এক খণ্ড কালো মেঘ পর্ব-০৩

0
320

#এক_খণ্ড_কালো_মেঘ
#পর্ব_৩
#নিশাত_জাহান_নিশি

“কথা প্যাঁচানো আমার পছন্দ নয় ওকে? বলো আমাকে হেল্প করবে কিনা? এই বাড়ি থেকে বের হতে চাই আমি। মুক্তভাবে শ্বাস নিতে চাই। যেভাবেই হোক তুমি আমাকে এখন এই বাড়ি থেকে বের হতে হেল্প করবে। তোমার শহরটা আমাকে ঘুরিয়ে দেখাবে। না হয় কাল রাতে যে কাজটা অসম্পূর্ণ রেখেছিলাম সে কাজটা এখন করব!”

বিস্ময়ের চরম শীর্ষে পৌঁছে গেল অয়ন্তী। ম’গের মু’ল্লুক পেয়েছে নাকি এই ছেলে তাকে? যেভাবে খুশি সেভাবেই তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যা নয় তা করানো যাবে? এতটাই স’স্তা নাকি সব? অয়ন্তীর মুখমণ্ডলে প্রখর রুক্ষতার ছাপ ফুটে উঠল। বদমেজাজী ভাব আকাশ ছুঁতে লাগল। নাক ফুলিয়ে চোঁয়াল উঁচিয়ে বলল,,

“শুনুন মিস্টার রাফায়াত। অনেক হয়েছে আপনার এসব ফা’ল’তু ম’স্তা’ন’গিরি। আমার সাথে এসব থার্ডক্লাস, মিনিংলেস কার্যকলাপ করতে আসবেন না। এসব ফা’ল’তু থ্রে’ড দেওয়া তো দূরে থাক! কাল সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে নিয়েছিলাম কারণ, কাল আমার পাশে কেউ ছিলনা। কিন্তু আজ সবাই আমার পাশে আছে। যদি আস্তে করেও একটা আহ্ করে চিৎকার দিইনা? তবে কিন্তু বাড়ি শুদ্ধু লোক ছুটে আসবে এই ঘরে। হাতে নাতে ধরবে আপনাকে। গতকালের প্রসঙ্গটাও কিন্তু আস্তেধীরে ওঠে আসবে তখন। কী করবেন তখন আপনি হুম? কী করবেন?”

ফিক করে হেসে দিলো রাফায়াত! হাসতে হাসতে পেটে তার হাত চলে গেল। হাতের কাটা অংশটিও তক্ষণি কোনোভাবে অয়ন্তীর হিংস্র নজরে পড়ে গেল। মানবতার খাতিরে হলেও অয়ন্তীর মনে অবিলম্বেই কিঞ্চিৎ মায়াবোধের জন্ম নিলো! ভারী আজব লোক তো। কালরাতে হাতটা কেটেছে অথচ এখনো অবধি কোনো মেডিসিন লাগায়নি? এত পাষাণ, নিষ্ঠুর, বর্বর প্রকৃতির কেন এই লোকটি? ক্ষত জায়গায় আঘাত লাগেনা তার? নিজের প্রতি কি কোনো যত্ন নেই তার? এই লোকটা আদো রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ তো নাকি? এই দিকে রাফায়াত হাসতে হাসতে দলা মোচড়া হয়ে গেল! ঠাট্টার স্বরে বলল,,

“গবেট একটা! কালরাতে তোমার সাথে কী ঘটেছে না ঘটেছে এসবের কী কোনো প্রুফ আছে তোমার কাছে? নেই তো! তাহলে? তাহলে কীসের এত গ’লা’বা’জি হ্যাঁ? আর এখন তো আমি তোমাকে কিছু করবনা! যদি ঠাণ্ডা মাথায় তুমি আমার শর্ত না মানো তবে পরে এর ফল ভোগ করতে হবে! কঠিনভাবে ভোগ করতে হবে। ঠিক কতটা কঠিনভাবে ভোগ করতে হবে তা তুমি কল্পনাও করতে পারছনা মিস অয়ন্তীকা।”

“আবারও হুমকি দিচ্ছেন আমাকে হ্যাঁ? চিনেন আপনি আমার কাজিন ভাইয়াকে? অনিক ভাইকে চিনেন আপনি? যদি আমি একবার ভাইয়ার কাছে মুখ খুলে সবটা বলিনা? তখন কিন্তু আপনার মাথা আর মাথার জায়গায় থাকবেনা! ব’লি হয়ে যাবেন আপনি, ব’লি।”

“হাউ ফানি ইয়ার! এখন কি তুমি তোমার কাজিন ভাইয়ার ভয় দেখাচ্ছ আমাকে? রাফায়াত কাউকে ভয় পায়না ওকে? উল্টো রাফায়াতকে মানুষ ভয় পায়। এতটাই ভয় পায় যে, রাফায়াতের ভয়ে মানুষের প্যান্ট ভি’জে যায়! ডেমো দেখেও এখনো চিনতে পারলেনা এই রাফায়াতকে, না? বাই দ্যা ওয়ে, তোমার ভাইয়াকে যা বলার বলে দিও ওকে? দেখব সে আমার ব’লি কীভাবে করে!”

