তুই হবি আমার সূচনা পর্ব

0
3220

#তুই_হবি_আমার??
#DîYã_MôÑî
#সূচনা_পর্ব

ভরা ক্যাম্পাসে একটা মেয়েকে গাছের সাথে চেপে ধরে,, শাড়ির আঁচল টেনে ওর পেটে জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ধরে আছে আরাভ। মেয়েটা যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। ঠিক তখনই আরাভ রেগে মেয়েটার ঠোট কামড়ে ধরলো,, মিনিট পাঁচেক পর মেয়েটাকে ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে সরে দাড়ালো আরাভ,, তারপর হাসতে হাসতে বললো।

আরাভ : ঠোটের টেস্টটা কিন্তু দারুন। তবে এটা আমাকে, আরাভ খাঁনকে অসভ্য বলার শাস্তি। নেক্সট টাইম লাগতে এসো না আমার সাথে,, তাহলে এর চেয়েও খারাপ হবে তোমার সাথে। বা বাই বেবি।

কিছুক্ষন আগে,, #MR_Private_College এ আজ আলিজা আর কলির প্রথমদিন। ওরা অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। কলির মামা এই কলেজেরই একজন প্রফেসর তাই ও তার সাথে দেখা করার জন্য কেবিনের দিকে ছুট দিলো। বেচারি আলিজা কলির দৌড়ের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আজ কলেজে পোগ্রাম তাই সবাইকে শাড়ি পড়ার জন্য বলেছেন কালচারাল টিচার কলি এটা আগে থেকেই জানতো তাই নিজেরাও শাড়ি পড়ে সেজে এসেছে।
১০মিনিট হয়ে গেছে কলি এখনো আসছে না। বেচারি একা একা ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখার ডিসিশন নিলো। ঠিক তখনই ওর কাঁধে কারোর হাতের ছোঁয়া পেলো,, ভয়ে চোখমুখ খিচে ফেললো ও।

আলিজা : কে.?

পেছনের তাকাতেই আলিজা দেখলো কিছু ছেলেমেয়ের একটা গ্যাং।সবাই পাঞ্জাবি আর শাড়ি পড়া। একটা ছেলে একটু ডিফেরেন্ট সবাই যেমন নীল, লাল,হলুদ পাঞ্জাবি পড়া কিন্তু ও তেমন না। ও একটা কালো পাঞ্জাবি পড়েছে। বেশ ইনোসেন্ট চেহারা। কিন্তু চরিত্র যে এতো কুৎসিত জানা ছিলো না কারোর।

শিপু : কি মিস নিউ মনে হচ্ছে। নাম কি? কোন ডিপার্টমেন্ট?
আলিজা : আমি আলিজা। ম্যানেজমেন্ট, অনার্স ফার্স্ট ইয়ার।

আরাভ : বাহ জুনিওর। আজকের দিনটাই মনে হয় তোমার জন্য শুভ হবে। সো গাইস র্যাগিং শুরু হোক.?
আরাভ খাঁন হলো এই কলেজের টপ টু ক্রাশ & চকলেট বয়। ফ্লাটিং এ টপ ক্রাশকেও ছাড়িয়ে যায়। ওর একমাত্র নেশা মেয়ে,,।প্রতিদিন কাউকে না কাউকে টার্গেট করে আর তাদের লাইফ হেল করে দেয়।

আলিজা : মানে.?
আরাভ : ওহ বেবি। তুমি জানো না এই কলেজে র্যাগিং রুলস আছে। এখন আমরা যা করতে বলবো তোমাকে তাই করতে হবে নাহলে আমরা যা করবো সেটা তোমার জন্য খুব একটা ভালো হবে না।

এতো মানুষকে একসাথে দেখে ভয় পেয়ে যায় আলিজা। আমতা আমতা করে বলে ওঠে
আলিজা : কি করতে হবে.?

