সি আইডি অফিসারের ভালোবাসা পর্ব-6

0
1075

গল্প: সি আইডি অফিসারের ভালোবাসা
পর্ব-6
#Raihan
.
.

.

পেছনে ঘুরে দেখি চাদনী এগুলো বলছে।
আমি মাথা নাড়িয়ে না সম্মতি দিলাম।
_তাহলে এদিকে আয়…..{চাদনী}
_হুম বলেন কি বলবেন?{আমি}
_এখানে এসেছিস কেন….?
_এমনিতেই একটু দরকার ছিলো।
_দরকার ছিলো?
তো লেডিস হোষ্টেলের সামনে কি?
_আজব তো।
আমার দরকার তাই আমি আসছি।
আপনাকে বলতে যাবো কেন….? {আমি}
_কিহ! তর এখানে কিসের দরকার?…?
আমাকে বলতে হবে।
বলতে বলছি বল।….? {চাদনী}
_না বলবো না।{আমি}
_কিহ্ বলবি না?
_না বলবো না।
_সত্যিই তো বলবি না?
_না
এইকথা বলছে আর চাদনী আমার দিকে এগোচ্ছে।
হঠাৎ করে আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাদনী এত লোকের মাঝে এমন একটা কাজ করবে আমি কিছুতেই ভাবতে পারি নি।
সাথে সাথে আমার শাটের কলার ধরেই চাদনী আমার দুই গালে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা চর বসিয়ে দেয়।
হঠাৎ করে আমার সাথে চাদনীর এমন ব্যবহার দেখে ওর বান্ধবীরা সবাই অবাক হয়ে যায়।
তাছাড়া আমিও কখনো ভাবতে পারি নি চাদনী এমন কাজ করবে।
সাথে সাথে যেন আমার পায়ের নীচের মাটিগুলো সব যেন সড়ে যাচ্ছে।
আমার চার পাশটা যেন অন্ধকার হয়ে আসছে।
আমার সাথে এমন ব্যবহার দেখে চাদনীর সব বান্ধবীরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
এমন কি ঐ হোষ্টেলের সামনে যারা ছিলো তারা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

যেই আমি কখনো মেয়েদের দিকে বদ নজরে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকাই নি
আর সেই আমি কি না মিথ্যে অপরাধে পাবলিক প্লেসে চর খেলাম তবুও একটা মেয়ের হাতে?
ঠিক এই মুহূত্বে আমাকে নিজের কাছে কতটুকু অসহায় লাগছে আমি কিছুতেই বুঝাতে পারবো না।
_শালার লুচ্চা,বদমাইশ মেয়েদেরকে শুধু ফলো করিস তাই না?
তুই নিজেকে কি ভাবিস
তুই যে আমাকে ফলো করিস সেটা কি মনে করেছিস আমি জানি না?
সেদিন তুই আমাকে থানায় তর বন্ধুদের সামনে থাপ্পর দিয়েছিলি না?
আজ আমার বান্ধবীদের এমন কি গুটা পাবলিক প্লেসের মানুষের সামনে তকে থাপ্পর দিয়ে তার প্রতিশোধ নিলাম।
আর কখনো যদি আমার সাথে লাগতে আসিস না
তাহলে দেখবি এই চাদনী কি জিনিস।…?

আশাকরি কথাটা মনে রাখবি।
কথাটা বলে চাদনী সেখান থেকে চলে যায়।

আর আমি সেখানে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি।
এতগুলো মানুষের মাঝে এমন অপমান যেন আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারছি না।
বুক ফেটে কান্না আসছে।
না পারছি কান্না চেপে রাখতে।
না পারছি বূক ফাটিয়ে কান্না করতে।

_সরি ভাইয়া! আমার জন্যই আজকে চাদনী আপনাকে সবার সামনে এভাবে ইনসাল্ট করলো।
সত্যিই আমি জানতাম না
যে ও আপনার সাথে এমন বিহেভ করবে।

আর আমি এটাও জানতাম না যে আপনি চাদনীকে থানাতে চর দিয়ে অপমান করেছিলেন।
যদি আমি জানতাম আপনার সাথে চাদনী এভাবে সুযোগের সৎ ব্যবহার করবে
তাহলে আমি আপনাকে কখনোই এখানে ডাকতাম না।

চোখে হাজার ফোটাপানি লোকিয়ে রেখে ঝাপসা চোখে তাকিয়ে দেখি চাদনীর সাথে থাকা সেই মেয়েটি যে মেয়েটি একটু আগে আমাকে ডাকতেছিলো সে আমার সামনে দাড়িয়ে কথাগুলো বলছে।

