লালগোলাপ❤ Part-13 +14

0
3105

লালগোলাপ❤
Part-13 +14
Writer-Moon Hossain

-রেস্টুরেন্টে মারপিট করা?
এবার বুঝানো হবে মারপিট কাকে বলে। কত প্রকার কি কি? উদাহরণ সহ!
-বুঝতে পারেনি উনি।
ভুল হয়েছে আমাদের।
এবারের মতো ছেড়ে দিন।
-শুনুন ম্যাডাম, আপনাকে দেখে ভদ্রমহিলা মনে হয়েছে। আপনার অনুরোধে হাজতে ভরা হয়নি। তা না হলে আপনার হাসব্যান্ড কে চৌদ্দ শিকের ভেতরে নিয়ে হতো।
-সেজন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আপনি আমাদের সমস্যা বুঝতে পেরেছেন।
রাজ হাজত ঘুরে ঘুরে দেখছিলো।
-শ্রেয়সী আমরা কি এখানে ঘুরতে এসেছি?
পুলিশ অফিসার শীতলের দিকে তাকালো।
শীতল বলল- জ্বি ঘুরতে এসেছি।
-আমার জায়গা টা বেশ ভালো লেগেছো।
এরকম জায়গায় থেকেছি আমি। কিন্তু সেখানে এসি ছিলো, টাইলস ছিলো, বিশাল বড় একটা কিচেনও ছিলো।
আমরা অনেক জন মিলে সারাদিন খুব মজা করতাম।
-ম্যাডাম দেখেছেন? একটুও অনুতাপ নেই।
পুরো রেস্টুরেন্ট সে ঝড় বইয়ে দিয়েছে।
ওয়েটার, ম্যানেজার, রেস্টুরেন্টে আসা লোকজন কাউকে ছাড় দেয়নি। সমান ভাবে পিটিয়েছে।
-সেজন্য আমি অনুতপ্ত। আমি এর ভর্তুকি দিতে রাজি।
-কি বললেন?
খুব টাকা আপনাদের?
মানুষ জন কে আঘাত করে তাদের মুখের উপর টাকা ছূরে দিন তাইনা?
-আপনি আমাদের ভুল বুঝেছেন অফিসার।
মানছি অন্যায় হয়েছে।
কিন্তু ইচ্ছে করে আমরা এমন টা করিনি।
-আপনার অনুতাপ হলেও আপনার স্বামীর মধ্যে তার ছিটেফোঁটা নেই।
-উনার আচরণে আপনার কি কিছু আন্দাজ হচ্ছে না?
-দেখে তো স্বাভাবিক মানুষ বলে মনে হয়।
কিন্তু উনার মাথায় প্রবলেম আছে বলে মনে হচ্ছে।
স্বাভাবিক না উনি।
-জ্বি ঠিক বলেছেন, উনি আমাদের মতো স্বাভাবিক নয়।
উনি রেস্টুরেন্ট কি কান্ড ঘটিয়েছেন তা বুঝতেই পারেনি। কিছুই মনে নেই বোধহয়। উনার ব্রেইন ৭-৮ বছরের ছেলেদের মতো। একদমই বোঝার ক্ষমতা নেই চারপাশে কি হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা যদি উনার মতো মানুষদের মাফ করে দিতে পারেন তাহলে আপনি কেন করছেন না?
-আমাদের অনেক ফরমালিটি আছে ম্যাডাম।
আপনার শশুর কে ফোন করা হয়েছে। আপনার শশুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। উনাকে কে না চেনে। তবে উনার একমাত্র ছেলে এমন তা কেউ জানেনা।
– আর এমন টা হবেনা।
-সেটা মুখে বললে হবে না ম্যাডাম। আপনার শশুরের লিখিত পেপার লাগবে সাইন সহ। আপনার স্বামী বদ্ধ পাগল। যেভাবে লোকজনদের মারধর করেছে , আর ক্ষয়ক্ষতি করেছে, তাতে এমন লোক কে ম্যান্টলে হসপিটালে রাখা উচিত।
নইলে একদিন এর থেকেও ভয়াবহ কিছু করে ফেলতে পারে।
শীতলের চোখ থেকে একফোঁটা পানি পড়ে গেলো কথা শুনে। সে নিজেকে দ্বায়ী করছে রাজের থানা তে আসার জন্য, আজ যদি সে আরও সতর্ক হতো তাহলে এমনটা হতো না।
কেউ রাজ কে নিয়ে এতো বড় কথাও বলতে পারতো না।
পৃথিবী শুদ্ধ লোক শীতল কে কষ্ট দিলেও একফোঁটা চোখের পানি পড়েনা কিন্তু তার স্বামীর বিষয়ে কিছু হলে নয়ন জোড়া অশ্রুতে ভরে উঠে।
.

