মেঘের উল্টোপিঠ পর্ব-০৬

0
581

#মেঘের_উল্টোপিঠ
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
[পর্ব-০৬]

রাতের কুচকুচে কালো আকাশ আজ মেঘলাটে। হালকা কমলাটে বর্ণের ধারণ করেছে আকাশের রঙ! ঝড়ো পরিবেশের হিম শীতল বায়ু এসে শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। খানিকক্ষণ বাদে বজ্রপাতের শব্দে পূর্ব নড়েচড়ে উঠলেন! নেত্রযুগল উন্মুক্ত করে সর্বপ্রথম আমার পানে দৃষ্টি দিতেই চোখাচোখি হয় আমাদের।

পূর্ব সোফা থেকে উঠে আসেন দ্রুত পায়ে! আমার পাশে ব্যাবধান বজায় রেখে বসে বললেন,

‘ হাতে কি ব্যাথা করছে?’

পূর্বের এরূপ প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে হুট করেই আমার রাগ তরতর করে বেড়ে গেলো। নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে চেঁচিয়ে বলি,

‘ আঘাত দিয়ে জিজ্ঞেস করছেন ব্যাথা করছে কিনা? আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন? ‘

পূর্ব চটপট দৃষ্টি আশপাশে নিক্ষেপ করলেন। আমতা আমতা করে কিছু বলতে নিয়েও থেমে গেলেন তিনি। তার এই নিশ্চুপতা! মুখশ্রীতে বজায়মান ডোন্ট কেয়ার ভাব! সবকিছুই যেনো আমার রাগটাকে ক্রমশ তুমুল করে তুলছে। অপরাধী চিন্তাস্বরূপ ইচ্ছে করছে এই পূর্ব মানবটাকে গলা চেপে হত্যা করতে। নিজের চিন্তাধারায় ঘৃণা জন্ম হলো। ধাতস্থ হয়ে নিম্ন কন্ঠে বলি,

‘ আপনি এখানে কি করছেন? কি চাই? আমার রুমে ঢোকার অনুমতি কে দিলো আপনাকে?’

পূর্ব তপ্তশ্বাস ফেলে বললেন, ‘ বউয়ের রুমে ঢুকতে আদও কোনো স্বামীর অনুমতি লাগে নাকি?’

সিরিয়াস মোমেন্টে পূর্বের এরূপ প্রতিত্তুরে বিরক্ত লাগলো। প্রচন্ড বিরক্ত! অতঃপর ঝাঁঝালো সুরে কিছু বলতে নিবো তৎক্ষনাৎ পূর্ব শীতল কন্ঠে বললেন,

‘ আমি তোমায় ইচ্ছে করে আঘাত করিনি দোল! ট্রাস্ট মি! তুমি তোমার সামনের সিটের মেয়ে দু’জনের কথোপকথন শুনোনি? তখনি কোনো স্টেপ না নিলে অনেক ভুগতে হতো আমাদের দু’জনকেই। এন্ড আই এগ্রি! এভাবে সবার সামনে তোমাকে আঘাত করা ঠিক হয়নি। রুলসে পড়েনা এত বড় মেয়েকে আঘাত করার। বাট এট দ্যাট মোমেন্ট আমার রাগ চেপে বসেছিলো। রাগে মানুষ তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে! তখন কোনো স্টেপ না নিলে সমলাচোনা হতো। দেখা যেতো আমার চাকরি চলে গিয়েছে সাথে তোমার স্টুডেন্টশিপও! এত কষ্ট করে এই পর্যন্ত পড়াশোনা করে আসছো কলেজ থেকে বহিস্কার করলে খারাপ লাগবেনা?’

আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সন্দিহান কন্ঠে বলি,

‘ বহিস্কার করবে কেনো? এতোটা নরমাল ব্যাপারে কেও বহিস্কার করে নাকি?’