_its ok.
i dont maind.
আসলে আমিও জানতাম না চাদনী আমার সাথে এমন বিহেভ করবে।
আর আপনি এমন কথা বলতাছেন কেন?
আপনার কোনো দোষ নেই।
কথাটা বলে মাথাটা নিচু করে সেখান থেকে চলে গেলেম সোজা হোষ্টেল সুপারের রুমে।
আর সেখানে গিয়ে দেখি ডি.বি অফিসার মিস রত্না এসে বসে আছে
ও আপনাদেরকে তো বলাই হয় নি
ডি.বি অফিসার মিস রত্না আমার খালাত বোন।
মিস রত্না আমার খালাত বোন হলেও তাকে আমি নিজের বড় বোনের মত শ্রদ্ধা করি।
সত্যি বলতে মায়ের পর দিয়ে যদি কারো কাছে বেশি আদর পেয়ে থাকি তাহলে সেটা এক রত্না আপুর কাছ থেকে পেয়েছি।
আর আজকে আমার এই পজিশনে আসার একমাত্র উৎসাহ যোগানোর মানুষটাই হলো রত্না আপু।
আমাকে দেখা মাত্রই বলতে লাগল___
_কি রে খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না?
তুই আমার থেকে প্রমোশনে বড় হতে পারিস।
কিন্তু তকে কানে ধরে টানার মত ক্ষমতা কিন্তু এখনও আমার আছে….☺{রত্না}
_কি যে বলো না আপু!
আমি কখন বড় হলাম?
আমি তো এখনও সেই ছোটটিই আছি…?{আমি}
_হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি।
আচ্ছা তর কথা এমন শোনাচ্ছে কেন?
কিছু কি হয়েছে?{রত্না আপু}
_কো কোই না তো আপু!
সর্দি লেগেছিলো?
আর হালকা জ্বর জ্বর ভাব লাগছে {আমি}
_ওহ আচ্ছা!
কিন্তু ডেকেছিস কেন সেটা বল।
তার পর আমি রত্না আপুকে সব খুলে বললাম।
আর তার মধ্যে সাথি নামের মেয়েটিকে একটু নজরদারীর মধ্যে রাখতে বললাম।
আর সেজন্য সাথির সাথে কয়েকটা ফোর্সও নিয়োগ দিয়ে দিতে বললাম
যাতে মেয়েটিকে তারা সারাক্ষণ পাহারাই রাখে।

আর তার মধ্যে সাথী নামের মেয়েটির পরিচয়ের কথা জিজ্ঞাস করতেই হোষ্টেল সুপার বললো সাথি নাকি এই ভার্সিটির প্রিন্সিপালের মেয়ে।
আর প্রিন্সপালের বাসা ভার্সিটি থেকে খানিকটা দূরে থাকায় মেয়েটি এই হোষ্টেলেই থাকে।

