আমার আসক্তি যে তুমি Part- 2+3

0
5517

পর্ব ২+৩
#আমার_আসক্তি_যে_তুমি
#Part_2
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
রকিঃ হেই বেবস। লুকিং সো মাচ হট।
.
কথাটা শুনার সাথে সাথে মেজাজ বিগরে যায় আমার।
রিয়ানাঃ মাইন্ড ইউর লেংগুয়েজ রকি। চোখ গরম করে।
.
রকিঃ হাইইই,, তোমার এই লুকে তহ আমি ফিদা। বা হাত বুকে রেখে ফিদা হওয়ার এক্টিং করে।
.
রিয়ানাঃ জাস্ট স্টোপ ইউর ড্রামা এন্ড গেট লোস্ট ফ্রোম হিয়ার। চেঁচিয়ে।
.
রকিঃ উফহো বেবস। এত ভাব দেখানোর কি আছে হ্যাঁ?? আই নো ইউ লাইক মি!! অবশ্য যদি লাইক নাও করো দ্যান প্রবলেম নেই একদিনের জন্য আমার হলেই হবে। বিশ্রি হাসি দিয়ে।
.
আমি কিছু না বলে টেবিলের উপর থাকা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে রকির উপর ছুঁড়ে মারি। আরিশা, রিংকি আর কেন্টিনের উপস্থিত সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। আমি আরও দ্বিগুণ চেঁচিয়ে বলি।
.
রিয়ানাঃ তোর সাহস কিভাবে হলো আমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার। নিজের এত চাহিদা থাকলে ওইসব জায়গায় যা না এখানে কেন এসেছিস। যতসব। ফার্দার মোর তোকে যদি আমার আশে পাশেও দেখি না তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
.
[[[ এই বলে যেই না যেতে নেই তখন রকি আমার হাত ধরে বসে। আমি এক ঝাটকায় নিজের হাত ছাড়িয়ে নেই। কিছু বলতে যাব তার আগেই আরিশা আমার হাত ধরে থামিয়ে দেয়। কোন ফাঁকে রিংকি গিয়ে জানি একজন প্রফেসরকে নিয়ে আসে। প্রফেসরের বুঝতে দেরি নেই এইখানে কোন গন্ডগোল হয়েছে।
তিনি যখন সব ঘটনা জানতে চাইলেন তখন আমি তাকে সব খুলে বললাম। তিনি কিছু না বলে আমাদের পাঠিয়ে দিলেন আর রকিকে একটা ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দিলেন।
রকি হচ্ছে প্লে বয় টাইপের ছেলে। ওর বাবা ঢাকার একজন নাম করা সার্জেনের। ডা. আজিজ তার নাম। এই মেডিক্যালেও তিনি মাসে ১ বার ক্লাস নেন। সেই হিসাবে রকি এইখানে কিছুটা দাদাগিরি দেখায়। আর কেউ কিছু বলতেও পারে না। ]]]]
.
.
সবার যাওয়ার পরে রকি রাগে ফুসছে। নিজের হাত মুষ্টি বদ্ধ করে বলতে থাকে।
.
রকিঃ ইউ হ্যাভ টু পে ফোর দিস।
এই বলে পাশের চেয়ারে জোরে এক লাথি দেয়। আর গটগট করে চলে যায়।
.
.
??
.
.
আরিশাঃ তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস। কার সাথে পাংগা নিলি তুই?? Do you have any idea??
.
রিংকিঃ রিয়ানু বইন আমার। কি করলি তুই এইটা!! ওই তহ এখন তোর লাইফ হেল করে ছাড়ব।
.
রিয়ানাঃ তুই দেখিস নি কত বাজে ভাবে কথা বলছিল ও!! আমি সব সহ্য করলেও নিজের আত্মসম্মান নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ করবো না।
.
রিংকিঃ আই নো ইয়ার বাট হি ইজ পাওয়ারফুল। আর তুই..
