টর্চার Part-04

0
3011

.#টর্চার
#Apis_Indica
#part_4
.
.
-ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি খাটের উপর নুহা বসে আছে তার হাতে একটা প্যাকেট।।
-এটাতে কি?(আমায়রা)
– তোর পালাবার পথ।।(নুহা)
-মানে?(আমায়রা)
– ব্যাগটা তুমি আমায়রা দিকে ধরে নিজেই দেখেনে।।।(নুহা)
-ব্যাগটা হাতে নিয়ে খুলে দেখি ওমা এটাতো বরকা। এটা দিয়ে কি করবো?(আমায়রা)
-আরে গাধা।।
তোর উপর আয়মান সব সময় নজর রাখে রাইট।। তুই এটা পড়ে বাহিরে গেল ওই কেন কেউ বুঝবে না।।আমায়রার মাথায় বাড়ি দিয়ে বুঝলে বুদ্ধু।। (নুহা)
-thanks বলে জড়িয়ে দরলাম নুহাকে।।
দারা আমি এটা পড়েররেডি হয়ে নেই।।(আমায়রা)
-ওকে আমি বাহিরে ওয়েট করছি তাড়াতাড়ি আসিস।।বলে বাহেরে চলে গেল (নুহা)
-আমি রেডি হয়ে হাত পায়ে মুজা পা মুজা আর চোখে একটি বুড়ো মানুষদের চশমা পড়ে নিলাম।।
-বাহ আমায়রা তোকে তো চিনাই যাচ্ছে না।।
নিচেকে আয়নায় দেখে বলতে লাগলাম।।(আমায়রা)
-বাহিরে চলে গেলাম,, নুহা আমাকে দেখে বলতে লাগলো আমু তোকে তো চেনাই যাচ্ছে না।।
আয়মান কেন তার বাপ ও চিন্তে পারবে নারে।।(নুহা)
– দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে তাই যেনো হয়।।আল্লাহ আল্লাহ করে আমি বাড়িতে পৌঁছালেই বাচি আর আসবো না ঢাকার এি সীমানার বাহিরে গিয়ে উল্টা দিকে ঘিড়ে সালাম দিব হু।।(আমায়রা)
-দোস্তি তুই কি সত্যি আর আসবিনা কাঁদোকাঁদো গলায়(নুহা)
– না রে দোস্তি।। কিন্তু নুহাকে জড়িয়ে ধড়ে তুই চলে আসবি কিন্তু যখন তখন ওকে বলে কাতু কুতু দিতে লাগলাম(আমায়রা)
– হা হা করে হাতে লাগলাম ওর কাতুকুতু দেয়াতে আমার শরিরে কাতুকুতু বেশি আহ্্ দোস্তি আর না প্লিজ হা হা প্লিজ বলে ২ জন দুজনকে জড়িয়ে ধরলাম।(নুহা)
– চল ট্রেন ছেড়ে দিবে বলে ২ জনেই বের হয়ে গেলাম।।
-আসার সময় বার মনে হচ্ছিল পিছনে কেউ আমাদের ফোলো করছে কিন্তু পিছনে কাউকে দেখতে পেলাম না।।
মনের ভুল ভেবে রিকসায় উঠে গেলাম আমি আর নুহা।।
– রিকসায় বসে ২ জন গল্প করতেসি।। হঠাৎ পাশ থেকে কত গুলো বাইক শাহহহহহ করে চলে গেল আমার বাম পাশ দিয়ে।।
এতো গুলো বাইক সাথে যাওয়াতে ভয় পেয়ে গেলাম।।
মনে মনে দোয়া পড়তে লাগলাম।।।
আরো কিছুক্ষণ পর আমার ডান পাশ দিয়ে আরো কয়েকটা বাইক চলে গেল।।
এখন ভয়টা গাড়ো হতে লাগলো।।
মনে মনে শুধু এক দোয়া করে যাচ্ছি যে আয়মান না হোক।।
এভাবে কিছুক্ষণ পর স্টেশনে এসে গেলাম।।
কিন্তু আশ্চর্যর বিষয় স্টেশনে একটি মানুষও নাই ট্রেন ও সব খালি।।(আমায়রা)
– কিরে দোস্তি আজ কি ট্রেনদের হরতাল নাকি।।এদিক ওদিক তাকিয়ে (নুহা)
-মনে হয় দোস্তি এখন কি হবে।। বাসে যেতে হবে মনে হচ্ছে।।(আমায়রা)
-দোস্তি ওই দেক স্টেশনমাস্টার চল গিয়ে জিগাসা করি(নুহা)
-ওকে চল(আয়মান)
-স্যার আজ কি ট্রেন চলবে না।।(নুহা)
-চলবে না কেন।তা কই যাবে আপনারা শুনি।(স্টেশনমাস্টার)
-যি ময়মনসিংহ (আমায়রা)
-ট্রেন আসতে ১০ মিনিট লেট হবে সামনে ওয়েটিংরুম আছে যে বসুন।।
আসলে চলে যাবেন(স্টেশনমাস্টার)
-ওকে চল আমু আমি তোর সাথে ওয়েট করি তোকে তুলে দিয়ে পড়ে যাবো (নুহা)
-ওকে বলেই ওয়েটিংরুমের দিকে যেতে নিলাম।। তখনি নুহার ফোনে কল হাতে তার মার।।নুহা কলটা রিসিভ করে।।
তার মুখের রিয়েকসেন মুহুর্থে বদলে গলো,,
-কি হয়েছে নুহা।।(আমায়রা)
-আমু বাবার এক্সিডেন্ট হয়েছে হাসপাতালে আছে আমাকে এখনি যেতে হবে বলে কান্না করতে লাগলো।।(নুহা)
-ওকে তুই কাদিস না চল আমিও যাবো তোর সাথে।। (আমায়রা)
-না না আমু তই যা আমি যেতে পাড়বো তোর এখন ঢাকা থাকা সেফ না।।(নুহা)
-আর সাথে যাওয়ার জন্য এক প্রকার জিত করতে লাগলাম বাট কাজ হলো না।। ওতো ঠিক বলছে আবার ওখানে যাওয়া মানে আয়মানের হাতে নিজেকে সপে দেয়া।।
তাই কিছু বলাম না আর।।
-নুহা চলে গেল আমি বসেই আছি।
১০ মিনিট পার হয়ে ২০ মিনিট হতে চললো ট্রেন তো দুর থাক একজন মানুষও আসার নাম নেই।।
কিছুক্ষন পর হুরমুর করে কতো গুলো ছেলে ঢুকলো হেলমেট পড়া।। আর আমার আশেপামের সিট গুলোতে এলোমলো ভাবে বসে পড়লো।।।
আমার কেমন ভয় করছে কারন সব গুলোই হেলমেট পড়া।।
অবশ্য আমাকে চেনা যাচ্ছে না তাই ভয় নেই।।

