স্বপ্নের_crush ? (in reality) Part-25+26

0
3965

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-25+26
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আহানঃ (এবার একটু ভাবুক হয়ে) umm wait অন্যভাবে বলি (বলেই এক হাটুর উপর ভর দিয়ে প্রোপোজ করার স্টাইলে বসে এক হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,) So,, Miss. Arohi,, myself Ahan Mahmud Aohi,, and I really love you so so sooo much, I know you also love me,, umm,, so, will you marry me?? ?
আরোহিঃ ???
ঢাসসসসসসসসসস……..??
আরে না না আরোহি থাপ্পড় টাপ্পড় মারেনি,, হঠাৎ আরোহি ঢাস করে সেন্সলেস হয়ে রাস্তায় পড়ে গেছে,, এভাবে হুট করে পড়ে যাওয়ায় আহান ওকে ধরতেও পারেনি, আহান নিজে এখন শক খেয়ে হা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ? তাড়াতাড়ি করে এগিয়ে গিয়ে আরোহিকে তোলে

আহানঃ আরোহি,, এই আরোহি হলোটা কি? [ কি ব্যাপার? এভাবে সেন্সলেস হলো কেন? এখন কি করি?] ??
আহান অরনিকে কল দিলো
_______________________
এদিকে,
অর্ণব স্টুডিও থেকে বের হয়ে ফোন হাতে নিয়েই দেখে অলরেডি অরনি অনেক গুলো ম্যাসেজ দিয়েছে, প্রতিটা ম্যাসেজেই কিছু লিখা নেই কিন্তু অনেক গুলো এংরি রিয়েক্ট,, অর্ণব অরনিকে কল দিলো,,
অর্ণবঃ হ্যালো ?
অরনিঃ জ্বি বলেন ( মুড দেখিয়ে)
অর্ণবঃ ? কি হলো তোমার? এমন মুখ গোমড়া করে কথা বলছো?
অরনিঃ নাহ কিছুই হয়নি,, আসলে একটু আগে একটা লাইভ লাভ কনফেশন দেখলাম তো,, খুউউউউবব ভালো লাগলো,, মানে কি বলবো,, দেখার পর মনটা এতো ভালো হয়ে গেছে নায়ায়ায়া ?

অর্ণবঃ ? আরেএএ আমার ফ্যান হয় তাই ওভাবে বলেছে,, ?
অরনিঃ তোওওওও?? ? ঐ কালো ইঁদুর, মহিলা হাতি, উগান্ডার জননী, মেয়ে তেলাপোকা,, ময়মনসিংহের ফইন্নি,, আফ্রিকান কইতোরি ?? ওর সাহস কিভাবে হয় আপনাকে প্রোপোজ করার?? কই আমি তো জীবনেও ওভাবে করিনি ? কালকেই গিয়ে বলে আসবেন আপনি ম্যারিড ?

অর্ণবঃ ? আমি ম্যারিড?? আমার বিয়ে কবে কখন কোথায় কীভাবে কার সাথে হলো? ?

অরনিঃ ?? আপনি বলবেএএনন!!??
অর্ণবঃ ওকে ওকে,, নাউ চিল
অরনিঃ হুহ
অর্ণবঃ বাই দ্যা ওয়ে আমি তো আর লাভ ইউ বলিনি,, আমি তো শুধু একজনকেই ভালোবাসি৷ আর সেটা তুমি জানপাখি ?
অরনিঃ ?? ( এ কথা শুনে অরনি একেবারে লালে লাল হয়ে গেছে, রাগটাও যেন কোথায় উধাও হয়ে গেছে ❤)
অর্ণবঃ কি হলো কথা বলছো না কেন?
অরনিঃ বাই ( বলেই লজ্জায় কলটা কেটে দিলাম) কল কেটে দিতেই দেখি আহান ভাইয়ার অনেক গুলো কল,, সাথে সাথে কল ব্যাক করলাম,

