ডিভোর্স পর্ব :- ২৪ এবং ২৫

0
2001

গল্প :- ডিভোর্স
পর্ব :- ২৪ এবং ২৫
লেখক :- আবু সাঈদ সরকার


স্নেহাঃ এই মায়া কী কোথায়ও আমাদের শান্তিতে থাকতে দিবে না..



➡ অন্য দিকে


স্নেহার মাঃ মায়া এদিকে আয় তো…

মায়াঃ হ্যা মা বলো কী বলতে চাচ্ছো…

স্নেহার মাঃ কীভাবে কথাটা তোকে বলবো তুই আবার তোর বাবাকে বলে দিবি না তো…

মায়াঃ কী যে বলো মা আচ্ছা বলো বলবো প্রোমিশ…

স্নেহার মাঃ তুই তো স্নেহার বাসায় গেছিলিস তা ওর নাম্বার আছে তোর কাছে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে…

১০ মাস ১০ দিন এই পেটে রেখেছিলাম কীভাবে ভুলে থাকবো ওকে…


মায়াঃ কই না তো স্নেহা আপুর তো ফোন এ নেই…

স্নেহার মাঃ মেয়েটা জানি না কীভাবে এমন একটা কাজ করে ফেললো আগে তো ও এমন ছিলো না কত সহজ সরল ছিলো হঠাৎ কী হলো যে তাকে এই ভাবে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে হলো…

জানিস এর জন্য গ্রামের মানুষেরা তোর বাবাকে কত কিছু বলছে মানুষ টা রাতের বেলা শান্তিতে ঘুৃমোতেও পারে না…

তোর বাবাও স্নেহাকে ছেড়ে থাকতে পারে না কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছে না নিজের বিবেকটা আটায় দেয়…

মায়াঃ যা হবার তাই তো হয়ে গেছে আপুকে ক্ষমা করে দিলে কী হয় সব কিছু কী আগের মতো শুরু করা যায় না তাছাড়া দুলভাই তো অনেক বড় ফ্যামিলির ছেলে গাড়ি আছে বাড়ি আছে সরকারি চাকরি আছে এত কিছু থাকার পরেও তোমরা কেনো মেনে নিতে পারছো না এটাই বুঝতে পারছি না…


স্নেহার মাঃ তুই জানিস না আমি তোর বাবার উপর কোনো কথা বলতে পারি না ওনি যাই বলেন আমি তাই করি..

মায়াঃ মা তুৃমিও না পারো বটে এখন এসব বাদ দাও তো আমি তোমাকে নিয়ে একদিন স্নেহা আপুর বাসায় যাবো কেমন বাবা জানতেও পারবে না…


স্নেহার মাঃ সত্যি বলছিস…

মায়াঃ হুম সত্যি….






স্নেহাঃ এখানে নাকি মা বাবা আর মায়া আসতেছে..

সাঈদঃ কখন..

স্নেহাঃ কালকে আসবে..

সাঈদঃ তাহলে তো এখানে আমরা থাকতে পারবো না…

স্নেহাঃ সেটাই তো কিন্তু যাওয়ার মতো তো কোথায় জায়গা নেই…

সাঈদঃ কেনো আমার আমার বাসাটা কী হয়েছে…

স্নেহাঃ সেখানে যেতে আমার ভয় লাগে…

সাঈদঃ আরে বাবা ভয় কে এবার আমাদের জয় করতে হবে অনেক হয়ে গেছে এই ছেলে মানুষি খেলা তুমি ছটফট কাপড় গুলো গুছিয়ে ফেলো আজ রাতেই আমাদের চলে যেতে হবে…


স্নেহাঃ হুম…


স্নেহার খালাঃ কী করিস এসব তুই…

স্নেহাঃ আমরা আজ রাতেই চলে যাবো যদি মা বাবা জানতে পারে এসব তাহলে হয়তো ওরা তোমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিবে আমি চাই না তোমার সঙ্গে ওদের সম্পর্ক টা নষ্ট হোক…


স্নেহার খালাঃ তাই বলে এভাবে চলে যাবি তোরা…

স্নেহাঃ কী করবো বলো সব নিয়তির খেলা…

রাতের বেলা..

