রঙিন বর্ষা ২য় পর্ব

0
677

#রঙিন_বর্ষা
লেখা: নীলাদ্রিকা নীলা
২য় পর্ব
.
ঝুমুরকে দেখে মার্কেটের ভিতর এক ভদ্রমহিলা বলে ফেললেন, মেয়ে গুলোর কি কোনো আক্কেল নেই! শাড়ি সামলাতে পারে না তো শাড়ি পরে কেন?
প্রিয়া ঝুমুরের কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলছে, কিরে এখনো এখানে দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি যাবি?
ঝুমুর মার্কেট থেকে একটা শাড়ি কিনে নিয়ে তাড়াতাড়ি ওটা পরে প্রিয়ার সাথে মার্কেট থেকে বেড়িয়ে গেল। ওরা চলে যাওয়ার সাথেই মার্কেটের ভীরের ভিতর থেকে শ্রাবণ আর রাব্বি বের হয়। রাব্বি বলছে, তুই এটা কি করলি শ্রাবণ! এটা তুই একটু বেশি করে ফেললি!
,
শ্রাবণ রাব্বির দিকে তাকিয়ে বললো, মেয়েটার কি লজ্জা শরম নেই নাকি! এত গুলো মানুষের সামনে ওর শাড়িটা খুলে নিলাম তবুও মানুষের সামনে এমন ভাব করলো যেন কিছুই হয় নি,
– হ্যাঁ সেটাই তো দেখলাম। আবার বুক ফুলিয়ে সবার সামনে নতুন শাড়ি কিনে নিয়ে সেটা পরে গটগট করে হেটে চলে গেল।
– এমন মাইয়া মানুষ আমি জীবনে দেখি নাই।
– তবে কাজটা মনে হয় ঠিক করলি না রে শ্রাবণ। হাজার হোক মেয়ে মানুষ তো। তারপর আবার যদি কখনো জানতে পারে এটা তুই করেছিস তাহলে তোকে আর আস্ত রাখবে না।
– ও…এখন তোর মায়া লাগলো বুঝি!,
– ওকে অন্য কোন শাস্তি দিতে পারতি। এটা একটু বেশি হয়ে গেল না? মানছি ও অন্যায় করে ফেলেছে তাই বলে এভাবে একটা মেয়েকে, ওকে অন্য কোনো শাস্তিও তো দেওয়া যেত!
– বেশ করেছি! আমাকে ওর মোবাইল ফোন চোর বানিয়ে সবার সামনে লজ্জা দিতে চেয়েছিলো না? ওটা বেশি ছিলো না?
– তাই বলে তুই ওর শাড়ি খুলে নিবি! কি করবি এখন এই শাড়ি দিয়ে?
– রেখে দেব! এটা দেখে আমার মাথাটা ঠান্ডা হবে
– হ্যাঁ তোর সুন্দরী ঝুমুরের শাড়ি বলে কথা!
– এই একদম ঝুমুরকে নিয়ে আমার সাথে ফাজলামো করবি না। নাহলে তোর শার্ট প্যান্টও আমি এখন খুলে নেব।
,
শ্রাবণ ঝুমুরের শাড়িটা ব্যাগে করে বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় ফিরেই বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে গেল। শ্রাবণের মা রুমে এসে শ্রাবণের ব্যাগ গোছাতেই শাড়িটা চোখে পরে আর তখনই তিনি তার ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন। আর শাড়িটা শ্রাবণের সামনে ধরে বলছেন, এটা কার শাড়ি রে?
ঘুম থেকে উঠেই মায়ের এমন প্রশ্নের সমুক্ষীন হতে হবে এটা শ্রাবণ ভাবতেই পারে নি।
শাবণ মনে মনে ভাবছে, ও শিট শাড়িটা লুকিয়ে রাখার আগেই মা এটা দেখে ফেলেছে!
– কিরে বললি না? শ্রাবণ তোকে কিন্তু ভার্সিটিতে আমি পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছি! তোর ব্যাগে শাড়ি কেন?
– ইয়ে মানে মা ওটা আমার বন্ধুর,
– বন্ধুর! যা ইচ্ছে হয় করো, ভালো রেজাল্ট না করতে পারলে তখন তোমাকে আমি দেখে নিচ্ছি।
– ওহ মা, তুমি রাগ করছো কেন, এই শ্রাবণ অল ওয়েজ একশোতে একশো!
– হ্যা রে ভার্সিটিতে কি তোর গার্ল ফেন্ড হয়েছে?