শীতল রাজ কে দেখছে, রাজ হাজতের লোকেদের দেখছে। চিড়িয়াখানায় যেন এসেছে রাজ। রাজের আনন্দের সীমা নেই। হাজতের আসামিদের সাথে কথাও বলছে হাসিমুখে।
-ভাইজান, আসসালামু আলাইকুম!
-ওয়ালাইকুম আসসালাম।
-আপনার এখানে কেমন ফিলিং হচ্ছে?
-আপনাকে কেন বলব?
-আমিও এখানে থাকব। তাই জানতে চাচ্ছিলাম।
-ফিলিং গুড। একবেলা রুটি, দুইবেলা ভাত খাচ্ছি বিনে পয়সায়। জবরদস্ত আছি।
-আপনাদের এখানে অনেক মজা হচ্ছে তাইনা?
-জ্বি সাহেব। রাতে পুলিশের ডলা খেয়ে বাকি রাত আরামের ঘুম হয়।
শীতল আহত চোখে রাজের কান্ড কারখানা দেখছে।
পুলিশ অফিসার আবার বলল- ম্যাডাম আপনি গিয়ে ওখানে বসুন।
আমাদের ফরমালিটি শেষ হলে যেতে পারবেন।

-এখানে কি নামাজ পড়ার জন্য ব্যাবস্থা আছে? নামাজের সময় হয়ে এলো।
– সরি ম্যাডাম। এখানে নামাজ পড়তে পারবেন না। কোন রুম খালি নেই।
শীতল দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো।
অফিসার বলল-
মুসলিম দেশ হিসেবে এদেশের সব জায়গায় নামাজ পড়ার এরেন্জড করার দরকার। পুরুষদের জন্য অসুবিধা নেই বাট মহিলাদের জন্য অসুবিধা হয়।
শীতল মাথা নাড়ালো।
.
রাজ হন্তদন্ত হয়ে বলল-ক্ষিদে পেয়েছে আমার।
আমি খেতে যাব।
অফিসার বলল-যা খাওয়ার এখানে খান।
আমি ব্যবস্থা করছি।
কিন্তু বাহিরে যেতে পারবেন না।
শীতল রাজের হাত ধরে বলল- এরা কি করলেন?
অফিসারের নাক ফেটে রক্ত পড়ছে। দুটো দাতও ভেঙেছে।
রাজ বলল- আমাদের আটকানোর ও কে?
আমি খেতে বাহিরে যাব।
-আমি এখান থেকে যাব না।
আপনি আমাকে একা রেখে খেতে চলে যাবেন?
-ইম্পসিবল। ওয়াইফ যেখানে হাসব্যান্ডও সেখানে।
শীতল কি করবে ভেবে পেলো না।
শীতল অফিসারের দিকে আহত চোখে তাকালোা।
অনুনয় বিনয় ছাড়া আর কোন পথ নেই শীতলের।
-রাগ করেছো?
-না।
-আমি কিন্তু কিছু করিনি।
-জানি।
-ওয়েটার কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার ওয়াইফ কোথায়?
ওয়েটার বলল-জানিনা স্যার।
-ওআচ্ছা।
-তুমি বলো কার না রাগ উঠবে। সে কেন বলতে পারলো না তুমি কোথায়!
যদি বলতে পারতো তবে কি আমার মাথা গরম হয়ে যেত?
-না।
-এই পুলিশটাও আমাকে তোমাকে খেতে যেতে দিচ্ছিল না। তুমি তো জানো আমার একটু পর পর কত ক্ষিদে লাগে।
-জ্বি জানি।
– আল্লাহ কি আমার উপর রাগ করেছেন?
-কেন?
-আমি যে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ কে মেরেছি।
তুমি বলেছিলে কাউকে মারলে আল্লাহ নারাজ হন।
-ঠিক বলেছিলাম।
-আমার ভয় লাগছে।
-কেন? আমি আছি তো।
-আল্লাহ যদি এখন আমাকে শাস্তি দেয়। আমার তো অনেক পাপ হয়েছে।
-তওবা করে যদি প্রমিস করেন আর কখনো এমন করবেন না তাহলে আল্লাহ আপনাকে মাফ করে দেবে।
আজকের ঘটনার জন্য আমি দ্বায়ী। আপনার সব শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।
