কষ্টের বালুচরে আমি একা পর্ব-০২ এবং শেষ পর্ব

0
516

#কষ্টের_বালুচরে_আমি_একা(২/ শেষ)
#কে_এ_শিমলা (লেখনীতে)

চোখের সামনে যা কিছু দেখলাম তার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না আমি। জিসান ভাই উনার পাশে মিরা আর উনার হাতেই আংটি। আমার পৃথিবী মূহুর্তেই থমকে গেলো। দু’কদম পিছিয়ে গেলাম আমি। আমার মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি আমি, স্বপ্নটা ভেঙে গেলেই এসব মিথ্যে হয়ে যাবে। চারপাশ থেকে হাত তালির আওয়াজ ভেসে আসছে। জিসান ভাই কী সুন্দর মিরার আঙ্গুলে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন। আজ তো মিরার জায়গায় আমার থাকার কথা ছিল, নিয়তির খেলা কী তবে এই। শেষ অব্দিও ভাগ্য আমার সহায় হলো না। যার জন্য এতোটা ভালোবাসা, যাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন বুনেছি সে অন্য কারো, কীভাবে বেঁচে থাকবো আমি।
আমার এখানে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হলো না।

এক ছোটে নিজের রুমে চলে আসলাম। রুমে ঢুকেই দরজা লক করে সেখানেই দপ করে বসে পরলাম। আমার চোখ থেকে অনবরত জল গড়িয়ে পরতে লাগলো। কেনো আমার সাথেই এমন হয়, যাকে এতো করে চাইলাম সে আমার ভাগ্যে নেই। ভাগ্যের এই নিষ্ঠুর পরিহাসে আমার জীবন মুহূর্তেই এলোমেলো হয়ে গেলো। জোরে কান্না করে দিলাম, কিন্তু আমার কান্নার আওয়াজ কোনোদিন যেভাবে কারো কানে যায়নি আজো তার ব্যতিক্রম নয়।

বুকের বাম পাশে বড্ড ব্যথা করছে। আমার সামনের দিন গুলো কেমন হবে। কীভাবে সারাটা জীবন জিসান ভাই কে ছাড়া অতিক্রম করবো। কেন এক নিমিষে আমার হাজারো স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো। কাঁদতে কাঁদতে ওখানেই সেন্সলেস হয়ে পরেছিলাম। জানিনা কতক্ষণ এভাবে ছিলাম, দরজায় কারো কঠিন করাঘাতে আমার চেতনা ফিরে।
উঠে নিজেকে ঠিক করে দরজা খুলে দেখলাম ছোট চাচি দাঁড়িয়ে আছেন। আমাকে দেখে বলে উঠলেন কখন থেকে ডাকছি তোকে,আর তোর এই অবস্থা কেনো। এখনো অনুষ্ঠানের পোশাক গায়ে পরিবর্তন করিসনি।
আমি বললাম কিছু না চাচি এমনি হালকা মাথা ব্যথা করছিল তাই শুয়ে পরেছিলাম চেঞ্জ করিনি।
কিছু বলবে তুমি?
চাচি: ওহ! এখন কমেছে ব্যথা
আমি : হ্যাঁ কমেছে।
চাচি: ঠিক আছে খেতে আয় অনেক রাত হয়েছে,বলে চাচি চলে গেলেন।
আমি জামা-কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলাম। মাথাটা ঝিমঝিম করছে গোসল প্রয়োজন। আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই আঁতকে উঠলাম।
চোখ দু’টো ফুলে উঠেছে সাথে মুখটাও ফুলে থমথমে হয়ে আছে।
আমি ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে দেখলাম মিরা ছাড়া সবাই আছে। সবাই খাওয়া শুরু করে। হঠাৎ ছোট চাচা বলে উঠলেন- মিরা মামনি কোথায় ও কী আমাদের সাথে খাবে না।
উনার কথার প্রতি উত্তরে ছোট চাচি বলে উঠলেন: খাবে তো, জিসান বাবার সাথে কথা বলছে শেষ করেই আসছে।

