অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক পর্ব :- ১০

0
835

গল্প :- অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক
পর্ব :- ১০
Writer :- Kabbo Ahammad
.
.
.
-: তখন আমি মিরার দিকে তাকিয়ে দেখলাম। ওর চোখ জোড়া ছলছল করছে। চোখের কোণে মেঘ জমে গেছে।
মিরা কিছুক্ষণ ঐভাবে দাঁড়িয়ে থেকে আর কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। তারপর আমি হাত থেকে তোয়ালেটা রেখে যেই বিছানাতে বসেছি। এমনি মিরা আবারও এসে হাজির। আশ্চর্য এইমাত্র বেরিয়ে গেলো। আবার ফিরে এলো কেনো??

তারপর মিরা ঘরে ডুকেই বললো।

—আচ্ছা নীলয় তুমিকি সত্যিই আমাকে আর ভালোবাসো না..?

হঠাৎ মিরার এমন প্রশ্নে আমি বেশ আবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আর তারপর বললাম।

–হঠাৎ করে এরকম প্রশ্ন কেন মিরা..?

—না যেটা জিজ্ঞেস করেছি সেটার উত্তর দাও।

আসলে মিরার প্রতি আমার যে অভিমানটা ছিলো/আছে সেটা আমি এখনো ঠিক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তাই বলে দিলাম

–না এখন আর ভালোবাসি না।

কথাটা শুনে মিরা স্তব্ধ হয়ে আমার দিকে কিছুক্ষণ অসহয়ভাবে তাকিয়ে রইলো। তারপর বললো।

—ঠিক আছে নীলয়।

–ঠিক আছ মানে??

তারপর মিরা আর কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। হঠাৎ মিরার ব্যবহারটা আমার কাছে কেমন যেন অদ্ভুত হয়ে ঠেকলো। তাই আমিও মিরার পেছন পেছন ঘর থেকে বের হলাম। তারপর দেখলাম মিরা ছাদের দিকে গেলো। তাই আমিও গেলাম ছাদে। ছাদের দরজার কাছে গিয়ে দেখলাম মিরা ছাদের রেলিংটা ধরে কান্না করছে। তখন আমার খুব খারাপ লাগলো মিরাকে কান্না করতে দেখে, কিন্তু তারপর আমি যে মিরার দিকে এগিয়ে যাবো মনে মনে ভাবলাম।

তখন হঠাৎ ভাবলাম থাক এখন মিরা কেঁদে আরেকটু কষ্ট পেয়ে নিক?। বাড়িতে গিয়ে না হয় সব ঠিক করে নিবো। তাই আমি আর মিরার কাছে গেলাম না আবার ঘরে ফিরে এলাম।

কিছুক্ষন পর রুমে মিরার এক কাজিন আসলো।
আর বললো। নিচে আসতে নাস্তা করার জন্য। সবাই অপেক্ষা করছে। তারপর আমি নিচে গিয়ে সবাইকে “গোড মর্নিং ” জানিয়ে খাবার টেবিলের সামনে বসে পড়লাম। আর মিরা এখনো আসেনি। তাই জিজ্ঞেস করতে যাবো মিরা কোথায়….

তখনি দেখি মিরা চলে আসলো। আর আমার পাশের চেয়ারটাতে বসে পড়লো। মিরা চুপচাপ নাস্তা করছে কোনো কথাই বলছে না। নাস্তা করে মিরা উঠে যেতেই আমি বললাম।

–মিরা গিয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও। আমরা আজকেই বাড়ি ফিরবো।

তখন মিরা কিছু না বলে উপরে চলে গেলো। আমিও খাবার শেষ করে সবার সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে উপরে রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি মিরা এখনো তৈরিই হয়নি। তারপর আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম।

