চোখের দেখাই সব নয় পর্ব-০৫

0
202

#চোখের_দেখাই_সব_নয়
#পঞ্চম_পর্ব

আমি কাঁপা হাতে ফোন রিসিভ করে যখন মারুফের কান্না জড়িত কন্ঠ শুনতে পেলাম। তখন আমার শরীরের সাথে অন্তর আত্মা পর্যন্ত কেঁপে উঠলো! কাঁপুনির চোটে ফোনটা প্রায় হাত থেকে পড়ে যাবার উপক্রম হলো।

বুঝতে পারলাম আমার এই অবস্থা হবার কারণ হচ্ছে। একে তো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে মাসুদের ফোনে মারুফের কন্ঠ স্বর শুনতে পেলাম। দ্বিতীয় তো মারুফের কান্না জড়িত কন্ঠ ! মারুফ কে আমি কখনো এমন ভাবে ভেঙে পড়তে দেখিনি। ও সহজ সরল কিন্তু খুব মনোবলের অধিকারী একজন মানুষ।

শুনেছি, মারুফ অতি সহজেই ভেঙে পড়ে না। অনেক বি*পদের মধ্যে তাঁকে আমি স্থীর থাকতে দেখেছি। মারুফ কখনো এমন ভাবে ভেঙে পড়তে পারে, তা যেনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আমার! মারুফ অপর প্রান্ত থেকে কেঁদেই চলছে। আর আমি কি বলবো? আমার কথাগুলো কোন এক অজানা ভ*য়ে গলার মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে।

মারুফ হৃদয় গভীরে জমে থাকা কান্নার ঢেউ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় মিনিট কয়েক আমি চুপ করে ওর কান্নার আওয়াজ শুনে গেলাম। আর মারুফ মনে হলো প্রাণপণ চেষ্টা করছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে?

অবশেষে সে একটু নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে কথা বলা শুরু করলো। সায়মা! তুমি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো? আমি জড়ানো কন্ঠে শুধু জবাব দিলাম, হুম! মারুফ কান্নায় ভেঙে পড়ে বললো, সায়মা তুমি একি স*র্বনাশ করলে আমার! সব যে একেবারে শেষ করে দিলে তুমি! আমার এতোদিনের সাধনা এক নিমিষেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে গেলে তুমি! আমি কতটা কষ্ট করে তাঁকে খুঁজে পেয়েছিলাম।

আমি কিছু বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম, আমি তোমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছি? কি করেছি আমি! কিসের জন্য তুমি আমাকে এমন মিথ্যা দোষারোপ করছো মারুফ? আমি তো তোমার কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছি না!

মারুফ আমার কথা শুনে রে*গে উঠে বলে, আমার এই ব্যাথা তুমি কোনদিনই বুঝতে পারবে না, সায়মা! তুমি বলছো আমি মিথ্যা অভিযোগ করছি! একটি বার যদি আমার কথা সেদিন তুমি বিশ্বাস করতে তবে এই ব্যাথা আজ আমাকে পেতে হতো না। তোমার একটু সন্দেহ, একটু ভুলের জন্য যে ব্যাথা আমি আজ পেয়েছি। কেমন করে এই ব্যাথা আমি সইবো জানি না! তুমি বলতে পারবে সায়মা? জানি পারবে না!

ওর কথা শুনে আমার রীতিমতো রাগ হচ্ছে। তাই জিজ্ঞেস করলাম আমি তোমার মনে ব্যাথা দিয়েছি নাকি তুমি আমার মনে কষ্টের পাহাড় গড়ে দিয়েছো? এখন উল্টো আমাকেই দোষারোপ করে নিজের দোষ ঢাকতে চাইছো?

তুমি সুস্থ নও মারুফ! আগে সুস্থ হয়ে তারপর আমাকে দোষারোপ করতে এসো।

মারুফ ঘৃ*ণা মিশ্রিত কন্ঠে বলে, হ্যা আমি সুস্থ নই! আমি ভালো নেই। এরজন্য শুধু মাত্র তুমিই দায়ী! তোমার মতো মানুষের সাথে কেউ ভালো থাকতে পারে না, সায়মা! কেউ সুস্থ থাকতে পারে না।

মারুফের কথাগুলো শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না,আমি! রীতিমতো গা জ্বলে উঠলো আমার। তাই রে*গে গিয়ে বললাম, যা বলতে চাও সোজাসুজি বলে ফেলো! তোমার এই ন্যাকামি আমি আর সহ্য করতে পারছি না।

মারুফও ঠিক আমার মতোই রে*গে গিয়ে বলে, আমি জানি আমার কথা এখন তোমার ভালো লাগবে না! নিজের দোষ শুনতে পৃথিবীর কোন মানুষেরই ভালো লাগে না। জানি তুমিও তা শুনতে চাইবে না, এতে আর আশ্চর্য হবার কি আছে?