শিপু : আমার হাতে এই যে দেখছো লাল গোলাপটা। এটা দিয়ে আরাভকে প্রপোজ করতে হবে।
আলিজা : ইমপসিবল। আমি কাউকে প্রপোজ করিনা আর আপনাদের তো করবোই না।

আরাভের নজর মেয়েটার দিকে। গোলাপী রংয়ের শাড়ি পড়েছে মেয়েটা,, চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া আর সেটা বাতাসের তালে দুলছে। কাজল টানা চোখ,, হালকা গোলাপী লিপস্টিকে দারুন লাগছে মেয়েটাকে। কেমন জানি ঘোরঘোর লাগছে ওর। ও ধীরে ধীরে আলিজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আলিজা ভয়ে পেছতেই আরাভ আলিজার শাড়ির আঁচল টেনে ধরে। আলিজা সাথে সাথে বুকে হাত দিয়ে আঁচল চেপে ধরে।

আলিজা : অসভ্যের মতো শাড়ির আঁচল ধরে টানছেন কেন.? মিনিমাম লজ্জাবোধ টুকু নেই.? এভাবে র্যাগিং এর নামে মেয়েদের সাথে অসভ্যতামি করবেন,, কোন রুলসে লেখা আছে।

এই সামান্য কথাটাও গায়ে লেগে গেলো আরাভের। এই প্রথম কোনো মেয়ে আরাভের মুখের ওপর কথা বললো,, যে ছেলের সাথে এক রাত কাটাবে বলে মেয়েরা পাগল হয়ে যায়,, আজ তাকে দুদিনের একটা মেয়ে কথা শোনাচ্ছে.? ও সাথে সাথে আলিজাকে টেনে গাছের সাথে মিশিয়ে নিলো।

বর্তমানে,, আলিজা মাথা নিচু করে কেঁদে চলেছে। ওদিকে আরাভরা ক্যাম্পাসে থাকা বড় আমগাছটার নিচে বসে স্বাভাবিকভাবে আড্ডা দিতে লাগলো যেন কিছু হয়ই নি। কিছুক্ষন পর ওদের আড্ডায় যোগ দিলো মেঘ আর কুহু। আরাভের দুই বেস্টফ্রেন্ড। মেঘের আসল নাম মেঘালয় আহমেদ রৌদ্র। #MR কলেজের ওনারের একমাত্র ছেলে। আর কুহু কলেজের প্রিন্সিপালের ছোট মেয়ে।

মেঘ অনেকশান্ত শিষ্ট একটা ছেলে তবে ফ্লাটিং মোটামুটি ভালোই এক্সপার্ট। পড়াশোনায় ক্লাসের টপ বয়। ওর একমাত্র নেশা মেয়েদের কষ্ট দেওয়া। কুহু ছাড়া কোনো মেয়েকে বেডপার্টনার ব্যতিত অন্য চোখে দেখেনা ও।হঠাৎ ওদের চোখ যায় কলেজ গেটের সামনে।

শিপু : গাইস লুক এট দ্যা গেইট। নিউ এঞ্জেল। দেখ ওটাকে যেমন সুন্দর তেমন ফিগার।। উফফ হট গার্ল।

সবার চোখ এখন মেয়েটার দিকে। নীল জর্জেটের শাড়ি পড়া একটা মেয়ে এগিয়ে আসছে ওদের দিকে। পেট অবধি ব্লাউজে ঢাকা। কোমড় ছাড়িয়ে চুল,,, বাতাসে এলোমেলো হয়ে আছে চুলগুলো চোখে কালো মোটা গোল ফ্রেমের চশমা। ঘাড়ে একটা নীল রংএর কাপড়ের সাইড ব্যাগ। ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। টিপিক্যাল বোকাসোকা মেয়ে লাগছে। মেয়েটা আরাভদের সামনে এসে মিষ্টি গলায় বললো,,

মেয়েটি : ক্যামিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট টা কোনদিকে ভাইয়া একটু বলবেন.? আসলে আমি এখানে নিউ কিছুই চিনিনা ঠিক করে।