সাঈদঃ আসি তাহলে খালা আম্মা আপনি আমাদের অনেক সাহায্য করছেন আপনার কথা আমি কখনো ভুলবো না…

স্নেহাঃ খালা তুমি কিন্তু আমাদের বাসায় আসবে…

আর মাইসা তুইও আসবি কিন্তু…


স্নেহার খালাঃ আচ্ছা বাবা যাবো তোর বাসায় না গেলে আর কোথায় যাবো বল…

সাঈদঃ আচ্ছা আসি তাহলে…

স্নেহার খালাঃ আচ্ছা বাবা আবার আসিও…

স্নেহাঃ আচ্ছা…


তার পর সবার কাছ থেকে বিদাই নিয়ে…

গাড়িতে উঠে বসলাম…


সাঈদঃ গাড়িতে উঠার পর আমার গাড়িটার কথা মনে পড়ে গেলো জানি না আমার গাড়িটা এখন কী অবস্থায় রয়েছে…


কয়েক ঘন্টা পর শহরে পৌঁছে গেলাম…

বাসায় আসতে আসতে রাত ৪ টা বেজে গেছে গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির ভাড়াটা দিয়ে ভিতরেই ডুকতেই দেখলাম সব কিছুতে ধুলো জমে গেছে…

স্নেহাঃ কিছু দিন ছিলাম না বলে কী অবস্থায় হয়ছে দেখচ্ছো..

সাঈদঃ হুম…

স্নেহাঃ কাল এ গুলো সব পরিষ্কার করতে হবে…

সাঈদঃ তুমিও এগুলো পরিষ্কার করতে যাবা না এগুলোতে অনেক জীবানু লেগে আছে আমি একটা কাজের বুয়া নিয়ে আসবো…

স্নেহাঃ আমি থাকতে কাজের বুয়ার কী দরকার…

সাঈদঃ আছে তুমি এসব নাড়বে মানে নাড়বে না…


স্নেহাঃ???

সাঈদঃ রুমে চলো তো দেখি রুমের কী অবস্থা…

স্নেহাঃ রুমে এসে হায় আল্লাহ পুরো রুমটার কী অবস্থা রুমের সব জিনিস পএ গুলো কেউ ভেঙ্গে মেঝেতে ফেলে রেখেছে ঘরের একটা জিনিস ও জায়গা মতো নেই…

তার মানে আমরা চলে যাওয়ার পর কেউ নিশ্চয়ই আসছিলো…

সাঈদঃ এখানে থাকাটা ঠিক হবে না…

স্নেহাঃ কিন্তু কী করবো এখন…

সাঈদঃ এখান থেকে কিছু দুরেই একটা হোটেল আছে ওটাতে আজকের রাত টা থাকতে হবে…


স্নেহাঃ তোমার যা ইচ্ছে…

সাঈদঃ হুম চলো….


তার পর বাসা থেকে বেড়িয়ে কিছুখন পর হোটেলে এসে একটা রুম বুক করে ফেললাম রুমে এসে লাইট বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে পড়লাম কেনো না শরীরটা ভীষণ ক্লান্ত লাগতেছিলো…


পরের দিন…


স্নেহার বাবাঃ চলো গাড়ি চলে আসছে তো…

স্নেহার মাঃ হুম চলো…


তার পর তিনজনে উঠে বসলাম…


তার পর কয়েক ঘন্টা পর নীলাদ্রির বাসায় পৌঁছে গেলাম..


স্নেহার মাঃ কেমন আছিস বোন..

স্নেহার খালাঃ হুমভালো..আরে মায়া তো অনেক বড় হয়ে গেছে…

মায়াঃ হুম খালা মুনি…


স্নেহার বাবাঃ অনেক দিন পর আসা হলো এখানে মাইসা কোথায়…

স্নেহার খালাঃ নিজের রুমে আছে…

স্নেহার বাবাঃ অনেক দিন হলো মেয়েটাকে দেখি নি একটু কথা বলে আসি রুমে এসে মাইসা মা কেমন আছো…

মাইসাঃ ভালো তুমি কেমন আছো…

স্নেহার বাবাঃ ভালো এই জামাটা তোমাক তো খুব সুন্দর মানাচ্ছে কে দিয়েছে এটা…


মাইসাঃ স্নেহা আপু… ☺☺☺☺


স্নেহার বাবাঃ কীহ….

