ডিভোর্স পর্বঃ ১৬

0
1388

#ডিভোর্স
পর্বঃ ১৬
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার

চারিদিকে ঘুটঘুটঘুটে
অন্ধকার হয়ে গেছে
কিছু দেখতে পারছি না
ঠিক তখনি সেই ভয়ানক
আওয়াজ টা আমার
পিছন থেকে আসছে…

ভয়ে ভয়ে মাথা ঘুরিয়ে
যা দেখলাম তা দেখার
পর জ্ঞান হারালাম….


সকাল বেলা পাখির
চিকচির মিচির শব্দ
ঘুমটা ভাঙ্গলো…

চোখ খুলতেই নিজেকে
বিছানায় দেখতে
পেলাম…

এটা কীভাবে সম্ভব
আমি তো নিচে ছিলাম
উপরে আসলাম কখন…

নাহ এবার মনে হয় পাগল
হয়ে যাবো কী হচ্ছে
আমার সঙ্গে এসব কিছু
বুঝতে পারছি না ঠিক
তখনি…


স্নেহাঃ কাল রাতে
তুমি মেঝেতে ঘুমিয়ে
পড়েছিলে কেনো…

সাঈদঃ কখন আমি তো
বিছানায় ছিলাম..

স্নেহাঃ মিথুক কাল
রাতে হঠাৎ ঘুমটা
ভেঙ্গে গেছিলো
তোমাকে পাশে না
দেখতে পেয়ে যখন
নিচে নামলাম তখন
দেখলাম তুমি মেঝেতে
পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছো তখন
ড্রাইভার কে ডাক
দিয়ে তোমাক রুমে এনে
শুয়েই দিলাম…

সাঈদঃ ও তাহলে উপরে
স্নেহাই এনেছে কী
ভেবেছিলাম আর কী
হলো..

স্নেহাঃ কী হয়েছিলো
তোমার..

সাঈদঃ জানি না খুব
গরম লাগতেছিলো তাই
মেঝেতে শুয়ে
পড়ছিলাম…

স্নেহাঃ ও জানো
গ্রামে গরমের সময়
মানুষেরা মাটিতে ঘুমায়
কেনো না মাটি টা
রাতে বেলা ঠান্ডা
করে…

সাঈদঃও আমি তো
আজকে জানলাম…

স্নেহাঃ


সাঈদঃ কী হচ্ছে এসব
আমার বাসায় আগে তো
কখনো এমন হয় নি
তাহলে এখন কেনো
এমনটা হচ্ছে…

অপেক্ষা এখন রাতের
অপেক্ষা করতে করতে
দিন পেরিয়ে রাত
স্নেহা ঘুমামোর পর পরে
এই ভয়ানক আওয়াজ টা
আমি শুনতে পাই…

ভয় করছিলো তবুও মনেট
মধ্যে সাহস নিয়ে নিচে
আসতেই সমস্ত বাসার
লাইট গুলো নিভে
গেলো চারিদিকে
ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে
গেলো ঠিক তখনি সেই
আওয়াজ টা মনে হলো
সামনে থেকে আসছে
সামনে তাকাতেই..

যা দেখলাম তাতে
জ্ঞান হারানোর মতো
অবস্থা কিন্তু মনের
মধ্যে সাহস নেই সেই
ছায়াটা কে ছুতেই
উদ্ধাও হয়ে গেলো
বাসার সমস্ত লাইট গুলো
আবার জ্বলে উঠলো..


আমি নিশ্চিত এটা
কোনো কেনো ভুত বা
আত্মা নয় এটা নিশ্চয়ই
কারো ষড়যন্ত্র…


পরে দিন সকাল বেলা
সাইকো আর্টিস এর
কাছে গেলাম ওনাকে
খুলে বললাম… ।

হুম বুঝছি…

আপনার ওয়াইফ ঘুমানোর
পর পর এসব হয় তাই
তো…


সাঈদঃ হুম


এসবের পিছনে লুকিয়ে
আছে গভীর রহস্য কিছু
মানুষের হার্ট অনেক
দুর্বল হয় তাদের সামনে
3D রিফলেকশন এর
আত্মার ছবি সাথে
ভয়ানক আওয়াজ
লাগিয়ে দিলে সে
মানুষটা সেটা দেখে
হার্ট অ্যাটাক করে
ফেলে তাতে সেই
মানুষটা সঙ্গে সঙ্গে
মরে যায়…

সাঈদঃ তার মানে কেউ
3D রিফলেকশন বানিয়ে
আমাকে ভয় দেখাচ্ছে
কিন্তু কে সেটা…


আজ রাতে সেই রহস্য
টার মুখোশ সবার সামনে
নিয়ে আসবো…


বাসায় গিয়ে অপেক্ষা
শুধু রাত হওয়ার…


রাতের বেলা…

স্নেহাকে ঘুমিয়ে দিয়ে
অপেক্ষা করতে
লাগলাম সেই আওয়াজ
টার শুনার জন্য কিন্তু
আজব বিষয় এখনো কিছু
শুনতে পারছি না রুম
থেকে বেড় হয় নিচে
আসলাম কই কারেন্ট তো
চলে গেলো না তার
মানে সে কী বুঝতে
পেরে গেছে আমি সব
জানতো পেরে গেছি…


নাহ এটা কীভাবে হতে
পারে তখনি কারো
ফিসফিসানিত শুনতে
পেয়ে আড়াল হয়ে
গেলাম…


( আজ একটু দেরি হয়ে
গেছে মালটা মনে হয়
ঘুমায় গেছে আজ না
কাল এমন ভয় দেখাবো
বেটা হার্ট অ্যাটাক
করে মরবে )

সাঈদঃ কারা এরা
আমাকে জানতেই হবে…

আড়াল থেকে বেড় হতে
যাবো ঠিক তখনি…


চলবে .