মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-০৯

0
2275

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ০৯

জিহান এসে রুহিকে জড়িয়ে ধরে রুহির কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। সবাই রুহির কান্না থামাতে চাইছে। কিন্তু রুহির কান্না কিছুতেই থামছে না। এদিকে রাইমা আর নিলা রুম থেকে বেড়িয়ে অভিদকে ফোন করে জানিয়ে দেয়।

অভিদ বাড়িতেই ছিলো রুহির মা – বাবাদের সাথে কথা বলছিলো। রাইমার সাথে কথা বলেই রাগে ওর কপালের রগ ভেসে উঠেছে। অভি কাউকে কিছু না বলেই সেখানি থেকে হনহন করে বেড়িয়ে যায়। অভিদকে এভাবে বেরোতে দেখে রায়হান,
অনিও পেছনে দৌড়ে আসে।

অভিদ ড্রাইভারের কাছে এসে বলে
” কাকা গাড়ির চাবি দাও ”

ড্রাইভার কাকা মাথা নাড়িয়ে বলে
” গাড়ির চাবি দিয়ে কি করবে ?? আমাকে বলো কোথায় যাবে আমি নিয়ে যাচ্ছি”

অভি রেগে বলে
” তোমার যেতে হবে না আমি যেতে পারবো।তুমি তাড়াতাড়ি চাবি দাও ” অভিদকে রাগতে দেখে ড্রাইভার কাকা কথা না বাড়িয়ে চাবি দিয়ে দেয়।
অভি গাড়িতে উঠতে নিলেই রায়হান আর অনি আসে।

রায়হান অভিদকে বলে
” কিরে কোথায় যাচ্ছিস ”
অভিদ চোয়াল শক্ত করে বলে
” গেলেই দেখতে পারবি। যেতে চাইলে উঠ ”

রায়হান অভিদের পাশে সিটে বসে পরে। অনি পেছনে বসে। অভিদের রাগি চেহারা দেখে অনি ভয় পেয়ে গিয়েছে। অভি গাড়ি অনেক স্পিডে চালিয়ে রুহির বাড়ির সামনে গাড়ি থামায়।
রায়হান, অনি বুঝতে পারলো না হঠাৎ রুহির বাড়িতে এসেছে কেনো।

অভিদ গাড়ি থেকে নেমেই বড়বড় পা ফেলে বাড়িতে ঢুকে পরে। পেছন রায়হান, অনিও আসে।
অভিদ বাড়িতে ঢুকেই রাইমা,নিলা কে দেখতে পায়।
অভিদ ওদের সামনে গিয়ে শক্ত গলায় বলে
” রুহি কোথায় ”

রাইমা, নিলা অভিদকে দেখে ভয়ে কাপা কাপি করছে। অভিদের মুখটা রাগে অগ্নির ন্যায় লাল হয়ে আছে। নিলা কাপাকাপা গলায় বলে
” রুহি নিজের রুমে বসেই কাদছে ”

অভিদ হনহন করে রুহির রুমে ঢুকে যায়। রুহি বসে বসে হিচকি তুলে কাঁদছিলো। অভিদ রুমে ঢুকে সোজা রুহিকে টেনে দাড় করায়। এই সময় হঠাৎ অভিদকে দেখে রুহি সহ সবাই অবাক হয়ে গিয়েছে। অতি অবাকে রুহির কান্না বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মিশু অবাক হয়ে বলে
“ভাইয়া আপনি এখানে?? ”

অভিদ উত্তর না দিয়ে রুহির হাত ধরে রুমের বাইরে ড্রইংরুমে নিয়ে আসে।
অভিদ রাইমার দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বলে
” জোতিকে নিয়ে এসো ” রাইমা একটা ঢোক গিলে জোতির রুমে চলে যায়।

অভিদ রুহির দিকে তাকয়ে বলে
” কি বলেছে জোতি তোমাকে ??”
রুহি মাথা নিচু করে ফেলে। রুহিকে চুপ দেখে অভিদ আরও রেগে গেলো। ধমক দিয়ে বলে
” বলছো না কেনো ?? বলো কি বলেছে ”
রুহি ধমক শুনে আবার কেদে দেয়।

