শুধু তোমায় ঘিরে পর্ব-১০

0
2618

?শুধু তোমায় ঘিরে?

#মেঘা আফরোজ…..?
#পর্ব-১০…..?

?

রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে আমি রিশা আপু আজকের তোলা ছবিগুলো দেখছিলাম তখনি তিশা হনহন করে রুমে ঢুকলো বিড়বিড় করতে করতে ধপ করে আমার পাশে বসলো ওকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো বিষয় নিয়ে রেগে আছে।
তিশা আমার দিকে ঘুরে বলতে লাগলো
..এই মেঘা আমার ফেসটা কি পিচ্চি বাবুদের মতো দেখতে? আমার চোখ দুটো কি গুলির মতো?
..না একদম না! কে বলেছে তোকে?
..একটা বাদর বলেছে। নিজেকে কি ভাবে কি হ্যা হিরো?হুহ হনুমান একটা। আবার আমাকে কি বলে জানিস বলে এই যে পিচ্চি তুমি যে এখনো সিংগেল আছো সে জায়গাটা কি আমার জন্য রেখে দিয়েছো! আমি সিংগেল থাকলে ওই হনুমানটার কি শুনি?বলে কিনা তার জন্য জায়গা রেখেছি।

তিশা যে ব্যাপক রেগে আছে বেশ বুঝতে পারছি ও রেগে গেলেই এমন ননস্টপ কথা বলতে থাকে। কিন্তু রাগলো কার ওপর হনুমান বাদর কাকে বলছে! আয়ান ভাইয়া নয়তো? তিশাকে বললাম
..এতো রেগে আছিস কেনো কে এসব বলেছে তোকে?
..কে আর বলবে তোর ওই হনুমান ভাই আয়ান না কি নাম সে বলেছে। আমার এতো সুন্দর চোখ আর ওই বাদরটা বলে গুলির মতো। বলে দিস তোর ওই ভাইকে এই চোখ দেখে কতো ছেলে ক্রাশ খায়। ইচ্ছে তো করছে হনুমানটাকে পচাঁ পানিতে চুবাতে।

ওর এমন কথা গুলো শুনে রিশা আপু তো হা করে বসে আছে আমার খুব হাসি পাচ্ছিলো ভাইয়া পিচ্চি বলেছে তাতে এতো রাগ কিন্তু এখন কি করছে পুরোই তো পিচ্চিদের মতো মুখ ফুলিয়ে রেখেছে। রিশা আপু আমার দিকে তাকালো আমিও তাকালাম তারপর দুজনেই একসাথে ফিক করে হেসে উঠলাম। আমাদের হাসতে দেখে তিশা রাগি লুকে আমাদের দিকে তাকিয়ে
..মেঘা হাসছিস কেনো তোরা এভাবে?
..হাসবো না এই সামান্য কিছু কথাতে কেউ এতো রাগ করে! ভাইয়া তো মজা করেছে এটাও বুঝিস না গাধা।
..ওওও এখন আমি গাধা হয়ে গেলাম তাইনা?আর তোর ভাইয়া তো খুব ভালো! তুই আমার বেস্টি হয়ে আমাকে সাপোর্ট না করে নিজের ভাইকে করছিস।
রিশা আপু হাসি থামিয়ে বললো
..আরে তিশা রাগ করে না বোনটি তুমি যদি এসব কথায় এমন ভাবে রেগে যাও তাহলে তো আয়ান ভাইয়া আরো বলবে।

তিশা আর কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে। রিশা আপু বললো
..মেঘা ওর সাথে যাও কোথায় গেলো দেখো নতুন জায়গা তারপর রাত ভয় পেতে পারে।
আমি রিশা আপুর কথায়। বাইরে এসে তিশাকে কোথাও দেখছি না। তাসিন পেছন থেকে বললো
..মেঘা কাউকে খুজছো?
..হ্যা।তিশা কোন দিকে গেছে দেখেছেন?
..হুম দেখলাম আপুর রুমের দিকে গেলো। দেখে মনে হলো রেগে আছে কিছু বলেছো নাকি?
তাসিনকে তিশা আর আায়ান ভাইয়ার কথা গুলো বললাম সব শুনে তাসিন ও হাসছে।
..মেঘা আমার কি মনে হয় জানো আয়ান তিশাকে পছন্দ করে।
..আমারো সেটাই মনে হয় আসার পর থেকেই তো আয়ান ভাইয়া তিশাকেই ফলো করে সব সময়।
..যদি তাই হয় ভালোই হবে মানাবে ওদের।
..হুহ আর মানা। তিশা তো আজ আয়ান ভাইয়ার ওপর চরম ক্ষেপেছে ওর জেদ অনেক দেখেন কাল সকালেই বলে না বসে এখানে আর থাকবে না।

. ?

