মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-০৭

0
2362

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ০৭

কথা বলতে বলতে অভির চোখ বাড়ির দরজার দিকে যেতে অভি খুশি হয়ে দৌড়ে গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে জড়িয়ে ধরে। রুহি সহ সবাই সেদিকে তাকিয়ে আছে। রুহি বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।

রায়হানও গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। রুহি বা তার পরিবারের কেউ বুঝতে পারছে না দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যবয়স্ক মহিলা আর পাশে থাকা অতি সুন্দরী রুপের অধিকারী মেয়েটি কে !! দুজনের চেহারায় কিছুটা কিছুটা অভিদের সাথে মিল রয়েছে।

অভিদ, রায়হান মহিলাটিকে ছেড়ে পাশের মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে।
অভিদ মেয়েটিকে ছেড়ে তার গালে হাত রেখে দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলে
” তোমরা সত্যি এসেছো থ্যাংক ইউ। এই সারপ্রাইজ টার জন্য আমি মোটেও তৈরি ছিলাম না। ”

মহিলাটি অভিদের চুলের হাত বুলিয়ে বলে
” আজকে তোর engagement আর আমরা তোর ছোট একটা আবদার পূরণ করতে পারবো না ??”

রায়হান হেসে বলে
” আগে ভেতরে এসো, রেস্ট করো তারপর কথা হবে ”

পাশের অল্প বয়সি মেয়েটা তার ঠোট জোড়া নাড়িয়ে মিষ্টি কন্ঠে বলে উঠে
” রেস্ট পরেও করতে পারবো আগে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে তো দাও ”

অভি বডিগার্ডের উদ্দেশ্যে বলে
” ওদের লাগেজ গুলো রুমে নিয়ে যাও। ” বডিগার্ড মাথা নেড়ে চলে যায়। অভিদ,রায়হান দুজনকে নিয়ে রুহির মা-বাবার কাছে যায়। সবাই হাসি মুখে দুজনের সাথে কথা বলছে।

মিশু রুহিকে গুতো দিয়ে বলে
” আচ্ছা এরা আবার তোর আর অভিদ ভাইয়ার লাভ স্টোরির ভিলেন নয়তো”

রুহি ভ্রু কুচকে মিশুর দিকে তাকিয়ে বলে
” তোকে কে বলেছে যে ওরা ভিলেন ”

মিশু বিরক্তি নিয়ে বলে
” উফ তুইও না। কে বলবে আমাকে এসব ?? এবাড়িতে এমন কেউ আছে নাকি ”

নিলা তার চুল গুলো আঙুলে পেচাতে পেচাতে বলে
” আচ্ছা রুহি তোর কি মনে হয় এরা কে হতে পারে ”

রুহি ওদের দিকে তাকিয়ে বলে
” আমার মনে হচ্ছে মা, বোন বা অন্যকিছু আমি সিউর বলতে পারছি না ”

রাইমা মাথা মেড়ে বলে
” না এনি মা নয় হয়তো অন্যকিছু ”

নিলা ভ্রু জোড়া নাচিয়ে বলে
” তুই এত কনফিডেন্স নিয়ে কিভাবে বলছিস যে মা নয়”

রাইমা চুপ মেরে যায় নিলার প্রশ্নে পরে বলে
” এমনি বলছি। আমার মনে হলো তাই বললাম আর কি”

নিলা বলে
” ওহহ তাই বল ” মিশু রুহির কানে ফিসফিস করে বলে
” ওই সামনে দেখ ওরা তোর কাছেই আসছে মনে হচ্ছে” রুহি সামিনে তাকিয়ে দেখে অভিদ, রায়হান, মহিলা আর মেয়েটা আসছে এদের দিকেই। সবাই ঠিকঠাক হয়ে দারায়। নিলা ভাবছে জোতির কথা, জোতি এখানে নেই নাহলে মেকাপ করা শুরু করতো।

অভিদ সামনে এসে হাসি মুখে রুহিকে দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলে
” রুহি !! ওনি হচ্ছে আমার ফুপি আর ও আমার ছোট বনু হৃদিয়া অনি রায়জাদা ”

রুহি মুচকি হাসি দিয়ে ফুপিকে পায়ে ধরে সালাম করে। ফুপির মুখ দেখে মনে হচ্ছে রুহির কাজে উনি খু্শি হয়েছে। ফুপি হাসি মুখে রুহিকে কাছে এনে বলে
” ভালো থাকো মা। অভি তোমার ছবি আমাদের দেখিয়েছে। ছবির থেকে সামনাসামনিই তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে, বলতে গেলে লাখে একটা । এইজন্যই তো অভিদ তোমাকে পছন্দ করেছে। আমার ছেলেটাকে দেখে রেখো গো ” রুহি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নেয়। অভি ঠোট কামড়ে রুহিকে দেখছে। রুহির লজ্জা মাখা মুখটা দেখে বেশ উপভোগ করছে।

অভির বোন অনি এসে রুহিকে জাপটে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে
” ভাবি, ভাবি,ভাবি জানো তুমি তোমাকে দেখার জন্য কতো বছর ধরে অপেক্ষা করছি !! অবশেষে আমার অপেক্ষার অবসান ঘটলো।”

রুহি অনির কথায় চমকে অবাক হয়ে বলে
” কতো বছর ধরে অপেক্ষা করছো মানে ??”

