এক খণ্ড কালো মেঘ পর্ব-০৪

0
261

#এক_খণ্ড_কালো_মেঘ
#পর্ব_৪
#নিশাত_জাহান_নিশি

“বয়ফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও অপরিচিত একটা ছেলের সাথে রেস্টুরেন্টে যাওয়াটা ইট’স নট ফেয়ার মিস অয়ন্তী! আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি ব্যাপারটা জানতে পারে তখন কী হবে বলুন তো?”

সিঁড়ির মাঝামাঝিতে এসেই হুট করে হাঁটা থামিয়ে দিলো অয়ন্তী। নির্বাক মূর্তির ন্যায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইল একই জায়গায়। পরের সিঁড়িতে কদম বাড়ানোর সাহসটুকুও হলোনা তার! নিশ্চল তার মুখভঙ্গি। চক্ষুজোড়া চড়কগাছ করে একধ্যানে তাকিয়ে রইল রাফায়াতের দিকে! গলা থেকে যেন শব্দই বের হচ্ছিল না তার। শরীরটাও কেমন ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল। বিড়বিড় করে বলল,,

“ইয়া আল্লাহ্! এই মা’স্তা’নটা এসব কী বলছে? জানলো কীভাবে সে আমি আরিফের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম? ওহ্ মাড গুডনেস! এ মানুষ নাকি সিসি ক্যামেরা?”

অয়ন্তীর নির্বিকার এবং ভয়মিশ্রিত মুখশ্রী দেখে অট্ট হাসল রাফায়াত। হেলানরত অবস্থা থেকে সরে এসে নিচের সিঁড়িতে দাঁড়ালো। অয়ন্তী তার থেকে আরও তিন সিঁড়ি উপরে প্রায়। যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই রাফায়াত বুকের উপর দু’হাত গুজে ট্যারা দৃষ্টিতে অয়ন্তীর দিকে তাকালো। ঘাড়টা কিঞ্চিৎ বাঁ দিকে বাঁকিয়ে ক্রুদ্ধ স্বরে বলল,,

“প্রুভ আছে কিন্তু আমার কাছে! রেস্টুরেন্টে বসে হাত ধরাধরি! মিষ্টি স্বরে কথা বলাবলি। এছাড়াও আরও কত কী! সবকিছুর প্রুভ কিন্তু আমার কাছে আছে ওকে? ঐ সময় যেন কার ভয় দেখিয়েছিলে আমাকে? ওহ্ হ্যাঁ, মনে পড়েছে। অনিক, অনিক ভাইয়ার ভয় দেখিয়েছিলে না? তো পিকচার গুলো সেন্ড করব নাকি তোমার ঐ অনিক ভাইয়ার কাছে? পারবে তো তখন ঠ্যালা সামলাতে?”

দ্রুত বেগে সিঁড়ি টপকে রাফায়াতের মুখোমুখি দাঁড়ালো অয়ন্তী! অস্থির চাহনিতে রাফায়াতের আগ্রাসী চাহনিতে দৃষ্টি ফেলল। আগপাছ না ভেবে-ই আলুথালু গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“কী চান আপনি আমার থেকে হ্যাঁ? কী চান?”

বেশ ভাবসাব নিয়ে রাফায়াত গলা ঝাঁকালো! উঁচিয়ে রাখা শার্টের কলারটা নামিয়ে অয়ন্তীর দিকে ঈষৎ ঝুঁকলো। খামখেয়ালি স্বরে বলল,,

“বেশি কিছুনা। আমি তোমার সাথে তোমার শহরটা একটু ঘুরে দেখতে চাই। দেট’স ইট!”

বিরক্তি প্রকাশ করল অয়ন্তী। হাত-টা ঝাঁকিয়ে তুলল। নাক-মুখ সিটকে বলল,,

“কিন্তু আমার সাথেই কেন হ্যাঁ? বাড়িতে তো আলিজা আছে, অর্ণি আছে, ভাইয়া আছে, ভাবি আছে। ঘুরতে হলে তাদের সাথে ঘুরতে যান। আমার সাথেই কেন?”

“উঁহু। আমি শুধু তোমার সাথেই ঘুরতে যেতে চাই মিস অয়ন্তী! আই হোপ সো তুমি আমার কথা রাখবে। আদারওয়াউজ….

বিদঘুটে হাসল রাফায়াত। ট্যারা দৃষ্টিতে তাকালো অয়ন্তীর দিকে। পুনরায় তার ফোনটা অয়ন্তীর দৃষ্টির সম্মুখে চরকির মত ঘুরাতে লাগল। খাপছাড়া গলায় বলল,,

“জানোই তো। কী কী করতে পারি আমি!”