আর আমরা যেহেতু এই ভার্সিটিতে বর্তমানে ছাত্র সেজে আছি
সেহেতু আমরা এখানে আসলে সবাই সন্দেহ করবে তাই রত্নাকে সব বুঝিয়ে বলে দিয়ে আসলাম।
আর আমি সেখান থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
এই মুহূত্বে আমার কিছুই ভালো লাগছে না।
বার বার শুধু চাদনীর অপমানের কথাগুলো মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে সবার সামনে দেওয়া চাদনীর থাপ্পরটার কথা।
_কি রে মামো এভাবে ছ্যাকাখোরদের মত বিছানায় চিৎ অয়া শুয়া কি ভাবতাছছ…….?
আসো যাইবা নাকি,
ভার্সিটির সাথেই একটা বাড়িতে চল্লিশার দাওয়াত আছে।
গেলে তাড়াতাড়ি আহো আমি যাইতাছি…☺{রেজা}
_কিহ্ ঐ তুই মানুষ নাকি অন্য কিছু…….?{আমি}
_কেন আমাকে দেখে কি তর মানুষ মনে হয় না?
আমার তো মানুষের মত দুই হাত,দুই পা,আর একটা মাথা আছে।…?{রেজা}
_হুম মাথা যে আছে সেটা তো দেখতেই পারছি।
কিন্তু মাথার ভিতরে ঘিলু আছে বলে তো মনে হয় না।
এই দিকে রাতে মিশনের কি হবে সে চিন্তাতে বাচতেছি না।
আর সে যাবে কার না কার চল্লিশা খাইতে….?{আমি}
_মিশনের চিন্তা করছ নাকি সবার সামনে চাদনীর থাপ্পর দেওয়ার অপমানের কথা ভাবছ….?{রেজা}
_ইয়ে মা…মানে কি বলছিস তুতুইইই…?{আমি}
_তুতলাতে হবে না।
তুই তো আমাকে সেই মেয়ের ছবিটা নিয়ে রত্না আপুর কাছে যেতে বলেছিলি।
আর আমি তর পেছনে পেছনে ভার্সিটির দিকে গিয়েছিলাম রত্না আপুকে ছবিটা দিতে কিন্তু যায়া দেহি যে তুই চাদনীর থাপ্পরে সাইলেনট মোডে দাড়ায়া আছস…?{রেজা}
_মানে ততুই কি সত্যিই দেখছস…?{আমি}
_খালি দেহি নাই!
মাসুদ,সবুজকে আইলেই সব আমি ওদেরকে বলেও দিবো।
জানছি তো কিছু আমি পেটের ভেতর গোপন কোনো কথা রাখতে পারি না।
চামড়ার মুখ তো তাই ফইসকা বাইর অয়া যায়…?{রেজা}
_দেখ দোস্ত আমার মান ইজ্জত সব যাবো যদি ওদেরকে এইডা কয়া দেস।
ওদেরকে কিছু কইস না দোস্ত প্লীজ!
_ওকে কাউরে কিছু কমো না তবে একটা শর্ত আছে।{রেজা}
_হুম বল কি শর্ত{আমি}
_আজকে আর চল্লিশার দাওয়াতে যামো না।
আজকে রেস্টুরেন্টে যায়া বিরিয়ানি খামো।
আহ কত দিন ধরে গরম গরম বিরিয়ানী খাই না…?{রেজা}
_আমি পারবো না।
তুই চল্লিশা খেয়ে আয়।{আমি}
_না চল্লিশা খামো নাহ।
চল্লিশায় শুধু ভাত দেয়।
আর আমার অনেক বিরীয়ানি খাইতে ইচ্ছ করতাছে।…?{রেজা}
_না পারমো না। {আমি}
_ওকে তাহলে তর যাইতে অইতো না।
ফোনটা কই একটু দেখি।
সবুজ,মাসুদ রে একটু ফোন দিয়ে বলি। {রেজা}
_কেন! ওদেরকে কি বলবি?…?{আমি}
_omg ভুলে গেলি নাকি…?
তর আর চাদনীর একটূ আগে ঘটে যাওয়া ব্যপারটা…?{রেজা}
_না ইয়ে মানে তুই আমার বন্ধু হয়ে এই কাজটা করতে পারবি….?{আমি}
_আগে খাওয়া পরে তর এই সব আজাইরা প্যাচাল।
তকে তাহলে রেস্টুরেন্টে যেতে হবে না।
তুই থাক। আমি সবুজ আর মাসুদকে বলি।
ওরাই তকে নিয়ে যাবে হুহ….?{রেজা}
_হি হি আমি তো তর সাথে মজা করলাম।
চল তাহলে আমরা রেস্টুরেন্টে যাই।
দাতে দাত চেপে কথাটা বললাম।
_দাড়া আমি রেডি অয়া আইতাছি।
এই কথা বলে রেজা রেডি হতে চলে গেল
এমনিতেই এক চিন্তায়ে কিছু ভালো লাগতেছে না তার উপর আবার এই রেজার পেইনটা পুরাই মাথাটাকে খারাপ করে দিচ্ছে।
শালা কেমন আটকানোটাই আটকিয়েছে আমাকে।
না পারছি কিছু বলতে।
না পারছি সইতে।
কিছু না বললে পকেট শেষ।
আর বললেও পর্দা ফাস
যেই দিকে যামো ঐদিকেই বিপদ।
_ঐ কিরে তর হলো নাকি চলে যামো….?{আমি}
_আরে দাড়া আইতাছি…!
হুম চল।
তারপর আমি আর রেজা দুজন মিলে রেস্টুরেন্টের দিকে রওনা দিলাম।
কিন্তু সেখানে পৌছে তো আমি পুরাই অবাক।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখি মাসুদ আর সবুজ বসে আছে।
আমাকে দেখতে পেয়েই…..
_আহো মামো আহো!
তোমার লাইগ্গা হেই কহন থাইক্কা বয়া আছি…..?(মাসুদ)
_কেন আমার লাইগ্গা তরা বয়া আছস কেন…? {আমি}
_কেন আবার তুই নাকি আজকে এই হোষ্টেলে আমাদেরকে ইনভাইট করছছ…..? ☺ {সবুজ}
_মানে! কে বললো তদের? ?{আমি}
_কেন আমি বলছি…?{রেজা}
_কিহ্ তুই বলছছ?
ওকে যা আজকে তকেও খাওয়ামো না।
পারলে যার যার টাকা দিয়ে খেয়ে যা।
আমি একটা টাকাও দিমো না।….?{আমি}
_কই রে রেজা তরা একটু বসতো।
আমি একটু ব্যুরো থেকে ঘুরে আসি।{মাসুদ}
_কেন এখন আবার ব্যুরোতে যাবি কেন…?
জানিস না এখন আমাদের ব্যপারে কেউ জানতে পারলে বিপদ হতে পারে।
তাই আমাদের ব্যুরো এমন কি ওর আশে পাশেও যাওয়া উচিত না…?{আমি}
_ঐ হেইডা আমরা জানি।
আর তর কি মনে অয় আমি শ্বশুর বাড়ি যাইতাছি নাকি?…?
ব্যুরোতে যামো তর আর চাদনীর ব্যপারে সব অফিসারদের বলেই চলে আসবো…?{মাসুদ}
_মানে! সব অফিসারদের কি বলবি?
_বলবো যে আমাদের ACP স্যার পাবলিক প্লেসে একটা মেয়ের হাতে চড় খেয়েছে।
আর সেই মেয়েটা আর কেউ না।
আমাদের ই ডিপার্টমেন্টের নতুন মহিলা অফিসার চাদনী।…?{মাসুদ}
এখন শাকিলের আর বুঝতে বাকি থাকলো না যে রেজা ইতিমধ্যে খবরটা ওদের দু জনের মধ্যেও ভাইরাল করে দিয়েছে।
তাই রাগে দাতে দাত চেপে বললো__
_আরে আরে মাসুদ করছছ কি আমি তো তগর লগে মজা করলাম।
আমি তগরে খাওয়ামো না তো খাওয়ামো কারে…?
আমার তো আর বউ পোলাপাইন নাই।
তরাই তো আমার হালা সমুন্ধি সব…?
কি খাবি অর্ডার কর।
তবে মনে রাখিস আজকে তরা আমারে বোকা বানায়া যেমন করে ডাকাতি কইরা খাইতাছত
আমিও তগরে অভিসাপ দিলাম।
“^তগর সবার পোলাপান হওয়ার সময় লেংটা অয়া জন্মাবে,,
পারলে হওয়ার পর মিলিয়ে দেখিস”^…?{আমি}
আরে রাখ তর অভিসাপ দেওয়া।
আগে বিয়া কইরা নেই পরে।
আর কখনো কি দেখছছ কোনো বাচ্চা জন্মানোর সময় প্যান্ট শার্ট পরে জন্মাইছে….? {সবুজ}
ওরা সবাই আমাকে লুটপাট করে খাচ্ছে আর আমি পকেটে হাত দিয়ে ওদের খাওয়া দেখছি।
এমনভাবে খাচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে পুরো রেস্টুরেন্টটাই শালারা খেয়ে ফেলবে।

