মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-১৪

0
2787

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ১৪

অভিদ রুহিকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে। গাড়ি চলতে শুরু করে। রুহি কাঁদতে কাঁদতে একসময় অভিদের কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
অভিদ সযত্নে রুহিকে আগলে রাখলো। ইচ্ছে করেই এতোক্ষণ রুহিকে কাঁদতে দিয়েছে। কাঁদলে মন হালকা হবে তাই।

বাড়ির সামনে গাড়ি থামাতেই অভিদ আস্তে করে রুহিকে ডাকলো। কয়েকবার ডাকতেই রুহির ঘুম ভেঙে গেলো। রুহি অভিদের দিকে তাকিয়ে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে
” কি হয়েছে, ডাকছেন কেনো। ”

অভিদ হালকা হেসে বলে
” আমরা এসে পরেছি চলো। নামতে হবে এখন ”
অভিদের কথা রুহির কর্ণপাত হতেই রুহির ঘুমের রেশ কেটে গেলো। রুহি গাড়ি থেকে নামতে নিলেই অভিদ হাত বাড়িয়ে দেয়। রুহি মুচকি হেসে অভিদের হাতে হাত রেখে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে অভিদের পাশে দাঁড়ায়।

রুহি প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিয়ে বাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে। এতোক্ষণের মন খারাপ নিমিষেই কেটে গেলো। আজকে থেকে এই প্যালেসের মতো বাড়ি টা তার। তার হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাও তার ভেবেই মনে মনে প্রশান্তির হাসি দিলো।

অনি, রায়হান, তুষার বাড়ির ভেতরে চলে গেলো।
রুহি এক পা এগিয়ে যেতেই অভিদ রুহিকে কোলে তুলে নেয়। রুহি ভয় পেয়ে অভিদের গলা জড়িয়ে ধরে নেয়। রুহি অবাক হয়ে অভিদের দিকে তাকায়। কিন্তু অভিদ রুহির দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে পা চালায়।
অভিদের কাজে সবাই মুখ টিপে হাসছে।
অভিদ রুহিকে নিয়ে বাড়ির দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। ফুপি আর কয়েকজন মহিলা এসে বরণ টরণ করে রুহিকে ভেতরে আসতে বলে।
অভিদ রুহিকে সোফায় বসিয়ে দেয়।

রুহিকে বাসর ঘরে বসিয়ে রেখে সবাই রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। বেড়িয়ে গেলো বলতে সবাই রুমের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কথা অনুযায়ী তারা এখন অভিদের কাছ থেকে টাকা নেবে।

রুহি বিছানায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে আছে। অনেক নার্ভাস লাগছে সাথে সারাদিনের ক্লান্তি এসে হানা দিয়েছে শরীরে। ফ্রেশ হয়ে আসলে ভালো হতো তবে অভিদ এসে পরতে পারে ভেবে যাচ্ছে না। বাইরের চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে বুঝতে পারলো অভিদ এসেছে তাই ওদের কথা শোনার জন্য নিজের ক্লান্তিভাবটাকে দমিয়ে রাখলো।

অভিদ আসতেই সবাই ওকে চেপে ধরেছে। টাকার জন্য দাবি হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু অভিদ দেবে না বলে দাড়িয়ে আছে।
অনি করুন মুখ করে বলে
” ভাইয়া টাকা দাও। ”

রায়হান অনির মাথায় গাট্টা মেরে বলে
” গাধী এভাবে বললে জীবনেও দেবে না টাকা। ”
অনি বিরক্ত নিয়ে বলে
” তো আর কিভাবে বলবো। আমি পারি না তোমরা করো। ”

রায়হান অভিদের দিকে তাকিয়ে ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে
” ওই টাকা দে। আমাদের টাকা না ফাইল আজকে ভেতরে যেতে দেবো না। ”

অভিদ গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলে
” কানে কথা ঢোকে নি ?? বলেছি না যে দেবো না”

তুষার রুমের দরজায় হেলান দিয়ে হালকা রাগ দেখিয়ে বলে
” দিতেই হবে। বিয়ে বাড়িতে তো এক কথায় দিয়ে দিয়েছিস। আর এখন আমরা বলছি তখন দিচ্ছিস না। এটা ঘোর অন্যায়। আজকে টাকা না পেলে তোকে ঢুকতে দেবো না। ”

