শান্তি সমাবেশ পর্ব-১৬

0
799

#শান্তি_সমাবেশ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ১৬

ভারি বর্ষণে মুখটিত চারপাশ। এদিকে শারদীয় উৎসবে মেতে উঠেছে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা। সরকারি ছুটি আগামী কাল থেকেই। যারা গ্রামের থেকে এসেছে সকলেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছে নীরে ফিরার। ভার্সিটি বন্ধ হবে আগামী কাল। মৃত্তিকা আসত না কিন্তু শেষ দিনে এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে বলেই আসতে হচ্ছে। এখন আর কারো জন্য অপেক্ষা করা লাগে না ওর৷ মনকে যথেষ্ট ঠান্ডা করার চেষ্টায় আছে মৃত্তিকা। কিন্তু দমানোটা সহজ হচ্ছে না। একটা মেয়ে হয়ে আর কত উপেক্ষা সহ্য করা যায়? পূর্ণ’র চড়া চড়া কথা, শাসন, ধমক কোনকিছুই মৃত্তিকা’কে তার থেকে দূর করতে সক্ষম হয় নি বরং তার লোকটার তেঁজী আচরণে কেন জানি মৃত্তিকা নিজের সর্বোচ্চ দিতে চেয়েছিলো। না বলেও ভালোবাসায় ডুবিয়েছিলো পূর্ণ তাকে। যখন মৃত্তিকা সম্পূর্ণ ডুবলো ঠিক তখনই পূর্ণ হাতটা ছেড়ে দিলো। সমুদ্র পর্যন্ত নিয়ে ভালেবাসা দেখিয়ে মাঝ সমুদ্রে সাঁতার না জানা মৃত্তিকা’কে ছেড়ে দিলো। কুলহারা মৃত্তিকা সেই থেকে ভেসেই গেলো। প্রথম প্রেম। প্রথম অনুভূতি। প্রথম তার ভালোবাসা। মর্যাদা রইলো কই এই প্রথম হওয়ার? পূর্ণ দিলো কি তার ভালোবাসা’কে সম্মান?
মৃত্তিকা’র এখন মনে হয় পূর্ণ তাকে নিয়ে টাইম পাস করেছে। এটাই হবে নাহলে কেন অতি সুন্দর, লম্বা চওড়া কাধ বিশিষ্ট, যোগ্য পুরুষটা তার মতো শ্যামকণ্যার প্রেমে পড়বে? মৃত্তিকা কি তাহলে এতটাই বোঁকা? প্রেম আর ছলনার পার্থক্যটাই আজ পর্যন্ত করতে পারলো না?

পাশ থেকে উজ্জ্বলের ডাকে ধ্বংস হলো মৃত্তিকা’র সকল অযাচিত চিন্তা। চায়ের কাপ তিনটা হিমু রাখতেই মৃত্তিকা একটা তুলে নিলো। উজ্জ্বল আর হিমু ও চুমুক বসালো। উজ্জ্বল সরস গলায় বলে উঠলো,

— টাকা ফেরত দিয়েছিস?

— হ্যাঁ।

মুখটা একদম ছোট করে উত্তর দিলো হিমু৷ গত রাতেই সেই তিন হাজার টাকা রুপা’কে ফেরত দিয়ে এসেছে ও৷ হিমু অতটাও বোকা না কিছুটা আন্দাজ করেছিলো সেগুলো কোন সৎ পথের টাকা না। মনের মধ্যে হাজার দেনামোনা পার করে যখন উজ্জ্বল’কে জানালো তখনই উজ্জ্বল বেশ চটে যায়। হিমুর সাথে থাকে আবার এক থার্ড ইয়ারের বড় ভাই। উজ্জ্বল রাতেই হোস্টেলে এসে কৌশলে এক প্যাকেট সিগারেট খায়িয়ে কথায় কথায় ঐ বড় ভাই থেকে জানতে পারে, ঐগুলো সব বেআইনি টাকা। ভার্সিটির কিছু পোলাপান বিভিন্ন বাজার থেকে টাকা তুলে জায়গা ভারা হিসেবে অথচ রাস্তা সরকারের। ফুটপাতে থাকা দোকানগুলো থেকে চাঁদা আদায় করে তারা। পুলিশ আইনি অভিজান চালিয়ে সেই সব দোকান ভাঙতে বা ভ্যান তুলতে আসলে তখন সেই সিন্ডিকেট থেকে দুইএক জন তাদের পকেটে মোড়ানো টাকা ভরে দিলেই মামলা শেষ। সরকারের রাস্তা ভারা দিয়ে টাকা আদায় করে তারা। এরা কোন দলের তা জানা যায় নি। সেই থেকে হিমু ভয় পেয়ে আছে। ছেলেটা যথেষ্ট সাদাসিধা আর তার দ্বারাই কি না এমন একটা কাজ হলো?
মৃত্তিকা’র সামনেই ওরা কথা বলাতে মৃত্তিকা কৌতুহলি হলো। না জানা বিষয়টা জানতে ইচ্ছে হলো। ওদের জিজ্ঞেস করতেই ওরা একে অপরের মুখ চাওড়া চাওড়ি করলো। চোখে চোখে কিছু যেন কথাও বললো। মৃত্তিকা সেটা লক্ষ্য করে রাগ করে বললো,

— চলে যাব আমি?

