ডিভোর্স পর্বঃ১৫

0
2347

#ডিভোর্স
পর্বঃ১৫
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার

ঘুমোতে যাবো ঠিক
তখনি একটা ভয়ানক
আওয়াজে শরীরটা
কেপে উঠলো…

আওয়াজটা এত টাই
ভয়ানক ছিলো যে
আপনাদের বলে বুঝাতে
পারবো না…

আমার আবার ওত সাহস
নেই যে বাইরে গিয়ে
দেখে আসবো এটা
কীসের আওয়াজ চুপচাপ
বিছানায় শুয়ে
পড়লাম….

বিছানায় শুতেই
মেয়েটার শরীর থেকে
গরম ভাব বেড়াচ্ছো
মনে হয় জ্বর আসছে…

হাতটা গরমে জন্য
ধরতেও পারছি না…

বিছানা থেকে উঠে
ড্রয়ার থেকে
থার্মোমিটার টা বের
কর জ্বর মাপতেই
দেখলাম ১০৩ ডিগ্রি
জ্বর….

ভয়ে ভয়ে নিচে এসে
এক গ্লাস পানি আর
নাপা এক্সটা নিয়ে
উপরে চলে আসলাম…


সাঈদঃ স্নেহা স্নেহা…

স্নেহাঃ খুব খারাপ
লাগতেছে কিছুই ভালো
লাগতেছে না…

তার উপর ওনি…

সাঈদঃ উঠো একটু ঔষধ
টা খেয়ে আবার শুয়ে
পড়ো না হলে জ্বর টা
আরো বেড়ে যাবে…

স্নেহাঃ আমার কিছু
ভালো লাগছে আমি
এখন কিছু খাবো না…

সাঈদঃ খাবো না
বললেই হবে তার পর
বিছানা থেকে তুলে
জোর করে ঔষধ টা
খাইয়ে দিলাম…

এর পর ভালো করে
কম্বল টা দিয়ে সারা
শরীরটা ঢেকে
দিলাম…


রাতে তো একটুও ঘুম
আসে নি বরং বার বার
এটাই মাথায় আসছিলো
এত ভয়ানক আওয়াজ টা
আসছিলো কোথা
থেকে…

তার উপর স্নেহার আবার
এত জ্বর এত টেনশনে
কারো ঘুম আসে….


সকাল বেলা মিষ্টি
রোদের আলোয় ঘুমটা
ভাঙ্গেনি বরং সকাল
বেলা যেই ঘুমটা
আসতেছিলো ওমনি
রোদের আলোটা ঘুমের
বারোটা বাজিয়ে
দিলো ।


সাঈদঃ মেয়েটার
কপালে হাত দিয়ে
দেখলাম আগের থেকে
অনেকটাই জ্বর কমেছে
বিছানা থেকে উঠে
ফ্রেশ হয়ে এসে নিজের
হাতে স্নেহার জন্য
খিচুড়ি রান্না করলাম…

বিয়ের পর কাজের
আন্টিকে বিদায় দিয়ে
দিচ্ছি…

তাই এখন নিজেকেই
করতে হবে এসব…

খিচুড়ি রান্না করে
একটা প্লেটে নিয়ে
উপরে আসলাম…


সাঈদঃ স্নেহা স্নেহা
উঠো সকাল হয়ে
গেছে…

স্নেহাঃ উম্ম আমার
কিন্তু কিছু ভালো
লাগতেছে না…

সাঈদঃ এটা বললে হবে
উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু
খেয়ে ঔষধ খেয়ে তার
পর শুয়ে ঘুমাই ও…

স্নেহাঃ আমার এখন
কিছু খাওয়ার ইচ্ছে
করছে না….