প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে রাফায়াত হনহনিয়ে রুম থেকে প্রস্থান নিলো! গতকাল রাতের সেই রগচটা ভাবটা আবারও তার মুখমণ্ডলে চড়া হয়ে উঠল। হিংস্র সাপের ন্যায় ফোঁস করে শ্বাস ছাড়তে লাগল। যাওয়ার সময় দরোজায় সজোরে এক লাথ মেরে গেল! সঙ্গে সঙ্গেই অয়ন্তী কেঁপে উঠল। রাফায়াতের যাওয়ার পথে তাজ্জব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। এমন উচ্ছৃঙ্খল কেন এই লোকটা হ্যাঁ? তবে কি লোকটা আসলেই গু’ন্ডা, মা’স্তা’ন, সন্ত্রাসী টাইপ কিছু? হাবভাব এবং কথাবার্তার ধরণ দেখে তো তাই মনে হচ্ছে! অস্থিরতা কাজ করতে লাগল অয়ন্তীর মধ্যে। রাফায়াতের আসল পরিচয়টা জানার জন্য তার মনটা উসখুস করতে লাগল। এবার শুধু আলিজার ফেরার পালা। প্রথম থেকে শেষ অবধি সে আলিজার মুখ থেকে সব শুনবে। সেই অবধি সময় কাটানোর জন্য ঘরময় একটু পায়চারী করা যাক। লোকটা সম্পর্কে আরও একটু ভাবনা-চিন্তা করা যাক। মিনিট পাঁচেক বাদে আলিজা ধীর পায়ে হেঁটে রুমে প্রবেশ করল। অয়ন্তীকে পিছু ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখে আলিজা শুষ্ক গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“কী রে? তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”

তাৎক্ষণিক পিছু ঘুরে তাকালো অয়ন্তী। আলিজাকে দেখামাত্রই উৎসুক হয়ে পা বাড়িয়ে আলিজার মুখোমুখি দাঁড়ালো। অধীর গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“আচ্ছা বল না ঐ ছেলেটার আসল পরিচয় কী? কেনই বা ঐ ছেলেটা এই বাড়িতে গাঁ ঢাকা দিতে এসেছে বল?”

“আরে আরে! তুই এত অস্থির হচ্ছিস কেন ইয়ার? কিছু হয়েছে কী?”

“আগে বল তো! পেের বলছি কী হয়েছে।”

ব্যস্ত হয়ে উঠল আলিজা। দ্রুত গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“এই? রাফায়াত ভাই কি তোর সাথে উল্টো-সিধা কিছু করেছে?”

“বললাম তো পরে বলছি। আগে বল ছেলেটার আসল পরিচয় কী?”

অয়ন্তীকে ডিঙিয়ে আলিজা খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বসল। অয়ন্তী পিছু ঘুরে দাঁড়াতেই আলিজা তার পাশের জায়গাটায় হাত রেখে অয়ন্তীকে ডেকে বলল,,

“বস। বলছি।”

দ্রুত পায়ে হেঁটে এসে অয়ন্তী আলিজার পাশ ঘেঁষে বসল। আগ্রহ নিয়ে আলিজার মুখের পানে তাকিয়ে রইল। অয়ন্তীর দিকে একটুখানি ঘুরে বসল আলিজা। রুদ্ধশ্বাস ফেলে বলল,,

