বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত শেষ পর্ব

0
1511

বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
শেষ পর্ব

——> হঠাৎ ছবি গুলো দেখে মাথাটা ঘুরতে শুরু করলো ওনি এত বড় কথাটা আমার কাছ থেকে লুকোতে পারলো কীভাবে…

আমাকে একটি বারো বললো…

আমার বিশ্বাসের এই প্রতিদান দিলো…


সাঈদঃ বাসায় আসতে আসতে একটু মনে হয় দেরিই হয়ে গেলো সেই কখন থেকে দরজাটা খুলতে বলতেছি কিন্তু আদ্রিতা খুলছে না কেনো আজব তো

তাই বাধ্য হয়ে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজাটা খুলে ভিতরে ডুকলাম এর পর রুমে গিয়ে যা দেখলাম…

আদ্রিতাঃ তার মানে ওই মেয়েটা সত্যি কথাই বলেছিলো যে ওনি আস্তে আস্তে আমাকেও ওই মেয়েটার মতো ভুলে যাবে…


সাঈদঃ আদ্রিতা কী হয়েছে তোমার হুম এভাবে মেঝেতে বসে আছো কেনো আরে তোমার চোখে জল কেনো…

চোখের জলটা মুছতে গিয়ে…


আদ্রিতাঃ একদম ছুবেন না আমায় আপনি ধোকা দিয়েছেন আমায়..

সাঈদঃ তুমি কী পাগল হয়ে গেছো কী আবোল তাবোল বকছো…

আদ্রিতাঃ আমি আবোল তাবোল বকছি এত বড় কথাটা আমার কাছ থেকে লুকোতে পারলেন..

সাঈদঃ আজ পযন্ত এমন কোথা আছে যেটা তোমায় বলি নি…

আদ্রিতাঃ এই কথাটা তো বলেন নি যে আপনি বিবাহিত আর সকাল বেলা যে মেয়েটা এসেছিলো সে আপনার প্রথম বিবাহিত বউ তুলি..

সাঈদঃ কথা গুলো শুনে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো রাগ কন্ট্রোল না করতে পেরে দিয়ে দিলাম গালে একটা থাপ্পড়…

আদ্রিতাঃ গালে হাত দিয়ে আরো জোরে কাদতে লাগলাম আপনি মারতে পারলেন আমায়…

সাঈদঃ তোমার পাগলামোর জন্য মেরেছি ( আজ প্রথম আদ্রিতার উপর হাত তুললাম)


আদ্রিতাঃ মারুন আরো মারুন মারতে মারতে মেরে ফেলুন আমায়….

সাঈদঃ মেয়েটার মাথাটা খারাপ হয়ে গেলো না তো তখনি আদ্রিতার হাত থেকে কয়েকটা ফটো মাটিতে পড়ে গেলো..
ছবি গুলো হাতে নিতেই যা দেখলাম তা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না এটা তো আমার পিক আর ওই মেয়েটার তাও আবার এক সাথে..

এটা কীভাবে সম্ভব ছবি গুলো ভালো মতো দেখতে লাগলাম হঠাৎ চোখটা পড়লো ছবিটার কোণে সেখানে লেখা ছিলো সাজিদ ফটো সেন্টার…


এই সাজিদ ফটো সেন্টার এ এই রহস্য লুকিয়ে রয়েছে…


আদ্রিতাঃ আমি চলে যাচ্ছি আপনার থেকে অনেক দুর এ…

সাঈদঃ কী বললে আরেক বার বললে হাত পা ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো আমি না আসা পযন্ত যদি এই রুম থেকে বেড় হয়েছো তাহলে কী যে করবো তোমার সেটা উপর ওয়ালাই জানে বলে চলে আসলাম..

আদ্রিতাঃ ওনার কথা গুলো শুনার পর রুম থেকে বেড় হওয়ার সাহস হলো না।।


সাঈদঃ সাজিদ ফটো সেন্টার এ এসেছে এই ছবি গুলো আপনার এখান থেকে নেওয়া হয়েছে..

জ্বী কাল একটা মেয়ে এডিট করে নিয়ে গেছে…

তা স্যার আপনি তো ওই মেয়েটার স্বামী হবেন তাই না..

সাঈদঃ শালা গালে দিবো না একটা থাপ্পড় মেয়েটার নাম কী আর কোথায় থাকে আর এই কাজের জন্য কত টাকা নিয়েছিস বল..


