টর্চার Part-14

0
1531

#টর্চার
#Apis_Indica(Suraiya_sattar)
#part_14
.
.
– মতলোব চাচার মেয়ের বিয়ের জোরসরসে,,, আয়োজন করা হচ্ছে বর আসবে ওই পারের রিসোর্ট থেকে নৌকায় করে,,, তাই নৌকাকে বৌউ সাজানো হচ্ছে নানা রকম ফুল দিয়ে,,, নানা রকম মরিচ বাতি দিয়ে লাইটিং করা হয়েছে,,, নদীর দু ধারে ছোট ছোট পিরিচে আগুন লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে সন্ধ্যা হওয়াতে পরিবেশ টা খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।। আশেপাশের সবাই ফুল নিয়ে নদীর পারে দারিয়ে আছে বর পক্ষকে বরণ করার জন্য।।
-মিসেসে আজমিন লাল কাপড়ে মোড়ানো একটি থালা নিয়ে পারে আসলো,,,ওই পার থেকে ছেলেরা রওনা করে দিসে,,,
-বর পক্ষ নদীর মাধ্যে আসতেই কনে পক্ষরা আতশবাজি,, বোমা ইত্যাদি ফোটাতে লাগলো।।

-বড় পারে আসতেই সবাই তাদের বরন করতে লাগলো,,, মোতালেব চাচা গিয়ে গলায় টাকার মালা পড়িয়ে দিল,, এটা নাকি তাদের নিয়ম।।
মিসেস আজমিন এসে সেই লাল কাপড় মোড়ানো থালা থেকে মিষ্টি খাওয়ালো তারপর তাকে একটি স্বর্নের চেন পরিয়ে ভিতরে আসতে বলল,,, পারের উপরে উঠে বরের বন্ধুরা তাকে ঘোড়ায় উঠিয়ে দিল,,,,,,
-ঘোড়া এসে থামলো রিসোর্টের গেটের সামনে,, এখানে মেয়ে পক্ষের সবাই গেট বেধে রেখেছে,, তাদের দাবি বর যাএী ভিতরে তখনি যাবে যখন তাদের ডিমান্ড মানা হবে,,,
-কিন্তু ছেলে পক্ষের মানুষেরা কোনো মতে দিতে রাজি না।।। এসব দেখে নুহা আমু সহ যারা গেট বেধেছে সবাই তাদের সাথে এক পর্যায় তর্কে জুড়ে পরে।। ছেলে পক্ষ ছেলে চাচাতো ভাইটা সব থেকে বেশি শেয়ানা তাই মনে হচ্ছে আমুর কাছে।।।
– আমারতো ৫০০০ টার একটাও বেশি দিব না।
(চাচাতো ভাই রানা)
– বিয়ে করার শখ থাকলে দিতেই হবে।।(নুহা)
– নোয়তো বউের কাছে যাওয়ার আশা বাদ(আমু)
– যেহেতু তাদের লাভ মেরেজ হচ্ছে ছেলে এই কথা শুনার সাথে সাথে ১০০০০টাকা বের করে দিয়ে দিল।। উপস্থিত সবাইতো বোকা বেনে গেল।।
– ভাই তোর বিয়ের এতো তাড়া যে এই কথা শুনেই টাকা দিয়ে দিলি।।(রানা)
-ছেলে লজ্জা পেয়ে বলতে লাগে,, এসব ছাড়তো,,,
-এখানে সবাই তা শুনে হসে দিল।।



লাস্ট পর্যন্ত সুন্দর ভাবে বিয়ে শেষ হলো,,, সবার খাওয়া দাওয়া প্রায় শেষের দিক।। আজ ছেলে পক্ষ মেয়ে এক সাথে থাকবে ঠিক করা হলো।।
তাই সকলেই বিনোদনের জন্য নাচ গানের ব্যবস্থা করা হলো,,,