পূর্ব দীর্ঘ নিঃশ্বাস টানলেন। তার চেহারা বিমূঢ় হয়ে আছে! রাশভারী কন্ঠে প্রতুত্তরে বললেন,

‘ তুমি নিউ ব্যাচের স্টুডেন্ট! এখনি অনেক কিছু সম্পর্কে তোমার ধারণা আসেনি অথবা জানোনা।ক্লাস করতে থাকো বুঝতে পারবে! তবে এর দায়ভার কিছুটা আমার। তোমার নয়! ‘

তার কথায় রহস্যে ভরপুর। কিন্তু এখন প্রশ্ন করলে উত্তর পাবোনা নিশ্চিত। আর না প্রশ্ন করার মতো অবস্থাতে আমি আছি! কাল মেডিকেলে যাবো কিভাবে কে জানে? মেডিকেলে পা রাখার পর-পরই নিশ্চিত সবার কটু কথার শিকার হতে হবে। দাঁতে দাঁত চেপে কান্না দমন করে লম্বা শ্বাস ফেলে কড়া কন্ঠে বলি,

‘ আপনি প্লিজ যাবেন? আপনার সাথে কথা বলার মতো ইচ্ছেটা আমার এই মূর্হতে নেই! আপনি আমায় অন্যকোনো শাস্তি তো দিতে পারতেন। কান ধরে দাঁড়াতে বললেও বেটার ছিলো। কিন্তু স্কেল দিয়ে মারা! আমাকে কি আপনার ক্লাস নাইন টেনের স্টুডেন্ট মনে হয়? ক্লাস নাইন – টেনেও তো এখন কাওকে এভাবে মারা হয়না! আর আপনি কি করলেন মেরে রক্তাক্ত করে ফেললেন? ‘

পূর্ব নিশ্চুপ! আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু তার এই দৃষ্টি দেখে আমার মায়া হলোনা। কষ্ট কাজ করলো না। বরঞ্চ তাকে চার পাঁচটা থাপ্পড় বসিয়ে দিতে ইচ্ছে করলো! তবে এই কাজটা করলাম না।তাহলে পূর্ব আর আমার মাঝে পার্থক্য কোথায় থাকলো? সে রাগের বসে যা করলো আমিও আবার উল্টো রাগের বসে তাই করবো নাকি?

পূর্বের মুখশ্রীর পানে সচেতন দৃষ্টিতে তাকাতেই খেয়াল হলো তিনি কিছু আমায় বলতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না বলতে! কোথাও বাঁধা প্রদান করা হয়েছে। হাসফাস করছেন কেনো?

পূর্ব কন্ঠের খাদ নামিয়ে বললেন,

‘ তোমার হাতে যে তুলোর মতো তুলতুলে তা আমি জানতাম নাকি? এতো তুলতুলে কারো হাত হয়? এতো আস্তে আঘাত করতেই চামড়া ফেটে রক্ত পড়া শুরু করলো।’

আমি বিষ্ফোরিত চাহনি দিয়ে বলি, ‘ জানলে কি করতেন? আর আপনি যদি জানতেন আমার হাত নরম না তাহলে কি জোরে আঘাত করতেন?’

প্রতুত্তর আসলো না! তার মৌনতা পালন আমার সহ্য হলোনা। তিক্ততা নিয়ে বলি,

‘ আপনি এখানে এখনো কি করছেন? যান প্লিজ! গেট আউট! আপনার চেহারা দেখলেও আমার রাগ লাগছে প্রচন্ড। ‘

পূর্ব আরো কিছু বলতে চাইছিলেন কিন্তু আমি হাত দিয়ে ইশারার মাধ্যমে ‘ না ‘ বলতেই তিনি উঠে চলে যান। তার হাতের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়ছিলো।একবার ইচ্ছে হলো পিছন থেকে ডেকে বলবো ‘ হাতে আঘাত কি করে পেলেন?’ কিন্তু বলা হলো না। রাগের কাছে হেরে গেলাম তবে? পূর্ব দরজার কাছে দাঁড়িয়ে পিছন ফিরলেন। গাম্ভীর্যপূর্ণ মু্খশ্রী! নিভৃতে থাকা কিছু কথা বলার জন্য আনচান করছেন। আমার পানে পূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ আমি আমার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী! মাফ করা না করা তোমার ব্যাপার। যদিও তোমার মাফ পাওয়া আমার ক্ষেত্রে ডাজেন্ট ম্যাটার! ফাইনালি আই ওয়ান্টু সে ( Say), ডির্ভোসের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। তুমি মুক্তি পাচ্ছো না ফায়াজ আবরার পূর্বের কাছ থেকে! মাইন্ড ইট! ‘

শুনশান নীরবতা! আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকিয়ে আছি দরজার দিকটায়। আঘাত করলো তারপর আবার থ্রেট? মেরে ফেলার থ্রেট দিলে গ্রহণ করতে পারতাম এটলিষ্ট তার ব্যাক্তিক্ত্ব হিসেবে। কিন্তু এটা কেমন থ্রেট ছিলো? এই মানব আদও পূর্ব? মাই গড! গিরগিটির মতো রূপ পাল্টায় কেনো বারংবার তিনি?

