টর্চার Part-03

0
2962

#টর্চার
#Apis_Indica
#Part_3
.
? গল্পের নায়িকার নাম অনেকের পছন্দ হচ্ছে না তাই নাম change করে রাখসি আমায়রা আশা করি পছন্দ হবে এখন সবার?

-হুট হুট আয়মানের এমন কাজ গুলো তার প্রতি খুব বাজে ভাবে ঘৃনা তৈরি করিয়ে দেয়।।
যেমনটি কিছুক্ষণ আগে তিনি করলেন।।
আমাকে ধাক্কা দিতে বলে নিজেই গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেল।।
আর তার এমন কাজে আমি টাল সামলাতে পাড়ি নি।।
ংপরে গেছি যার ফলে হাটুতে আর হাতে অনেক জায়গায় ব্যথা পাইসি।।
ঋঅনেক জায়গায় ছিলেও গেছে। অনেক কান্না আসতেসে।।
কি করবো বুঝতেসি না।।।
তার উপর একটা নির্জন জায়গা।। কিছুক্ষণ পর পর একটা বা দুইটা গাড়ি চলাচল করছে।।
আমি আস্তে আস্তে উঠে দাড়ালাম,,
আয়মানের গাড়িটা আর দেখা যাচ্ছে না।।
পাশের গাছ তলায় একটি পাথরের উপর বসলাম।।
হাটার শক্তিটুকু হাড়িয়ে ফেলেছি।।
জানি না এখন কি করবো।।
আমার ফোনটাও আয়মানের গাড়িতে রয়ে গেছে।।
মাথা কিছু কাজ করতেসে না এটা কোন জায়গা তাও বলতে পারতেসি না।।
কিন্তু ঢাকার বাহিরে তা বুঝতে পারতেসি।।
তাই মুখে দু হাত চেপে কান্না করতে লাগলাম।।
আর ভাবতেসি এখান থেকে যে কোরেই হোক বেড় হতে হবে আর একবার ঢাকা পৌঁছাতে পারলেই আর থাকবো না ঢাকা এক সালাম দিয়ে চলে যাবো।।
এই আয়মান নামক পেড়ার হাতের নাগালের বাহিরে।।।

কিছুক্ষণ পর অনুভব করলাম কেউ আমার হাতের ছিলে যাওয়া জায়গায় মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছে।।

মুখ থেকে দু হাত নামিয়ে দেখি এআর কেউ না আয়মান।।
তার চেহারার ভাব খানা এমন যে ব্যথাটা ওই পেয়েছ।।(আমায়রা)
– আমায়রার সাথে দুস্টমি টা বেশি হয়ে গেছে আমি শুধু ওকে ভয় দেখাতে চেয়েছি।।
এমন কিছু হয়ে যাবে ভাবতে পাড়িনি।।
গাড়ি বেক করে এসে দেখি ও গাছের নিচে বসে মুখে ২ হাত গুজে বাচ্চাদের মতো কাঁদছে।।
আর তার হাত পা জায়গায় জায়গায় ছিলে গেসে।।
তাই ওকে মেডিসিন লাগিয়ে দিতে লাগলাম।
আর ওই আমার ছোঁয়া পেয়ে ভয় পেয়ে যায়।।
– সরি আমায়রা আমি বুঝতে পাড়িনি এমন কিছু হয়ে যাবে।।
তারপর ওকে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলাম।।
কিন্তু ওই কিছু বলছে না বুঝতে পাড়ছি ওই আমার ওপর রেগে আছে তাই কথা বলছে না।।
– সরি প্লিজ, এই দেখ কানে ধড়েছি, াআম সরি, এই দেখ নাকেও ধড়েছি প্লিজ মাফ করে দেও।। বেবি ফেস করে এখন কি পায়েও ধরতে হবে বলেই পায়ে ধরতে নিলাম,
হঠাৎ করি না বলে চিৎকার করে উঠলো।।(আয়মান)
-ওর সাথে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না।।
বাট তাছাড়া কোনো পথও নেই তাই চুপ চাপ তার কথা মতো উঠে পড়ি কিছু বলিনি।।
ও বার বার সরি বলতে লাগলো ওর সরি বলার স্টাইল গুলো খুব কিউট লাগছে আর আমার অনেক হাসি পাচ্ছে। অনেক কষ্টে হাসিটা চেপে রাখসি বাট ওই যে সত্যিই পা ধড়ে ফেলতে নিবে বুঝিনি তাই জোড়ে চিৎকার করে উঠলাম বেচারা একটু গাভ্ররে গেছে বুঝা যাচ্ছে।।
-তাই বললাম ওকে ওকে সরি বলতে হবে না মাফ করে দিলাম।।(আমায়রা)
-আমি ওর কথা শুনে মুচকি হসে একটি সং প্লে করে গাড়ি চালাতে মন দিলাম।।
কিন্তু চোখ দুটো বার বার তার দিকেই।।
কান্না করে চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে।।
যার তাকে দেখতে খুব অমায়িক লাগছে।।
গাড়িতে সং চলছে যে আমার মনের কথা গুলো এই গানের মধ্যে তাকে জানান দিচ্ছে যে তাকে আমি কতোটা চাই।।(আয়মান)