অরনিঃ হ্যা ভাইয়া, আপুকে পেয়েছো?
আহানঃ হ্যাঁ, কিন্তু আমার পরিচয় দিতেই অজ্ঞান হয়ে গেলো ? বুঝলাম না কেন?
অরনিঃ ? খালি অজ্ঞান? আমি তো ভাবছিলাম আপু তোমারে মাইর লাগায় এতোক্ষনে অজ্ঞান করে দিসে ??? (ধুর ধুর ধুর,, এ যে আমার বোন হলো কিভাবে ?)
আহানঃ ? actually I am Strong ? (ভাব নিয়ে)
অরনিঃ (? হো,, ঐ জন্যই তো নিজের রিলেশন সেট করাইতে আমার হেল্প লাগে ?) তা আপনি স্ট্রোং যখন তাহলে আপুকে সারারাত ধরে রাখেন,, আমি সকালে কোনো ব্যাবস্থা করে দিবোনি
আহানঃ আরে আরে শালী জি, তোমার বোনকে আমি শুধু সারারাত কেন ২৪ ঘণ্টা কোলে তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো, কিন্তু বাহিরে তো ঠান্ডা আর ও তো জাস্ট একটা চাদর পরে আছে, ওর ঠান্ডা লাগবে
অরনিঃ ওকে ওকে, আপুকে গেটের কাছে নিয়ে আসেন, আমি আসছি
আহানঃ ওহ সো সুইট অফ ইউ শালী জি
অরনিঃ (হুহ আমার বোনকে মিথ্যা বলার জন্য যখন শাস্তি দিবো তখন বুঝবা আমি কতো সুইট ? ) জি আমি অনেক সুইট,, অর্ণবকে বলে দিয়েন আমার থেকে সাবধান থাকতে নয়তো সুগার হয়ে যেতে পারে ? বাই দ্যা ওয়ে আমার আপিও কিন্তু সো সুইট
আহানঃ (হেসে) ? ইয়াহ ইয়াহ আই নো

এরপর আহান আরোহিকে কোলে করে নিয়ে আরোহির বাসায় সামনে আসতেই অরনি গেট খুলে দিলো,
অরনিঃ ওকে ভিতরে নিয়ে আসেন,,
আহানঃ তোমার মা বাবা বুঝতে পারবেন না?
অরনিঃ আমাদের বাবা নেই,, আর মা তো এখন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে ,, তাই বুঝবে না
আহানঃ ওহ ওকে
আহান আরোহিকে আরোহির রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলো,, দেখলো চারপাশে বাচ্চাদের মতো টেডি বিয়ার সাজানো, অনেক ফুল রাখা ফুলদানিতে,,,

অরনিঃ আসলে আপি আজ সারাদিন মন খারাপ করে কিছু খায়নি আর তার উপর আপনি একসাথে এতোগুলা শক দিছেন যে বেচারি লোড নিতে পারে নি ?
আহানঃ ? ?
অরনিঃ কে জানে আপনার কপালে কি আছে (আহানকে ইচ্ছা করে ভয় দেখিয়ে বললো)
আহানঃ (ভয় পেয়ে) মা..মানে? ?
অরনিঃ বারেএএ আপনি আপুকে এভাবে কষ্ট দিলেন, আপু আপনাকে কিছু বলবে না নাকি? ? কালকে রেডি হয়ে থাকবেন আপুর কাছে শাস্তি পাওয়ার জন্য
আহানঃ (আমি তো এটা ভাবিইনি ??)
অরনিঃ দেখি আপু আবার বিয়েটাই না ভেঙে দেয়
আহানঃ না না না প্লিজ, আমি কান ধরে ক্ষমা চাইব তবুও বিয়েটা যেন না ভাঙে, প্লিজ অরনি বিষয়টা দেখো
অরনিঃ আমি কেন দেখবো????
আহানঃ আমার হেল্প করলে আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিব
অরনিঃ কিহহহহ অরনিকে ঘুষ দেওয়ায়ায়ায়া
আহানঃ না না এটা ভালবাসা
অরনিঃ তাহলে ওকে
আহানঃ থ্যাংকস শালী জি
অরনিঃ ওয়েলকাম আচ্ছা ভাইয়া বাই
আহানঃ হুম বাই
আহান চলে গেলো,,,,
_____________________
সকালে,
আরোহি ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলছে,, চোখ খুলে রাতের কথা মনে পড়ে আশে পাশে তাকাতেই অবাক,,
আরোহিঃ একিইইই?? আমি না বাহিরে ছিলাম, এখানে কি করছি???
অরনিঃ আহান ভাইয়া দিয়ে গেছে
আরোহিঃ মা..মা….মানে?? কাল যা কিছু হয়েছে সব সত্যি?? ??
অরনিঃ জিইইই,, আর তুই কিনা আহান ভাইয়াকে মাইর দিয়ে অজ্ঞান করে দেওয়ার জায়গায় নিজে অজ্ঞান হয়ে গেছিলি ???? ছিইইই
আরোহিঃ তুই সব জানিস?
অরনিঃ ইয়েএ মা..মানে
আরোহিঃ ??? বল
অরনিঃ (সব বললাম) আপু এখন মোরাল হলো আমি তোর লাইন সেট করে দিচ্ছিলাম
আরোহিঃ আর সাথে নিজেরটাও সেট
অরনিঃ না না ওটা তো অটোমেটিক হয়ে গেছে,, যাই হোক এখন বলো এবার কি করবা

