তবুও_তুমি ৯ম পর্ব

0
1111

তবুও_তুমি
৯ম পর্ব
.
সেই উষ্ণ আবেশে কতক্ষন ছিলাম জানি না। আমার হাত দুটি ধীরে ধীরে তার পিঠ আঁকড়িয়ে ধরেছিল। তার বুকের ধকধক শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি আর এই পৃথিবীতে নেই হারিয়ে গেছি অন্য জগৎ এ। এই মূহুর্ত যেন বারবার আসে ঠিক এমন করেই পেতে চাই তাকে বারেবার। আমার কোমরে যেন তার শক্ত হাতের শিকল যা কখনোই ছুটে যাবে না। মনে হচ্ছিল সারা পৃথিবী যেন থমকে গিয়েছে তার আর আমার ভালবাসায়। ঠোঁট থেকে ঠোঁট সরিয়ে নেওয়ার পরেই আমি দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে রইলাম। টেনে ধরে আমাকে রাসেল ভাই বলল ” ছোট আন্টির রুমে চুরি করে যাচ্ছিলি তো তাই না? ” আমি মাথা ঝুলিয়ে সায় দিলাম। আস্তে করে আমার কানের কাছে মুখ এনে বলল ” কোন চিঠিই নেই আন্টির কাছে। মামাকে ঢপ মেরেছে তোর খালা”। বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে অন্ধকারেও যেন আমি দেখতে পারলাম মানুষটা মুচকি মুচকি হাসতেছে। ” অনেক রাত হয়েছে বাসায় যাব ঘুমাবো ” এই বলেই হাঁটা শুরু করলাম। একটু সামনে যেয়েই আবার ফিরে আসলাম। ” কি রে আবার ফিরে আসলি যে ” রাসেল ভাই আকাশ দেখতে দেখতে প্রশ্ন করল। ” আপনি এই ভয়াবহ কাজটা করলেন কেন ” আমি প্রশ্ন করলাম। সে উওর দিল
___ কোন ভয়াবহ কাজ? কারো বাসায় বোমা মেরেছি নাকি?
___ এই যে একটু আগে যেটা করলেন।
___ একটু আগে কি করলাম?
___ একটু আগে যেটা আমার সাথে করলেন।
___ একটু আগে আমি কিছুই করি নি তোর সাথে যা করার তুই করেছিস। আমাকে জড়ায়ে ধরেছিস।
এত মিথ্যা কথা একটা মানুষ কি করে বলে আমি হাঁ করে উনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। মনে মনে এত রাগ হতে লাগল যে বলার মতই না। মেজাজ আগুন করে সোজা গটগট করে নেমে আসতেই বুঝতে পারলাম উনিও পিছে পিছে আসতেছে। ” কালকে যেন ওই পাদের সাথে ঘসাঘসি করতে না দেখি ” পিছন থেকে বলে উঠলো রাসেল ভাই। ঘুরেই তেজের সাথে জবাব দিলাম ” আপনি উনাকে পাদ বলেন কেন উনার নাম সাদ বুঝেছেন। অনলি সাদ, পাদ না “। “বাহ বাহ, পাদের ভালবাসায় দেখি বুদ হয়ে আছিস। ভালই তো আর কি কি প্লান আছে ওই পাদের জন্য ” এটুকু বলেই আমাকে ঠেলে সরিয়ে রাসেল ভাই বাসায় ঢুকে গেল। রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি এই লোক এমন কেন। এই মেঘ এই রোদ। আস্তে করে ঠোঁটে ছুঁয়ে অনুভব করলাম এই ঠোঁটে যে তার সেই উষ্ণ পরশ আছে। আচ্ছা একটু আগে যা হল তা কি সত্যিই নাকি আমার মনে ভুল ছিল। পাশ ফিরে মাথার নিচে হাত দিয়ে এসব ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও বুঝি নাই।

” নিপা তাড়াতাড়ি ওঠ কিন্তু খালারা ডাকতেছে ” বড় আপুর ডাক আর ঠেলাঠেলিতে যখন ঘুম ভাঙল তখন মনে হচ্ছিল এই যেন সবে চোখটা লেগেছিল। উঠে বসতেই বড় আপু হাত ধরে টানাটানি শুরু করল। ” নিপা তুই এখনও ঘুমাচ্ছিস ওদিকে সবাই ব্যস্ত আর তুই নবাবজাদির মত এখনও কাত হয়ে পড়ে আছিস ” কাপড় রাখতে রাখছে বড় খালাম্মা তার বচন শুরু করল। এখানে আর থাকা মানে কানের যে দুই চারটা পোকা জীবিত আছে তাদের মেরে ফেলা। তাড়াতাড়ি করে উঠেই ওয়াশরুমে যেয়ে দরজা দিলাম। উফফ আমি না থাকলে মনে হয় এই সংসারের গাড়ি স্টপ হয়ে যায়।