-বাঁচালে।
আমার খুব টেনশন হচ্ছিলো আমার জন্য।
শীতল রাজের গাল টেনে দিলো।
-পাগল একটা!
কনস্টেবল কে দিয়ে শীতল রুটি, কলা, কোক আনিয়ে নিলো।
শীতল কলার খোসা ছাড়িয়ে রাজ কে কলা রুটি খাইয়ে দিলো। রাজ কোক খেতে খেতে বলল, আমি সব খেয়ে ফেলেছি।তুমি তো জানো তোমার স্বামীর কত ক্ষিদে? তুমি কিছু খাবে না?
-আপনি খেয়েছেন তাতেই হবে।
-আমি ঘুমুব।
-ঠিক আছে। আসুন!
থানার এক কোণার বেঞ্চে শীতলের কোলে মাথা রেখে রাজ ঘুমুচ্ছে। এক পাশে শীতল বসেছে আর অন্য পাশে রাজ পা তুলে শীতলের কোলে মাথা রেখেছে।
-তোমার নেকাব একটু খুলি?
-হঠাৎ?
-অনেকক্ষণ যাবৎ তোমার মুখ দেখিনা। দেখতে ইচ্ছে করছে।
– না না, নেকাব খোলা যাবেনা। এখানে অনেক মানুষ।
-আমিও তো মানুষ। তাহলে বাসায় কেন তোমার মুখ দেখি?
-আপনি আমার স্বামী।
আপনিই তো আমাকে দেখবেন।
-বাট হোয়াই?
-এটাই আল্লাহ তায়ালার বিধান।
-স্বামী হলে কি মুখ দেখা যায়?
-জ্বি।
এখন যদি ঐ হাজতে থাকা গোঁফ ওয়ালা লোকটা আমি ঘুম পাড়িয়ে দিই তাহলে কেমন হবে?
-খুব খারাপ হবে। তুমি কেন ঐ লোক কে ঘুম পাড়াবে?
আমি ছাড়া কাউকে ঘুম পাড়াতে যাবে না।
-এতোক্ষণে লাইনে এসেছেন। আপনি ছাড়া যেমন কাউকে ঘুম পাড়িয়ে দেব না, তেমনি আপনি ছাড়াও কাউকে মুখ দেখাতে পারব না।
রাজ চুপচাপ ঘুমুচ্ছে।
শীতলের শশুর এসে সব ফরমালিটি পূরণ করে ওদের বাসায় নিয়ে গেলো।
রাজ যাওয়ার সময় বলল – এক মিনিট।
-কি হলো?
রাজ দৌড়ে হাজতিদের সাথে দেখা করতে গেলো।
সবাইকে তার বাবার কাছ থেকে ভিজিটিং কার্ড নিয়ে দিয়ে এলো।
– এই হোস্টেলের মতো দেখতে চিড়িয়াখানা থেকে যখন ঘুরে বের হবেন তখন আমার সাথে দেখা করবেন সবাই। আমরা একসাথে চিড়িয়াখানা দেখতে যাব। খুব মজা হবে।
-আমরা সবাই আসব সাহেব।
-ঐ যে দেখেছেন কালো বোরখা ওয়ালী, ওটা আমার একমাত্র বউ।আমার বউ খুব মজা করে আলুভাজা করে ঘি দিয়ে। আপনারা আলুভাজা খান তো?
রাজ সবাই কে টা টা দিলো।
সবাই রাজকেও টা টা দিলো।
সে এরমধ্যেই কয়েকটা হাজতিকে বন্ধুও বানিয়ে ফেললো সে।
.
শীতল কোরআন তেলওয়াত করছে, রাজ ফ্লোরে বসে দুই গালে হাত দিয়ে চোখ বড় বড় করে আয়াত দেখছে আর তেলওয়াত শুনছে।
শীতল রাজকে বিভিন্ন আয়াতের বাংলা অনুবাদ করে বলে। বিভিন্ন দুআ পড়ে শুনিয়ে সেগুলো মুখস্থ করিয়ে দেয়।
” নামাজে কোন সানাটি পড়লে আসমানের দরজা গুলি খুলে দেয়া হয়?*
*দোআ/ছানা: সালাতের শুরুতে দো‘আ*

তিনবার বলবে,

اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرَاً، اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيراً، اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيراً، وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً

*আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়। আর আল্লাহ্‌র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্‌র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্‌র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা। সকালে ও বিকালে আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি*

আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান। ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসী-রান ওয়াসুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়া আসীলা

অতঃপর বলবে,

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ، وَنَفْثِهِ، وَهَمْزِهِ،

*আমি শয়তান থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তার ফুঁ তথা দম্ভ-অহংকার থেকে, তার থুতু তথা কবিতা থেকে ও তার চাপ তথা পাগলামি থেকে*

আউযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়তানি, মিন নাফখিহী ওয়ানাফসিহী ওয়াহামযিহী

(আবূ দাউদ ১/২০৩, নং ৭৬৪; ইবন মাজাহ্‌ ১/২৬৫, ৮০৭; আহমাদ, আহমাদ ৪/৮৫ তাছাড়া ইমাম মুসলিম ইবন উমর থেকে অনুরূপ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, তবে সেখানে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ১/৪২০, নং ৬০১।)
.
শীতলের মা একদিন এসে মেয়ে কে দেখে গেলো।
শীতল গয়না-ঘাটি পড়ে রাজরানীর মতো সেজেগুজে মায়ের সামনে গেলো।
রাজ শীতলের কথা মতো চুপচাপ রইলো।
শাশুড়ী কে সালাম দিলো।
-আসসালামু আলাইকুম মা!
-ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা। কেমন আছো বাবা?
-আমরা ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ।
-আমি যে তোমার মা হই সেটা জানলে কি করে বাবা?
-ও বলেছে। ও আমার বাবা কে বাবা বলে তাই আমিও ওর বাবা মা কে বাবা মা বলে ডাকব। এটাই রীতিনীতি মা।
-মা কেমন আছিস?
-আলহামদুলিল্লাহ।
-এখনো আমাদের মাফ করিস নি?
-ছিঃ মা। এমন বলো না। তোমরা এমন কিছু করোনি।
শীতলের মা শীতলের কানে কানে বলল- বাবাজী স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বুঝতে পারে?
-কি বলতে চাও?
-বাবা হলে নিশ্চয়ই ভালো হয়ে যাবে বাবাজী।
তুই বরং… । বুঝতে পাচ্ছিস কি বলেছি?
-তোমার মাথাও কি উনার মাথার মতো?
-যা বলছি ঠিক বলছি। সন্তানের মুখ দেখলে ভালো হয়ে যাবে বাবাজী।
আমাদের গ্রামেরও মজিদ পাগলও তো সন্তানের মুখ দেখে ভালো হয়েছে।
-মা তোমার বাবাজী পাগল নন।
-আমি তো তাই বলছি। মাথায় যেসব দোষ আছে সেগুলো চলে যাবে সন্তানের মুখ দেখলে। আল্লাহ খুশি হয়ে বাবাজী কে ভালো করে দেবেন।
-হায় আল্লাহ। কিসব যাতা বলছো?
এমন অবস্থায় সন্তানের কথা কল্পনাও করিনি।
দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় শীতলের মা ইশারা করলো, শীতল কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা নিয়ে।
-শোন মা, হাসান নামের ছেলেটা ভালো হতে পারে। কিন্তু বাড়িতে দুটো জোয়ান মেয়ে। শয়তানের প্ররোচিত হয়ে অঘটন ঘটতে পারে।
তুই আরেকটু সাবধান থাক আগে থেকেই।
বিকেলে রাজ শাকিলার সাথে বসে বসে লুডু খেলছিলো বেলকুনি তে।
শীতল পত্রিকা পড়ছিলো আর ভাবছিলো মায়ের কথা।
মায়ের বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
রাজের মাঝে মধ্যে জীবন মরণ সমস্যা হয়ে যায়। নিজের কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আত্মহত্যার প্রবণতা আছে। এই সময় কিনা বাবা হবে! বাবা শব্দ বানান করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
.
.
শীতলের মা আর শীতলের চাঁচি শাশুড়ী একসাথে ঘুমিয়েছে। চাঁচি খোঁচা দিয়ে কথা বলে কিন্তু শীতলের মা হেঁসে হেঁসে সব উওর দেয়।
চাঁচি মনে মনে ভাবে, শীতলের থেকেও তার মা বেশি বিনয়। শীতল কে আজ পর্যন্ত কঠোর তম গালাগাল দিয়েও মুখ থেকে একটু আহা! টুকুও বের হতে দেখেনি চাঁচি। মুখমুখভর্তি শুধু হাসি আর আল্লাহর বাণী প্রতি কথায়। দেখতে তো হবে কোন মায়ের মেয়ে শীতল। শীতল মাষ্টার হলে তার মা শিক্ষামন্ত্রী।
.
শীতল ঘুমিয়ে আছে, হঠাৎ কারও ঠান্ডা স্পর্শ পেলো সে।
শীতলের উপর পা তুলে গলায় মুখ গুজে রাজ কানে কানে বলল- একটা গোপন কথা বলি?
-অনুমতি না দিলে কি বলবেন না?
– আচ্ছা শ্রেয়সী, গালে চুমু দিলে কি মেয়েরা প্রেগন্যান্ট হয়?
-মানে? এসব কথা কোথা থেকে শিখেছেন?
রাজ হেঁসে শীতলের গালে কয়েকটা চুমু দিলো ভয়ে ভয়ে। এই ধরনের কথা রাজকে কে বলল?
.
❤আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নামের দুটি নাম ❤
১১. ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻖُ আল-খলিক্ব সৃষ্টিকর্তা, (শূন্য থেকে)
১২ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺉُ আল-বারি’ বিবর্ধনকারী, নির্মাণকর্তা, পরিকল্পনাকারী ❤
চলবে…….