– কি যে বল না মা । ধুর! ওসব কিচ্ছু না।
– না হলে মেয়েদের জিনিসপত্র তোর ব্যাগে কেন? মানে এই শাড়ি।
-আসলে আজ একটা প্রবলেম হয়েছিল। সেসব তুমি বুঝবে না।
শ্রাবণের মা চোখ গরম করে বললেন,
– ঠিকাছে। কোনো ঝামেলার মধ্যে যেন তোকে আমি না দেখি।
,
রাতের খাওয়া দাওয়ার পর শ্রাবণ এসাইনমেন্ট লিখতে বসলো। অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বই আর নেট থেকে ঘেটেঘুটে এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে ঘুমিয়ে যায়।
,
ওদিকে ঝুমুর আজকে বিকেলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই এসাইনমেন্ট লেখার কথা ভুলেই গেল।
,
পরদিন ক্যাম্পাসে গিয়ে ঝুমুরের এসাইনমেন্টের কথা মনে হতেই লাইব্রেরিতে চলে যায় এসাইনমেন্ট লেখার জন্য। লাইব্রেরিতে গিয়ে বই খুঁজতে খুঁজতেই দেখলো এক জায়গায় শ্রাবণ বসে আছে। আর যে বইটা খুঁজছে সেটা শ্রাবণের কাছে। শ্রাবণ মনোযোগ দিয়ে খাতায় কিছু একটা লিখছিলো তখনই ওখানে রাব্বি এসে বলছে, শ্রাবণ একটু বাহিরে আয় তো দরকার আছে। শ্রাবণ লাইব্রেরির বাহিরে চলে যাওয়ার পর ঝুমুর শ্রাবণের টেবিলের সামনে এগিয়ে গিয়ে বইটা দেখতেই শ্রাবণের লেখা এসাইনমেন্ট দেখতে পায় আর সাথে সাথে ওটা চুপিচুপি নিজের ব্যাগে ভরে নিয়ে লাইব্রেরির বাহিরে চলে এলো।
,
ক্লাস শেষ হতে হতে বিকেল হয়ে যায়। আকাশে মেঘ জমেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টির ফোটা পরা শুরু করলো। হঠাৎ বৃষ্টি আসায় ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক ভবনে সবাই আটকে পরেছে। বৃষ্টি থামার নাম নেই। মুষুল ধারে বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে। কেউ কেউ ছাতা নিয়ে দৌড়ে চলে যাচ্ছে। ঝুমুর দেখলো মাঠের এক পাশে ছেলেরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ফুটবল ফেলছে। ওদের ভিজতে দেখে ঝুমুরেরও ইচ্ছা হলো বৃষ্টির বড় বড় ফোটা নিজের শরীরে ফেলে শরীর ভেজাতে। ঝুমুর হাত উঁচু করে বৃষ্টির ফোটা হাতে নিতে নিতে ভেজার জন্য বের হয়ে পরলো ৷ বৃষ্টির ফোটা চোখে মুখে পরতেই শীতল অনুভূতি হয়। পিছন থেকে প্রিয়া ডাক দিলো
– ঝুমুর ভিজে যাবি তো!
রাস্তায় দাঁড়িয়ে দূর থেকে ঝুমুর চিল্লিয়ে বললো, তুই ও আয়!
,
মাঠে ফুটবল খেলতে ভিজে চুপ চুপ হয়ে যাওয়া শ্রাবণ পায়ের কাছে বল রেখে ঝুমুরের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রাব্বি বলে ওঠে, কিরে ওইদিকে কি দেখিস! শ্রাবণ কিছু না বলে হঠাৎ মাঠে বল রেখে হাটতে হাটতে রাস্তায় চলে আসে। ঝুমুর আর প্রিয়া বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ক্যাম্পাসের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। শ্রাবণও ওদের পিছনে হেটে আসছে। ক্যাম্পাসের গেটের ওখানে আসতেই ঝুমুর প্রিয়াকে নিয়ে গাড়িতে উঠল। গাড়ি চলে গেল। শ্রাবণ ভিজতে ভিজতে চলে যাওয়া গাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে। পিছন থেকে রাব্বি শ্রাবণের কাধে হাত রেখে বলে উঠল, তুই ওদের পিছনে ছুটে এলি কেন?
– আমার মনে হয় ওকে সরি বলা উচিত। আজ ওকে দেখে খুব মায়া লাগল। কি নিস্পাপ মনে হচ্ছিলো ওকে। ওর সাথে বোধহয় ওটা করা ঠিক হয় নি।
– কাল বলেছিলাম তুই তো আমার কথা শুনলি না!
