ডিভোর্স পর্ব-২২

0
1199

ডিভোর্স
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ২২

স্নেহাঃ তেমন কিছু
না যা আছে তাই আসেন….

স্নেহার খালাঃ এটা কোনো কথা বললি…

স্নেহাঃ হুম…
আচ্ছা মাইসা কে কোথায় দেখতে পাচ্ছি না কেনো ( মাইসা খালার এক মাএ মেয়ে )

স্নেহার খালাঃ দেখ গিয়ে কোথায় খেলে বেড়াচ্ছে আমি বাপু পড়েছি এক জ্বালায় এই মেয়েটাকে নিয়ে আমি মোটেও পারি না সারা দিন রোদে বাতাসে ঘুরে ঘুরে চেহেরা যা অবস্থা করেছে…


স্নেহাঃ ছোট আছে এখনো ও বড় হলে ঠিকি সব বুঝবে…

স্নেহার খালাঃ আচ্ছা তোর বাবা কে এই কথা বলছিস…

স্নেহাঃ না বলেও লাভ কী ওনি তো আবার এনাকে সহ্য করতে পারেন এ না..

আচ্ছা খালা কাউকে ভালোবাসা টা কী ভুল..

বাবার কাছে কতবার ক্ষমা চাইছে ওনি কিন্তু কী বলবো বাবা এত নিষ্ঠুর হবে সেটা আগে জানতাম না….

স্নেহার খালাঃ তোর বাবা এমনি রে একটু তে রিয়েক্ট করে বসে আচ্ছা জামাই টা কী করে..রে…


স্নেহাঃ ব্যাংক এর সিনিয়ার অফিসার..

শহরে ইয়া বড় একটা বাড়ি আছে তার পর ওনি আমার নামে বিশাল বড় একটা রেস্টুরেন্ট লিখে দিয়েছেন…


স্নেহার খালাঃ ??????????????? কী বলছিস আমি শুনছিলাম ছেলেটা বেকার

স্নেহাঃ প্রথমে তো আমিও জানতাম বেকার তবুও ভালোবেসে ফেলেছিলাম বাবা আনার জোর করে ওন্য খানে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলো তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে বেকার ছেলেটাকে নিয়েই গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেছিলাম শহরে যাওয়ার পর বুঝতে পারছিলাম ছেলেটা বেকার অনেক বড় লোক কিন্তু তাতে আমার কী আমি তো ওনার টাকা পয়সা দেখে আর ওনাকে ভালোবাসি নি আমি তো ওনার মাঝে সুন্দর লুকিয়ে থাকা মন টাকে ভালোবেসেছিলাম…


স্নেহার খালাঃ আচ্ছা তুই তো দেখছি সুন্দর করে এখন শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারতেছিস…


স্নেহাঃ হুম ☺☺☺??☺ কী করবো বলো ওনার সঙ্গে থাকেই সব শিখে গেছি ?


স্নেহার খালাঃ ভালোই….


স্নেহাঃ আচ্ছা খালা আমি একটু রুমে যাচ্ছি…


তার পর কী দেখতে দেখতে প্রায় ২৩ দিন এর মতো কেটে গেছে ওনি এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ….

স্নেহাঃ আচ্ছা এখন কেমন লাগতেছে…

সাঈদঃ আগের থেকে একটু ভালো…

স্নেহাঃ হুম মাইসা ওই মাইসা….

মাইসাঃ হ্যা আপু বল…

স্নেহাঃ টেবিলের উপর ঔষধ গুলো রাখা আছে নিয়ে আয় তো….

মাইসাঃ এক মিনিট দ্বারা নিয়ে আসতেছি…


সাঈদঃ এত ঔষধ খায় খায় আর খাওয়ার ইচ্ছে করছে না…

স্নেহাঃ ঔষধ না খাইলে সুস্থ হবেন কীভাবে…
/
সাঈদঃ এমনিতেই .

স্নেহাঃ ওত ঢং করতে হবে না চুপচাপ ঔষধ গুলো খেয়ে শুয়ে পড়েন…

সাঈদঃ এই না না বিছানায় শুয়েই থাকতে থাকতে বিরক্ত লেগে গেছে.. চলো না কোথাও থেকে ঘুরে আসি?