ওদের খাওয়া শেষ হওয়ার পর রেস্টুরেন্টর টেবিলে বসে তিনজনে একটু মিশনটা সম্পর্কে গল্প করতেছি ঠিক সেই সময় কোথায় থেকে যেন একটা লোক এসে আমাদের সাথে বসলো
লোকটার বয়স আনুমানিক পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্নর মত হবে।
দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব রসিক মানুষ।
_hlw guys কেমন আছো তোমরা..? ☺{লোকটি}
_আমরা সবাই ভালো।
শুধু ওকে ছাড়া।
আমাকে ইশারাই দেখিয়ে কথাটা বললো রেজা।
ওহ ভেরি সেইড।
আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ডস হতে পারি…? ? (লোকটি)
_why not.
exgatly আমরা ফ্রেন্ডস হতে পারি। (সবুজ}
_তা তোমার নাম কি ফ্রেন্ডস।
আমাকে কথাটা বললো লোকটি।
কথার স্টাইলে বুঝা যাচ্ছে সে মনে হয় সত্যিই আমাদের সমবয়সী।
_আমার নাম শাকিল। ? {আমি}
_ওহ গুড নেইম।
তাহলে তোমার নামটা উল্টালে হয় ল.কি.শা।…?
কিন্তু তোমার নামের কোনো ইংরেজি শব্দ আমার জানা নেই।
এর পর মাসুদকে জিজ্ঞাস করলে মাসুদ তার নাম বললো।
_ওহ তাহলে তোমার নাম মাসুদ
আর তোমার নামটা উল্টালে হয় দ.সু.মা।…?
আর তোমার নামের ইংরেজি হলো mother intarest…..?
mother=মা
intarest=সুদ
সুতরাং mother intarest মানে মাসুদ।…☺ {লোকটি}
এর পর সবুজকে জিজ্ঞাস করলে ওর নাম বলে।
_ওহ তাহলে তোমার নাম সবুজ।
আর তোমার নামটা উল্টালে হয় জ.বূ.স।
আর তোমার নামের ইংরেজি green.
এরপর লোকটি রেজাকে জিজ্ঞাস করে
_আচ্ছা ফ্রেন্ডস তোমার নাম কি?
রেজা কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দেয়___