–কি হলো! এখনো তৈরি হওনি কেন? জলদি করো।

মিরা তখন মুখটা ফিরিয়ে নিয়ে বললো।

—আমি যাবো না।

–যাবে না মানে?
দেখো মিরা নাটক না করে তৈরি হয়ে নাও। আমাকে আবার অফিসেও যেতে হবে।

—কিহ্.!!
আমি নাটক করছি। নাটকতো তুমি করছো। এতোদিন ভালোবাসি ভালোবাসি বলে আমার পেছনে পড়ে ছিলে। আর এখন যখন আমিও তোমাকে ভালোবাসি।তুমি বলছো আমাকে নাকি ভালোবাসো না।
আমাকে তো সহ্যও করতে পারছো না। তাই তোমাকে আর কষ্ট দিবো না নীলয়। তুমি তোমার বাড়িতে চলে যাও। আমি এখানেই থাকবো।

তারপর দেখলাম মিরার নাক টানা শুরু হয়ে গেছে। আমি তখন আরেকটু মজা নেওয়ার জন্য বললাম।

–মিরা কথা না বাড়িয়ে তৈরি হয়ে নাও। তুমি আমার সাথে বাড়িতে না ফিরলে বাবা-মা জিজ্ঞেস করলে কি বলবো..?

এবার মিরা আমার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। ওর চোখ দিয়ে জল পড়ছে। আর কান্না ভরা কন্ঠে বললো।

—কিহ্.!!!
আমি বাড়িতে যাচ্ছি না সেটা নিয়ে তোমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তুমি ভাবছো বাবা-মাকে গিয়ে কি বলবে.??

তারপর হঠাৎ ই মিরা অগ্নিমূর্তি ধারণ করে খাটের তলা থেকে আমার লাগেজটা বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো।

—এই নাও। তুমি চলে যাও তোমার বাড়ি আমি যাবো না। তারপর আমাকে বাইরে বের করে দরজাটা বন্ধ করে দিলো।

হঠাৎ মিরার এমন ব্যবহারে আমি হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। মিরা যে এইভাবে রিয়েক্ট করবে আমি কল্পনাও করিনি। তবে মিরার এই আচরণে ভীষণ রাগ হচ্ছে ওর উপর। আমাকে বের করে দিয়েছে রুম থেকে।
না আমি আর এক মিনিটও ওখানে দাঁড়ালাম না। কাউকে কিছু না বলেই মিরাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। তারপর সোজা কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে পৌছে গেলাম। বাড়িতে ডুকতেই মা এসে বললো।

—কিরে মিরা কোথায়?(আম্মু)

তখন আমি উপরে উঠতে উঠতেই বললাম।

–ওদের বাড়িতেই আছে।

তারপর রুমে এসে অফিসের জন্য তৈরি হয়ে চলে এলাম অফিসে। আর এসে নিজের কাজে মন দিলাম। কিছুক্ষণ কাজ করার পর মাথাটা একটু ঠান্ডা হলো। তখন দেখলাম ফোনের স্ক্রিনে আলো জ্বলছে। হাতে নিয়ে দেখি মা ফোন করেছে। আসলে ফোনটা সাইলেন্ট করা ছিলো। তারপর ফোন রিসিভ করলাম আর রিসিভ
করতেই মা বললো।

—কিরে নীলয় তুই কোথায়? (আম্মু)

–কেন আম্মু.? আমিতো অফিসেই আছি।

—বউমার সাথে তোর কি কোনোকিছু নিয়ে ঝগড়া হয়েছে নাকি…..(আম্মু)

–কই নাতো। ঝগড়া হবে কেন?

—তাহলে মিরা ফোন করে এতো কান্নাকাটি করছে কেন..? তুই নাকি কাউকে কিছু না বলেই ঐ বাড়ি থেকে চলে এসেছিস। আর মিরার ফোনও নাকি ধরছিস না।

–মা আমি ফোনটা রাখছি। অনেক কাজ পড়ে আছে।

এরপর ফোনটা কেটে দিলাম। চেক করে দেখলাম মিরা অনেকগুলো ফোন করেছিলো। হয়তো ফোন সাইলেন্ট থাকার কারণে বুঝতে পারিনি। বলতে বলতেই আবারো মিরার ফোন। রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ।
তখন আমি বললাম।

–মিরা তুমি কি তোমার কান্না শোনানোর জন্যই ফোন করেছো।

তারপর মিরা তারপর বললো।

—না,! কিন্তু তুমি আমার ফোন ধরছো না কেন?