আমি নিচের দিক তাকিয়ে ফোন চাপতে লাগলাম।।
হঠাৎ লোক গুলো সব বেড় হয়ে গেল।।
আমি তাদের দিকে আর খেয়াল না করে ফোন চাপতেই লাগলাম।।
কিছুক্ষণ পর ওয়েটিংরুমের দরজা লাগনোর শব্দে সামনে তাকি দেখি একটি লোক দরজাটা লক করে দিল।।
আমি কিছু বলার আগেই আমার দিকে ঘুড়ে তাকালো।।
-আমি সামনের ব্যাক্তিটাকে দেখে আর শ্বাস আটকে আসছে।।সারা শরীর ঘামতে লাগলো।।
ভয়ে রিতিমত কাপছি কি করবো বুঝতেসি না উঠে দাড়ানোর শক্তিটুকুও নাই।।মনে হচ্ছে সিটে কেউ সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়েছে তাই আটকে গেছি।।
-আয়মান একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার সামনের দিকে তাকি আমার থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে পায়ের উপর পা তুলে বসে রইলো।। আর হাতে থাকা একটি সফট ড্রিংকসের বোতল থেকে তা খেতে খেতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।।
-কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর আমি সাহস করে উঠে দাড়াই এবং সামনের দিকে এক পা আগাতেই পিছন থেকে আয়মান বলে উঠলো,,
-কই যাওয়া হচ্ছে?এ খান থেকে এক পা নরলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না রাগী গলায়।।(আয়মান)
– আমি তো পুরাই শকড তার মানে আমি ধরা খাইসি আজ আমি শেষ না জানি কি করে ভয়ে বড় বগ ঢোক গিলতে লাগলাম।।
আর কোনো কিছু না ভেবে দরজার দিক দিলাম দৌড়।।।
তার দরজায় হাত দেয়ার আগেই আমাকে আয়মান হেচকা টান মারলো।।
আর সাথে সাথে আমি তার বুকে উপর ধপাস করে পড়লাম।।
আর ওই আমার এক হাত চেপে ধড়ে উপরে পড়া বোরখার নেকাব টান দিয়ে খুলে ফেলল,
আমি তার এসব দেখে কান্না করতে লাগলাম আর তার হাত থেকে আমার হাত ছুটাতে ট্রাই করতে লাগলাম।।
-কাজ হলো না।। তার চোখ এতো পরিমান লাল মনে হচ্ছে চোখে কেউ গ্লিসারিন লাগিয়ে দিয়েছে।।
-আমি তার সাথে না পেড়ে তার হাতে কামোর বসিয়ে দিলাম।।
সে আমার হাত ছেড়ে দেয়।।
আর আহ্হ্হ্হ্ বলে চিৎকার করে উঠে।।
আর আমি সেই সুযোগে পালাতে নিলাম তাতেও ব্যর্থ।।
তিনি আমার হাত টেনে ধরলেন।।আর বলতে লাগলেন খুব সাহস তোর তাই বলে আমাকে খুব জোরে এক থাপর মারলেন।।
থাপর টা এতোই জোরে ছিল যে সাথে সাথে জ্ঞান হাড়ালাম।
পরে আর কিছু মনে নেই।।।


