মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-০১

0
4128

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : সূচনা পর্ব

চোখের সামনে নিজের ক্রাশকে একজন মধ্যবয়ষ্ক লোক কে নির্মমভাবে খুন করতে দেখে রুহির বুক কেপে উঠে। রক্তমাখা শরীর আর ক্রাশকে খুন করতে দেখে, শক আর ভয় পেয়ে রুহি নিজেকে আর সামলাতে পারলো না। এক গগন ফাটানো চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পরে গেলো।

অভি হাত থেকে ছুড়ি আর গান রাখতেই একটা মেয়েলি গলার চিৎকার শুনে অনেকটা অবাক হয়। অভি গোডাউনের দরজা অনুসরন করে তাকাতেই দেখে দরজার সামনে ফ্লোরে রুহি অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
অভি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও পরে বাকা হাসে।

একটা বডিগার্ড অভির দিকে তাকিয়ে বলে
বডিগার্ড :” এউ মেয়েটা এখানে কি করে আসলো”

অভি অগ্নিচোখে বডিগার্ডের দিকে তাকায় বডিগার্ডটি চোখ নামিয়ে নেয়।
অভি রাগি কন্ঠে বলে
“তোদের সাহস কি করে হয় ওকে (রুহি) মেয়ে বলার ?? ওকে সবাই ম্যাম বলবি।”
বডিগার্ডটা মাথা নিচু করে মাথা নাড়ায়।

অভি ইশারা করে রক্তাক্ত লোকটাকে দেখিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে
অভি :” এটার কি করতে হবে মনে আছে নাকি
মনে করিয়ে দিতে হবে।”

একজন বডি গার্ড ঢোক গিলে মাথা নিচু করে বলে
“জি বস আছে মনে আছে ”

অভি বাকা হেসে বডিগার্ডের দিকে তাকিয়ে বলে
“গুড বয়। জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলো ”
কয়েকজন বডিগার্ড মাথা নেড়ে কাজে লেগে পরে।

অভি গিয়ে রুহিকে কোলে তুলে নেয়। আরও কয়েকজন বডি গার্ড অভির সাথে আসে, এসে দরজা খুলে দেয়। অভি রুহিকে নিয়ে গাড়ির সামনে দাড়াতেই গাড়ির ডোর খুলে দেয়। অভি রুহিকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নিজেও রুহির পাশে বসে পরে।
রায়জাদা বাড়ির সামনে গাড়ির থামতেই অভি রুহিকে নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে। রুহিকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে বডিগার্ডকে ফোন করে বলে ডক্টর নিয়ে আসতে। ফোন রেখে ওয়াসরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।

ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে অভি একজন বডি গার্ডকে ডাকতেই সে ডক্টর নিয়ে রুমে ঢোকে। ডক্টর রুহিকে ভালো করে চেকাপ করে অভির দিকে তাকিয়ে বলে
” কোনো কিছু দেখে খুব ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণের মাঝেই জ্ঞান ফিরবে।”

অভি হালকা হেসে বলে
” থ্যাংক ইউ আংকেল। ”

ডক্টর দাঁড়িয়ে অভির সাথে হ্যান্ডসেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে
“আজকে তাহলে আমি আসি ”

অভি ডক্টরের সাথে হ্যান্ডসেক করে বলে
” ওকে আংকেল।” অভি বডিগার্ডকে ইশারা করতেই সে ডক্টরকে নিয়ে বাইরে চলে যায়।

অভি এসে রুহির পাশে বসে। রুহির দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে থাকে আর মনের মাঝে রুহিকে প্রথম দেখেছিলো সেই দিনটা উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে।

কাঠ ফাটা রৌদ্রের প্রচন্ড উত্তাপে এসির মাঝেও অভি প্রায় মরমর অবস্থা। তার মাঝে আবার অফিসে যাওয়ার অর্ধেক পথেই গাড়ির টায়ার পাঞ্চার হয়ে গিয়েছে। যার দরুন গাড়ি থেকে নেমে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। মুখে মাস্ক আর চোখে সানগ্লাস তো আছেই।মাস্ক, সানগ্লাস দিয়ে নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করেও লাভ হয় না।

মেয়েরা হুমড়ি খেয়ে পরছে অভির উপর। অনেক ছেলে মেয়েরা ধারে কাছেও নেই, দূর থেকেই অভির ভয়ে কাপাকাপি করছে। বডিগার্ডরা অভিকে ঘিরে রেখেছে। অভি রাগের শেষ পর্যায় রয়েছে। সে বুঝতেই পারছে না এতো বড় একজন মাফিয়া হওয়ার পরও সব মেয়েরা তার উপর উঠে পরছে। কতোটা ছেঁচড়া মেয়ে হলে এমন করতে পারে সেটাই তাকে ভাবাচ্ছে।
এক কথায় এখানে একটা মোটামুটি ছোট খাটো ভির জমেছে।
অভি রেগেটেগে অবস্থা খারাপ। চোখে, মুখে লাল আভা ছড়িয়ে গিয়েছে। ড্রাইভার তাড়াতাড়ি গাড়ি ঠিক করে অভিকে উঠতে বলে।

