সি আইডি অফিসারের ভালোবাসা Last Part

0
1215

গল্প: সি আইডি অফিসারের ভালোবাসা
#Raihan
Last part

.
আর কোমড় থেকে চাকুটা ধরার চেষ্টা করছি।
অবশেষে এক সময় চাকুটা ধরতে সক্ষম হই।
আর চাকুটা বের করে আস্তে আস্তে অনেক কষ্টে হাতের বাধনটা কেটে নিই।
আর তারপর সবার হাতের বাধনগুলো কেটে যেই মাত্র বের হতে যাবো ঠিক তখনি আমার ফোনে একটা কল আসে।
কল আসার সাথে সাথেই আমি ভয় চমকে ওঠি।
এতক্ষণ ফোন যে আমার সাথে ছিলো সেটা মনেই ছিলো না।
আমি ভেবেছিলাম হয়ত ফোনটা ওরা নিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোনটা পকেটেই আছে।
ফোনটা রিসিভ করার সাথে সাথেই___
_হ্যা হ্যালো শাকিল তো তোমরা ঠিক আছো তো?
কন্ঠটা শুনে বুঝতে পারলাম সাথি ফোন দিয়েছে।
_হ্যা আমরা ঠিক আছি।
_তোমরা এখন কোথাই আছো?
ওরা তোমাদেরকে কোথাই নিয়ে গেছে?
আর রত্না আপুর কিছু হইনি তো?
_না তেমন কিছু না।
আর আমরা সম্ভবত রাঙামাটিতেই একটা অন্ধকার বাড়ির মধ্যে আমাদেরকে আটকে রেখেছে।
আর শোনো সাথি তোমাকে কয়েকটা কথা বলি।
_হুমম বলো!
_আমরা এখানে অনেক বিপদের মধ্যে আছি!
জানি না বের হতে পারবো কি না।
আর আমাদের এখানে বন্দি থাকা অবস্থ্যা মেয়েগুলোকে এরা পাচার করে দিতে পারে।
তাই তোমি আশে পাশে থানায় আবেদন করে সমস্ত ফোর্স নিয়ে পুরো রাঙামাটিকে ঘেরাও করে রাখো।
যেন সন্দেহ জনক কেউ এই জেলা ছেড়ে পালাতে না পারে।
আর এই জেলার DC কে বলো সব ব্যবস্থা নিতে।
বলবা এটা ACP স্যারের কড়া হুকুম।
আর এখানে যেহেতু সমুদ্র।
সুতরাং কক্সবাজার থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় নৌবাহীনির কড়া পাহাড়ার ব্যবস্থ্যা করো।
কারণ এরা যেহেতু নারী পাচারকারী।
তাই এরা আকাশ পথে না নিয়ে নদী পথ দিয়েই পাচার করে থাকে।
সুতরাং নৌগার্ডের কড়া ব্যবস্থ্যা করো।
আর যা করার তাড়াতাড়ি করবে কিন্তু হাতে বেশি সময় নেই।
যেকোনো সময় এরা ফাক দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।
আর এই জেলাটা ছাড়িয়ে গেলে এদেরকে ধরা কোনো ভাবেই সম্ভব না।
আর এদের নেটওয়ার্ক যেহেতু দেশ বিদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে তাই যা করার সাবধানে করবে।
আমি এখন রাখছি।
কথাটা বলে দরজার দিকে তাকাতেই দেখি রাফিকে সহ আরো কয়েকজন গুন্ডা আমাদের দিকে রিভেলবার ধরে আছে।
প্রথমে ভেবেছি হয়ত কথাগুলো শুনে নিয়েছে।
কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম শুনে নি।
_কি রে ACP
এতক্ষণ কার সাথে কথা বললি?
তর খুব বাড় বেড়ে গেছে তাই না?
আর কি এদেরকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলি নাকি?
হাহাহা! আরে আগে আমাদের শেষটাতো দেখে যা!
তারপরেই না হয় যাওয়া না যাওয়ার কথা ভাব!
কথাটা বলেই রাফি আমাকে মুখ সোজা একটা ঘুষি মারে।
আর এক ঘুষিতেই আমার নাক ফেটে কলকলিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।
আমি রক্ত মুছে ওর দিকে তাকাতেই কয়েকটা গুডা এসে আমাকে সহ সবার হাত ধরে ফেলে!
রাফি সামনে এসেই আমাকে এলোপাথারি ঘুষি লাথি মারতে থাকে।
সবুজ আর মাসুদ দেখি আমাকে মারার অবস্থ্যা দেখে বার বার ওদের কাছ থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু শরির দূর্বল থাকার কারণে পারছে না।
আর এদিকে রত্না আপুও খুব কান্না করছে।
আমি রাফির হাতে এলোপাথারি মার খাচ্ছি আর ওদের কষ্টগুলা দেখে যাচ্ছি।
কিন্তু রাফি কিছুতেই থামছে না।
হঠাৎ রাফি আমার মাথাতে আঘাত করতেই সাথে সাথে আমার চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে।
আর আস্তে আস্তে আবারও আমি সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায়।
কিন্তু সেন্সলেস হওয়ার আগ মুহূত্বে রাফির পৌচাশিক হাসি আর সবুজ,মাসুদ আর রত্না আপুর কান্না আমার কানে বাজতে থাকে।
এরপর আর কিছুই মনে নেই।
কিন্তু যখন জ্ঞান ফিরে তখন বুঝতে পারলাম চার পাশের পরিবেশ একেবারে নির্জন।
কোথাও কোনো শব্দ পাচ্ছি না
শুধুমাত্র জুতার শব্দ ছাড়া।
মনে হচ্ছে আমাকে পাহারা দেওয়ার জন্য এখানে অনেক গুন্ডাকে রেখে গেছে।
এছাড়া আর কোথাও কোনো কোলাহল নেই।
আমি এখনও সেই ঘরের মধ্যেই বন্ধি আছি।
একটা চেয়ারে বসিয়ে রেখে আমার হাত পা চেয়ারের সাথে বেধে রেখেছে।
মাথাটা ঝিমঝিম করছে।
সারা শরিরে প্রচন্ড ব্যথা।
মনে হচ্ছে কেউ মনে হয় সারা শরীরে সুই গেছে রেখে গেছে।
মাথা,নাক,এমন কি সারা শরির থেকে রক্ত বেরিয়ে একেক জায়গায় শুকিয়ে আছে।
কিন্তু সবুজ,মাসুদ,রত্না আপু ওরা কোথাই?
ওদের কাউকেই তো আমার সাথে দেখছি না।
তাহলে ওদেরকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাই নি তো?
আর সরিয়ে নিয়ে গেলে কোথাই নিয়ে যাবে?
কিন্তু সে খবর জানতে হলে তো আমাকে এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
কিন্তু এখান থেকে বের হবো কিভাবে?
হে আল্লাহ তোমি আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার একটা পথ বের করে দাও মাবুদ।
না হলে যে ওদের কাউকেই বাচানো যাবে না।
ওদের কাউকেই যে বাচাতে পারবো না।
আর ওদেরকে যদি বাচাতে না পারি তাহলে যে আমি নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারবো না।
সাহায্য করো আল্লাহ।
এখান থেকে বের হওয়ার জন্য সাহায্য করো।
মনে মনে কথাগুলো বলছি আর অঝরে কাদছি।
জানি না এভাবে আর কতদিন কান্না করতে হবে?
এই কান্না কখনো শেষ হবে কি না!
নাকি এভাবেই আজীবন কান্না করেই যেতে হবে।
কিন্তু আল্লাহ যার ভালো চায় দুনিয়ার কোনো মানুষেই তার ক্ষতি করতে পারে না
আল্লাহর ওপর যদি কারো দীর্ঘ আস্থা বা বিশ্বাস থাকে তাহলে তিনি অবশ্যয় একদিন বিজয়ী করবে।
আর তার কাছে যা চাইবে তিনি তাই দিবে।
হঠাৎ কোমরের দিকে লক্ষ করে দেখি কোমরে রাখা চাকুটা কোমরেই রাখা আছে।
শার্ট দিয়ে ঢেকে থাকার কারণে ওরা মনে হয় সেটা দেখতে পারে নি।
বার বার কোমর থেকে চাকুটা ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
কিন্তু নাগাল পাচ্ছি না।
চাকু বের করার চেষ্টা করছি আর আস্তে আস্তে হাতের দড়ির বাধনটা ঢিলা হচ্ছে।
অনেক সময় চেষ্টা করার পর একটা সময় চাকুটা ধরতে সক্ষম হই।
কোনোভাবে চাকুটাকে মুখে তুলে নিয়ে আস্তে আস্তে হাতের দড়িটা কেটে নিই।
এরপর পায়েরটা কেটে নিয়ে সাবধানে দরজার কাছে আসি।
হঠাৎ আমার পায়ের শব্দ পেয়ে একজন রুমের মধ্যে ঢুকতেই চাকুটা সোজা গলার মাঝ বরাবর ঢুকিয়ে দিই।
আর সাথে সাথেই গুন্ডাটা মারা যায়।
এর পর গুন্ডাটার হাত থেকে রিভেলবারটা হাতে তুলে নেই আর এক এক করে মারতে থাকি।
প্রায় ২০জনকে উপরে পাঠিয়ে দেওয়ার পর হঠাৎ করে দেখি রাফি আমার পেছন দিয়ে মাথা ঘেষে রিভেলবার ধরে আছে
_কি রে এত মার মারলাম তবুও জ্যান্ত ঘুরতেছিস কিভাবে?
