গোধূলী বেলার স্মৃতি পর্ব-০৭

0
1726

#গোধূলী_বেলার_স্মৃতি (Unexpected story)
#পর্ব- ৭
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ছোট সাহেব আমার ওড়না নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে রেখেছেন। আমি চারপাশে তাঁকিয়ে কিছুটা ইতস্তত হয়ে বলে উঠি,”ছোট সাহেব এইসব কী?আমার ওড়না ছাড়ুন। সবাই দেখবে। ” আমার কথায় ছোট সাহেব আমার ওড়না টেনে ধরেন, যার ফলে আমি উনার অনেক কাছাকাছি চলে আসি। আমি ওড়নার ছাড়াতে ছাড়াতে বলে উঠি,
“অসভ্যতার কত রুপ দেখবো আপনার? যখন তখন যে কেউ চলে আসবে। ছাড়ুন আমার ওড়না। ”
আমার কথায় ছোট সাহেব নিজের বাঁকা দাঁতের হাঁসি দিয়ে বলে উঠেন-
“নো বেবস!এখানে আপতত কেউ-ই’ আসবে নাহ। সো চিল আপ। ”

আমি কিছুটা তিক্ততার সুরে বলে উঠলাম,

“এইসব কি বলছেন ছোট সাহেব? ছাড়ুন বলছি। ”

ছোট সাহেব কিছুটা ধমকেই বলে উঠে-

“কেনো এতো ছটফটানি তোর কাজল? দিব্বি তো নাঁচতে নাঁচতে একা একা সাদির সাথে দেখা করতে যাচ্ছিস। তখন কেউ দেখবে নাহ? শুধু আমার সময়-ই’ শুধু তোর পালাই পালাই কেনো করিস? ”

আমি মুখটা বেকিয়ে বলে উঠলাম,

“সাদি ভাইয়ার সাথে আপনার তুলনা কখনো-ই’ হয়না। ”

ছোট সাহেব আমার গালদুটো চেপে ধরে বলে উঠে-
“আমার মধ্যে কি এমন নেই?বলতে পারিস আমাকে? সবসময়-ই’ শুধু সাদি ভাইয়া সাদি ভাইয়া করিস। যা প্রচন্ড বিরক্ত লাগে আমার। ”

ছোট সাহেব কথায় আমি কিছুটা অবাক হয়ে’ই বলে উঠি,
“ছোট সাহেব! আমি যা ইচ্ছে করি তাতে আপনার কি? আচ্ছা এমন নয় তো? আপনি সাদি ভাইয়াকে নিয়ে জেলাস। ”

কথাটা শুনেই উনি আমার গাল ছেড়ে আমতা আমতা করে বললেন,

“সত্যি তোর কথা শুনলে আমার হাঁসি ছাড়া কিছুই পাইনা। আমি রাফসিন শেখ রুদ্রিক কিনা সাদিকে নিয়ে জেলাস তাও তোর জন্যে? ওহ হ্যালো!নিজেকে
এতো ইম্পোর্টেন্স দেওয়া বন্ধ কর। ”

আমি কিছুটা মুচকি হাঁসলাম। সত্যি লোকটা কখন কী বলে হয়তো নিজেও বুঝেন নাহ। আমি নিজের মুখে হাঁসিটা ঝুলিয়ে রেখে’ই বললাম,
আমি তো নিজেকে কখনো-ই’ ইম্পোর্টেন্স দেইনা। তাও আপনার মতো। নিজের সাথে আমাকে মিলাতে যাবেন নাহ ছোট সাহেব। ”

—-“আপনার বুকে রাগের এক অন্যরকম দহন চলছে।যে দহনে আপনার অনুভুতিগুলো প্রায় এক প্রকার শুন্য-ই’ হয়ে যাচ্ছে। ”

ছোট সাহেব মাথাটা নাড়িয়েই বললো,

“বুঝলাম! আর কিছু?”

—-“এখন আমার ওড়না ছাড়ুন। আমার দেরী হচ্ছে। যে কেউ চলে আসবে। ”

আমার স্পষ্ট উত্তর। ছোট সাহেব আমার দিকে এগিয়ে আমার গাঁয়ে ওড়নাটা ভালো করে জড়িয়ে দেন। আমি কিছুটা কেঁপে উঠলাম। উনি আমার কানে আস্তে করে বলে উঠলাম,

“সাদির আশেপাশে যেনো তোকে না দেখি। সবসময়-ই’ দূরে দূরে থাকবি। ”

আমি উনার চোখে তাঁকিয়ে বলে উঠি,

“আপনি অদ্ভুদ। ”

—“জানি আমি। ”

—-“অনেক কিছু আছে যা আপনি জানেন নাহ।”