এদিকে আয়মান তো আমুকে আর এহসান তো নুহাকে দেখে রাগে ফুসছে না জানি কখন ব্লাস্ট হয়ে যায়।। কারন আজ ২ জনের একজনো তাদের দিক এক পলক তাকায়নি পর্যন্ত।। তার উপর তারা ভেবে রেখেছিল বিয়ে শেষ হলে এক সাথে লং ড্রাইভে যাবে বাট তার সব কিছুতেই তারা দুজন পানি ঢেলে দিল।। তাদের চিন্তার মধ্যই স্টেজে গান বেজে উঠলো,,,

Mmmm…

Munda thoda.. offbeat hai
Par kudiya de naal.. bohat sweet hai (x2)

Dhongi sa ye bada dheeth hai
Viral hogya ye Tweet

Par phool wool karne mein cool
Tu badi tezz katari hai
Shagan teri ki, lagan teri ki
Humne kardi taiyari hai

Nachde ne saare ral-mil ke
Aaj hil-dul ke
Le saare ke saare nazare (x2)

– গানের তালে তালে আমু নুহা সহ সকলেই নাচছে,,,কিন্তু হুট করেই আয়মানের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।। তার রাগ উঠতে থাকে কারন আমু সেই তখন কার ওই ছেলেটার সাথে ডান্স করতে ব্যস্ত,,,
-দাঁতে দাত চেপে,, আমাকে এক পলক দেখার যার সময় নাই।। সে অন্য সবার সাথে কিভাবে তারি সামনে নাচ্ছে।।। আজ এই মেয়ের খবর আসে।।(আয়মান)
– এদিকে নাচের তালে সবাই ব্যস্ত সবাই একি তালে ডেন্স করছে সাথে কনে ও বর ও।।
ডান্স শেষে পাএ পাএিকে তাদের নির্ধারিত রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।। আর সবাই ক্লান্ত থাকায় সবাই সবার মতো তাদের রুমে চলে গেল।।
আমু আর নুহা চলে যাচ্ছিলো তখনি তাদের ২ জনকেই কারা যেন মুখ চেপে ধরে ২ গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে ফুড়ুৎ।।।। ???
(এখন কি হবে এদের?)



❤???(past)
.
.-আচ্ছা আমার জেন কেন মনে হচ্ছে এহসান এই মেয়েটাকে লাইক করে!তুমিকি বলো? (মা)
-আমারো তাই মনে হচ্ছে।।(পাপা)
-আর যাই বল এই দুটো হুর পরিকে কিন্তু আমার ভাল লেগেছে খুব।। বউ করলে এই দুটোকেই আমার ছেলেদের বৌউ করে নিয়ে আসবো।। তুমি কি বল? পরেতো বলবে তুমিতো সব সময়ই এমন আমাকে কিছুই জানাও না হু।। গাল ফুলিয়ে বসে থাকবা?।(মা)
– এই তুমি এমন কেন হুম সব সময় ছোঁচা দেও।। এই তোমার খোঁচা ছাড়া কথায় নাই মুখে। (পাপা)
– না নেই কি করবে শুনি হুল বল,,,এরি মধ্য দরজায় নক পড়ে।।
– বাবা মা তোমরা আবার শুরু করসো ঝগড়া নিচে চলে সবাই এসে গেসে,,, (এহসান)
– ঝগড়াটা আপাদত পেন্ডিং রাখলাম পার্টি শেষে আবার স্টার্ট করবো হু বলে ভেঙ্চি কেটে চলে গেল।(মা)
– এহসান বোকার মতো চয়ে আছে।। আর তার পাপা হাসচ্ছে,,,
-আর ইউ ওকে পাপা।।(এহসান)
-ইয়াহ সান,, ,হাসতে হাসতে বলল,, ইটস লাভ মাই সান ডোন্ট বি ওয়ারিড। গো,, (পাপা)
– এহসানের তো সব উপর দিয়ে গেল মাথার।।