O re piya
Main taan tere layi
Sau raatan jagun
Jithe jaavein tu
Othey jaave dil
Dass ki main karun

Jo tu russ jaani ae
Dil yeh tutt jaani ae
Tere sang sang raah
Saari katt jaani ae (x2)

Main taan tere naal rehna
Maan enna mera kehna
Meri akhiyon se hona kadi door naa..
Tere bin… tere bin…

Tere bin nai lagda dil mera dholna
Tere bin nai lagda dil mera dholna
Sab chhad jayein tu na mainu chhodna
Tere bin nai lagda dil mera dholna

-আয়মান হুট করে গান প্লে করে দিল।।এই গানটা আমার খুব প্রিয়।।
তাই চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুনতে লাগলাম।।
কখন ঘুমিয়ে গেছি জানি না।।
গাড়ির হর্নের আওয়াজে ওঠে পড়ি।।
আর আশে পাশে তাকি দেখি আমাদের বিল্ডিংয়ের নিচে।।
পাশে তাকিয়ে দেখি আয়মান আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আচ্ছে।।(আমায়রা)
-এতো ঘুম কাতুরী মেয়ে তুমি বাবা।।
সেই কখন থেকে ডাকছি।।
এখন যাও বাসায় যাও আমি পড়ে কল করবো।।
আর হে ওর দু গালে হাত দিয়ে পালতে একদম ট্রাই করবে না আমার এই চোখ সর্বক্ষণ তোমার উপরেই আছে।। (আয়মান)
-আয়মানের কথা গুলো শুধু হজম করলাম।
কিছু বলিনি কারন আমি যানি আমি কি করবো।।
– হুম যেই বেড় হতে নেব তখনি খপ করে আয়মান আমার হাত ধরে আমার কপালে আর তার নাম লিখা হাতে কিস করে দিলো আর যেত বলল আর সেখানে না বসে গাড়ি থেকে বেড় হয়ে এক দৌড়ে ৩ তলায় উঠে গেলাম।।
আর কলিং বেল চাপতে লাগলাম।।(আমায়রা)
-আরে আসছি বাবা একটু দাড়া,, ট্রেন তো চলে যাচ্ছে না।। রান্না ঘর থেকে হাত মুছতে মুছতে বের হয়ে আসলো।।
গেট খুলে দিখি আমায়রা।।
-কিরে তুই কইছিলি কত চিন্তা হচ্ছিল জানিস তোর ফোন বন্ধ কেন।।
আর আন্টি কতবার কল করেছিল তুই জানিস।।(নুহা আমায়রার ফ্রেন্ড)
– বলছি বলছি একটু দাড়া।। আমাকে একটু পানি দে।।
পানি খেয়ে নিলাম সব টুকু।।
তার পরে সব খুলে বলাম।।
আর আমার হাতটা দেখালাম।।
নুহা আমার হাত দেখে কেদে দিল।।
ওই আমার খোট বেলার বান্ধবি তাই সব কিছু জানে আমার।।(আমায়রা)
-চোখ মুছে আচ্ছা তুই যা ফ্রেস হো।।
আমি খাবার দিচ্ছি।।
পড়ে দেখা যাবে কি করা যায় এ আয়মান নামক গড়িলাকে তো দূর করতেই হবে(নুহা)
-হুম বলে ওয়ামরুমে চলে গেলাম।(আমায়রা)


??⚫(past)

ট্রেন চলেছে তার আপন গতিতে।
আর আমি ইয়ার ফোন কানে গুযে দিলাম আর গান শুনে লাগলাম।।
Maine Haan Kya Kaha
Dil Mera Kho Gaya
Aashiqo Ki Gali Mein
Gazab Ho Gaya

Din Sang Gujri Raate Bhi
Mera Chain Kho Gaya
Chalo Maana Mujhe Pyaar
Tagda Yaar Ho Gaya