আজকে আমাদের প্ল্যান নদীর পাড়ে ঘুরতে যাবো আসলে নদী নয় একটা নালা বললেই চলে এটা পদ্মা নদীরি একটা শাখা। তমা আপু আজ আসেনি,,,,ইমরান ভাইয়া সহ আমরা সবাই এসেছি। তিশা সবার ওপর রেগে থাকলেও আমার ওপর রেগে থাকতে পারে না এখন আমার সাথে ভালো ভাবেই কথা বলছে। আয়ান ভাইয়া তো এখনো ওকে এটা সেটা বলে খুচিয়ে চলেছে আর তিশা সবার সামনে কিছু বলতে না পেরে রাগে ফুসছে।
..মেঘা তোর ভাইকে থামতে বলবি আমি কিন্তু ফিরে যাবো এমন করলে।
..আচ্ছা রাগ করিস না আমি দেখছি।
আয়ান ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললাম
..ভাইয়া কি শুরু করেছো বলোতো তিশা কিন্তু রেগে যাচ্ছে।
..ওকে রাগাতে আমার বেশ লাগছে। রাগি চোখে যখন তাকায় উফফ দারুন লাগে দেখতে।
..কি ব্যাপার ভাইয়া তুমি ওর প্রেমে পড়ে যাও নি তো?
..তা আর বলতে সেই প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছি। আনমনেই বললো।
আমি তো অবাক হয়ে জোরেই বলে উঠলাম
..ভাইয়া সত্যি বলছো!!
..এই রে কি বলে ফেললাম এখন তো মেঘ সবাইকে বলে দিবে। মনে মনে বললো।
..কি হলো ভাইয়া!
..আরে মেঘ আমি তো মজা করে বলেছি তাছাড়া কিছু না।
তাসিন আয়ান ভাইয়ার কাধের ওপরে হাত দিয়ে হেসে বললো
..বুঝেছো মেঘা আমি কিন্তু সত্যিই আয়ানের চোখে কারো জন্য অন্য রকম ছায়া দেখেছি। আর সেটা হলো তিশা আয়ান আমাদের কাছে লুকাস না বল সত্যিটা?
আয়ান ভাইয়া কিছুটা লজ্জা পেয়ে মাথা চুলকে বললো
..আসলে তাসিন তোরা ঠিকি ধরেছিস আমি…..
..ভাইয়া তুমি কি মেয়ে যে লজ্জা পাচ্ছো থাক আর বলতে হবে না উত্তরটা পেয়ে গেছি।

. ?

আমি আর তাসিন আয়ান ভাইয়ার সাথেই কথা বলছিলাম হঠাৎ করেই চারিদিকে দমকা হাওয়া বইতে লাগলো আকাশে কালো মেঘ জমেছে। আয়ান ভাইয়া তাসিনকে বললো
..তাসিন এখন বাড়িতে ফিরতে হবে যেকেনো মুহুর্তে ঝড় হতে পারে। রোহান আর রিশাকে ফোন দিয়ে এখানে আসতে বল। ইমরান ভাইয়াও দৌড়ে আসলো।
..মেঘা, তিশা তোমাদের এখানে আসেনি?
..তিশা তো আপনার সাথেই ছিলো ভাইয়া এখানে আসেনি তো!!
..তাহলে কোথায় গেলো! আমার সাথেই ছিলো আমি তোমার আপুর সাথে ফোনে কথা বলছিলাম তারপর পেছনে ঘুরে ওকে না পেয়ে ভাবলাম তোমাদের সাথে আছে। আচ্ছা রোহানদের সাথে নেই তো?
তখনি রোহান ভাইয়া রিশা আপু আসলো তিশা ওদের সাথেও নেই।
আয়ান ভাইয়া উত্তেজিত হয়ে বললো।
..তিশা তো ওদের সাথেও নেই কোথায় গেলো?

আমার এবার খুব ভয় লাগছে গেলো কোথায় তিশা? এমনিতে নতুন জায়গা অন্ধকার হয়ে আসছে যেকোনো সময় ঝড় শুরু হবে। আমরা সবাই মিলে ওকে খুজে চলেছি পাচ্ছি না ডাকছি তার ও সাড়া নেই। আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিলো তিশাকে না পেয়ে।
তাসিন আমাকে বললো
..মেঘা দুশ্চিন্তা করো না তিশা এদিক ওদিক কোথাও আছে আমরা দেখছি।
..তিশার কিছু হয়নি তো?কাঁদো কাঁদো গলায়।
..ধুর কি সব ভাবছো ও ঠিক আছে। তুমি রিশা আর ইমরান ভাইয়ার সাথে ওই বড় গাছটার নিচে গিয়ে দাড়াও আমরা দেখছি।