স্নেহাঃ এই শরীর নিয়ে কোথায় যেতে হবে না ?? ( রেগে )

আগে সুস্থ হবা তার পর ভেবে দেখবো আমার কথা শুনলে এসব হতো কত বার বলছি একা একা কোথায় যাবেন না কখনো শুনছো আমার কথা…


সাঈদঃ আচ্ছা ঠিক আছে???

তার পর কী ঔষধ খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম এখন তো মনে হচ্ছে আমি ওর বউ আর ও আমার বর…


স্নেহাঃ কিছু বললে…

সাঈদঃ না তো…

তার পর দেখতে দেখতে আরো ১৫ টা দিন কেটে গেলো এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ বলা যায় পুরোপুরি সুস্থ….


স্নেহাঃ আচ্ছা একটা বলবো..

সাঈদঃ হুম বলো…

স্নেহাঃ না না এখন বলবো না তুমি কিছু দিন হয়ছো সুস্থ হয়ছো পরে বলবো…

সাঈদঃ এখন বললে কী হবে…

স্নেহাঃ বলা যাবে না …

সাঈদঃ কেনো…

স্নেহাঃ এমনি…

সাঈদঃ আচ্ছা….
এখানে থেকেও আমার ওই কথা গুলো মনে পড়তেছে কতটা ভয়ানক ছিলো ওই দুটো রাত আমি তো প্রতিশোধ নিবোই যখন একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে
এসেছি তখন ওদের আর শান্তিতে বাচতে দিবো না আর কয়েক টা দিন শান্তিতে কাটিয়ে নেয় এর পর তোদের সাথে যা করবো কল্পনাও করতে পারবি না….


স্নেহাঃ মনে মনে কী বিরবিরাচ্ছো….

সাঈদঃ কিছু না ভাবছিলাম এখানে এসে খালার কতো গুলো টাকা খরচ করে ফেললাম…

স্নেহাঃ কোথায় টাকা গুলো তো আমি দিচ্ছি…

আর তোমাকে এসব নিয়ে টেনশন করতে হবে না..

সাঈদঃ আচ্ছা …

স্নেহারঃ পাশের বাড়িতে তো আজ বিয়ে তুমি যাবা কী…

সাঈদঃ হুম তুমি যাবা না…

স্নেহাঃ হুম যাবো তো…


সাঈদঃ আচ্ছা তাহলে তুমি রেডি হয়ে নাও আমি তো রেডি হয়েই আছি…


তার স্নেহাঃ রেডি হয়ে আসলো..
পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান টা ভালোই আয়োজন করছে কিন্তু সমস্যা হয়ে গেলো অন্য এক জায়াগায় ডাবের পানি ভেবে এক গ্লাস ড্রিংক করে ফেলেছি.

মাথাটা ঘুরছে আর মুখ থেকে কীসব আবোল তাবোল কথা বকতেছি মনে হচ্ছে নিজের উপর কোনো কন্ট্রোনল এ নেই..


তার পর যে কী হলো কিছুই বলতে পারতেছি না…


স্নেহাঃ হঠাৎ দেখলাম ওনি কেমন যানি করতেছে খালা সহ ওনাকে নিয়ে এসে রুমে শুয়েই দিলাম কিন্তু ওনি এমন তো অবস্থায় যা বললো তা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না…

পরের দিন সকাল বেলা.

সাঈদঃ ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলাম স্নেহা আমার দিকে যেভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে কাচায় চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো…


সাঈদঃ ও ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো…


স্নেহাঃ কাল রাতে তুমি যখন নেশা করেছিলে তখন একটা কথা বলেছিলা কথা কী সত্যি..


সাঈদঃ কী বলছিলাম মনে আসছে… না..

স্নেহাঃ ঢং করতে হবে সত্যি করে বলো..

সাঈদঃ সত্যি মনে আসছে না..

স্নেহাঃ তুমি বার বার মায়ার নাম নিচ্ছিলা কেনো সত্যি করে বলো….


সাঈদঃ কী যা নি মনে হয় ভুলে বলেফেলেছিলাম….


স্নেহাঃ আমায় ছুয়ে সত্যি করে বলো..


সাঈদঃ কীভাবে বলবো তোমায় সত্যি টা জানলে তুমি খুব কষ্ট পাবে…

স্নেহাঃ বলছো না কেনো…


সাঈদঃ সত্যি জানতে চাও তো তাহলে শুনো যে আমাকে কিন্ড্যানাপ করিয়েছিলো সে আর কেউ নয় তোমার ছোট্ট বোন মায়া…

চলবে