Main Chali, Mein Chali
Dekho Pyaar Ki Gali
Mujhe Roke Na Koi
Main Chali, Main chali❤❤
.
আর জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে রইলাম।।
চারিদিকে সবুজ গাছপালা যেন আজ গানের সাথে তাল দিয়ে ডান্স করছে।
আকাশের মেঘ গুলো আকাশের এই পাড় থেকে ওই পাড়ে পাড়ি জমাছে।।
পাখিরা সারি সারি দল বেধে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।।
সব কিচ্ছু দেখে অনেক ভাল লাগা কাজ করছে।।
আর মাএ কিছুটা সময় তারপর আমি আমার স্বপ্নের শহরে।।
মনটা আজ অনেক ফুরফুরে লাগছে।।
তার মধ্য ফোনটা বেজে উঠলো।।
নুহা কল করেছে।,,
-কই তুই।।?
– টঙ্গী।
– আর ১ ঘন্টা লাগবে
– তুই প্লিজ তাড়াতাড়ি চলে আসিস
– ওকে।।

ফোন রেখে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি দাদু-দাদি বসে আছে।।
আমি তাদের সাথে কথা বলতে লাগলাম।
খুব মজার মানুষ তারা।।
কথা বলতে বলতে ট্রেন চলে আসলো।।
সবাই সবার মতো নেমে গেল আমি নামলাম।।
কল করার জন্য ফোনটা নিবো তখনি দেখি ফোন নেই হায় কই গেল।।
আমার সামনের সিটের দাদু আমার সামনে এসে দাড়িয়ে বলল
– ফোনটা এগিয়ে দিয়ে কি দাদু ভাই এইটা খুজতে ছিলে হুম বলে দাদুকে জড়িয়ে ধরলাম।।
-দাদু এটা আমার বাবার দেয়া গিফট ছিল thank u❤(আমায়রা)
– তা তোমা বান্ধবি আসছে।।(দাদু)
– কল করছি কিন্তু কল ঢুকছে না চিন্তিত হয়ে।।(আমায়রা)
-আচ্ছা আসো ওখানে ওয়েটিং রুম আছে আমরা ওয়েট করি।।(দাদু)
– না দাদু সমস্যা নেই দাদু আপনি টেনশন করেন না।। ও এখনি এসে যাবে বলে এদিক ওদিক দেখতে লাগলাম।।(আমায়রা)
-তুমি আসো।। আমাদের সমস্যা হবে না।।
আমাদের বাসা এখানেই যেতে পারবো আসো।।(দাদি)
-অনেক বলাতে আর না করতে পারলাম তাই যেতে লাগলাম তার সাথে।।
তার মধ্য আরেক টা ট্রেন চলে আসলো।।
ট্রেনটা চিটাগাং এর।।
হঠাৎ অনেক পুলিশ একটি বগীর সামনে দু পাশে সিরিয়াল ভাবে দাড়িয়ে গেল।।
দাদু একটি পুলিশকে জিগাসে করাতে জানা গেল মন্ত্রীর ছেলে আর তার ফ্রেন্ডসরা ট্রেন ভ্রমনে গিয়েছিল তারা এসেছে তাই এত পুলিশ।
বাহ কি সু্ন্দর জনগনের অসুবিধা করে তারা কতো আনন্দে থাকে হুু।।
-আমরা আসতে নিলাম বাট আসতে দিলনা ।।
এরি মধ্য ট্রেন থেকে কতো গুলো কালো কোট পরিহিত নেমে এলো আর তারা লোকজনকে ধাক্কা দিয়ে জায়গা খালি করছে।।
আর পিছন থেকে কতো গুলো ছেলে মেয়ে বেড় হচ্ছে।। সব গুলো সেই লেবেলের সুন্দর।।
আমিতো তাদের কাছে কিছু না ভাবতে লাগলাম তখনি পাশে থেকে দাদু চিৎকার দিয়ে উঠলো।।
আর আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখে দাদুর মাথা ফেটে গেছে।।
আমি দৌড়ে তার কাছে গেলাম।।
তার দাদিকে জিগাসা করলাম কি হইসে(আমায়রা)
-কাঁদতে কাঁদতে ওরা যখন মানুষদের ধাক্কা দেসে তখনি তার এই লোহার একটি পিলারে বাড়ি খায়।।আর মাথা ফেটে গেছে।।(দাদি)
– দাদু দাদু এ দাদু তুমি চোখ বন্ধ করো না প্লিজ আমরা এখনি হাসপাতালে যাবো কাঁদতে
কাঁদতে বললাম।।
এরি মধ্যে নুহা এসে হাজির কিন্তু সে ভিতরে আসতে পারতেসে না।।
আর আমাদের বাহিরে দেতে দিচ্ছে না।।
তাই আমি রিকুয়েস্ট করতে লাগলাম একটি গার্ড কে বাট সে শুনছে তার সাথে এক পর্যায় তর্কে জড়িয়ে পড়ি।।এক পর্যায় তিনি আমাকে ধাক্কা দিলেন।
আমি মেয়ে মানুষ তার আমাকে ধাক্কা দেয়া রাইটস কে দিসে।।
তাই রাগ উঠে গেল লোকটির গালে ঠাটিয়ে এক থাপর মারি।।
লোকটি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।।
চলবে,,,