সাঈদঃ বললেই হবে
খাওয়ার ইচ্ছে করছে
না…

উঠো না হলে কিন্তু
জোর করে তুলতে হবে…

স্নেহাঃ তুমি শুধু সব
সময় আমার উপর রাগ
দেখাও

সাঈদঃ কখন দেখলাম
এত বড় মিথ্যা অপবাদ
দিতে পারলে

স্নেহাঃ থাক থাক
হয়ছে এবার আমাকে
টেনে তুলে শক্তি
পাচ্ছি না বিছানা
থেকে উঠার…

সাঈদঃ তার পর কী
স্নেহাকে তুলে
ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে
ফ্রেশ করে নিয়ে এসে
বিছানায় বসাতেই কে
জানি ফোন করছে…


সাঈদঃ সকাল সকাল
বেলা কার আবার কাজ
কাম বাদ দিলে আমাক
ফোন দিলো…

হ্যালো


স্যার আমি অফিস
থেকে বলতেছি…

সাঈদঃ হুম বলো…

স্যার আপনার পরশু রাত
৮ টায় ফ্লাইট…

সাঈদঃ শুনো আমি
যেতে পারবো না আমার
বদলে অন্য কাউকে
পাঠায় দাও…


কিছু স্যার এটা
কীভাবে সম্ভব…

সাঈদঃ সম্ভব অসম্ভব
আমি কিছু বুঝতে চাচ্ছি
না আমি যেতে পারবো
না সো অন্য কাউকে
পাঠায় দেন…



স্যার কিন্তু..

সাঈদঃ কী কিন্তু হ্যা
বলছি যেতে পারবো না
তার উপর এত কথা বলার
কী দরকার আছে….



ঠিক আছে কী করা যায়
দেখি…


সাঈদঃ ফোনটা কেটে
দিলাম সকাল সকাল
বেলা মুড টা নষ্ট করে
দিলো…



স্নেহাঃ কে ফোন
করছিলো ..

সাঈদঃ অফিস থেকে
তোমাকে বলছিলাম না
যে বাইরের দেশে
যেতে হবে…


স্নেহাঃ তা কী
বললে…

সাঈদঃ এটাই যে আমি
যেতে পারবো না…

এবার তাড়াতাড়ি
খিচুড়ি টা খেয়ে নাও
ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে…

স্নেহাঃ খাওয়ার ইচ্ছে
করছে না…

সাঈদঃ না খেলে ঔষধ
খাবে কী ভাবে…


স্নেহাঃ ওমনি…

সাঈদঃ চুপ দাও আমি
খাইয়ে দিচ্ছি…

তার পর জোর করে
অধেক গুলো খাইয়ে
দাওয়ার পর বাকি গুলো
একটুও খাওয়াতে
পারলাম না…


সাঈদঃ আর অল্প আছে
খেয়ে নাও না হলে এই
গুলো কিন্তু অভিশাপ
দিবে..

স্নেহাঃ আরো খাবো
না.. বমি করে ফেলবো
কিন্তু তখন…


সাঈদঃ থাক তাহলে
তার পর ঔষধ খাইয়ে
দিয়ে শুয়েই দিয়ে…

তুমি রেস্ট নাও আমি
নিচে আছি…

বলেই নিচে এসে
হালকা নাস্তা করে
টিভি দেখতে শুরু
করলাম..

দিন পেরিয়ে রাত….

রাতে স্নেহাকে খাইয়ে
দিয়ে…

আমিও খেয়ে নিলাম…

স্নেহাকে বিছানায়
শুয়েই দিতেই মেয়েটা
কিছু খনের মধ্যে ঘুমিয়ে
পড়লো…


আমি বিছানায় শুতে
যাবো ঠিক তখনি
কালকের সেই ভয়ানক
আওয়াজে শরীরটা
আবার কেপে উঠলো…

আওয়াজ টা নিচ থেকে
আসছে ভয়ে ভয়ে মনের
ভিতর একটু সাহস নিয়ে
নিচে আসেই বাসার
সমস্ত লাইট গুলো নিভে
গেলো ঘুটঘুটে অন্ধকার
হয়ে গেলো চারিদিকে
কিছু দেখতে পারছি…।

কী হচ্ছে এসব আওয়াজ
টা আর পাচ্ছি না
কেনো আর কোন দিন
তো কারেন্ট যাই নি
আজ হঠাৎ কী করে চলে
গেলো…

ঠিক তখনি সেই ভয়ানক
আওয়াজটা হার্ট
অ্যাটাক করার মতো
অবস্থায় ফেলে
দিয়েছে আমার পিছন
থেকে আওয়াজ টা
আসছে মাথাটা পিছনে
ঘুরাতেই একটা রক্তাক্ত
মাথা কাটা মানুষকে
দেখতে পেতেই…


চলবে