নিরব সে পর্ব-১৮

0
1226

১৭শ পর্বের পর থেকেঃ-

”নিরব সে”
#সাদিয়া_সৃষ্টি
১৮শ পর্ব

বাসায় ফিরে ওয়াফিফ নিজের ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়। একটু বেশি জোরেই। কিছুক্ষণ সেদিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। আজ পর্যন্ত যতবার সে দরজা লাগিয়েছে ততবার কোন শব্দ শুনতে পায় নি সে। আর আজ এই শব্দ কি করে হল? এপ্রোন টা কোন মতে খুলে বিছানায় ছুঁড়ে মারল। চশমাটাও ছুঁড়ে মারল। তবে বিছানায় পড়ায় কিছু হল না সেটার। সে কিছুক্ষণ ভাবল তার অনুভূতি যদি হয়ে থাকে রাগের, তাহলে তার কি করা উচিত? রাগ হলে মানুষ কি কি করতে পারে? আর তার এখন কি করলে রাগ কমতে পারে। নিজের ক্যারিয়ারে মানুষদের কি কি করতে দেখেছে বা শুনেছে সেগুলো একে একে মনে করার চেষ্টা করল। মনেও পড়ল বেশ কিছু। একে একে সব গুলোর সাথে নিজের চরিত্র মিলিয়ে দেখল তার সাথে কোনটা যায়। কিন্তু কিছু খুঁজে পেল না। তার এমন কিছু কাজ লাগবে যেটা করলে অন্য কেউ বুঝতে পারবে না যে সে রেগে আছে। কিন্তু তার মাথায় প্রথম যেই আইডিয়া এলো সেটা হল জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলা, ভাংচুর করা। কিংবা যার উপর রেগে আছেন তাকে মারা। এমন আক্রমণাত্মক ইচ্ছা মাথায় আসায় সাথে সাথে ঝেড়ে ফেলল সে। নিজে ডাক্তার হয়ে কি না অন্যের হাড় জোড়া লাগানোর বদলে ভাঙার চিন্তা করছে। কবে সে ডাক্তার থেকে কসাই এ পরিণত হল। তবে শেষ কাজটা করতে তার ভীষণ ভাবে মন চাইল। যার উপর রাগ তাকে মারা। ওয়াফিফ নিজের মস্তিষ্ক কে আরেকটু খাটিয়ে বের করল যে সে কার উপর রেগে আছে। সাথে সাথে দুটো নাম মাথায় এলো। আরেক্তু ভাবতেই সেটা ২ থেকে ৩ হয়ে গেল। এক ছবি, দুই জিনিয়া আর ৩ জাবির। অবশ্য ৩ নাম্বারে বললেও জাবিরের উপর রাগ সবচেয়ে বেশি। ছবির দোষ সে কেন ওয়াফিফের সামনে এলো। আবার পুরনো অনুভূতি জাগিয়ে নিজে আবার ফিরে গেল। স্বল্প সময়ের দেখা হলেও খুব কষ্টদায়ক ছিল ওয়াফিফের জন্য। কমপক্ষে হলেও ৬ বছরের ভালোবাসা, অবশ্য সেই ৬ বছরের পর যে তার প্রতি অনুভূতি চলে গিয়েছে এমনটাও নয়। আজও নিজে থেকেই তার প্রতি এক অজানা মায়াজালে নিজেকে আটকে রেখেছে সে। বের হতে পারবে সেখান থেকে । কিন্তু নিজেই চাইছে না। আর সবচেয়ে বড় বাঁধা এখানেই।

মানুষ যতক্ষণ নিজ থেকে কিছু না চায় ততক্ষণ কোন কিছুই সম্ভব না। সবাই সব কাজ করার আগে নিজে কিছু সময়ের জন্য হলেও চিন্তা করে, কাজটি করবে না কি করবে না। যেমন , মানুষ একটা মজার কৌতুক শুনল। তারপর সে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভাবে যে হাসবে কি হাসবে না। হোক সেটা ১ সেকেন্ডেরও কম সময়। কিন্তু মানুষ ভাবে। যখন মন আর মস্তিষ্ক হ্যাঁ বলে তখনই মানুষের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বেশিরভাগ মানুষ এই চিন্তা ভাবনায় কম সময় নেয়। তাই তারা হয়তো এর টেরও পায় না। কিন্তু কিছু মানুষ বেশি সময় নেয়। আর তারা খুব ভালোই বুঝতে পারে।

