ডিভোর্স পর্বঃ ১০

0
3066

#ডিভোর্স
পর্বঃ ১০
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার


স্নেহাঃ মায়ার কথা
শুনে নিজের কানকে
বিশ্বাস করতে পারছি
না….

মায়াঃ আপু কথাটা
তোকে কীভাবে বলবো
বুঝতে পারছি না…

স্নেহাঃ যেভাবে সবাই
বলে সেভাবেই বল…

মায়াঃ আসলে আপু
আমি যেখানে থাকতাম
তার পাশের বাসার
ছেলেটার সঙ্গে আমার
৭ বছরের রিলেশন…..
এখন সে আমাকে বিয়ে
করতে চাচ্ছে কিন্তু
আব্বু আম্মুকে কীভাবে
কথাটা বলবো বুঝতে
পারছি না…

স্নেহাঃ শেষে তুই ও
ভালোবেসে ফেললি…

মায়াঃ হুম


স্নেহাঃ দেখ মায়া
আমার জন্য এমনিতে
তাদের মান সম্মান
ধুলোয় মিশে গেছে এখন
তুইও যদি আমার মতো
একই রাস্তা নির্ণয়
করিস তাহলে তারা
গ্রামের মানুষকে মুখ
দেখাবে কীভাবে…

মায়াঃ তাহলে আপু
কাউকে ভালোবাসা টা
কী অপরাধ…

স্নেহাঃ না মানে আমি
সেটা বলতে চাই নি তুই
বাবা কে ঠান্ডা মাথায়
বুঝিয়ে বলবি দেখবি
তারা নিজে থেকে ওই
ছেলেটার সঙ্গে তোর
বিয়ে দিবে আর হ্যা হুট
করে কোন সিদ্ধান্ত
নিয়ে নিস না তখন পরে
পাস্তাতে হবে….

মায়াঃ আচ্ছা তারা
যদি না মেনে নেয়
তাহলে আমাকেও তোর
মতো পালিয়ে বিয়ে
করতে হবে…


স্নেহাঃ এসব কথা পরে
হবে আগে কিছু খা তার
পর এসব কথা হবে…

মায়াঃ আপু আমার
খিদে লাগে নি তো…

স্নেহাঃ বললেই হবে
আয় আমার সঙ্গে জোর
করে নিচে নিয়ে এসে
ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম
বেড় করে দিয়ে এই নেয়
খা…

মায়াঃ আপু তুই ও না
আমি কী ছোট্ট বাচ্চা
নাকি যে আইসক্রিম
দিচ্ছো…

স্নেহাঃ হুম
আর
নিবি ফ্রিজে অনেক
গুলো রাখা আছে..

মায়াঃ এত আইসক্রিক
কার জন্য ফ্রিজে
রাখছিস হুম..

স্নেহাঃ এগুলা ওনি
নিয়ে আসছেন আমার
জন্য…

মায়াঃ তাই বলে এত
গুলো একটা কথা না
বললেই না তোর
কপালটা অনেক ভালো
না হলে এমন স্বামী
কজনের কপালে জুটে…


স্নেহাঃ হয়তো এটাই
আমার কপালে লিখা
ছিলো আচ্ছা
বিরিয়ানি খাবি…

মায়াঃ না…

স্নেহাঃ আরে খুব টেস্ট
খেতে একটু খেয়ে দেখ
( টেবিল থেকে একটা
প্লেটে করে বিরিয়ানি
টা উঠিয়ে দিলাম..
সকাল বেলা ওনি
হোটেল থেকে নিয়ে
আসছিলো )


মায়াঃ আপু আমি কী
রাক্ষস নাকি যে ওত
গুলো খাবো…

স্নেহাঃ হুম না খায় না
খায় শরীরের কী অবস্থা
করছিস দেখছিস আর
কিছু খাবি…

মায়াঃ না৷…

স্নেহাঃ লজ্জা
পাচ্ছিস নাকি..

মায়াঃ লজ্জা পেতে
যাবো কেনো…

স্নেহাঃ বলা তো যায়
না আচ্ছা তুই একটু বস
আমি ওনাকে একটু ফোন
করে জিজ্ঞেস করে
আসি যে কখন বাসায়
আসবে…

কিছু খন পর..


স্নেহাঃ হ্যালো ..

সাঈদঃ হুম বলো..

স্নেহাঃ তুমি কখন
বাসায় আসবে..