–ফোন সাইলেন্ট করা ছিলো। এখন বলো কেন ফোন করছো..?

—আমি বাড়ি যাব।?

–বাড়ি যাবে ভালো কথা। তো তোমায় আটকাইছে কে? চলে যাও।

—তুমি এসে নিয়ে যাও।

–পারবো না। তখন তো আসলে না। উল্টো আমাকে বের করে দিছিলে। নিজে নিজে আসলে আসো নাহলে ওখানেই থাকো।

বলে ফোনটা কেটে দিলাম। ফোনটা কেটে দিয়ে মনে হলো একটু বেশিই করে ফেলেছি মনে হয়। তাই কিছুক্ষণ ভাববার পর মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।
সাথে সাথে পাশেই একটা শপিং সেন্টার থেকে মিরার পছন্দের একটা নীল শাড়ি কিনে সাথে একটা চিরকুট লিখে ওদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম।

চিরকুটে লিখা ছিলো যে: -শাড়িটা পড়ে সুন্দর করে সাজুগুজু করে তৈরি হয়ে নাও। একসাথে বাইরে কোথাও লাঞ্চ করবো।

আশা করছি এখন সব ঠিক হয়ে যাবে। আর মিরাও বেশ খুশি হবে। তাই তাড়াতাড়ি হাতের কাজগুলো সেরে নিয়ে। মিরাকে পিক করতে যেতে হবে।

প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পর সব কাজ শেষ করতে পারলাম।
তারপর সস্থির একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে চেয়ারটাতে আরাম করে হেলান দিয়ে চোখটা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে রিলেক্স করছি। তখনি কে যেন এসে আমার চোখ ধরে ফেলে।

নরম হাত এবং হাতে চুড়ি দেখে বুঝলাম কোনো মেয়ে। আর মিরা ছাড়া কোনো মেয়ে এভাবে আমাকে ধরবে না। তাই আমি বললাম।

–ওহ তুমি নিজেই চলে এলে.? আমিতো এখনি যেতাম তোমাকে পিক করার জন্য। ভালোই হলো তুমি চলে এলে। কিহলো.? এখনতো ছাড়ো.?

কিন্তু ছাড়ছেনা….
তখন আমাকে ছাড়ছে না দেখে মাথায় একটু দুষ্টুমি চেপে গেলো। আমি ওর হাত ধরে টান দিয়ে সোজা আমার কোলে নিয়ে এলাম। আর অসীম উল্লাসে জড়িয়ে ধরে কিস করতে যাবো। তখনি আ……..
বলে চিৎকার।

চিৎকার শুনে মাথায় বাজ পরার মতো অবস্থা।
কারণ এটা মিরা নয়। সাথে সাথে মেয়েটাকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে পরলাম। তারপর মেয়েটার মুখ দেখেতো আমি পুরা শকট..…………

–শাঁকচূর্ণী তুই! তুই এখানে?
আর দেশে ফিরলি কবে..? আমিতো ভেবেছিলাম মিরা. স্যরি।

—ইটস ওকে। আমিতো আজকে সকালেই ফিরলাম। ভেবেছিলাম তোকে বাড়িতে গিয়ে চমকে দিবো।
কিন্ত বাড়িতে গিয়ে তোকে পেলাম না। তাই এখানেই চলে এলাম। ভালো করিনি!?