যেখানে মানুষ ছোট কাজ করতেই ভাবে, সেখানে ওয়াফিফ নিজ থেকে চাইছে না একটা মায়াজাল থেকে বের হতে। তাকে জোর করেও বের করা সম্ভব না সেখান থেকে , যতক্ষণ না তার চিন্তার পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।

ছবিতা ওয়াফিফের প্রাক্তন বলা চলে। তবে ওয়াফিফ আজও তার প্রতি অনুভূতি রাখে। যেখানে ওয়াফিফ নিজে অন্যকে অনেক কিছু বোঝায়, সেখানে আজ পর্যন্ত নিজেকে বোঝাতে পারে নি তার সাথে এখন আর কোন সম্পর্ক নেই। ছবিতার ছেলের এক অসুখের কারণে সে ওয়াফিফের সাথে যোগাযোগ করে। প্রায় ৫ বছর পর নিজ থেকে কল করেছিল সে। আর ওয়াফিফ নিজের আবেগে ভেসে গিয়ে তার সাহায্য করার জন্য এই হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেছে। প্রতিটা মুহূর্তে ছবি আর তার বরকে একসাথে দেখে কষ্ট পেয়েছে। তবু নিজেকে ঠিক করে রেখেছিল। ছোট বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে। একেবারে প্রবাসী এক ভালো ডাক্তারের খোঁজ পেয়ে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিল আজ। আর আজ থেকে সে আর ছবিকে দেখতে পাবে না। সে আবার চলে গিয়েছে।

এটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছিল না তার। কিন্তু তারপর জিনিয়া আর জাবিরকে একসাথে দেখে সেই অনুভূতি যেন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। মাথায় চড়ে বসেছে এক আকাশ সমান রাগ। ছবি তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এখন জিনিয়াও চলে যাবে এটা সে মেনে নিতে পারছে না।

মানুষ সাধারণত সত্যের থেকে নিজের চোখকে বেশি বিশ্বাস করে। তাই এক দেখায় নানা কথা নিজের মনে ভেবে বসে। যদি দেখা না হয় তবুও শুধু তার নাম শুনেই তার সম্পর্কে কল্পনার পাহাড় গড়ে তোলে। তার বিপরীত ঘটে নি ওয়াফিফের ক্ষেত্রেও। ওয়াফিফ যতই বুঝদার মানুষ হোক। যখন নিজের মধ্যে দুঃখ কষ্ট এমন অনুভূতি চলছে তখন অন্তত পজিটিভ কোন কথা ভাবা সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন। তাই সে প্রথম দেখায় ভেবে ফেলেছে জিনিয়া তাকে ছেড়ে চলে যাবে এবার। এরপর মনে পড়ল আগের কয়েকদিনের কথা। তার সাথে জিনিয়ার ঠিক মতো কথা হয় নি। সে এটাকে ভেবে নিল জিনিয়া ওকে ইগনোর করেছে। কারণ জিনিয়া এই কয়দিন জাবিরের সাথে ছিল। কিন্তু সে নিজে কথা বলার চেষ্টা করে ই এই কথা ভেবেও দেখছে না। কারণ সে নিজে রোজ কারো না কারো কাছ থেকে জিনিয়া ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে কিনা, ওষুধ খায় কি না সেসব জেনে নিত। আর জিনিয়াকে ঘুমাতে দিত। এর মধ্যে জিনিয়া যে নিরব থাকার মতো মানুষ সেটা তার মাথায় আসলো না। নিজেকে এক ভাবে ফেলে রেখে অন্যকে দোষ দিতে শুরু করল যেন।

আর ভাবতে ইচ্ছা করছে না বলে সে দরজায় হেলান দিয়ে ফ্লোরেই বসে পড়ল। আর নিজের দুই হাত দিয়ে চুল চেপে ধরল। টানল কয়েকবার। তবে ছিঁড়ল না একটাও চুল। ব্যথা পেয়েছে অবশ্য। সে কেন এত রেগে যাচ্ছে সেটাও বুঝতে পারছে না। এতো টা কষ্ট সে তখনও পায় নি যখন ছবি তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। রাগ কীজন্য? জিনিয়া তাকে ছেড়ে চলে যাবে এজন্য না কি জিনিয়াকে ছাড়া সে থাকতে পারবে না এজন্য। এসব সমীকরণ মিলাতে না পেরে সে বিছানায় ওভাবেই শুয়ে পড়ল। ভেবেও যখন কোন লাভ হচ্ছে না তাহলে এতো কষ্ট করে না ভেবে ঘুমানো ভালো। এই চিন্তা করেই সে শুয়ে পড়ল। আর এর থেকে কিছু সময় অতিবাহিত হতে না হতেই ঘুমিয়ে পড়ল।


