অত্যাচারী বউ পর্ব-০২

0
1323

#অত্যাচারী_বউ
#লেখকঃ#Abu_Sayed_Sarker
#পর্বঃ ২

মায়াঃ কে আর হবে আমাদের বাসার চাকর..!

তানিশাঃ ও আচ্ছা শুনলাম কয়েকদিন আগে নাকি তোর বিয়ে হয়েছে তা আমাকেও বললি না….

মায়াঃ বলার সুযোগ ছিলো না আর তুই তো জানিস আমি আকাশকে ভালোবাসি এই বিয়েটা তো শুধু পুতুল খেলার মতো….

তানিশাঃ ও তা তোর পুতুল খেলার বরকে তো আনতে পারতি…

মায়াঃ ??? সে তো তোর সামনেই দাড়িয়ে আছে দেখতে পাচ্ছিস না…

তানিশাঃ কী বলিস এই ছেলেটার সঙ্গে তোর বিয়ে হয়েছে ( এত সুন্দর একটা ছেলে পেও যখন আকাশের মতো একটা বখাটে ছেলের সঙ্গে প্রেম করে তখন তাকে বুঝিয়ে লাভ নেই ( মনে মনে) ……)

মায়াঃ এখন আসি সময় হলে আমাদের বাসায় আসিস…..

তানিশাঃ ওকে….

তার পর বাসায় ফিরে এলাম…

দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো সবাই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু আমার চোখে কোনো ঘুম নেই…

বারান্দয় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সব কষ্টের কথা বলছি এতে কষ্ট গুলো হালকা হয়ে যায়…

মায়াঃ এত রাতে কার সঙ্গে কথা বলছে….

রাত প্রায় ২ টা বাজতে চলেছে বিছানা থেকে বারান্দায় যেতে দেখলাম ছেলেটা আকাশের দিকে তাকিয়ে বক বক করে যাচ্ছে..

এই যে আপনি পাগল হয়ে গেলেন মায়াঃ ???? পাগল নাকি….
যান গিয়ে শুয়ে পড়েন আজকের পর যাতে এই বারান্দায় না দেখি…

সাঈদঃ আচ্ছা ?


মায়াঃ মাথা খারাপ না হলে এমন কথা বলতো না…


দেখতে দেখতে প্রায় এক মাস কেটে গেলো…

মায়াঃ আজ আকাশের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি সঙ্গে তানিশাকেও নিয়ে যাচ্ছি…

সেজে গুজে বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়লাম রাস্তায় তানিশাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিলাম…


হোটেল এ…


আকাশঃ আজ অনেক দিন দেখা তাই না ..

মায়াঃ হুম??

আকাশঃ তা যেটা শুনলাম সেটা সত্যি নাকি

মায়াঃ হ্যা তবে আমি তোমাকেই ভালোবাসি আর বিয়ে তোমাকেই করবো…

আকাশঃ ?? হুম আগামী মাসে তুমি যদি রাজি থাকো তাহলে বিয়েটা সেরে ফেলি…

মায়াঃ সত্যি আগামী মাসে কেনো কাল কেনো নয়

আকাশঃ আরে পাগলী এত দিন অপেক্ষা করছো আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে পারবে না…

মায়াঃ আমি তোমার জন্য সারাটা জীবন অপেক্ষা করতে রাজি…

আকাশঃ আর ওই ছেলেটা কী হবে

মায়াঃ ডিভোর্স দিয়ে দিবো…

আকাশঃ হুম এখন আসি বাই..

মায়াঃ বাই…


তানিশাঃ একটা কথা বলবো…

মায়াঃ বল..

তানিশাঃ আমার কথায় মাইন্ড করিস না আকাশ ছেলেটাকে আমার কেমন যানি লাগতেছে ও তোর দিকে যেভাবে তাকাচ্ছিলো তাতে আমার মনে হচ্ছে ও তোর মনকে না শরীরকে ভালোবাসে…


মায়াঃ কী বললি তুই তোর এত বড় সাহস হয় কী করে আকাশ নিয়ে আজে বাজে বলার..