.
রিয়ানাঃ দূর্বল আর অনাথ তাই তহ।
.
রিংকিঃ আমি তা মিন করে নি।
.
আরিশাঃ দেখ রিয়ানু ভুল বুঝিস না। রিনকু তা মিন করি নি। দেখ তুই একা থাকোস। আমেনা আন্টিও ২ বছর আগে মারা গেছে। এখন তোর রক্ষা করার মত কেউ নেই। তোকে নিজের রক্ষা নিজের কর‍তে হবে কিন্তু এইসব মানুষদের সাথে তুই একা পারবি না তাই বলছি একটু সাবধানে থাক। এইসব ঝামেলায় না জরা।
.
রিংকিঃ হ্যাঁ ইয়ার। আমার সবসময় তোর ভালো চাই। তাই তোকে এইসব থেকে দূরে থাকতে বলি।
.
রিয়ানাঃ হু।
আমি আর কিছু না বলে উঠে চলে আসি। ভালো লাগছে না আর। আজ নিজের আপন বলতে কেউ নেই বলে প্রতিবাদ করাও দোষের।
ঠিকই বলে সবাই, যার কেউ নেই তার কিছুই নেই। কোন অধিকার নেই তাদের। তাদের জীবন কাটাতে হয় ভয় আর আশংকার মধ্যে। পদে পদে সাবধানে চলতে হয় যেন কোন বিপদ না আসে তাদের। বিপদ আসলে বাঁচাবে কে তাদের??
.
.
?
.
.
বাসায় এসে আমি রুমের দরজা আটকিয়ে দেই তারপর নিজের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে নিচে বসে খাটের উপর মাথা রাখি। নয়ন দুটিতে অশ্রুর বন্যা জমে থাকাতে ভার হয়ে এসেছে। বাধ ভেংগে বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছে। অবশেষে সেই বাধ ভেংগে বেড়িয়ে আসে বন্যা আর ভাসিয়ে দেয় আমার গাল দুটি।
–” আজ নিজের বাবা মা নেই বলে সবাই আমাকেই মাথা নিচু করে চলতে বলছে। অন্যায়কে মেনে নিতে বলছে। কেন!! কেন!!
কেন এত ভয়ে ভয়ে থাকবো আমি কেন!!”
.
আমি কিছুনা বলে চুপচাপ মাথা নিচু বসে থাকি।
.
.
???
.
.
— ” হাও ডেয়ার হি। আমার জানের দিকে নজর দেওয়ার সাহস পায় কিভাবে সে?? বড্ড ভুল করেছিস আমার জানের দিকে কুনজর দিয়ে। তাকে বাজে প্রস্তাব দিয়ে। তাকে কাঁদিয়ে ঠিক করিস নি তুই!!! এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে। তাও খুব ভয়ংকর শাস্তি ”
.
এই বলে টেবিল থেকে গ্লাস উঠিয়ে দেয়ালে স্বজোরে আছার মারে। তারপর নিচ থেকে একটি কাঁচের টুকরো উঠিয়ে নিজের হাতের চেপে ধরে, সাথে সাথে রক্ত বেড়িয়ে আসে।
.
— ” খুব জলদিই তোমার এই কষ্টের দাম একজনকে দিতে হবে। ”
.
.
???
.
.
পরেরদিন,
আমি মেডিক্যালের জন্য রেডি হয়ে বেড়িয়ে আসতেই দরজার সামনে একটি বেলি ফুলের ঝুড়ি দেখতে পাই। ঝুড়িটি হাতে নিয়ে ফুলের ঘ্রাণ নিতে থাকি। একদম মন ভালো করার মত জিনিস এইটি। যখন ফুলের ঘ্রাণ নিতে থাকি তখন চোখে পড়ে একটি কোনে থাকা কার্ডটির দিকে।
হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করি।
.
” ?হাসিতে তুমি
কান্নাতে তুমি
আলোতে তুমি
আধারেও তুমি
শত তুমিতেই
আমার তুমি? ”
.
.