#লালগোলাপ❤
Writer_Moon Hossain
Part_14

-মা তুমি আর কিছুদিন থাকতে পারবে?
-না রে মা।
তোর বাবা কে দেখার কেউ নেই।
-বড় আপা তো আছে।
-কোমল কে তুই তো জানিস। ওর মাদ্রাসায় ক্লাস নিতে হয়, সব সময় আল্লাহর এবাদতে মশগুল থাকে। কি যে সুন্দর করে সুরেলা গলায় তেলওয়াত করে। অবশ্য তোর মতো তেলওয়াত করতে পারেনা। সংসারের কাজকর্ম, তোর বাবা কে দেখা, এতোকিছু করতে হিমশিম খেয়ে যাবে বেচারি। ও তো তোর মতো সবকিছু গুছিয়ে কাজ কর্ম করতে পারেনা।
-তবুও মা কিছুদিন আমার কাছে থেকে যেতে পারতে।
-ক্লান্ত হয়েছিস নিজের সংসারে?
-না মা। পরের সংসার হলে ক্লান্ত হয়ে যেতাম কিন্তু নিজের সংসারে আবার ক্লান্তি কিসের।
– তা ঠিক বলেছিস।
আমার একটা কথা রাখবি?
-রাখব কিনা সেটা বলা কথার উপর নির্ভর করছে।
মেয়ের মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ করে শীতলের মা বলল- আমার সাথে কিছুদিনের জন্য তোর বাড়িতে চল। মাথা থেকে সব চিন্তা বাদ দিয়ে কিছুদিন আমাদের সাথে থাক। এতো বড় সংসার আর অসুস্থ স্বামীর সেবা করতে করতে তুই নিজের দিকে খেয়ালও করছিস না।
তোর সারা গায়ে ফোসকার দাগ বসেছে, তখন কতটা কষ্ট পেয়েছিলি। চেহেরার কি হাল হয়েছে রে মা।
-এগুলো আমার ভালোবাসার দাগ। আর আমার বাড়ি মানে?
-তোর বাবার বাড়ি, তোর নিজের বাড়ি।
-বিয়ের পর এটাই আমার বাড়ি মা।
আমার সংসার আর স্বামী ছেড়ে কোথাও য়াচ্ছিনা মা।
তুমি যেমন তোমার স্বামী ছাড়া থাকতে পারো না কোথাও, ঠিক তেমনি আমিও আমার স্বামী ছাড়া আমিও কোথাও থাকতে পারিনা।
.
– কি চাই?
-তোমাকে?
-সেটার প্রয়োজন দেখছি নাতো৷
রাজ শীতলের গালে একটা চুমু দিলো।
-আরেকটা চুমু কি দিতে পারি?
-আগেরটা অনুমতি ছাড়া দিয়েছেন, পরেরটার জন্য আবার অনুমতি?
-একটা কথা বলব?
-জ্বি।
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম।
-তুমি আমার সাথে খেলবে এখন?
শীতল কড়াইয়ে তেল দিলো আরও কিছুটা। মাছ উল্টিয়ে রাজের দিকে তাকালো।
-তেল ছিটে গায়ে পড়বে। রান্নার ঘর থেকে বের হন।
-না।
আমি খেলব।
-আমি কাজ করছি। এখন খেলা যাবে না
বড় আপার সাথে খেলুন।
-রাফিয়া কলেজে।
-ছোট আপার সাথে খেলুন।
– রাফা স্কুলে গিয়েছে।
-হাসান ভাইয়ের কাছে যান। কুমিরের গল্প শুনুন গিয়ে।
-হাসান টিউশনে আছে।
-উফফ, যান তো যান। বিরক্ত করবেন না। অসাবধানে আপনার গায়ে তেল ছিটে যেতে পারে।
-তেল ছিটে লাগুক। তবুও আমি যাব না। আমি খেলব।
শীতল রাজের দিকে আহত চোখে তাকিয়ে নাকে নাক ঘষে বলল,
-আরে বাবার আমি বিজি।
রাজও শীতলের নাকে নাক ঘষে বলল,
-ঠিক আছে। তবে শাকিলার সাথে গোল্লাছুট খেলতে গেলাম।
-এই না না।
-টা টা। বাই বাই। আমি খেলতে গেলাম।
-আমি খেলব, আমি খেলব।
-তুমি তো বিজি।
-আমি টোটাল ফ্রী।
-তবে চলো।
শীতল রাজের নাকে নাক টেনে বলল- আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে?
রাজ বিস্ম জয়ের হাসি দিলো।
.
শীতল গাছে পানি দিচ্ছিলো বারান্দায়।
অমনি রাজ দুলতে দুলতে পেছন থেকে এসে শীতলের কোমর জড়িয়ে ধরলো।