জিহান এসে বলে
” অভিদ আমি বলছি কি বলেছে ” জিহান ডিটেইলসে জোতির বলা প্রত্যেকটা কথা বললো।
রায়হান আর অনি সব শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

অভিদ রুহিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে
” তোমার কি মুখ নেই ?? কথা বলতে পারো না ?? জোতিকে কিছু বলোনি কেনো ?? কান্না ছাড়া আর কি পারো হ্যা,বলো ??” চেচিয়ে কথা বলায় রুহি কেপে কেপে উঠছে।

রাইমা জোতির রুম থেকে বেরোতেই জোতি বের হয়। জোতি অভিদকে দেখে খুশি হয়ে দৌড়ে অভিদের সামনে এসে বলে
” omg, অভিদ তুমি সত্যি আমার সাথে দেখা করতে এসেছো !! আমি তো ভাবলাম রাইমা মিথ্যা কথা বলেছে। কিন্তু না তুমি সত্যি এসেছো। হঠাৎ আমার সাথে দেখা করতে চাইলে যে ?? ডেটে যেতে চাও বুঝি ?? ইউ নো হোয়াট আমি জানতাম রুহির মতো একটা মেয়েকে তুমি কোনদিন ভালোবাসতে পারো না” জোতির কথা পুরোপুরি ভাবে শেষ হওয়ার আগে জোতির গালে সজোরে থাপ্পড় পরে।

অভিদের থাপ্পড়ের কারনে জোতি ছিটকে ফ্লোরে পরে যায়। জোতি গালে হাত দিয়ে অগ্নিচোখে অভিদের দিকে তাকায়।
অভিদ চোয়াল শক্ত করে বলে
” তোর সাহস কি করে হয় রুহিকে এসব কথা বলার ”

জোতি ফ্লোর থেকে উঠে এসে অভিদের সামনে দাঁড়ায়। রুহির দিকে একবার তাকিয়ে অভিদকে চেচিয়ে বলে
” তোমার সাহস হয় কি করে আমার গায়ে হাত তোলার। সাধারন একটা মেয়ে রুহি তুমি তার জন্য আমার গায়ে হাত তুলছো??রুহি কি দিয়েছে তোমাকে আমাকেও একবার বলে দেখো আমি ওর থেকে বেশি দেবো ”

অভিদ তার পেন্টের বেল্ট খুলে জোতির গায়ে আঘাত করে, জোতি চেচিয়ে উঠে। অভিদ তার শরীরের সব শক্তি ব্যয় করে বেল্ট দিয়ে জোড়ে জোড়ে জোতিকে মারছে। জোতি মার খেয়ে আধমরা হয়ে গিয়েছে কিন্তু অভিদ থামছেই না। রুহি থামাতে গেলে মিশু আটকে দেয়। কিন্তু অভিদকে থামতে না দেখে এবার রুহি এবার জোড় করে এগিয়ে যেয়ে বলে
” থামুন আপনি। ওকে মেরে ফেলবেন নাকি। এভাবে মারছেন কেনো।”

অভির রাগি চোখে রুহির দিকে তাকাতেই রুহি ভয় পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে। অভিদ তেরে এগিয়ে এসে রুহির মুখ চেপে ধরে বলে
” তখন তো এতো অপমান সহ্য করেও মুখ খুলিস নি। এখন মুখে বুলি ফুটেছে তাই না। ”
রুহি ব্যাথার কান্না করতেই অভিদ রুহিকে ছেড়ে দিয়ে ধমক দিয়ে বলে
” চুপ, একটু যদি কান্নার শব্দ বের হয় তাহলে এখন তোকে ধরে মারবো। কান্না ছাড়া আর কিছু করতে পারে না গাধা মেয়ে ” অভির ধমক শুনে রুহি চুপ করে যায়।

জোতি ফ্লোরে থেকে উঠে বসার শক্তি পাচ্ছে না।
অভিদ জোতির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে
” আজকে মেয়ে বলে তুই ছাড়া পেলি নাহলে আজকে লাশ থাকতো এখানে। ভবিষ্যৎ এ যদি এসব কথা আবার শুনতে পাই তাহলে সেইদিনই তোর শেষ দিন, মাইন্ড ইট ”