অনি হেসে বলে
” আরে বলতে চেয়েছি যে আমি অনেক দিন ধরে একটা ভাবির জন্য অপেক্ষা করছিলাম কিন্তু আমার এই ভাইয়া !! হুহ। উনাকে বিয়ের কথা বললেই ছেত করে উঠতো আর এখন দেখো বিয়ের জন্য এতো পাগল হয়েছে যে বিয়ের কথা শুরু হতেই engagement করে ফেলছে দুদিন পরে বিয়েও করে ফেলবে। যাই হোক, ভাবি তুমি কিন্তু অনেক কিউট, অনেক সুন্দররর। আমার কিউট কিউট ভাবি। উম্মমাহ ” রুহির গালে চুমু দিতেই রুহি ফিকফিক করে হেসে দেয়।

অভি অবাক হয়ে রুহির হাসিটা দেখছে। অসম্ভব মায়াময় হাসি। এতোদিন রুহিকে এভাবে হাসতে দেখেনি। চাপা হাসি দিতেই দেখেছে।
অভি মনে মনে ভাবছে
” আচ্ছা হঠাৎ করেই এই হাসিটা দেখে সুন্দর লাগছে নাকি আমার প্রেয়সীর হাসিটাই এমন!! আমার প্রেয়সী যেমনি হোক না কেনো সে তো আমারই। তবে এই হাসিতে তোমাকে অপূর্ব লাগে ”
কথা গুলো ভেবেই হেসে দেয়।

রুহি অনির গাল টেনে হেসে বলে
” তোমাকে আরও সুন্দর লাগছে আমার কাছে। আমার কিউট ননদিনী। ”

মিশু ভাব নিয়ে বলে
“তোমরা দুজনই এতো সুন্দর না করে আমাদেরও একটু সুন্দর বলো। আমরাও কিন্তু দেখতে কম সুন্দর না ”

ফুপি মুখ টিপে হেসে বলে
” তাহলে তোমার বিয়ের জন্য ছেলে ঠিক করে দেই কি বলো ?? ”

মিশু ফুপির মজা বুঝতে পেরে মজা করেই লজ্জা লজ্জা মুখ বানিয়ে বলে উঠে
” ইশশ আন্টি এভাবে বলতে আছে নাকি ?? নিজের বিয়ের কথা কি করে বলবো। তবুও আপনি যখন বলছেন তখন দেখতেই পারেন ” মিশুর কথা শুনে রুহিরা সবাই হেসে উঠে।

অনি হাসি থামিয়ে বলে
” দেখার কি আছে তুমি বললে রায়হান ভাইয়ার সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে দেবো ” মিশু থতমত খেয়ে চুপ করে যায়। রায়হান খালি মুখেই বিষম খায় আর সবাই ওদের দেখে ফিক ফিক করে হেসে উঠে।

রুহি অনি আর ফুপিকে মিশু,নিলা, রাইমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। অনি নিলাকে বলে
” আচ্ছা মিশু আপুকে তো রায়হান ভাইয়ার সাথে সেট করবো আর তোমাকে কার সাথে করবো ”

রুহি হেসে বলে
” নিলা বিয়ে ছাড়া আর কারো সাথে সেট হবে না ”
নিলা মুখ ফুলিয়ে তাকায়।

অনি নিলার গাল টেনে বলে
” থাক মুখ ফুলাতে হবে না তোমাকেও সেট করে দেবো। তোমাকে ফুপির ছেলের সাথে সেট করে দেবো ” নিলা চখ বড় বড় তাকায়।

অভি কপাল কুচকে বলে
” আমার তো মনেই নেই ফুপি তোমার গুণধর ছেলে আসেনি কেনো ”

ফুপি নিশ্বাস ছেড়ে বলে
” কি আর বলবো তুই তো জানিসই তোর ভাই কেমন !! বলেছে বিয়ের আগে আসবে ”
অভি মুখটাকে গম্ভীর বানিয়ে এখান থেকে রুহির বাড়ির গেস্টদের কাছে চলে গেলো। রায়হান অন্য গেস্টদের কাছে গিয়ে দেখতে যায়।

