ভাবির জমজ বোন Part-5+6

0
503

গল্প – ভাবির জমজ বোন
part – 5 /6
RJ MOSTAKIM

ভাবি – ওকে ঠিক আছে আমি মেনে নিলাম তুমি সত্যি কথা বলছো যাও এবার ফ্রেশ হয়ে আসো খাবার খাবে..
আমি – ওকে
তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার খেলাম..

আমি – ভাবি আমি একটু বাহিরে যাবো..
ভাবি – না একদমি না তুমার এই অবস্থায় বাহিরে যাওয়া যাবে না যাও রেস্ট নাও..
আমি – না ভাবি বাহিরে না গেলে আমার একটু ও ভালো লাগবে না আমি গেলাম…
ভাবি – দাঁড়াও যাবেই যখন একা যাবে না নীলাকে সাথে নিয়ে যাও…
আমি – না দরকার নাই আমি একাই পারবো…
ভাবি – আমি বলছি না নীলাকে সাথে নিয়ে যেতে..
আমি – ঠিক আছে যাবে কিন্তু যদি রাস্তায় ঝগড়া বাধিয়ে দেই তখন কি হবে….
ভাবি – ওই তুমি কি বলতে চাও আমার বোন ঝগড়াটে…
আমি – ১০০ বার বলবো আপনার বোন একটা ঝগড়াটে নাম্বার ওয়ান মাইয়া…

এমন সময় নীলা এসে এই কথা গুলা শুনে নিলো…
নীলা – আমার নামে এখানে কি বলা হচ্ছে..??
ভাবি – না কিছুনা তুই তামজিদ এর সাথে যা বাহির থেকে ওকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয়…
নীলা – আপু তুমার আল্লাদ দেখলে আমার গা জ্বলে যায়..
ভাবি – কেন আমি গা জ্বলার মত কি বললাম.??
নীলা – মনে হচ্ছে তুমার দেবর ৩-৪ বছর এর একটা শিশু রাস্তা ঘাট কিচ্ছু চিনে না তাই না….
ভাবি – আরে ও ওর শরীর এর অবস্থা ভালো না তাই তোকে সাথে যেতে বলছি।
আমি – আরে ভাবি বাদ দেন তো আমি একাই যেতে পারবো..
ভাবি – না থাক তুমাকে যেতে হবে না ঘরেই বসে থাকো…
নীলা – চলেন আমি যাবো..
আমি – সরি আপনাকে যেতে হবে না..
নীলা – ওই একদম ভাব দেখাবেন না ওকে চলেন
..
ভাবি – ঠিক আছে যাও তাহলে
আমি – ঠিক আছে যাচ্ছি
তারপর বাহিরে চলে আসলাম গ্রাম টা বেশ ভালোই
আমি – বাহহ আপনাদের এই গ্রাম টা বেশ ভালোই তো..
নীলা – আমি জানি আমাদের গ্রাম অনেক সুন্দর সেটা আপনাকে বলতে হবে না ওকে,।।
আমি, – ওরে বাবা প্রশংসা করলাম ধন্যবাদ না দিয়ে অপমান করছেন…
নীলা – আপনাকে কেউ বলছে আমাদের গ্রামের প্রশংসা করতে..?
আমি – না কেউ তো বলে নাই..
নীলা – এই এই দাঁড়ান দাঁড়ান…
আমি – কি হয়েছে

নীলা – ওই যে ছেলে টা আসছে ও খুব খারাপ একটা ছেলে আমাকে খালি ডিস্টার্ব করে এখন যদি দেখে আবার অনেক কথা বলবে…
আমি – ও আমি কি করবো…
নীলা – আপনি একটা সাহায্য করতে পারেন…
আমি – কি…
নীলা – ওই ছেলে যদি কিছু বলে আমি বলবো তুমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আর তুমি পুলিশ…তখন তুমি একটু ভয় দেখিয়ে দিবে তাহলেই হবে..