“রাফায়াত ভাই কোনো সাধারণ মানুষ নন। ঘো’র’তো’র রা’জ’নী’তি’বিদ। ক্লাস টেন থেকেই রা’জ’নী’তি’র প্রতি তীব্র ঝোঁক ছিল উনার। এরপর এসএসসির পর থেকেই রা’জ’নী’তি’র সাথে পুরোপুরিভাবে জড়িয়ে পড়েন! কলেজ রাজনীতি থেকে শুরু করে এখন আবার ভার্সিটিতে রাজনীতি করছেন। ছাত্রলীগের নেতা টাইপ কিছু হবে হয়ত। এলাকায়ও রাজনীতিবিদ হিসেবে বেশ নামডাক উনার। পুরো মহল্লার মানুষ উনার ভয়ে কাবু হয়ে থাকে। উনি ভালোর সময় ভালো, তো খারাপের সময় য’ম। রোজ এসব মা’রা’মা’রি, হা’নাহা’নি, দা’ঙা’দা’ঙি লেগেই থাকে! জানিস? একবার তো রাফায়াত ভাইয়ার বিরোধী দলের একনেতা রাফায়াত ভাইয়ার বুকেপিঠে অবধি ছু’রি বসিয়ে দিয়েছিল! হায়াৎ ছিল বিধায় বেচারা বেঁচে ফিরেছিল। আন্টিকেও একবার কি’ড’ন্যা’প করে নিয়েছিল উনার শত্রুরা! আঙ্কেলকে তো এখনও রোজ হুমকি-ধামকি শুনতে হয়। আমার খালাতো বোন অর্থাৎ রাফায়াত ভাইয়ার ভাবিকেও রে’প করার চেষ্টা করেছিল ঐ জা’নো’য়া’রগুলো। এতকিছুর পরেও রাফায়াত ভাই রাজনীতি ছাড়তে পারছিলেন না। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া যেনো এখন নিত্যদিনকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও উনি রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারবেন না! সবার মুখে মুখে উনি শুধু এই জবাবটাই দিতেন। কিন্তু এইবার নাকি খুব বড়ো রকমের কিছু একটা হয়ে গেছে! তবে কী হয়েছে তা জানিনা। কারণ, আঙ্কেল আমাদের কিছু জানায়নি। সপ্তাহ খানিক আগে আঙ্কেল হঠাৎ রাতের অন্ধকারে এসে রাফায়াত ভাইকে আমাদের বাড়িতে রেখে যান। আর বলে যান উনাকে যতটা সম্ভব রুম বন্দি করে রাখতে। ভুলেও যেন বাড়ির বাইরে বের হতে না পারে।”

সমস্ত ঘটনা শোনার পর অয়ন্তী মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল। শুকনো ঢোঁক গিলে মনে মনে বিড়বিড় করে বলল,,

“হায় আল্লাহ! আমি কিনা ঐ গু’ন্ডা’টার সাথে পাঙা নিতে গিয়েছিলাম? না জানি কত বড়ো ক্রি’মি’না’ল এই লোক। কী কী ক্রাইম করে এসেছে এখানে কী জানি! যত দ্রুত সম্ভব আমার এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিৎ। নয়তো কখন ঐ মা’স্তা’ন’টা’র শিকার হয়ে যাই বলা যায়না!”

৪.
রুমের দরজা বন্ধ করে রাফায়াত অত্যধিক রাগ এবং জেদে অনবরত ফুঁসতে লাগল! গাঁ থেকে টি-শার্টটা খুলে বিছানার উপর ছুঁড়ে মারল। শরীর থেকে অঝরে ঘাম বইতে লাগল তার। ক্রমশ তার মেজাজ নিয়ন্ত্রাধীণ হয়ে উঠছে। উদোম শরীরে রাফায়াত ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বুকের ডান পাশে ব্যান্ডেজ করে রাখা কাটা অংশটিতে তাকালো! ব্যান্ডেজটিতে হাত বুলিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে আর্ত আওয়াজে বলল,,

“ব্যথাটা আমার শরীরে নয় অনিক। ডিরেক্ট আমার বুকে এসে লেগেছে! তোর থেকে এই বি’শ্বা’স’ঘাত’ক’তা আমি আশা করিনি অনিক! নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটা ছিলি তুই। এতটাই কাছের ছিলি যে তোর সাথে একটা দিন দেখা না হলে দিনটাই আমার খারাপ যেত! কিন্তু ভাবতে পারিনি জানিস? তুই এভাবে পেছন থেকে আমাকে এত বড়ো আঘাতটা করবি! সরি টু সে অনিক, যারা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের আমি ছাড় দিতে জানিনা! বিলিভ মি, তোর বেলাতেও এর ব্যতিক্রম হবেনা!”

জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালো রাফায়াত। খাটের উপর থেকে তার সেলফোনটা হাতে তুলে নিলো। তাড়াহুড়ো করে কললিস্ট থেকে কারো নাম্বারে ডায়াল করল। প্রথমবার রিং বাজতেই ঐ পাশ থেকে কেউ ফোনটি রিসিভ করল। পুরুষালী গলায় বলল,,

“হ্যালো রাফায়াত?”

“হ্যাঁ শোন? কাল যে কাজটা করতে বলেছিলাম করেছিলি তো?”

“হ্যাঁ করেছি।”

“ফটোগুলো ঠিকঠাক ভাবে তুলেছিস তো?”

