তুমি কবে আমার হবে পর্ব-৫+৬

0
257

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব_৫
লেখিকা #sabihatul_sabha

কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছি আমি আর সাফা।

~ওই লেট লতিফ ভাই বোন কখন আসবে কে যানে নূর কল দে তো,আজ সাফা অনেক রেগে আছে আসবে আসবে বলে পাক্কা দশ মিনিট দার করিয়ে রেখেছে, কল দিলেই বলে এই তো দুস্ত এসে গেছি আর একটু।

~সরি সরি অনেক ওয়েট করিয়ে ফেলেছি আসলে রাস্তায় যে অবস্থা।
~মেঘ কই,ও আসেনি তুই না বললি দুই জন আসতেছোস।
~সামনে দেখ।
দুই জন সামনে তাকিয়ে দেখি মেঘ একটা মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে, মাঝে মাঝে মেয়েটা হাসতে হাসতে মেঘের ওপর ডলে পরছে।
~সাফা রেগে বলে,তর ভাই আসতো একটা লুচু কাল দেখলাম ফাস্ট ইয়ারের একটা মেয়ের সাথে হাত দরে বসে বসে গল্প করছে আজ আবার অন্য আরেক জন।
~আর বলিস না ও তো এমনি আজ ভাইয়ার কাছে নালিশ দিবো। কাল থেকে দেখবি এক সপ্তাহ কোনো মেয়ের দিকে তাকাবে না।
~আচ্ছা চল ক্লাসে যাওয়া যাক।
মাঠ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার মনে হলো কেউ আমাকে দেখছে, চারপাশে তাকালাম কই কেউ তো নেই।হয়তো মনের ভুল ভেবে ক্লাসে চলে আসলাম।

ওই দিকে যে একজোড়া চোখ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে,মায়াবতী তুমার মধ্যে এমন কি আছে দেখলেই তুমার মায়ায় ডুবে যাই,। আমি তোমার নাম দিলাম মায়াবতী, যার মায়ায় আমি এক বার নয় হাজার বার জরিয়েছি।

আমরা তিন জন মিলে গল্প করছি এমন সময় মেঘ কে দেখি মুখ ভার করে আমাদের পাশে বসলো।
~কি হয়েছে মুখ ভার কেনো?
সাফা:ওর লাইলি মনে হয় ওরে ছেখা দিয়ে চলে গেছে,বলেই তিন জন হাসা শুরু করলাম।
মেঘা:ওর জন্য এটাই ঠিক আছে, সারাক্ষন মেয়েদের পিছে পিছে ঘুরলে ছেখা তো খাবেই।
মেঘ:মেঘার বাচ্চা আমি কোনো মেয়ের পিছে ঘুরা লাগে না সব মেয়ে আমাকে দেখলেই আমার পিছে ঘুরা শুরু করে, বলেই কলার উঁচু করে একটু ভাব নিলো।
সাফা:আরেহ সালমান খান নাইমা আইছে তারে দেখলেই মেয়েরা ফিদা হয়ে পিছে পিছে ঘুরা শুরু করে, বলেই মুখ বাকালো।
মেঘ:আগ্গে হা সুন্দরী আমি সালমান খানের থেকেও স্মার্ট।
মেঘা:ভাই আর জোক্স শুনানোর বাকি থাকলে শুনা,বলেই হাসা শুরু করলো।
~তদের কাছে জোক্স মনে হয় আর দেখিস কালকে আমার পিছে কয়টা ঘুরে।
মেঘা:আহারে চান্দু তরে তো আমি এই সুযুগ আর দিচ্ছি না। আজকেই ভাইয়া কে তর সব কু কীর্তির কথা বলে দিবো।
মেঘ:তুই তো বোন নামের ডাইনী, তর পিছে কেও ঘুরে না বলে তর আমাকে সয্য হয় না আমি বুঝি।
~থামবি তরা, আর মেঘ কি হইছে বল।