—-“হয়তো। আসি। ”

কথাটা বলেই উনি নিজের শার্টের হাতা ফ্লোড করতে করতে চলে যেতে গিয়েও
পিছনে ঘুড়ে শুধু একটাই কথা বলেন,
“It would be Very bad If you did not listen me”
(আমার কথা না শুনলে খুব খারাপ হবে।)

–” যাক বাবা চলে গেলো।আমাকে কী মনে করেন কী উনি? কীভাবে আমাকে থ্রেট দিয়ে চলে গেলো। আমিও কাজলরেখা।উনাকে ভয় পাই নাকি? আমি যাবো সাদি ভাইয়ার কাছে। ”

কথাটি বলে আমিও লাইব্রেরির দিকে পা বাড়ালাম।

_________________
শেখ বাড়িতে,
দিয়া সেল্ফি নিতে নিতে নীচে নামছে আর চিল্লিয়ে যাচ্ছে,
“ভাবি! ও ভাবি তাড়াতাড়ি আমার ব্রেকফাস্ট টা দাও। আমার অফিস আছে। ”

ইশানি শেখ কিছু ফাইল চেক করতে করতে বলে উঠেন,

“দুপুর বাজে ১২টা আর এখন তুই যাবি অফিসে?মানে বড় ভাই-বোনের অফিস বলে নিজের ইচ্ছেমতো অফিসে যাচ্ছিস? ”

দিয়া নিজের ফোন বের করে একটা সেল্ফি তুলে বলে উঠে-
“আমি ভাই সিংগাল মানুষ। আর এমন নয় যে তোমাদের অফিস বলে তোমরা আমাকে এমনি এমনি চাকরী দিয়েছো। আমি নিজ যোগ্যতায় ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে চাকরী পেয়েছি। ”

ইশানি শেখ কিছু বলবে, তার আগেই জেসমিন শেখ
ব্রেকফাস্ট হাতে নিয়ে চলে আসে।

—-“অনেক কথা হয়েছে,এইবার চটপট করে খেয়ে নে। ”

জেসমিনের কথায় দিয়া উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠে-

“ভাবি আজকে কী স্পেশাল করেছো? ”

–“তোর ফেভারিট লুচি। ”

—“ওয়াও লাভ ইউ ভাবি। আসো এই খুশিতে সেল্ফি তুলি। ”

দিয়ার কথায় জেসমিন শেখ বলে উঠে,

“আমার এখন সময় নেই। তুই খেয়ে নে। ”

ইশানি শেখ রাগান্বিত সুরে বলেন,

“এইসব কী? সকালে দিয়া এইসব তেলে ভাজা খাবার খাবে? আচ্ছা জেসমিন তোমার কী কমন্সেস নেই। জানো এতে শরীরে কত ক্ষতি হতে পারে? ”

দিয়া কিছুটা বিড়বিড় সুরে বলে উঠে-

” দিয়া তাড়াতাড়ি এখান থেকে কেটে পড়। নাহলে তোর এই ভয়ংকরী আপা লেকচার দিয়ে তোর কান ঝালাপালা করে ফেলবে। এইসব লেকচারের থেকে সেল্ফি তুলা ঢের ভালো। ”

দিয়া আপনমনে কথাটি ভেবে গপগপ করে লুচি মুখে পুরে নেয়।

——-“আমার খাওয়া হয়ে গিয়েছে। আমার অফিস আছে যেতে হবে। ”

কথাটা বলেই দিয়া তাড়াতাড়ি ব্যাগটা নিয়ে দেয় এক দৌড়।

—-“আরে আস্তে বাবা। সাবধানে যাবি। ”

কথাটা বলেই জেসমিন হেঁসে রান্নাঘরে চলে যান। ইশানি শেখ আবারো ফাইল চেক করতে থাকেন তখনি তার ফোনটি বেজে উঠে তিনি নাম্বার টা দেখে তাড়াতাড়ি কেটে দিয়ে, শুধু একটি মেসেজ করে দেন।

“আমাকে এখন ফোন দিও নাহ। আমি যত দ্রুত সম্ভব আসছি। ”

_____________________

সিথি মুখটা কাচুমাচু হয়ে বলে উঠে,
“সাদি ভাইয়া তোমার কথামতো সব তো হলো। এখন কী ভাইয়া কাজলকে লাভ ইউ বলে দিবে। ”

সাদি বইয়ের ফাঁক দিয়ে মাথাটা বের করে বলে উঠে-

“এতো সহজ? তোমার ভাই যা হিটলার। মনে তো হয়না এতো সহজে নিজের ভালোবাসাটা বুঝবে। ”