জিনিয়া বাড়ি ফিরে নিজের রুমের সামনে এসে অবাক হয়ে গেল। এই ভর দুপুরে তার ঘরের দরজা আটকে রাখা কেন। নক করতে যাবে কিন্তু তার আগেই হাতের সাথে লেগে খুলে গেল। সে ভিতরে ঢুকতেই প্রথমে তার চোখ পড়ল বিছানায় থাকা ওয়াফিফের দিকে। প্রতিবারের মতো এক হাত কপালে রেখে নিজের চোখ ঢেকে রেখেছে । আর এক হাত বুকের উপর রাখা। ওয়াফিফকে দেখে তার মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠল। আজকাল সে ওয়াফিফকে দেখলে হাসে। খুব ভালো লাগে ওয়াফিফকে। আজ যখন সে জাবিরকে না বলল তখন তার আগের মতো অতো কষ্টও হয় নি। নিজেকে সামলে নেওয়ার যোগ্যতা ছিল তার। আগের জিনিয়া হলে ঠিকই কান্না করত। কিন্তু এবার সে করে নি। তবে যতটুকু কান্নার ইচ্ছা জেগেছিল সেটাও ওয়াফিফের বুকে মাথা রেখে। এই মানুষটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে সে। আর এই নির্ভরতাও ভালো লাগে তার। ওয়াফিফের জন্য অপেক্ষা করা রোজকার রুটিনে পরিণত হয়েছে। ওয়াফিফকে দেখলেই তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে। তবুও নিজেকে দমিয়ে রাখে। এটা করার অধিকার আজও ওয়াফিফ তাকে দেয় নি। না প্রকাশ করেছে কোন ভাবে। আর না একবারও বলেছে। তাই সে নিজের সীমার মধ্যেই থাকার চেষ্টা করে।

জিনিয়া এসব ভাবনায় হারিয়ে গিয়েছিল প্রায়, কিন্তু তখন নজর পড়ল ওয়াফিফের পায়ের দিকে। বেশ কয়েক বার হোঁচট খাওয়ার ফলে কিছু কিছু জায়গায় পাথরে বা অন্য কিছুতে কেটে আর ছিলে গিয়েছে। জিনিয়া সাথে সাথে ফার্স্ট এইড বক্স এনে ক্ষত পরিষ্কার করে ধীরে ধীরে ফুঁ দিতে দিতে ওষুধ লাগিয়ে দিতে থাকল যাতে ওয়াফিফ ব্যথা না পায়। এতো সাবধানে ওষুধ লাগাচ্ছিল যেন ওয়াফিফের পা ওর হাতের সাথে লাগলেও আবার কেটে যাবে বা ওয়াফিফ অনেক ব্যথা পাবে। ওয়াফিফের পায়ের অবস্থা এমন কেন হয়েছে সেটার থেকে বেশি জিনিয়ার এই নিয়ে চিন্তা হচ্ছে যে এটা ঠিক হতে বেশি সময় লাগলে ওয়াফিফের কষ্ট হবে । তারপর নিজে ওয়াফিফের পাশে বসে থাকল চেয়ার নিয়ে। একবার মিনা ডাকতে এসেছিল। কিন্তু সে বেশি শব্দ করতে না বলে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওয়াফিফ তখনও গভীর ঘুমে। গত কয়েকদিন ঠিক মতো ঘুম হয় নি বলে আজ যেন আর উঠার নাম নিচ্ছে না সে। জিনিয়ার তার দিকে তাকিয়ে থেকেই সময় কাটিয়ে দিল। পুরোটা সময় অন্যকেউ জিনিয়াকে দেখলে এটাই ভাববে যে জিনিয়া ওয়াফিফকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।