পরার সাথে সাথে মুখে এক রাশ হাসি ফুটে উঠে আমার। এইসবই এখন আমার এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। কে পাঠায় তা আমার জানা না হলেও আমার জন্য তার অসীম ভালবাসা ঠিকই বুঝতে পারি। অনেকবার তাকে খুঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রতিবারই এর ফল শূন্য তাই এইবার ফ
হাল ছেড়ে দিয়েছি। থাকুক না কিছু ভালবাসা অপ্রকাশিত।
ফুল গুলো ভিতরে রেখে বেড়িয়ে পড়ি মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে।
.
.
মেডিক্যালে এসে দেখি আরিশা আর রিংকি মুখ ফ্যাকাশে করে বসে আছে। আমি তাদের কাছে গিয়ে বসে জানতে চাই কি হয়েছে। তারা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
.
রিংকিঃ তুই আজকের টিভি নিউস বা পেপার পড়োস নাই??
.
রিয়ানাঃ আমি আবার এইসব কবে থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলাম??
.
আরিশাঃ তার মানে তুই কিছুই জানোস না??
.
রিংকিঃ এইটাই যে কাল রাতে রকি মারা গিয়েছে!!
.
রিয়ানাঃ মানে!! কিভাবে??
.
আরিশাঃ রাতে নাইট ক্লাব থেকে ফিরার সময় কে জানি ওর গাড়ি ধাক্কা দেয় আর গাড়িটি খাঁদে পড়ে ব্লাস্ট হয়ে যায় আর ও অন দ্যা স্পোট মারা যায়।
.
রিংকিঃ পুরো বডি জলসে গেছে। চিনাও বহুত মুশকিল। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো ওর ডান হাত টা পুরো উদাও। মানে লাশের মধ্যে ডান হাত ছিল না সাথে চোখ আর জিহ্বা ও।
.
রিয়ানাঃ পাগল হয়ে গিয়েছিস?? কিসব বলছিস। এইসব থাকবে না কেন??
.
আরিশাঃ ওই রিংকির বাচ্চা উদাও কোস কে?? টিভিতে শুনোস নি কি বলেছে। গাড়িটা ব্লাস্ট হওয়ার কারণে ওর শরীরটাও ছিটকে পড়েছিল। যার ফলে হাত পা ছুটে গিয়েছিল আর হয়তো এইখানে সেখানে পড়ে গিয়েছিল। আর এমনে শরীরের অনেক অঙ্গই তহ আল্গা হয়ে ঝুলে ছিল।
.
রিয়ানাঃ ব্যাসসসস!! চুপ কর তোরা। শুনতেই তহ গাঁয়ের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছে।
.
রিংকিঃ হু।
.
আরিশাঃ আচ্ছা চল ক্লাসের টাইম হচ্ছে।
.
.
??
.
.
— ” আসল সত্য তহ কেউ জানে না রিয়ুপাখি। শুধু আমি জানি। তুমি শুনবে আসল সত্যিটা। আচ্ছা ঠিক আছে বলি। হ্যাঁ আমিই ওর এই অবস্থা করেছি। হ্যাঁ আমি!!! তোমার দিকে নজর দেওয়ার জন্য ওকে খুব ভয়ংকর শাস্তি দিয়েছি।
কাল রাতে ওকে অজ্ঞান করে এইখানে এনেছি তারপর ওকে বেঁধে জাগিয়েছি। একটু একটু করে কষ্ট দিয়ে তারপর মেরেছি আমি তাকে। প্রথমে ও যে হাত দিয়ে তোমায় ধরেছিল তা কাটি। তারপর ও তোমায় যে জিহ্বা দিয়ে ওইসব বলেছিল তা কাটি। তারপর ওর চোখ দুটো উবড়ে ফেলি। সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত করে ফেলি। এরপর এই এক্সিডেন্টে নাটক সাজিয়ে ওর গাড়ি ব্লাস্ট করিয়ে দেই।
তোমার দিকে তাকানোর ফল মৃত্যু ব্যতিত কিছু নয়। যে তোমার দিকে হাত বাড়াবে তাকে আমি শেষ করে দিব। কেন না তুমি আমার। আমার আসক্তি তুমি। ” এই বলে সে পৈচাশিক হাসিতে মেটে উঠে।