সিথি মুখ বেকিয়ে বলে উঠে-
“খুব খারাপ হচ্ছে সাদি ভাই। একদম আমার ভাইকে হিটলার বলবে নাহ। তুমি ভাইকে এইসব বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলেছো যদি কাজল শুনে কত রাগ করবে। ”

সিথির কথায় সাদি বলে উঠে-
“আমি যা করেছি তা তো রুদ্রিক আর কাজলকে এক করার জন্যে। তাছাড়াও আমি তো বুঝি আমার বন্ধুটার মনে কাজলের প্রতি এক সুপ্ত ভালোবাসার অনুভুতি আছে। ”

সিথিও তাল মিলিয়ে বলে উঠে-

“কাজল যদি ভাইয়ুর জীবনে চলে আসে,তাহলে কাজল ভাইয়ুকে ঠিক পরিবর্তন করতে পারবে। কিন্তু আমার ভাইয়ু তো নিজের ফিলিংস টাই বুঝতে চাইছে নাহ। ”

তখনি আমি এসে বলে উঠি,

—“তোরা কিসের ফিলিংস এর কথা বলছিস? ”

কাজলকে দেখে সিথি গলাটা পরিষ্কার করে বলে,

“আরে আমরা তো জাস্ট ফাংশন নিয়ে কথা বলছিলাম। ”

——“কিন্তু কাজল তোমাকে তো আমি সেই কখন ডেকে পাঠিয়েছিলাম। এখন এলে যে? ”

সাদি ভাইয়ার প্রশ্নে আমি কী বলবো বুঝতে পারছি নাহ। কীভাবে বলবো তার বন্ধু তাকে নিয়েই সংদেহ করছেন।

এদিকে সাদি ও সিথি মিটিমিটি হাঁসছে। সিথি কোনোরকম হাঁসি থামিয়ে, কাজলের হাত ধরে বলে উঠে,

“ঠিক আছে চল। তোকে এখন আর বলতে হবে নাহ।”

—–“কিন্তু আমরা এখন কোথায় যাবো? ”

—-“কোথায় আবার ভার্সিটির অডিটোরিয়ামে। সেখানে ভার্সিটির প্রগোমে যারা নাম দিয়েছে তাদের সিলেক্ট করবে। ”

—“তো আমি সেখানে গিয়ে কী করবো?

আমার প্রশ্নে সিথি কিছুটা দম নেওয়া গলায় বলে উঠলো,
“আমি তোর নাম দিয়ে দিয়েছি। না মানে তুই তো ভালো গান গাইতে পারিস। তাই আর কি। ”

আমি রাগ করতে গিয়েও সাদি ভাইয়া আমাকে আমাকে থামিয়ে বলে উঠেন,

“আচ্ছা কাজল সিথি যখন নাম দিয়েই দিয়েছে তখন না হয় একবার চলো। ”

—-“কিন্তু এর আগে আমি কখনো গানে নাম দেইনি। গান সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই।

সিথি আমার কাঁধে হাত রেখে বলে উঠে-

–“একবার চল নাহ। প্লিয।”

_________________________

.ভার্সিটির অডিটোরিয়ামে কিছু কাগজ চেক করছে রুদ্রিক। প্রচুর ব্যাস্ত সে। ভার্সিটির ভিপি হওয়ার সুবিধার্থে সিলেকশন এর দায়িত্ব এসে পড়েছে রুদ্রিক ও তার বন্ধুদের উপর।
অংশগ্রহংকারী সব মেয়েদের নজর-ই’ যাচ্ছে শুধু রুদ্রিকের দিকে। রুদ্রিকের চোখ জোড়া বেশ ছোট। তার চোখের দিকে তাঁকালে যে কেউ প্রেমে পড়তে বাধ্য। তার মধ্যে রুদ্রিকের সিল্ক চুলগুলে সবসময় রুদ্রিকের ফর্মা কপালে লেপ্টে থাকে। যা আরো বেশি আকর্ষনীয়।

অন্যারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে,

—-“দেখেছিস আমাদের ভিপিটা কি কিউট? ”

—“হুম রে হাঁসলে বেশি কিউট লাগে। উনার কাছে অডিশন দিতে আমি হাজারোবার প্রস্তুত। ”

জেনি শুধু অপলকভাবে রুদ্রিককে দেখে যাচ্ছে। সে ভাবতেই পারছে নাহ। রাফসিন শেখ রুদ্রিক তার বয়ফ্রেন্ড।

—-“জেনি ডার্লিং আমাকে দেখা শেষ হলে, প্রতিযোগীদের এক এক করে ডাকা শুরু করো। ”

রুদ্রিকের কথায় জেনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে–

“হ্যা হ্যা ডাকছি।”