এর পরের কিছু দিন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। ওয়াফিফের আচরণ এ কোন পরিবর্তন নেই। সে সবার সাথে আগের মতই হাসিমুখে কথা বলে। তার হাসপাতালে আর কাজের চাপ নেই। আগেও ছিল না। শুধু ছবির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এখন ছবিও নেই, চাপও নেই। সে রাতে আগের মতো ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরে আসে, সবার সাথে খাওয়া দাওয়া করে। গল্প করে। আর সময় হলে ঘুমাতে যায়। দুপুরেও বাড়ি এসেই খাওয়া দাওয়া করে। সব স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যেই অস্বাভাবিকতা রয়েছে। ওয়াফিফ জিনিয়ার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছে। আগে যেমন অন্যদের থেকে জিনিয়ার খোঁজ খবর নিত, এখন আর নেয় না। কোন কথা বলে না। আগে ব্যস্তয়ার জন্য বলত না আর এখন নিজ থেকেই বলে না। স্বেচ্ছায়। জিনিয়ার চেক আপ করাতেও নিয়ে যায় নি। এক ঘরে থাকা স্বত্ত্বেও কথা বলে না। দুই জনই এক ঘরে থাকে কিন্তু যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ শান্ত থাকে সব। যেন শীতের বাতাস প্রবাহিত হয় সেখানে। নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর নিজের হৃদস্পন্দনের শব্দ ছাড়া আর যে একটা শব্দ শোনা যায় সেটা হল ঘড়ির টিকটিক শব্দ। জিনিয়া এবার ভাবতে শুরু করেছে এসব নিয়ে। তার নিজের মনে এক আলাদা আশংকা হানা দিয়েছে। ওয়াফিফ তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে এমনটা মনে হচ্ছে তার। তবে এটা কি তার নিছক কল্পনা বৈ কিছু না সেটাও জানে না। তাই কথা বলাই ঠিক মনে করল সে। নিজের চেক আপের জন্য কয়েকবার যাওয়া হয় নি। তাই সেই বাহানা দিয়েই কথা বলা শুরু করবে ভেবে নিল জিনিয়া।

পরের দিন ছুটির দিন হওয়ায় ওয়াফিফ বাড়িতেই আছে। অনেক দিন পর সে ছুটি কাটাচ্ছে। ঘুমিয়েই সারাদিন পার করার ইচ্ছা আছে তার। তবুও ঘুম ভেঙে গেল ওয়াফিফের। আজকাল সে খেয়াল করেছে, জিনিয়াকে আর ডেকে দেওয়া লাগে না। বরং জিনিয়া তার আগেই উঠে। ওয়াফিফের এতো বছরের অভ্যাস কি করে জিনিয়া রেকর্ড ভেঙে ফেলল সেটাই চিন্তার বিষয়। যদি টানা ৬ বছর ধরে হওয়া ক্লাসে ফার্স্ট বয় হঠাৎ করে সেকেন্ড হয়ে যায় তাহলে যেমন লাগে, তেমনটাই লাগছে ওয়াফিফের। সারাদি ঘুমানোর প্ল্যান ও ভেস্তে গেল এতদিনের অভ্যাসে, এখন ঘুম আসতে হলে অনেক কষ্ট করতে হবে । তার আর না ঘুমিয়ে উঠে গেল। এর বদলে আফরানের ছেলে আসফির সাথে খেলবে। এটাই ভেবে উঠতে গেল। কিন্তু তার আগে নিজের পায়ের দিকে নজর পড়ল বিছানা থেকে নামার সময়। নিজের পা দেখে সে একবারে বলতে পারবে তার পায়ে গতকাল কিছু হয়েছে আর তার পায়ে ওষুধ ও লাগানো হয়েছে। সে ভাবল হয়তো তার মা ই করেছে। তাই আর বেশি ভাবল না। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে বের হল। আর মায়ের সাথে দেখা হতেই থ্যাংক ইউ বলল। কেন বলল সেটা আফিয়া রহমান বুঝতে পারলেন না। কিন্তু তিনি সুফিয়াকে কি কি রান্না করতে হবে সেটা বলতে জাচ্ছিলেন। তাই বেশি ভাবলেন না।

জিনিয়া সারা সকাল ওয়াফিফের আশেপাশে ঘুর ঘুর করেছে। এই আশায় যে ওয়াফিফ তাকে দেখে কিছু জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু কিছুই বলে নি ওয়াফিফ। বরং এমন ভান করেছে যেন তার আশেপাশে কেউ নেই। তাই দুপুরে ঘরে ওয়াফিফ ঢুকতেই জিনিয়াও পিছন থেকে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। ওয়াফিফ চমকে গিয়ে বলে উঠল,

–কি হয়েছে? দরজা বন্ধ করলে কেন?

–আপনার কি হয়েছে বলবেন? এই কয় দিন ধরে আপনি এমন কেন করছেন, ডাক্তার সাহেব?

চলবে।

[রিচেক করি নি, ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর ধরিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ]
Sadia Hq Sr.