এতো মার খাওয়ার পরও জোতির রাগ কমে যায়নি। এখনও রাগে ফুসছে। অভিদ গম্ভীর গলায় বলে
” এখন রুহিকে সরি বলো ”

জোতি হাপানো গলায় বলে
” sorry !! Sorry is my foot। ওর মতো মেয়েকে আমি সরি বলবো ভাবলে কি করে ”

জিহান সামনে এসে ভ্রু কুচকে বলে
” what do you mean by ওর মতো !!! নিজেকে তুই কি মনে করিস?? রানী ভিক্টোরীয়!! রুহি তোর থেকে হাজার গুন ভালো। তোর মতো মেয়েদের সাথে রুহির তুলনা করা নিতান্তই বোকামো। রুহি, মিশু, নিলা, রাইমা ওদের মতো মেয়ে হওয়া সহজ ব্যাপার না। সহজ হলে আজকে তুইও ওদের মতোই হতি ”

জোতি হেসে বলে
” উফ তুমি এখন আবার আমাকে জ্ঞান দিতে এসো না, তুমি নিজেই বা কেমন ?? নিজের ছোট বোনকে অপরিচিতা ছেলের হাতে মার খেতে দেখেও চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলে। একটা টু শব্দও করোনি ”

জাহিন তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিয়ে বলে
” কে ছোট বোন ?? আমার ছোট বোন মরে গিয়েছে অনেক আগেই। তোকে বোন বলতেও আমার ঘৃণা লাগে। আজকে তোকে মার খেতে দেখে না আমার আনন্দ লাগছে। তোকে সমাজে বোন বলতে পরিচয় দিতে গেলেও লজ্জা বোধ হয়। আর তুই কাকে অপরিচিত ছেলে বলছিস ?? একটু আগে তো সেই ছেলেটার গায়ের উপর উঠে পরেছিলি। তুই এতো মার খেয়েও নিজের ভুল বুঝতে পারছিস না আর কি বলবো তোকে ”

জোতি রাগ, জেদ নিয়ে উঠে দাঁড়ায় রুমে গিয়ে তার লাগেজ এনে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে থাকে। হাটার শক্তি না থাকলেও কোন রকমে হেটে চলছে। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আবার পেছনে ফিরে রুহিকে বলে
” আজকে যা হয়েছে সব তোর জন্য হয়েছে। অভিদ তো সবসময় আর তোর পাশে থাকবে না। তোকে আমি দেখে নেবো ”

অভিদ রুহির সামনে এসে বলে
” কে কাকে দেখে নেবে সেটা আমিও দেখবো। এখন বাড়ি থেকে বের হও নাহলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবো ” জোতি কোনরকমে লেংড়িয়ে লেংড়িয়ে বেড়িয়ে যায় ”

জোতি যেতেই অভিদ সোফায় বসে রুহিকে বলে
” যাও এক গ্লাস ঠান্ডা পানি নিয়ে এসো।”
রুহি চুপচাপ রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা বের করে লেবু, হালকা চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে নিয়ে যায়। সবাইকে শরবত দেয়।

অভিদ ঢকঢক করে শরবত খেয়ে জাহিনকে বলে
” সরি ভাইয়া আপনার বোনকে এভাবে মারার জন্য ”

জিহান হালকা হেসে অভিদের কাধে হাত রেখে বলে
” সরি বলার দরকার নেই। আমার একটু কষ্ট হলেও কি জোতি অন্যায় করেছে তার শাস্তি পেয়েছে। জোতির জন্য এটা ঠিক ছিলো কিন্তু জোতি কোনদিন শুধরাইবে না। জোতি নিজের রাগ আর জেদ নিয়ে থাকবে। ” বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে।
তারপর আবার বলে উঠে
” ওসব ছাড়ো এখন বলো বিয়ের ডেট ফিক্সড হয়েছে নাকি এখনও ফিক্সড করছে ”

রায়হান মুচকি হেসে বলে
” সব ফিক্সড হয়ে গিয়েছে ”