আয়ান ভাইয়া পাগলের মতো খুজে চলেছে তিশাকে ভাইয়ার চোখ দুটো লাল টকটকে হয়ে গিয়েছে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ। তাসিন আয়ান ভাইয়াকে বললো
..আয়ান তিশা পাশের জঙ্গলের দিকে যায়নি তো?
আয়ান ভাইয়া একটু কেপে উঠে বললো
..হতেই পারে তাসিন আমি যাচ্ছি জঙ্গলের দিকে।
আয়ান ভাইয়া তাসিনকে কিছু বলতে না দিয়ে ছুটে গেলো জঙ্গলের দিকে।
..আরে আয়ান কি করছিস একা যাস না দাড়া আমিও যাবো। চেঁচিয়ে বললো তাসিন।
আয়ান ভাইয়া না দাড়িয়ে ঢুকে গেলো জঙ্গলে।

তাসিন ফিরে এসে ইমরান ভাইয়াকে বললো
..ভাইয়া আপনি মেঘা আর রিশাকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান আমরা তিশাকে খুজে নিয়ে আসছি।
..না আমি যাবো না তিশাকে ছাড়া আমি কোথাও যাবো না।
..পাগলামো করো না মেঘা বাতাস বাড়ছে তোমরা যাও আমরা যেভাবেই হোক তিশাকে নিয়ে ফিরবো।
তাসিন জোর কোরেই পাঠিয়ে দিলো আমাদের। আমি তো ভয়ে কেঁদেই চলেছি।

. ?

ওদিকে তিশা জঙ্গলের মধ্য এদিক ওদিকে ছুটে বাইরে বেরোনোর পথ খুজছে কিন্তু এতো বাতাস আর অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারনে পথ খুজে পাচ্ছে না। এতোটাই ভয় পেয়েছে যে চিৎকার করে কাউকে ডাকার শক্তিটাও পাচ্ছে না। বাতাস বেড়েই চলেছে সাথে বৃষ্টি হচ্ছে গাছপালা গুলো একটার ওপর আর একটা এসে আছড়ে পড়ছে। তিশা কোনো পথ না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতেই একটা বড় গাছের নিচে গুটিশুটি মেরে বসে পড়লো।

তাসিন আর রোহান ভাইয়া একসাথে তিশাকে খুজছে,আয়ান ভাইয়া কোথায় আছে ওরা সেটাও জানে না প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে সাথে বৃষ্টি। রোহান ভাইয়া তাসিনকে বললো
..তাসিন এখন কি করবো তিশাকে তো কোথাও পাচ্ছি না সন্ধে পাড় হতে চললো।
..আমিও বুঝতে পারছি না এটুকু সময়ে মেয়েটা গেলো কোথায়! বাতাসের কারনে তো এগোতেও পারছি না তেমন কিছু দেখাও যাচ্ছে না। তোর ফোনের ফ্লাস লাইট অন কর আমার টার চার্জ শেষ।

আয়ান ভাইয়া পাগলের মতো খুজছে তিশাকে হঠাৎ পায়ে কিছু একটা বাধলো ফোনের আলোটা নিচে ধরে দেখলো তিশার গায়ে যে ওড়না ছিলো ওটা পড়ে আছে। মুহুর্তেই চমকে উঠলো উনি। ওড়নাটা হাতে নিয়ে
..এটা তো তিশার ওড়না!এখানে পড়ে আছে কেনো ওর বড় কোনো বিপদ হয়নি তো? নাহ এ আমি কি ভাবছি ওর কিছু হতে পারে না।
আয়ান ভাইয়া সামনে এগোতে লাগলো কিছুটা দুরে ফোনের ফ্লাসের আলো পড়তেই সাদা কিছু চকচক করে উঠলো। আয়ান ভাইয়া দ্রুত সেদিকেই এগিয়ে গেলো। সেখানে আসতেই আয়ান ভাইয়া স্বস্থির নিশ্বাস ফেললো। আর একটু এগিয়ে বড় গাছটার নিচে গিয়ে হাটু ভেঙে বসে পড়লো আয়ান,,,,,তিশা হাটুতে মুখ গুজে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। গায়ে থাকা সাদা রং এর টপসটা ভিজে লেপটে আছে শরীরে।