কিছুক্ষণ পর,
-আস্তে আস্তে উঠে বসলাম মাথাটা খুব ভাড়ি ভাড়ি লাগছে।।
চোখটা খুলে দেখি এমা আমি কই এটাতো একটা কাচের ঘর।।।
যা আমি ভিতরে বসে সব বাহিরের জিনিস গুলো দেখতে পাচ্ছি।।
-কিন্তু আমিতো,,,
আস্তে আস্তে সব মনে পড়ে গেল।।।
আবার কাঁদতে লাগলাম।।।
বাহিরে একটি মেয়েকে দেখা যাচ্ছে কাচের দেয়ালের সামনে গেয়ে দেয়ালে বাড়ি দিয়ে মেয়েটিকে চিল্লিয়ে ডাকতে লাগলাম না কোনো কাজ হচ্ছে না।।
মেয়েটি আমার কথা কিছুতেই শুনতে পাচ্ছে না কি করবো কিছু বঝতেসি না।।
খাটের পাশে স্টিলের ফুলদানি ছিল তা দিয়ে বাড়ি দিতে লাগলাম কাচের দেয়াল ভাঙার জন্য কাজ হলো না।।খুব ক্লান্তি লাগছে তাই খাটের সাথে গেসে মাটিতে বসে পড়লাম।।
আর কাদতে লাগলাম।।
আর তখনি কেউ এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো,,,
-আপ,,,প,, নি,,

??⚫(past)