-কিছু চাই আবার?
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম।
-I love you অর্থ কি?
-ভেবে বলতে হবে।
-তুমি পারো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
রাজ হাসলো।
-হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?
-শাকিলা আমাকে আই লাভ ইউ এর অর্থ জিজ্ঞেস করেছিলো।
-আপনি বাংলা বলেছেন?
-ইয়েস। ও বলল ও জানে না। আমি তো জানি তাই বলেছি।
তুমি তো জানো তোমার স্বামী সব জানে।
শীতলও রাজের হাসিতে জোর করে ঠোঁটে হাসির রেখা টানলো।
শীতলের মা শীতলের কথা তে আরও দুদিন থেকে চলে গেলো। যতদিন ছিলো ততদিন রাজ খোঁজ খবর নিয়েছে, বার বার সালাম দিয়েছে। মা মা করে ডেকেছে। রাজ বলেছে, মা আমি তো আপনার ছেলে, তাহলে আপনি আমাদের সাথে সব সময় থাকেন না কেন? থেকে যান না মা। আপনার আলুর চপ খেতে খুব মজা।
-আচ্ছা বাবাজী আলুর চপ এতো পছন্দ তাহলে আমি বানিয়ে পাঠিয়ে দেব।
রাজের চাঁচি মায়ের সাথে তিনি বেশ মানিয়ে নিয়ে ছিলেন নিজেকে যদিও সবসময় অস্বস্তিকর কথা বার্তা বলেছে চাঁচি।
যাওয়ার সময় বলেছিলো,
– মা শীতল।
-জ্বী মা?
-তোমার শশুর বাড়ির সবাই তোমাকে ভালোবাসবে সেটা আশা করো না।
-সেটা তুমি ভেবো না। আমি বুঝতে পেরেছি।
-তোমার শাশুড়ী নেই। আমিও তোমার সাথে নেই। চাঁচি শাশুড়ী এখানে আছেন যেহেতু, উনিই তোমার মা। তোমার গুরুজন।
-জ্বি মা। আমি জানি।
রাজের চাঁচি পায়ের উপর পা তুলে বিধায় দিলো শীতলের মা কে।
– অনেক দিন থেকে গেলেন বড়লোকের বাড়িতে। নিজের বাড়ির কথা মনেও পড়েনি।
-জ্বি বেয়াইন। মেয়ের জ্যামাই হলো ছেলের মতো, আমার তো ছেলে নেই। শীতল আমার মেয়ে আর রাজ আমার ছেলে, ছেলেমেয়ের কাছে থাকলে তো নিজের বাড়ির কথা মনেই পড়বে না বেয়াইন। আচ্ছা বেয়াইন অনেক দিন একসাথে থাকা হলো। আমার বড় মেয়ের সামনে বিয়ে, আপনি অবশ্যই আসবেন। মেহমানদারি তোলা রইলো। আসি বেয়াইন।
গাড়িতে উঠার সময় শীতলের মা মেয়ের কানে কানে বললেন – ঐ দিনের কথা গুলো ভেবে দেখ মা। সন্তানের মুখ দেখলে বাবাজী ভালো হয়ে যাবে।
তুই বাবাজী কে একটা সন্তান উপহার দে মা।
শীতল ঐ দিন থেকে বেশ অস্হির হয়ে আছে। মায়ের কথা গুলো তার কানে বাজছে। সেদিন রাজের কাছ থেকে একটু দূরে দূরে থাকলো সে।
রাজ ইদানীং শাকিলার সাথে সহজ হয়েছে। শীতল কে এখন আর বিরক্ত করেনা সে।
শীতল বিষয়টি খুব লক্ষ্য করেছে। শাকিলার সাথে সারাক্ষণ মেতে থাকে রাজ।
কখনো দাবা, কখনো লুডু, আবার কখনো কানামাছি খেলে করে দুজন মিলে।
শাকিলা কম্পিউটার নিয়ে বসেছে একটা ই-মেইল করার জন্য।
-আপা আসতে পারি?
শাকিলা মাথা নাড়ালো।
-দুধ টুকু খেয়ে নেবেন গরম গরম।
শাকিলা মাথা নাড়ালো।
-কিছু বলবে?
বলে বিধেয় হও, ইম্পর্ট্যান্ট কাজ করছি৷
-একটা ছেলে আর একটা মেয়ের কখনো কাছাকাছি মেশা উচিৎ না। ছেলেটা যদি বিবাহিত হয় তাহলে আরও না।
-কথাটা কি আমায় বললে?
-আমার জানা মতে আপনি বোকা নন।
-গেট লস্ট নাউ।
-জ্বি। দুধটুকু খেয়ে নিন। ঠান্ডা দুধ তো আপনি খেতে পারেন না আপা।
-জাস্ট আউট।