হাত মুখ ধুয়ে ওয়াশরুমে বসে বসেই চুল হাত দিয়ে ঠিক করলাম। বড় খালাম্মার সামনে একমিনিট ও থাকা যাবে না। আজকে হয়ত কাউকেই পায় নাই নিজের নীতি কথা শোনাতে। ওয়াশরুম থেকে বের হয়্রি উসাইন বোল্ট এর গতিতে ডাইনিং এ পৌঁছলাম। সবাই প্লেট হাতে যার যার খাবার নিচ্ছে। মেনু হল পরাটা, আলুর দম আর কালকে মাংস। খুশিতে যেন মনে হচ্ছিল লাফ দেই। পরাটা মাংস আমার খুব পছন্দের তাড়াতাড়ি প্লেটে তিনটা পরাটা আর মাংস নিয়ে ড্রইংরুমে চলে আসলাম। অনেক দিন টিভি দেখা আর খাওয়া হয় নি। আমার অভ্যাস টিভির সামনে বসে বসে খাওয়া যা খালার দুই চোখের বিষ।প্লেটের খাবার হাতে নিয়ে যেই সোফায় বসে টিভি অন করার জন্য রিমোট নিয়েছি সেই ছোঁ মেরে কে জানি আমার হাত থেকদ প্লেটট নিয়ে গেল। মুখ উঁচু করে তাকাতেই দেখি রাসেল ভাই। আমিও সাথে সাথে উনার হাত থেকে প্লেট নিতে হাত বাড়াল তখনই বড় মামা এসে হাজির। ” কি রে তোরা বাচ্চাদের মত প্লেট কাড়াকাড়ি করতেছিস কেন? বড় মামা প্রশ্ন করল আমাদের দিকে তাকিয়ে। আমি কিছু বলার আগেই রাসেল ভাই বলে উঠলো ” দেখেন না মামা নিপা আমার নাস্তার প্লেটে ধরে নিয়ে যাচ্ছে”। উনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমার পায়ের নিচের জমিন না না ফ্লোর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আর আমি ওই ফাঁকা দিয়ে টুপ করে নিচের ফ্লোরে যেয়ে পড়তেছি। বড় মামা চোখ মটকে আমার দিকে চেয়ে বলল” বড় হইছিস এখন ফাজলামি কমা। মিলি জিমি করলে মানা যায় তাই বলে তুইও এমন করবি ” এই বলেই মামা টিভি দেখতে বসে। পাশে বসে দেখতেছি রাসেল ভাইও দিব্বি খেয়েই যাচ্ছে উনার কোন মাথা ব্যাথাই নাই যে আমি খেলাম না। আবার ডাইনিং রুমে এসে প্লেট পরাটা নিয়ে মাংস নিতে যাব দেখি বাটি খালি।খালার কাছে জিজ্ঞেস করতেই বলল ” মাংস ছাড়া কি খাওয়া যায় না?”। উওরের ধরনেই বুঝে গেলাম মাংস যে শেষ। শেষ মেষ সেই আলুর তরকারি দিয়েই কোনমতে একটা পরাটা খেলাম। কই খাবো মাংস দিয়ে পরাটা তা না কপালে জুটলো কি না আলু পরাটা। এই হল জীবন আমার, যা এই কয়েকদিন বড়ই বেদনা ময়। খাওয়া শেষ সবাই আবার তোড়জোড়ে লেগে গেল দুপুরের অনুষ্ঠানে। আজকে দুপুরে ভাইয়ার বউভাত। মোটামুটি ১০টার দিকে বাসা মেয়েশূন্য। ভাবির সাথে সবাই পার্লারে চলে গেছে। এবার খালুও মোটামুটি রেডি খালামনিকে সে যে করেই হোক চিনবে তাই খালা কি শাড়ি নিয়ে যাচ্ছে পার্লারে সেটা ভাল করে খেয়াল করে রেখেছে যাতে গত বারের মত এবার যেন কোন সমস্যা না হয়। কিন্তু আমি আছি বড়ই মুশকিলে। বড় আপু যাওয়ার সময় বলে গেছে গত বারের মত মেকাপ করা নিয়ে যদি আবালামি করি তাহলে ওখানে বসেই নাকি আমাকে ক্যালানি দেবে। কি যে ভয়ে আছি সেটা বলতে পারছি না। খালু আর আমার মুখে দেখে যে কেউই বলবে পেটে সমস্যা আছে নাকি। আমার চেয়ে মনে হয় খালু বেশি ভয়ে আছে মুখটা শুকনো আমচুরের মত দেখাচ্ছে। ছোট মামাকে সকাল থেকে খুঁজতেছি সত্যি কথাটা বলার জন্য আর মামা গায়েব। মামী কে জিজ্ঞেস করলে বলেছে কাজে বাইরে গেছে।১২ টার দিকে আমরা সবাই রেডি হয়ে গেলাম কমিউনিটি সেন্টার এ। আজকে সকাল থেকে নাস্তার কাহিনী হওয়ার পরে রাসেল ভাইও গায়েব। মোটামুটি সবারই আজকে গায়েবানা রোগে ধরেছে। সেন্টারে যেয়ে দেখি ভাবিকে নিয়ে মহিলা মন্ডল তখনও আসে নাই। মোটামুটি সব ফাঁকাই। আমি যেয়ে সোজা স্টেজের সামনের সোফায় এসি বরাবর বসে আয়নাটা বের করলাম ব্যাগ থেকে যে চেহারার দশা কি হয়েছে।