___________________________

পাঁচদিন গেলাম না মেডিকেলে! কিন্তু আজ না গিয়ে নিস্তার নেই। সামনে এক্সাম! এখনকার ক্লাস গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মিস করলে ক্ষতি হবে অনেক। ভীতি নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হসপিটালে পা রাখি। আজ নিশ্চিত স্টুডেন্টদের কটু কথার শিকার হতে হবে। ৯ মাস ধরে ক্লাস করছি। মোটামুটি তাদের ব্যাবহার সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। তুচ্ছ ব্যাপারকে তারা বিশাল বড় কাহিনি তে রূপান্তর করতে বেশ পটু!

কিয়ৎক্ষন পর আমার ধারণা আস্তে ধীরে ভুল প্রমাণিত হতে শুরু করলো। আমি তো ভেবেছিলাম হসপিটালে পা রাখতেই সিনিয়র ব্যাচ, জুনিয়র ব্যাচ এসে কটু কথার ঝুলি খুলে বসবে কিন্তু একি? সবাই আমায় দেখে দূর থেকে মৃদু হেঁসে ‘ হাই! হ্যালো ‘ দিচ্ছে! ক্লাসমেট’রা এসে জিজ্ঞেস করছে এতদিন আসিনি কেনো? কিন্তু কেও সেদিনের কথা তুলছে না। কেমন ভীতিকর দৃষ্টি দিচ্ছে আমায় দেখে! আজব তো!

করিডরে পৌঁছাতেই অরিন, নীরব, আদ্রাফ এসে দাঁড়ালো আমার সম্মুখে। ওদের মধ্যে হতে সর্বপ্রথম মুখ খুললো নীরব! খেঁকিয়ে উঠে বলল,

‘ পড়ালেখা তো সব পারোস না? এতদিন আসিস নাই কেন? ক্লাস বাংক দিয়া নিজেরে রবীন্দ্রনাথ প্রমাণ করতে চাস? রবি ঠাকুরের ভুতে ধরসে তোরে? ‘

নীরবকে থামিয়ে আদ্রাফ বলল, ‘ তোরে কি পূর্ব স্যার প্রশ্ন দিয়া দিবে ভাবতেছিস? ভুলে যা ওসব! স্যার তোর হ্যাজবেন্ড হলেও ঐসব আকাম -কুকাম করবে না। ‘

অরিন নিজের বক্তব্য পেশ করতে নিবে তৎক্ষনাৎ তাকে থামিয়ে দিয়ে আমি সন্দিহান কন্ঠে বলি,

‘ কলেজের কাহিনি কি? সবাই এতো চুপ কেনো? আমায় এতো সম্মান দিচ্ছে কেনো? ‘

আমার প্রশ্নের জবাবে অরিন বলল, ‘ স্যারের বউ তুই! তোরে সম্মান দিবে নাতো রাস্তার কুকুরকে দিবে নাকি? ‘

‘ আজাইরা কথা বলিস কেনো অরিন? আমার কথার মানে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিস তুই। আমি বলতে চেয়েছি তারা আমাকে কটু কথা শোনালো না!খোঁচা মারলো না! এই বাই এনি চান্স ওদের সৃতিশক্তি চলে গেলো নাকি?’

অরিন, নীরব, আদ্রাফ তিনজনই ঠোঁট চেপে হাসলো। যেনো আমি তাদের কৌতুক বলেছি। শব্দ করে হাসা মানা তাই নিঃশব্দে হাসছে! চোখ গরম করে কিছু বলতে নিবো তখনই হুট করে আদ্রাফ বলল,

‘ পোলাপান’স ভালো হয়ে গেছে। বুঝিস না?ওদের এই ভালো হয়ে যাওয়াটদ নিয়ে তারিফ না করে সন্দেহ করছিস? নট ফেয়ার দোল! ভালো হয়ে যা!’