“আমি আপনার এসব সিনেমেটিক কথা বিশ্বাস করছিনা ওকে? প্রুভ দেখতে চাই আমি প্রুভ। হুট করেই যা তা বলে দিলেন আর আমি বিশ্বাস করে নিব তা হয় নাকি?”

“ওকে ফাইন। নিজের চোখেই দেখে নাও তোমার সব কুকীর্তি!”

গভীর মনোযোগ নিয়ে রাফায়াত গ্যালারী ঘেঁটে ছবিগুলো খুঁজে বের করল। এরমধ্যে যে ছবিটায় আরিফ জোর করে অয়ন্তীর হাত চেপে ধরেছিল সেই ছবিটিই রাফায়াত অয়ন্তীর চোখের সামনে ধরল। একগালে হেসে উচ্ছৃঙ্খল স্বরে বলল,,

“কী? পেলেন তো প্রুভ? আর কোনো প্রুভ লাগবে আপনার? হোপ সো, লাগবেনা!”

অবিলম্বেই মুখে হাত চলে গেল অয়ন্তীর। চোখের কোণে জল চিকচিক করে উঠল। আতঙ্কে হাত-পা কাঁপতে লাগল। হাত বাড়িয়ে ফোনটা যেইনা ধরতে যাবে অমনি রাফায়াত ঝড়ের গতিতে ফোনটি তার পেছনে লুকিয়ে ফেলল! একরোঁখা গলায় বলল,,

“আমার শর্তে রাজি কিনা বলুন?”

“এই? আপনি আমাকে ব্ল্যা’ক’মে’ই’ল করছেন?”

“কেন? বুঝতে পারছেন না? মুখে বলে বুঝাতে হবে?”

“আমি আপনার কী ক্ষতি করেছি হ্যাঁ? কী ক্ষতি করেছি? কেন আপনি আমাকে এভাবে ব্ল্যাক’মে’ই’ল করছেন?”

“ক্ষতি কিছু করোনি। তবে আমিও তোমার কোনো ক্ষতি করতে চাইনা। শুধু তোমার একটুখানি হেল্প চাইছি। করবে হেল্প? আমাকে একটু বাইরে বের করতে?”

“আপনার এই বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ জানেন না আপনি? আস্ত ক্রি’মি’না’ল একটা।”

“হ্যাঁ আমি ক্রি’মি’না’ল। বাড়ি থেকে বের হওয়া আমার জন্য নিষেধ। আর এসব আমি জানি বলেই আমার একটা মাধ্যম প্রয়োজন। আর সেই মাধ্যমটা হলে তুমি!”

রাফায়াতের হুমকি-ধমকিতে অয়ন্তী ভয়ে সিঁটিয়ে গেল। ছবিগুলো সত্যিই অনিকের কাছে পৌঁছে গেলে পুরো ঘটনা না জেনে/শুনেই অনিক অয়ন্তীর সাথে অশান্তি করবে। শুরু হবে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ-কলহ! বিশ্বাস, অবিশ্বাস, ভুল বুঝাবুঝিরও সৃষ্টি হবে। যা অয়ন্তী সত্যিই চায়না! অনিকের সাথে ঝগড়া হোক অয়ন্তী চায়না। নিরুপায় হয়ে অয়ন্তী রাফায়াতের শর্ত মেনে নিলো! অয়ন্তীও শর্ত রাখল ছবিগুলো যেন কোনোভাবেই অনিকের কাছে না পৌঁছায়। রাফায়াতও অয়ন্তীর শর্ত মেনে নিলো। অয়ন্তীকে জব্দ করার খুশিতে সে পৈশাচিক হাসল। বহুদিন পর যেন জিতে যাওয়ার তৃপ্তি পেল সে। আলিজার কাছে আবারও ফিরে গেল অয়ন্তী। বাড়ির সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আলিজাকে সাথে নিয়ে রাফায়াত এবং অয়ন্তী বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল! বলল তারা একটু ঘুরতে যেতে চায়। ঘণ্টাখানিকের মধ্যেই আবার বাড়ি ফিরে আসবে। ব্ল্যা’ক’মে’ইলিং এর ব্যাপারগুলো অয়ন্তী এখনও আলিজাকে বলতে পারেনি। রাফায়াতের নিষেধ আছে এতে!

