শহর জুড়ে আলোর মেলা পর্ব-১১

0
354

#শহর_জুড়ে_আলোর_মেলা
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:১১

বতর্মান বাংলাদেশে সরকারি চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার সমান। ইকবাল মাহমুদ কথা দিয়েছিলেন ফায়জুর একটা ব্যবস্থা করে দিবেন। উনার এক পরিচিত বড় ভাইয়ের সাহায্যে দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ফায়জুর চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।যেটা লতিফ সাহেব খুব ভালো করে জানতেন। ফায়জু যে জানে না তেমন না। বাকীদের কাছে সেটা কাকতলীয়। লতিফ সাহেব মা*রা যাওয়ার পূর্বে ছেলে মেয়েদের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। হয়তো অন্যের সাহায্যে তবুও একটা হিল্লা হয়েছে। শশুর বাড়ির সম্পত্তির এক অংশ উনার স্ত্রীর পাওনা ছিল সেটা কোনো পরিস্থিতিতে উনি বিক্রি করতে মতামত দেননি। আজ উনি নেই, সেই সম্পত্তির জন্য হোক বা সম্পর্কের খাতিরে হোক বীণা বাবার বাড়িতে অবহেলিত হয়নি বরং ভাইয়েরা বেশ সমাদর করে রেখেছে। ফায়জু মনোযোগ দিয়ে ট্রেনিং করছে। প্রতিজ্ঞা করেছে যেখানে পোস্টিং হবে মাকে সঙ্গে নিয়ে যাবে। বোন আর বোনের মেয়ের জন্য কিছু করবে। বিপদের দিনে পরিবার ছাড়া কেউ পাশে থাকে না। বাবা মা সন্তানের জন্য যতটা ভাবে আর কেউ অতটা ভাবেনা। বোনের শশুরের থেকে নেওয়া টাকা হিসেব করে একদিন ফিরিয়ে দিবে কিন্তু তবুও ঋণ একটা থেকে যায়। সব ঋণ পরিশোধ করা যায়না। ওর জীবনের মোড় পরিবর্তন করতে বোনের ভূমিকা অপরিসীম যা বর্ণনা করা কঠিন। যখন বেকার ছিল কতজন কতকিছু বলে উপহাস করেছে অথচ আজ তারা যেচে পড়ে ফোন করে খোঁজখবর নিচ্ছে। ফায়জু কাউকে আর গুরুত্ব দেয়না। বোন আর মায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। মনে হচ্ছে এতোদিন কেনো এই অনুভূতিটা অনুভব হলো না? আলো স্থানিয় সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে। শ্রাবণের সঙ্গে সেদিনের পর থেকে ওর দূরুত্বটা আরও কিছুটা বেড়েছে। আলো ওকে ইগনোর করে চলছে। বারবার ক্ষমা চেয়ে নিজেকে ছোট করার মানে হয়না। তাছাড়া আলো এমন কিছু করেনি যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভর্তির ঝামেলা সবটা শশুর নয়তো আলোকের সাহায্যে সম্পূর্ণ করেছে। শ্রাবণ সবটা জানে তবুও নির্বাক। আলোক শ্রাবণের চাচাতো ভাই। আলোর সিনিয়র,রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি ওদের ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করে। ছেলেটা মার্জিত আর ভদ্র কিন্তু লিজা সম্পূর্ণ বিপরীত। সকলের আদরে বাদর হওয়ার জোগাড়। বিস্তার বন্ধু আছে তার। আলোর সেম ব্যাচ হলেও ভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছে। কলেজে যাওয়ার সময় সে আগে আগেই চলে যায়। আলোকে একা ছাড়া হয়না। যার যখন সুযোগ থাকে সে তখন ওকে নিয়ে যায়। একান্তই না থাকলে লিমা বেগম সঙ্গে জান। ভয় থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া। লিজা এই নিয়ে মজা করতে ছাড়েনি। আলো ইগনোর করে। ওর জানা আছে বোনের সঙ্গে ঝামেলা করলে শ্রাবণ ওকে ছেড়ে কথা বলবে না। দোষগুণ হিসেব করবে না। যদিও একান্ত ওর ভাবনা বাকীটা জানা নেই।

আলো কলেজ গেটে নেমে হাত ঘড়িটা দেখে নিলো। কয়েকজন বন্ধু ইতিমধ্যে জুটিয়ে ফেলেছে। দুজন আগেকার বন্ধু ওর ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছে। এটা অতিরিক্ত পাওয়া ছিল। আলো শহীদ মিনারের কাছাকাছি এসে থমকে গেলো। প্রিয় বান্ধবী লুবনা কান্নাকাটি করছে। আলো এগিয়ে গিয়ে ওর মাথায় হাত রাখলো। কাছে আরও চারজন উপস্থিত। আলো ওদের দিকে চেয়ে বলল,

> ও কাঁদছে কেনো? তোরা কিছু বলেছিস?

