মেঘের উল্টোপিঠ পর্ব-০৭

0
603

#মেঘের_উল্টোপিঠ
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
[পর্ব-০৭].

পূর্ব কাঁধের কাছটায় তার হাতের বাঁধন শক্ত করলেন আরেকটু। সেদিকে আমার ধ্যান না দিয়ে সামনে তার দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকাতেই আড়াআড়ি ভাবে থাকা কালো গাড়িটা ছাড়া আর কোনোকিছুই দৃশ্যমান হলো। পূর্ব মানবের ভয় পাওয়ার কারণটা ঠিক মতোন খুঁজে পেলাম না আমি! শেষে নিজের অবস্থান অনুভব করতেই লজ্জায় নুইয়ে পড়ি। চটপট তার হাত কাঁধ হতে হেঁচকা টানে সরিয়ে নিজের সিটে পিঠ এলিয়ে বসে মাথা নিচু করে। ইশ! এতো লজ্জা লাগছে কেনো? লজ্জায় রীতিমতো হাত – পা কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছে।

আমার স্পর্শে পূর্বের হুঁশ ফিরলো। সে সামনের থেকে তার দৃষ্টিপাত সরিয়ে আমাতে তাকালেন। উদ্বিগ্ন দৃষ্টিপাত তার! অস্থিরতা মিশ্রিত! উদ্বেগ নিয়ে বললেন,

‘ ঠিক আছো তুমি? কোথায় লাগেনি তো? ব্যথা পেয়েছো কোথাও? আর ইউ ওকে না? স্পিক আপ দোল! ‘

পূর্বের চঞ্চল নেত্রযুগল। ভীতির কারণটা যে এটাই তা স্পষ্টত প্রমান করছে তার তুমুল অস্থিরতা। সে আমার হাত টেনে ধরলেন। ঘুরিয়ে, ফিরিয়ে সুক্ষ্ম চাহনি নিক্ষেপ করে দেখতে থাকলেন কোথায় আঘাত লেগেছে কিনা! আমি তার অস্থিরতা, ভীতি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়লাম। আমায় নিয়ে এমন আচরণ করার মানে কি? তবে আমার ছোট ছোট সন্দেহ গুলো কি সত্যি? পূর্বের অস্থিরতা কমাতে আশ্বস্ত কন্ঠে বলি,

‘ আমি একদম ঠিক আছি। আপনি এতো অস্থির হচ্ছে কেনো?’

পূর্ব জবাব দিলেন না। পূর্ণ দৃষ্টিতে সচেতন চাহনি দিয়ে আমায় ফের অবলোকন করে তিনি সিটে বসে ঘন ঘন শ্বাস নিলেন নেত্র যুগল বন্ধ করে। তাকে এই মূর্হতে দেখে মনে হচ্ছে তিনি কোনো শ্বাসকষ্টের রোগী। পরবর্তীতে যখন পূর্ব চোখ খুললেন তখন তার চোখের সাদাটে অংশ ছিলো রক্তিম বর্ণের। চোয়াল শক্ত করে সামনে তাকালেন। পরিশেষে সেকেন্ডর মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। সামনে থাকা গাড়িটার দরজাও তখন খুলে একজন ব্যাক্তির পদচারণ ঘটেছে। তবে সেই ব্যাক্তিকে দেখা হয়নি আমার। তার মুখশ্রী সামনের দিকে। পূর্ব সেদিকে গিয়ে আশপাশ না দেখে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলেন লোকটার গাল বরাবর!

আমি হকচকিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। পূর্বের পাশে দাঁড়ানোর পরই ব্যাক্তিটি পূর্বের পানে দৃষ্টি দেয়। সবথেকে অবাক করা ব্যাপার লোকটি হাসছে! পূর্বের মুখশ্রীতে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করার পর নজরে এলো সে নেত্র যুগল বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন। বিষ্ময় নিয়ে বললেন,

‘ আয়াফ তুই? ‘

আয়াফ নামক লোকটির হাসি চওড়া হলো। অদ্ভুত হাসি! সে কর্কশ কন্ঠে বলল,

‘ পাঁচ বছর আগে শেষ দেখার সময় থাপ্পড় মেরেছিলি। আজ আবার যখন এতো সময় বাদে দেখা হলো তখন আবার থাপ্পড়! বাহ! ব্যাপারটা চমৎকার! ‘

পূর্বের মুখশ্রীতে রাশভারী ছাপটা পূর্ণরূপে ছেপে গেলো। চোয়াল শক্ত করে সে তাকিয়ে আছেন আয়াফের দিকে। আয়াফ কুটিল হেঁসে বলল,

‘ ভালো আছিস? আমাকে মনে আছো তো?