গাড়ি একটু এগোতেই অভি হঠাৎ করে ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলে
অভি “Stop the car ” ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দেয়।

অভি গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে। রাস্তা দিয়ে লাল ড্রেস পরিহিত একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে। একপাশে ওড়না সেট করা অন্যপাশে তার লম্বা ঘন কালো চুল গুলো কাধে পরে আছে, দুধেআলতা গায়ের রং, মায়াবি চেহারা, মায়াবি চোখের ঘন পাপড়ি, গোলাপি ঠোট জোড়া। পিঠে ছোট একটা ব্যাগ, দুই হাতে কয়েকটা ব্যাগ। বারবার রিকশা থামানোর জন্য হাত বাড়াচ্ছে কিন্তু পাচ্ছে না, মুখে বিরক্তি স্পষ্ট।কপাল থেকে ঘাম বেয়ে পরছে।
অভি কিছু না বলেই গাড়ি থেকে নেমে যায়। ড্রাইভার অভিকে কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলেও অভি কান পর্যন্ত পৌছায়নি । অভি মেয়েটার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

মেয়েটার সামনে গিয়ে দাড়ায়। মেয়েটা তার ভ্রু যুগল কুচকে অভির দিকে তাকায়। আস্তে আস্তে তার কুচকে থাকা ভ্রু আগের ন্যায় হয়ে যায় আর মুখটা হা হয়ে যায়। মেয়েটা হা করে তাকিয়ে থাকে অভির দিকে। অভিও অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ যেতেই হঠাৎ অভির হুশ আসে। অভি একবার আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।

অভি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে শান্ত সুরে বলে
” can i help you ??” মেয়েট আগের মতোই তাকিয়ে থাকে। অভি এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বাকা হেসে মেয়েটের চোখের সামনে তুড়ি বাজায়। তুড়ি বাজাতেই মেয়েটার হুশ আসে আর মেয়েটা লজ্জায় চোখে নামিয়ে নেয়।

অভি মেয়েটাকে সুন্দর ভাবে বলে
” কোনোভাবে কি সাহায্য করতে পারি ”

মেয়েটা মাথা নিচু রেখে মাথা নেড়ে মিহি কন্ঠে বলে
” সরি, তার কোনো দরকার নেই ” অভি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মেয়েটার দিকে। অভি কোনোদিন কাউকে সাহায্য করতে আসেনি, আর আজকে একটা মেয়েকে সাহায্য করতে চাইছে আর সে নাকচ করে দিচ্ছে।

অভির মুখটা একটু লাল হয়ে যায় রাগে তবু নিজেকে সংযত রেখে আবার বলে উঠে
” if you don’t mind. কোথায় যাবে ??আমি তোমাকে ড্রপ করে দিচ্ছি ”

মেয়েটা মাথা উঠিয়ে বলে
” সরি টু সে, আমি বলেছি তো আমার কোনো সাহায্যের দরকার নেই। আপনি আসতে পারেন ”

অভি রেগে দাতে দাত চেপে বলে
” Do you avoid me ?? ”

মেয়েটা উত্তর না দিয়ে আবার রিকশা থামানোর চেষ্টা করে এবার রিকশা পেয়ে যায়। মেয়েটার মুখে হালকা হাসি ফুটে, মেয়েটা রিকশায় উঠে চলে যায়। মেয়েটার মুখের সেই আলতো হাসি দেখে অভি আবার অন্য জগতে হারিয়ে যায়। অভির ড্রাইভারের ডাকে ওর হুশ আসতেই অভি রেগে হনহন করে হেটে গাড়িতে উঠে পরে। অফিস শেষে বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে, ডিনার করে সব বডিগার্ডকে ড্রইংরুমে ডাকা হয়।

সবাই উপস্থিত হতেই অভি সোফায় বসে গম্ভীর কন্ঠে বলে
” কয়েকদিনের মধ্যে একটা মেয়ের ful identity চাই ”

একজন বডিগার্ড মাথা নিচু করে বলে
” ok sir. But কোন মেয়ের স্যার ?? ”

বডিগার্ডের কথা শুনতেই অভির মাথায় আসে যে মেয়েটার ছবি বা নাম কিছুই তার কাছে নেই। অভি হাত মুঠো করে কপালে ঠেকায়।