আরোহিঃ ? আমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছি মনে হচ্ছে,, আমার নিজের বোনও আমাকে চিট করলো??
অরনিঃ আসলে মানুষের ভালো করতে নাই ??
আরোহিঃ সরি সরি,, থ্যাংক ইউ সো মাচ আপি,, বাট আমার সাথে এগুলা কি হচ্ছে??
অরনিঃ (ড্রামাটিক ভাবে আরোহির চারপাশে ঘুরে ঘুরে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে) আপুউউ তোর সাথে ধোকা হয়েছে ধোকা,, আহান ভাইয়া তোকে প্রথমে মিথ্যা বলেছে মিথ্যা,, তোকে বোকা বানিয়েছে বোকা,, তুই কি কিছুইইই বলবি না???
আরোহিঃ কিহহহহ ??? আমার সাথে ফাজলামি ? একে তো মন চাচ্ছে লটকিয়ে ইচ্ছা মতো চিমটি দিই
অরনিঃ দিয়ে ফেলো
আরোহিঃ মন চাচ্ছে একে আহানের ঘাড়ে বসে ইচ্ছা মতো চুল টেনে ছিড়ি
অরনিঃ ছিড়ে ফেলো
আরোহিঃ মন চাচ্ছে আহানকে কুপিয়ে কিমা কিমাাাা বানিয়ে ফেলি
অরনিঃ বানিয়ে ফেলো
আরোহিঃ (অরনির দিকে তাকিয়ে) তুই কি আমাকে দিয়ে মার্ডার করাতে চাচ্ছিস??
অরনিঃ মানে?
আরোহিঃ চুল টেনে ছিড়লে তো আমার বরটাই টাকলা হবে, আর কুপিয়ে কিমা বানালে তো সব শেষ
অরনিঃ (ভাবুক হয়ে) ঠিক ঠিক, একদম ঠিক,, অন্য কিছু করতে হবে
আরোহিঃ হুম
বেশ কিছুক্ষন দুই বোন কি একটা ভাবলো, হঠাৎ অরনি চিল্লিয়ে উঠলো,
অরনিঃ আইডিয়া ??
আরোহিঃ বল কি আইডিয়া
অরনিঃ শোনো তাহলে ( আমি আরোহি আপুকে আমার আইডিয়াটা বুঝিয়ে দিলাম)
আরোহিঃ ওয়াহহহ এই না হলে আমার বোন
অরনিঃ খবরদার,, তুমি আমাকে বোন বলবা না। তুমি আমার বোন হলে কালকে ভাইয়াকে চার-পাঁচটা কানের কাছে লাগায় দিয়ে আসতা
আরোহিঃ আচ্ছা বিয়ের পর লাগাবো
অরনিঃ প্রমিস?
আরোহিঃ প্রমিস বোনু,, লাভ ইউ উম্মম্মাহ
অরনিঃ লাভ ইউ টু আপ্পি
.
to be continued….. ?