পূর্ব রাশভারী কন্ঠে বললেন, ‘ তোর মতো লোককে কেও ভুলতে পারে? হাহ্! তোকে ভুললেও তোর কুকর্ম সর্বদা আমার ব্রেনে থাকে। ‘

আয়াফ ফের কুটিল হাসলো। ঘাড় কাত করে সে আমাতে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করতেই পূর্ব আমার হাতের কব্জি শক্ত করে ধরে নিজের পিছে নিয়ে গেলেন। তার এহেন কান্ডে আমি বিমূঢ় হয়ে রইলাম।তাদের মাঝে আসলে হচ্ছেটা কি? বোঝা মুশকিল! আয়াফ কাঙ্খিত ঘটনা দেখে বাঁকা হেঁসে বললেন,

‘ কে এটা? বউ নাকি? ‘

পূর্ব চিবিয়ে বললেন,

‘ সেটা তোর জানার কোনো মানে হয়না! আর না সে অধিকার তোর আছে। ‘

‘ সেটা সময় হলেই দেখা যাবে। এনিওয়ে বেশ রূপবতী কন্যা পেয়েছিস। হাতিয়ে নিতে টাইম লাগবেনা। ‘

পূর্ব আমার হাত ছেড়ে এক প্রকার তেড়ে গেলেন আয়াফের দিকে। তবে মাঝপথে থেমে আঙুল উঁচু করে শাসিয়ে বললেন,

‘ ডোন্ট ডেয়ার! সবকিছু তে ছাড় দিলেও এই দিকে তোকে ছাড় দিবো চিন্তাও করিস না। হাত বাড়িয়ে দেখ। ভেঙে, কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবো। ‘

আয়াফ কুটিল হেঁসে বললেন, ‘ সেটা সময় হলেই দেখা যাবে। ‘

পূর্ব উল্টো ঘুরে আমার কাছে এসে হাত চেপে ধরে গাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলেন। আয়াফ তৎক্ষনাৎ উঁচু কন্ঠে চেঁচিয়ে বলল,

‘ যতই সামলে রাখিস পূর্ব! তোর প্রিয় জিনিস গুলো দিনশেষে আমার খাঁচাতেই আঁটকা পড়বে। বি রেডি! আই উইল ব্যাক ভেরি সুন! ‘

পূর্বের চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো। গাড়িতে বসা মাত্রই আমি কৌতূহল নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি,

‘ ছেলেটা কে ছিলো পূর্ব?’

পূর্ব রাশভারী কন্ঠে প্রতুত্তরে বললেন, ‘ কাজিন! ‘

আমি খানিক অবাক হয়ে বলি, ‘ উনি তাহলে ঐভাবে কথা বলছিলেন কেনো? আর কি কেড়ে নেয়ার কথা বলছিলেন? ‘

‘ কিছুনা। ও পাগল টাইপের! ওর কথায় মাথা ঘামাতে নেই। ‘

পূর্বের কথায় স্বস্তি মিললো না। আয়াফের কথাগুলো কেমন অদ্ভুত ধরনের ছিলো। সেই লোক যে আমায় উদ্দেশ্য করে শেষোক্ত কথাগুলো বলেছে তা আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। কিন্তু কথার আগামাথা খুঁজে পেলাম না।

__________________________

ডাইনিং টেবিলে খেতে বসতেই ভাইয়ার দেখা। সে নিজ মনে বসে খাচ্ছেন। আমায় দেখা মাত্রই সে বলল,

‘ বৃষ্টির ভেতরে আসছিস কিভাবে? আমায় ফোন দিয়ে গাড়ি পাঠাতে বলতি। ‘

‘ পূর্বের সাথে এসেছি। আর তুই না ঢাকার বাহিরে ছিলি? আমি কি জানতাম নাকি তুই বাসায়! ‘

ভাইয়া আমার প্রশ্নে কুটিল হেঁসে বলল,

‘ দুইদিন আগে কথা বলো না। এখন পুরা তার গাড়িতে আসছো! বাহ! ‘

ভাইয়ার কথায় জবাব দিতে ইচ্ছে হলোনা। চুপচাপ প্লেটে ভাত বেড়ে খাওয়া শুরু করার কিয়ৎক্ষন পর আম্মু সবজির প্লেট নিয়ে হাজির। আম্মুর চেহারা গাম্ভীর্যপূর্ণ! আমি, ভাইয়া দু’জনই একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া – চাওয়ি করলাম। আম্মু গম্ভীর হয় তখনই যখন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু বলে। ভাইয়া ইশারায় আমায় বলল ‘আম্মুর কি হয়েছে? ‘তা জিজ্ঞেস করতে। গলা ঝেড়ে বললাম,

