ভাবির জমজ বোন Part-1+2

0
815

???গল্প – ভাবির জমজ বোন ❤?♥
part -1/2
RJ MOSTAKIM

আজকে আমার বড় ভাই এর বিয়ে। বিয়েটা খুব ধুমধাম করেই হচ্ছে। ভাইয়া আর ভাবি কলেজ জীবন থেকে প্রেম করে। আর এই প্রেম টা ২ পরিবারইই মেনে নেয়।
আমি তামজিদ বাবার দ্বিতীয় ছেলে এখন অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি।

আব্বু – তামজিদ ওই হারামজাদা কোথাই তুই..
আমি – আসছি বাবা
আব্বু – দুপুর ২ টা বেজে গেছে এখনো গাড়ী আসতেছে না কেন…??
আমি – এখনি চলে আসবে সমস্যা নাই…
আব্বু – কখন বলেই যাচ্ছে এখনি চলে আসবে
আমি – ঠিক আছে আমি দেখছি বেপার টা। ওইতো গাড়ী এসে গেছে..
আব্বু – ঠিক আছে তুমি তাহলে সবাই কে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠতে বল ওই বাসা থেকে তো ফোন দিয়েই যাচ্ছে দিয়েই যাচ্ছে।
আমি – ওকে

তারপর সবাই কে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে। আমি ভাইয়া.,ভাইয়ার কিছু বন্ধু এক সাথে আসলাম

রানা ভাইয়া – আচ্ছা একটা জিনিশ কিছুতেই আমি বুঝবার পারতেছি না..

আমি – কি ভাই..?
আচ্ছা – বিয়েটা কি সোহেল এর নাকি তুমার..?
রুবেল – আরে তোর কি মাথা খারাপ হলো নাকি বিয়ে ওর কেন হতে যাবে বিয়ে তো সোহেল এর
রানা ভাইয়া – আরে বেডা রাখ ২ জন রে ভালো করে দেখ তো কারে জামাই জামাই মনে হয়..
রুবেল – ওও এই কথা এটা একেবারে ঠিক বলছো মামা। তা কি বেপার তামজিদ তুমার জামাই জামাই ভাব কেন..??
আমি – জামাই জামাই ভাব মানে..?
রুবেল – আমি কিন্তু বেপার টা ঠিক বুঝতে পারছি..?
আমি – তুমি কি বুঝতে পারছো..
রুবেল – আমাদের সোহেল ভাই এর নাকি একটা সুন্দরি শালী আছে..
আমি – ভাই এর শালী আছে তাতে আমাদের কি..
রুবেল – দেখ ছোট ভাই আমাদের মনে হয় কিছু বুঝে না আমি – আর কিছু বুঝতে হবে না চলে এসেছি নামো এবার।

গাড়িতে নেমে গেটের কাছে যাওয়ার সাথে একটা শর্ক খেলাম। কারন জীবনে প্রথম দেখছি নিজের বিয়ের গেট নিজে ধরে..

আমি – ভাইয়া আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি ভাবি এখানে কেন..?? ( ফিসফিস করে বললাম।)
ভাইয়া – আরে এটা মীম না..?
আমি – ওই আমারে কি পাগল মনে হয় নাকি…? এটা মিম ভাবি নাতো কে..?
ভাইয়া – এটা মীম এর জমজ বোন নীলা..
আমি – ওও। কিন্তু এতো একদম হুবুহু কপি একটু ও ব্যাতিক্রম নাই..
ভাইয়া – হুম বাদ দেখ ওরা কি বলছে..?

আমি – আচ্ছা আমাদের কি ভেতর না নিয়ে এই খানে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে..?