সাথে সাথে মেঘের মুখটা চুপসে গেলো।

মেঘ:আর বলিস না দুস্ত আমি ক্লাসে আসার সময় একটা মেয়ের সাথে ভুলে ধাক্কা খেয়ে মেয়েটা পরে যাইতে ছিলো আমি কোমর জরিয়ে দরে মেয়েটাকে পরে যাওয়া থেকে বাচাইছি আর ওই মেয়ে কি করলো।
তিন জনি এক সাথে বলে উঠলাম, কি করছে?
আমার এই কিউট গাল টাই ঠাসসসস… বলেই মুখটা কালো করে মেঘ অন্য দিকে ফিরলো।
~তুই কি সত্যি ইচ্ছা করে ধাক্কা দিছোস।
~আরেহ না জাস্ট এক্সিডেন্ট, শুধু থাপ্পড় দিয়া শান্ত হয়নাই যা ইচ্ছা তাই শুনায় গেলো।
~আহারে দুস্তটা আমার কষ্ট হচ্ছে সোনা,তর জন্য এটাই ঠিক উচিত জবাব হইছে।শালা সারা দিন মেয়েদের পিছে ঘুরলে এমনি হবে।
~ওই তুই আমারে শালা কেনো বলছোস তুই আমার কোন বোনরে বিয়া করছোস হা।
~তর বোনরে করি নাই তর ভাইরে করমু।
~ইসস তর মতো পেত্নীর কাছে আমার ভাইরে বিয়ে দিলে তো।
~থামবি তরা স্যার আসছে সামনে দেখ।

~দুস্ত রুদ্র কে কতো সুন্দর লাগতাছে ইসস মনডা চায় টুপ করে খেয়ে ফেলি,
~ছি মেঘা এইসব কি দরনের কথা ওনি আমাদের স্যার হন।
~কিসের স্যার, আমি ওনাকে স্যার মানিনা। কই দিন পর স্যার থেকে জামাই বানামু দেখিস।

সাফার কাছে এখন মেঘাকে খুবই বিরক্ত লাগছে, এই মেয়েটা যাকে দেখে তার ওপরেই ক্রাশ খায়। আর এখন তো…

এই লাস্টের তিন জন দারান

আপনাদের আমার ক্লাস ভালো না লাগলে বাহিরে চলে যেতে পারেন,আমার ক্লাসে কেও কথা বলা আমি এলাও করি না।গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলেন।

মেঘা:সরি স্যার আর হবে না।

রুদ্র:ঠিক আছে বসো,এর পরের বার কিন্তু শাস্তি দেওয়া হবে।কথাগুলো মনে রাখবেন আশা করি।

ক্লাস শেষে বাসায় আসার পথে সাফা আমাদের তিন জন কে বললো ওর ভাইয়ার নাকি আজকে বার্থডে আমরা যেনো অবশ্যই যাই।

বাসায় আসে ফ্রেশ হয়ে আম্মার কাছে আসলাম,
~কি করো মা?
~বিতরে আয়,বস আমার পাশে, আচ্ছা তকে একটা কথা বলি রাখবি?
~কি কথা আগে বলে দেখো না৷ তার পর রাখবো কিনা বলবো।
~তুই নিজের মতো চল, এভাবে বাচা যায় না। আমি জানি অভি আর তর মধ্যে কোনো কিছুই ঠিক নেই।তর যদি মনে হয় অভিকে ছেড়ে দেওয়া দরকার তাহলে তাই কর, এভাবে আার কয় দিন।
~আমাদের মধ্যে সব ঠিক আছে মা, বলে একটু হাসার চেস্টা করলাম।
~আমার চোখ ফাকি দেওয়া এতো সহজ না,আমি বিয়ের দিন রাতে অভি কে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছি,তুই চা দিলে অভি খায় না, তর দিকে ফিরেও তাকায় না,সবি আমি লক্ষ করি।এভাবে কয় দিন, আমি ভেবেছিলাম আসতে আসতে হয়তো ও ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না আমার দারনা ভুল। আমি তর জীবনটা নষ্ট করে দিলাম।বলেই চোখের জল মুছলেন।
~এভাবে বলো না মা, এমনটা আমার ভাগ্যে ছিলো তাই এমন হয়েছে।
আচ্ছা মা আমি তোমার জন্য চা করে নিয়ে আসি।

রাতে বার বার কল দিতেছো সাফা ওদের বাসায় যাওয়ার জন্য, ওদের বাসা আমাদের বাসা থেকে বেশি দূর না গাড়ি দিয়ে গেলে পাঁচ মিনিট লাগে।আমি কখনো যাইনি এই প্রথম যাবো।
মার থেকে অনুমতি নিয়ে বসে আছি অভি ভাইয়ার জন্য ওনি আসলে ওনাকে বলেই যাবো।ওনি বাসায় আসলেন ফ্রেশ হয়ে এসে বসলেন, আমি ভয়ে ভয়ে ওনার সামনে গেলাম ভাইয়া একটা কথা ছিলো।উনার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন।
অভি:ভাইয়া মানে,আমি তোমার ভাইয়া।
~না মানে,আসলে আপনি তো বলছেন স্বামী না ভাবতে তাই ভাইয়া ভাবি…
~স্টুপিট মেয়ে স্বামী ভাবতে না করছি বলে ভাইয়া ভাবতে তো বলিনি,যাই হক কি কথা বলো।
~আসলে আমার ফ্রেন্ড সাফার বাসায় একটু যেতাম।
~আচ্ছা তোমার যেখানে ইচ্ছা যাও আমাকে জিজ্ঞেস করার কি আছে।বলে আমার দিকে তাকালেন একদম কালো পরি লাগছে, আচ্ছা মেয়েটা কি সব সময় কালো সব কিছু পরতে পছন্দ করে…..