চাচির কথা শুনে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো। কান্না’রা দলা পাকিয়ে আসছে। গলা দিয়ে খাবার নামছেনা, অনেক যুদ্ধ করার পর ব্যর্থ হয়ে উঠে পরলাম খাবার রেখে। দ্রুতপায়ে রুমে চলে আসলাম,দরজা লক করে ব্যলকনিতে চলে গেলাম।
হাঁটু মুড়ে বসে পরলাম ওখানে, চিৎকার কান্না করলে হয়তো বুকের চাপা কষ্ট গুলো হাল্কা হতো। কিন্তু আমি পারছিনা চিৎকার করে কান্না করতে নিঃশব্দে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে নয়নজোড়া থেকে। মাথার চুল খামচে ধরলাম, হঠাৎ কারো হাসির আওয়াজ কানে আসে।
আমি দাঁড়িয়ে খুঁজতে লাগলাম হাসির আওয়াজ কোথা থেকে আসছে। চোখ যায় মিরার ব্যলকনিতে, লাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ও-ই হাসছে। হয়তো জিসান ভাইয়ার সাথে কথা বলছে।

জিসান ভাই কেন এমন করলো আমার সাথে।উনি তো জানতেন আমি উনাকে ভালোবাসি। কতটা স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছি উনার জন্য। আর সেই উনি কী না আমারই চাচাতো বোনকে বিয়ে করছেন।
আমি রুমে চলে আসলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে ঝর্নার নিচে বসে চিৎকার করে কান্না করছি, কিন্তু আমার কান্নার গুলো চারদেয়ালে বন্দি। জানি না কতটা সময় ওখানে ছিলাম ওইভাবে। আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে পরি। নামাজের মধ্যেও চোখের অবাধ্য জল গড়িয়ে পরছে। আমার এসব মুহূর্ত গুলোতে মনে হচ্ছে সত্যিই আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নেই। এ কেমন ভাগ্য আমার যা চাই তাই হারাই।
আমি কী কখনোই ভালোবাসার দেখা পাবোনা এ জীবনে। নামাজ আদায় করে কাঁদতে কাঁদতে জায়নামাজেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম। ঘুম ভাঙ্গে আবারো আজানের ধ্বনি শুনে, উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
মাথাটা হাল্কা ব্যাথা করছে অনুভব করলাম। আমি নিচে কিচেনে গেলাম, দেখি অনেকেই উঠে গিয়েছে।

আজ তো গায়ে হলুদ অনেক কাজ হয়তো। আমি এক কাপ রং চা নিয়ে চলে আসি ছাদে। দোলনায় পা তুলে বসে দু’হাতে হাঁটু জড়িয়ে ধরে আকাশের পানে দৃষ্টি স্থির করলাম। আকাশটা আজ পরিস্কার, মৃদু হাওয়া বইছে ভালোলাগার একটা পরিবেশ।
মাথার উপর দিয়ে এক ঝাঁক পাখি উড়ে যায়। আমার ও ইচ্ছে হলো পাখি গুলোর মতো উড়ে কোনো অচিন দেশে চলে যেতে। কোনো অচিন শহরে যেখানে কেউ থাকবে না। কোনো কষ্ট থাকবে না, অবহেলা করার মতো কেউ থাকবে না।
যেখানে থাকবে আমার একার বসবাস। শুধু আমিই থাকবো আমার জন্য।
আকাশ পাতাল ভেবে অনেকটা সময় কেটে যায় ছাদে। নিচে এসে দেখি প্রায় সবাই উঠে পরেছে। টেবিলে নাস্তা রেডি করা হচ্ছে। জানি আবার নিচে আসতে হবে, তাই একবারে নাস্তা সেরেই রুমে আসলাম।
সারাটা দিনই অশান্তিময় ভাবে কেটে যায়। সন্ধ্যা হয়ে এলো রাত বাড়বে হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হবে। আমি কাঁচা হলুদ রঙা সেই শাড়িটা বের করলাম। আজ খুব সাজতে ইচ্ছে করছে। শাড়ি পরে সাজতে বসলাম।

নাহ কোনো ভাবেই মনে হচ্ছে এই সাজ চেহারার রাখা সম্ভব নয়। চোখের জলে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে,আমি মুখ ধুয়ে নিলাম। সেই সাধারণ চেহারাটাই আমার জন্য পারফেক্ট। মাথার ওড়না বেঁধে নিলাম সাধারণ ভাবেই। বেরিয়ে আসলাম রুম থেকে, দেখা হলো মেরিন আর মারজানের সাথে। ওরা আমাকে দেখেই বললো আপু তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। আমি বিস্মিত চোখে তাকাই ওদের দিকে। কোনোকিছু বলার আগেই ওরা একপ্রকার টেনেই ছাদে নিয়ে আসলো।

ছাদে যেতেই দেখলাম অনেক সুন্দর করে স্টেজ বাধা হয়েছে। আমি সব কিছু দেখছি আর ওরা আমার সাথে পিক তুলছে। আমার মন খারাপের শহর আরো অন্ধকার হলো। এভাবে কেটে যায় রাত দশটা।