কিছুক্ষণ বসেই কিছু না বলেই হনহন করে উপরে তার স্টাডি রুমে চলে যায়। স্টাডি রুমে গিয়ে একটা পেইন্ট বোর্ড নেয়, রঙের বক্স নিয়ে বোর্ডের মধ্যে তুলি চালাতে শুরু করে। প্রায় দেড় ঘন্টা পর তার মুখে এক চিলতি হাসি ফুটে। পেইন্টিং আকা শেষ। সেই মেয়েটার ছবি একেছে। এতোটা নিখুঁত ভাবে একেছে যে, যে কেউ দেখলেই অবাক হয়ে যাবে। অভি পেইন্টিং পেজটা বোর্ড থেকে খুলে হাতে করে নিচে চলে যায়।

অভি বডিগার্ড দের সামনে পেইন্টিং টা ধরে বলে
” এই মেয়েটার সব খোজ চাই আমার। চাই মানে চাই।” বডিগার্ডরা সব হা করে তাকিয়ে আছে পেইন্টিং এর দিকে।

অভি ওদের এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে জোড়ে দাতে দাত চেপে রাগিভাবে বলে
” এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো আমার কথা কি কানে যায়নি ”

একজন বডিগার্ড বলে
“স্যার আপনি এতো সুন্দর পেইন্টিং করতে পারেন ??” অভি রেগে সোফার সামনে থাকা ছোট টেবিলের উপর থেকে তার গানটা নিয়ে বডিগার্ডের দিকে গুলি ছুড়ে মারে। ভাগ্যবশত সেটা পাশ ছাড়িয়ে পেছনের দেওয়ালে গিয়ে লাগে। অভি ইচ্ছে করেই পাশ দিয়ে গুলি ছুড়েছে।

বডিগার্ডটা ভয়ে কাপাকাপি করছে। অভি অগ্নিচোখে তার দিকে তাকিয়ে চেচিয়ে বলে
” তোমাকে কি আমি, আমার প্রশংসা করতে বলেছি ?? একটা কাজ দিয়েছি সেটা না হলে এখানে প্রত্যেকের লাশ পড়বে। mind it ” বলে অভি বড়বড় পা ফেলে রুমে চলে যায়। বডিগার্ডরা সবাই কোনো রকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচে।

২ দিন পর অভি মেয়েটার সম্পর্কে জানতে পারে।
মেয়েটার নাম ভার্সিটির নবীন বরণ উৎসব থাকায় অভি ভার্সিটির স্পেশাল গেস্ট হিসেবে গিয়েছিলো। কিন্তু সেখানে হঠাৎ ফোন আসায় গোডাউনে চলে আসে। সেখানে রুহি কি করে এসেছে সেটা জানে না। রুহির জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত সেটা জানতে পারবে না।

অভির ভাবনা শেষ হতেই রুহির দিকে তাকিয়ে দেখে রুহির চোখের পাতাগুলো হালকা নড়ছে।
অভি রুহির পাশ থেকে উঠে অন্য পাশের তার বড় চেয়ারটায় বসে পড়ে।

রুহি আস্তে আস্তে তার চোখ জোড়া খুলে চারদিকে চোখ বুলিয়ে নেয়। নিজেকে অপরিচিত রুমে দেখে ধরফরিয়ে উঠে বসে। আরেকবার রুমে ভালো করে তাকাতেই একটু দূরে চেয়ারে বসা অভিকে দেখতে পায়। অভিকে দেখেই রুহির আবার তখনের কথা মনে পড়ে যায়। রুহি ভয়ে হু হু করে কান্না করে দেয়।
অভি অবাক হয়ে গিয়েছে কান্না দেখে। অভি উঠে রুহির কাছে এসে রুহির পাশে বসতেই নিলেই রুহি লাফ দিয়ে উঠে পরে।

অভি ভ্রু কুচকে আবার রুহির কাছে এসে বিরক্তি নিয়ে বলে
” কি হয়েছে এভাবে দূরে যাচ্ছ কেনো ”

রুহির কান্না আরও বেড়ে যায়। রুহি ভয়ে কান্না কারতে করতে বলে
” আপনি খুনি। আপনি খুনি। আপনি ওই লোকটা কে মেড়ে ফেলেছেন। আমি দেখেছি ” বলে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

অভি বাকা হেসে রুহির কাছে আসে কিন্তু রুহি আরও পিছিয়ে যায়। এমন করতে করতে রুহি দেয়ালে মিশে যায় অভি এবার শক্ত হাতে রুহির বাহু ধরে কাছে টেনে এনে রুহির চোখে চোখ রেখে গম্ভীর কন্ঠে বলে
” সব দেখে রাখাই ভালো। জানো আমি কে ??”

রুহি কান্না করতে করতে মাথা নেড়ে না বলে।
অভি বাকা হেসে রুহির কানের কাছে নিজের মুখটা এনে ফিসফিস করে বলে
” Business man ovid rayjada. And the king of mafiya. Ovid Rayjada .”

