলছে,
-“নিশ্চয়ই ওষুধের পাওয়ারে এসব হয়েছে তাই না?আমি বলেছিলাম এসব করতে হবে না।লাগবে না আমার বাচ্চা। আমার মেহের যেমন তেমনই লাগবে আমার।”
শেহনাজ পারভীন কিছুটা বুঝতে পারলেন।তাইতো বলতে লাগলেন,
-“চুপ কর। একটু দেখতে দে স্নেহাকে।কি বলে শোন আগে।”
সেই আন্টিগুলো রুমের এক কোণে দাঁড়িয়ে কানাঘুষা করছে,
-“বয়স বেশি বলেছিলাম তো।রুগ্ন বউ ঘরে তুলছে।আরবাজের কপালটাই খারাপ হইলো গো।”
স্নেহার কানে গেল কথাগুলো।সে হাসিমুখে বলতে লাগলো,
-“আন্টিরা!মিষ্টি খাওয়ান।আপনাদের আরবাজকে নিয়ে এত চিন্তা।সেই আরবাজ তো বাবা হতে চললো।”
আরবাজ থমকে গেল।খুশিতে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।শেহনাজ পারভীন বলতে লাগলেন,
-“আমি এটাই সন্দেহ করেছিলাম।এখন সিউর হলাম।”
বলতে বলতে গিয়ে মেহেরের পাশে বসে মেহেরের কপালে চুমু দিলেন।মেহের এখনো স্তব্ধ হয়ে আছে।কি বলবে বুঝতে পারছে না।তার এতদিনের সব দুঃখ ঘুচলো।এতদিন সে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে যা চেয়েছিলো তা পেয়েছে। সে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছে।আরবাজ সবার সামনেই মেহেরের হাত ধরে বলে উঠলো,
-“তুমি আমায় আজ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় খুশি দিলে মেহের।”
।
এরপর দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল পাঁচটি বসন্ত।
এই পাঁচ বছরে অনেককিছুই পাল্টেছে।সেই নরম স্বভাবের মেহের এখন অনেকটাই পাল্টেছে।পুরো বাড়ির দায়িত্ব নিতে শিখেছে।শাহীন আর শেহনাজ পারভীন এখন অনেকটাই চিন্তামুক্ত।
আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মেহের পাশে আরবাজ আর তার ছোট্ট আরবাজ অর্থাৎ মেহেরাজ কে পেলো না।ভীষণ অবাক হলো সে।সকাল সকাল বাপ-বেটা গেল কই?মেহের চুল বাঁধতে বাঁধতে ওয়াশরুমে চলে গেল।ফ্রেশ হয়ে এসে রুমের বাইরে যেতেই দেখলো রান্নাঘর থেকে বেশ আওয়াজ আসছে। মেহের এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলো আরবাজ আর মেহেরাজ কি যেন করছে।দুজনের শরীরে আটা মেখে বিচ্ছিরি অবস্থা! মেহের গিয়ে চোখ বড় বড় করে বলতে লাগলো,
-“কি হচ্ছে টা কি এখানে!”
মেহেরাজ চটজলদি আরবাজের পিছনে লুকিয়ে বলতে লাগলো,
-“বাবা আম্মু এসে গেছে। এখন আমাদের কি হবে।”
আরবাজ চোরের ন্যায় মুখ করে বললো,
-“তুমি এত তাড়াতাড়ি উঠেছ কেন?”
-“তোমরা এত সকালে এখানে কি করছ?আমার সারা মাসের আটা তোমরা একদিনে এরকম নষ্ট করছ কেন?গুড্ডু তুমি তো সকালে উঠো না বাবা।”
-“গুড্ডু কে আমি তুলেছি।তুমি একটু গিয়ে টেবিলে বসো না।আমরা আসছি!”
-“একদমই না।তোমরা আমার রান্নাঘরের বারোটা বাজাচ্ছো! মাআআ!ও মাআআ!”
মেহেরের চেঁচানো শুনে সবাই এসে উপস্থিত হলো।শেহনাজ পারভীন আরবাজ আর মেহেরাজের এই অবস্থা দেখে বলতে লাগলেন,
-“তোরা যে কি করিস!”