আলো কৌতূহলী হলো,মেয়েটা এভাবে কেনো কাঁদছে?। পাশ থেকে ইরিনা চাপা কণ্ঠে বলল,

> কুদরত স্যার ওকে বাজে কথা বলেছে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের রেজাল্ট তৈরীসহ সমস্ত কম্পিউটারের কাজকর্ম উনি করেন। তাছাড়া ভাইভা মার্ক আর স্যারেদের হাতে থাকা বিশ মার্কের রেজাল্ট উনি বোর্ডে পাঠিয়ে থাকেন। উনি চাইলে ফুল মার্ক দিতে পারেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উনি মেয়েদের সঙ্গে নোংরামি করেন। প্রতিদিন সকাল বিকালে একাধিক ব্যাচের প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন। সিনিয়রদের থেকে শুনেছি উনার যথেষ্ট দাপট আছে এখানে। আমাদের কলেজের ভিপির আপন চাচা। প্রিন্সিপালের আত্মীয়। এখানে গত চারবছর আগে বদলি হয়ে এসেছেন অথচ যাওয়ার নাম নেই।

আলো হতভম্ভ হলো। একজন শিক্ষিত মানুষের এ কেমন আচরণ? মেজাজ চরম খারাপ হচ্ছে। পাশ থেকে সিয়াম ধমক দিয়ে বলল,

> চুপ করবি? শোন এসব মানুষের কানে পৌঁছালে লুবনার বদনাম হবে। উনি শিক্ষক মানুষ আমাদের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। বলবে আমরা মিথ্যা বলছি। চেপে যা। চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আলো প্রতিবাদ করলো,

> কিসের চুপ করবে? এর প্রতিকার হওয়া উচিত। লুবনা কুদরত স্যারের কাছে পড়বে। আর ও একা না আমরা সকলে পড়বো। রবিন প্লান তৈরী কর। প্লান এ কাজ না করলে বি ঠিকই করবে। আগামী এক মাসের মধ্যে কুদরত স্যারের পদত্যাগ নয়তো বদলি নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো চার বছর আমাদের জীবন তেজপাতা করে তুলবে। কিভাবে রাস্তার কাটা তুলতে হয় খুব ভালো করে জানা আছে।

আলোর ওষ্ঠে হাসি খেলা করছে। নতুন খেলনা পেয়ে যেমন বাচ্চাদের ভীষণ মজা লাগে আনন্দ হয় ওর অবস্থা তেমনই। লুবনা কান্না থামিয়ে বলল,

> তুই আবারও ঝামেলায় জড়াবি?

আলো দীর্ঘশ্বাস ফেলে লুবনার হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে ভরসা দিয়ে বলল,

> আমরা কেনো পালিয়ে যাবো ? উনি শিক্ষক মানুষ হয়ে আমাদের সঙ্গে এমন বাজে ব্যবহার করতে পারেন আমরা প্রতিবাদ করতে পারবো না? আর আমি যেভাবে বলবো আশাকরি কোনো ঝামেলা হবে না। বিকাল চারটার সময় আমরা উনার কাছে পড়তে যাচ্ছি। বাকীটা সময় নিয়ে বুঝিয়ে দিব।

আলো সবাইকে বুঝিয়ে দিলো। কুদরত স্যারকে ট্যাপে ফেলার চক্করে ক্লাস করা হলোনা। বাড়িতে ফিরতে হলো। প্রাইভেট পড়তে চাইছে বিষয়টা বাড়িতে বলতে দেরী হলো কিন্তু অনুমতি দিতে দেরী হলো না। এখানে ওর বিস্তার স্বাধীনতা আছে। ইশা এতোদিনে ওর শাশুড়ি মায়ের চরম ভক্ত। রাতেও এখন আর আলোর কাছে থাকে না।

পড়ন্ত বিকেল সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢুলু করছে। শীতের শুরু। আলো লুবনার সঙ্গে কুদরত স্যারের কোচিং সেন্টারে এসে হাজির হলো। বাকীরা আগে থেকে উপস্থিত। আলো চোখে গাঢ় কাজল পরেছে। দেখতে বেশ সুন্দরী হওয়ার দরুন আহামরি সাজতে হয়নি। মুখে নেকাব থাকলেও আকর্ষণীয় লাগছে। চোখে পড়ার মতো। মাঝেমাঝে খিলখিল আওয়াজ করে হেসে উঠে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। কুদরত সাহেবের চোখ ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। আজ যেনো সুন্দরীদের হাঁট বসেছে। অনবরত কথা বলে চলেছেন। আলোর সঙ্গে নরমাল আলাপ করলেন। আলো ইচ্ছা করে এটা ওটা জিঞ্জাসা করছে। প্রথম দিন হিসেবে তেমন কিছু নজরে পড়লোনা। আলো আশা ছাড়লোনা। প্রতিদিন এভাবে আসার যাওয়া চলতে থাকলো। দশ দিনের মাথায় হঠাৎ উনি আলোকে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে পাঠালেন। আলো জানতো এমন হবে। আজ অথবা আগামীকাল। আলো ক্যামেরাটা হিজাবের কাটার সঙ্গে জুড়ে নিয়ে অফিস কক্ষে গিয়ে হাজির হলো। গালা ঝেড়ে খানিকটা উঁচু কণ্ঠে বলল,