এগারোটা বাজার দশ মিনিট পূর্বে শুরু হয় হলুদ অনুষ্ঠান। মিরা আর জিসান ভাইকে একসাথে ছাদে নিয়ে আসা হয়। যেহেতু দু’জনের বাসা পাশাপাশি তাই একসাথে হলুদ অনুষ্ঠান হচ্ছে।
আমি দুর থেকে তাদের কে দেখছি। হঠাৎ বড় চাচি আর মামি ডাকলেন আমাকে ওদের কে হলুদ ছোঁয়ানোর জন্য। আমি অস্বস্তিতে পরে গেলাম, এমনিতেই দূর থেকে দেখে যন্ত্রণার অনলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। আর এখন কাছে যাবো। আবারো ডেকে উঠেন উনারা, বুঝতে পারলাম না গিয়ে উপায় নেই। অনিচ্ছা সত্বেও গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলাম ওখানে।
হলুদ নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে ছোঁয়ে দিলাম দু’জনকে। আমার গাল বেয়ে গড়িয়ে পরলো এক ফোঁটা জল। সবার আড়ালে তা মুছে নিলাম। চোখ তুলে একবার তাকাই জিসান ভাইয়ের দিকে। এই প্রথম উনাকে এতো কাছ থেকে দেখছি। মায়ায়ঘেরা উনার মুখশ্রীখানা, যার দিকে তাকিয়ে সারাটা দিন পার করা যাবে। সারাক্ষণ এই মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও দেখার তৃষ্ণা মিটবে না। আর সেই আগামীকাল অন্য কারো,কী এমন ক্ষতি হতো আমার হলে।
সরে আসলাম ওখান থেকে। নিজের রুমে চলে গেলাম। ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছি।

রাতটাও কাটাতে হবে ছটফট করে। রাত যত গভীর হচ্ছে বুকের ছটফট গুলো দিগুন আকারে বাড়ছে। এইতো আর কয়েক ঘন্টা তারপর শেষ, ভালোবাসার মানুষটা অন্য কারো হয়ে যাবে সারা জীবনের জন্য।
এসব ভাবনার মধ্যে মনে পরে ফুপির কাছ থেকে শোনা একটা তিক্ত ঘটনা। যে ঘটনা আজ আমার এই অবস্থার কারণ।
তখন আমার ছিল পাঁচ বছর, সেদিন আমাদের পুরো পরিবার ঘুরতে গিয়েছিল সাথে আমিও ছিলাম। আমার তখন হাওয়াই-মিঠাই অনেক পছন্দের ছিল। খুব খেতাম ওগুলো, সেদিন আমাদের পাশ দিয়ে একটা ছেলে এগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। আমার দেখে চিনতে অসুবিধা হয়নি, আমি আম্মুর আঁচল ধরে বলেছিলাম- আমি হাওয়াই-মিঠাই খাবো। সেদিন আম্মু হয়তো আচ্ছা দিচ্ছি বলেছিলেন। আমি আম্মুর অপেক্ষা না করেই ওই ছেলের কাছে যেতে লাগলাম। মাঝ রাস্তায় আসতেই বড় একটা গাড়ি আসে, আমি ওইদিকে তাকিয়ে মাঝ রাস্তায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলাম আমি তখন কীই বা বুঝি। গাড়িটাও আমার দিকে এগিয়ে আসছে শা-শা করে।
তখন আমাকে নজরে পরে আমার বড় ভাই মারহানের। সে দৌড়ে এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেও সে নিজে সরে যাওয়ার সময় পায়নি। সেদিন চোখের পলকে আমার নয় বছরের ভাইয়ের প্রান চলে যায়। সবকিছু এতো তাড়াতাড়ি হলো যে কেউ কিছু বুঝতেই পারলো না। সেদিন আমাকে আম্মু কিছু না বললেও ধীরে ধীরে দূরে সরিয়ে দিতে লাগলেন। আর আজো সেই দূরত্ব আমাদের মাঝে। ভাইয়া খুব আদরের সন্তান ছিলেন আম্মুর তাই আঘাত পেয়েছেন হয়তো খুব। কিন্তু পাঁচ বছরের আমিই বা কী বুঝতাম।
পরিবারের সবাই আমাকে তাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিলো। যখন বুঝতে শিখলাম তখন আর তাদের পাশে ঘেষতে পারিনা কোথাও একটা আটকে দেয়। এখন কেউ কিছু না বললেও বাড়ির অন্যান্য ছেলে মেয়েদের মতো ততটা ভালোবাসেননা। আবার অবহেলা যে করেন সেটাও বুঝতে দেননা। কাছে থেকে শত মাইলের দূরত্ব।
ফুপির কাছ থেকে এসব শুনে প্রচুর কেদেছিলাম কিন্তু আমার কী করার ছিল। শুধু সবার চোখে ছোট্ট আমি আজো দোষী।