আয়না বের করে দেখলাম চেহারা গরমে একাকার। কাজল লেপ্টে গেছে। মুখে হালকা যা মেকাপ করেছিল তাও ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা। আস্তে আস্তে আবার সব কিছু ঠিক করে যেই আয়না বন্ধ করতেভ্যাব সেই দেখি আয়নাতে রাসেল ভাইকে দেখা যাচ্ছে। ইসস, ব্লু শার্ট ব্ল্যাক জিনস আর সেই এলোমেলো কঅরা চুল মেয়েদের পাগল করতে আল লাগেটা কি। মানুষটা এত সুন্দর স্বভাব চরিত্র সুন্দর হলে কতই না ভাল হতো। স্বভাবটা যেন আস্ত এক কচ্ছপের মত। তাড়াতাড়ি আয়না বন্ধ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে আমি ফোনে মনোযোগ দিলাম। চোখের কোনা দিয়ে দেখলাম রাসেল ভাই আমার দিকেই আসছে। বরাবর আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল
___ ” রাতে যা বলেছি মনে আছে তো “।
___ কি কথা?
___ তুই তো আমার কথা এককান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বাইরে বের করে দিস।
___ আচ্ছা বলবেন তো কি কথা।
___ ওই পাদ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবি যদি দেখি ঢলাঢলি করেছিস তো দেখিস করি কি?
এই বলেই হেঁটে চলে গেল। বেচারা সাদের জন্য ক্রন জানি না খুব খারাপ লাগছিল। আমার কারনে অহেতুক বাজে বাজে কথা শোনা লাগতেছে তার। একটু পরেই দেখি নতুন ভাবিকে নিয়ে সবাই এসে হাজির। বিয়ের দিনের মত আমি আজকেও কনফিউজড কোনটা কে। খালি ভাবি ছাড়া আমি আবারও কাউকেই চিনতে পারছি না। ভাবি আসার একটু পরেই ভাবির বাসার লোকজন এসে হাজির। আমি সবার অগোচোরে আস্তে করে একদম পিছের সারির চেয়ারে এসে বসলাম। যাতে মেকাপ পার্টির সামনে না পড়ি। আজকে যদি আমি আবারও চিনতে ভুল করি এবার আর বঅকা না বড় আপু সোজা আমাকে শূলে চড়িয়ে দেবে। আর পিছনে বসলে আর একটা উপকারও আছে রাসেল ভাই বা সাদ কেউই আমাকে দেখবে না ক্যাচাল ও হবে না। পিছনে বসে মনে আনন্দে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনছি আর গেম খেলছি। হঠাৎই কান থেকে হ্যাঁচকা টানে কে যেন হেডফোন এর একটা ইয়ারপিস,খুলে নিয়ে গেল। পাশে ঘুরে দেখি ছোট খালু। কিন্তু ছোট খালুকে দেখলে মনে হচ্ছে যে জানো খালুর পিছনে আগুন ধরায়ে দিছে আর খালু দিকবেদিক হয়ে ছুটছে। ঘেমে নেয়ে খালু একাকার। আমাকে দেখেই বলে উঠলো ” নিপা রে ওই দিনের চেয়েও কঠিন বড় ঝামেলা করে ফেলেছি “। খালুকে দেখে আসলেই মনে হচ্ছে বিশাল কোন ঝামেলা করে এসেছে যাতে তার জীবন নাশের আশংক পর্যন্ত রয়েছে। ” খালু শান্ত হয়ে বসে আমাকে বলেন কি হয়েছে” এটা বলে খালুকে হাত ধরে পাশের চেয়ারে বসালাম। ” মা গো বাসায় একশবার দেখেছি তোমার খালা কোন শাড়ি নিয়েছে ব্যাগে অনুষ্ঠানে পরার জন্য, কিন্তু তোমার