ঐ মাইরে কিছুই হইনি নাকি?
তর তো দেখতাছি কৈ মাছের প্রাণ।
শালা এতক্ষণ তো বসের আদেশের জন্য তকে বাচিয়ে রেখেছি।
বস নিজ হাতে তকে মারবে বলে।
কিন্তু এখন আমিই তকে মেরে তারপর তর লাশ বসের কাছে পাঠাবো।
কথাটা বলে যেই মাত্র রাফি আমাকে শুট করতে যাবে ঠিক তখনি সাথে থাকা চাকু দিয়ে স্বজুরে রাফির হাতে বসিয়ে দেই।
আর সাথে সাথেই রাফি চিৎকার দিয়ে দুই হাত এক করে ছুড়ি বসানো হাত উচু করে ধরে আর আমিও এলোপাথারি ঘুষি দিতে থাকি।
ঘুষাতে ঘুষাতে এক সময় মাটিতে শুইয়ে দেই।
ঘুষি আর লাথি খেয়ে রাফি কেদে কেদে ক্ষমা চাইতে থাকে।
_আ আমাকে মাফ করে দাও ACP আমি আর জীবনেও এমন ভূল করবো না।
প্লীজ মাফ করে দাও ভাই তোমার পায়ে ধরছি।
কথাটা বলেই রাফি আমার পায়ের কাছে পড়ে যায়।
সাথে সাথেই ওকে লাথি দিয়ে আমার পায়ের কাছ থেকে দূরে সড়িয়ে দেই।
_কি বলছিস রে রাফি?
একটু আগে না বললি আমাকে নাকি মেরে ফেলবি?
তো না মেরে এখন আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছিস কেন?
_আ আমার ভূল হয়ে গেছে।
_আরে আরে বলছিস কি?
তর ভূল হয়ে গেছে?
তো আমি তাহলে তকে ভূল করেই মারবো।
কথাটা বলেই আবারও কয়েকটা ঘুষি লাথি বসালাম।
মাইরের চোটে রাফির নাক,মুখ ফেটে কলকলিয়ে রক্ত পড়ছে।
_কি রে তর বসকে বলবি না আমাকে মারতে?
আমাকে মেরে নিয়ে যাবি না তর বসের কাছে।
আয় আমাকে নিয়ে যা!?
ঐ শালা সবুজ,মাসুদ ওদেরকে কোথাই নিয়ে গেছিস বল।
_না বলবো না!
_কিহ! বলবি না?
_না! আমি জানি না।
_দাড়া তকে জানাচ্ছি।
কথাটা বলৈ আবারও রাফিকে লাথি ঘুষি মারতে থাকি।
কিন্তু এবার আর দাড় করিয়ে বা শুয়ে নয়।
ডাইরেক্ট চেয়ারে বেধে রাম কেলানি দিচ্ছি।
চুলে শক্ত করে ধরে?
_কি রে এখনও বলবি না?
_না!
_ওহ তাহলে বুঝেছি তকে কি করতে হবে।
রাফির হাতটা শক্ত করে ধরে এপাশ দিয়ে ছুড়ি ডুকিয়ে ঐ পাশ দিয়ে বের করে দেই।
আর রাফি সাথে সাথেই চিৎকার দিয়ে ওঠে।
ছুড়ির আঘাতে হাত কেটে কলকলিয়ে রক্ত পড়ছে।
আর সেটা দেখে রাফি জোরে জোরে চিৎকার করে যাচ্ছে।
_কি রে রাফি এখনও বলবি না নাকি আবার দিবো?
_না! মরে গেলেও বলবো না।
_তবে দেখাচ্ছি!
কথাটা বলে রিভেলবারের মাথাটা ওর মুখের ভিতর ঢুকিয়ে দিতেই…..
_বলছি! বলছি!
প্লীজ আমাকে মারিস না!
_হুম তো বল!
_আমাদের বস সহ আমাদের দলের সব গুলো কক্সবাজারের কাছে যে শাল বনটা আছে সেই জায়গাতে আছে।
আর সেখানেই সবুজ মাসুদ ডিবি অফিসার রত্না আর তর প্রেমিকা চাদনীসহ কিডনাপ করা সব মেয়েদেরকে নিয়ে গেছে।
আর আজকে রাতের মধ্যেই সবাইকে পাচার করবো।
বিদেশে দাওয়াত দেওয়া সবগুলা গেষ্ট ইতিমধ্যে এসে গেছে।
আমি তো সব বলে দিয়েছি এবার আমাকে ছেড়ে দে প্লীজ!
_আরে তুই ভাবলি কি করে যে তকে ছেড়ে দেবো?
তকে ছাড়লে তো আমার খেলাই শেষ।
আমার তো মিশনটাই কম্পিট হবে না।
আমি তো ওদেরকে বাচাতে পারবো না।
আর তদের মত শয়তানদের শায়েস্তাও করতে পারবো না।
এই নে একটা বোমা!
মুখ দিয়ে একটু যদি আওয়াজ করিস তাহলেই ফেটে যাবে আর তুই চলে যাবি ঐ দূর আকাশে।
কথাটা বলে রাফির মুখে আস্ত একটা টমেটো ঢুকিয়ে কাপড় দিয়ে মুখটা বেধে দিয়ে আসি।?
আর ও টমেটো টাকে বোমা মনে করে চুপ করে থাকে।
আর আমিও ওকে সেখানে বেধে রেখে সোজা কক্সবাজার শালবনের কাছে চলে যাই।।।
সেখানে পৌছে আমি অবাক হয়ে যায়।
গুন্ডার দলেরা প্রায় সারা শালবনের অর্ধেক ঘিরে।
রেখেছে
দূরে ঝোপের আড়াল থেকে সিচুয়েশনটা বুঝার চেষ্টা করতে থাকলাম।
আর কিভাবে এই পাহাড়াটা বেধ করে ওদের কাছে পৌছানো যাই সেই পরিকল্পণা করতে থাকলাম।
এভাবে প্রায় ৩০মিনিট ধরে অবস্থ্যাটা পর্যবেক্ষণের পর ঝোপ থেকে বেরিয়ে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে একটা একটা করে গুন্ডাকে চাকু দিয়ে মারতে থাকি।
একসাথে অনেকগুলোকে মারার পরে হঠাৎ করেই আমার উপস্থিতি সবাই বুঝতে পেরে যায়।
আর আমার উপর বৃষ্টির মত ফায়ার করতে থাকে।
বেশ কয়েকটা ড্রাইভ দিতে দিতে আমিও পাল্টা ফায়ার করতে থাকে।
পাল্টা ফায়ারে বেশ কয়টাকে উপরে পাঠিয়ে দেই।
কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে একটা গুলি এসে আমার হাতে লেগে যায়।
আর সাথে সাথেই রক্ত দিয়ে জামা কাপড় ভিজে যায়।
কিছুতেই হাতটা নাড়াতে পারছি না।
কিন্তু ওদেরকে ফায়ার না করলে তো কাউকেই বাচাতে পারবো না।
তাই যেভাবেই হোক আমাকে ফায়ার করে ওদেরকে প্রতিরোধ করতেই হবে।
ফায়ার করতে করতে এক সময় সব গুলি ফুরিয়ে যায়।
হাতে রাখা রিভেলবারটা ফেলে যেইমাত্র চাকুটা বের করতে যাবো ঠিক তখনি আমার মাথায় কে যেন একটা স্বজোরে আঘাত করে।
এরপর আর কিছু মনে নেই।
কিন্তু যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখলাম হাত পা বাধা।
অন্ধকার একটা ঘরের মধ্যে আমাকে বন্দি করে রেখেছে।
কিন্তু সবুজ মাসুজ রত্না আপু আর চাদকে সহ ভার্সিটির কিডনাপ হওয়া সব মেয়েদের বন্ধি করে কোথাই রেখেছে?
আমার তো মনে হচ্ছে এই ঘরের ভিতর আমি একা।
কিন্তু না। হঠাৎ করে রুমের ভেতর কারো আসার শব্দ পাই।
কিন্তু রুমটা পুরোপুরি অন্ধকার থাকার কারণে দেখা যাচ্ছে না।

_কি রে ACP Shakil Rayhan! আমার থেকে তুই মেয়ে গুলোকে বাচাতে পারলি না তো!
শুধু শুধু এত কষ্ট করে কি লাভ হলো তর?
সেই তো এদের সাথে নিজেরও জীবনটাও দিতে চলে এলি।হাহাহা!
অন্ধকার রুমের ভেতর আমার সামনে কে যেন দাড়িয়ে কথা বলছে।
আর পিশাচের মত হেসে চলছে।
_ওহ তাহলে তোই য়ি এই ক্রাইম জগতের লিডার?
_হাহাহা ঠিকি ধরেছিস ACP!
আমিই পাচারকারীদের লিডার!
আর আজকের জন্য তর যম।
_তোহ দেখি আমার যমের মুখটা!