> আসবো স্যার?

ভদ্রলোক আনন্দিত হলেন। মাথা দুলিয়ে বললেন,

> আসো তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি।

আলো ভেতরে গিয়ে লোকটার সামনে মাথা নিচু করে বসলো। ফোন কল চলছে সঙ্গে রেকর্ডিং হচ্ছে। কোচিং সেন্টারের নিচে বাকীরা অপেক্ষা করছে। ওরা উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছে। নির্জনতা কাটিয়ে লোকটা বলে উঠলো,

> আলো তুমি ভীষণ সুন্দর দেখতে । আমি তোমার মুখ না দেখেও অনুমান করতে পারি। তোমার ফোন নাম্বারটা দিবে কথাবার্তা বলতাম? তোমার ম্যামের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক নেই। একাকী লাগে। তোমার মতো সুন্দরী জীবন সঙ্গী পেলে জীবনে আর কিছু চাওয়ার থাকতোনা। আলো শুনো না একটা প্রস্তাব ছিল তোমার জন্য। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয় জানোতো? আমি তোমাকে ফুল মার্ক পাইয়ে দিবো বিনিময়ে যদি তুমি আমার একাকিত্বের সঙ্গী হও। প্লিজ না করোনা। আগামীকাল আসো আমার ফ্লাটে। তোমার ম্যাম বাড়িতে নেই। আমি তোমাকে চমৎকার রেসিপি তৈরী করে খাওয়াবো। কিছু শপিং করেছি তোমার জন্য। আসবে না বলো?

আলো ওষ্ঠ কামড়ে হাসলো। পাখি ফাঁদে পা দিয়েছে। কথাটা ভেবে মাথা নাড়ালো। রেকর্ডিং হচ্ছে নিজের বেফাঁস কথা বলে আর ঝামেলা করবে না। তাই ইশারায় যা বলার ছিল বুঝিয়ে দিয়ে বলল,

> স্যার আসছি আমি।

কুদরত সাহেব খুশি হলেন। মেয়েটাকে পাওয়া ভেবেছিলেন বেশ কঠিন হবে কিন্তু তেমন কিছুই হলোনা। আলো সহজে মানবে ভাবনার বাইরে ছিল। আলো গটগট করে নিচে নেমে আনন্দে সবাইকে জড়িয়ে ধরলো। ভয় হচ্ছে না এমন না। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী বলে একটা প্রবাদ আছে। বাকীরা বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করবে। খারাপ কিছু দেখলে আলো চিৎকার করবে তখনই সকলে গিয়ে হাজির হবে। এতে বদনাম হতে পারে কিন্তু কিছু করার নেই। একটা রিস্ক নেওয়া বড্ড প্রয়োজন। এভাবে কতকাল মেয়েরা চুপ করে থাকবে। অনেক সময় আমাদের কাছের অতি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তির নিকট থেকে কুপ্রস্তাব আসে। যা শুনে আমরা দুমড়ে মুচড়ে ডিপ্রেশনে চলে যায়। প্রতিবাদ করতে পারিনা। এভাবে চলতে দেওয়ার মানে হয়না।
****
শনিবার সরকারি ছুটির দিন। আলো বাসা থেকে বাইরে বের হতেই সিয়াম ওকে বাইকে তুলে নিলো। দোতলা হতে একজনের তীক্ষ্ণ নজর ওদেরকে পর্যবেক্ষণ করে নিলো। নির্ধারিত জায়গায় এসে ওরা হাজির হলো। অজানা আতঙ্কে সকলে উত্তেজিত। ক্যামেরা ফোন সবটা ঠিকঠাক করে আলো চুপচাপ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো। বিশাল বড় এরিয়া। পাশে ছোট একটা ফুলের বাগান। আলো মেইন দরজায় গিয়ে নক করলো। কয়েক সেকেন্ড পর দরজা খুঁলে গেলো। আলোর মুখটা চুপসে আছে। ভয় লাগছে প্রচুর। মনে হলো একবার শ্রাবণকে জানানো উচিত ছিল। কি করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ চমৎকার বুদ্ধি খেলে গেলো মাথায়। কিছু একটা ভেবে খটখট করে কিছু কয়েকটা শব্দ টাইপ করে টেক্সট পাঠিয়ে দিলো সঠিক মানুষটার ফোনে। তারপর শান্ত মনে সোফায় গিয়ে বসলো। কুদরত সাহেব নুডলস নিয়ে হাজির হলেন। নরমাল কথাবার্তা দিয়ে শুরু করলেন। শেষ করলেন অশালীন কিছু ঈঙ্গিত দিয়ে। আলো ঠোঁট কামড়ে বলল,