অনি উঠে রুহির কাছে গিয়ে রুহিকে জড়িয়ে ধরে বলে
” আমি আমার ভাবিকে অনেক তাড়াতাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। আচ্ছা ভাইয়া শপিং করতে কবে যাওয়া হবে ”

অভি হেসে বলে
” দুদিন পরেই শপিং শুরু করবো ” সবার দিকে তাকিয়ে বলে
” তোমরা সবাইও তৈরি থেকো। তোমাদের বোনকে আমি কয়েকদিন পর নিতে আসবো। তখন হাসি মুখে তাকে আমার হাতে তুলে দেবে ”

নিলয় এক ভ্রু উচু করে বলে
” হাসি মুখে কি করে আপনার হাতে তুলে দেবো। তখন তো সবাই কাঁদবে। বিয়ের পর তো বউসহ সবাই কাদে ” নিলয়ের কথায় সবাই হেসে উঠে।
অভিদ, রায়হান, অনি আরও কিছুক্ষণ গল্প করে চলে যায়। রুহিদের সবার মন খারাপ হয়ে গিয়েছে তাই সবাই রুমে গিয়ে বসে থাকে।

এদিকে আখিল রহমান অফিসে বসে আছে। তার সামনের টেবিলের উপর রুহির ছবি রাখা রয়েছে। আখিল রহমানের ঠোটে রয়েছে বাকা হাসি। আশিক একটু আগেই রুহির সব ডিটেইলস দিলো। আশিক পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। আখিল এর চেহারা দেখেই বুঝতে পারছে ওর মাথায় কোনো প্লেন চলছে।

আশিক গলা ঝেড়ে আখিল কে বলে
” স্যার আপনি কি প্লেন করছেন ”

আখিল তার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে বলে
” অভিদের বিয়ে কবে ??”

” স্যার জানা গিয়েছে আজকেই বিয়ের ডেট ফিক্সড করছে সবাই। তা এখনও জানা হয়নি ”

আখিল গম্ভীর গলায় বলে
” জেনে নাও আর রুহি কখন কোথায় যাচ্ছে সব খবর আমাকে দেবে ”
আশিক মাথা মেড়ে হ্যা বলে।

আজকে অভিদ, রুহিরা সবাই শপিং মলে এসেছে শপিং করতে। একদিনেই তো আর বিয়ের শপিং ফুলফিল হয় না। আরও অনেক শপিং বাকি রয়েছে। তবে দুদিনের মাঝে আবার আসা হবে। শপিং শেষ করে এখন সবাই অভির ★The royal food lunch ★ রেস্টুরেন্টে যাবে।

ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎ রুহি বলে উঠে
” আংকেল গাড়ি থামান, গাড়ি থামান ” রুহির কথায় ড্রাইভার কাকা ব্রেক করে।
অভিদ ভ্রু কুচকে বলে
” কি হয়েছে মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামাতে বলছো কেনো ??”

রুহি মেকি একটা হাসি দিয়ে বলে
” মানে আমি ফুচকা খাবো তাই। ওই যে সামনে দেখা যাচ্ছে ফুচকাওয়ালা দাঁড়িয়ে রয়েছে। আপনিও একটু চলুন আমি ফুচকা খেয়ে চলে আসবো ”

অভিদ নাক ছিটকে বলে
” ছিঃ রুহি তুমি ওই রাস্তার ফুচকা গুলো খাবে ?? আমরা তো এখন রেস্টুরেন্টে যাচ্ছিই সেখানে গিয়ে তুমি আরো টেস্টি আর অনেক রকম ফুচকা পাবে এখানে খাওয়া লাগবে না ”

রুহি বিরক্তিকর ভাব নিয়ে বলে
” উফ আপনি এমন কেনো। একদিন ফুচকা খেলে কিছু হবে না ”

অভিদ চোখ ছোট ছোট করে বলে
” তুমি জানো এসব কি দিয়ে বানায় ?? রায়হাম সিদিন বলেছে একজন ফুচকাওয়ালা ময়লা পানি দিয়ে ফুচকার পানি বানাচ্ছিলো। এই লোকটাও যে বানাবে না তার কি প্রমাণ আছে?? ” অভিদের এমন কথা শুনে রুহি চুপ হয়ে গেলো। অভির কথস্য ড্রাইভার আবার গাড়ি চালানো শুরু করে।