দেখা তর মুখটা একটু দেখি!
_দেখবি আমাকে?
দেখারপর সহ্য করতে পারবি?
_অবশ্যয়! দেখি তর মত একটা খুনি পিশাচকে।
কেমন মায়ের সন্তান তুই যার মনে মেয়েদের জন্য কোনো মায়া নেই।
যার মনে নেই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সামান্যটুকু ভালোবাসা!
আমি কথাটা বলার সাথে সাথেই রুমের লাইটা জ্বলে ওঠে।
আর চিৎকারে পুরো রুম কেপে ওঠে।
হঠাৎ তাড়াহুড়া করে আমি নিচু করা থেকে মাথাটা ওঠিয়ে সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে যায়!
_আরে রেজা তুই?{আমি}
_হুম! আমি তদের ভিউরোর সি.আই.ডি অফিসার রেজা! তর বেষ্টফ্রেন্ড !
কি রে এখন দেখলি তোহ তর যমের মুখটা হাহাহা….!
_ছিঃ রেজা ছিঃ তোই এত জঘন্য হলি কিভাবে?
তুই না একজন সি.আই.ডি অফিসার!
আর তার চেয়ে বড় কথা হলো তোই আমাদের বন্ধু।
তুই না আমাদের সাথে এই কেইসটা সল্ব করতে আসছিলি!
আর এখন দেখি সেই তুই য়ি কি না এই অপরাধ জগতের রাজা!
আমার ভাবতেও অবাক লাগছে তোই একটা সি.আই.ডি অফিসার হয়ে আইনের মাঝে দেশ ও দেশের মানুষের সেবার জন্য নিজেকে বিলীয়ে না দিয়ে নারী পাচার কারীদের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিলি কিভাবে?
কাজটা করতে কি তর একটুও বিবেকে বাধলো না?{আমি}
_কি করবো বল! সেদিন তো বললাম ই যে এই কেইসটা খুব জটিল!
জীবনের রিস্ক রয়েছে।
তবুও সেদিন হেসে হেসে এই কেইসটা তুই হাতে নিলি!
আর এখন শুধু শুধু তর জীবনটাই দিতে হবে!{রেজা}
_আচ্ছা তুই কি মানুষ নাকি পশু?
তুই মানুষ হয়ে এমন একটা কাজ করতে পারলি কিভাবে?
তোই না বাবা-মা হারিয়ে আমাদের বাড়িতে আশ্রয়ে থেকে লেখা পড়া করেছিস।
তকে না আমার বাবা মা নিজের ছেলের মত করে মানুষ করেছে।
আমি না তকে নিজের ভাই মনে করে সব প্রবলেম সমাধান করে দিতাম।
এমন কি তর যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তকে সি.আই.ডিতে এনে চাকরিটা দিয়েছিলাম।
শুধু তোই এতিম বলে।
আর সেই তুই এমন একটা গাদ্দারী আমার ও আমার টিমের সাথে করতে পারলি কিভাবে?
আরে একটা কুকুরকেও যদি মনিবে খাবার পানি দিয়ে পোষে তাহলে সেই কুকুরটাও তো মনিবের জন্য নিজের জীবনটা দিতে দ্বিধাবোধ করে না।
আর সেই তুই মানুষ হয়েও আমার সাথে এমন স্বার্থপরতাটা করতে পারলি কিভাবে?
তুই একটা পশুর থেকেও নিকৃষ্ট হলি কিভাবে?
আজ আমি বুঝতে পারছি
শত আদর ভালোবাসা দিলেও পর কোনো দিন আপন হয়না।
দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষলে সুযোগ পেলে সেই কাল সাপটাই নাকি একদিন সাপুরেকে ছোবল দেয়।
সেই কথাটা শুধু শুনেই গেছি।
কিন্তু কখনো বিশ্বাস করি নি।
কিন্তু আজ তোই সেটা প্রমাণ করেই দিলি।
পর সবসময় পর ই হয়।
_আরে রাখ তর লেকচার!
আমার জন্য তরা অনেক করছত!
আর করতে হবে না।
তোই আমার বন্ধু! আমি একজন সি.আই.ডি অফিসার, এগুলা আমি সব জানি।
তকে আর নতুন করে বলে দিতে হবে না।
আর ঐ তকে কতবার বলছিলাম না যে এই কেইসটা তুই নিস না?
কিন্তু তুই আমার কথাটা না শুনে কেইসটা নিয়ে নিলি।
তর জন্য! হ্যা হ্যা শুধু তর জন্য আজ আমার তিলে তিলে গড়া এই অন্ধকার রাজ্যটা প্রায় ধ্বংশ হয়ে গেছে।
তর জন্য আমার কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে।
তর জন্য মেয়েদের কিডনাপ করাতে প্রবলেম হয়েছে।

আর তর জন্যই এখন এই ক্রাইম জগতের আমার পা চাটা কুত্তাগুলো আমার উপর দিয়ে আঙ্গুল ঘোড়ানোর সাহস পেয়ে গেছে।
আরে তখন যদি কথাটা শুনতি তাহলে তো আর আজ তকে এই দিনটা দেখতে হতো না।
তর ফ্রেন্ড সার্কেলের কাউকেই এই বিপদে পড়তে হতো না।
এই কেইসটা হাতে নেওয়ার পর সেই কোন দিন ই তো তকে মেরে ফেলতাম।
কিন্তু মারতে গিয়ে বার বার সুযোগের অভাবে ব্যর্থ হয়েছি।
আর ব্যর্থ হয়েছে তর প্রেমিকা শালী চাদনীর জন্য।
কিন্তু আজকে আর সেই ভুলটা করবো না।
তকে আজকেই এই পৃথিবী থেকে চিরতরে শেষ করে তারপর এই দেশে এমনকি দেশের বাইরেও ক্রাইম জগত প্রতিষ্ঠা করবো।
কিন্তু আফসোস সেটা তুই দেখে যেতে পারবি না।
তার আগেই তকে উপরে চলে যেতে হবে।হাহাহা
_বেইমান,বিশ্বাসঘাতক,স্বার্থপর! আজ আমি বুঝতে পারছি এত দিন আমার সাথে যে রেজা ছিলো সেটা ওর আসল চরিত্র না!
তর আসল চরিত্রটা তো এখন দেখতে পাচ্ছি।
তকে আমি কত বিশ্বাস করতাম।
একটু অগোছালো টাইপের ছিলি বলে যদিও কোনো দোষ করতি তবুও সবার কাছে থেকে লুকিয়ে নিতাম।
আর আজ সেই তুই কি না আমাকেই মেরে ফেলতে চাইছিস?
কি করেছিলাম আমি?
তকে আমার বাবা-মা নিজের ছেলের মত মানুষ করেছে।
আমি তকে নিজের আপন ভাইয়ের মত করে দেখেছি।
কোনো ভূল করলে সংশোধন করে দিয়েছি।
এগুলো কি আমার অপরাধ?
এই আদর,স্নেহ-ভালোবাসাগুলো কি তর ক্রাইম জগতের থেকে ছোট হয়ে গেলো?
একবার কি ভেবে দেখেছিস সেদিন যদি তর বিপদের দিনে ছায়ার মত আগলে না নিতাম আজ তোই কোথাই কিভাবে থাকতি?
না সেটা তুই কখনোই বুঝবি না।
কখনোই বুঝতে পারবি না যে
পালার কেমন জ্বালা!

_ঐ আমাকে জ্ঞান দিতে আসবি না বলে দিলাম হ্যা?
তর থেকে জ্ঞান আমার কম নেই।
আর শোন তরা আমার জন্য যা করেছিস সব মনে আছে।
আর তরা আমার জন্য যা ই করেছিস সব ই আমার এই ক্রাইমের জগতের কাছে তুচ্ছ।
আমার কাছে এই জগতটাই বেষ্ট।
তুই একটা কি জিনিস রে ভাই!
সবাইকে ভুলিয়ে বালিয়ে দলে আনতে পারলাম কিন্তু তুই একটা জিনিস ই মাইরি।
তকে দলে আনতে পারলাম না।
আর আমি জানি তোই যেভাবে আইনের প্রতি আস্থাশীল হয়ে থাকিস তকে কখনো দলে আনতে পারবো না।
আর তাই তো তর জন্য মৃত্যুদন্ড ছাড়া কোনো রাস্তাই দেখতে পারছি না।
আজ তর তিন বন্ধু তকে বেশি না তিনটে শুট করবে।
তবুও তর রিভেলবারটা দিয়েই।
ঐ কোথাই তরা বাইরে আয়_
রেজা কথাটা বলতেই দেখি দুজন রিভেলবার হাতে আমার সামনে এসে দাড়িয়ে যায়।
তখনো আমার হাত-পা বাধা।
শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গড়িয়ে রক্ত পড়ছে।
তীব্র ব্যথায় মাথাটা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রেখেছি।
হাত পা বাধা অবস্থায় মাথাটা উপরের দিকে ওঠাতেই মানুষ দুটোকে দেখার সাথে সাথেই আমার বুক ফেটে কান্না আসতে থাকে।
আমি কাদের জন্য এত দিন কি করলাম?
কাদেরকে বিশ্বাস করে এই মিশনে আসলাম?