পর্ব ৩

ধানমন্ডি লেকে বসে আছি। সাথে দুই বান্দরনি রিংকি আর আরিশা। আমি বসে বসে বাদাম চিবুচ্ছি আর ওদের কথা শুনছি। ওরা দুইজন রকির অকালে মৃত্যুর পিছের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যে শুধু মৃত্যুতে স্থির রয়েছে তা নয়। এর উপরে তারা রকির জিএফ, বয়স, কুকর্ম সব কিছুর খাতা এক সাথে খুলে বসে আছে। মানে চৌদ্দ গুষ্টি নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। (গার্লস ফেক্ট?)
যা মোটেও আমার পছন্দ হচ্ছে না। তাই এক বস্তা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলাম।
.
রিয়ানাঃ যে মরসে তার খোঁজ না মাইয়াগো আর ঘুম নাই। ?
.
দুইজনেই আমার কথায় কিছুটা নড়েচড়ে বসে। আমি যে কি বুঝাতে চেয়েছি তা দুইজনে ঠিকই বুঝে গিয়েছে। আমি যে এদের এইসব কার্যালাপে অতিষ্ঠ ওরা আমার মুখখানা দেখেই বুঝতে পারছে। তাই কথাটা চেঞ্জ করার জন্য রিংকি বলে উঠে।
.
রিংকিঃ আব জানোস কালকে সেই মাপের একটা ক্রাশ খাইসি।?
.
রিয়ানাঃ বেশি ব্যথা পাইসোস নি??
.
রিংকিঃ ব্যথা পাবো কেন??
.
রিয়ানাঃ না মানে ক্রাশ = ভাঙা/ পিষা, তহ সেই হিসাবে ক্রাশ খাইসোস মানে আছার খেয়ে শরীরের কোন জায়গা ভাঙে গেছে নাইলে শিলপাডার মধ্যে পিষা খাইসো। ?
.
আরিশাঃ উহু। রিয়ানু বেবি, তুই আরেকটা মিনিং ভুলে গেছিস। ক্রাশ = বাশ। ?
.
এই শুনার সাথে সাথে আমি আর আরু হাসিতে মেতে উঠি। আর রিংকি গাল ফুলিয়ে বলে।
.
রিংকিঃ হা হা ভেরি ফানি। তোরা কোনদিনই বুঝবি না ক্রাশ মানে ভালবাসা। আর এমনেও এখন থেকে এইটাই আমার ওয়ান এন্ড অনলি ক্রাশ।
.
রিয়ানাঃ তা মনু এই লাস্ট লাস্ট করতে করতে তুমি এই পর্যন্ত কয়টা ভালবাসা খাইসো থুরি কয়টা ক্রাশ খাইসো??
.
আরিশাঃ তুই কারে কি জিজ্ঞাস করোস!! ওই যত না ভাত খায় তহ বাশ থুরি ক্রাশ খায়।
.
এই বলে দুইজন আবার হাসতে থাকি। আর রিংকি ওর ব্যাগ দিয়ে ধাম ধিরাম বারি বসিয়ে দেয়। আমরাও মাইর খেয়ে চুপ। লাইক ইনোসেন্ট চকলেট।
.
রিংকিঃ আমি সিরিয়াস এইবার। এইটাই আমার লাস্ট এন্ড ফাইনাল ক্রাশ। বিয়া করলে ওকেই করবো নাইলে চিরকুমার থাকুম।
.
রিয়ানাঃ It’s চিরকুমারি not চিরকুমার? তুই কবে এই জেন্ডার এর পার্থক্য বুঝবি।
.
রিংকিঃ ওই একই। শুরু ই-কার এ পার্থক্য। আর তোরা আমার ইমোশান বুঝ কথা ধরোস কেন??
.
আরিশাঃ আচ্ছা বুঝলাম বাট আগে এইটা বল তোর নিউ ব্রাশ থুরি ক্রাশ কে?
.
রিংকিঃ আবির আরহাম।
.
.
???
.
.