হিমু তারাহুরো করে বললো,

— এই বৃষ্টিতে কই যাস? চুপ করে বস।

মৃত্তিকা বসতেই হিমু আমতা আমতা করে সব খুলে বললো। বিষ্ময়ে কিংকর্তব্য বিমূঢ় মৃত্তিকা। ছেলেরা এসবে জড়িত থাকে সেটা তো সবাই জানে তাই বলে মেয়েরাও? মৃত্তিকা’র এহেন কথায় ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে উজ্জ্বল বললো,

— সতী সাবিত্রী আমাদের মৃত্তিকা ও সব বুঝে গেলো অথচ হাঁদারাম তুই। এই রুপা তোকে ঘোল খায়িয়ে ছাড়বে। এখনও বলছি ফিরে আয়!

হিমু হাসলো। একটু আড়ষ্টভাবেই বললো,

— ও এমন না রে। আমার টাকা নেই দেখেই হয়তো…

মাঝপথে মৃত্তিকা ওকে থামিয়ে দিয়ে দৃঢ়ভাবে বললো,

— “খারাপ যেমন কখনো ভালো হয় না ঠিক তেমনই খারাপ পথে গিয়েও কখনো ভালো হওয়া যায় না।” কথাটা আব্বু বলে। আর যুক্তি সহ সত্যি এটা।

হিমু কিছু বললো না। মনটাকে কেন জানি মানাতে পারে না। রুপা ওকে হাজার তিরস্কার করুক পরপর যখন আবার নরম কন্ঠে কথা বলে তখন পুলকিত হয় হিমুর এই আনাড়ী মনটা।
উজ্জ্বল বেশ ভালোই বুঝতে পারছে এই রুপা মেয়েটা ভয়ংকর। চোখের চাহনি দেখেই সেটা উপলব্ধি করা যায়। চায়ে আড্ডা আজ সারা ক্যান্টিন জুড়ে। একেতো তো বন্ধ শুরু হবে তারমধ্যে আবার বৃষ্টি।

_________________

বৃষ্টি থামার বদলে বেড়েই যাচ্ছে। পূর্ণ ডিপার্টমেন্টের সামনে অপেক্ষা করে যাচ্ছে। আজকে দেড়ী হয়ে গিয়েছে তার। কোথায় ভেবেছিলো আজ মৃত্ত’টার সাথে দেখা করবে। কথা বলবে৷ মনটাকে শান্ত করবে কিন্তু হলো কই? এই তুখোড় বৃষ্টিতে কিভাবে বের হবে? আজ আবার গিয়েছিলো পার্টি অফিসে। বার্তমানে কিছু এমপি আর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পূর্ণ’কে ঘটা করেই সেখানে ডাকা হয়েছিলো। সামনে নির্বাচন। বেশ জোড়সোড় ভাবেই কাজ চলছে। এর মধ্যে নজর কেড়েছে এই যুবক। জনগন মেতে আছে তাতে। পূর্ণ নিজের দলের কিছু ছেলেদের সাথে নিয়েই হাজির হয়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তার সাথে নিজে কোলাকুলি করেন। দুঃখ প্রকাশ করেন ঐদিন পূর্ণ’র মাথা ফেটে যাওয়াতে। ছেলেটা জনগণের হয়ে কাজ করেও কতটা আহত হয়েছিলো তবুও কি না হাতাহাতি তে যায় নি।
সরাসরি প্রস্তাব করা হয় পূর্ণ’কে, যাতে সে তাদের দলে যোগ দেয়। সামনে মেয়র পদে দাঁড় করাতে চান তাদের দলের হয়ে। প্রস্তাব পেয়ে বাঁকা হাসে পূর্ণ। শুধু মাত্র যে ঐ দুই ঘটনার জন্য পূর্ণ’র আজ এতটা নাম ডাক তা নয়। বিভিন্ন এনজিওর হয়ে কাজ করে পূর্ণ। সমাজ সেবা করে আসছে আজ চার বছর হয়ে আসছে। চার বছর বললে ভুল হবে। কলেজ পড়ুয়া পূর্ণ যখন টুকটাক রাজনীতি জনিত বিষয় ঘাটত তখন থেকেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে গিয়েছে। এসব বিষয়ে দক্ষতা তার গভীর।
পূর্ণ খুবই ভদ্র ভাবে জানায় আপাতত সে এই দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। তার এহেন কথায় অবাকের চূড়ান্ত পর্যায় সবাই। এতবড় অফার কে ঠুকনায়?
এমপি মহাদয় তো বলেই উঠলেন,

— বড় অফার পেয়েছো নাকি এর থেকেও?