রুহি ফুপিকে বলে
” কি হয়েছে ফুপি উনি চলে গেলো কেনো ”
ফুপি মেকি হাসি দিয়ে বলে
” পরে বলবো মা এখন পার্টি এজনয় করো ” রুহু হালকা হেসে মাথা নাড়া।

কিছুক্ষণ পরে অভি আর রুহির রিং পড়ানো পর্ব শেষ হয়।অভি রুহির সাথে বসে ছিলো। রুহির সাথে কথা বলতে নিলেই হঠাৎ অভির ফোন আসে। অভি বিরক্ত হয়ে ফোন হাতে বাইরে বেড়িয়ে আসে। ভেতরে মিডিয়াম স্পিকারে মিউজিক চলছে তাই। অভি কথা বলতে বলতে বাগানের পেছন সাইডে চলে আসে। কথা শেষ করে চারপাশে তাকাতেই একটা অসস্থিকর দৃশ্য দেখে অভি চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। অভি তার পা জোড়া চালিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়িতে ঢুকে যায়। বুঝতে পারছে না বাড়িতে এতো বডিগার্ড থাকা সত্তেও তার বাড়িতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে কি করে। আর বডিগার্ড দেরও দোশ নেই তারা এমন দৃশ্য দেখে লজ্জায় পরবে।

অভি ভেতরে এসে চারপাশে তাকিয়ে দেখে রুহি এখানে নেই। অভি মিশুদের কাছে গিয়ে বলে
” রুহি কোথায় ওকে দেখেছো তোমরা?? ”

রাইমা দুষ্টুমি করে বলে
” ভাইয়া একটু সময়ও আপুকে ছাড়া থাকতে পারছেন না। এখনি এতো চোখে হারাচ্ছেন। বিয়ের পড়ে কি করবেন ”

অভি চোখ মেরে বলে
” সেটা নাহয় বিয়ের পরে দেখে নিও। এখিন বলো তোমার আপু কোথায় ”

মিশু বলে
” রুহির ড্রেসে জুস পরেছে তাই ওয়াসরুমে পরিষ্কার করতে গিয়েছে ” অভি ওহ বলে চলে আসে। অভি গেস্ট রুমের ওয়াসরুমের সামনে গিয়ে দরজায় নক করে। ভেতর থেকে রুহি বলে
” ওয়ান মিনিট ওয়েট প্লিজ ”

কিছুক্ষণ যেতেই রুহি বেরিসে আসে। রুহি বেরিয়েই অভিকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে। অবাক হয়ে বলে
” আপনি এখানে কি করছেন ”

রুহির কথা অভির এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বেড়িয়ে গিয়েছে। অভি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে। রুহির মুখ থেকে ফোটা ফোটা পানি রয়েছে। লাল ঠোট গুলোতে ফোটা ফোটা পানি গড়িয়ে পরছে। অভি এক পা এক পা করে রুহির দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।

রুহু অভিকে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখে ভয় পেয়ে যায়। ঢোক গিলে পেছনে যেতে থাকে।
যেতে যেতে রুমের ড্রেসিংটেবিলের পাশে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। রুহি থরথর করে কাঁপছে ভয়ে।

রুহির কাপাকাপা ঠোট জোড়া দেখে অভি নিয়ের লোভ সামলাতে না পেরে রুহির কোমড় জড়িয়ে ধরে কাছে এনে রুহির কাপা ঠোট জোড়ায় ঠোট ডুবিয়ে দেয়। বিস্ময়ে রুহির চোখ বড়বড় হয়ে যায়। ছাড়াতে চেষ্টা করলেও ছাড়াতে পারে না। হার মেনে চুপ করে যায়। রুহির নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে নিলেই অভি হুট করে ছেড়ে দেয়। রুহির কাধে কপাল ঠেকিয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে থাকে। রুহি জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে। রুহি রেগে গিয়েছে অভির এমন কাজে।

রুহি রেগে কিছু বলতে নিলেই দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হয়। আর অভি রুহিকে ছেড়ে দূরে সরে যায়। অচির হুশই ছিলো না। কি করছিলো এতোক্ষণ আওয়াজ শুনেই খেয়াল আসে। অভি নিজের কাজে নিজের উপর রেগে গেলো। দেয়ালে একটা ঘুষি মারে। রুহি ভয়ে কেপে উঠে।

অভি রুহির কাছে এসে মাথা নিচু করে বলে
” স সরি রুহি। আই এম রেয়ালি সরি ”
অভির সরি শুনে রুহির রাগ নিমিষেই গলে জল হয়ে গেলো। ধীর গলায় বলে
” it’s ok ” বলে চলে যেতে নেয়। দরজার কাছে এসে আবার অভির সামনে গিয়ে দাড়ায়।