কাদের উপর নির্ভর করে মেয়েগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওদের আত্নীয় স্বজন,এমন কি ভার্সিটির প্রন্সিপালের কাছে প্রতিজ্ঞা দিয়ে আসলাম?
কাদের জন্য নিজের শরীরটাকে ক্ষত বিক্ষত করলাম?
কাদের জন্য আজ আমি এই মরণ-পণ যুদ্ধের সম্মুখিন হলাম?
আমি কিছুই বুঝতে পারতেছি না।
কথাগুলো ভাবছি আর দুচোখ গড়িয়ে অঝরে পানি পড়ছে।
আজ ঠিক এই মূহূত্বে আমাকে মারার জন্য রেজার সাথে যে দুইটা মানুষ দাড়িয়ে আছে সেগুলো আর কেউ না।
আমার ই বেষ্টফ্রন্ড সবুজ আর মাসুদ!
আমি ওদের দিকে অবাক হয়ে তাকাতেই_
_কি রে শাকিল! আমাদেরকে দেখে অবাক হয়ে গেলি নাকি?
তোই হয়ত ভাবছিস আমরা এইখানে কেন তাই না…?
কি করবো বল! সি.আই.ডি তে থেকে শুধু শুধু আইনের প্যারা সহ্য করতে ভালো লাগে না!
তাই ভাবছি ঐ চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে রেজার সাথে এই চাকরিটাই করি!
সি.আই.ডি অফিসারের বেতন ২০-২৫হাজার টাকা দিয়ে কিছুই হয় না।
আর তাই তো রেজার সাথে এই চাকরিটাতে একটানেই ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে নিলাম।
কথাটা বলেই সবুজ আমার সামনে একটা ব্রিফকেইস তুলে ধরে!
_রাগ করিস না দোস্ত!
কি করবো বল!
সবুজ তো বললোই যে সি.আই.ডি তে চাকরিটা আর আইনের ফালতু প্যারাটা আমাদের সহ্য হয় না।
তাই চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে রেজার সাথে চাকরিটা রাখলাম।
সাথে ৫০লাখ টাকাও পেলাম
নতুন জীবন ও পেলাম।
এখন শুধু আমাদের একটাই কাজ তকে শুট করে মেরে ফেলা।
আর তকে মারতে পারলেই সব খেল খতম।{মাসুদ}

_আমি কিছুই বুঝলাম না রে!
তরা আমার সাথে এমনটা করতে পারলি কিভাবে?
একবারও কি ভেবে দেখেছিস আমি তদের জন্য কত কিছু করেছি?
তদেরকে বাচানোর জন্য নিজের জীবনের মায়াটাকে বিসর্জন দিয়ে এখানে এসেছি।
আরে বেইমানের দল তদেরকে না আমার নিজের আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি ভাবতাম।
নিজের দেহের ই একটা অংশ ভাবতাম।
চার দেহে না একটাই প্রাণ ছিলাম।
আর সেই তরা আমার সাথে এমনটা করলি কিভাবে?
আচ্ছা তদের যেহেতু এত ই টাকার দরকার আর আমাকে মারার প্রয়োজন তাহলে তরা আমাকে মেরে ঐ নিষ্পাপ মেয়েগুলোকে ছেড়ে দে।
ওরা তো কোনো দোষ করে নি।
শুধু শুধু ওদেরকে কষ্ট দিয়ে তদের কি লাভ বল?
_কি যে বলিস না তুই!
ওদেরকেও ছাড়বোনা।
আর তকেও এখান থেকে বেচে ফিরে যেতে দিবো না।
ওদেরকে ছেড়ে দিলে তো আমাদের খেলাই শেষ।
কথাটা বলেই জোরে জোরে হাসতে থাকে রেজা।

আর শোন তুই তো সেই ভার্সিটিতে মিশনে আসার আগে বলে আসছিলি না যে কোনো মেয়েকেই পাচার করতে দিবি না?
সবাইকে নাকি এখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবি।
কিন্তু আফসোস তর কথাটা পুরোটাই মিথ্যে হয়ে গেলো!
তকে এখানে বন্দি করে তর সামনে দিয়েই মেয়েগুলোকে এখান থেকে পাচার করবো।
তুই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবি।
কিন্তু কিছুই করার থাকবে না।
কথাটা বলেই রেজা সহ সবাই হাসতে থাকে।
ঠিক তখনি আমিও ওদের সাথে হাসতে থাকি।
মাসুদ আর সবুজ ছাড়া বাকি সবাই আমাকে হাসতে দেখে অবাক হয়ে যায়
হঠাৎ রেজা কিছু বলতে যাওয়ার সাথে সাথেই সবুজ আর মাসুদ শুট করে সোজা রেজার সাথে দাড়িয়ে থাকা সবগুলো গুন্ডাকে আকাশে পাঠিয়ে দেয়।
আর সবুজ,আর মাসুদের হঠাৎ এমন পরিবর্তনে রেজা ভয় পেয়ে যেইমাত্র পালিয়ে যাবে ঠিক তখনি সবুজ ওর শার্টের কর্লার ধরে ফেলে।
_কি রে পালিয়ে কোথাই যেতে চাইছিলি?{সবুজ}
_মা মানে সবুজ ত তরা?{রেজা}
_হুম আমরা!
কি মনে করেছিলি?
আমরা কি তর মত নারী পাচারকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে আইনকে সবার কাছে ছোট করবো?
আইনের এই মূল্যবান পোশাক এমন কি আইনের প্রতি অবহেলা করবো?
আমরা কি তর মত লোভী যে টাকার জন্য লোভে পড়ে যে লালন পালন করেছে।
বিপদের দিনে ছায়ার মত পাশে থেকেছ।
সব দোষ লুকিয়ে নিয়েছে তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করবো?
কখনো না।
আরে তর কাছ থেকে সত্যকথাগুলো বের করার জন্য ই তো এমন নাটক করলাম।{সবুজ}
_ মা মানে?
তার মানে এতক্ষণ তরা দুজন আমার সাথে অভিনয় করলি?{রেজা}
_কি করবো বল!
এই অভিনয়টা ছাড়া তো আর তর মত এক স্বার্থপর আর বিশ্বাস ঘাতককে চিনতে পারতাম না।
তোই যে এই রকম একটা জঘন্য কাজের সাথে জড়িত ছিলি সেটা আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম।
কিন্তু প্রথম দিকে ততটা গুরুত্ব দেই নি।
কিন্তু যখন দেখলাম সবুজ,মাসুদ বন্দি হয়ে আছে।
আর যখন তকে বলার পরেও তোই আমার সাথে আসতে চাইলি না তখনি আমি আরো বুঝে গেছিলাম যে তোই এর সাথে অবশ্য অবশ্যয় জড়িত।
কিন্তু ফাস হয়ে যাওয়ার ভয়ে কাউকে বলি নি।
তর উপর আমার সন্ধেহটা আরো গাঢ় হয় তখন যখন দেখলাম আমার হাত পা বেধে রাখা অবস্থ্যায় আমাদের ভিউরোর সেই অফিসারটা এসে কতগুলো কথা বলেছিলো।
যখন অফিসারটা বলেছিলো যে এই অপরাধের সাথে আমাদের ডিপার্টমেন্টের ই কোনো অফিসার জড়িত।
কিন্তু নামটা বলে নি।
আর তখন তর উপর আমার ১০০% সন্দেহ হয়।
আর আমি এটাও বুঝেছিলাম যে তোই য়ি এই সার্কেলের হেড না।
তকে সাপোর্ট দেওয়ার অন্যকেউ আছে।
আর তিনিও আমাদের ই সি.আই.ডি ডিপার্টমেন্টের।
তাই সাথিকে ফোন দিয়ে ফোর্স রেডি করার সময় আমরা তিন জনে এই ফন্দিটা করি।
আর কত সুন্দরভাবে গাধার মত তুই নিজে এসেই আমাদের পাতা ফন্দিতে ধরা দিলি হাহাহা {আমি}
_শাকিল ভাই আমার! প্লীজ আমাকে ক্ষমা করে দে।
আর কখনো এমন ভূল হবে না।{রেজা}
_হাহাহা ঐ রেজা তুই একটু বিষ খা আর আমি মইরা যায়…?
শালা তকে ক্ষমা করবো,আর আমি?
কখনো না।
তর মত স্বার্থপর আর নারী পাচারকারীকে আর যাই হোক কখনো ক্ষমা করা যায় না।
এখন বল
তদের এই গ্রুপের হেডটা কে আর চাদনী,রত্না আপু আর ভার্সিটির ঐ মেয়েদেরকে কোথাই বন্দি করে রেখেছিস??{আমি}
_আমি জানি না{রেজা}
_কিহ জানিস না?
বলবি নাকি তকেও রাফির মত অবস্থ্যা করবো?
_মা মানে?
রা রাফির আবার কি হলো?
_হাহাহা আরে গাধা প্রাই ছোটবেলা থেকে আমার সাথে একসঙ্গে বড় হলি আর আমার এই সামান্য চালটাই বুঝতে পারলি না?