অতঃপর টেনেটুনে, ঠেলেঠুলে আমার করা প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ক্লাসে ঢুকে বইয়ে মুখ ডুবিয়ে দেয় তিনজন। পুরো ঘটনার মধ্যে এটা নিশ্চিত হলাম এরা কিছু তো আমার থেকে লুকাচ্ছে। একেকটার চেহারা তাই বলছে! স্যার এসে পড়ায় আর কিছু জিজ্ঞেস করা হয়ে উঠলো না।

_____________________

শীতল বৃষ্টির কণার ওপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে রাস্তার পাশে দাঁড়াই! তুমুল বৃষ্টির কারণে মনে হচ্ছেনা আজ রিকশা পাবো। বাসা থেকে গাড়িও আসবে না। ভাইয়া গাড়ি নিয়ে এখন এদিক – সেদিক বন্ধু মহল নিয়ে ট্যুর দিচ্ছে। ঢাকার বাহিরে! একরাশ বিরক্তি তিক্ত করে তুললো অন্তরালে! বৃষ্টির ঠান্ডা পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার ধৈর্যশক্তি ক্ষনে ক্ষনে লোপ পেয়ে আসছে।

অতঃপর শুনশান, জনমানবহীন রোডে আগমন ঘটে ধূসর রঙের এক গাড়ির! গাড়িটা ঠিক আমার সম্মুখে এসে ব্রেক কষে। হকচকিয়ে দু’কদম পিছে সরে গেলাম। আরেকটু হলেই কর্দমাক্ত পানি এসে লেগে যেতো ড্রেসে। কড়া দৃষ্টিতে গাড়ির পানে অবলোকন করতেই গাড়ি থেকে নেমে আসলেন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তি ‘ পূর্ব ‘! ছাতা নিয়ে হেঁটে এসে আমার পাশে দাঁড়ালেন। পূর্ণ দৃষ্টি তার আমাতে দিয়ে রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ গাড়িতে উঠো! আমি তোমায় বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি।’

তার কথার প্রতিত্তুরে সটান বলি, ‘ না! আমি আপনার গাড়িতে যাবোনা। আপনি চলে যান। রিকশা করে বাসায় যাবো আমি। ‘

পূর্ব খানিক তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন, ‘ এই বৃষ্টির মধ্যে রিকশা পাবে তুমি?’

‘ সেটা আমার ব্যাপার। আপনার কি?কিছুনা! সো, যান এখান থেকে। ‘

পূর্ব বিড়বিড় করে বললেন, ‘ আমারই তো সব! এই আস্ত তুমিটাই আমার। সম্পূর্ণ আমার! ‘

পূর্বের কথা কানে আসলো না। সেদিকে খেয়ালও দিলাম না। যা বলার বলুক! তাতে আমার কি?হুহ্!
গলা ঝেড়ে তিনি ফের বললেন,

‘ বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছো সামনে যে এক্সাম তার খেয়াল আছে? জ্বরে পড়লে তো অতো জলদি সুস্থও হওনা। এখনো তো অসুস্থ! এই এক্সামে খারাপ করলে ফলাফল কি হবে তা নিশ্চয়ই জানো।’

চিন্তিত হয়ে নতজানু হই! তার কথা সত্যি। এক্সাম সামনে এখন আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে বিরাট সমস্যা। তাকে কিছু না বলে ত্রস্ত পায়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে গাড়ির ফ্রন্টসিটে বসে পড়ি। সিটবেল্ট লাগানোর পর পূর্বের আগমন ঘটে। গাড়ি স্টার্ট দেয়ার পর কিয়ৎক্ষন পর তিনি তার রুমাল এগিয়ে দিয়ে বললেন,

‘ কপালের কাছের চুল ভিজে চুপসে আছে। মুছে নাও। সমস্যা হতে পারে। ‘

কোনোরূপ বাক্য অপচয় না করে নিঃশব্দে রুমাল হাতে নিয়ে কপালের কাছের সিক্ত কেশে শুষ্কতা প্রদানের প্রয়াসে আলত করে মুছে নিলাম। ক্ষনিক বাদে হটাৎ করেই আমাদের গাড়ির সামনে অপর এক গাড়ি আড়াআড়ি ভাবে এসে পড়ায় পূর্ব বেশ জোরে ব্রেক করলেন গাড়ি। মাথা সামনের দিকে সজোরে আঘাত হানার পূর্বেই পূর্ব আমার কাঁধ ধরে নিজের বক্ষপিঞ্জরের সাথে শক্তভাবে আঁকড়ে নিলেন। মাথা তুলে চটপট দৃষ্টি তার মুখশ্রীতে দেয়ার পরই দৃশ্যমান হলো আমার তার চঞ্চল নেত্র! কাঁপা ওষ্ঠাধর! অদ্ভুতুরে, ভীতিকর দৃষ্টি। তার এরূপ আচরণের নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পেয়ে চটজলদি কাচ ভেদে সামনে অবলোকন করি। তৎক্ষনাৎ দৃশ্যমান হলো নেত্র সম্মুখে..

চলবে…