কিন্তু তোমাকে আজ আমার সব কথা শুনতেই হবে! যদি সেদিন অমন নির্দয়ভাবে ভাবে তাঁকে অ*পমান না করতে সায়মা। তবে হয়তো আজ এমন পরিস্থিতি দেখতে হতো না, আমাকে? শুধুমাত্র নিজের মিথ্যা স*ন্দেহের বশবর্তী হয়ে একজন অসহায় নারীকে তুমি নি*র্মম ও জ*ঘন্য ভাবে অ*পমান করেছো।

আর তাঁকে ঠেলে দিয়েছো মৃত্যুর দিকে! তবুও জিজ্ঞেস করছো, তুমি কি করেছো? আরে তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয় একজন মানুষের জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছো! সে তোমার অ*পমান সইতে না পেরেই অমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

তুমি জানো না সায়মা! নিজের অজান্তেই আমার কতো বড় ক্ষতি করেছো তুমি! আমি কখনো তোমাকে ক্ষমা করবো না। আরে পাষাণী তুমি জানো না, সে আমার কে ছিলো? আমি তোমাকে ঘৃ*ণা করি সায়মা! নিজের অজান্তেই অনেক বড় পা*প করেছো তুমি।

এখন তো তোমার হৃদয় শান্তি পেয়েছে? আমার বোন আর এই পৃথিবীতে নেই! তোমার দেওয়া নি*র্মম নি*ষ্ঠুর জ*ঘন্য অ*পমানের নিদারুণ যন্ত্রণা সইতে না পেরে তিনি চলন্ত ট্রাকের নিচে গিয়ে পড়েছেন! আজ সেই খুশিতে তুমি আনন্দ ফূর্তি কর গিয়ে!

যাও! সায়মা যাও! তোমার মনের বাসনাই আজ পূর্ণ হয়েছে। আর কোনদিন সে তোমার সামনে আসবে না। আর আমিও কোন দিন তোমার সামনে আসবো না!

এই কথা বলে মারুফ ফোন রেখে দিলো। মাঝখানে আমার মনটা একটু নরম হয়েছিল কিন্তু আজ মারুফের কথা শুনে সেখানে মারুফের জন্য কোন জায়গা আর রইলো না।

বসে বসে কাঁদছিলাম আর ভাবছিলাম আমাদের সুখের সংসারটা আর বেঁধে রাখা হলো না। এমন সময় মা এসে জিজ্ঞেস করলেন, কি কথা হলো রে? আমি নিরুত্তাপ কন্ঠে জবাব দিলাম, মা! আমাদের সংসারটা আর টিকানো যাবে না।

আজ আমাদের দুজনের কারও মনেই একে অপরের জন্য এতোটুকুও জায়গা নেই, মা! আমার মুখে এমন কথা শুনে মা বললেন, শোন মা! জীবনটা ছেলে খেলা নয়! সংসারে একটু ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। তাই বলে আলাদা হয়ে যেতে হবে নাকি?

আমি একটুখানি হেসে জবাব দিলাম, মা আমি জানি তুমি দোষটা আমার ঘাড়েই চাপাবে। কিন্তু কথাটা আশ্চর্যের হলেও সত্যি! মারুফও এখন আর আমার সাথে থাকতে চাইছে না। এর মানেটা কি তাও কি তোমাকে বুঝিয়ে বলতে হবে?

মা আমার কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কিন্তু কেন? সে বলছে সেই মহিলা নাকি আ*ত্মহ*ত্যা করেছে! আর তোমার আদরের জামাই সেই দায়ভার সম্পূর্ণ ভাবেই আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমিই নাকি এরজন্য দায়ী! সে আর কোনদিন আমার সামনে আসবে না। আর তাঁকে তার বোন বলেও দাবি করতে ছাড়েনি!

এটা ঠিক মায়ের সাথে মাসীর গল্পের মতো হয়ে গেল না, মা! আর যদি দূর সম্পর্কের কোন বোনও হয়, তবে এমন কথা গোপন করে অন্যায় করেনি সে? আমি তাদের যে ভাবে দেখেছি তাতে যে কারও স*ন্দেহ হবে।

আর সত্যিটা মারুফ ও ঐ মহিলা ছাড়া আর কেউ জানে না। তারপরেও মারুফ ল*জ্জিত না হয়ে উল্টো আমার উপর দোষারোপ করে নিজে নির্দোষ হতে চাইছে। এমন প্র*তারকের সাথে এতোদিন আমি কেমন করে সংসার করে এসেছি মা! তা ভাবতেই আমার গা রীতিমতো ঘৃ*ণায় ঘিনঘিন করছে। এখন তুমিই বল মা! এতোকিছুর পরেও আমি ওর পায়ে গিয়ে পড়ি?