খালা বেঈমানী করলে আমার কি? ” এই বলেই খালুর গলা যেন ভেঙ্গে আসলো। ” খালু কি হইছে পুরোটা বলেন, তা না হলে আমি বুঝবো কি করে কি ঝামেলা হয়েছে?” খালুকে স্বান্তনার স্বরে বললাম আমি। ” তোমার খালা পার্লারে যেয়ে অনু শাড়ি চেঞ্জ করে পরেছে। বড় আপার শাড়ি সে পরেছে আর বড় আপা তার শাড়ি। আমি পিছন থেকে শাড়ি দেখে ভেবেছি ওইটা তোমার খালা মনি। যেয়েই পেছন থেকে রেনু ভেবে মোরশেদা আপাকে জড়ায়ে ধরেছি ” খালু দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরল খুব জোরে। ” আপনি বড় খালাম্মাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন খালু? ” আমি আবারও প্রশ্ন করলাম। কেন জানি না আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। ছোট খালামনি এত রাগি তাও সে বড় খালাম্মাকে ভয় পায় তার সাথেই এই বাই চান্স ঘটনা। আজকে কি হবে আল্লাহ ভাল জানে। ” এখন তোমার দুই খালা হন্য হয়ে আমাকে গরু খোঁজা খুঁজতেছে। নিপা প্লীজ কিছু একটা করো খালুর জন্য ” খালু যেন পারে না কান্নাই করে দেয়। মনে মনে ভাবতেছিলাম খালু নির্ঘাত যে আকাম ঘটাইছে তাতে হাসপাতালের সিট কর্নফার্ম। ছোট খালামনি অল্প বিস্তার ছ্যাঁচা দিলেও বড় খালাম্মা হাড্ডি গুঁড়ি করে ফেলবে সোজা।

” খালু এখানে তো কিছুই করা পসিবল না। বাসায় যাই আগে আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলব ঘটনাটা ” খালুকে শান্ত করতে বললাম আমি।আমার কথায় যেন খালু একটু ভরসা পেল। খাওয়াদাওয়া পরে যখন হাত ধুয়ে এসেছি তখন সাদের সাথে দেখা। এমন একটা পরিস্থিতি কথা না বলেও উপায় নেই। আমি নানান ছুতায় সরে আসতে চাইলেও পারছিলাম না। একটু পরেই ঝুমু এসে হাজির বারবার চোখ দিয়ে খুঁজছিলাম রাসেল ভাইকে কোথাও দেখা যায় কি না। অনেকক্ষন আড্ডা দেওয়ার পরে সাদের ফোন আসলে সরে যায়। আমিও ঝুমুকে নিয়ে স্টেজে চলে আসি। স্টেজে তখন ফটোসেশান চলতেছে। আমি নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছি কি সুন্দর লাগে নতুন নতুন জুটি গুলোকে। বড় খালাম্মা হুট করে এসে আমার সামনে হাজির। ” নিপা তুই শাহাজাহান কে দেখেছিস?” আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করল খালাম্মা। ” না খালুকে তো দেখি না অনেকক্ষন। খালুকে কি দরকার খালাম্মা?” গোবেচারা মুখ করে প্রশ্ন করলাম উল্টো করে।” ইতিহাসে আছে শাহজাহান মমতাজ মরলে তাজমহল করে দিয়েছিল। আজকের এই মর্ডান শাহজাহান কে মেরে ওই বউ রেনু তাজমহল বানাবে। যত টাকা লাগে আমি দেবো” বড়খালাম্মার এই কথা শুনে আমার মনে হচ্চছিল বুকের ভেতরে কামারের হপারের মত শব্দ হওয়া শুরু হয়েছে। আর কিছু বলার আগেই খালাম্মা সোজা হাঁটা শুরু করল। আল্লাহর দুনিয়ায় যত নমুনা আছে সব এই ফ্যামিলিতে কি যে হবে খালুর কে জানে। ওয়াশ রুমে যাওয়ার জন্য লেডিস পার্সটা মিলির কাছে দিয়ে আমি ওদিকে চলা শুরু করলাম। ওয়াশ রুমের ঠিক পাশেই একটা দরজা। আমি দরজা বরাবর আসতেই দরজাটা খুলে আমাকে কে জানি টেনে ওই দরজার ভেতরে নিয়ে গেল। আমার গলায় গালে ঘাড়ে এলোমেলো আদরে যেন আমাকে ভরিয়ে তুল ছিল। আমি…….

চলবে
মারিয়া আফরিন নুপুর