চলবে…
হাতের লেখা ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব৬
লেখিকা #sabihatul_sabha

আমি, মেঘা,মেঘ তিন জন, সাফাদের বাসার সামনে দারিয়ে আছি।
সাফা:দুস্ত সরি রে অনেকটা সময় দারকরিয়ে রাখলাম তদের, আয় ভিতরে চল।

ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছি।বাসায় অনেক মানুষ, বেশ বড় করেই বার্থডে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।সাফার ভাইকে এখনো দেখিনি।

নূর এই নূর বলেই মেঘা আমার হাতে চিমটি কাটলো,’আহ বলে ওর দিকে রেগে তাকালাম, কি হইছে এভাবে চিমটি কাটলি কেনো?’

সামনে দেখ কুত্তী, বলেই হাতের ইশারায় সামনে দেখালো।সামনে কি বলে যেই সামনে তাকালাম,’ বসা থেকে লাফিয়ে উঠে দারালাম, স্যার এখানে কি করছে। সাফা কি স্যার কেউ বলছে নাকি।’

~জানিনা রে হইতো বলছে,না হলে স্যার কি এমনি এমনি চলে আসছে নাকি।

রুদ্র সামনে তাকিয়ে আছে,যত বারি এই মেয়ে অর সামনে আসে, কোনো দিকেই তার খেয়াল থাকে না। এই যে কখন থেকে সাফা ডাকছে কিন্তু রুদ্রের কোনো খবরেই নেই।

এই ভাইয়া শুনো না,ভাইইইইইয়া….
কি কি কি হইছে, ভয় পেয়ে গেছে, এভাবে কেউ ডাকে।সুন্দর করেও তো ডাকতে পারিশ।
~কখন থেকে ডাকতেছি তোমাকে।
~আচ্ছা তর ফ্রেন্ডদের আগে খাবার দে।
মেঘ:কি বেপার রে, সাফা স্যারকে ভাইয়া কেনো ডাকছে।
মেঘা:আমার ওইতো মাথায় ডুকছে না তরে কি বলমু।
ওদের কথার মাঝে সাফাও সেখানে উপস্থিত হয়ে।তারা দিয়ে বলে,আয় আগে খেয়ে নিবি তোরা।
মেঘা:আগে বল স্যার তর কি হয়?
আমাদের কথা শুনে সাফা হেসে ফেললো। আরে দুস্ত তোদের তো বলাই হয়নি তোদের স্যার আমার একমাত্র ভাই।
সবাই এক সাথে, কি!সত্যি?
~আগ্গে হা। এবার আয় আগে খাবার শেষ করা যাক তার পর বাকি কথা।

খাওয়ার সময় একবার রুদ্রের সাথে চোখাচোখি হয়ে যায় আমার।আমি অস্বস্তিতে খেতেও পারছি না। বিষয়টা খেয়াল করে রুদ্র সেখান থেকে সরে যায়।

খেতে খেতে মেঘা বলে,’সাফা তোর ভাইটা যা জোশ!উফ!চোখগুলো মারাত্মক।’ স্যার যখন তাকায় আমি তো তখনি শেষ,বলে বুকে হাত দিলো।

সাফা কিছু বললো না। খেতে খেতে হাসল শুধু।

আর আজ তো আমি স্যারের এই লোক দেখে সিদা থেকে ফিদা হয়ে গেছি।তোর ভাইকে কতো রিকোয়েস্ট দিলাম। একসেপ্ট করলো না, দুঃখী দুঃখী কন্ঠে বললো।

সাফা আবারও হেসে বললো,’করবেও না। ভাইয়ার ফ্রেন্ডলিস্টে আননোন কাউকে রাখে না।

মেঘা:’বাঃ রে। আমি আননোন হলাম কিভাবে আমি তোর ফ্রেন্ড তোর ভাইয়ার ছাত্রী। আর তাছাড়া বিদেশিনীদের তো ঠিকি রাখে লিস্টে।
~সাফা আবার হেসে বললো,’বিদেশিনী ভাইয়ার ক্লাসমেট। তো ওরা পরিচিত তাই লিস্টে আছে।