নীলা – আমাদের পাওয়া না দিয়ে দিন তারপর যেখানে খুশী যান কোন সমস্যা নাই…
আমি – আপনাদের পাওনা মানে কি দিতে হবে তাই বলেন.??
নীলা – ১০ হাজার টাকা.
আমি – কিহহ ১০ হাজার টাকা..
নীলা – হ্যা ১০ হাজার টাকা এক টাকাও কম দেওয়া যাবে না..
আমি – কিছু কম নেনে ৫০০ টাকা দিলে হবে না.??
নীলা – ওই এখানে ভিক্ষা করতে আসি নাই…
আমি – মনে তো হচ্ছে না ভিক্ষুক রাও তো টাকা চাই আপনি ও চাইলেন…
নীলা – কিহহ আমি ভিক্ষুক ১০ হাজার ১ টাকা কম দিলে ভিতরে যেতে দেবো না..
আমি – ঠিক আছে আমরা চলে আমরা এতো টাকা দেবো না..
নীলা – এখন তো দেখছি আসল ভিক্ষুক আপনারা বিয়ে করতে আসছে মাএ ১০ হাজার টাকা দিতে পারেন না যান চলে আপনাদের মতো ভিক্ষুক দের কাছে আমার বোন কে বিয়ে দেবো না..

আল্লাহ মানসম্মন এর দিছে ১২ টা বাজিয়ে।
তাড়াতাড়ি পকেট থেকে ১২ হাজার টাকা বের করে দিলাম
আর নীলার কানে কানে বললাম ২ হাজার তুমার জন্য..
বলার সাথে ২ হাজার টাকা আমার দিকে ছুড়ে দিলো বললো
নীলা – আমি ভিক্ষুক না যে আপনার কাছ থেকে টাকা নেবো

সবাই খুল খুল করে হেসে দিলো।
এই দিকে তো আমার মানসস্মান শেষ

আমি ও মনে মনে জীত ধরলাম এটার শোধ আমিও নেবো।
তারপর ভিতরে ডুকলাম
খাওয়া দাওয়া শেষ করে কেমেরা দিয়ে ছবি তুলতে লাগলাম হঠাৎ করে নীলা কেমেরার সামনে এসে গেলো
ছবিটা দেখো আমি পুরা ক্রাশ ছবি টা এতো সুন্দর হয়েছে বলার বাহিরে।
তাই আরো ছবি তুলার জন্য নিলার পিছু নিলাম কয়েক টা তুলে ফেলছি এমন সময় দেখলাম নীলা সিঁড়ি দিয়ে ছাদে যাচ্ছে আমিও পেছন পেছন গেলাম।
ছাদে যাওয়ার পর নীলা আমাকে ডাক দিলো
নীলা – ওই হ্যালো মিস্টার এখানে আসেন.??
আমি – হ্যা বলেন
??
নীলা – এতো ধরে দেখছি আমার পিছন পিছন ঘুরতেছেন কারন টা কি..
আমি – কি বলেন এই সব আমি কেন আপনার পেছন পেছন ঘুরতে যাবো আমি তো সবার ছবি তুলতেছি…
নীলা – ওও তাই তা দেখি কেমেরা টা সবার ছবি কেমন হয়েছে..
আমি – কেন আপনাকে কেন দেখাবো..
নীলা – দেখেন বেশি চালাকি করবেন না আমি যানি আপনি আমার ছবি তুলতেছেন ওকে..
আমি – মোটেও না আমি কেন আপনার ছবি তুলতে যাবো। আপনি নিজেকে কিভাবেন পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরি।
নীলা – ঠিক আছে আপনার কেমেরা টা আমার হাতে দেন তাহলে বলেই হার কেড়ে নিলো।

এইবার আমি শেষ যে হারে রেগে আছে ছবি গুকা দেখলে কি করবে আল্লাহ ভালো যানে..

নীলা – ওই খুব তো বড় বড় কথা বলিতেছিলেন আমার কোন ছবি তুলেন নাই এখানে তো আমার ছবি ছাড়া আর কারো ছবি দেখি না

আমি – না মা মানে.
নীলা – কি মানে মানে করছেন সরাসরি বলেন কি বলবেন..
আমি – না আসলে আপনি ভুল করে আমার কেমেরার সামনে এসে পড়েন আর একটা ছবি তুলে ফেলি ছবিটা খুব সুন্দর হয় তাই আরো কিছু ছবি তুলেছি.