সামিঃ হোয়ার ইজ আবির?? আর একটু পর ওর কন্সার্ট আর ওই এখনো আসে নি?? ওকে নিয়ে যে আমি কি করবো??
.
হাইওয়ে তহ ফুল স্প্রীডে রেস বাইক চালাচ্ছে আবির। সাথে আছে আরও কয়েকজন জন। বাইক কোম্পেটেশন হচ্ছে তাদের মধ্যে। সকলের একটাই উদ্দেশ্য আবিরকে হারানোর কিন্তু কেউ আবিরের নাগালই পাচ্ছে না। ও সবার আগে। সকলেই তাকে হারানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেই চলেছে কিন্তু প্রত্যেক বার ফল বিফলে যাচ্ছে।
শেষে আবির রেস জিতে যায়। বাইককে রাউন্ড রাউন্ড ঘুরিয়ে ঠিক মাঝে বাইকটি থামায় সে। তারপর ফুল এটিটিউড নিয়ে নেমে আসে সে। হেলমেট খুলার সাথে সাথে তার সিল্কি চুল গুলো কপালে এসে পড়ে। পড়নে তার ব্ল্যাক টি-শার্ট আর ব্ল্যাক ডেনিম প্যান্ট। পায়ে ব্ল্যাক কেডস্।
আবির ফুল এটিটিউড নিয়ে সামনে আসে তারপর রিসাবের সামনে এসে বলে।
.
আবিরঃ আগেই বলেছিলাম এই আবিরকে আন্ডারটেস্টিমেট করিস না কিন্তু শুনলি না। এখন শুনি হারতে কেমন লাগলো তোর?? ভালো তহ?
.
রিসাবঃ আবিরর!!
.
আবিরঃ Don’t shout!! নেক্সট টাইম আমার সাথে লাগতে আসলে হাজার বার ভাববে।
সূর্য!!! সূর্য!!!
.
সূর্যঃ ইয়েস বস। হন্তদন্ত হয়ে সামনে এসে।
.
আবিরঃ What is the time?
.
সূর্যঃ ৪.৪৫ স্যার।
.
আবিরঃ গেট মাই কার।
.
সূর্যঃ ইয়েস স্যার।
.
.
সামিঃ উফফফ ৫ মিনিট পর কন্সার্ট আর আবির এখনো আসেনি। কি যে করি? সবাই এসে গেছে। হোয়ার ইজ হি ডেমেট।
.
তখনই পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠে।
.
— ” Mr. Sami I am here ”
.
সামি পিছন ঘুরেই দেখে আবির পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। মুখে এক মন ভুলানো হাসি। সামি কিছু বলার আগেই আবির চোখ দিয়ে তাকে আসস্তি দেয় তারপর গিটার নিয়ে স্টেজে উঠে বসে। মাইক ঠিক করে বলে,
.
আবিরঃ হেই গাইস, আবার ফিরে এসেছি আপনাদের মাঝে। কেমন আছেন আপনারা?? নিশ্চয়ই আমার মত বিন্দাস।
.
বলার সাথে সাথে সবাই চিল্লিয়ে উঠে।
.
আবিরঃ ওকে দ্যান তাহলে আজকের কন্সার্ট শুরু করা যাক। আজকের গান আমার Broken heart ফ্যানদের জন্য।
.
এই বলে আবির গিটারে টিউন ধরলো।
.
.
“? স্মৃতির জোনাকি ছাড়া কিছু নেই
বুকের বা পাশে
আমার দুঃখ বাড়ে যে কোন ঋতুর পালটে যাওয়া বাতাসে
আলতো গায়ে মাখি, যত্নে তুলি রাখি
তোমার লেখা যত চিঠি আসে
জানলা খুলে রাখি
আসলে সবই ফাকি
তোমার নামে তুবও আলো আসে
স্মৃতির জোনাকি ছাড়া কিছু নেই
বুকের বা পাশে। ?” ( বাকিটা নিজের দ্বায়িত্বে শুনে নিবেন)


??