~আহারে বেচারি কতশত যুবককে ঝুলিয়ে রাখে,এখন নিজেকেই ঝুলে থাকতে হচ্ছে।

মেঘা:তাতে তোর কি হয়েছে? তুই চুপ থাক।’ওই দেখ দেখ।ওদিকে তাকা।ইশ!কি সুন্দর করে হাসে।আল্লাহ! হাসলে চোখ দুটো কেমন ছোটো ছোটো হয়ে যায়।মরেই যাব এবার আমি।

সাফা বলে ওঠলো, ‘খবরদার!নজর দিবি না বলে দিলাম।
মেঘা:কেনো নজর দিবো না, ‘কবি বলেছেন, বান্ধবীর ভাই মানেই জামাই,’তাই আমি বার বার হাজার বার নজর দিবো।
মেঘ বিরক্ত হয়ে বললো,কি শুরু করলি তোরা,মেয়ে হয়েও ছেলেদের প্রতি এত ছুকছুকানি কেন হ্যাঁ’?

আমি দুম করে মেঘের পিঠে একটা কিল বসিয়ে,’এইগুলো আবার কি শব্দ ব্যবহার করিস?

মেঘ:দেখছিস না মেঘার বাচ্চা কি শুরু করছে।
মেঘা রেগে,’তোর কী?তোর মন চাইলে তোইও কর।তোকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না বলে তোর খুব জ্বলে তাই না।
মেঘ: ফালতু কথা বলবি না একদম।

আমি ওদের থামিয়ে নিচুস্বরে বললাম,’কি শুরু করছিস।বার্থডে পার্টি এটা।থাম প্লিজ।’

সবাই থেমে যায় এবার,’আমার খাওয়া শেষ তাই বেসিনে গেলাম হাত ধুতে।হাত ধুয়া শেষ পিছনে ফেরার সময় মনে হলো পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে, কাছে খুব কাছে দাড়িয়ে আছে, তার নিঃস্বাস এসে আমার গায়ে পরছে,কানের কাছে ফিসফিস করে বললো আচ্ছা সত্যি কী,বান্ধবীর ভাই মানেই কি জামাই?তার মানে বোনের বান্ধবী মানেই বউ!।
এমন বিচ্ছিরি ঘটনার জন্য এবার সত্যি সত্যি আমার ইচ্ছে করছে মাটির ভিতর লুকিয়ে যেতে। ইসস সব কথা কি উনি শুনে ফেলেছেন, মেঘার মুখে কিছুই আটকায় না। মনে মনে বলে পিছনে ফিরেই দেখি কেউ নেই।তাহলে কি আমি জেগে জেগে সপ্ন দেখেছি। যা-ই হোক এটা সত্যি না ভেবে শান্তির নিঃস্বাস ফেললাম।

পার্টি শেষ হতে হতে রাত অনেক গভীর হয়ে গেছে।ওরা দুইজন যাবে একদিকে আর আমি যাবো উলটো পথে।

অসহায় ভাবে আমাকে এক পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ‘মেঘ বলে,চল আমি তোকে পৌঁছে দিয়ে আসি।
~না রে তোই কেনো শুধু শুধু উলটো পথে যাবি।রাত অনেক হয়েছে। আসার সময় গাড়ি ও পাবি না।

মেঘ: তাহলে তোই একা যাবি কীভাবে?

পাশ থেকে আমাদের কথোপকথন রুদ্র শুনছিলো।তাই আমাদের কথার মাঝে ফোঁরন কেটে বলল,সমস্যা নেই আমি পৌঁছে দিচ্ছি।তোমরা কি একা যেতে পারবে?

মেঘা:জি স্যার আমরা যেতে পারবো। আপনি একটু কষ্ট করে নূর কে পৌঁছে দিন।
রুদ্র: ঠিক আছে চিন্তা করো না, তোমরা সাবধানে যেও।

~রুদ্র স্যারের সাথে যেতে হবে ভেবেই ভয়ে গাট হয়ে আছি আমি।আড়চোখে একটু তাকিয়ে দেখি স্যার সাদা পাঞ্জাবি পাল্টে কালো পাঞ্জাবি পরেছে।অবশ্য এখন আরো বেশি সুন্দর লাগছে।আমি আমার বান্ধবীর মতো করছি বলে মনে মনে নিজেকে একচোট ধিক্কার জানালাম।
সাফার থেকে বিদায় নিয়ে এসে স্যারের সাথে গাড়িতে বসলাম।পুরো রাস্তা শুধু বাড়ির ঠিকানা জানতে চাওয়া ছাড়া আর কোনো কথা বলেনি রুদ্র।

চলবে….
হাতের লেখা ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।