–হুম খুব ভালো করছেন। মিলির বাচ্চা কিন্তু তুই তখন কোনো কথা বলছিলিনা কেন? কি বাজে একটা ব্যাপার হয়ে গেলো।

(ওহ আপনারাতো মিলিকে চিনেনই না। মিলি হলো আমার কাজিন। আমরা সমবয়সী। ছোটবেলা থেকে একসাথে খেলাধুলা করে বড় হয়েছি। আমাদের স্কুল কলেজ ও সব একই ছিলো। সবসময় আমরা একসাথেই সময় কাটাতাম। এক কথায় আমারা কাজিন থেকেও অনেক ভালো বন্ধু। ইন্টারের পর মিলি লেখাপড়ার জন্য দেশের বাইরে চলে যায়। ওর সাথে সবসময়ই যোগাযোগ হতো। আমরা একে-অপরের সাথে সব কিছুই শেয়ার করি। মিরার ব্যাপারেও মিলি সব জানে)

—আরে হনুমান তুই: যে অফিসেও বউয়ের সাথে রোমান্স করার চিন্তা ভাবনা করোছ। সেটা আমি কি করে জানবো হুম। (মিলি)

–আচ্ছা বাদ দে।
এখন বল কি অবস্থা তোর..? তুইতো পড়াশুনা শেষ করার পরই দেশে ফিরবি বলে পন করছিলি। এক বছর আগেই চলে এলি যে।

—বলেছিলাম। কিন্তু তোকে একটু আমায় সাহায্য করতে হবে। করবি তো..?

–আচ্ছা ঠিক আছে বল।

কথাটা বলে আমি আমার চেয়ারটাতে বসে পড়লাম।

ঠিক তখনি কোথা থেকে যেন মিলির উপর একটা টিকটিকি এসে পড়লো। আর মিলি চেঁচিয়ে উঠে সোজা আমার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

একেই বুজি কপাল বলে। ঠিক সেইসময়ই মিরারও আগমণ ঘটে..!! আর নিজের স্বামীকে অন্য কোনো মেয়ের সাথে এরকম অবস্থায় দেখলে। যে কোনো মেয়েই সেটা সহ্য করতে পারে না।

মিরা দরজার কাছে দাঁড়িয়েই বলে উঠলো..

—নী..……………ইইইইইই..…………ল…….য়!

আমি সাথে সাথেই মিলিকে ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। ততক্ষণে মিরা আমাদের দিকে এগিয়ে এলো। আমি কিছু বলার আগেই মিরা কান্না জুড়ে দিলো। আর কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো।

—নীলয় তুমি আমাকে এই ভাবে ঠকাতে পারলে..?
অফিসে এসে তুমি অন্য একটা মেয়ের সাথে..ছিঃ নীলয় ছিঃ…..

–মিরা তুমি যেটা ভাবছো সেটা নয়। মাথা ঠান্ডা করে আমার কথাটা শুনো প্লিজ। (আমি)

কিন্তু কে শুনে কার কথা। মিরা কেঁদেই যাচ্ছে কেঁদেই যাচ্ছে! তারপর কাঁদতে কাঁদতে বললো।

—এই মেয়েটা কে হ্যাঁ? আর তোমারদের সাথে কতদিন ধরে এইসব চলছে???

–মি………রারারা……(একটা ধমক দিয়ে)

আমার কথাটাতো আগে শুনবে..?

—কি বলবে তুমি হ্যাঁ কি বলবে…..?
সব কিছুতো আমি নিজের চোখেই দেখেছি। তোমার দেওয়া শাড়ি আর চিরকুট টাকে পেয়ে কত্তোটা খুশি হয়েছিলাম আমি। এতো যত্ন করে সেজেছিও।ভেবেছিলাম এখানে এসে তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো। কিন্তু এখানে এসেতো……??

আরে এতোক্ষণ তো আমি খেয়াল ই করিনি। মিরাকে তো আজকে নীল শাড়িতে হেব্বি লাগছে। যেন সর্গ থেকে নেমে আসা কোন অপ্সরী”!
কিন্তু মিরা কান্নাকাটি করে নাক-মুখ সম্পূর্ণ লাল করে ফেলছে, আর মিরার নাক-মুখ লাল হওয়ার কারণে মিরাকে আজ আরো অনেক বেশীই কিউট দেখাচ্ছে! ? তখন হঠাৎ আমার মুখ দিয়ে কথাটা বেরিয়েই গেলো।

–বাহ্!
মিরা তোমাকে তো আজকে দারুন লাগছে?