স্নেহার খালাঃ আমি বাইরে থেকে সব শুনতে পাচ্ছিলাম রুমে দৌড়ে গিয়ে…

স্নেহার খালাঃ কিছু মনে করবেন ও এখনো ছোটো আসলে হয়েছেছিলো টা কী জানেন কয় দিন আগে আমার উপর খুব রাগ করছিলো তাই আমি ওর রাগ ভাঙ্গানোর জন্য জামাটা কিনে বলেছিলাম ওর স্নেহা আপু দিয়েছে..


স্নেহার বাবাঃ ওও…



দেখতে দেখতে রাত গেলো…

এদিকে স্নেহার বাবাঃ রাত তখন ১ টা বাজে হঠাৎ মনে হলো বাইরে কেউ কথা বলতেছে সেটা দেখতেই যখন বাইরে আসলাম তখন যা দেখলাম সেটা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি এত রাতে কার সাথে কথা বলতেছে মেয়েটা?..



নাহ এটা শুধু আজ না অনেক দিন ধরেই দেখতেছি…

রাত এ কার সঙ্গে জানি কথা বলে আজ একটু বিষয় টা জানতেই হবে একটু আড়ালে গিয়ে

মায়াঃ ওই দুইজনকে খুজতে এত দিন লাগে…

তোদের এই জন্য আমি টাকা দিচ্ছি না শুনার জন্য দুই দিনর মধ্যে আমি ওদের লাশ দেখতে চাই…

একবার স্নেহাকে পেয়ে গেলে ওর স্বামীকেও পেয়ে যাবো ওর স্বামীকে মেরে ফেলতে পারলেই সব আমার হয়ে যাবে…

যত লোক লাগে তুই লাগিয়ে দেয় টাকার টেনশন করিস না আর হ্যা কাজ হয়ে গেলে আমি আমার বাবার যত গুলো সম্পদ আছে সব তোর করে দিবো…


তুই শুধু স্নেহাকে খুজে এনে দেয়…


গল্প :- ডিভোর্স
পর্ব :- ২৫
লেখক :- আবু সাঈদ সরকার


মায়াঃ কাজটা যেনো গোপনে গোপনে হয়ে যায় কেউ যেনো কিছু টি জানতে না পারে আর হ্যা তুই আমাকে ফোন করিব না দরকার হলে আমিই তোকে ফোন দিবো এখন ফোন রাখ…


স্নেহার বাবাঃ নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছি না আমি যা দেখতেছি তা কী সত্যি নাকি আমার মনে ভুল…


মায়াঃ কোথায় লুকিয়ে থাকবি তোরা পাতাল থেকেও খুজে বের করে আনবো তোকে.


স্নেহার বাবাঃ নাহ মায়া কিছু করুম তার আগে এ সম্পর্কে স্নেহাকে সব জানাতে হবে হাজার হোক আমার মেয়ে তা আমি স্বীকার করি বা নাই করি….



পরে দিন…

সাঈদঃ কাজের লোক দিয়ে বাসাটা ভালো করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিলাম…

এই কয়েক টা দিন বাসাটা অপরিতৃপ্ত থাকাতে এমন অবস্থা হয়েছে যে চিনাই যাচ্ছিলো না এটা মানুষের থাকার জায়গায় মনে হচ্ছিলো একশো বছর এর পুরাতন রাজ বাড়ী ??


বাসায় এসে কাগজ এর পেপার টা পড়তেছিলাম ঠিক তখনি কে জানি বার বার কলিং বেলটা বাজিয়ে যাচ্ছে…

সাঈদঃ স্নেহা দেখো তো কে আসছে..