রুহিকে চুপ দেখে অনি পাশে বসে মিটমিট করে হাসছে। রুহি ময়লা জিনিস শব্দটা একদম পছন্দ করে না। রুহি ফুচকা খেতে চাইলে তার বাবা ফুচকা পার্লার থেকে এনে দেয়। তবে কয়েকবার মিশুর সাথে রাস্তার ফুচকা খেয়েছিলো। সেগুলো খেয়ে পেট ব্যাথা করলেও রুহি বুঝতো না কেনী করছে। তাই আজকেও খেতে চেয়েছে।

রুহি বিরবির করে বলে
” এই মিশুর সাথে আর কোনোদিন রাস্তার ফুচকা খাবো না। যতোবার খেয়েছি পেট ব্যাথা করেছে। তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে লারছি কেনো পেট ব্যাথা করে। খারাও লোক গুলো ময়লা পানি দেয়। ছিঃ, ভাগ্যিস আজকে মাফিয়া_ক্রাশ টা আমাকে বলেছে নাহয় আজকেও পেট ব্যাথা করতো ” অনি কান পেতে রুহির কথা গুলো শুনছিলো। মাফিয়া ক্রাশ নামটা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছে। পরে এটা অভিদের নাম বুঝতে পেরে ফিকফিক করে হেসে দেয়।

অনির হঠাৎ করে হেসে উঠার কারন বুঝতে না পেরে অভিদ আর রুহি দুজনে অনির দিকে তাকায়। অনি ওদের দুজনের তাকানো দেখে হাসি থামায়।
অভিদ দের গাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে থামাতেই একে একে সবাই গাড়ি থেকে নামে। সবাই থার্ড ফ্লোরে যায়। ম্যানেজার রা সবাই ওদের সুন্দর কঅরে ওয়েলকাম করে। আজকে আসার কথা ছিলো তাই রায়হান আগের থেকেই বডিগার্ড দিয়ে ম্যানেজারকে সব ঠিক করে রাখতে বলেছে।

সবাই টেবিলে বসে চারপাশের পরিবেশ দেখতে থাকে। সেইদিনের পরিবেশটা ভালো লাগলেও আজকে আরও সুন্দর পরিবেশ। আজকে অভিদের জন্য আলাদা ভাবে সব সাজানো হয়েছে
ওয়েটার অভিদের কাছে আসতেই অভিদ বলে
” রেস্টুরেন্টে যতরকম ফুচকা রয়েছে সব নিয়ে এসো। হালকা ঝাল দিয়ে। আর আমার জন্য ফ্রুটি ফালুদা ”
সবাই যার যার খানার অর্ডার করে দেয়।

কিছুক্ষণ পরে খাবার আসতেই সবাই খাওয়া শুরু করে কিন্তু রুহি বুঝতে পারছে না কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবে। তার সামনে অনেক গুলো করে সব ধরনের ফুচকা রয়েছে। রুহি সবাইকে বলে
” তোমরা একটু আমাকে হেল্প করো আমি এতো গুলো কি করে খাবো ”

অভিদ ভ্রু কুচকে বলে
” কেনো ওরা খাবে কেনো ?? তুমি সব গুলো খাবে। তখন তো রাস্তার ফুচকা খাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নেমে পরছিলে আর এখন কি হয়েছে”

অভির কথায় রুহি অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকে। রুহির এমন তাকানো দেখে হালকা হেসে বলে
” আচ্ছা সবাই মিলেই খাও।” সবাই রুহিকে ফুচকা শেষ করতে হেল্প করে। রুহি শুধু দই ফুচকা টাই খেয়েছে।

খাওয়া শেষ করে সবাই বাড়িতে চলে যায়। অভি, রায়হান রাত জেগে অনেক্ষণ কাজ করে নেয়। দুদিন পর থেকে বিয়ের তোরজোড় শুরু হবে তখন বেশি কাজ করতে পারবে না তাই এখন থেকেই কিছুটা কমিয়ে নিচ্ছে।

চলবে… wait for next part….