সাঈদঃ হঠাৎ স্নেহার
মুখে তুমি কথাটা শুনে
শক খাওয়ার মতো
অবস্থা এই মেয়েটা কখন
যে কী করে বসে তার
কোনো গ্যারিন্টি নেই
প্রথমে তুই তার পর
আপনি এখন তুমি….


স্নেহাঃ কী হলো কিছু
বলছো না কেনো..

সাঈদঃ ফিরতে রাত
হবে…

স্নেহাঃ ফিরতে রাত
হবে কেনো…

সাঈদঃ আরে বাবা
একটা কাজে আসছি
বলে আসছি তো
তোমাকে…

স্নেহাঃ তবুও
তাড়াতাড়ি চলে আসার
চেষ্টা করবা…

সাঈদঃ আচ্ছা

স্নেহাঃ আচ্ছা রাখছি
তাহলে…

সাঈদঃ ওকে রাখো…



মায়াঃ আপু তুই এত
খেয়াল রাখিস তোর
বরের…

স্নেহাঃ রাখবো না
আমরা কী পাচ টা দশটা
বর আছে আমার তো
একটাই তুমি আছে তার
খেয়াল না রাখলে কার
রাখবো হুম ।


মায়াঃ সেটাও আবার
ঠিক…

স্নেহাঃ আচ্ছা কত দিন
থাকবি রে তুই
বাংলাদেশে…

মায়াঃ ১০ দিনের মতো
তার পর চলে যাবো
ওখানে একটা ভালো
জব অফার করেছে…

স্নেহাঃ ও ও…

মায়াঃ হুম…..

তার পর দুই বোন গল্প
করতে করতে রাত হয়ে
গেলো….


সাঈদঃ কাজ গুলো শেষ
করে বাসায় ফিরতে
একটু দেরি হয়ে গেলো.

বাসার কলিং বেলটা
সেই কখন থেকে
বাজাচ্ছি দরজাটা খুলে
দেওয়ার কারো নাম
গন্ধেই নেই দেখছি..


স্নেহাঃ ওনি চলে
আসছে আমি দরজাটা
খুলে দিয়ে আসতেছি…

দরজাটা খুলে দিতেই….

সাঈদঃ এত খন লাগে
দরজাটা খুলে দিতে…

স্নেহাঃ না মানে ইয়ে
মানে শুনে পাই নি
( মাথাটা নিচু করে )

সাঈদঃ আচ্ছা ঠিক
আছে এভাবে মন খারাপ
করলা কেনো আমি কী
তোমার উপর রাগ
করলাম…

স্নেহাঃ মিথুক এখনি
তো রাগ করলা…

সাঈদঃ এটাকে আবার
রাগ করা বলে নাকি

স্নেহাঃ হুম বলে…

সাঈদঃ আচ্ছা যাও
বাবা আর করবো না
এবার তো হ্যাপি
নাকি…

স্নেহাঃ হুম


সাঈদঃ আচ্ছা আমি
ফ্রেশ হয়ে আসতেছি
তুমি ততক্ষণে খাবার
রেডি করো…

স্নেহাঃ আচ্ছা…

সাঈদঃ ফ্রেশ হয়ে
কাপড় গুলো বদলে
খাবার টেবিলে
বসলাম…

মায়া কোথায়…

স্নেহাঃ উপরে…

সাঈদঃ ডাক দাও সে
কী রাতে ডিনার করে
ফেলছে নাকি..

স্নেহাঃ না…

সাঈদঃ তাহলে তিনজনে
মিলে এক সাথে আজ
রাতে ডিনার টা করবো
ওকে ডাক দাও…


স্নেহাঃ মায়া এই মায়া
নিচে আয় তোর দুলাভাই
তোকে ডাকতেছে

মায়াঃ আসতেছি…

নিচে এসে…

স্নেহাঃ চেয়ার টা
টেনে বস…

মায়াঃ আপু আমার
খিদে পায় নি…

সাঈদঃ তা বললে হয়
তুমি আমাদের বাসায়
প্রথম আসছো না খেয়ে
থাকতে দিতে পারি…

স্নেহাঃ একটু খাবি
বস..

মায়াঃ একটু কিন্তু…

স্নেহাঃ হুম…

তার পর তিন জনে মিলে
এক সঙ্গে ডিনার
করলাম…


তার পর কিছু খন গল্প
করার পর..