অভিদ পকেট থেকে টাকা বের করে ওদের হাতে দিতে দিতে বলে
” বিয়ে করেছি নাকি টাকা বিতরণ করছি সেটাই বুঝতে পারছি না। সর সামনে থেকে। ” বলে ঝাড়া দিয়ে ওদের সরিয়ে দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। রায়হানরা সবাই টাকা নিয়ে নাচতে নাচতে নিচে চলে গেলো।

অভিদকে রুমে দেখে রুহি খাট থেকে নেমে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, সালাম করতে গেলেই অভিদ রুহিকে শান্ত গলায় বলে
” সালাম করতে হবে না। ”

রুহি আমতা আমতা করে বলে
” কিন্তু…. ”
অভিদ রুহিকে বলতে না দিয়ে গম্ভীর গলায় বলে
” আমি যা বলেছি তা শোনো। যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।” রুহি মাথা নেড়ে লাগেজ থেকে একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়।

কিছুক্ষণ পরে শাওয়ার নিয়ে বের হয় রুহি। রুমে ফাকা দেখে উকি ঝুঁকি মেরে দেখে অভিদ কোথায় আছে। বাড়িতে লাইট দিয়ে সাজানো থাকায় বারান্দা থেকে হালকা আলো আসছে। হালকা আলোতে দেখতে পায় অভিদ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। রুহি একটু এগিয়ে গিয়ে বারান্দার থাই গ্লাসের দরজায় টোকা দেয়।

শব্দ পেয়ে অভি পেছনে ঘুরে তাকায়। রুহি মাথা নিচু করে আড়চোখে অভিদের দিকে তাকিয়ে বলে
” আপনিও ফ্রেশ হয়ে আসুন।” অভিদ বারান্দা থেকে বেরিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে যায়।
রুহি গিয়ে খাটে বসে থাকে। কিছু করার নেই তাই মোবাইল বের করে মাকে ফোন দিয়ে কথা বলতে থাকে।

রুহি মার সাথে কথা শেষ করে দেখে অভিদ এসে পরেছে। অভিদ এসে রুহির সামনে দাঁড়ায় রুহি ঘনঘন পাপড়ি ফেলে অভিদের দিকে তাকায়। অভিদ ভ্রু কুচকে বললো
“খেয়েছো কিছু ?? ”

রুহি উপর নিচে মাথা নাড়িয়ে বলে
” হ্যা। ফুপি খাইয়ে দিয়েছে। ” অভিদ রুহির দুই বাহু ধরে গোল বেডে বসিয়ে দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের কাছে গিয়ে ড্রেসিংটেবিল এর একটা ড্রয়ার খুলে সেখান থেকে একটা বক্স বের করে রুহির কাছে এসে বসে।

অভিদ বক্সের ভেতর থেকে মলম টাইপের কিছু একটা বের করলো। কিন্তু এটা কিসের জন্য সেটা বুঝলো না। জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে অভিদের দিকে তাকিয়ে বলে
” এটা কি ”

অভিদ মলম হাতে নিয়ে বলে
” এই ointment তোমার গালে দিলে তোমাদের গালের মারের দাগ গুলো একদিনেই চলে যাবে ”

রুহি অবাক হয়ে বলে
” এরকম কোনো মলম আছে ??? কই আমি তো জানতাম না ”

অভিদ হালকা হেসে বলে
” এটা abroad products. দুদিন আগে অর্ডার করেছিলাম আজকে এসেছে। তোমার গালের দাগ আর ব্যাথা চলে যাবে। তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি।” বলে রুহির দিকে আরেকটু এগিয়ে যেতে নিলেই রুহি বলে উঠে
” আমি নিজেই লাগিয়ে নিতে পারবো। আমাকে দিন ”

অভিদ রাগি চোখে রুহির দিকে তাকায়। রুহি ভয় পেয়ে ঢোক গিলে নিজেই অভিদের দিকে এগিসে এসে মাথা নিচু করে বসে, অভিদ তার হাতে থাকা মলম রুহির গালে লাগিয়ে দিতে থাকে।
অভিদের হাতের স্পর্শ পেয়ে রুহির শরীর কেপে উঠে চোখ বন্ধ করে ফেলে।