রাফিকে মুখে বোম দিয়ে মুখ বেধে ঐ পরিত্যাক্ত ঘরে আটকে রেখে আসছি।
আর এখন তকেও রাখবো।
_না! আ আমার সাথে এমন করিস না প্লীজ! আ আমি না তর ছোটবেলার বন্ধু!
_হাহাহা! আমার ছোটবেলার বন্ধু?
আর সেটা তুই?
নাহ!নাহ তর মত স্বার্থপর আর বিশ্বাস ঘাতক কখনো আমার বন্ধু হতে পারে না।
কি রে বলবি নাকি শুট করে দিবো?
কথাটা বলে রেজার মুখের ভিতর রিভেলবারের মুখটা ঢুকাতেই….
_বলছি!বলছি!
রত্না আপু,চাদনি আর ভার্সিটির মেয়েগুলোকে বান্দরবান বুদ্ধ মন্দিরের কাছে একটা পাহাড়ের ভেতর পরিত্যাক্ত একটা বাড়িতে বন্ধি করে রেখেছে।
আর সেখানে বিদেশি ইনভাইট করা সব অতিথিরা এসে গেছে।
আর ওদের কাছেই একটু পর সবগুলোকে বিক্রি করে দিবে।{রেজা}

_এখন বল তদের এই গ্রুপের লিডার কে?
-আআমি জানি না!
আমাদেরকে দুইটা লোক ফোনে ছবি আর ঠিকানা দিয়ে যে মেয়েদেরকে ধরতে বলতো আর আমি আর রাফি আমাদের টিমের সবগুলোকে নিয়ে মেয়েদেরকে বন্দি করে নিয়ে যেতাম।
_ওহ বুঝলাম!
তর বিচার তো সর্বনিম্ন মৃত্যুদন্ড হবেই।
কিন্তু তার আগে ওদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
আর সাথে তদের লিডারকেও।
তাই সেখানে রেজাকে বেধে রেখে রাফির মত মুখে একটা টমেটো ঢুকিয়ে মুখ বেধে রেখে চলে আসি।
আর সোজা বান্দরবান চলে যায়।
হয়ত আমি সাথিকে বলার আগেই ওরা ওদেরকে রাঙামাটি থেকে সরিয়ে ফেলেছে।
না হলে এত কড়া সিকিউরিটির মধ্যে ওদের সড়ে পড়া তো অসম্ভব।
তাই আবার চাদনীকে ফোন করে সারা বান্দরবান ঘেড়াও করার জন্য বললাম।
আর আমরা তিন সোজা বান্দরবান চলে যায়।
হঠাৎ বুদ্ধমন্দিরটা ছাড়িয়ে পাহাড়ের মধ্যে পরিত্যাক্ত বাড়িটার কাছে যেতেই হঠাৎ করে DIG স্যারের ফোন আসে।
_হ্যালো স্যার !আসসালামুআলাইকুম।
_ওয়ালাইকুম আসসালাম।
এখন তোমাদের কি অবস্থ্যা শাকিল?
এখন কোথাই আছো?
তোমরা ঠিক আছো তো?
সাথীর কাছে শুনলাম তোমাদেরকে নাকি কিডনাপাররা বন্ধি করে রেখেছে?
_ রেখেছিলো স্যার!কিন্তূ বেরিয়ে এসেছি আর ওদের থেকে দুজনকে বেধেও রেখে এসেছি।
আর আমরা বান্দরবান বুদ্ধুমন্দিরের কাছে মিশনে এসেছি।
_কাকে কাকে ধরেছো?
_স্যার ওদের মধ্যে একজনের নাম রাফি!
আর আরেকজন হলো আমাদের ডিপার্টমেন্টের ই একজন অফিসার।
ওর নাম রেজা!
আর ওদেরকে কোথাই বেধে রেখেছি সেটাও DIG স্যার কে জানিয়ে দিলাম।
_All right my soon.
ভালোভাবে থেকো।
_ঠিক আছে স্যার দোয়া করবেন।।
DIG স্যারের সাথে কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম।

আমরা তিনজনে সতর্কতার সাথে সেই বাড়িটার দিকে এগোতে থাকি!
রিভেলবারের সাইলেন্সারটা লাগিয়ে যতটা সম্ভব আড়াল থেকে এক একটা গুন্ডাকে শুট করে মারতে থাকি।
কিন্তু মনে হচ্ছে অনেক গুন্ডা এই সমস্ত বাড়িটাকে ঘেরাও করে রেখেছে।
আর এদেরকে ফাকি দিয়ে ঐ বাড়িটাতে প্রবেশ করা একেবারেই অসম্ভব।
কিন্তু ওদেরকে বাচাতে নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও যে ঐ বাড়িতে প্রবেশ করে মেয়েগুলোকে মুক্তি করতে হবে।
আর না হলে যে এদেরকে বাচানো কোনোভাবেই সম্ভব না।
তাই নিজেদের জীবনটাকে বাজি রেখেই এক একটা করে গুন্ডাকে মেরে মেরে বাড়িটার দিকে এগোতে থাকলাম।
তিন জনে এক সাথে মারতে মারতে প্রায় সব গুলো গুন্ডাকেই উপরে পাঠিয়ে দিলাম।
কিন্তু রিভেলবারে সাইলেন্সার লাগানোর কারণে কোনো শব্দ হচ্ছে না।
আর যার ফলে বাড়ির মধ্যে থাকা কেউই টের পাচ্ছে না।
আস্তে আস্তে সবগুলাকে মেরে একসময় সুযোগ বুঝে বাড়িটার ভিতর ঢুকে যায়।
আর একটা পিলারের আড়ালে দাড়িয়ে অবস্থাটা পর্যবেক্ষণ করতে থাকি।
এতগুলোকে মেরে রেখে আসলাম।
কিন্তু এখানে বারান্দাতেও অনেক গুন্ডারা ঘুরোঘুরি করছে।
এখন এদেরকে মেরে তারপর আসল জায়গাতে যেতে হবে।
কিন্তু এদেরকে ফায়ার করে মারা তো অসম্ভব!
তাই অন্য পরিকল্পনা করে সবুজ আর মাসুদকে দুই দিকে পাঠিয়ে দিই

সবুজ,মাসুদ দুই জনকে ইশারা করে লুকিয়ে লুকিয়ে মারতে বলি।
আর আমিও এক একটা কে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে মারতে থাকি।
হঠাৎ করে একটা গুন্ডাকে মারতে গিয়ে পিলারের সাথে ঘেষে থাকা একটা ফুলের টবে আমার পা লেগে ফ্লুরে পড়ে শব্দ হয়ে ভেঙ্গে যায়।
আর সাথে সাথেই আমাদের উপস্থিতি সবাই টের পেয়ে যায়।
আর সাথে সাথেই আমাদের দিকে বিদ্যুৎ গতিতে ফায়ার করতে থাকে।
আর আমরাও পাল্টা ফায়ার করতে থাকি।
অনেকগুলাকে অবশ্য মেরেও ফেলেছি।
হঠাৎ করে গুন্ডাদের ফায়ার করা একটা গুলি এসে সবুজের পায়ে লাগে।
আর সাথে সাথে সবুজ মাটিতে বসে যায়।
আর সাথে সাথে আমারও বুকটা ধক করে ওঠে।
সবুজের পায়ে গুলি লাগাতে মনে হচ্ছে গুলিটা মনে হয় আমার অন্তরে গিয়ে বেধে গেছে।
আবার সবুজের দিকে লক্ষ করে গুন্ডাটা যেইমাত্র ফায়ার করতে যাবে ঠিক তখনি ডাইরেক্ট শুট করে গুন্ডাটাকে মাটিতে শুইয়ে দেই।
আর সবুজকে কাধে তুলে ফায়ার করা চালিয়ে যেতে থাকি।
মারতে মারতে একসময় পুরো জায়গাটা স্তব্ধ হয়ে যায়।

আশে-পাশে কোথাও লোকজনের আওয়াজ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
তাই আমরা তিনজন আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে উপরের তলায় ওঠতে থাকলাম।
খুব সাবধানে রিভেলবারের ট্রিগারটা ধরে ওপর দিকে ওঠতেছি আর একটু একটু কান্নার আওয়াজ কানের কাছে ভেসে আসছে।
কান্নার আওয়াজটাকে অনুসরণ করে সামনের দিকে এগোতে থাকলাম।
একটু একটু এগোচ্ছি আর কান্নার আওয়াজটা বেড়েই চলছে।
অবশেষে একটা রুমের দরজার কাছে যেতেই শিউর হই যে কান্নার আওয়াজটা এই রুম থেকেই আসছে।
_শাকিল মনে হচ্ছে আওয়াজটা এই রুম থেকেই আসছে!{মাসুদ}
_হুম! সেটাই তো বুঝা যাচ্ছে।{আমি}
_মনে হয় মেয়েগুলোকে এই রুমেই বন্ধি করে রেখেছি।
চল ঘরে ঢুকে সব হালার পুতেরে গুলি করে মাথার খুলি নিয়া বাড়িতে যাইগা ?{সবুজ}
_আরে দূর হালা এখন মজা করার সময়??
এমনিতেই তো পায়ে গুলি খায়া হাফ লেংড়া অয়া আছত।
গুলি কি তর দাদায় করবো??{আমি}
_হিহিহি আরে হালা গুলিটা তেমন লাগে নাই।
দেখিস হাটতে পারছি।
_হ ! উল্টায়া হারতাছো,,?
