কল্পনায় হলেও শুধু আমারি থেকো পর্ব-১৮

0
622

#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১৮

–she is always under stress.
It’s not good for her at all. In this situation she has to try to stay free all the time. Must be worry free. she have to eat properly.
But she probably didn’t eat.
Be aware that she may have a problem .
take care of her.
thank you.
— ok doctor.
মেহেজাবিন বেরিয়ে আসে,
মেঘকে বাসায় নিয়ে আসে,
— তুই কিসের জন্য এমন করছিস বলবি।
খেয়ে নে মেঘ তোর জন্য না হয় তোর বাবুর জন্য,
প্লিজ নিজেদের ঝামেলার জন্য তুই বাবুটাকে কষ্ট দিস না।
— আমি কষ্ট দিচ্ছি তোর তাই মনে হচ্ছে,
— দেখ মেঘ বাবুটার ত কোন দোষ নেই তুই যা খাবি ও ত তাই খাবে
— আমি জানি আমার বাবু কোন দোষ করে নি কিন্তু আমি কি করব আমার জায়গায় তুই হলে কি করতি।
— মেঘ তুই পাগল হস না।
— মেহেজাবিন ও এমন করছে তুই বলতে পারিস আমার দোষ টা কোথায়
— ভাইয় তোকে ভালোবাসে মেঘ।
— ভালোবাসে না ও কাল আমার গায়ে হাত তুলেছে আমি ওকে শুধু একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম যে আমি প্রেগন্যান্ট,
আমার কি দোষ বল,
একটা বার প্রশ্ন করলো না তুমি কি ব্যাথা পেয়েছো ।
মানলাম সেটা না হয় প্রশ্ন করলো না শুনতে পারতো খেয়েছো ?
নাহ শুনে নি ।
আমার কিছু ভালো লাগছে না আমার স্ট্রশ লাগছে সব কিছু আমার কষ্ট হচ্ছে ভিশন কষ্ট হচ্ছে ,
ভেতর থেকে কষ্ট হচ্ছে ,
— মেঘ ।
— কি বলে শান্তনা দিবি তুই আমায় কি বলে শান্তনা দিবি আমার কোন শান্তনা গায়ে লাগবে না ( মেঘ চিৎকার করে কাঁদছে আর কথা গুলো বলছে )
কাঁদতে কাঁদতে বসে পরে মেঘ ,
নিচে থাকা সার্ভেন্ট রা মেঘের কান্না শুনছে কিন্তু বুঝতে পারছে না মেঘ কি বলছে কারন মেঘ ত বাংলা ভাষা ব্যাবহার করছে,
আমান মেঘর হসপিটালে যাওয়ার খবর অনেক আগেই পেয়ে গেছে,
দেরি না করে সে মেঘের বের হবার সাথে সাথে ডক্টর এর সাথে কথা বলতে যায়,
ডক্টর এর কথা গুলো শুনে সে সোজা বাসায় চলে আসে ,
বাসায় এসে রুমে যাবে এমন সময় মেঘের কান্না করে বলা সব কথা গুলো আমান শুনে ফেলে ,
আমানের চোখে পানি গড়িয়ে পরছে বৃষ্টির পানির মতো ছুয়ে ছুয়ে দিচ্ছে ।
মেয়েটার সাথে অন্যায় হচ্ছে ।
কিন্তু আমানের হাত পা ও যে বাঁধা।
— মেঘ শান্ত হ ।
— হাতে পারছি না শান্ত ।
আমায় বাংলাদেশে পাঠিয়ে দে মেহেজাবিন আমারে বাঁচাতে চাইলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দে,
— কিন্তু ভাইয়া রাজি হবে না ।
মেহেজাবিন মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
মেঘ কাঁদছে এর মধ্যে আমান চোখের পানি মুছে মুড নিয়ে রুমে ঢুকে,
মেহেজাবিন মেঘকে জড়িয়ে রেখেছে এখনো,
আমান আসাতে মেঘ আমানের দিকে তাকায়,
মেহেজাবিন মেঘকে ছেড়ে দেয়,
— আমি এখন আসছি খেয়ে নিস প্লিজ।
মেহেজাবিন চলে যায়,
মেঘ চোখ মুছে সেখান থেকে উঠে দরজার দিকে এগিয়ে আসে,
বাইরে যাওয়ার আগেই আমান মেঘের সামনে নিজের হাত দিয়ে দরজা আঁটকে দেয়,
এতে দরজাও আঁটকে যায় মেঘও আঁটকে যায়,
মেঘ চোখ বন্ধ করে আমানের দিকে তাকায়,
— কোথায় যাচ্ছো ( আমান )
— পাশের ঘরে।
— কেন ?
— মরতে,
মেঘের কথায় আমানের রাগ হয়ে গেল,
মেঘের হাত দুটো ধরে দেয়ালে আঁটকে ধরে,
– -আহ আমার ব্যাথা লাগছে,
— তুমি কি বললে?
— আমার যা ইচ্ছে তাই বলতেছি।
— পারো না বলতে।
— ছাড়ুন পথ ছাড়ুন।
— তুমি কোথায় যাওয়ার কথা বলছো?
— বাংলাদেশ যাবো আমি।
— না।
— আপনার কথা মতো না।
— তোমার ছাড় দিয়েছি বলে কি ভেবেছো অনেক বেশি উড়বা।
তা হবে না মিসেস. খান বিয়ের আগের এগ্রিমেন্ট এর কথা মনে আছে?
কি মনে হয় আপনাকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছি,
ভালোবেসে বিয়ে করলে কি এগ্রিমেন্ট করতাম।
মেঘ আমানের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ভালোবাসার জায়গা টা ঘৃণায় পরিনত হচ্ছে এখন,
আমান হাত নামিয়ে পেছনে ফিরে,
–আমার বাচ্চার সুস্থাতার জন্য তোমায় খেতে হবে সুস্থ থাকতে হবে।
আমার বাচ্চার কিছু হলে মনে রেখো তোমার পরিবার কে আমি ছেড়ে দিবো না।
তাই যা করবে ভেবে চিন্তে করবে।
কথাটা বলে আমান তোয়ালে নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়
মেঘ সেখানে দাঁড়িয়ে আমানের জাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়,
এই মানুষ টাকে সে কেন এতো ভালোবেসে ফেলেছিল।
কেন?
মেঘ দরজা খুলে অন্য রুমে চলে আসে,
দাঁড়িয়ে থাকার কোন ইচ্ছে নেই,
মেঘের ভিশন কষ্ট হচ্ছে,
অন্য রুমে এসে নামাজের পাটিতে কান্নায় ভেঙে পরে মেঘ,
এটাই একটা উপায় শান্ত হবার।
কাঁদতে কাঁদতে নামাজের পাটিতে ঘুমিয়ে যায় মেঘ,
আমান গোসল সেরে মেঘকে ফ্লোরে দেখে তাকে তুলে বিছনায় শুইয়ে দেয়,
আর চাদর টেনে দেয়,