রিয়ানাঃ এইটা আবার কে??
.
আরিশাঃ আরেহ আবির একজন রকস্টার। বাংলাদেশের টপ সিংগারের মধ্যে একজন। শত শত মেয়ের ক্রাশ।
.
রিংকিঃ হু।। ওই আমার একমাত্র ক্রাশ প্লাস আমার হবু জামাই।?
.
আমি কিছু বলতে যাবে এর আগেই আমার ফোনের এলার্ম বেজে উঠে যার মানে এইটা টিউশনির টাইম। আমি তারাতাড়ি ফোনের এলার্ম অফ করে বলি।
.
রিয়ানাঃ আচ্ছা বাই। টিউশনির টাইম হয়ে গেছে।
এই বলে বাদামের প্যাকেট ব্যাগে রেখে দ্রুত পা চালিয়ে ওখান থেকে এসে পড়লাম। ওরা আমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে।


??

[[ সকলের কাছে অনুরোধ নিচের লেখা গুলো অবশ্যই পড়বেন ]]

রাতের খাওয়ার পর বেলি ফুল গুলো নেড়ে চেড়ে দেখছি। কিছুটা শুকিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাও ঘ্রাণ আসছে। এক হাতে ফুল গুলো দেখছি আর অন্য হাতে দিয়ে আজকের দেওয়া চিঠিটা পড়ছি। চিঠিটা যত বারই পড়ি না কেন মন আর ভরে না। যত বারই পড়ি এক আলাদা ভালো লাগা কাজ করে মনের মধ্যে।
.
রিয়ানাঃ কবে যে দেখা পাব এই চিঠি পেরকের। কেন সামনে আসে না সে? কেন তার ভালবাসা অপ্রকাশিত? সে কি বুঝে না তার অপেক্ষায় আছি আমি? কবে যে শেষ হবে আমার এই অপেক্ষার প্রহর?
এই বলেই এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে আমার মধ্য থেকে।


??


“?কাসাম কি কাসাম, হে কাসাম সে
হামকো পেয়ার হ্যয় সেফ তুমসে ?”
.
— ” রিয়ু পাখি খুব জলদি শেষ হতে চলেছে তোমার এই অপেক্ষা। অপেক্ষার শেষ প্রহরে চলে এসেছ তুমি। অপেক্ষার প্রহর পাড়িয়ে আসতে চলেছ প্রেমের প্রহরে।
খুব জলদি নিজের নজরবন্দি করবো তোমায়। তখন চাইলেও আমার থেকে ছাড়া পাবে না তুমি। ” এই বলে অট্টহাসিতে মেতে উঠে সে।
নিজের বা হাতে লিখা “রিয়ানা” নামটিতে সে নিজের ঠোঁট ছোঁয়ায় আর সেই হাতটি ধরে বুকের বা পাশে আগলে ধরে।


?

আজ শক্রবার। মানে আমার ছুটির দিন। কিন্তু তাও আমি আজ ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে দরজা খুলতে যাই। সেই চিঠি পেরকের ফুলময়ের দর্শনের জন্য। শক্রবার হোক আর যাই হোক আমার জন্য ফুল সবসময় বরাদ্ধ।
গেট খুলে পাশে তাকাতেই আমার মুখে হাসি ফুটে উঠে৷
কসমস ফুলের একটি তোরা। তারমধ্যে রাউন্ড সেপ চকলেট। আমি দ্রুত তা নিয়ে রুমে আসি। তারপর কার্ড খুঁজতে থাকি। অবশেষে পেয়েও যাই।

” ? অপেক্ষার শেষ প্রহরে
আছো যে তুমি।
শীঘ্রই আসতে চলেছ যে
আমার পিঞ্জারাতে।
আমার প্রেমময় প্রহরে? ”


আমি চিঠিটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। কি বুঝাতে চেয়েছে সে??
এইটা কোন নতুন প্রহরের কথা বলছে সে? এই প্রহর কি আদো সুখময় নাকি কষ্টময়?


#চলবে