কিছুক্ষণ অবাক থাকার পর লোকটি যেই আমাকে কিছু বলতে নেয়,,,
আমিতো রিতিমত কোমর কেচে ঝগড়া করবো ভাবছিলাম কিন্তু তা আর হলো কই,,
লোকটি উল্টো আমাকে অবাক করে দিয়ে সরি বলে উঠে আমিতো পুরাই টাশকি খাইয়া গেসি।।
-কারন লোকটির রিয়েকসেন ছিল ভিতু টাইপ মনে হলো কেউ আমার পিছন থেকে তাকে এমন কিছু বলসে বা ইশারা করসে যার ফলে লোকটি প্রচুর ভয় পেয়ে গেছে।।
আমি লোকটি দৃস্টি অনুসরণ করে দেখি তিনি আমার পিছনে তাকিয়ে আছে।।
আমি যেই তাকাবো লোকটি বলে উঠলো চলেন মেম আমি আপনাদের পৌছে দেই বলে দাদুকে ধরেনিয়ে আসলো বাহির পর্যন্ত।
– বাহিরে নুহা ছিল, আর তার গাড়ি নিয়ে আসছে আমরা তার গাড়ি করে হাসপাতালে চলে গেলাম।।(আমায়রা)
-গাড়িতে আয়মান আর তার ফ্রেন্ডস উঠে বসেছে আয়মান ড্রাইভ করছে আর কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসছে।
-কি বেপার জানু এতো হাসছো কেন।(রুপ)
-রুপ হচ্ছে আয়মানের নতুন গফ এটা তার ১০৮ নং।
আয়মান রুপের কথাতে কিছুটা বিরক্তি হলো আর বলো মাইন্ড ইয়োর ওন বিজনেস।।
-তার পর একটি সং প্লে করে দিল,,
আর আপন মনে তখন কার কথা মনে করছে আর হাসছে।।
Ek Ajnabi Hasina Se
Yun Mulaaqat Ho Gayi
Ek Ajnabi Hasina Se
Yun Mulaaqat Ho Gayi
Phir Kya Hua Yeh Na Puchho
Kuch Aisi Baat Ho Gayi
তখন আমায়রা যখন গার্ডের সাথে তর্ক করছিল তখন আয়মান তাকে মুগ্ধ নয়নে দেখছিল।।
তখন আমায়রা ঠোট নারিয়ে চোখে কোনো ভয় ছাড়া কোমরে দু হাত দিয়ে বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করছিল।
তার একটু পর গার্ড ওকে ধাক্কা দেয় তা দেখে কেন যেন আমার বুকে ব্যথা অনুভব হলো হাতটা আস্তে আস্তে বুকের পাশে চলে গেল।।
আর তখনি মেয়েটি গার্সকে থাপর লাগালো।।
তখন মন থেকে একটি কথা আসছিল তোমাকে আমার চাই।।
জানি না এটা ভালোবাসা নাকি ভালোলাগা।।
কিন্তু তোমাকে আমার চাই।।

বলে আয়মান হাসি বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে চলে গেল।।(আয়মান)

হাসপাতালে দাদু-দাদিকে রেখে এসে মাএ বাসায় পৌছেছে আমায়ররা আর নুহা।।
-এতো কখন কই ছিলি (নুহার বাবা)
-সরি বাবা লেট হয়েগেছে একটু ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম(নুহা)
-কি হয়ে ছিল চিন্তিত সুরে(নুহার বাবা)
-সব শুনে তিনি হাসতে লাগলেন বাহ আমার মা আমায়রার মাথায় হাত দিয়ে এতো বড় হয়েগেছে প্রতিবাদ করতে শিখেছে।। গড ব্লেস ইউ মা।।
– জানোতো আল্লাহ বলছেন অন্যায় যে করে আর অন্য যে সহে তারা সমান গুনাহগার।।
তাই সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে।।
এখন চল খেতে এসে আমার আবার বের হতে হবে।।(নুহার বাবা)
– জ্বি বড় আব্বু।।তা কই যাবা আমি আসলাম আর তুমি চলে যাচ্ছো,, মুখটা গুমরাহ করে।।(আমায়রা)
-মা রাগ করিস না আমি চলে আসবো ১৫ দিন পর একটা বিজনেস টুর না গেল হবে না।।(নুহার বাবা)

-ওকে বলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে উপরে চলে গেলাম।
-১১ টায় বড় বাবা চলে গেল।।আমি আর নুহা একা বাসায়।।
আর মাথায় চললো শয়তানী বুদ্ধি।
নুহার আম্মু ৩ বছর আগে মারা গেছে।।
আর তখন থেকে বড় বাবা আর নুহা একা থাকে।।
রড় বাবা যখন দেশের বাহিরে চলে যায় তখন নুহাকে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
নুহা হচ্ছে আমার মামাতো বোন আর আমি তার ফুফাতো বোন।।
-ওই যখন আমাদের বাসায় যায়।।
তখন অনেক মজা করি।।
এখনো তার বিপরীত কিছু হলো না।।
আমরা আমাদের দুস্টি এখনো চালিয়ে আসছি।।
আমি আর নুহা একি কলেজে একি সাব এভর্তি হয়েছি।।

চলবে,,,