_আমার নাম ড়াছি লবা।
রেজার বলা নাম শুনে আমি ফিক করে হেসে দেই।
এবার লোকটি রেজার নামটাকে উল্টাতে গিয়ে আটকে যায়।
কারণ এই নামটি উল্টালে আসে বা***(আপনারাই মিলিয়ে নেন?)।
সাথে সাথে রেজাকে সহ আমরা সবাই জোরে হেসে ওঠি।
আর লোকটা আমাদের এমন ব্যবহারে লজ্জা পেয়ে যায়।
_কি ফ্রেন্ডস আমার নাম উল্টাবা না..?
ড়াছি লবা।…?{রেজা}
এবার লোকটি আর সেখানে না দাড়িয়ে চলে যায়।
_সত্যি রেজা তুই পারছ ও বটে…?{আমি}
_হুহ তর এতক্ষণে মনে হলো আমি যে পারি?
আরে হালা যদি কিছু না ই পারতাম
তাহলে কি আর তর মত মানুষকে থ্রেড করে লুটেপুটে খাই…??
_ওকে এসব কথা বাদ দে।
আজকে যা হাসা হাসলাম।
চল এবার ভার্সিটির ভিতরে যাওয়া যাক।
যাওয়ার আগে রত্না আপুকে ফোন করে বলে দিলাম আমরা এখন মিশনে নামছি।
রত্না আপুর সাথে কথা বলা শেষ করে আমরা চলে আসলাম ভার্সিটিতে।
আর সাবধানে তালা খুলে ভেতরে গেলাম।
আর ভেতরে গিয়ে আবার আগের মত ই তালা দিয়ে রাখলাম।
_ঐ সবাই সাবধানে যা।
আর সবাই সবার রিভেলবারটা ফায়ার করে ফোনটগুলো সাইলেন্ট মোডে রাখ।
কিছুতেই অপরাধীরা যেন আমাদের উফস্থিতি টের না পায়।
আবার যদি অপরাধীরা অধিক পরিমাণে থাকে এমন কি পাচ,ছয় জন ও যদি থাকে এমন কি যদি ফায়ার করা দরকার পরে বা অপরাধীরা টের পেয়ে ফায়ার শুরূ করে তাহলে একেক সময় একেকবার একেক জায়গা থেকে ফায়ার করবি।
যাতে ওরা বুঝতে না পারে আমরা মাত্র চার জন আসছি।
ওদেরকে বুঝাতে হবে যে আমরা এখানে অনেক জন আছি।
যদি কোনো সময় ওরা টের পায় আমরা এখানে মাত্র চারজন আর ওরা যদি থাকে সংখ্যায় অধিক
তাহলে আমরা এখান থেকে আর নাও ফিরে যেতে পারি।
এবার আল্লাহর নাম নিয়ে যা গিয়ে নিরাপত্তা বুঝে লুকিয়ে যা।
আর ফোনের লোকেশন অন রাখবি।{আমি}
_ওকে।
_ধন্যবাদ
এখন যার যার মত যা{আমি}
ওদেরকে কথাগুলো বলে আমরা সবাই যার যার মত লুকিয়ে গেলাম।
কিন্ত আধঘন্টার মত হয়ে গেলো কিন্তু কোনো কিছুর সাড়া শব্দ পাচ্ছি না।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সামন্য একটু শব্দ শুনে আকাশে তাকাতেই আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম।….?
_আরে এটা আবার কি এদিকে উড়ে আসছে………..?
.
.
#to_be_continue
.

#ধন্যবাদ