অভিদ মলম লাগানো শেষ করে সেটা আগের জায়গায় রেখে দেয়। খাটের অন্যপাশে এসে বসে টেবিলের উপর থেকে ল্যাপটপ হাতে নিয়ে রুহিকে বলে
” ঘুমিয়ে পরো কালকে রিসিপশন রয়েছে। আজকে রেস্ট না করলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে। ” রুহি মাথা নেড়ে অভিদকে বলে
” আপনি ঘুমাবেন না ??” অভিদ ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে বলে
” ঘুমাবো একটু পরে তুমি চুপচাপ ঘুমাও”

রুহি ব্ল্যাংকেট টেনে উল্টো ঘুরে শুয়ে পরে। ক্লান্ত থাকায় কিছুক্ষণের মাঝে ঘুমিয়ে পরে। অভি রাত ২ টা পর্যন্ত কাজ করে ল্যাপটপ বন্ধ করে টেবিলের উপর রেখে রুহির পাশে ঘুমিয়ে পরে।

সকালে অভিদ ঘুম থেকে উঠে বসে হাই দিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখে রুহি এখনও ঘুমিয়ে আছে। অভিদ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৯টা বাজে। অভিদ বিছানা থেকে নেমে ওয়াসরুমে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পরে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রুহি এখনও ঘুমাচ্ছে।
অভিদ টাওয়াল রেখে রুহির কাছে এগিয়ে যায়, ধীরে ধীরে বলে
” রুহি, রুহি উঠো সকাল হয়ে গিয়েছে। রুহি !!! এই রুহি ”

রুহিকে উঠতে না দেখে অভিদ রুহির উপর থেকে ব্ল্যাংকেট সরিয়ে হালকা জোড়ে বলে
” রুহি সকাল হয়ে গিয়েছে উঠো।”

রুহি চোখ মুখ খিচে বিরবির করে বলে
” আম্মু আরেকটু ঘুমাই প্লিজ ” অভিদ হাত দিয়ে নিজের কপালে বারি দিয়ে বিরক্ত হয়ে বলে
” কি কপাল আমার, আমার বউ আমাকেই আম্মু বলছে উফফ ”

অভিদ বুঝলে যে এতো সুন্দর করে ডাকলে উঠবে না তাই অভিদ রাগি গলায় হালকা চেচিয়ে বলে
” রুহি !!! আর কতো ঘুমাবে ” চিৎকার শুনে রুহি ধরফরিয়ে উঠে বসে। রুহি সামনে তাকিয়ে দেখে অভিদ রাগি চেহারা করে দাড়িয়ে আছে। রুহি ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে বলে
” কি হয়েছে ?? চিৎকার করলেন কেনো। ”

অভিদ রেগে বলে
” তো আর কি করবো ?? কতক্ষণ ধরে সুন্দর করে ডাকছি শুনতেই পাচ্ছো না। উল্টে আমাকে আম্মু বলছে। যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। ” ধমক দিয়ে বলায় রুহি মুখ ফুলিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়।

ফ্রেশ হয়ে আসে দেখে রুমে অভিদ সোফায় বসে ফোনে কথা বলেছে কারো সাথে। রুহি খেয়াল করলো রুমের জানলা আর বারান্দার দরজা দিয়ে সূর্যের আলো পরছে। রুহি রেগে গিয়ে রুমের জানলার আর বারান্দার থাই গ্লাস ঠাস ঠাস করে লাগিয়ে পর্দা টেনে দিলো।

ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো দুই গালের দাগ গুলো নেই। রুহি খুশি হয়ে পেছনে অভিদের দিকে তাকিয়ে দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো। কারণ অভিদ রুহির দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। অভিদের চোখে রাগ + অবাক প্রকাশ পাচ্ছে। রুহি ভয়ে ভয়ে বললো
” কি হয়েছে আপনি এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেনো ”

অভিদ এগিয়ে এসে ভ্রু কুচকে ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো
” আগে তুমি বলো তুমি এমন ভাবে জানলা আর বারান্দায় গ্লাস বন্ধ করলে কেনো। ”

রুহি মাথা চুলকে বলে
” আসলে আমার রোদ পছন্দ নয় তাই আলো দেখে রাগ উঠে গিয়েছিলো ”
অভিদ ক্ষিণ স্বরে বলে
” ঠিকাছে চলো ব্রেকফাস্ট করবে। ”