স্নেহাঃ তুমিই তো বসে আছো তুমি গিয়ে দেখতে পারছো না…

সাঈদঃ খবরের কাগজ পড়তেছি তুমি যাও না প্লিজ.

স্নেহাঃ আমি রান্না করতেছি তো……ছেড়ে যেতে পারবো না…

সাঈদঃ ওমনি যাও…

স্নেহাঃ তোমার দ্বারা কিছু হবে সব কাজ আমাকেই করতে হয়…

সাঈদঃ ?????


স্নেহাঃ দরজাটা খুলতেই আকাশ থেকে মাটিতে পড়লাম মনে হয় সামনে মা বাবা দুইজনে দাড়িয়ে আছে…


সাঈদঃ কী হলো কোনো কিছুর আওয়াজ পাচ্ছি না এত খন ধরে তো কলিং বেলটা বাজিয়ে কান ঝালা পালা করে দিলো…


স্নেহা কে আসছে…


কী হলো কিছু বলছো না কেনো ধুর আমাকেই যেতে হবে আবার দরজার কাছে আসতেই…


?????????

আপনারা এখানে…

স্নেহার বাবাঃ কিছু কথা বলতে এসেছিলাম…

সাঈদঃ ভিতরে আসুন.. তুমি কেমন করতেছো হুম ওনাদের ভিতরে না আসতে বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছো…


স্নেহার বাবাঃ ভিতরে না গিয়ে এখান থেকেই বলে যাই…

সাঈদঃ ছিঃ ছিঃ কী বলতেছেন এসব আপনারা আমাদের বাসায় প্রথম আসলেন ভিতরে না এসেই চলে যাবেন এটা কোনো কথা হলো…


স্নেহার বাবাঃ এত করে যেহেতু বলছো তখন না হয় ভিতরে যাচ্ছি…


ভিতরে এসে..

সাঈদঃ বসেন স্নেহা এনাদের জন্য নাস্তা বানিয়ে নিয়ে আসো..


স্নেহাঃ আচ্ছা…

সাঈদঃ তা কেমন আছেন আপনারা…

স্নেহার বাবাঃ হুম ভালো তোমারা…

সাঈদঃ না আছি ভালো না আছি খারাপ কেমন যে আছি আমরা নিজেরাও জানি না…

স্নেহার বাবাঃ কেনো তোমাদের আবার হঠাৎ করে কী হলো..


সাঈদঃ অনেক কিছু হয়ে গেছে কয়েক টা দিনের মধ্যে….

স্নেহার বাবাঃ ও আচ্ছা আসলে আমি কয়েক টা কথা বলতে এসেছিলাম ..

সাঈদঃ জ্বী বলেন….


স্নেহাঃ ফ্রিজ থেকে আপেল আঙ্গুর, কমলা, মালটা, বের করে কেটে প্লেটে সাজিয়ে ফেললাম সাথে দুটো প্লেটে বিস্কুট আর চানাচুর, আর তিন পকেট নুডুলস রান্না করে বাবা মায়ের সামনে নিয়ে গেলাম…


সাঈদঃ পানি নিয়ে আসো…

স্নেহাঃ আনতেছি….

সাঈদঃ খাওয়া শুরু করেন তেমন কিছু একটার আয়োজন করতে পারি নি আমি যদি জানতাম যে আপনারা আসবেন তাহলে আরো অনেক কিছুর আয়োজন করতাম…


স্নেহার বাবাঃ এত কিছুও কম মনে হয় ( মনে মনে ) না থাক এতেই খুশি আমরা…


সাঈদঃ নাস্তা খাওয়ার পর স্নেহা চা নিয়ে আসো…

আপনি চিনি ছাড়া চা খাবেন নাকি চিনি সহ…


স্নেহার বাবাঃ হালকা চিনি..