>স্যার আমি আপনার মেয়ের বয়সী। মেয়ের সঙ্গে এহেন আচরণ আপনি কিভাবে করতে পারেন? এমন করবেন না। এটা ঠিক না।

লোকটা প্রতিবাদ করলো,

> কিসের ঠিক না? শুনো আজেবাজে কথা বলে এখন আমার থেকে পার পাবে না। আমার কথা না শুনলে তোমরা ক্ষতি করতে আমি দু’বার ভাববো না।
আলোর ফোন বাজছে। টেক্সট করে যে ফোন করবে সেটা ভুলে গিয়েছিল এখন রাগ হচ্ছে। আলো সাবধানে ফোন রিসিভ করলো তবে কে ফোন করেছে সেটা ওর অজানা।
এর মধ্যে কুদরত সাহেব বেপরোয়া হয়ে উঠলেন। আলো নেকাবে খুঁলতে না পেরে জোর একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন।। মেয়েটা ছিটকে পড়লো দূরে। ব্যাগ পড়ে আছে সোফার উপরে। লোকটা ওর হাত ধরে টানাটানি শুরু করলেন। এমন সময় দুমদাম আওয়াজ করে দরজায় লাথি পড়লো। কুদরত সাহের দিশেহারা অবস্থা। কি করবেন মাথায় আসছে না। তাড়াতাড়ি করে কিচেনের দিকে ছুটলেন। হাতের কাছে ছু*রি পেয়ে ওটাই তুলে আনলেন ততক্ষনে দরজার ছিটকিনি ভেঙে দরজা খুঁলে গেলো। শ্রাবণ হুড়মুড় করে ভেতরে প্রবেশ করলো। ছু*রি টুরি দেখলোনা। দুম করে লোকটার পেট বরাবর লা*থি বসিয়ে দিলো। ছুরির কোনা ওর হাতে লেগেছে তবে অতটা কাঁ*টেনি। শ্রাবণ বেপরোয়াভাবে দুমদাম লা*থি চ*ড় থা*প্পড় লাগিয়ে ক্ষান্ত হলোনা। বরং পাশে ঝাড়ু পড়ে ছিল ওটা উঠিয়ে নিলো। উল্টোপিট দিয়ে বেদম পি*টিয়ে মাটির সঙ্গে লটকিয়ে হুঙ্কার ছাড়লো,

> জন্মের মতো লু*চ্চা*মির স্বাদ আমি তোর মিটিয়ে দিবো। অপেক্ষা কর কি হাল করি তোর। রাহিন একে হাসপাতালে নিয়ে যাবি। ওর অপারেশন হবে। ডাক্তার আমার চেনাশোনা আছে। জাত লু*চ্চা ঠিক হয়না। ওদের শিক্ষা দিতে হয় ভিন্ন কায়দায়।

শ্রাবণ পুণরায় আরেকটা লা*থি দিয়ে আলোর দিকে চাইলো। রাহিন ওকে সামলানোর চেষ্টা করছে। আলোর বন্ধুরা সকলে চলে এসেছে। শ্রাবণ কপালের চুলে হাত বুলিয়ে কিছু একটা ভেবে আলোকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে চললো
আলো ভয়ে চুপসে আছে। শ্রাবণ ওকে গাড়ির মধ্যে একপ্রকার ছুড়ে দিয়ে পাশে বসে পড়লো। এলোমেলো ড্রাইভ করে নিজের অফিসে এসে হাজির হলো। নিচের দিকটা নির্জন লোকজন থাকেনা। শ্রাবণ ওকে টানতে টানতে সোফায় বসিয়ে দিয়ে নেকাব খুলে নিলো। মেয়েটার কপাল কে*টে গেছে। গালে থা*প্প*ড়ের চিহ্ন। আলো ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। যতটা সাহস নিয়ে এগিয়েছিলো শ্রাবণের উপস্থিতিতে তার তীল পরিমাণ অবশিষ্ট নেই। কি হবে এখন? কপালে শনি নাচছে। শ্রাবণ কি আবারও রেগে যাবে? নাকি ওকে ভুল ভুঝবে?

চলবে