– আসলে রাগের সময় আমার মাথা ঠিক থাকে না। কি করতে কি করে ফেলি!
– ওসব বাদ দে। এখন ওকে ওটা বললেও ও বুঝবে না। উল্টে দেখা যাবে তোকে বিপদে ফেলছে!
কয়েকদিন পর ক্যাম্পাস থেকে সবাই ট্যুরে চলে এলো। জায়গাটা একটা পাহাড়ি এলাকা এবং পাশে ঘন জঙল রয়েছে। ওখানে যে যার মতো সবাই মজা করতে ব্যস্ত। ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যার মধ্যে সবাই হোটেলে ফিরলেও শ্রাবণ, রাব্বি আর তুহিন এখনো পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাটছে। রাব্বি বললো, এই শ্রাবণ হোটেলে ফিরবি কখন স্যার তো আমাদের খুঁজবে,
– আমি স্যারকে বলে এসেছি রাতের বেলা জায়গাটা একটু ঘুরে দেখবো। জঙ্গলের ধারে ওই কাঠের দোতালা ভুতুড়ে বাড়িটায় আজ থাকব ভাবছি। দেখি কোনো ভুতের দেখা পাই কিনা।
– সত্যি স্যার তোকে এত পছন্দ করে যে তোর কোন কথাই ফেলতে পারে না।
,
তখনই পিছন থেকে কেউ শ্রাবণের নাম ধরে ডেকে উঠল। তিনজন পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলো ঝুমুর এদিকে দৌড়ে আসছে। ঝুমুর দৌড়ে এসে হাফাতে হাফাতে বলছে, তোমরা কোথায় যাচ্ছো? সবাই তো এই সময়ে হোটেলে। তোমরা এখানে কি করছো?
,
শ্রাবণ ভ্র কুচকে ঝুমুরের দিকে তাকিয়ে আছে। রাব্বি আর তুহিনও ঝুমুরকে দেখে হা হয়ে গেছে।
ওদের এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঝুমুর আবার বললো, তোমরা এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
,
শ্রাবণ এবার তার দুই হাত পকেটে রাখতে রাখতে বললো, মহারানী কি নিজে এসেছে নাকি আমরা কোনো ভুত দেখছি।
রাব্বিও বললো, তুমি এখানে?
,
ঝুমুর হেসে ফেললো আর তারপর শান্ত ভাবে বলতে থাকে, আসলে আমি তোমাদেরকেই খুঁজছিলাম। হোটেলে নেই তাই খুঁজতে বেড়িয়েছি।
,
শ্রাবণ বললো,আমাদের? কেন?
,
ঝুমুর এবার কিছুটা মাথা নিচু করে উত্তর দেয়, আসলে আমি তোমাদের সরি বলতে চাই। আমার তোমাদের সাথে এমন ব্যবহার করা উচিত হয় নি। আর শ্রাবণ তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।
,
রাব্বি এবার শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে বলছে, কিরে সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছিল রে, আমি তো সকালে ভালো ভাবে খেয়াল করি নি। ঠিকাছে ঝুমুর আমরা কিছু মনে করি নাই। এখন থেকে আমরা সবাই বন্ধু।
শ্রাবণ বললো, বলো কি বলবে?
,
ঝুমুর এবার রাব্বি আর তুহিনের দিকে একবার তাকিয়ে আবার শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বললো, আসলে আমি কথাটা শুধু শ্রাবণকেই বলতে চাই!
,
তুহিন শ্রাবণের কানে কানে বলছে, কিরে ঘটনা কি! ঝুমুর সুন্দরী আজ হঠাৎ মধুর সুরে কথা বলছে! তোর প্রেমে ট্রেমে পরে নি তো আবার!
,
শ্রাবণ রাগ চোখে তুহিনের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই রাব্বি বলে ওঠে, আমরা তো আর স্যারকে বলে আসি নি, স্যার আমাকে ফোন দিচ্ছে। আমাকে এখনি হোটেলে ফিরতে হবে। আবার কোনো কাজের দায়িত্ব দিবে হয়তো। তুই থাক আমি গেলাম।
,
রাব্বি আর তুহিন দ্রুত পায়ে হোটেলে পৌঁছানোর জন্য হাটা ধরলো। ঝুমুর এবার শ্রাবণের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো, চলো আমরা হাটতে হাটতে কথা বলি।
শ্রাবণ ঝুমুরের ব্যবহারে অবাক হচ্ছে। মেয়েটা হেসে হেসে ওর সাথে কথা বলছে৷ অবশ্য ভালোই লাগছে। এত মিষ্টি দেখতে একটা মেয়ে হাসলে আরও অনেক সুন্দর দেখায়। শ্রাবণ আর ঝুমুর হাটা শুরু করলো। ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় পাহাড়ি আঁকাবাকা রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে।
– বলো কি বলবে,
– তুমি এখানে কি করছিলে। স্যার তোমাকে খুঁজবে না?