আরবাজ বলতে লাগলো,
-“আর আরেকটু বাকি মা।প্লিজ ওকে নিয়ে যাও।”
মেহেরাজও বলতে লাগলো,
-“আম্মুকে নিয়ে যাও দাদু।আম্মু আমাদের সালপাইজ নষ্ট করে দিচ্ছে।”
-“কিসের সাল থুক্কু সারপ্রাইজ?”(ভ্রু কুঁচকে)
আরবাজ মেহেরাজের মুখ চেপে ধরে বললো,
-“না তো কোনো সারপ্রাইজ না।তুমি যাও তো।”
মেহের কিছুতেই যেতে রাজি নয়।শেহনাজ পারভীন আরবাজ আর মেহেরাজের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে মেহেরকে নিয়ে চলে গেল।মেহের টেবিলে বসে বসে বকছে আরবাজকে। শেহনাজ পারভীন বলতে লাগলেন,
-“দেখ, তোর বাবাকে তো ডেকে দিতে বলেছিল সকালে।আমি আসছি এক্ষুনি। তুই ওদের আর বকিস না।”
বলে চলে গেলেন।মেহের নিজে নিজে বকাবকি করছে,
-“নিজে তো একটা বাজে লোক।আমার ছেলেটাকেও এমন বানাচ্ছে।রান্নাঘর টা ভস্ম করে দিলো!”
এমন সময় আরবাজ এসে পিছন থেকে মেহেরের চোখে কাপড় ফেললো।আর মেহেরাজকে ইশারা করলো টেবিলে কেক টা রাখতে।মেহের বলতে লাগলো,
-“আমার চোখ ছাড়ো কিন্তু!গুড্ডু।আমি কি কিন্তু বকবো।”
আরবাজ মেহেরের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,
-“দাঁড়াও একটু সবুর করো।”
কিছুক্ষণ মেহের বকবক করলো।ততক্ষণে আরবাজ আর মেহেরাজ মিলে পুরো টেবিল সাজিয়ে ফেললো।
আরবাজ মেহেরের চোখ খুলতেই মেহের অবাক হয়ে বললো,
-“এসব কি!”
আরবাজ হেসে বললো,
-“হ্যাপি বার্থডে।”
মেহেরাজও মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো,
-“হ্যাপি বার্থডে আম্মু।”
মেহের অবাক তো হলোই সাথে দুজনের বাচ্চামো দেখে খুশিও হলো।আর বলতে লাগলো,
-“এত সকাল সকাল উঠে দুজনে এত কষ্ট করলে।কি দরকার ছিল এসবের?নাস্তাও বানিয়েছ তোমরা।”
-“রোজ তো তুমি বানাও আজ নাহয় আমরা বানালাম।”
মেহেরাজ বাবার সাথে হাই-ফাইভ করলো।তাপর মায়ের গালে চুমু দিয়ে বললো,
-“আই লাভ ইউ আম্মু।”
আরবাজও শয়তানি হেসে মেহেরের আরক পাশের গালে চুমু দিয়ে বললো,
-“আই লাভ ইউ বউ।”
মেহের রাগী চোখে তাকালো আরবাজের দিকে।মেহেরাজ খিলখিল করে হাসতে লাগলো।আরবাজ হেসে বললো,
-“রাগ করো না।”
মেহের রাগটা আর বজায় রাখতে পারলো না আরবাজের মুখ দেখে।মেহেরাজকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।আর আরবাজও মেহেরকে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে।সময়টা এখানেই থেমে যাক।ভালো থাকুক দুজনের সুন্দর পরিবার।ভালো থাকুক প্রতিটা ভালোবাসার জোড়া!আরবাজ মেহেরের #প্রথম_ভালোবাসার_সুর❤️ আর মেহেরও তাই।
তার তাদের প্রথম ভালোবাসার ফল মেহেরাজ।বেঁচে থাকুক প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা!একদম আরবাজ আর মেহেরের ভালোবাসার মত!
————————সমাপ্ত—————-
(ভুলক্রুটি মার্জনীয়!অবশ্যই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।ভুল হলে সুশীল ভাষায় ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো।ধন্যবাদ ❤️)