তানিশাঃ যেটা সত্যি সেটাই বললাম বাকিটা তোর ইচ্ছা…

আর হ্যা তোর যখন এতই বিশ্বাস আকাশের উপর তাহলে এই একটা মাসে ওর কয়েকটা পরিক্ষা নিলেই বুঝবি ও কেমন ছেলে…


মায়াঃ কী বলতে চাচ্ছিস তুই.


তানিশাঃ আঙ্কেল এর মুখে শুনেছি তুই নাকি ছেলেটার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করিস আজ থেকে এক মাস ছেলেটার সঙ্গে একদমি খারাপ ব্যবহার করবি না…


আর দ্বিতৃীয় তো তুই আকাশের সঙ্গে একদিন ডেট যা তার পর ওর তাকানোর ভঙ্গি টা লক্ষ্য করলে সব বুঝতে পারবি…


তানিশাঃ বাই বাবা আমাকে নিতে আসছে…

মায়াঃ আচ্ছা…

বাসায় ফিরে এসে…

সাঈদঃ এই নিন পানি..

মায়াঃ পানিটা খেয়ে ভাবতে লাগলাম তানিশা যা বললো তা কী সত্যি… না আকাশ এমনটা হতে পারে না যদি হয়ে থাকে….

মাথাটা হ্যং লেগে যাচ্ছে…

সাঈদঃ আপনাকে দেখে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছে যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটু ঘুমিয়ে নিন সব ঠিক হয়ে যাবে…

মায়াঃ কিছু বলতে যাবো তখনি তানিশার কথা মনে পড়লো…

তাই কিছু বললাম না…

সেদিনের পর থেকে ছেলেটার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছি মোটামুটি ভালো ব্যবহার করি এভাবে কয়েক দিন যাওয়ার পর যখন ছেলেটার সঙ্গে খোলা মেলা কথা বলতে শুরু করলাম তখন অনেকটা ভালোই লাগতে ছিলো….

আচ্ছা ছেলেটার একটা পরিক্ষা নিলে কেমন হয়….

যেমন কথা তেমন কাজ একটা সুন্দর দেখে মেয়ে টাকা দিয়ে কিনে নিলাম আর বললাম ছেলেটাকে প্রোপজ করতে…


সাঈদঃ বিকেল বেলা বাজারে আসার সময় হঠাৎ একটা মেয়ে এসে..

মেয়েটাঃ এই যে শুনুন..

সাঈদঃ জ্বী বলেন..

মেয়েটাঃ আসলে কথাটা কীভাবে বলবো বুঝতে পারছি না আসলে আমি অনেক দিন ধরেই আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু ভয়ে বলতে পারি নি i Love u…
.

সাঈদঃ সরি আমি বিবাহিত আর হ্যা আমি কিন্তু আপনাকে চিনি না তাই এসব ভালোবাসা আমার দ্বারা হবে না…

মেয়েটাঃ এভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন আমাকে…

সাঈদঃ হ্যা গিয়ে অন্য কাউকে এসব বলেন আমাকে না.

মায়াঃ আমি ফোনের মধ্যে সব কিছু স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি ার মানে আমি যেমনটা ভেবেছিলাম সে এমনটা না…

মায়াঃ যত দিন যাচ্ছে ততই কেমন যানি ছেলেটার প্রতি মায়া জন্মে যাচ্ছে…


আজ আকাশের সঙ্গে ডেট যাবো সে কেমন সেটা পরিক্ষা করতে…

সকাল সকাল বাসা থেকে বেড়িয়ে আকাশের সঙ্গে বেড়িয়ে পড়লাম রাস্তায় আকাশ নানান বাহনা করে ছুয়ার চেষ্টা করছিলো কিন্তু আমি নিজেকে কন্ট্রোল করেছি সারা দিন ঘুরার পর আকাশ এই কথাটা বলবে সেটা কল্পনাও করি নি…

চলবে?