ক্যাঙ্গারুর মত লাফালাফি করতাছে।
আর সে বলে হাটতাছে ?{আমি}
_আরে রাখতো!তবুও ভেতরে যাবো।
আর সব হালারে মেরে ওদেরকে নিয়ে আসবো।{সবুজ}
_আরে চাইলেই এই রুমের ভেতরে যাওয়া যাবে না।{আমি}
_কিন্তু রুমের ভেতরে না গেলে তো এদেরকে মুক্ত করা যাবে না।
ওদেরকে মুক্ত করতে রুমের ভিতর আমাদের যেতেই হবে।
আর এটা শিউর যে মেয়েরা এই রুমেই আছে।{মাসুদ}
_হুম ! এখান থেকে যেহেতু কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে তাহলে এখানেই সবগুলো আছে।
আর ওদেরকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য কিছু গুন্ডাও থাকতে পারে!
তাই যা করার সাবধানে করতে হবে

আর এখন আমরা কিন্তু প্রায় মৃত্যুকে আমন্ত্রণ করেই রেখেছি।
যেকোনো সময় যে কেল্লাফতে হয়ে যেতে পারি এটার কিন্তু শিউর নেই।
যেহেতু রিভেলবারে সাইলেন্সার লাগানো আছে।
তাই রুমে ঢুকার সাথে সাথে যাকে দেখবি তাকেই সাথে সাথেই শুট করবি ঠিক আছে।{আমি}
_আচ্ছা{মাসুদ}
_ওকে আমি আস্তে আস্তে দরজা খুললি তরা আমার সাথেই থাক।
যদি আমার গায়ে গুলি লেগেও যায় তাহলে আমার চিন্তা বাদ দিয়ে তরা কিন্তু ফায়ার করা বাদ দিবি না।
না হলে কেউই এখান থেকে ফিরে যেতে পারবি না। ঠিক আছে?
_হুম আচ্ছা।
মাসুদ আর সবুজকে বলে আস্তে আস্তে দরজাটা ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে যেয়ে যেইমাত্র একটাকে শুট করতে যাবো ঠিক তখনি…….
_দাড়া ACP!
আরেকটা যদি ফায়ার করিস তাহলে তর জানেমন চাদনীকে ওই আকাশে পাঠিয়ে দেবো।
যেখানে গেলে আর কেউ ফিরে আসে না।
উপরের তলায় তাকিয়ে দেখি রাফি চাদনীর মাথায় রিভেলবার ধরে আছে।
হাত-মুখ বেধে রেখেছে।
আর চাদনী বারবার ছাড়াতে চেষ্টা করছে।
_শুধু তর প্রেমিকা চাদনীই না।
তর আপু ডি.বি অফিসার রত্নাকেও আজ ওর সাথেই পাঠাবো।
হঠাৎ রেজা আর রাফিকে এখানে দেখে অবাক হয়ে যায়।
এটা কিভাবে সম্ভব?
ওদেরকে তো হাত-পা বেধে রেখে আসলাম।
ওরা এখানে কিভাবে?
তাছাড়া সবগুলো গুন্ডাকে তো মেরেও ফেলেছিলাম শুধু ওদের দুজন বাদে তাহলে ওদেরকে ছাড়লো কে?
আমাদের তিনজনকে ছাড়া তো আর কেউই জানে না যে রাফি,আর রেজাকে যে বেধে রেখেছি তবুও একটা পরিত্যাক্ত বাড়িতে।
যেখানে আশে পাশে কোথাও কোনো লোকের সমাগম নাই।
মনে মনে কথাগুলো ভাবছি।
_কি রে শাকিল আমাদের দুজন কে হঠাৎ এখানে দেখে খুব অবাক হয়ে গেছিস তাই না?
বোম রাখার কথা বলে মুখে টমেটো ঢুকিয়ে দিয়ে এসেছিলি আর তুই ভাবছিলি
তাতে আমরা মনে হয় খুব ভয় পেয়েছিলাম তাই না?
আরে তুই তো খুব চালাক।
আরে মৃত্যকে তো আমরা সাথে নিয়ে ঘুরি।
মৃত্যুতো আমাদের আমন্ত্রণবিহীন অতিথি হয়ে গেছে।
তুই যেমন আইনের জন্য প্রাণ দিতে সবসময় প্রস্তুত।
ঠিক আমরাও আমাদের দলের জন্য জীবন দিতে সবসময় প্রস্তুত থাকি।
তকে তো আগেই বলেছি রাফি,রেজাকে মারা এত সোজা না।
আমাদেরকে মারতে হলে তদেরকে সাত সাতবার জন্ম নিতে হবে।
তদের হাতে রাখা রিভেলবার মাটিতে রাখ।
আর না হয় শুট করে দিলাম কিন্তু।
রেজার কথামত তিনজনে রিভেলবারটা মাটিতে রাখে দিলাম।
আর সাথে সাথে একজনে এসে ছো মেরে রিভেলবারটা নিয়ে নেয়।
কিন্তু আমাদের কাছে তবুও একটা করে রিভেলবার ছিলো।
যেটা ওরা বুঝতেই পারে নি।
_কিরে তুই হইত ভাবছিস যে আমরা কিভাবে এখানে আসলাম তাই না?
দাড়া দেখাচ্ছি।
কথাটা বলে রাফি শিস বাজাতেই দুজন লোক সোজা আমাদের সামনে এসে দাড়াই!
লোক দুটোকে দেখে যেন আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সড়ে যাচ্ছে।
আরে এটা আমি কি দেখছি?
এই লোক দুটোর একজন হলো DIG স্যার আরেকজন হলো সেই ভার্সিটির প্রন্সিপাল!
_স্যার! আপনারা?
_হা.হা.হা আমরা যে এখানে সেটা তো দেখতেই পাচ্ছো তবুও জিজ্ঞাস করছো কেন?{DIG}
_তার মানে আপনিও এদের সাথে যুক্ত?
_কি করবো বলো?
জীবনে টাকার জন্য মানুষতো অনেক কিছুই করে।
আর আমিও করছি হাহাহা{DIG}
_ছিঃ স্যার ছিঃ আপনি একজন আইনের রক্ষক হয়ে বক্ষকের মত করতে পারলেন কিভাবে?
টাকাটার কি এতই দরকার যে যার জন্য নিজের মনুষত্বটাকে ব্রিক্রি করে দিতে দ্বিধাবোধ করলেন না?
ছিঃ ধিক্কার জানাই আপনাদের মত সব অফিসাররে।
যারা আইনের রক্ষক হয়ে পশুদের সাথে হাত মিলিয়ে নিজের মানবতাটাকে বিক্রি করে শুধু মাত্র টাকার জন্য।
আজ আপনাদের মত অফিসারদের জন্য ই পুরো পুলিশ,সি.আই.ডি ডিপার্টমেন্টের উপর থেকে মানুষের আস্থ্যা ওঠে যাচ্ছে।{আমি}
_আমরা পুরো টিম তো এটাই চাচ্ছি My soon,
আমরাও চাচ্ছি তোমাদের ডিপার্টমেন্টের উপর থেকে মানুষের আস্থ্যা ওঠে যাক।
আর আজকেরপর থেকে তোমাদের উপর আরো মানুষের আস্থা থাকবে না।
তোমার সামনে দিয়েই ঠিক এখনি মেয়েগুলোকে পাচার করবো।
তোমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো।
কিন্তু তোমার কিছুই করার থাকবে না।
আর সব শেষে দোষটাও চাপিয়ে দিবো তোমার উপরে।{DIG}
_হা.হা.হা কি যে বলেন DIG সাহেব!
আপনার সেই ইচ্ছা কখনোই পূরণ হবে না যে।
কারণ ঠিক এই মূহূত্বে পুরো জেলেটা ঘিরে রেখেছে পুলিশ,র‍্যাব,বি.ডি.আর,নৌবাহী।
আর এগুলো ফাকি দিয়ে আপনাদের এদেরকে পাচার করা যে অসম্ভব!
একটু পরে এখানেও এটাক হবে হাহাহা।
আমার কথা শোনে হঠাৎ সবাই ভয় পেয়ে যায়।
_না না এসব তোই মিথ্যা বলছিস শাকিল!
যত ই চালাকি করিস আমার হাত থেকে কখনোই পালাতে পারবি না।
আমি ঠিক এই মূহূত্বে তকে সহ সবাইকে এক এক করে পৃথিবী থেকে বিদায় করবো।
কথাটা বলে রেজা যেইমাত্র আমাকে শুট করতে যাবে ঠিক তখনি কে যেন শুট করে রেজার হাত থেকে রিভেলবারটা ফেলে দেয়।
পেছনে তাকিয়ে দেখি সাথী দাড়িয়ে আছে।
আর সাথে সাথে আমরাও পকেট থেকে রিভেলবারটা বের করে ফায়ার করতে থাকি।
অনেক সময় ফায়ার করার পর DIG,প্রন্সিপাল,রাফি,রেজাকে ছাড়া সবগুলোকে মেরে মাটিতে শুইয়ে দিই।
হঠাৎ করে DIG আমাকে লক্ষ করে গুলি ছুটতে প্রস্তুত হয়ে যেই মাত্র ট্রিগারটা চাপতে যাবে ঠিক তখনি সাথী DIGর বুক সোজা শুট করে দেই।
আর সাথে সাথেই DIG মাটিতে পড়ে যায়।
অন্যদিকে প্রিন্সপাল যেইমাত্র পালাতে যাবে ঠিক তখনি মাসুজ পায়ে গুলি করে দেই যেন পালাতে না পারে।
অন্যদিকে রাফি এসে আমার মাথায় রিভেলবার ধরতেই সবুজ সোজা রাফির বুকে শুট করে দেয়।
আর সাথে সাথে রাফিও মাটিতে পড়ে যায়।
এখন বাকি শুধু রেজা।
হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই
_আ আমাকে এবারের মত ক্ষমা করে দে শাকিল!