নীলা – হুম এটাই তো ছেলে দের সমস্যা সুন্দরি মেয়ে দেখলেই ছবি তুলতে ইচ্ছে হয় তাই না..

আমি – সরি আমার ভুল হয়েছে..

নীলা – ওকে এর পর যদি আশেপাশে এই কেমেরা নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে দেখি না কেমেরা আর পাবেন না ওকে..

আমি – ওকে

নীলা – আর ছবি গুলা ভালো হয়েছে ডিলিট করবেন না আমি পরে নিয়ে নেবো। আর হ্যা ছবি গুলা যদি কারো কাছে যায় তাহলে কিন্তু খবর আছে…

আমি -ঠিক তাহলে আরো কইটা তুলি..
নীলা – ???
আমি – না না থাক তাহলে আমি যায়গল্প – ভাবির জমজ বোন
part – 2

নীলা – ওই কই যাবে এখানে দাঁড়ান
আমি – আবার কিহ হলো…
নীলা – যাওয়ার আগে ১০ বার কান ধরে উঠবেন বসবেন আর বলবেন আর কোন দিন কোন মেয়ের ছবি অনুমিত ছাড়া তুলবো না…
আমি – কিহহ আমি পারবো না..
নীলা – পারতে তো হবেই না হলে খবর আছে আপনার
আমি – কি করবেন কি আপনি কি করবেন..
নীলা – বেশি কিছু করবো না সুধু এখন একটা চিৎকার দিবো তারপর যা করার বাসার সবাই করবে ??
আমি – মানে.??
নীলা – কান ধরেন বলছি না হলে কিন্তু আমি দিলাম চিৎকার
আমি – না না প্লিজ এই কাজ করবেন না তাহলে যে আমার মান সম্মান আর থাকবে না..
নীলা – তাহলে যা বলছি তাই করেন..
আমি – ওকে..
নীলা – এইতো ভালো ছেলে..

কোন উপায় না পেয়ে কান ধরে উঠবস করতে লাগলাম আর বলতে লাগলাম আর কখনো ভুল করেও কোন মেয়ের ছবি অনুমিত ছাড়া তুলবো না

নীলা – বাহহ খুব সুন্দর হয়েছে আরেক বার বলেন তো…

আমি – কাজ টা খুব খারাপ হলো..
নীলা – কচু হয়েছে যান এখান থেকে না হলে অবস্থা খারাপ করে দিবো..

আমি – ওকে এই দিন দিন না আরো দিন আছে আমারো একদিন আসবে শোধ নেওয়ার

নীলা – পারলে প্রতিশোধ নিয়েন যান তো

তারপর ওই খান থেকে চলে আসলাম

রানা ভাইয়া – আরে তুমি কথায় ছিলে কখন থেকে খুজতেছি ছবি তুলবো বলে..

আমি – ওকে সবাই ভাইয়ার সামনে যান আমি ছবি তুলতেছি…
তারপর সবার ছবি তুলে দিলাম এবং আমার আর ভাইয়ার ও অনেক গুলা ছবি তুললাম।
তারপর বিয়েটা শেষ হয়ে গেল কিন্তু নীলাকে আর এক বারো দেখলাম না। জানি না কেন দেখতে ইচ্ছে করছে। এদিক ওদিক খুজতে লাগলাম পেলাম না।

চলে আসবো এমন সময় ঘটলো একটা মজার কান্ড
বউ ২ টা হবু হবু কপি..
আমরা দেখে তো ভেবাচেকা খেয়ে গেলাম

কন্যা পক্ষের একজন বললো
আপনারা আসল বউকে নিয়ে বেছে নেন নয়তো ১০ হাজার টাকা দিয়ে বউ নিয়ে যান…

আমি – আরে এটা কোন কথা হলো নাকি এটা কেমন কথা..

– আরে আমরা কিছু বলছি নাকি আপনার বউ নিয়ে যান

আমি – তাহলে ২ টা কেন কোনটা নেবো..
– আমরা কি জানি আপনারা আপনাদের ভাই এর বউ কে নিয়ে যান….

মাথায় কিছু আসছে না কি করি। কিন্তু টাকা ও দেবো না.