হঠাৎ এমন একটা পরিস্থিতিতে আমার মুখে এমন একটা কথা শুনে মিরা বেশ অবাক হয়। আর চোখ দুটো বড় বড় করে হা হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো…!

মিরা হয়তো এই মুহুর্তে বুঝতে পারছে না ওর কি করা উচিত। এরপর মিরা আমার দিকে কিছুটা এগিয়ে এসে দাঁত খিচিয়ে বললো।

—নীলয় তুমি……….

—এক মিনিট! এক মিনিট..!! (মিলি মিরাকে থাকিয়ে দিলো)

তারপর মিলি বললো।

—দাঁড়াও মিরা। তোমার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে।
তুমি যেটা ভাবছো তেমন কিছুই না। আরে নীলয় আর আমি তো একে-অপরের ভালো বন্ধু। আবার আমারা কাজিনও। (মিলি)

—এই মেয়ে তুমি কি আমাকে বোকা পেয়েছো??
আমি নিজের চোখে দেখেছি তোমরা কি কি করছিলে।(মিরা)

—আরে ওটাতো এক্সিডেন্টলি হয়েছে।

তারপর মিলি সবকিছু খুলে বললো মিরাকে।
কিন্তু মিরা তো আমাদের কথা বিশ্বাসই করতে চাইছে না। তখন আমি বললাম…..

–আচ্ছা মিরা ঠিক আছে। তুমি যদি আমাদের কথা বিশ্বাস করতে না পারো। তাহলে এই রুমের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারো। দাঁড়াও আমি তোমাকে দেখাচ্ছি।

এই বলে ল্যাপটপটাতে হাত দিতেই মিরা বললো।

—লাগবে না। (মিরা)

তারপর মিরা মিলির দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো..

–স্যরি মিলি আপু! আসলে এমন একটা দৃশ্য দেখে আমার মাথা গরম হয়ে গেছিলো। (মিরা)

—ইটস অকে মিরা।
আরভএখানে তোমারও দোষ নেই। এখানে তুমি কেন.? যে কেউ এমনটাই ভাবতো। এটা বলতেই তখনি মিলির ফোনটা বেজে উঠে। তারপর মিলি দেখে ফোনটা রেখে দিলো। তরপর বললো।

—আচ্ছা আমি তাহলে এখন আসি। তোমরা নিজেদের মধ্যে সব ঠিক করে নিও।?(মিলি)

–মিলি তুইনা কি বলবি বলছিলি?(আমি)

—হুম পরে বলবো.!
এখন তোদের মাঝে থাকলে তোর বউ আবার রাগ করতে পারে। কথাটা বলে মিলি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বেরিয়ে গেলো।?

এবার আমি একটু ভাব নিয়ে মুখ ফুলিয়ে চেয়ারে বসে পড়লাম। মিরা তখন আমার সামনে এসে বললো।

—স্যরি স্যরি…!! আমার ভুল হয়ে গেছে।

তখন বসা থেকে আমি দাঁড়িয়ে বললাম।

–তুমি কোনো ছোটখাটো ভুল করোনি মিরা.. তুমি আমাকে সন্দেহ করেছো। আর আমি তোমাকে এতো সহজে ক্ষমা করে দিবো তুমি ভাবলে কি করে..?

আমার সিরিয়াস মুখ দেখে মিরা ভয়ে একেবারে চুপছে গেছে। তখন মিরা কাঁদো কাঁদো গলায় বললো।

—প্লিজ নীলয় আর কখনো এমন করবো না। প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করে দাও।

তারপর আমি মিরার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম।

–ঠিক আছে তোমাকে ক্ষমা করতে পারি। তবে তোমায় আমাকে একটা জিনিস দিতে হবে…………………
.
.
চলবে……………………♥♥
.
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টতে দেখার অনুরোধ রইলো)