৬.
পার্কের ভেতরে একপাশে থাকা ইয়া বড়ো মুদি দোকানটায় দাঁড়িয়ে রাফায়াত উচ্ছ্বলিত মনে সিগারেট টানছে। মুখের মাস্কটা সবে মাত্রই খুলেছে সে। তাও আবার সিগারেট খাওয়ার সুবিধার্থে! খাওয়া শেষ হলে মাস্কটা আবার লাগিয়ে নিতে হবে। কখন কোন দিক থেকে তার চেনা-জানা-বন্ধু বা শত্রুদের সাথে দেখা হয়ে যায় বলা যায়না। এদের মধ্যে তাকে খুঁজতে থাকা পুলিশরা অন্যতম! অয়ন্তীর সাথে সময় কাটানোর জন্যই মূলত এত বড়ো ঝুঁকি নিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হওয়া। যেনো তেনো প্রকারেই হোক অয়ন্তীকে তার হাতের মুঠোয় আনতেই হবে। অয়ন্তী-ই হবে তার চালের মোক্ষম গুঁটি! যাকে হাতে আনতে পারলেই খেলা সমানে সমানে হবে! এসব পরিকল্পনা করতে করতেই রাফায়াত প্রায় দুই থেকে তিনটি সিগারেট শেষ করে দিলো। ইতোমধ্যেই প্যান্টের পকেট থেকে তার সেলফোনটি বেজে উঠল। মাথার উপর থেকে হুডির টুপিটি সরিয়ে রাফায়াত পকেট থেকে তার ফোনটি বের করল। চঞ্চলের নাম্বারটি তখন স্ক্রীনে ভেসে উঠল। চঞ্চল হলো রাফায়াতের আরও একজন বেস্টফ্রেন্ড। সকালে যার সাথে ফোনে কথা হয়েছিল সে। তাড়াহুড়ো করে রাফায়াত ফোনটি তুলল। দ্রুত গলায় শুধালো,,

“হ্যাঁ চঞ্চল বল? ওখানে সব ঠিকঠাক আছে তো?”

ঐপাশ থেকে চঞ্চল অধৈর্য্যে গলায় বলল,,

“প্রিয়া সু’ই’সা’ই’ড করতে চেয়েছিল রাফায়াত!”

ফট করে মাথাটা গরম হয়ে গেল রাফায়াতের! স্বাভাবিক মুখশ্রী বিবর্ণ রূপ ধারণ করল। সামনের চুলগুলো টেনে ধরে চোয়াল উঁচিয়ে বলল,,

“এই ফা’ল’তু খবরটা জানানোর জন্যই কী তুই আমাকে কল করেছিস?”

“এটা ফা’ল’তু খবর না রাফায়াত। প্রিয়া সত্যিই ভালো নেই। সে তার কাজের জন্য ভীষণ অনুতপ্ত। প্লিজ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড।”

“নাটক করছে এসব বুঝেছিস? নাটক করছে। আমার সেমপ্যাথি পাওয়ার জন্য। আমি তোকে ওয়ার্ণ করছি চঞ্চল, নেক্সট টাইম প্রিয়া রিলেটেড কোনো ব্যাপারে আমাকে অযথা কল করে ডিস্টার্ব করবিনা। না হয় আমিও ভুলে যাব চঞ্চল বলে আমার কোনো বেস্টফ্রেন্ড ছিল!”

“ইশশশ। আবার রেগে যাচ্ছিস কেন? তুই যা বলবি তাই হবে। প্রিয়া সম্পর্কে আমি আর কখনও কোনো প্রসঙ্গই তুলব না।”

প্রিয়ার কাছ থেকে সরে দাঁড়ালো চঞ্চল! একটু খানি দূরে এসে দাঁড়ালো। ফোনে ফিসফিসিয়ে বলল,,

“আচ্ছা অয়ন্তীর কী খবর? তাকে ভাগে আনা যাবে তো?”

“আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট। হুমকি-ধমকি দিয়ে চেষ্টা করছি আমাদের প্ল্যানিং সাকসেস করার।”

“হুমকি-ধমকি দিয়ে কিছু হবেনা। তোকে নরমাল হতে হবে। এসব গু’ণ্ডা ম’স্তা’নি করে আর যাই হোক মেয়েদের পটানো যায়না। নিজেকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করতে হবে যেমনটা প্রত্যেকটা মেয়ে চায়! মানে তুই একটা সময় যেভাবে প্রিয়াকে ইমপ্রেস করেছিলি ঠিক সেভাবে!”

ঝট করে ফোনটা কেটে দিলো রাফায়াত! ঐদিকে প্রিয়া কাঁদতে কাঁদতে দৌঁড়ে এলো চঞ্চলের মুখোমুখি। অধীর গলায় চঞ্চলের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,,

“কী বলল রাফায়াত?”