আমি – আমি পারবো না…
নীলা – প্লিজ না করবেন না…
আমি – কেন আমি কেন আপনার সাহায্য করতে যাবো সরি আমি পারবো না…
নীলা – বুঝেছি সোজা আংগুলে ঘি উঠবে না আংগুল টা একটু বাকা করতে হবে। ঠিক আছে মাইর খাবার জন্য নিজেকে তৈরি রাখো
আমি – মানে…
নীলা – আমি এখন রকি কে বলবো তুমি আমাকে ডিস্টার্ব করবো তারপর দেখো কি মাইর ঘোলা পিঠে পরে..
আমি – মানে কি আমি আপনাকে কবে ডিস্টার্ব করলাম…
নীলা – আমি আগে যা বলছি সেটা করো তা না হলে কিন্তু বুঝতেই পারছো কি হবে
আমি – কিন্তু পরে যদি ধরা পরে যায় তখন কি হবে…
নীলা – পরের টা পরে এখন কি করবে তাই বলো..
আমি – চল বাড়িতে চলে যায়..
নীলা – বাড়ির দিকে গেলে কিন্তু আরো বেশি ফেঁসে যাবে..

ভেবে দেখলাম নীলার কথা না শুনলে কপালে খারাপ কিছুই হবে কারন এই মেয়ে যে ডেঞ্জারাস এরে একটুও ভরসা রাখা যায় না

ছেলেটা নীলার সাথে আমাকে দেখে বললো…

রকি – কি জানু এই পোলা কেডা…
নীলা – চুপ বেয়াদব এটা আমার হবু বর আর ও পুলিশ…
রকি – বর মানে তুমার বিয়ে আমার সাথে আর কারো সাথে না ওকে
আমি – এই সব কি তুমি নীলাকে বিয়ে করবো তাহলে আমি করবো…
রকি – আমাদের বিয়ের দায়িত্ব পালন করবে…
আমি – সত্যি তো ভাইয়া…
রকি – ১০০% সত্যি..
নীলা – তামজিদ কি হচ্ছে…
আমি – উফফ কথার মাজে ডিস্টার্ব করো নাতো.. আচ্ছা আমি আর তুমি বেষ্ট ফ্রেন্ড..
রকি – ওকে বেষ্ট ফ্রেন্ড
আমি – আচ্ছা দোস্ত তুই আমার জন্য কি করতে পারবি.??
রকি সব কিছু করতে পারি…
আমি – সত্যি তো…
রকি – হ্যা…
আমি – না আমি বিশ্বাস করি না
রকি – কেন..??
আমি – তুই তো একটু পর নীলার জন্য আমাদের বন্ধুতব শেষ করে দিবি…
রকি – কেন আমি তো নীলাকে ভালোবাসি…
আমি – ঠিক আছে আমি আর তোর সাথে কথা বলবো না.
রকি – কেন…
আমি – তুই কি চাস একটা মেয়ের জন্য আমাদের বন্ধুত্ব টা নষ্ট হয়ে যাক…
রকি – না কখনো না…
আমি – ঠিক আছে তাহলে নীলাকে ভুলে যা দোস্ত ও ভালো মেয়ে না
রকি – কেন ভালো না কেন…
আমি – দেক দোস্ত আমার ও যদি ভালো হত তাহলে কি তোকে রেখে আমাকে বিয়ে করতে চাইতো আমি একটা ডিসিশন নিয়ে ফেলেছি…
রকি – কি ডিসিশন…
আমি – আমি ও নীলাকে বিয়ে করবো না আর তুই ও আর ওর সাথে কথা বলবি না ও একটা পচা মেয়ে..
রকি – দোস্ত তুই আমার জানের দোস্ত তুই আমাদের বন্ধুত্বের জন্য এই মেয়েকে বিয়ে করবি না ঠিক আছে দোস্ত তোকে কথা দিলাম আর কখনো এই মেয়ের মুখও দেখবো না..

আমি – দোস্ত তুই আমার সব থেকে বেষ্ট বন্ধু আয় আমার বুকে আয়..

রকি – আমার না খুব আন্দদ হচ্ছে.
আমি – কেন.??
রকি – তোর মতো একজন বন্ধু পাইছি এজন্য
আমি – আমারো..ঠিক আছে দোস্ত আবার পরে কথা হবে এখন যায় বাসায় ফিরতে হবে।।
রকি – ওকে.. তাহলে আমি ও যায়..

তারপর রকি চলে গেল..

নীলা – তুমি তো পুরা ফাটাই দিছো এতো বুদ্ধি তুমার মাথায় আসলো কেমনে….

আমি – এই সব বুদ্ধি তুমার গোবর মাথায় আসবে না..
নীলা – কিহহহ আমার মাথায় গোবর…
আমি – রকিকে ডাক দিয়ে সব কিছু বলে দেবো নাকি..
নীলা – এই না না..
আমি – হুম মনে থাকে যেন..