“হ্যাঁ তুলেছি। তুই যেভাবে বলেছিস ঠিক সেভাবেই তুলেছি।”

“ওকে। পিকচার গুলো কুইকলি আমার হোয়াটসঅ্যাপে সেন্ড কর।”

“করছি। আগে বল তুই কেমন আছিস?”

“তোদের থেকে দূরে আছি। এবার ভেবে দেখ কেমন আছি!”

“আমরাও তোকে ছাড়া ভালো নেই রাফায়াত। সত্যিই ভালো নেই। এমন একটা পরিস্থিতি যে আমরাও তোর সাথে দেখা করতেও যেতে পারছিনা।”

“সময় হলে আমি-ই তোদের সাথে দেখা করতে যাব। এখন বল ইয়াদের কী অবস্থা?”

“অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়! এজন্যই বেশী ভয়ে আছি। কখন কী থেকে কী হয়ে যায়!”

“শা’লা ম’রু’ক! তাকে মে’রে প্রয়োজনে আমি জেলে যাব। তুই কুইকলি পিকচার গুলো সেন্ড কর আমার হোয়াটসঅ্যাপে। ঐ অয়ন্তীকে সামলে রাখা যাচ্ছেনা! থ্রে’ড দেওয়া ছাড়া হাতে আর কোনো অপশন নেই!”

“আচ্ছা শোন না?”

“বল?”

“প্রিয়া এসেছিল!”

“কু’ত্তা’র বা’চ্চা! কলটা কাট!”

শরীরে হিট এসে গেল রাফায়াতের! চক্ষুজোড়া জল এবং তুখোড় হিংস্রতা নিয়ে রাফায়াত কলটা কেটে দিলো! ফোনটা খাটের উপর ছুড়ে মেরে হাঁটু ভাজ করে ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ল। মাথায় হাত রেখে মৃদু চিৎকার করে বলল,,

“কেন আমাকে ঠকালে প্রিয়া? বল কেন?”

৫.
অন্তর্আত্তা ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে অয়ন্তীর! এই বাড়ি ছেড়ে কখন পালাবে সেই চিন্তায় অধীর হয়ে উঠছিল সে। রাফায়াতকে ঘিরে তার মনে অসম্ভব ভয়-ভীতি জন্ম নিতে লাগল। অয়ন্তীর এহেন উদ্ভ্রান্ত অবস্থা দেখে আলিজা ভ্রু যুগল খরতরভাবে কুঁচকালো। সন্দিহান গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“কী রে? কী হয়েছে তোর? এমন উসখুস করছিস কেন?”

হুড়মুড়িয়ে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ালো অয়ন্তী। ভীতিকর দৃষ্টি ফেলল আলিজার দিকে। ইতস্তত গলায় আলিজাকে বলল,,

“কিছুনা। আচ্ছা আলিজা শোন না? আজ আমি বরং আসছি কেমন? শরীরটা তেমন ভালো যাচ্ছেনা আমার। তাছাড়া অনিক ভাইয়া ওভার ডিসপারেড হয়ে আছে আমার জন্য। কখন বাড়ি ফিরে আসে বলা যায়না। আর বাড়ি ফিরে এসে যদি আমাকে না দেখে তো ভাঙচুর শুরু করবে! তুই তো জানিস অনিক ভাইয়া কেমন?”

“অনিক ভাইয়া তো এখন চট্টগ্রাম আছে তাইনা? তো এখন তোর কীসের ভয়?”

“ভয় আছে। তুই বুঝবিনা। প্লিজ আমাকে বাড়ি যেতে দে।”

আলিজার বারণ সত্ত্বেও বাড়ির সবাইকে এক এক করে বুঝিয়ে শুনিয়ে অয়ন্তী যেইনা বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির মেইন গেইটের দিকে পা বাড়ালো অমনি গেইটের সাথে বেশ আয়েশ করে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রাফায়াতকে দেখতে পেল সে! নীল রঙের শার্টের কলারটা ঝেড়ে রাফায়াত ব্যগ্র চাহনিতে ঘাবড়ে থাকা অয়ন্তীর দিকে তাকালো। ঠোঁটের আলিজে ফুটে রইল তার কদাচিৎ হাসি। হাতে থাকা সেলফোনটি হেলিয়ে দুলিয়ে রাফায়াত হেয় স্বরে বলল,,

“বয়ফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও অপরিচিত একটা ছেলের সাথে রেস্টুরেন্টে যাওয়াটা ইট’স নট ফেয়ার মিস অয়ন্তী! আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি ব্যাপারটা জানতে পারে তখন কী হবে বলুন তো?”

#চলবে…?