তন্ময় কিছুটা হেঁসে বলে,

“জেনির কী দোষ বল? একটু ভালো করে তাঁকিয়ে দেখ সব মেয়ের নজর শুধুই তোর দিকে। ”

রুদ্রিক এক পলক বাঁকা হেঁসে আবারোও কাজে মন দেয়।

আমরা অডিটোরিয়াম এর ভিতরে ঢুকতেই দেখি মেয়েদের ভীর যেনো উপচে পড়ছে। সিথি কিছুটা অবাকের সুরে বলে উঠে-

“এরা সবাই অডিশন দিতে এসেছে? ”

—-“আসবে নাহ আবার। তোমার ভাই অডিশন নিচ্ছে বলে কথা।”

সাদি ভাইয়ার কথায় সিথি কিছুটা শুকনো ঢুক গিলে বলে,

“ভাই নিচ্ছে অডিশন। আমি তাহলে গেলাম। আমার দরকার নেই। ”

সিথি চলে যেতে নিলে আমি সিথির হাত খপ করে বলে উঠি-

“তোর ভাই বাঘ নাকি ভাল্লুক? আমাকে এখানে এনেছিস তুই এখন এখন তুই-ই’ চলে যাচ্ছিস। ”

সাদি নিজের চশমাটা ঠিক করে বলে উঠে-

“হুম আমার মনে হয় কাজল ঠিক-ই’ বলছে। চলো আমি বরং এগিয়ে যাই। ”

–“আমি যাচ্ছি কিন্তু আমি তোমাদের পিছনে থাকবো। ”

সাদি হেঁসে বলে, ‘ঠিক আছে। ‘

—“রুদ্রিক দেখ কে এসেছে আমাদের সাদি এসেছে কী সোভাগ্য আমাদের। ”

শোভনের কথায় রুদ্রিক সাদির দিকে তাঁকায়। সাদির পিছনে সিথি দাঁড়িয়ে আছে নিজেকে আড়াল করে।

——“তা সাদি তোর তো এখন লাইব্রেরিতে থাকার কথা। এখানে কেনো এসেছিস? ”

পলকে কথায় সাদি বলে উঠে-

“নাহ জাস্ট এমনি-ই’ দেখতে এলাম। অডিশন কেমন চলছে। তাছাড়া সিথি ও কাজলও অডিশন দিবে।”

সাদির সাথে কাজলকে দেখে রুদ্রিক দাঁত কিড়মিড় করে কাজলের দিকে তাঁকায়।

ছোট সাহেবের দৃষ্টি উপেক্ষা করে আমি অন্যদিকে তাঁকাই।

জেনি আপু এইবার হেঁসেই বলে উঠে-

“কাজল গানে নাম দিতে এসেছে? গানের গ পারে কিনা সে নিয়ে আমার যথেষ্ট সংদেহ আছে। নাহ মানে কখনো তো দেখলাম নাহ। কখনো কোনো গানে অংশগ্রহন করতে। এখানে যাকে তাকে গানে নেওয়া যায়না। ”

জেনির কথায় অডিটোরিয়ামে সবাই হেঁসে দেয়। রুদ্রিক ও হেঁসে বলে উঠে-

“ইউ আর রাইট জেনি ডার্লিং! সত্যি যে কেউ চলে আসে। যাদের গান গাওয়া নিয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ও নেই। সাদি তুই বরং তোর কাজলকে নিয়ে গানের শব্দ গুলো ভালো করে শিখিয়ে নিয়ে আয়। তারপর গানে অংশগ্রহং করার জন্যে নিয়ে আসিস।”

রুদ্রিকের কথায় সিথি ও সাদি বাদে সবাই আরেকদফা হেঁসে উঠে।

জিনি আপু বলে উঠে,।

“কাজল তুমি আপতত যাও। নিজেকে আর হাঁসির পাত্র বানিয়োও নাহ। ”

আমি শুধু সকলের দিকে এক পলক তাঁকিয়ে মুচকি হেঁসে বলে উঠি,

“হঠাৎ হঠাৎ হাঁসাহাঁসি করা শরীরের জন্যে ভালো। ডক্টররাও আমাদের সবসময়-ই’ সাজেস্ট করে থাকেন উচ্চস্বরে হাঁসাহাঁসি করা উচিৎ। আমার মনে হয় আমার জন্যে সবাই হাঁসিহাঁসি করে যদি নিজেদের শরীর ভালো রাখতে পারে, তাহলে এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে? আমার তো এখন নিজেকে নিয়ে প্রাউড ফিল হচ্ছে। ”

আমার কথা শুনে সবাই হাঁসাহাঁসি বন্ধ করে আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাঁকায়।

.
.বাকীটা আগামী পর্বে……..
চলবে…….