আয়ান নিজের হাতে থাকা ওড়নাটা তিশার গায়ে মেলে দিয়ে কাপা কাপা গলায় ডাকলো
..ত তিশাা
তিশা পরিচিত কারো কন্ঠ শুনে নিজের মাথাটা ওপরে তুললো। ফোনের আলোটা আয়ানের মুখে পড়েছে তিশা সামনে আয়ানকে দেখে হু হু করে কেঁদে উঠলো।
আয়ান কিছুটা রেগেই বললো
..এই মেয়ে তোমার কোনো কমন সেন্স নেই?ঝড়ের মধ্য জঙ্গলে কি করতে এসেছো তুমি?তোমার কোনো ধারনা আছে কতোটা টেনশন হচ্ছিলো আমার। শুধু আমার কেনো বাকী সবাই কতোটা দুশ্চিন্তায় আছে জানো তুমি? কি হলো কথা বলছো না কেনো?
আয়ান ভাইয়ার এমন ধমকানিতে তিশা কেঁপে উঠলো।
আয়ান ভাইয়া মনে মনে বলছে
..ধেত আয়ান কি করছিস তুই মেয়েটা এমনিতে ভয় পেয়ে আছে।
আয়ান দুহাতে তিশার গালে হাত রেখে নরম স্বরে বললো…সরি তিশা আমার মাথা ঠিক ছিলো না। জানো কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম তোমাকে না পেয়ে। তিশা কিছুই বলছে না এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ানের দিকে।
হঠাৎই বিদ্যুৎ চমকে উঠলো তিশা ভয় পেয়ে জাপটে জড়িয়ে ধরলো আয়ান ভাইয়াকে।
তিশা এভাবে জড়িয়ে ধরায় আয়ান ভাইয়ার বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো ঠিক কি ঘটলো!!বুঝতে পেরে মুচকি হেসে আয়ান ভাইয়াও তিশাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো।
প্রিয় মানুষটিকে যদি এমন অযুহাতেও একটু খানি কাছে পাওয়া যায় ক্ষতি কি তাতে!!

তিশা আয়ান ভাইয়াকে এভাবে জড়িয়ে ধরে লজ্জিত বোধ করছে উনাকে ছেড়ে মাথা নিচু করে আস্তে করে বললো
..সরি আসলে…
..সরি কেনো বলছো আমি কিছু মনে করি নি।
তিশা একদম ভিজে গিয়েছে আয়ান ভাইয়া নিজের গায়ে থাকা শার্টটি খুলে তিশার গায়ে জড়িয়ে দিলো। তিশা অবাক চোখে তাকিয়ে বললো
..ভাইয়া আমার লাগবে না আপনি গায়ে পড়ে নিন শার্টটা।
..চুপ কোনো কথা নয় দেখি আমার হাত ধরো বের হতে হবে এখান থেকে।
আয়ান ভাইয়ার হাত ধরে তিশা উঠে দাড়ালো এখনো বৃষ্টি পড়ছে বাতাস অনেকটাই কমে এসেছে। আয়ান ভাইয়া নিজের ফোন হাতে নিয়ে দেখলো চার্জ আছে ৩%। চিন্তায় পড়ে গেলো অন্ধকারে কিভাবে বের হবে এখান থেকে। একটু ভেবে তাসিনকে কল দিলো অফ পেয়ে রোহান ভাইয়াকে কল দিতে গিয়ে দিলো না। ম্যাসেজ এ লিখে দিলো তিশাকে পেয়েছে ওরা যেনো চিন্তা না করে।

. ?

বৃষ্টি কমে গিয়েছে ফোনটা অফ হয়ে গিয়েছে এই অন্ধকার জঙ্গল থেকে এখন কোনো ভাবেই বের হওয়া সম্ভব নয়। তিশার দিকে তাকিয়ে দেখলো ও কাঁপছে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে।
..তিশা একটা কাজ করো তোমার গায়ের ওড়নাটা খুলে চিপে মাথাটা মুছে নাও আর শার্টটাও চিপে আবার গায়ে জড়িয়ে নাও।
তিশা তাই করলো তারপর কাপা কাপা গলায় আস্তে করে বললো।
..ভ ভাইয়া ধন্যবাদ।
..কেনো? ভ্রু কুঁচকে বললো।
..এ একা একা খুব ভয় লাগছিলো আ আমার।
..এখন ভয় লাগছে না?
..উহু।
আয়ান ভাইয়া গাছে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিলো তিশার হাত ধরে রেখেছিলো। খেয়াল করলো তিশার হাত খুব গরম উনি তিশার কপালে হাত দিয়ে দেখলো কপালটাও অনেক বেশি গরম।
..একি তিশার তো জ্বর এসে গেছে কি করি এখন? এখন তো বের হওয়ার ও উপায় নেই সকাল না হওয়া অবদি। ওর হাত ধরেই বুঝতে পারছি ও কাপছে এভাবে থাকলে তো জ্বরটা আরো বেড়ে যাবে।
এসব ভাবতে ভাবতে মনে হলো তিশা মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। আয়ান ভাইয়া আর কিছু না ভেবে তিশাকে কাছে এনে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে। আয়ান ভাইয়া খালি গায়ে থাকায় তিশা উষ্ন ছোয়া পেয়ে উনার বুকের সাথে আরো মিশে গেলো।

?

#চলবে. . . ?