মেঘের দৃষ্টি মেয়েটার চোখের দিকে। অদ্ভুদ মায়া কাজ করছে মেয়েটার চোখে। মেয়েটার গলার স্বর মেঘের হৃদয়ে কাপুনি সৃষ্টি করছে। না চাইতেও মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে ওর বেহায়া চোখজোড়া। এই প্রথম কোনো মেয়েকে মেঘের হৃদয়ের কাছে মনে হচ্ছে। মেয়েটাকে খুব আপন আর চেনা চেনা লাগছে। মনের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছে। কেন হচ্ছে এমন.? এমন যে হতে দেওয়া যাবে না তাহলে যে মেঘের আসল রূপ বেরিয়ে আসবে সবার সামনে।

শিপু : বা মেঘ না চাইতেই জল। আরাভ মেয়েটারে কেমন লাগে দোস্ত.? আমার কিন্তু সেই লাগছে। একদিনের জন্য হলেও যদি পেতাম এটারে..

আরাভ : র্যাগ কর আগে।

শিপু : অবশ্যই বলবো তবে তোমাকেও আমাদের এন্টার্টেইন করতে হবে.?

মেয়েটি : মানে.? দিক বলবেন তাতেও আপনাদের মনোরঞ্জন করতে হবে.? আপনারা বলতে না চাইলে বলার দরকার নেই আমি নিজেই খুজে নিচ্ছি।

শিপু : সেটা নাও। তবে এখন যে র্যাগ টাইম। ( বলেই মেয়েটার চশমা আর ব্যাগ খুলে নিলো)
মেয়েটা : সেটা কি.? আর চশমা নিচ্ছেন কেন.? আমার ব্যাগ দিন।

শিপু : আমরা তোমাকে যা বলবো তোমায় ঠিক সেটাই করতে হবে নাহলে এই কলেজে পড়তে পারবে না। আমরা তোমাকে বের করে দিবো।আর চশমা ব্যাগ কোনোটাই দিবো না।

মেয়েটি : কেন.? আমি পরিক্ষা দিয়েই তো সুযোগ পেয়েছি তবুও বের করে দিবেন.? আচ্ছা ঠিক আছে আপনারা যা বলবেন তাই করবো আমি তবুও বের করে দিবেন না প্লিজ। ( নাক ডলে কাঁদতে কাঁদতে বললো )

গাইয়্যা ভিতু টাইপের মেয়েটার কান্ডকারখানা সবাই বেশ এন্জয় করছে। শিপু আরাভকে চোখ মেরে আস্তে করে মেয়েটাকে বললো,,

শিপু : শাড়ি খুলে আমাদের নাচ দেখাও। নাহলে কলেজ থেকে বের হয়ে যাও।

মেয়েটা অবাক চোখে তাকালো,, শিপুসহ সবাই হাসছে। আর মেঘ রাগে চোখ বুজে নিলো। তারপরই উঠে দাড়ালো,,

মেঘ : মেয়েটাকে ছেড়ে দে। বাচ্চা মেয়ে ভয় পাচ্ছে। তোরা অন্যকাউকে র্যাগ কর। আর তুমি আমার সাথে আসো।

মেঘ যেতে লাগলে আরাভ ওকে আটকায়।। মেঘের চোখ রাগে লাল হয়ে আছে। হাত মুঠোবন্দি করে ওদের দিকে তাকালো মেঘ।

আরাভ : এটা নতুন কিছু না মেঘ। আগেও এমন অনেক বাচ্চা মেয়ে আমাদের এমন র্যাগ কমপ্লিট করেছে। সো একেও করতে হবে।

মেঘ চুপ করে বসে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলো। কিছু করার নেই যে ওর। শুধু দেখতে পারবে সব কিছু করতে পারবে না। আজ নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে ওর। শুধুমাত্র নিজের আসল রূপ লুকাতে নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হচ্ছে ওকে।

মেয়েটি : এটা করতে হবে.? এতো মানুষের সামনে.? প্লিজ অন্যকিছু করতে বলুন।

শিপু : যা বলেছি তাই করো নাহলে বের হয়ে যাও। এ কলেজ তোমার জন্য নয় বেবি।

কলেজ ক্যাম্পাসে সবার সামনে দাড়িয়ে নিজের শাড়ির আঁচল ফেলে দিলো মেয়েটা,, একে একে খুলে ফেললো পেটিকোট ও ব্লাউজ। সবাই অবাক দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েরা মাথা নিচু করে আছে। আর ছেলেরা তারা মেয়েটার শরীর দেখতে ব্যস্ত।
.
.
মেয়েটি : কি হলো গাইস নিচে তাকিয়ে আছো কেন.? আর তোমরা মেয়েরা এতো ভয় পাও কেন বলোতো.? উপরে তাকাও।