সাঈদঃ আচ্ছা তা কী জানি বলতেছিলেন…

স্নেহার বাবাঃ চা খেতে খেতে কীভাবে বলবো কথাটা তবুও কথা গুলো বলতে হচ্ছে তোমারা মায়ার কাছ থেকে যত দুরে পারো তত দুরে সরে থাকো কেনো না আমি নিজের কানে শুনেছি ও তোমাদের ক্ষতি করতে চায় আর তোমার এইসব সম্পতির মালিক হতে চায়…


স্নেহাঃ কথা গুলো শুনে মুখ ফসকে বেড়িয়ে পড়লো…

মায়াকে আমি ছাড়বো না বাবা ও আমার লাইফটাকে ভেঙ্গে চুরমাচার করে দিচ্ছে কিছু দিন আগে তোমাক যখন ফোন দিচ্ছিলাম ওই রাতে মায়া গুন্ডা ভাড়া করে ওনাকে কিন্ডন্যাপ করায় তার পর আমার কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা মুক্তি পন চেয়েছিলো আমি টাকাটা না দিতে পারায় ওনার যা অবস্থা করেছিলো এখনো পযন্ত ওনি সম্পুর্ন ভাবে সুস্থ হয়ে উঠেন নি…

আমরা তো মায়ার কোনো ক্ষতি করি নি তাহলে কেনো ও আমাদের পিছনে লেগে আছে কী লাভ এতে ওর…


স্নেহার বাবাঃ এই কথাটা যদি আমাকে অন্য কেউ বলতো তাহলে কখনোই বিশ্বাস করতাম না কিন্তু আমি নিজের কানে শুনেছি মায়া কাকে জানি বলতেছিলো তোদের খুঁজে পেলে মেরে ফেলতে…

এ কথাটা শুনার পর আমি সারাটা ঘুমোতে পারি নি তাই শত অভিমান রাগ ভেঙ্গে তোর এখানে ছুটে আসলাম…


সাঈদঃ ভালোই করেছেন এক লিস্ট আপনারা তো আর মায়ার মতো না মায়া তার লিমিট ক্রস করে ফেলেছে এবারে ওকে শাস্তি পেতে হবে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি…


স্নেহার বাবাঃ মায়া হঠাৎ তোমাদের পিছনে কেনো উঠে পড়ে লেগেছে সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করতেছে…

সাঈদঃ কয়েক টা দিন অপেক্ষা করেন সব জানতে পারবেন…


স্নেহাঃ মায়াকে পেলে গলা টিপে মেরে ফেলবো ওকে শয়তান জানোয়ার মেয়ে একটা…

এতই যখন টাকার প্রতি লোভ ছিলো আমাকে বলতে পারতো আমি ওনার কাছ থেকে চেয়ে নিতাম কিন্তু না সে প্লেন করে এসব করতেছে এক দিন এক রাত থেকে বাসাটা সম্পুর্ন ভালোভাবে দেখে নিয়েছে কীভাবে ভিতরে আসা যায় আর কীভাবে বাইরে যাওয়া যায়…


সাঈদঃ আমারো কিন্তু প্রথম প্রথম বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে এটা মায়া কিন্তু যখন আমি নিজের চোখে মায়াকে দেখলাম তখন বিশ্বাস না করতেও চাইলেও বিশ্বাস করতে হচ্ছে…


স্নেহার মাঃ আমি একবার দেখছিলাম কয়েক দিন আগে মায়া একটা দামি গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি যদি ভুল না হই গাড়িটা তোমার…

সাঈদঃ জ্বী মায়া নিয়ে গেছে সঙ্গে তার পরেও যদি আমার পিছন টা ছেড়ে দিতো আমি খুশি খুশি ওকে মাফ করে দিতাম…


স্নেহার বাবাঃ তোমার যা শাস্তি দেওয়ার আছে ওকে দাও আমার কিছু বলার নেই…


সাঈদঃ সেটা সময় আসলেই দেখতে পাবেন…

সাঈদঃ তা আজকের রাত টা এখানে থেকে যান…

স্নেহার বাবাঃ না সম্ভব হচ্ছে না…

সাঈদঃ কেনো একটা দিনের তো বেপার এখনি আসলেন আর এখনি চলে যাবেন এটা কেমন কথা…


ঠিক তখনি মায়া..

বাহ্ বাবা বাহ্ আমাকে বললে মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছো আর তুমি কিনা স্নেহার বাড়ি আসছো…


চলবে……….