এসব ভাবতে রাতে কীভাবে ঘুমিয়ে পরেছিলাম বুঝিনি।
সকাল নয়টা বিয়ের তোড়জোড় চলছে খুব। সবাই ব্যস্ত, কেউ তৈরি হতে কেউ সবকিছু তদারকি নিয়ে, কেউ বা আবার কনের কাছে।
আমি বিয়েতে আমার জন্য আনা লেহেঙ্গা রেখে। একটা পিংক কালার থ্রি-পিছ পরে নিলাম। নিজেকে একবার আয়নায় পরখ করলাম, নাহ খারাপ লাগছে না।
সারে দশটা বের হলাম রুম থেকে।
বাহিরে মানুষের আনাগোনা প্রচুর। সবকিছু দেখে একজায়গায় দাঁড়িয়ে পরলাম। এসব দেখতে ভালো লাগছে না আর।

বর কনে কে একসাথে বসানোর কথা বলা হয়। আমার অস্থিরতা বেড়ে যায়। নিজেকে যত শক্ত রাখার চেষ্টা করছি ততটাই ভেঙ্গে পরছি। একসাথে বসানো হয় মিরা আর জিসান ভাই কে। আজ থেকে আবারো নতুন সুখে কেউ বাঁচবে। আর কারো জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে থাকার লড়াই শুরু হবে। আজ ভাগ্যটা এমন না হলেও পারতো।

তাদের দু’জনের দিকে তাকালাম, দু’জনের মুখে লেগে আছে অমায়িক হাঁসি। কেন যেনো সহ্য হচ্ছে না মিরা কে জিসান ভাইয়ের পাশে। তবুও দোয়া করলাম দু’জনে সুখী হোক। একসাথে থাকুক সারাটা জীবন।

বিয়ের আসরে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হলো না আমার।
বেরিয়ে আসলাম ওখান থেকে দম বন্ধ হয়ে আসছিল।
হাঁটতে হাঁটতে একটা জলাভুমির পাশে এসে দাঁড়ালাম। এখানে আসা নতুন নয়, মন খারাপের প্রহরে অনেক আসি এখানে। কোলাহল পূর্ণ শহরে ঘুরে বেড়ানোর থেকে এখানেই মনে হয় শান্তি আছে।
আমার চোখ থেকে অবাধ্য জল গড়িয়ে পরতে লাগলো। আমার এই কষ্টে জর্জরিত জীবনে এমন কাউকে পাইনি যে আমাকে বুঝবে, যে আমার কষ্ট গুলো উপলব্ধি করতে পারবে।
জীবনে প্রথম জিসান ভাই কে ভালোবেসেছিলাম, আজ সে অন্য কারো।

আমার এই বেদনাময় জীবনে কাউকে পাশে পাইনি। কষ্টদায়ক জীবনে আমার শুধু আমিই।
একদিন মিরাজ ভাই বলেছিলেন তিনি নাকি আমাকে ভালোবাসেন। আমি তাকে বলেছিলাম আমার পক্ষে তাকে ভালোবাসা সম্ভব নয়। সেই থেকে ঘৃণা করেন ভাইয়া আমাকে। কী করবো আমি তো অন্য একজন কে ভালোবাসি।
তারপর উনাকে প্রায় দেখতাম একটা মেয়ের সাথে কথা বলেন,দেখাও করেন। জানতে পারলাম ওই মেয়েকে উনি ভালোবাসেন। এটাই ছিল উনার ভালোবাসা। আমি একজন কে ভালোবেসে তার জন্য শেষ অব্দি অপেক্ষা করছিলাম তবুও আজ সে আমার না। আর উনার ভালোবাসা দু’মাসেই শেষ, আদৌ এটা ভালোবাসা? নাহ এটা মোহ যা কেটে গেছে।
আমার এই কষ্টময় জীবনে কেউ আমাকে বুঝেনি। আমাকে কেউ একটু ভালোবাসেনি, একটা মমতা মাখা হাতে কেউ আগলে রাখেনি। আমার পাশে না আমার মা, বাবা, ছিল আর না পরিবার, আর না তো কোনো ভাই বোন। আমার জীবনে আমি একা সবার সাথে থেকেও একা। আর হয়তো একাকী ভাবেই বাকিটা জীবন পারি দিতে হবে।

(সমাপ্ত)