অনেক ভাবার পর মাথায় শয়তানি একটা বুদ্ধি চলে আসলো।

তারপর আমি গিয়ে ২ টা থেকে একটার হাত ধরাল।

আমি – ভাইয়া এটাই আমার ভাবি চল এবার।

হাত ধরার সাথে সাথে দেখছি সারা শরীর কাপতেছে আমার বুঝার বাকি রইলো না এটা নকল বউ আসল ওই টা।

আমি চুপ করে কানে কানে বললাম তাড়াতাড়ি পালাও তা না হলে ভাইয়ার সাথে বাসর হয়ে যাবে…

নীলা – হাত ছাড়েন
আমি – না ছাড়বো না কি কিরবেন আপনি কিছুই করতে পারবেন না সবাই জানে আমি আমার ভার হাত ধরে আছি

আমি – কিহ হলো সবাই চলো আমাদের ভাবি পেয়ে গেছি তো..
নীলা – আমাকে ছাড়েন আপনার ভাই এর বউ ওইটা.. আমি না
আমি – না আপনি আমার ভাই এর বউ আমি জানি

নীলা – না সত্যি আমি না ওই টা আমি নীলা…

আমি – না না আমার চোখ কখনো ভুল হতে পারে না

ওই পাশ থেকে একজন বললো হ্যা ও সত্যি বলছে ও নীলা..

আমি – ঠিক আছে এখন আমাকে ১০ হাজার টাকা দেন তা না হলে এই নীলা বেয়াইন কেই ভাবি বানিয়ে নিয়ে যাবো..
নীলা – এটা কেমন কথা..
আমি – ঠিক আছে তাহলে সবার সামনে কান ধরে বলেন আর কোন দিন এমন ভুল করবো না…
নীলা – না ধরবো না..
আমি – তাহলে ছাড়বো না..
ভাইয়া – ওই তামজিদ কি হচ্ছে ছেড়ে দে..
আমি – ওই তুমি চুপ থাকো তুমি যদি জানতে আসল কাহিনী জানতে তাহলে আর কথা বলতে না..
ভাইয়া – আসল কাহিনী মানে..
আমি – না কিছুনা

আব্বু – ওই কি হচ্ছে এখানে..?
আমি – না আব্বু কিছু না।

যাহহ সব গেলো আমার প্রতিশোধ টা নেওয়া হলো না
আমি হাত টা ছেড়ে দিলাম।
তারপর বাসায় চলে আসলাম সারা রাস্তায় সুধু নীলার কথাই মনে হয়েছে।

তারপর রাতে যার যার মতো ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকালে উঠে দেখি ভাবি উঠে গেছে
আমি – কি ভাবি বাসর রাত কেমন কাটলো…

ভাবি দেখি লজ্জাই লাল হয়ে গেছে..

আমি – ঠিক আর লজ্জা পেতে হবে না। আচ্ছা তুমার বোন নীলা কোথাই থাকে..?

ভাবি – কেন.আমার বোন কোথায় থাকে তুমাকে বলবো কেন…
আমি – আহহ বলো না ভাবি..
ভাবি – তুমার মতলব কিন্তু ভালো না বুঝতে পারছি…
আমি – বুঝতেই যখন পারছো তাহলে বলো না কেন…
ভাবি – ওকে বলছি নীলা এতো দিন নানুর বাসায় থাকতো এখন থেকে আমাদের বাসায় থাকবে..
আমি – ও আচ্ছা কোন ক্লাস এ পড়ে..??
ভাবি – তুমার সেম ক্লাস..
আমি – ওও তাহলে এখানে কোন ভার্সিটি তে ভর্তি হবে..?
ভাবি – এখনো ঠিক হয়নি…
আমি – তাহলে প্লিজ আমাদের ভার্সিটি তে ভর্তি করে দাও না প্লিজ প্লিজ না করবে না..

ভাবি – দেবো তোবে একটা শর্ত আছে..
আমি – কি শর্ত…??
।।
To be continu……………

লেখার মধ্যে ভুল হতেই পারে তাই অনুগ্রহ করে হ্মমা করবেন।।।