ভালোবেসে ভুল করিনি পর্ব:৫

0
1513

#ভালোবেসে_ভুল_করিনি
পর্ব:৫
#writer_Tanjina_islam

অনেক বলার পরেও ভাইয়া আমাকে যেতে দেয়নি। আপুর বিয়ের শপিং য়ে যেতে না পারায় রাগে দুঃখে মোবাইলে গেম খেলছিলাম। ঠিক ২০মিনিট পর ভাইয়া একটা শপিং এর প্যাকেট নিয়ে ফিরে এলো।
ভাইয়া কে দেখে আমি অবাক হয়ে বললাম,
এতো তাড়াতাড়ি ফিরে এলে যে?
ভাইয়া বললো,
বেশি কথা না বলে এই ড্রেসটা পড়ে রেডি হয়ে আয়।
আমি মনে মনে ভাবলাম হয়তো আমাকে এখন শপিংএ নিয়ে যাবে তাই কথা না বাড়িয়ে রেডি হতে গেলাম কিন্তু ওয়াশ রুমে গিয়ে প্যাকেট টা খুলে সাদা কালারের গাউন দেখে আর একদফা অবাক হলাম। যে কালারের জন্য আজ আমার সাথে হিংস্র ব্যবহার করলো এখন সেই কালারের ড্রেসই পড়তে বলছে।
রেডি হয়ে ভাইয়ার রুমে গেলাম।ওয়াশ রুম থেকে শব্দ পেয়ে চিল্লিয়ে বললাম,
ভাইয়া তুমি কি ফ্রেশ হচ্ছো ?
ভাইয়া বললো,
হুম। তুই ৫মিনিট অপেক্ষা কর?
ভাইয়ার কথা শুনে আমি খাটে গিয়ে বসে ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
হঠাৎ বালিশের কাছে একটা ডায়রি দেখে মনে মনে বললাম,
এখানে নিশ্চই ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড এর সম্পর্কে কিছু লিখা আছে।এই ভেবে খুশি মনে ডায়রির প্রথম পাতা খুললাম কিন্তু কিছু লেখা না দেখে হতাশা নিয়ে দ্বিতীয় পাতা খুলতেই সেখানে দেখতে পেলাম বড় বড় করে লেখা,
আমি তো ওকে ভালোবেসে ভুল করিনি।
আমি ওর ভালোবাসার মাঝে আসিনি বরং ঐ চলে এসেছে আমার ভালোবাসার মাঝে।
পরের পাতা খুলতে যাবো ঠিক সেই সময় ভাইয়া এসে আমার হাত থেকে ডায়রি টা কেড়ে নিয়ে বলল,
এ রকম বিয়াদবি যেন আর না দেখি। অন্যের ডায়রি না বলে পড়তে হয়না তুই জানিস না?
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
সসরি ভাইয়া আর পড়বো না।
ভাইয়া বললো এখন তাড়াতাড়ি গাড়িতে গিয়ে বস।
আমি ভাইয়ার কথা শুনে রুম থেকে বেরিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।
কিছুক্ষণ পর ভাইয়া এসে গাড়ি স্টাট দিলো।
আমি একটা জিনিস খুব ভালো ভাবে লক্ষ করছি ভাইয়া আমার দিকে ভুলেও একবার ও তাকাচ্ছে না।আর ভাইয়ার চোখগুলো ও অনেক ফুলে আছে।
গাড়ি টা যখন ইয়ারপোটের দিকে যাচ্ছিলো তখন আমি ভাইয়াকে বললাম,
ভাইয়া এদিকে যাচ্ছো কেন?
ভাইয়া বললো,
তোকে আজ আমেরিকা পাঠাবো তাই।
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,
আপুর বিয়ে না খেয়ে আমি কোথাও যাবো না।আর আমেরিকা তো আমি আমার বরের সাথে হানিমুনে যাবো। এখনি একা যাবোনা আমি,
এই বলে কান্না শুরু করলাম।
ভাইয়া আমাকে ধমক দিয়ে বললো,
একদম আমার সামনে নেকা কান্না করবি না।
ভাইয়ার ধমক শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম।
এয়ারপোটে এসে ভাইয়া গাড়ি পার্কিং করলো। আমি মনে মনে ভাবছি সত্যিই কি ভাইয়া আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিবে? গাড়ি থেকে নামামাত্রই একটা ছেলে দৌড়ে এসে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলো।
ছেলেটাকে চিনতে বেশি সময় লাগলো না কারণ ছেলেটা ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড রোদ ভাইয়া। রোদ ভাইয়ার বাবার ব্যাবসার কাজে বিদেশ গিয়ে ছিলো একবছর আগে।
কিন্তু তার তো আর ও কিছু মাস পর ফিরার
কথা ছিল এতো তাড়াতাড়ি ফিরলো কেন?
রোদ ভাইয়া আমাকে দেখে ভাইয়া কে বললো,
থ্যাংকস দোস্ত। আমার পরিকে এভাবে আনার জন্য।
এই বলে ইয়ার্পোটে সবার সামনে হাঁটু গেড়ে আমাকে প্রোপোজ করলো।
এই সবের আগামাথা কিছু না বুঝে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ভাইয়া ইশারায় আমাকে রোদ ভাইয়ার প্রপোজ এক্সেপ্ট করতে বলছে।



চলবে……….