আমি – কিছু খাবেন..
নীলা – আপনার কাছ থেকে খাবো প্রশ্নই আসে না.. ??
আমি – কেন আমার টাকাই খেলে বুঝি আমার প্রেমে পিড়ে যাবেন..
নীলা – কখনো স্বপ্নও দেখবো না আমি আপনার প্রেমে পড়ছি…
আমি – বাহহ একটু আগে ও না রকি কে বললেন এটা আমার হবু বর…
নীলা – ওই টা তো ওর হাত থেকে বাঁচার জন্য বলছি..
আমি – সব কিছু বাদ দেন এখন আমার কাছ থেকে কিছু খাবেন আর না হলে আপনার টাকাই কিছু খাওয়াবেন
নীলা – নীলা আমি আপনার টাকাই খাবো না আর খাওয়াতেও পারবো না…
আমি – খাওয়াবেন কেমনে আপনি তো একটা ফকিন্নি একটা টাকা নাই..
নীলা – কিহহ এতো বড় কথা আমি ফকিন্নি বলেই আমার চুল ধরে পিঠে ঠাসসস কিল ঘুসি

এমন সময় এক হুজুর এসে আমাকে এই রাক্ষস এর হাত থেকে বাঁচালো তারপর বলতে লাগলো
হুজুর – দেখ মা তুমাদের মাজে কি হয়েছে আমি জানি না কিন্তু স্বামী যাই করুক না কেন স্বামীর গায়ে হাত দেওয়া কিন্ত অনেক বড় পাপ

হজুর এর কথা শুনে ২ জনের চোখ বড় বড় হয়ে গেল

নীলা – না মানে আসলে আপনি আসলে ভুল বুঝতেছেন..
আমি – হুজুর সাহেব আপনি একটু বুঝান আমি যদি কিছু বলি তাহলেই আমাকে এই ভাবে যেখানে সেখানে মারে। আমি মারি না কারন আমি জানি বউ কে মারতে হয় না এজন্য
নীলা – কিহহহহ আজকে তোর খবর আছে..
আমি – দেখলেন তো হুজুর স্বামিকে কিভাবে তুই তুই করে হুমকি দিতেছে..
হুজুর – মা তুমি কিন্তু খুব বড় ধরনের পাপ করতেছো যার ক্ষমা নাই। তুমার সাথে তুমার স্বামির সম্পর্ক থাকবে মধুর মতো..
নীলা – আরে আমার তো কোন স্বামীই নাই..
আমি – দেখছেন এই মেয়ে কেমন মেয়ে আপনার সামনে বলতেছে নিজের স্বামিকে মানে না
হুজুর – তুমাকে দেখে মনে হয়েছিলো তুমি খুবী ভালো একটা মেয়ে কিন্তু এখন তো দেখছি খুব খারাপ মেয়ে তুমার সাথে তো আমার কথা বলাই উচিত হয়নি..
নীলা – আরে আগে সত্যি টা তো শুনুন..
হুজুর – কোন সত্যি জানার দরকার নাই আমার।

বলেই চলে গেল

আমি নীলার দিকে তাকিয়ে উপলব্ধি করতে পারলাম এখন কয়েকশ কিলোমিটার বেগে তুফান উঠবে

তাই আমি জান নিয়ে পালানোর জন্য দিলাম একটা দৌড় এক দৌড়ে একদম বাসায় এসে পড়ছি.. নীলা আমার পিছন পিছন চলে আসলো।
নীলার চোখ মুখ একদম লাল হয়ে গেছে রাগে
ভাবি এটা বুঝতে পেরে নীলাকে জিজ্ঞাসা করলো কি হয়েছে কিন্ত নীলা একদম চুপ..
ভাবি – কিরে নীলা তোর চোখ মুখ এমন লাল কেন হয়েছে কি হয়েছে..
নীলা – না কিছু হয়নি
ভাবি – আরে আমাকে বল কি হয়েছে..
নীলা – বলছি না কিছু হয়নি বলেই কাঁদতে কাঁদতে রুমে চলে গেল…

আমি মনে মনে ভাবলাম মনে হয় একটু বেশি করে ফেলেছি। তাই আমি নীলার রুমে গেলাম।
রুমে গিয়ে দেখে সুয়ে সুয়ে কাঁদতেছে..