পূর্ণ ভদ্র ভাবে জানায়,

— ছাত্রদল আমি আজ থেকে করছি না। এখন যোগ দিয়েছি জনসেবায়।

একটু থেমে আবারও বললো,

— গাছ যতই বড় হোক না কেন তার শেকড় কখনো ভুলে না। একবার শেকড় উপড়ে গেলেই গাছটা মুখ থুবড়ে পড়বে।

— দল ছাড়বে না বলতে চাইছো?

— বললাম তো শেকড় ছাড়ব না।

মন্ত্রী মহাদয় বেশ খুশি হন পূর্ণ’র আচরণে। পিঠ চাপড়ে সাবাসী দিয়ে বললেন,

— ইউ আর আ ম্যান বাই বয়। স্ট্রে ইন দিস প্যাসন।

পূর্ণ হেসে ধন্যবাদ জানায়। তার আগ্রহ জানতে চাইলে আসার আগে জানিয়ে আসে,

— সোজা সংসদ সদস্য হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই আমি।

তার কথার তেঁজ এবং ঝাঁঝ দেখে এমপি মহাদয় তো বলেই ফেললেন,

— আমার পদ চাইছো?

— না। যোগ্য পদে আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হতে চাই।

কারো কারো তো বেশ লাগে এতটা আত্নবিশ্বাসী ছেলেটা আবার কারো চোখে কাটা হতেও যেন দেড়ী হলো না।

কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই দেখা হয় ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের সাথে। পূর্ণ সালাম জানাতেই স্যার তার সাথে দেখা করতে বলেন। পূর্ণ মাথা নেড়ে সায় জানায়। স্যার যেতেই পূর্ণ অন্য চিন্তায় পড়ে যায়। একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনও বাকি। এরজন্যই তো মৃত্তিকা থেকে আজ একমাস চৌদ্দ দিন দূরে আছে ও। পরিক্ষা আর শাস্তুি তো মন ভুলানো বাহানা মাত্র।
.
বৃষ্টি থেমে থেমে ঝরছে। এসাইনমেন্ট জমা দেয়া শেষ। মৃত্তিকা একবার চাইলো পূর্ণ’র ডিপার্টমেন্টের সামনে যেতে কিন্তু পরক্ষণেই মনকে শাসালো। পূর্ণ মৃত্তিকার জন্য না। কখনোই না। টাইম পাস শেষ এখন মৃত্তিকা ও শেষ। বট গাছটার গোড়ায় এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো। কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে সেখানটায়। মৃত্তিকা তেমন কিছু না ভেবে হেঁটে গেলো সেখানটায়। তার ভার্সিটি লাইফের সবচেয়ে চমৎকার সময়গুলো এখানে কাটিয়েছে সে।
কাঁদায় হাটা কষ্টসাধ্য তবুও মৃত্তিকা হাটছে। মাটির রাস্তাটা পার হয়ে যেই না গাছের দিকে যাবে ওমনি খেয়াল না করাতে অসাবধানতার কারণে ধাক্কা খেলো বলিষ্ঠ এক পুরুষ দেহের সাথে। তীব্র পুরুষ গন্ধ তার নাসারন্ধ্র ছেদ করে যাচ্ছে যেন। লোকটা তার শক্ত হাত দিয়ে মৃত্তিকা’কে পরে যাওয়া থেকে বাঁচালো৷ মৃত্তিকা নিজেও পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য লোকটার বুকে খাঁমচে ধরে আছে। সাফারাত মৃত্তিকা’র এলোমেলো চুলে হাত দিলো৷ কেমন তার দৃষ্টি সেটা বুঝা গেলো না। ডান হাতটা দিয়ে মুখ থেকে মৃত্তিকা’র চুল গুলো সরিয়ে দিলো৷ ঐদিন দেখা হয় নি নারীটিকে। গম্ভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো নারীটির মায়াময় মুখ। শ্যামকণ্যা সে অথচ আচড় কাটা তার গোলাপি ঠোঁট। সাফারাত বুদ হলো। কাঁপা কাঁপা হাতে ছুঁয়ে দিলো সেই গাল৷ চোখ তার জলজল করে উঠছে। সাফারাত যেন ভেঙে যাচ্ছে। তার বলিষ্ঠ দেহটা ভেঙে আসছে। মৃত্তিকা অপ্রস্তুত হয়ে সরে যাওয়ার আগেই কেউ সজোরে আঘাত করে সাফারাতের চেহারায়। পূর্ণ অগ্নিশর্মা হয়ে ছাড়িয়ে নিলো মৃত্তিকা’কে। সাফারাত এত জোরে আঘাত খেয়েও ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললো,