আয়মান এক পাশে দাড়িয়ে আমুকে একপলক দেখে যাচ্ছে,,, আর ডিংস করছে।। তার যেন নেশা উঠে যাচ্ছে।। ডিংসের না আমুর নেশায় কাত হয়ে গেছে সে।। আমুর দিকে এমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা কারো চোখে না পরলেও ঠিকি একজনের চোখে পরেছে আর তিনি আয়মানের পাপা।
– তার পাপা তার ছেলের পাশে দাড়িয়ে হাতে একটি ডিংস নিয়ে বলতে লাগে কি বেপার সান।। এতো চুপচাপ।। আর তুমি একা কেন।। তোমার আশেপাশের মৌমাছি গুলো কই হাড়ালো আজ।। (পাপা)
– হাড়িয়ে যাইনি পাপা,, আমি হাড়িয়ে গিয়েছি মৌমাছিদের রানীকে যে আমার চোখে আটকে গেছে।।(আয়মান)
-আয়মান কথা গুলো এক ধেয়ানে আমুকে দেখে বলতে লাগলো,, তার বাবা তা দেখে বুঝতে বাকি নেই তার ছেলেও ভালোবাসার অদৃশ্য বাধনে আটকে গেছে।।
-ইউ লাইক হার?(পাপা)
-আই ডোন্ট নো পাপা? আই ডোন্ট বাট, আই কান্ট লিভ ওইদ্যাওয়োট হার।(আয়মান)

-আয়মানের কথা শুনে তার বাবা হাসলো।। কিছুক্ষন।।
– ইউ নো সান? তোমার মা আর আমার লাভ মেরেজ ছিল।।(পাপা)
-আয়মান আবাক হয়ে তার বাবার দিক তাকালো।
তার বাবা মাথা নারালো আর বলতে লাগলো
– হুম সান অবাক হচ্ছো,, তোমার মাকে পটাতে আমার সারে তিন বছর লেগেছিল।। অনেক কষ্টের পর তোমার মা আজ আমার ধরনী।।
-আমি ফাস্ট যখন তোমার মাকে দেখি সে তখন ফুটপাত থেকে চুরি কিনছিল।। এক জোড়া করে খুলছি আর পরছিল।। তার মুখের রিয়েকশন দেখে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই।।
-তার পর তাকে ফোলো করতে থাকি তার বাসায় আমি ২ ঝুড়ি চুড়িও পাঠাই বাট বান্ধা তো কিছুতেই রাজি হয়না।। লাস্টে গিয়ে তার মা বাবাকে পটাই।।। আর তাদের পটিয়ে আমি সফল।। তোমার এখন আমার অর্ধাঙ্গিনী।। কি বুঝলে মাই সান।।(পাপা)

– বাকা হাসি দিল আয়মান,,
– অনেক কিছু পাপা,, বাট আমিও তাকে আমার করেই ছাড়বো।।।(আয়মান)
– আমার আর তোমার মার ছেলের বৌউ হিসেবে খুব পছন্দ হয়েচে।। তা কবে দেখবো শুনি।।(পাপা)
– খুব তাড়াতাড়ি পাপা।।।(আয়মান)


কেক নিয়ে আয়মানের মা হল রুলে মাঝবরাবর রাখলেন কেক কাটা হলো।। একে একে এহসান সবাইকে দিল।। আর এহসানেও খাইয়ে দিল।। সবাই সবার মতো ডান্স করতে ব্যস্ত হয়ে গেল।। সেই সুযোগে আয়মানের মা নুহা আর আমুর সাথে নানা কথা ব্যস্ত কথা বললে ভুল হবে নুহা আর আমুর মনে হচ্ছে জেরা করছে তাদের।।। তাড়াতো কাপা কাপি করছে।।


কৈউ এসে হুট করে আয়মানের চোখে ধরে।। আয়মান কিছু বুঝতে না পেরে আমুর নাম নিয়ে বসে।। তখনি পিছন থেকে হাতটি সরিয়ে নেয়।। আয়মানো হাসি মুখি পিছনে তাকিয়ে তার মুখটা ফেকাসে হয়ে যায়।।
-তুমি (আয়মান)



চলবে,,