মেয়েটার ধমকে সব মেয়েগুলো মাথা তুলে তাকালো। হলদে ফর্সা মেয়েটার শাড়ির নিচে সাদা জিন্স এবং কফি কালারের টপ পড়ে আছে। মেয়েটা প্রথমে তার খোলা চুলগুলো হাত দিয়ে উপরে বেঁধে নিলো তারপর টপের গিটটা খুলে পেট ঢেকে নিলো।। সিনিওরদের দিকে এগিয়ে গিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো,,

মেয়েটা : কে যেন বলেছিলেন আপনাদের সামনে শাড়ি খুলে নাচতে.? নিন খুলে ফেললাম তবে জানেন কি? আমি নাচতে নয় নাচাতে বেশি ভালোবাসি বুঝেছেন.? তো এখন কি বলবেন.? জিন্স আর টপ খুলতে.?

সিনিওররা কোনো কথা বলছে না। শুধু মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। একটু আগেই মেয়েটা গাইয়্যাদের মতো বোকা বোকা কথা বলছিলো হঠাৎ করে হলো কি মেয়েটার.? মেয়েটা ধীরে ধীরে শিপুর কাছে গেলো,, শিপুকে টেনে নিয়ে মাঠের মাঝখানে দাড়িয়ে শাড়ি পড়াচ্ছে মেয়েটা। আরাভ রাগে ফুসছে ওদিকে মেঘের মুখে তৃপ্তির হাসি।

মেয়েটা শিপুকে শাড়ি পড়াতে গেলে শিপু মেয়েটাকে জোরে ধাক্কা দেয়। মেয়েটা ঠিক তখনই শিপুর গালে চর বসিয়ে দিলো।

মেয়েটা : সিনিওরদের সম্মান করতে জানি তবে সেটা পার্সোনালিটি দেখে। আমার সামনে যে যেমন আমি তার কাছে ঠিক তেমন।

শিপু : আমি তোমার সিনিওর ভুলে যেওনা এটা। তুমি কিন্তু কলেজে টিকতে পারবে না।

মেয়েটা : আমাকে শাড়ি খুলে নাচতে বলেছিলেন তখন মনে ছিলো না আপনি সিনিওর? একটা বোকাসোকা মেয়েকে কলেজ ক্যাম্পাসে নাচানোর অনেক ইচ্ছা তাইনা.? তাহলে শুনে রাখুন আমার সিনিওর ভাইদের নাচানোর অনেক ইচ্ছা।ফার্স্টলি আমার পরিচয় না জেনে আমাকে র্যাগ করার ফল পাবেন তবে সেটা পরে সেকেন্ডলি কলেজটা আপনার বা আপনার আব্বুর না & আমি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছি সো টিকতে পারবো নাকি না সেটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা সমস্যা।

মেঘ : ( জানি না কে তুমি তবে এই প্রথম মনে হচ্ছে আমার আমিটা এখন তোমাতে মিলে গেছে। নিজেকে আড়াল করতে কি সত্যিই পারবো.? তোমার জন্য সবটা শেষ হয়ে যাবে না তো মিস উড়নচন্ডি.?) মনে মনে

ওদিকে আরাভের পুরো গ্যাং রাগে ফুসছে। কলেজের বেশিরভাগ মানুষই ভেতরে ভেতরে রাগছে তবে খুশি হচ্ছে সেসব ছেলে মেয়ে যারা Ragging এর শিকার হয়েছে।

মেয়েটা এবার ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো আরাভের দিকে। আরাভের মুখ থেকে জ্বলন্ত সিগারেট টা ছিনিয়ে নিয়ে সেটা চেপে ধরলো আরাভের বুকে। যন্ত্রনার চেয়ে রাগে বেশি কেঁপে উঠলো আরাভের শরীর। মেঘ বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে। মেয়েটার চোখে রাগ স্পষ্ট। কে হতে পারে মেয়েটা? যে প্রথমদিন কলেজে এসেই পাঙ্গা নিলো কলেজের টপ গ্যাং এর সাথে?