জোহরের সময়ে শীতল নামাজ পড়ে দোয়া পড়তে শুরু করলো, কিছু চাওয়ার সময় সবার উচিৎ মহানবী (সাঃ) এর মতো দোয়া দুরুদ পড়ে চাওয়া। মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি লাভ করে চাওয়া পাওয়া গুলো নিশ্চয়ই পূরণ করে দেবেন। শীতলের মনে বেশ কয়দিন ধরে যে অস্হিরতা কাজ করছে তা কমানোর উপায় হলো আল্লাহর এবাদত।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বয়ং এই দু’আ পড়ে মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করতেন। দু’আটির অর্থ, মূল ভাব, কাংখিত আবেদন খেয়াল করুন।
.
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ
.
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ
.
.
বাংলা উচ্চারণঃ (আরবীর মতো পরিপূর্ণ নয়)

আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ফি’লাল খাইরাত ওয়া তারকাল মুনকারাত, ওয়া হুব্বাল মাসাকিন, ওয়া আন তাগফিরালী ওয়াতারহামানী ওয়া ইযা আরাদতা ফিতনাতা ক্বাওমীন ফাতাওয়াফ্ফানী গাইরা মাফতুন।
.
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুব্বাক। ওয়া হুব্বা মান ইয়ু হিব্বুক। ওয়া হুব্বা আমালীন ইয়ুক্বাররিবু ইলা হুব্বিক।
.
বাংলা অর্থঃ (ভাবার্থ)