আর জীবনেও এমনটা করবো না।{রেজা}
_তকে মাফ করবো?
আর আমি?
হাহাহা সেদিন তদেরকে বেধে রেখে এসেছিলাম।
কিন্তু মারি নি।
আর সেটাই আমার সব থেকে বড় ভূল হয়েছিলো।
তর মত শয়তানকে যদি ছেড়ে দেই তাহলে পুরো পৃথিবী আমাকে ধিক্কার দিবো।
কথাটা বলে রেজার বুকে রিভেলবারটা ধরে আস্তে করে ট্রিগারটা চেপে দেই।
আর সাথে সাথেই রেজা মাটিতে পড়ে যায়।
পেছনে তাকিয়ে দেখি সবুজ,মাসুদ আমার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে।
রেজাকে শুট করাই ওদের চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।
হাজার হলেও তো আমাদের ছোটবেলার বন্ধু।
যার সাথে কেটেছে ছোটবেলার রঙ্গিন মুহূত্বগুলো।
যার সাথে কেটেছে স্কুল লাইফ থেকে শুরু করে চাকরি জীবনের অর্ধেক সময়।
আর এতে তো অপরাধী হলেও একটু মায়া লাগবেই।
কিন্তু আমি তো ওদের সামনে কোনো প্রতিক্রয়ায় দেখাতে পারছি না।
রেজাকে মেরে যে আমার বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে সেটা তো আমি প্রকাশ করতে পারছি না।
একজন অফিসারের কাছে যে আইনটাই সব।
আর বাকি সব পর।
তাই আইনের সম্মান রক্ষার্থে নিজের বন্ধুটাকেও মেরে দিলাম।
কেন জানি কিছুতেই চোখের পানি বাধ মানছে না।
বারবার রেজার সাথে কাটানোর সময়গুলো মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে চারজনের একসাথে কাটানোর সুন্দর সেই মুহূত্বগুলো।
_শাকিল কি ভাবছো এত?{চাদনী}
_না কিছু না।
চল মেয়েদেরকে তালাটা ভেঙ্গে বের করি।
_হুম!তোমরা দাড়াও আমি ভাঙ্গছি।
কথাটা বলে যেইমাত্র দরজার তালাটাতে হাত দিবো ঠিক তখনি
_শাকিললল…….
সড়ে যাওওওওও…….
পেছনে ঘুরে তাকাতেই সাথি আমাকে ঘেষে সামনে এসে দাড়াই আর সাথে সাথে একটা বুলেট এসে সাথির বুকে বিধে যায়।
হঠাৎ ভয় পেয়ে রেজার দিকে তাকাতেই দেখি রেজার হাতে ব
রিভেলবার।
যেইমাত্র রেজা আমার দিকে আবার শুট করতে যাবে ঠিক তখনি
আমি আর এক মুহূত্ব দেরি না করে ওর কপাল বরাবর শুট করে দেই।
_সাথি !সাথি এ কি করলা তোমি?
_যা করার আমি ভালোই করেছি শাকিল!
যে জীবনে ভালোবাসা নেই সেই জীবন রেখে কি লাভ তোমিই বলো?
তার থেকে ভালোবাসার মানুষটার জন্য নিজের জীবনটা দেওয়াটাই সৌভাগ্যৈর ব্যপার!(কাপাকাপা কন্ঠে ){সাথি}
_না না এ হতে পারে না!
তোমি মরতে পারো না!
আমি তোমাকে হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি!
তোমি কখনোই মরতে পারো না ?(কান্না জড়িত কন্ঠে){আমি}
_পাগলামী করো না শাকিল!
আমার সময় প্রায় ফুরিয়ে আসছে।
কলেজ লাইফে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিলাম।
সেটা রত্না আপু তো তোমাকে বলেছেই!
আর কেন দিয়েছিলাম সেটা তো জানোই!
কি করবো বলো আমার যে কিছুই করার ছিলো না!
পারলে এই অভাগীটাকে ক্ষমা করে দিও!?{সাথি}
_নাহ!? তোমি আমাকে কোনো কষ্ট দাওনি সাথি।
সেটা তো ছিলো আমার নিয়তি!
কিন্তু আমিই তো তোমাকে কষ্ট দিয়েছি।
তোমার অপেক্ষারও মূল্য দিতে পারি নি!
তোমি আমাকে মাফ করে দিও সাথি?{আমি}
_আ আমি জানি শাকিল তোমি চাদনীকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে।
_এ কি বলছো তোমি?
_আমি সেদিন তোমাদের সব কথা শোনেছি।
জীবনের এই শেষ মুহূত্বে আমার একটা কথা রাখবে প্লীজ!??
_হ্যা বলো ?
_এই যে চাদনীকে তোমার হাতে তুলে দিলাম।
চাদনীকে নিয়ে তোমি সুখে থাকবে!
আর ওকে কখনোই কষ্ট দিও না।
চাদনী তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
কথা দাও তোমি ওকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবে?
_হুম কথা দিলাম।
_রত্না আপু আমি তো পৃথিবী ছেড়ে চলেই যাচ্ছি!
একজনের বুকে মাথা রেখে আজীবন বেচে থাকতে চেয়েছিলাম সেটা তো আর হলোই না!
আর তোমিও আমার জন্য কোনো মন খারাপ করো না!
আমি ওপারে গিয়ে ভালোই থাকবো।
আমার পরিবর্তে চাদনীকে না হয় তোমার বোন মনে করবে।
আর চাদনীর মাঝেই তোমি আমাকে খুজে পাবে।
_এ কি আবুল তাবুল বকছিস?
তর কিছুই হবে না!{রত্না আপু}
রত্না আপুর কথাটা শেষ হতেই সাথির মুখে এক চিলতি হাসির রেখা ফূটে ওঠে।
আর আমার কোলে মাথা থাকা অবস্থাতেই ও দুনিয়া থেকে চলে যায়।
_সাথি এ কি করলে তোমি?
আমার জন্য নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলে?
তোমাকে তো অনেক কষ্ট দিলাম।
আর সব শেষে তোমার জীবনটাও কেড়ে নিলাম।?
এই পৃথিবীর কাছে যে আমি অপরাধী হয়ে গেলাম।
আমি নিজেকে ক্ষমা করবো কিভাবে সাথী!
তোমাকে ছাড়া আমিও যে শূন্য।
ফিরে আসো সাথি।
একটিবার ফিরে এসে আমি শাকিল বলে ডাকো।
তোমার স্মৃতিটা আমি ভূলবো কিভাবে?
তোমাকে ছাড়া থাকবো কিভাবে?
আমি সাথিকে বুকে জড়িয়ে অঝরে কান্না করছি।
আমার কান্না দেখে সবাই কান্না করছে।
কিন্তু কিছুতেই কান্না থামাতে পারছি না।
হঠাৎ কাধে কারো হাত পড়তেই ঘুরে তাকাই
_কান্না করিস না শাকিল! এটা হয়ত তর নিয়তি।
কি করবি বল!
যেটা কপালে আছে সেটা একসময় অবশ্যয় হবে।
শুধু শুধু কান্না করে কি লাভ!
সাথি তো চলেই গেছে।
ও তো তর জন্য ওর ই পরিবর্তে তর জীবনে চাদনীকে দিয়ে গেছে।
তকদিরে বিশ্বাস রাখ।
ওঠ সব পুলিশ এসে গেছে লাশগুলো নিয়ে যেতে চাচ্ছে।
যা নিয়ে যাওয়ার পারমিশন দে।
_হুম আসছি আপু!
পুলিশদেরকে লাশগুলো নিয়ে যেতে বলে কিডনাপ হওয়া মেয়েগুলোকে মুক্ত করে নিয়ে অবশেষে বিজয়ীর বেশে ফিরে আসলাম।
কলেজের সবগুলো ছাত্র,শিক্ষকরা সবাই মিলে এসে আমাদের চারজনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে।
সবার সাথে কমিশনার স্যারও আছে দেখছি।
_congratulation শাকিল!
ধন্যবাদ তোমাকে যে কাজ কোনো বাহিনীই করতে পারে নি।
নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে সেই কাজে সফলতা অর্জনের জন্য।
হঠাৎ চাদনী দৌড়ে কমিশনার স্যারের কাছে যায়।
আর সাথে সাথেই কমিশনার স্যার চাদনীকে বুকে জড়িয়ে নেয়।
আর সেটা দেখার সাথে সাথেই আমি অবাক হয়ে যায়!