‘ কিছু বলবে আম্মু? ‘

আম্মু সবজির বাটি আমার পাশে রাখলেন। আয়েশ করে চেয়ারে বসে বললেন,

‘ হ্যা! কাল থেকে পূর্ব সকাল ৬ টায় আমাদের বাসায় আসবে। ‘

আমি, ভাইয়া দু’জন একসাথেই ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করি, ‘ কেনো?’

‘ দোলকে পড়াতে! পরিক্ষার আগ অব্দি পূর্বই দোলকে গাইড করবে। ‘

ভাইয়া ফিক করে হেঁসে দিলো। আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকিয়ে আছি আম্মুর পানে। ভাইয়ার হাসিতে আম্মু বিরক্ত হলো বড্ড! চোখমুখ কুঁচকে তিনি ধমকে বললেন,

‘ হাসছিস কেনো অযথা সায়ান?’

ভাইয়া কোনোমতে হাসি থামিয়ে বলল, ‘ মানে সিরিয়াসলি আম্মু! দোল কি ছোট বাচ্চা? ও এখন একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট! ওকে তুমি পড়ানোর জন্য টিচার রেখেছো?ব্যাপারটা হাস্যকর না বলো?’

ভাইয়ার শেষোক্ত কথাটার রেশ ধরে আমি অস্থির হয়ে বলি,

‘ অবশ্যই হাস্যকর।এই আম্মু! কি বলছো এসব?তোমার কি আমায় ক্লাস ফোর – ফাইভের বাচ্চা মনে হয়? পাগল হয়ে গেছো? ‘

‘ আমি একদম ঠিক আছি। সুস্থ মস্তিষ্কে কথাটা বলছি! ক্লাস কতদিন বাদ দিয়েছো মাঝে তার খেয়াল আছে? তুমি পরিক্ষার শেষ হওয়া অব্দি পূর্বের কাছ থেকে গাইড নেবে! এটাই আমার শেষ কথা। সন্ধ্যায় সায়ান তোমায় পূর্বদের বাসায় দিয়ে আসবে। পরিক্ষা শেষ হওয়া অব্দি ওখানেই থাকবে। আমার পূর্বের মায়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনিও একমত আমার সাথে। ‘

আমি শুকনো হেঁসে বলি, ‘ যতদিন ক্লাস বাদ দিয়েছি সেই দিনগুলোর নোট অরিনের কাছ থেকে নিয়ে নিলেই তো হয়ে যায়। পূর্বদের বাসায় যাওয়ার কি আছে আম্মু? ‘

আম্মু চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতে যেতে গম্ভীর কন্ঠে বললেন,

‘ আমি যা বলেছি তাই শেষ কথা! ব্যাগ গুছিয়ে নাও। ‘

আম্মু চলে যেতেই আমি অসহায় চাহনি দিয়ে ভাইয়ার পানে তাকাই। ভাইয়া ইশারায় হাত নাড়িয়ে জানালেন ‘ এতে তার আর কিছু করার নেই। ‘খাওয়া শেষ করে ভাইয়া চলে যায়! আমি বিষাদ মনে আগত দিনের কথা স্বরন করে নিভৃতে ফিচেল হাসি দেই। বিগত দিনের ঘটনায় নিজেকে ক্লাস ফোর এর বাচ্চা মনে হচ্ছে। আমি যে মেডিকেল স্টুডেন্ট কে বলবে? ইশ! কি এক বিশ্রী ব্যাপার! সব নষ্টের মূল পূর্ব! যেদিন থেকে তার আমার জীবনে প্রবেশ করা। সেদিন হতো সবকিছু উল্টোপাল্টা হচ্ছে। এই লোকের সাথে আমি সংসার করতে পারবো তো?