সাঈদঃ অনেক রাত হয়ে
গেছে এবার ঘুমাতে
যাও মায়া…

মায়াঃ আচ্ছা ঠিক
আছে…

সাঈদঃ আমাদের
পাশের রুমটা তে যেও…

মায়াঃ আচ্ছা…


সাঈদঃ স্নেহা তুমি কী
মায়ার সঙ্গে থাকতে
চাচ্ছো…

স্নেহাঃ না তো
কেনো…

সাঈদঃ এমনি বললাম
একলা একটা রুমে যদি
ওর থাকতে ভয় লাগে
তাই বললাম আর কী…

স্নেহাঃ লাগবে না ওর
ভয় ও কী ছোট্ট
বাচ্চা…

সাঈদঃ না…

এবার তুমিও রুমে গিয়ে
শুয়ে পড়ো…

স্নেহাঃ তুমি কী
করবা…

সাঈদঃ টিভিতে খবর টা
দেখে আমিও যাচ্ছি

স্নেহাঃ আমিও খবর
দেখবো তোমার
সঙ্গে…

সাঈদঃ আচ্ছা. এখনি
কিছু বললে আবার মন
খারাপ করবে…

টিভিটা অন করতেই
একটা ভয়ানক আত্মার
চিৎকার শুনতে পেলাম
সেটা শুনে স্নেহা
দৌড়ে এসে শক্ত করে
জরিয়ে ধরলো…

সাথে সাথে চেন্যাল টা
বদলে ফেললাম…

সাঈদঃ এত ভয় লাগে
ভুতকে…

স্নেহাঃ হুম খুব ভয়
লাগে…

সাঈদঃ সেটা তোমাকে
দেখলেই বুঝা যায়..

খবর দেখা শেষ করে
যেই রুমে গেলাম ওমনি
বাইরে জোরে জোরে
বাতাস বইতে লাগলো
এই বুঝি ঝড় উঠলো
আকাশটা পুরো কালো
মেঘে ঢেকে গেছে…


স্নেহাঃ বৃষ্টি হবে
প্রচুর তাই না…

সাঈদঃ হুম ছাদে যাবা
অনেক দিন হলো
বৃষ্টিতে ভিজি নি…

স্নেহাঃ চলো…

সাঈদঃ ছাদে আসতে না
আসতেই বৃষ্টি পড়তে শুরু
করলো…

ছাদে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে
ভিজার মজাই আলাদা
বৃষ্টির সঙ্গে যখন
হালকা বাতাস বয়ে
যাচ্ছিলো হালকা
ঠান্ডায় স্নেহার ঠোট
গুলো কাপতে শুরু
করেছিলো সেটা দেখে
নিজেকে আর কন্ট্রোল
করতে পারলাম না
বুকের মধ্যে শক্ত করে
জরিয়ে ধরে দুজনের
ঠোঁট এক করে দিলাম…

কখন যে তার ঠোঁটের
নেশায় পড়ে গেছি
নিজেও জানি না…

স্নেহাঃ দমটা বন্ধ হয়ে
আসছিলো জোর
ছারিয়ে নিলাম কিন্তু
আমারো খুব ভাল
লাগছিলো এটা করতে..

তাই…

স্নেহাঃ আরেকবার
করো না…

সাঈদঃ এখন না পরে এত
ভিজলে ঠান্ডা
লাগবে…

স্নেহাঃ না না এখনি
না দিলে যাবো না…

সাঈদঃ এই মেয়েটার
জেদের সঙ্গে পারা
যায় না তাই আবারো
দুজনের ঠোঁট এক করে
দিলাম….

কিছু খন পর নিজে
থেকে ছেড়ো দিয়ে
ভিজে কাপড় গুলো
বদলে ফেলে রুমে এসে
শুয়ে পড়লাম আজ কেনো
জানি অজান্তেই খুব
ভালোবাসতে ইচ্ছে
করছে মেয়েটাকে..

একটানে বুকে নিয়ে
আসলাম কপালে কয়টা
চুমু দিয়ে সারা শরীরে
পাগলের মতো কিস
করতে লাগলাম মনে
হচ্ছে আমি কোনো
নেশায় ডুবে যাচ্ছি…

বুকের উপর থেকে
শাড়ির আচলটা শরিয়ে
ইচ্ছে মতো আদর করতে
লাগলাম তার পর দুজনে
ভালোবাসার সাগরে
ডুবে গেলাম


চলবে