– আমি স্যারের পারমিশান নিয়ে এসেছি। আজ রাতটা বাহিরে ঘুরে কাটাব কিন্তু তুমি যে আসলে?
– আমার বিষয়টা প্রিয়া ম্যানেজ করবে। আচ্ছা একটা কথা বলো তো আমি কি সত্যি সুন্দরী নই?
,
শ্রাবণ এবার হাটা থামিয়ে ঝুমুরের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।
– কি হলো হাসছো যে,
– ওটা তোমাকে রাগানোর জন্য বলেছিলাম। সরি ঝুমুর। তুমি আমার দেখা অন্যতম সেরা সুন্দরী। এন্ড সিরিয়াসলি ক্যাম্পাসে তোমার চেয়ে সুন্দরী আর কেউ নেই। সবাই ঠিকই বলে তুমি রুপের রানী আর এটা আমিও মানি।
,
এবার ঝুমুর একটা গৌরবের হাসি দিল। শ্রাবণ আর ঝুমুর আবার হাটতে থাকে।
– তাহলে শ্রাবণ তুমি এখন কোথায় ঘুরবে।
– কেন তুমি আমার সাথে যাবে নাকি।
,
ঝুমুর বাকা হাসি দিয়ে বলছে, যাবো। আরও কিছু কথা আছে সেগুলো না হয় যেতে যেতেই বলি ।
– ঠিকাছে এসো।
,
শ্রাবণ আর ঝুমুর হাটতে হাটতে জঙ্গলের পাশে কাঠের দোতলা বাড়িটার ওখানে পৌঁছে গেল। শ্রাবণ বাড়িটির ম্যানেজারকে বলে দোতলায় ওঠার পারমিশান নেয়৷ এরপর সিড়ি দিয়ে দুইজন সোজা দোতলায় উঠে বারান্দায় দাঁড়িয়ে যায়। ঝুমুর বললো, এটাই তোমার ঘোরার জায়গা? কিন্তু জায়গাটা একটু অন্ধকার,
– হুম। কিরকম ভুতুরে তাই না। তবে আকাশে চাঁদ থাকায় চারিদিকে ভালোই রুপালী আলো ছড়াচ্ছে। দিনের বেলায় যখন এসেছিলাম তখনকার থেকে এখনি বেশি ভালো লাগছে। আহ! শীতল বাতাসটা একদম শরীর মন জুড়িয়ে দিচ্ছে।
ঝুমুর এক দৃষ্টিতে শাবণের দিকে তাকিয়ে বললো, তাই বুঝি!!
– হুম তাই, তোমার ভয় লাগছে নাকি! ভয় লাগলে চলো ফিরে যাই।
– আরে নাহ। আমার ভালোই লাগছে। আচ্ছা এই ঘরের ভিতরে কি আছে? আমি দেখবো।
– ভিতরে? ওখানে কিছু মাটির আর কিছু কাঠের পুরনো ঐতিহ্যবাহী আসবাবপত্র আছে। দেখবে? চলো তোমাকে দেখাই!
,
শ্রাবণ আর ঝুমুর ঘরের ভেতরে গিয়ে আসবাবপত্র গুলো দেখছে। ঝাড়বাতিতে মৃদু আলো জ্বলছে। ঝুমুর শ্রাবণের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। শ্রাবণ আসবাবপত্রের নকশা দেখতে ব্যাস্ত। হঠাৎ করে ঝুমুর দরজাটা বন্ধ করে দিলো। শব্দ পেয়ে শ্রাবণ পিছনে ফিরে দরজা লাগানো দেখে বলে উঠল, কি হলো তুমি দরজা লাগালে কেন?
ঝুমুর মুচকি হাসতে হাসতে শ্রাবণের দিকে এক পা এক পা করে এগোচ্ছে ।
– ঝুমুর কি হলো তোমার!
– বলেছিলাম তো তোমাকে কিছু বলার ছিলো। সেসব এখন বলবো।
,
ঝুমুর শ্রাবণের দিকে এগোচ্ছে আর একটু একটু করে নিজের শরীরে পরে থাকা টপ্সটা খুলছে।
,
চলবে….