_______________________________

পূর্বদের বাংলোর সামনে গাড়ি থামিয়ে ভাইয়া আমার পানে দৃষ্টি দিয়ে বলল,

‘ মন খারাপ করতে নেই পিচ্চি। আম্মু তোর ভালোর জন্য এই ডিসিশন নিয়েছে। ভালো মতো পড় যা! অযথা টেনশন নিবি না। ‘

আমি নতজানু হয়ে নিম্নকন্ঠে বলি, ‘ অস্বস্তি হচ্ছে ভাইয়া! ‘

‘ আরে চিল! তোর জামাই এর বাড়িতে আসছিস। জেলে না! যা বের হো। আমার কাজ আছে। ‘

ভাইয়ার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই নেত্র সম্মুখে দৃশ্যমান হয় পূর্বের আম্মু এবং পূর্বের ভাবীকে। তারা দু’জন আমায় দেখা মাত্রই হাসি মুখে এগিয়ে আসলেন। কাছে এসে পূর্বের আম্মু বললেন,

‘ কেমন আছে আমাদের দোলমনি? ‘

আমি কৃত্রিম হেঁসে বলি, ‘ ভালো মামনি! তুমি কেমন আছো? ‘

‘ ভালো আছি। তোকে দেখা মাত্র একটু বেশিই ভালো আছি। ‘

কথার মধ্যে ফোড়ন কেটে পূর্বের ভাবী বললেন,

‘ দোল তো ভালো থাকবেই মা। এতো হ্যান্ডসাম আর কিউট একটা বর জুটিয়েছে বলে কথা। ‘

পূর্বের আম্মু একগাল আসলেন। তাড়া দিলেন আমায় ভিতরে আসার জন্য। পূর্বের ভাবী তারা আপু এসে আমায় পূর্বের রুমে বসিয়ে দিয়ে বললেন,

‘ ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসো তাহলে। তোমার জামাই আবার কড়া আদেশ দিয়েছে তোমার সাথে যেনো কথা না বলে কেও। সামনে তোমার পরিক্ষা তাই! পরিক্ষা শেষে কথা বলবোনে তোমার সাথে। আর পূর্ব সন্ধ্যার পরপরই আসে! অপেক্ষা করো! এসে পড়বে। ‘

তারা আপু মুচকি হাসলেন। আমি কোনোমতে কৃত্রিম হাসি দিলাম। অতঃপর রুমে শুনশান নীরবতা! ব্যাগ থেকে বই বের করে পড়তে বসার খানিক বাদে কারো পদধ্বনির শব্দে অজান্তেই বুকে ধুকপুক আওয়াজ শুরু হয়! বই থেকে মাথা তুলে সামনে দৃষ্টি দিতে নজরে এলো পূর্বের ক্লান্তমাখা মুখশ্রী। কালো শার্ট সাথে সাদা এপ্রোন! এতে যেনো তার সৌন্দর্যের মাত্রা একটু বেশিই বেড়ে গিয়েছে। তিনি ত্রস্ত পায়ে রুমে প্রবেশ করে এপ্রোন খুললেন। এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দিয়ে স্থির হয়ে বসলেন সোফায়! তার সকল কার্যক্রম আঁড়চোখে দর্শন করে মৌন রূপে বসে রইলাম!

হুট করেই তিনি রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ আমায় আঁড়চোখে দেখা বাদ দিয়ে পড়ো! আমি কোথাও ভেগে যাচ্ছি না। দেখার জন্য অনন্তকাল সময় আছে। ‘

বিষ্ফোরিত দৃষ্টিতে পূর্বের পানে তাকাতে সে ঠোঁট বাকিয়ে হাসলেন। তার হাসি দেখা মাত্র মাথা নিচু করে লজ্জায় নতজানু হই। তিনি দেখলো কিভাবে আমায়? ইশশ! কি লজ্জাজনক ঘটনা!

সোফায় আমার এবং তার মধ্যে থাকা ব্যাবধান পূর্ব মিটিয়ে ফেললেন। আমার পাশে এসে কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন,

‘ লাজুক রূপে রূপান্তর হয়ে আমায় কি নিভৃতে মেরে ফেলার প্লান করছো? ‘

আমি চমকে তার পানে তাকিয়ে বলি, ‘ মানে? ‘

পূর্ব উত্তর দিলেন না। রাশভারী রূপে রূপান্তর করে নিলেন মুখশ্রী। পরিশেষে ফোন নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। না পাওয়া হলো উত্তর! না মিটলো কৌতূহল! তপ্তশ্বাস ফেলে পড়ায় মন দিতেই হুট করে তার ফোন স্ক্রিনে থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিটি দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে রইলাম। আমার স্থিরদৃষ্টি এঁটে রইল তার ফোনস্ক্রিনে। নিভৃতে মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করি, ‘ এটা কি করে সম্ভব? ‘

চলবে…