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-26
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
অরনিঃ বাই দ্যা ওয়ে আপু,, তোমার আর আহান ভাইয়ার সম্পর্কের ক্ষতি কিন্তু আসলে নিহা করতে চেয়েছে
আরোহিঃ মানে?
অরনিঃ মানে সায়র তো জাস্ট একটা গুটি ছিলো৷ কিন্তু সব কিছুর মাস্টার মাইন্ড তো নিহা
আরোহিঃ এই মেয়ে এতো প্যাচ নিয়ে ঘুমায় কেমনে? ?
অরনিঃ ? তুই ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমের চিন্তা করছিস ?
আরোহিঃ না,, না,, আচ্ছা তোকে এসব কে বললো?
অরনিঃ আমার আগে থেকেই নিহার উপর ডাউট ছিলো তাই অর্ণব খোঁজ নিয়েছে, আজ সকালেই অর্ণব ম্যাসেজ দিলো সায়র মাইরের ভয়ে সব স্বীকার করেছে, ভিতুর ডিম একটা
আরোহিঃ ?? এই নিহা কে তোওওও
অরনিঃ হুম,, ওর ও একটা ব্যাবস্থা করতে হবে কিন্তু তুই এখন কলেজে যা,, আর মনে থাকে যেন ভাইয়াকে রাগ দেখাতে হবে
আরোহিঃ হুম,, I will try ?? (অরনি আরোহির দিকে রেগে তাকাতেই) আচ্ছা আচ্ছা শাস্তি দিবো
______________
আরোহি কলেজে গেলো,,
আরোহিঃ (কলেজে গিয়েই দেখি আহান ওর ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে,, আমাকে দেখে আমার দিকে আসতে নিলেই দেখি নিহা আহানের হাত ধরে জড়িয়ে ধরলো,, এতোকিছুর পরও আমি আহানের উপর তেমন রেগে থাকতে পারিনি কিন্তু নিহা আমার সাথে এতো কিছু করার পরও আহান নিহার সাথে, এটা দেখে মাথা পুরো গরম হয়ে গেলো, তাই চলে আসলাম) ??