আমি কি করবো বুঝতেছি না।

চুপচাপ কতক্ষণ থেকে বললাম সরি

নীলা -……. ????
আমি – আসলে আমি একটু মজা করতে ছাইছিলাম কিন্ত তুমি সিরিয়াসলি নিবে আমি বুঝতে পারি নাই…
নীলা – আপনার কিছু বুঝতে হবে না এখান থেকে জান আর আমার রুমে ডুকার অনুমতি কে দিছে আপনাকে
আমি – সরি ভুল হয়ে গেছে..
নীলা – কিসের সরি জানেন না কারো রুমে প্রবেশ করার আগে অনুমিত নিতে হয়…
আমি – সরি ভুল হয়েছে আর কখনো হবে না..
নীলা – ওকে ঠিক আছে এখাব থেকে যান। আর যাওয়ার আগে একটা কথা শুনে যান আপনার ওই মুখ যেন আর কোনদিন আমার সামনে যেন না দেখি কথাটা মনে থাকে যেন
আমি – হুম মনে থাকবে..
কথা গুলা বলে রুম থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে দরজা লক করে দিলো

এতোদিন এ যত অপমান মাইর দিছে কোনদিন কষ্ট পাইনি কিন্ত আজকে কেন জানি অপমান টা সহ্য হচ্ছে না খুব কষ্ট হচ্ছে।
তাই সিদান্ত নিলাম আর কোনদিন নীলার সামনে যাবো না। তারপর তখনি আমি ভাইয়া আর ভাবিকে বললাম আমার চলে যেতে হবে এখনি আমার জরুরি একটা কাজ আছে মিথ্যা কথা বলে অনেক কষ্টে সেখান থেকে ছূটে এলাম। তারপর বাসায় চলে আসলাম। ভাইয়া ভাবিও বাসায় চলে আসলো কয়েক দিন এভাবেই চলে গেল কিন্ত একটা পর পরি নীলার কথা মনে হয় কিছুতেই ভুলতে পারি না..

রুমে বসে বসে মোবাইল এ গেম খেলতেছিলাম এমন সময় ভাবি রুমে এসে বললো তামজিদ তুমার জন্য তো দারুণ একটা খবর আছে…
আমি – কি ভাবি.??
ভাবি – আগে বল খবর টা দেওয়ার পর আমাকে কিছু একটা দিবে..
আমি – কি দেবো…
ভাবি – কিছু একটা দিলেই হবে..
আমি – আচ্ছা খবর টা যদি সত্যি ভালো হয় তাহলে দিবো এখন বলো কি..
ভাবি – নীলা তুমার ভার্সিটিতে ভর্তি হবে…
আমি – এতে আমার লাভ কি..?
ভাবি – কেন তুমি না বললে নীলাকে তুমার ওই খানে ভর্তি করিয়ে দিতে
আমি – হ্যা বলেছিলাম এমনিতে বলেছিলাম..
ভাবি – না আমি জানি এখন আমাকে কিছু দিতে হবে এজন্য তুমি অন্য কথা বলতেছো…
আমি – আচ্ছা আমি তুমাকে কি দেবো বল…
ভাবি – থাক কিছু লাগবে না..
আমি – আরে বলতো..
ভাবি – আচ্ছা ফুসকা খাওয়ালেই চলবে..
আমি – আচ্ছা ঠিক আছে আমি ফুসকা নিয়ে আসবো

তারপর রাতে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো প্রথম বার রিসিভ করলাম না দ্বিতীয় বার রিসিভ করিলাম
আমি ফোন রিসিভ করে সালাম দিলাম
সালাম এর জবাব দিয়ে বললো কেমন আছেন..

আমি – হ্যা ভালো আছি আপনি কে…??
– আমি কে জানার আগে জানবেন না আমি কেমন আছি…
আমি – হুম আপনি কেমন আছেন আর বলেন আপনি কে..?
– ভালোই আছি আর আমি কে কালকে ভার্সিটি আসবেন তাহলেই বুঝবেন
আমি – কেন এখন বললে কি সমস্যা..??
– না কোন সমস্যা না..
আমি – তাহলে বলেন..
– রাতের খাবার খাইছেন..
আমি – হ্যা আপনি খাইছেন..
– হ্যা..
আমি – ভালো ফোন টা এখন রাখি আমি ঘুমাবো..
– কি এখনি ঘুমাবেন এখন মাএ রাত ৮ টা বাজে
আমি – ৮ টা বাজে তো কি হয়েছে আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো বাই

বলেই ফোন কেটে দিলাম

আবার ফোন দিলো.. রিসিভ করলাম না

তারপর এসএমএস দিলো

আপনি তো দেখছি খুব পার্ট নেন।

তারপর কিছুক্ষণ পড়ালেখা করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে রওনা হলাম ভার্সিটির দিকে

to be continue,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,