দীর্ঘশ্বাস ফেলল চঞ্চল। নিরাশ গলায় বলল,,

“ভুলে যাও রাফায়াতকে প্রিয়া! সে আর কখনো তোমার কাছে ফিরবেনা! মন থেকে তুমি তাকে ভেঙে দিয়েছ। ভালো কিছুর আশা রেখো না তার থেকে আর। এতে তোমারই কষ্ট বাড়বে। নতুনভাবে নতুন কাউকে নিয়ে সবকিছু শুরু করো। রাফায়াতকে ভুলে যায়!”

অঝরে কেঁদে দিলো প্রিয়া। মুখে ওড়নার আঁচল চেপে ধরে দৌঁড়ে চঞ্চলের রুম থেকে প্রস্থান নিলো। প্রিয়ার যাওয়ার পথে ব্যথিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল চঞ্চল। পুনরায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,,

“হারিয়ে গেলেই কেন আমরা সেই মানুষটার গুরুত্ব বুঝি?”

৭.
একের পর এক রুদ্ধশ্বাস ফেলতে লাগল রাফায়াত। আরও একটি সিগারেট ধরিয়ে সমানে টানতে লাগল সিগারেটটি। নাক থেকে তুমুলে ধোঁয়া নির্গত করে বড়ো বড়ো শ্বাস ফেলে বলল,,

“শুধু প্রিয়া প্রিয়া আর প্রিয়া! আই জাস্ট হেইট হার। আই রিয়েলি হেইট হার। কেউ বুঝতে চাইছেনা আমি তাকে সহ্য করতে পারছিনা।”

হুট করেই রাফায়াতের অবিন্যস্ত দৃষ্টি যুগল পড়ল নদীর পাড়ে। অয়ন্তী এবং আলিজা চুপটি করে বসে আছে সেখানে। শিথিল দৃষ্টিতে নদীর ঢেউ দেখছে তারা। মৃদুমন্দ শীতল বাতাসে অয়ন্তীর লাল রঙের সিল্কের ওড়নাটি কেমন উড়ছে! খোঁপায় বেঁধে রাখা চুলগুলোও বেসামালভাবে এদিক থেকে ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। দেখতে ভীষণ স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে তাকে। মনে কেমন যেন বিষাদের মেঘ জমেছে অয়ন্তীর! দূর থেকে দেখেই তা বুঝা যাচ্ছে। রাগটা কেমন যেন তরতর করে নেমে এলো রাফায়াতের! না চাইতেও সিগারেটটি ছুড়ে ফেলে দিলো সে। চঞ্চলের দেওয়া ট্রিকটা কাজে লাগাল! নরমাল ভাবেই অয়ন্তীকে হ্যান্ডেল করতে চাইল। দোকানদারকে ডেকে বলল দুইটি চকলেট ফ্লেভারের কোণ আইসক্রীম দিতে! আইসক্রীম দুটো হাতে নিয়ে রাফায়াত দ্রুত পায়ে হেঁটে চলল নদীর পাড়ে। অয়ন্তী এবং আলিজার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আইসক্রীম দুটি দুজনের মুখের সামনে ধরল। গম্ভীর গলায় বলল,,

“টেইক ইট তোমাদের জন্য।”

আলিজা জোরপূর্বক হেসে রাফায়াতের হাত থেকে তার ভাগের আইসক্রীমটি নিলেও অয়ন্তী নিতে চাইলনা! মুখ ঘুরিয়ে ক্ষিপ্ত গলায় বলল,,

“কোনো গু’ন্ডা, মা’স্তা’নে’র হাতের আইসক্রীম আমি খাইনা!”

মেজাজ প্রচণ্ড চটে গেলেও রাফায়াত শান্ত থাকার চেষ্টা করল। দাঁতে দাঁত চেপে জেদ সংবরণ করল। স্বাভাবিক স্বরে-ই বলল,,

“আমার গাঁয়ে কোথায় লিখা আছে আমি গু’ন্ডা, মা’স্তা’ন?”

“ভেষ ভূষা দেখলেই বুঝা যায় কে কেমন!”

অপ্রত্যাশিতভাবেই অয়ন্তীর পাশে পায়ের উপর পা তুলে বসে পড়ল রাফায়াত! শুকনো হেসে ফিচেল স্বরে বলল,,

“ওকে ফাইন খেয়ো না। তবে আমি শুনেছিলাম চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রীম নাকি তোমার খুব পছন্দের?”

#চলবে…?