তুমি হয়তো মেয়ের সংসার বাঁচাতে এই কথাতেও মত দিতে পারো? কিন্তু আমি কোনদিন এতোটা নীচে নামতে পারবো না মা!

মা এই বিষয়ে আর একটি কথাও আমাকে বললেন না। তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন একমাত্র সময়ই বলে দেবে আমাদের সম্পর্কের কি হবে?

এভাবেই কেটে গেল মাস খানেক। মারুফ বা তাদের পরিবারের কেউ আমাকে একটা ফোন পর্যন্ত করলো না। বাড়ি এসে খোঁজ নেওয়া তো দূরের কথা। এরমধ্যে হঠাৎ একদিন আমার এক পুরোনো বান্ধবীর সাথে দেখা হয়। তাঁর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলতেই সে সব শুনে মন্তব্য করলো। এসব পুরুষ মানুষকে একদম ছাড় দিবি না। এই সমস্ত পুরুষ মানুষের কারণেই নারীর জীবন দুঃখ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।

যা বললি আমাকে তাতে মারুফের কাছ থেকে যতো তারাতাড়ি পারিস ডিভোর্স নিয়ে নে! পরে হয়তো দেখবি তোকে নানান কথায় ফুসলিয়ে কারেন্ট জালের মতো আঁটকে ফেলেছে। একদম বিশ্বাস করবি না তার কোন কথা! সময় করে আমার ওখানে আসিস। আমি সব ব্যবস্থা করে দেবো তোকে! এই বলে বান্ধবী মুনা একটা কার্ড এগিয়ে দিলো আমার দিকে। ওতে ওর মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা লেখা আছে। আমি ওর কথায় যুক্তি খুঁজে পেলাম।

ভেবে দেখলাম মুনার কথাই ঠিক! যে মানুষ শুধু শুধু দোষারোপ করতে পারে, সে হয়তো ভোল পাল্টে তোষামোদও করতে পারে? কিন্তু আমার মনে আর দাগ কাটতে পারবে না সে!

দুদিন পরে মাসুদের ফোন এলো। আমি রিসিভ করে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বললাম। কুশল বিনিময়ের পরে মাসুদ জিজ্ঞেস করে কবে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছো ভাবী? আমি সোজাসাপ্টা জবাব দিলাম, এতো কিছুর পরেও তুমি এমন কথা বলছো মাসুদ! আমি তো আর তোমার ভাইয়ের সংসারে ফিরে যাচ্ছি না।

মাসুদ অনেক করে বুঝিয়ে বললো আমাকে। সেদিনের সেই ঘটনা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আর কিছুই না। তুমি ফিরে যাও ভাবী! সংসারটা এমন করে ভেঙে দিও না। আমি আমার কথা জানিয়ে দিলাম মাসুদকে। আমি আর তোমাদের দুই ভাইয়ের কারও কথা বিশ্বাস করি না! ফোনটা রেখে দাও। আমার খুব মাথা ধরেছে!

মাসুদ আর কোন কথা না বলে, ফোনটা রেখে দিলো।

এরমাঝে একদিন মা আমাকে বললেন, যাই করিস মা! বোঝে শুনে করিস। নিজের আবেগ ও কারও কথায় ভুল সিদ্ধান্ত নিস না। তবে হয়তো একদিন তোকে আফসোস করতে হবে।

আমি বান্ধবী কে নিয়ে একজন উকিলের সাথে কথা বলতে যাবো। এমন সময় মাসুদ সশরীরে আমাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত। আমাকে দেখে মাসুদ জিজ্ঞেস করে ভাবী কোথাও যাচ্ছো? সত্যি কথাই বললাম, হুম! একজন উকিলের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। আমার কথা শুনেই মাসুদ সব বোঝে গেল।

মাসুদ বললো ঠিক আছে তুমি আমাকে আধ ঘন্টা সময় দাও! তারপর যেখানে খুশি সেখানে যাও। মা ওকে ঘরে নিয়ে যেতে ইশারা করলেন। আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওর সাথে একান্তে কথা বলতে হলো।