— দুই দিন ই বুকে আশ্রয় দিলাম। ঐ দিন বমি করে দিলে আর আজ দিলে আঁচড়।

মৃত্তিকা কিছু বলার সুযোগ পেলো না। ঘটনা এতটাই দ্রুত ঘটেছে যে বাক হারা ও। সাফারাত গা ঝাড়া দিয়ে বললো,

— এখন আবার গালি দেয়া শুরু করিস না। জানি আমি কু*ত্তা*র বাচ্চা।

বলেই চলে গেল। সাফারাত যেতেই পূর্ণ মৃত্তিকার হাত ঝাড়া দিয়ে ছেড়ে দিলো। থেমে যাওয়া বৃষ্টিটা আবারও শুরু হলো। এক ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দিলো দুটি মানব মানবী’কে। পূর্ণ ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,

— চৌচল্লিশ দিন! মাত্র চৌচল্লিস দিন মৃত্ত। এতটুকু সময়েই অন্য কাউকে খুৃঁজে নিলেন৷ বাহ্ বেশ তো। এখন তো মনে হচ্ছে বিয়ের পর আমি ম’রে গেলো ঈদ্দত ও পালন করবেন না আপনি। এতটা অধৈর্য? এতটা অধৈর্য একজন নারী কিভাবে হয় মৃত্ত? আমি দেখা না করায় অন্য পুরুষ খুঁজে নিলেন! তার বুক খুৃঁজে নিলেন! আমি অপবিত্র ছোঁয়া দেই না বিধায় এমন!

পূর্ণ’র এহেন কথায় গা ঘিনঘিন করে উঠলো মৃত্তিকা’র? পূর্ণ এতটা জঘণ্য ভাষায় কি ভাবে কথা বললো তার সাথে? চোখ বেয়ে তখন তার পানির ধারা যা খুব সহজেই বৃষ্টির পানির সাথে মিশে যাচ্ছে।
কথা বলতে চাইলো মৃত্তিকা। প্রতিবাদ করতে চাইলো পূর্ণ’র তাকে বলা সকল ভুল অপবাদের কিন্তু কান্নাগুলো যেন গলায় দলা পাকিয়ে আছে৷ কোন ভাবেই কথা বলতে পারলো না মৃত্তিকা। পূর্ণ এবার ধমকে উঠে মৃত্তিকা’র হাত টেনে একদম নিজের ভেজা শরীরে মিশিয়ে নিলো। শক্ত অথচ জেদী গলায় বললো,

— কি ছোঁয়া চাই না আপনার? এখন দেই?

বৃষ্টি বেড়ে গেলো। ঝড়ো হাওয়া বইছে থাকে। পূর্ণ নিজের মুখটা এগিয়ে আনছে মৃত্তিকা’র কাছে। মৃত্তিকা নিজেকে ছাড়াতে চাইলো অথচ শক্ত বন্ধনি ভাঙার সাধ্য তার কই? একদম ওষ্ঠ দুটো যখন কাছাকাছি ঠিক তখন পূর্ণ বলে উঠলো,

— এখন এত ছটফট কেন মৃত্ত? এটাই তো চান আপনি।

মৃত্তিকা সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা মারলো পূর্ণ’র বুকে। ছুটে সরলো ওর থেকে। কান্না করতে করতে বলতে লাগলো,

— আপনি…আপনি একজন নোংরা মস্তিষ্কের লোক। আ..আর কখনো মৃত্তিকা আপনাকে ভালোবাসবে না। কখনো আপনার কাছে আসবে না। আই হেই.. আ..আমি…ঘৃ.. খা..রাপ লোক আপনি..জঘন্য…

বলতে পারলো না মৃত্তিকা। লোকটাকে ভালোবাসে ও। কিভাবে বলবে ঘৃণা করে। এক মুহূর্ত না তাকিয়ে দৌড়ে চলে গেল মৃত্তিকা। আর কখনো পূর্ণ”কে চাইবে না ও। কখনোই না।

হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পরলো পূর্ণ। এতদিন পর কেন এলো আর কি হলো। সাফারাতের এতটা নিকটে মৃত্তিকা’কে দেখেই বুকে দহন হয়েছে তার। না চাইতেই বাজে কথাগুলো সে তার মৃত্ত’কে বলে ফেলেছে। এখনও কানে বাজছে, মৃত্তিকা তাকে আর ভালোবাসবে না, কখনো আসবে না। তীব্র বর্ষণের মাঝেই সেই বট গাছের গোড়ায় বসে রইলো পূর্ণ। তবে কি শুরুটা যেখানে ছিলো শেষটাও সেখানেই হলো?

#চলবে…..