আরাভ রেগে মেয়েটার গাল চেপে ধরলো,,
আরাভ : হাউ ডেয়ার ইউ টু চাচ মি..??

মেয়েটা একহাতে আরাভের হাত চেপে ধরে,, অন্যহাতে আরাভের গলা চেপে গাছের সাথে মিশিয়ে নিলো।

মেয়েটা : হাউ ডেয়ার ইউ টু টাচ হার.? তোমার সাহস হয় কিভাবে ওর পেটে জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ধরার.? তোমার সাহস হয় কিভাবে ওর ঠোটে,,, মেয়েদের অনেক দূর্বল ভাবো তাইনা.? কি ভাবো মেয়েরা কিছু করতে পারবে না, বলতে পারবে, শুধু তোমাদের ইশারায় পাপেট হয়ে নাচবে.?

কুহু গিয়ে মেয়েটাকে আরাভের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। ততক্ষনে কলি আলিজাকে নিয়ে চলে আসেছে। আরাভ আলিজার দিকে একবার তাকিয়ে মেয়েটার দিকে তাকালো।

কুহু : কারা তোমরা.? আর তুমি কি বলছো? কি করছো জানো.?

মেয়েটি : জানি। আর আপু হয়তো ছেলেগুলো তোমার বন্ধু ওদের বুঝিয়ে দিও আমি কে.? আমি রোজ, সাদিয়া চৌধুরি রোজ। ডটার অফ কুশান চৌধুরি, সিস্টার অফ আলিজা চৌধুরি। আমার আপিলার দিকে নজর দিলেও তাকে ছাড়ি না আমি আর টাচ করলে তার অবস্থা এমন করি যে সে কল্পনাতেও ভাবতে পারবে না। আজ প্রথমদিন আপিলা মানা করেছে দেখে কিছু করলাম না। বাট নেক্সট টাইম কেউ আটকাতে পারবে না আমাকে।

কুহু : রোজ.? মানে গোলাপ রাইট.? কিউট নেম & ডোন্ট ওয়ারি আজকের ব্যাপারটা এখানেই শেষ। ওরা আর তোমাদের ডিস্টার্ব করবে না।

ক্যাম্পাসে থাকা স্টুডেন্টদের মধ্যে একজন বলে উঠলো,, “মেয়েটা কিন্তু গোলাপের চেয়েও সুন্দর নামটা সাথে মেয়েটাকে দারুন মানিয়েছে। গোলাপের পাপড়ির মতো বডি আর যখন আমার সামনে দিয়ে গেলো ওয়াও কতো মিষ্টি একটা গন্ধ। ঠিক গোলাপের সুভাস”

রোজ : গোলাপে শুধু মোলায়েম তুলতুলে পাপড়ি আর মন তাজা করা সুভাস থাকে না গোলাপের আবরন রক্ষা করার জন্য কিন্তু অজস্র কাটাও থাকে। কথাটা সব ছেলেরা মাথায় ঢুকিয়ে নিও।

একটানে শিপুর শরীর থেকে শাড়ি খুলে নিয়ে মাঠিতে ফেললো তারপর ম্যাচবক্স বের করে সেটায় আগুন ধরিয়ে দিলো। মেঘের দিকে একবার তাকালো রোজ। মেঘ এখনো রোজের দিকে তাকিয়ে আছে।

রোজ : আপিলা অডিটোরিয়ামে যাও আমি আংকেলদের সাথে মিট করে আসছি। আর যারা হা করে এতোক্ষন সার্কাস দেখেছো তারাও নিজের কাজে যাও কারন লেট ডে শো শেষ।

রোজের রাগি কন্ঠ শুনে সবাই ভয়ে ভয়ে চলে গেলো। আলিজা একবার আরাভের দিকে তাকিয়ে অডিটোরিয়ামের দিকে হাটা শুরু করে।