মাসুদ সোফায় বসেই বললো, ভাবী! আমি তোমাকে নিতে এসেছি। তুমি সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে চল আমরা এখনই ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেবো। ওর কথা শুনে রীতিমতো গা জ্বলে উঠে আমার। বললাম তোমাকে কে বলেছে আমি তোমার সাথে ঢাকা যেতে চাই? মাসুদ তৎক্ষনাৎ জবাব দেয়, কেউ বলেনি ভাবী। আমি তোমাদের একটুখানি ভুল বোঝাবুঝির জন্য এতো সুন্দর সংসারটা ভেঙে যেতে দেবো না।

ভাইয়াও গো ধরে আছে, তুমিও জেদ ধরে আছো! আমি তোমাদের এক করতেই এসেছি। চল আমার সাথে! আমি মাসুদের চোখে চোখ রেখে জবাব দিলাম, যার উপর বিশ্বাস নেই! তার সাথে তুমি এক ছাদের নিচে সংসার করতে বলছো?

মাসুদ পকেট থেকে একটা চিঠি বের করে দিয়ে বললো, তোমার সব স*ন্দেহ দূর হয়ে যাবে ভাবী! এটা ভালো করে পড়ে দেখো। মাসুদের বারবার অনুরোধ করার পরে চিঠিটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়তে শুরু করলাম।

প্রিয় ভাই আমার,,,

নিজের ভালোর কথা চিন্তা করে এসে তোর মন্দ হয়ে গেল। আমি তা কখনোই চাইনি। আমি জানি তুই যখন জানতে পারবি আমি চলে গেছি তখন তুই মনের মধ্যে খুব আ*ঘাত পাবি। আমি জানি তুই মায়ের চাইতে আমাকে বেশি ভালোবাসিস! এতোটা ভালোবাসা পাবার যোগ্যতা আমার নেই রে সোনা!

চোখ বন্ধ করলেই তোর সেই ছোট বেলার ছবিটা এখনো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে। কত শান্ত স্বভাবের ছিলি তুই। কোন সময় কারও সাথে তোর ঝ*গড়া হতো না। জানিস তুই যখন একেবারে বাচ্চা ছিলি। কি মিষ্টি দেখতে ছিলি তুই? আমি তাই তোকে সবসময় কোলে কোলে রাখতাম। খেলতে গেলেও তোকে কোলে নিয়ে খেলাতাম।

কখনো যদি কোল থেকে তোকে নামাতাম, তোর সে কি কান্না! তাই বলতে গেলে আমার কোলেই তুই বড় হয়েছিস। হয়তো এই কারণে দুজনের প্রতি দুজনের মায়া মমতা একটুখানি বেশিই!

আজ যখন দেখতে পাচ্ছি আমার সেই সোনা ভাইয়ের সোনার সংসারটা আমার জন্য ভেঙে যেতে চাইছে। তখন আমি কেমন করে নিজের একটু শান্তির জন্য চুপ করে বসে থাকি?

তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি চলে যাবো। তোকে জানিয়ে তো আর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে পালিয়ে গেলাম।

সায়মাকে দোষ দিস না। যে কেউ আমাদের পরিচয় না জেনে এমন স*ন্দেহ করবে। সায়মা তোকে ভীষণ ভালোবাসে! জানিস তো যে যতো বেশি ভালোবাসে তার স*ন্দেহটাও ততই বেশি হয়। ভালোবাসা না থাকলে সন্দেহ সৃষ্টি হয় না। আবার একথাও ঠিক স*ন্দেহ করা ভালো নয়! যে স*ন্দেহ করে সেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়। আর যাকে স*ন্দেহ করা হয়, সে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়।

আমি জানি তোর অবস্থাও এখন সেই রকম। তবুও সংসারে অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হবে। নিজের প্রতি খেয়াল রাখিস। সায়মাকে বলিস ওর উপর আমার কোন অভিযোগ বা রাগ নেই। সে যা করেছে নিজের অজান্তেই!

আরেকটা কথা আমাকে আর খুঁজিস না। তোর হাতে চিঠিটা পৌঁছানোর আগেই হয়তো আমি না ফেরার দেশে ফিরে যাবো! এই পোড়াকপালির লাশটা না হয় বেওয়ারিশ হয়েই পড়ে রইলো!

ইতি তোর পোড়াকপালি বোন শ্রাবন্তী

আমি চিঠিটা পড়ে মাসুদ কে জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কয় ভাই বোন? মাসুদ দ্রুত জবাব দিলো দুই ভাই দুই বোন! আমি অগ্নি দষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তবে, আমার শ্বশুরের পাঁচ নাম্বার সন্তানটা কোথা থেকে এলো?

চলবে,,,

লেখক মোঃ কামরুল হাসান