মানে কী…

সাঈদঃ সোজা কথায় বলবে না জামার কলারটা ধরে দু চারটা থাপ্পড় খেতেই সব কিছু পেট থেকে বেড়িয়ে আসলো…

স্যার বলছি বলছি মেয়েটার নাম তুলি রোড নাম্বার ৩২ এর ডানে পাশের বাসায় থাকে এই কাজের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছে…


সাঈদঃ আজ এই তুলির একদিন কী আমার একদিন তাড়াতাড়ি রোড নাম্বার ৩২ এ এসে ডানের বাসা টায় ডুকে গেলাম হঠাৎ সেই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম…


মেয়েটাঃ একি এই লোকটা এখানে কী করছে…

আস্তে আস্তে পিছতে পিছতে দেওয়ালে পিট ঠেকে গেছে…


সাঈদঃ অনেক হয়েছে লুকোচুরি খেলা এবারে বলো কে তুমি আর এই সব করে কী লাভ তোমার…

মেয়েটাঃ ইয়ে মানে না মানে আমি তো আপনার বউ..

সাঈদঃ মাথাটা আগে থেকেই গরম ছিলো তার পর এই কথাটা শুনার পর আরো রাগটা বেড়ে গেলো উঠিয়ে দিলাম গালে কয়েকটা থাপ্পড় আমি তোর স্বামী আজ তোর একদিন কী আমার একদিন বলেই আরো কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিলাম…

মেয়েটাঃ আপনার নামে নারী নিযাতনের কেস করবো.

সাঈদঃ কী করবি কর তোর আজ রেহাই নেই আশে পাশে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না হঠাৎ একটা ছুরির উপর নজর পড়লো সেটা হাতে নিতেই তোকে আজ মেরেই ফেলবো এতে যা হবার হবে…


মেয়েটাঃ এবার সত্যি সত্যি ভয় করতে শুরু করলো যদি রাগের মাথায় ছুরিটা চালিয়ে দেয়…
দেখুন এমনটা করবেন না আমি সব বলতেছি….

সাঈদঃ যা বলার এখানে না আমার বউ সামনে বলবি না হলে…

মেয়েটাঃ ঠিক আছে তাই হবে.

সাঈদঃ এর পর মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে এসে..

আদ্রিতাঃ মনে হলো কেউ এসেছে তখনি উনি ওই মেয়েটাকে নিয়ে রুমে ডুকলেন.

মেয়েটাঃ দেখুন আমিই এসব করেছি এই ফোটো গুলো এডিটিং করে আজ সকাল বেলা যখন আপনারা বাইরে গেছিলেন তখন জানালা দিয়ে ভিতরে এসে এই সুটকেস আর ফটো গুলো রেখে যাই যাতে এই কথাটা বিশ্বাস হয়ে যায় যে আমিই সত্যি কথা বলতেছি…
আর এসব আমি লোভে পড়েই করেছি এর জন্য আমাকে তামান্না টাকা দিয়েছিলো কিন্তু ওই দিন গুলিটা তামান্নাকে লেগে যায় আর আমি টাকা হালালি করে খেতে চেয়েছিলাম তার জন্য এস সব করা..

প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন আমার কিছু হয়ে গেলে আমার মেয়েটাকে দেখার মতো কেউ নেই . ।

সাঈদঃ মেয়েটার কথা শুনে একটু মায়া হলো তাই যেতে দিলাম সাথে আমি বেড় হয়ে যাচ্ছিলাম…
তখনি…

আদ্রিতাঃ নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছি না বুঝে শুনে কত কথাই না বলে ফেলেছি ওনাকে দৌড়ে পিছন থেকে গিয়ে ওনার পা ধরে..

আমাকে ক্ষমা করে দিন আমি না বুঝেই এসব বলে ফেলেছি…

সাঈদঃ ভুলটা তাহলে বুঝতে পেরেছো তা তোমার জায়গা পায়ের নিচে না আমার এই বুকের মাঝে বলেই তুলে কোলে জরিয়ে ধরলাম

এর পর থেকে আমাদের সুখে দিন কাটতে লাগলো আমাদের মাঝে কেউ বাধা হয়ে দাড়ানোর মতো কেউ নেই সব বিপদ পেড়িয়ে আজ মুক্ত…

সমাপ্ত