রুহি মাথা মেড়ে বলে
” ঠিকাছে, আপনি জান আমি আমার চুলটা বেধে আসছি। ” অভিদ কিছু না বলে বসে থাকে। রুহি বুঝতে পারলো অভিদ তাকে ছাড়া যাবেনা। তাই রুহি কিছু না বলে চুল বেধে অভিদের সাথে নিচে চলে গেলো।

নিচে গিয়ে দেখলো সবাই বসে বসে গল্প করছে। রুহির আজকে প্রথম দিন ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হলো বলে নিজের উপরেই বিরক্ত হলো। রুহি ফুপির কাছে যেতে নিলেই অভিদ গম্ভীর ভাবে বলে
” চুপচাপ খেয়ে নাও তারপর অন্যকিছু করবে ”
রুহি মুখ ফুলিয়ে খেতে বসে পরলো।

ফুপি এসে অভিদকে বলে
” অভিদ আজকে রিসিপশন শেষে রুহিকে নিয়ে তার বাড়িতে যেতে হবে। ”

অভিদ খেতে খেতে বলে
” ঠিকাছে যাবো। ” ফুপি ‘ওকে’ বলে রুহিকে খাইয়ে দিতে থাকে। রুহি খেতে খেতে বলে
” ফুপি আপনি, আংকেল, অনি, ভাইয়ারা খেয়েছেন ”

ফুপি হেসে বলে
” হ্যা সবাই খাওয়া শেষ। তোমরাই বাকি ছিলে। অনিরা সবাই রিসিপশনের জন্য কিছু কাজ করছে। তুমি খেয়ে গিয়ে রুমে বসো পার্লার থেকে মেয়ে এসে তোমাকে সাজিয়ে দেবে। ” রুহি মাথা নেড়ে খেতে থাকে।
রুহি, অভিদ খাওয়া শেষ করে রুমে চলে গেলো। কয়েকঘন্টা পরে পার্লার থেকে কয়েকজন মেয়ে এসে রুহি, অনিকে সাজিয়ে দেয়।
দুপুরের রিসিপশনের পার্টিতে রুহির মা,বাবা,বোন, চাচা, চাচি সবাই আসে। রুহি ওদের দেখে কান্না করে দেয়। রুহির কান্না থামাতে পারছে না কেউ।

তাই অভিদ এসে রুহির আব্বুর দিকে তাকিয়ে বলে
” আব্বু আপনার মেয়েটা এতো কাদে কিভাবে ?? ছিদকাদুনি মেয়ে। ” অভিদের কথায় সাথে সাথে রুহির কান্না থেমে যায়। রুহি মুখ ফুলিয়ে অভিদের দিকে তাকাতেই সবাই হেসে দেয়। রাইমা হেসে বলে
” বাহ আপু তুই হলি ছিদকাদুনি আর ভাইয়া হলো তোর কান্না বন্ধ করার ঔষধ ” রুহি ভেংচি মেরে অনির কাছে চলে যায়। রাইমা, মিশু, নিলা সবাই অভিদের সাথে কথা বলতে থাকে।

বিকেলে রিসেপশন শেষে অভিদ আর রুহি, অনি, তুষার, রায়হান রুহিদের বাড়িতে চলে আসে। সবাই ক্লান্ত থাকায় সবাই শুধু রেস্ট নেয়।

পরের দুদিন সবাই অভিদ রুহিকে নিয়ে ঘোরা ঘুরি, খেলা ধুলা, আনন্দ করে কাটিয়ে দিলো।
রুহির মা – বাবা, সবাই অভিদকে জামাই আদর করতে করতে শেষ। অভিদ এতো খাবার দাবার খেয়ে ক্লান্ত হয়ে যায়। রুহির মা – বাবাকে বললে তারা আরও বেশি করে খাওয়ায়। রুহিরা সবাই হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যায় অভিদের বিরক্ত হওয়া নিয়ে। এই দুদিনে অভিদ সবার সাথে মিলে মিশে,আনন্দে কাটিয়েছে। আর বাড়ির সবাই অভিদের সম্পর্কে অবগত থাকলে দুদিনে কেউ বুঝতেই পারেনি অভিদ এতো রাগি, গম্ভীর।

বিকেলে রুহি, অভিদ, অনি, রায়হান, তুষার বাড়িতে রওনা দেয়। রুহি আসার সময় অনেক কান্না করেছে এখন গাড়িতে মন খারাপ করে বসে আছে।

চলবে… wait for next part….

বানানে ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।