“হে মহান আল্লাহ তা’আলা, আমাকে সৎ কাজ করা, অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা ও দরিদ্রদের ভালোবাসার তাওফীক দান করুন। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। আমার উপর দয়া করুন। আর আপনি যখন কোন জাতিকে কোন ফিতনাহতে (পরীক্ষা) ফেলার ইচ্ছা করেন, তখন আমাকে ফিতনাহ-মুক্ত মৃত্যু দান করুন।
.
হে মহান আল্লাহ তাআলা,
আমি আপনার ভালোবাসা প্রার্থনা করি। যাঁরা আপনাকে ভালোবাসে, তাঁদের ভালোবাসাও প্রার্থনা করি। এবং এমন আমলের ভালোবাসা প্রার্থনা করি, যেই আমল আমাকে আপনার ভালোবাসার কাছে পৌঁছে দেবে।”
.
[জামে’ তিরমিযীঃ অধ্যায় ৪৭ (কিতাবুত তাফসীর), হাদীস ৩৫৪৩]
শীতল দোয়া পড়ার সময় হু হু করে কেঁদে উঠলো। ঘুমন্ত রাজের দিকে একবার তাকিয়ে থেকে আবার কেঁদে উঠলো। বিয়ের কয়েকটি মাস পেড়িয়েছে। সবটুকু দিয়ে স্বামী সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছে সে।
কখনো পাগল বলে এতোটুকুও অবহেলা করেনি। আল্লাহর কাছে এই নিয়ে কোন অভিমানও করেনি শীতল। কোন আফসোস করেনি নিজের ভাগ্য নিয়ে কারণ মানুষ ভাগ্য দিয়ে সুখী হয় না, সুখী হয় নিজের কর্ম দিয়ে। শীতল সর্বদা সব রকম পরিস্হিতি তে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। নিজেকে আল্লাহর কাছে সৎ রেখেছে। আল্লাহর এবাদত করেছে রাত-ভর।
আল্লাহ তায়ালা কি কখনো শীতলের স্বামী কে ভালো করবে না?
.
টেবিলে সবাই দুপুরের খাবার খাচ্ছে। রাজ কে কাঁটা বেছে মাছ খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, রাজ রাফা আর রাফিয়ার সাথে মুখে ভেঙ্গচি কাটছে মাঝে মাঝে। তিন ভাই বোন খুব দুষ্টু।রাফা ক্লাস টেস্টে ফেল করেছে।সেটা কাউকে জানায়নি সে।
রাজ খাওয়ার সময় শীতলের হাতে কামড় দিচ্ছে মাঝে মধ্যে। শীতল গরম চোখে রাজের দিকে তাকিয়ে থাকে কামড় দেওয়ার পর।
– আমি বাবা হব।
সবাই রাজের দিকে তাকালো।
-আমি বাবা হতে চাই। আমি তো বিয়ে করেছি। বিয়ের পর তো বেবি হয়।
বেবিদের নিয়ে খেলব।
সবাই রাজের কথায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।
সবচেয়ে বেশি শীতল।
চাঁচির গলায় খাবার আটকে গেলো।
শাকিলার হাত থেকে পানির গ্লাস পড়ে গেলো। রাফিয়া মনে মনে কি যেন ভাবছে আর চুপচাপ খাচ্ছে। রাফা উচ্চ স্বরে হাসছে।
-শ্রেয়সী আমাকে পা দিয়ে কেন খোঁচা দিচ্ছো?
চাঁচি বলল-ছেলেটা মান সম্মান নষ্ট করে দিলো।
কোথায় কি বলতে হয় জানে না। বউটাও হয়েছে কিছু আদব কায়দা ছেলেটা কে শেখায় নি।
রাজের বাবা বলল- বৌমার দোষ নেই। রাজ তো ছেলেমানুষী করে সব সময়। অবুঝ মন, কিছু বোঝেনা।
– আমি সব বুঝি বাবা।
-কি বুঝো তুমি?
-বিয়ের পর বেবি হয়।
বাবা আমাদের বিয়ের পর তো বেবি হচ্ছে না।
তোমারও তো বিয়ে হয়েছে।
তুমি কি আমাকে একটু বলে দেবে কেন হচ্ছে না বেবি?
রাজের বাবা দারুণ লজ্জা পেলো।
-আহ! শ্রেয়সী। আমার পায়ে ব্যাথা দিচ্ছো কেন?
শীতল নানা ভাবে ইশারা করছে রাজ কে থামাতে।
লজ্জায় শীতল মরে যাওয়ার উপক্রম।
-বাবা তুমি মনে হয় জানো না।
-হ্যাঁ বাবা জানিনা।
আমার ফাইল দেখতে হবে। আমি বরং উঠি।
-চাঁচি মা আপনার তো বিয়ে হয়েছে। আপনি কি বিষয় টা আমাকে বুঝিয়ে বলবেন?
এবার চাঁচি ফাঁদে পড়েছে।
সবাই চাঁচির দিকে তাকিয়ে আছে, চাঁচি কি বলে তার জন্য। চাঁচির মুখ দেখে মনে হচ্ছে হু হু করে কেঁদে দেবে এখনই।
-চাঁচি বলুন প্লিজ? বলুন না? আমিও বাবা হব,শ্রেয়সী মা হবে।
.
❤আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নামের দুটি নাম ❤
১৩. ﺍﻟْﻤُﺼَﻮِّﺭُ আল-মুসউয়ির আকৃতিদানকারী
১৪. ﺍﻟْﻐَﻔَّﺎﺭُ আল-গফ্ফার পুনঃপুনঃ মার্জনাকারী। ❤
চলবে……