অভির কথা রুহির কান পর্যন্ত যেতেই রুহি বরফের ন্যায় পুরো জমে যায়। ঢাকা আসার পর থেকে নামটা সবার মুখে মুখে শুনেছে তবে কোনোদিন দেখেনি। কিন্তু আজকে এভাবে যে অভির পরিচয় জানবে ভাবতেও পারেনি । রুহি অবাক হয়ে অভির দিকে তাকায়। অভির মুখে এখনও বাকা হাসিটা ঝুলে আছে।

অভি হাত দিয়ে রুহির চোখের পানি মুছে দেয়।
রুহি অভির হাত ঝাড়া দিয়ে দূড়ে সরিয়ে দিয়ে ভয় আর ক্ষিপ্ত সুরে বলে
” ছুবেন না আমাকে আপনি ”

অভি একটু কয়েক পা পিছিয়ে গিয়ে বলে
” ওকে ছুবো না তবে আমাকে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও ” রুহি ভিতু দৃষ্টিতে অভির দিকে তাকায়।
অভি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে
” তুমি গোডাউনে কিভাবে পৌছালে ??”

রুহি একটা ঢোক গিলে মাথা নিচু করে দেয়ালের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে থাকে।
রুহি উত্তর না দেওয়ায় অভি রেগে দাতে দাত চেপে বলে
” কি হলো উত্তর দিচ্ছো না কেনো ?? কথা কানে যায়নি ?? Give me answer ” শেষের কথাটা ধমক দিয়ে বলায় রুহি ভয় পেয়ে কানে হাত দিয়ে দেয়।

অভি রুহির হাতে টান দিয়ে নিজের সামনে নিয়ে আসে। রাগিকন্ঠে বলে
” কি বলছি কানে যাচ্ছে ??”

রুহি কান্না করতে করতে বলে
” আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে আপনাকে দেখেছিলাম। আপনার পকেট থেকে আপনার একটা ডেভিড কার্ড পরে গিয়েছিলো।আমি সেটা দেখে পেছন থেকে আপনাকে ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু আপনি শোনেননি তাই আপনার পিছু নিয়েছিলাম আর সেখানে গিয়ে… ” বলে আবার হিচকি তুলে কাঁদতে থাকে।

অভি হালকা হেসে রুহির দিকে এগিয়ে যায়। অভিকে এগিয়ে আসতে দেখে রুহি ভয়ে আবার পিছিয়ে দেয়ালে লেগে যায়। অভি রুহির কাছে এসে দেয়ালে এক হাত রাখে অন্য হাত পকেটে রেখে রুহির চোখে চোখ রেখে বলে
” ফ্রেশ হয়ে আসো। গাড়ি করে তোমাকে বাসায় পৌছে দিচ্ছি”

রুহি কাপাকাপা সুরে বলে
” লাগবে না। আমি নিজেই যেতে পারবো।
অভি ধমক দিয়ে বলে
” চুপ। আমার কথার উপর পাল্টা কথা বললে মেরে ফেলবো ”

রুহি মুখে হাত দিয়ে জোড়ে কেদে দেয়। অভি গম্ভীর কন্ঠে বলে
” জলদি ফ্রেশ হয়ে আসো সন্ধ্যা হয়ে আসছে বাসায় যাবে ” রুহি কোনোরকম দৌড়ে ওয়াসরুমে ঢুকে যায়। অভি হালকা হেসে বডিগার্ড আর ড্রাইভারকে ডেকে রুহিকে বাড়িতে পৌছে দিতে বলে।

রুহি চোখে মুখে পানি দিয়ে বের হতেই অভি রুহির সামনে এসে বলে
” ড্রাইভার আর বডিগার্ডকে বলে দিয়েছি তোমাকে পৌছে দেবে। আর পৌছে আমাকে ফোন করে জানিয়ে দেবে ”

রুহি রেগে যায় কিন্তু অভিকে ভয় পাচ্ছে তাই নিচুসরে বলে
” আপনার বডিগার্ড তো আসবেই সেই জানিয়ে দেবে। আমি জানাবো কিভাবে ”

অভি চোখ রাঙিয়ে বলে
” আমি বলেছি তুমি জানাবে মানে তুমিই আমাকে
জানাবে। তোমার ফোনে আমার নাম্বার সেভ করে দিয়েছি। আর কথার নড়চড় হলে খুব খারাপ হবে”

রুহি ঢোক গিলে মাথা নাড়া। অভির ডাকে একজন বডিগার্ড আসতেই রুহি তার সাথে বেড়িয়ে আসে। গাড়ি রুহির বাড়ির সামনে থামতেই রুহি দৌড়ে ভেতরে চলে যায়।

চলবে….wait for next part….