রুহি মিহি গলা বলে উঠে
” আপনার হাত দেখি ” অভি একটু অভাক হয়ে হাত উঠায়। রুহির অভির হাত আলতো হাতে ধরে দেখে অভির হাত ঘুষি দেওয়ায় অনেক খানি
ছুলে গিয়েছে।

রুহির চোখে অয়ানি চলে আসে কিন্তু তা আড়াল করে মাথা নিচু করে অভিকে বলে
” ফার্স্টএইড বক্স কোথায় ” অভি গিয়ে চুপচাপ ভাবে আলমারি থেকে ফার্স্টএইড বক্সটা এনে রুহির হাতে দেয়।
রুহি অভিকে খাটে বসিয়ে দিয়ে অভির হাতে ঔষধ লাগিয়ে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়। অভি অপলক ভাবে তাকিতে রুহিকে দেখিছিলো।

রুহি উঠে দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় বলে
” এতো বড় মাফিয়া আর বিজনেসম্যান হয়ে নিজের খেয়াল না রাখলে চলবে কি করে।”

অভির মুখে আনন্দের হাসি ফোটে। অভি উঠে দাঁড়িয়ে বলে
” নিজের খেয়াল রাখতে পারি না বলেই তো তোমাকে বিয়ে করছি। বিয়ের পর তুমিই আমার সব খেয়াল রাখবে ”

অভির কথায় রুহি মুখ ফসকে বলে উঠে
” মানে আপনি আমাকে আপনার খেয়াল রাখার জন্য বিয়ে করছেন ?? আপনি না সেইদিন বললেন আমাকে ভালোবাসেন !! তার মানে আপনি আমাকে বিয়ে করে শুধু নিজের খেয়াল রাখাবেন আর ভালোবাসবেন না ??” বলে অভির দিকে তাকাতেই অভির মুখে দুষ্টু হাসি দেখে রুহির খেয়াল আসে কি বলেছে।
রুহি সাথে সাথে মুখে হাত দিয়ে গেট খুলে দৌড়ে বেরিয়ে যায়।

অভি হা হা করে হেসে দেয়। কিছুক্ষণ হেসে ফার্স্টএইড বক্সটা আগের জায়গায় রেখে রুমি থেকে বেড়িয়ে আসে।
পার্টিতে আসতেই রুহিকে মিশুদের কাছে দেখতে পায়। মিশু, রুহি, নিলা, রাইমা, অনি, ফুপি, রায়হান, নিলার ভাই, জোতির বড় ভাই গল্প করছে। অনেক গেস্ট খাওয়া শেষ করে চলে গিয়েছে আরও অনেকেই রয়েছে।

অভি গিয়ে রুহিদের কাছে দাঁড়ায়। অভিকে দেখেই রুহির গাল দুটো লাল হয়ে যায়। অভি মিটমিট করে হাসছে রুহিকে দেখে। এদের গল্পের মাঝেই হাজির হয় জোতি। জোতিকে দেখেই ওর বড় ভাই সহ সবাই বিরক্ত হয় তবুও ভদ্রখাতিরে রুহি জোতিকে সাথে ফুপি,অনি, অভিদ, রায়হানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। জোতি এতো সময় পার্টি তে ছিলো না তাই পরিচয় হতে পারেনি।

নিলা জোতিকে বলে
” তুমি কোথায় ছিলে এতোক্ষণ ?? পার্টিতে তো তোমাকে দেখা যায় নি ”

জোতি অভিদের গা ঘেষে দাঁড়িয়ে ঢং করে বলে
” আসলে আমি একটু বিজি ছিলাম ”

অভি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে জোতির দিকে। অভির যতোটুকু মনে আছে তাতে একটু আগে অভি জোতিকেই বাগানে দেখেছিলো একটা ছেলের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে। রুহিদের পরিবারে এমন মেয়ে থাকতে পারে অভি সেটা আন্দাজ করতে পারেনি। মিশু,নিলা, রুহি, রাইমা সবাইকেই অভির ভালো লেগেছে।

জোতি অভির গা ঘেষে তার স্টাইলে বলে
” hey, how locking am i??

অভি মুখটা কেমন বানিয়ে বলে
” ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ। আমি ভেবেছিলাম আপনি আমার বাড়ির একজন সার্ভেন্ট ” অভির কথায় জোতি অপমানিত বোধ করে।

জিহান, ফুপি, অনি, রায়হান, রুহি, রাইমা, রায়হান সবাই মুখে হাত দিয়ে হাসছে কারন জোতির সামনে এখন হাসলেও বিপদজনক ঘটনা ঘটবে তাই। জোতি রেগে সেখান থেকে প্রস্থান করে। জোতি যেতেই সবাই জোড়ে হেসে দেয়।
তবে জোতি শুনতে পায়নি নাহলে রক্ষে ছিলো না।

চলবে… wait for next part….

ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। মন্তব্যের আশায় থাকবো।