মেঘের কপালে গাড়ো চুমু দেয়,
— সৃষ্টি কর্তা আমাকে বেঁধে রেখেছে ।
তোমার আমায় এখন সব থেকে বেশি প্রয়োজন কিন্তু আমি।
আমি এক জন কেয়ারলেস বাবা।
আমি এক জন বাজে স্বামী মেঘ.
আমানের চোখে পানি কষ্ট যে তার কম হচ্ছে তা কিন্তু না।
আসল রহস্য টা কি।
কেন মাহিমা মেঘকে মারতে চায়।
উত্তর ধিরে ধিরে,
,
,
,
,
মেঘের ঘুম ভাঙে বিকালে,
ঘুম ভাঙতে সমনে দেখতে পায় সার্ভেন্ট ইরা কে,
হাতে ভাতের প্লেট,
— mam
— Era Please take these from in front of me
— Ma’am, please eat, otherwise sir will take our job.
— I do not want.
— Ma’am for us please ma’am ..
ইরার আকুতি শুনে মেঘ ইরার থেকে প্লেট টা নেয়,
মেঘ বেবির কথা চিন্তা করে অল্প কিছু খেয়ে নেয়,
— Ma’am, finish it all.
– -And that’s not all.
— Mam.
– Please take these away. I feel so bad.
ইরা বুঝতে পারে মেঘ আর খাবে না তাই খাবার গুলো নিয়ে চলে যায়।
ইরা যেতে মেঘ ওয়াসরুমে চলে যায়।
মেঘের গা গুলাতে থাকে,
মেয়েটার কষ্ট হচ্ছে ভিশন।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ বার বমি হওয়ার কারনে মেঘ সিক হয়ে পরেছে,
পিঠ টা বিছনায় ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে রয়েছে,
মাথা ভার হচ্ছে,
মুড সুইং হচ্ছে,
শরীর খারাপ লাগার কানে কেন জানি না বেশ কষ্ট হচ্ছে মেঘের,
আমান অফিস থেকে এসে মেঘের রুমের দিকে উকি দেয়,
মেঘকে ওভাবে থাকতে দেখে আমান ভয় পেয়ে যায়
দৌড়ে রুমে এসে মেঘের কাছে দাঁড়ায়।
সকালে আমান এতো জোরে চেপে ধরেছিল মেঘের হাত যে ফর্সা হাত দুটো লাল হয়ে আছে।
আমান সেদিকে তাকিয়ে চোখ বুজে নেয়,
আমান মেঘের কপালে হাত দেয়
কারোর স্পর্শ পেয়ে মেঘ চোখ খুলে তাকায়,
আমান কে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয়,
শক্তি নেই ওর সাথে কোন কথা বলার,
আমান বুঝতে পারে মেঘের জ্বর আসছে,
কিন্তু কেন,
আমান মেঘকে কিছু না বলতে দিয়ে পাজকোলে তুলে নেয়,
মেঘ আমানের দিকে ক্ষিপ্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,
আমান সে দিকে পাত্তা না দিয়ে মেঘকে বেডে শুইয়ে ব্লাংকেট টেনে দেয়,

চলবে,