_কিহ শাকিল! অবাক হয়ে গেলে তাই না?
আসলে তোমাদের কমিশনার স্যার হলো আমার আব্বু!
আর আজকে আমি আব্বুর সাথে চ্যালেন্জে জিতলাম।
আর সব সম্ভব হয়েছে তোমার জন্য।{চাদনী}
চাদনীর কথা শোনে আমি কি বলবো সেটা বুঝতে পারতেছি না।
_হুম চাদনী ঠিক ই বলেছে,
চাদনী আমার একমাত্র মেয়ে।
আর ও যে আমার মেয়ে সেটা তোমাকে বলতে মানা করেছিলো।
চাদনী যেদিন ব্যারিষ্টারি কমপ্লীট করে দেশে এসেছিলো সেদিন ই ভার্সিটিতে মেয়েদের কিডনাপ হওয়ার ব্যপারটা শোনে।
আমি পরে ওর কাছে সব খুলে বলি।
আর এরপর চাদনী আমাকে বলে সে নাকি এই কেইসটা তদন্ত করে দেখবে।
আমি বলেছিলাম কোনো বাহিনীই এ কাজ করতে পারে নি তোমি কিভাবে এটা পারবে?
তাছাড়া এই কেইসের তদন্তটা আমাদের সি.আই.ডি ডিপার্টমেন্টের ACP শাকিল রায়হান নিয়েছে।
আমরা আশা করছি একমাত্র শাকিল ই এটাতে সফল হতে পারবে।
আর আমি তোমার আইনের প্রতি আস্থা,বিশ্বাস,মর্যাদা আর প্রত্যেকটা মিশনের সফলতা অর্জনের কথাটাও চাদনীকে বললাম।
আর আমার মুখে চাদনী তোমার গুণের প্রশংসা শুনে তোমাকে দেখতে চেয়েছিলো।
আর আমি একদিন তোমাকে দেখিয়েছিলাম।
আর তখনি চাদনী আমার কাছে চ্যালেন্জ করেছিলো যে সে এটাতে সফল হবেই।
তার পর বাড়িতে আসবে।
আর তাই আমার কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে সে তোমাদের ডিপার্টমেন্টেই যোগ দেয়।
আর আজ তোমার জন্য ওর চ্যালেন্জ জিততে পারলো।
আসলে তোমরা ভার্সিটিতে মিশনে আসার আগেই চাদনী জানতো যে তোমিই ACP শাকিল রায়হান।
আর ভার্সিটিতে চাদনী যে তোমার সাথে বাজে বিহেভ করতো আসলে সেটা তোমার সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য।
যাতে করে তোমার সাথে পরিচয় হয়ে এই মিশনটাতে এসে ওর চ্যালেন্জে সফল হতে পারে।
আর মেয়েগুলোকে রক্ষা করার মত একটা মহৎ কাজে অংশ নিতে পারে!{কমিশনার স্যার}
_তারমানে চাদনী আগে থেকেই আমাকে চিনতো?
আর তাহলে আমাকে আরো আগে বললো না কেন?{আমি}?
_এটাই তো সারপ্রাইজ স্যার!{চাদনী}?
ওকে তাহলে চলো আমাদের বাসায় যাওয়া যাক!
আর বিকালে তোমার বাবা-মা কে আমাদের বাসায় আসতে বলো।
আজকেই সব পাকাপাকি করতে হবে।{কমিশনার স্যার}
_বুঝলাম না!কিসের পাকাপাকির কথা বলছেন স্যার?{আমি}
_ভুদ্ধো একটা!
এটাও জানে না! যাহ!
কথাটা বলে চাদনি মোচকি একটা হাসি দিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে!
আর আমরাও কমিশনার স্যারের বাসায় চলে আসলাম।
বিকালে বাবা-মা আর মোসলিমা কমিশনার স্যারের বাসাতে আসে।
বাবা-মার ও চাদনীকে অনেক পছন্দ হয়!
অবশেষে আজ আমাদের বিয়ে ?।
চাদনী বাসর ঘরে বউ সেজে বসে আছে।
আর আমি বাসর ঘরে যাচ্ছি।
খুব ভয় করছে কিছুতেই যেতে মন চাচ্ছে না।
_কি রে শাকিল! হালা বিয়ে তো করেই ফেললি!
এবার আমাদের কথাটাও একটু ভাবিস ?
আর কত সিঙ্গেল থাকি!
বিছানাটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য হলেও তো একজন দরকার ?{সবুজ}
_আরে হালা অপেক্ষা কর!
অবশ্যয় পাবি!
_দোস্ত আমার একটা রিকুয়েস্ট আছে ?{মাসুদ}
_হুম বলে ফেল!{আমি}
_আমরা তো সেই ছোটবেলা থেকেই একসাথে সব জায়গাতে যাইতাম।
এহন কি তর বাসর ঘরটাতেও এক সাথে যাইতে পারমো ?{মাসুদ}
_কস কি মামো….???
পায়ে ধরি এইডার ভাগ চাইছ না!
আগে আমি ঘুরে আসি?{আমি}
_হাহাহা!
বিড়াল ভালো করে মাড়িস মামো!
বেশি জোরে মারতে যায়া খামচি খাইছ না ?{সবুজ}
_ওকে দোয়া করিস !
গেলাম!
_আরে হালা যা!
আমরা আছি তোহ?
কথাটা বলে ওরা এক ধাক্কাতে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেই।
আমি বাসর ঘরে গিয়ে দাড়াতেই চাদনী বিছানা থেকে নেমে এসে আমার পায়ে সালাম করে।
আমি ওকে আমার কোলে উঠিয়ে নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসি!
_কি হলো এভাবে গলায় ধরে রেখেছো, নামছো না কেন?
_নামবো না !?
_আরে আরে রাগ করছো কেন?
নামবে না কেন আমি কি করলাম??
_শয়তান আমার চুমু কই?
_মা মানে?
তোমার চুমু কোথাই পাবো?
_আরে গাধা আমি তকে সালাম যে করলাম!
তোই আমাকে কোলো তোলে কপালে একটা চুমু দিলি না কেন? ?
_ওরে বাবুলে!
আমার মনেই ছিলো না!
ওকে দিচ্ছি উম্মা!
এখন হলো?
_হ্যা হয়েছে!
কথাটা বলেই চাদনী আমার বুকে চলে আসে।
আর আমিও ওকে পরম আদরে বুকে জড়িয়ে নিই।
_আচ্ছা শাকিল আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?
এভাবেই সারা জীবন ভালোবাসবে আমাকে?
_তোমাকে ভালোবাসবো না তো কি পাড়ার সব ছকিনা;জরিনাকে ভালোবাসবো ??
_দুষ্টামি না শাকিল সত্যি করে বলো।
_আরে পাগলি একমাত্র মৃত্যু ছাড়া কিছুই তোমাকে আমার থেকে দুরে সরিয়ে নিতে পারবে না!
আজীবন এভাবেই তোমাকে ভালোবেসে যাবো।
_আমার ভয় হয়
যদি কখনো তোমাকে হারিয়ে ফেলি!
_আমাকে তোমার কাছ থেকে পৃথিবীর কোনো শক্তিই ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
সব বাধাকে অতিক্রম করে বার বার তোমার কাছে ফিরে আসবো!
_সত্যিই তোমাকে ছাড়া আমি একটা মুহূত্বও বাচতে পারবো না শাকিল।
_আমিও পারবো না।
এভাবে আমাকে শক্ত করে তোমার বুকে জড়িয়ে রেখো যেন কেউ দূরে সড়িয়ে নিতে না পারে।
কথাটা বলে চাদনী আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
আর আমিও চাদনীকে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই।
হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাদনী ওর দুটো ঠোট আমার ঠোটে মিশিয়ে দেয়।
আর ওর ঠোটের উষ্ণতায় সাথে সাথে আমার সারা শরির কেপে ওঠে।
নিজেকে যেন কিছুতেই কন্টোল করতে পারছি না।
অবশেষে আমিও ওর দুটো ঠোটকে নিজের ঠোটের সাথে মিশিয়ে দেই।
আর দুজন চলে যায় অজানা সুখে রাজ্যে।
.
.
.
.
.
.
সত্যি বলতে অপরাধীরা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন!
আইনের কাছে সেটা নিতান্ত মশার থেকেও ছোট মাত্র।
যদি সেই আইনের পরিচালনায় থাকে একজন সৎ ও যোগ্য অফিসার।
সততা ও আইনের উপর বিশ্বাস ই ডিফেন্সের সব কঠিন মিশনকে সফল করে হাতের মুঠোই এনে দেয়।
কিন্তু কিছু কিছু অসভ্য,লোভী অফিসারদের জন্য সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে মানুষে দোষারুপ করে।
এসব লোভীও ঘুষখোর আইনের রক্ষক নামের বক্ষক অফিসারদেরকে যদি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে
সৎ ও যোগ্য একজন অফিসারের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় তবেই সোনার বাংলাদেশে একমাত্র সুশৃঙ্খল আইনি শাসন প্রতিষ্টা করা সম্ভব।
আমার গল্পটা মূলত এটা নিয়েই লিখা।
.
.