আহানঃ (নিহা আমার হাত ধরতেই আমার মাথা গরম হয়ে গেলো, হাত ছুটিয়ে নিয়ে) হোয়াট ইজ দিস নিহা? তোর সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার? ?
নিহাঃ আমরা ফ্রেন্ড হই, সো আমি তোমার হাত ধরতেই পারি আহু ?
আহানঃ স্টপ কলিং মি আহু,, আর তুই আরোহিকে ফেক ম্যাসেজ কেন দিয়েছিস? তোর আর আমার কখনও রিলেশন ছিলো না ?
অর্ণবঃ (ওদের কাছে গিয়ে বললাম) শুধু তাই না, সায়রকে দিয়ে সব কাজ নিহাই করিয়েছে, সব কিছুর পেছনে নিহার হাত ছিলো ?
আহানঃ হোয়াট ???
নিহাঃ কজ আই লাভ ইউ আহান, আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি আহা……
ঠাসসসসসসসস……
নিহা লাভ কনফেশন শেষ করার আগেই আহান নিহার গালে একটা জোরে চড় মারলো, এতোটাই জোরে যে পুরো ক্যাম্পাস কেপে উঠলো,, আহানকে কেউ এতো রাগ করতে এর আগে কখনো দেখেনি,, নিহা মাটিতে পড়ে গেছে,, আহান নিহার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে
আহানঃ আমি সব মেনে নিবো কিন্তু আমার ভালোবাসার মানুষগুলোকে যে আমার কাছে থেকে আলাদা করতে আসবে তাকে ছাড়বো না, গট ইট নিহা?
নিহা গালে হাত দিয়ে রাগে ফুলছে, ? , আহান রেগে চলে গেলো,,,
আহান আরোহিকে অনেক্ষন ধরে খুজছে কিন্তু পাচ্ছেই না,, হঠাৎ আরোহিকে দেখতে পেলো, দৌড়ে আরোহির কাছে গেল,
আহানঃ হাই আরোহি
আরোহিঃ ——–
আহানঃ হেই? আমি তোমার সাথে কথা বলছি
আরোহিঃ সরি, আমি আপনাকে চিনি না
আহানঃ হোয়াট?
আরোহিঃ হ্যা,, আমার তো অহি নামের একটা ফ্রেন্ড ছিলো কিন্তু সে তো আর আমার ফ্রেন্ড নেই,,
আহানঃ আরোহি আমি বুঝতে পারছি তুমি রাগ করে আছো, কিন্তু প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি বুঝতে পারিনি,
আরোহিঃ হ্যা তা কেন বুঝবেন? কষ্ট তো আমি পেয়েছি৷ আপনি তো শুধু মজা নিয়েছেন,, প্লিজ নাউ লিভ মি আলোন,, নিহার কাছে যান,, যে আমার এতো ক্ষতি করলো তাকে জড়িয়ে ধরেন যান
আহানঃ আরোহি বিলিভ মি আমি এসবের কিছুই জানতাম না , যখন জানতে পারলাম আমি নিহাকে সবার সামনে সজোরে থাপ্পড় মেরেছি
আরোহিঃ আহান আমার লেট হয়ে যাচ্ছে সামনে থেকে সরো
আহানঃ আম্ সরি আরোহি
আরোহিঃ (অনেক কষ্টে ওর সামনে থেকে চলে এলাম, ওকে এখন কষ্ট না দিলে ও যে বুঝবে না আমার কষ্ট টা)
আহানঃ (আরোহিকে অনেক বার আটকানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু সে থামলোই না)
————————
আরোহির বাসায়,
আরোহিঃ মা, তোমার সাথে একটু কথা ছিলো
আরোহির মাঃ হ্যা বল,,
আরোহিঃ আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না
আরোহির মাঃ মানে?
আরোহিঃ মানে আমি এখন বিয়ে করবো না,, আমার আর অরনির একসাথে বিয়ে হবে, সেজন্য আমার বিয়ের ডেট টা পিছিয়ে দাও
আরোহির মাঃ ওহ ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি
আরোহিঃ ভয় পেয়ো না,, আর আমার শ্বাশুড়ি মার নাম্বারটা দাও তো
আরোহির মাঃ কেন?
আরোহিঃ দাও তো
আরোহির মাঃ হুম,, ধর
আরোহিঃ (মার কাছে থেকে নাম্বার নিয়ে কল দিলাম)
ওপাশ থেকে কেউ একজন ফোনটা ধরলো,
– হ্যালো
আরোহিঃ আসসালামু আলাইকুম, আমি আরোহি বলছি
অর্ণবের মাঃ হ্যা মা বলো, আমি তোমার শ্বাশুড়ি মা,, তা সব ঠিক আছে তো
আরোহিঃ জ্বি ঠিক আছে, আসলে একটু কথা ছিলো
অর্ণবের মাঃ বলো (চিন্তিত হয়ে)
আরোহিঃ আসলে আমি চাই বিয়েটা যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়, আমার আমার অরনির বিয়ে যেন একসাথে একই দিনে হয়
অর্ণবের মাঃ মাহশাল্লাহ,, এতো ভালো কথা
আরোহিঃ জি কিন্তু মা আপনার কাছে একটা আবদার আছে
অর্ণবের মাঃ কি? বল?
আরোহিঃ আপনি আহানকে বলবেন আমি বিয়ে করতে চাইছি না,, পরে বিয়ে করবো এটা বলবেন না
অর্ণবের মাঃ কিন্তু কেন?
আরোহিঃ মা প্লিজ, কিছু জিজ্ঞেস করবেন না, আমার এটুকু সাহায্য করবেন প্লিজ
অর্ণবের মাঃ ওকে
আরোহিঃ আচ্ছা মা নিজের খেয়াল রাখবেন, আল্লাহ হাফেজ
অর্ণবের মাঃ আল্লাহ হাফেজ

অর্ণবের মায়ের মাথায় কিচ্ছু ঢুকলো না,, তবে এটা বুঝলেন এদের মান- অভিমান চলছে তাই তিনি আরোহির কথা মতো আহানকে বললেন আরোহি বিয়ে করতে চায় না,, আর এটা শুনে তো আহানের পাগল প্রায় অবস্থা,, আহান আরোহিকে কত ফোন করে কিন্তু আরোহি রিসিভ করে না,, কত ম্যাসেজ দিচ্ছে বাট নো রিপ্লাই ,,,

কলেজেও আহান আরোহির সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু আরোহি ইগনোর করে,,,, একদিন আহান বাধ্য হয়ে,,,,,
আরোহি ক্লাস শেষে রুম থেকে বের হয়ে অন্য রুমে যেতে নেয় তখনই আহান আরোহিকে ধরে একটা খালি ক্লাস রুমে নিয়ে যায়,,
আরোহিঃ (ক্ষেপে) কি সমস্যা কি আপনার? এভাবে নিয়ে আসলেন কেন??
আহানঃ দেখো আমি চাইনি বিয়ের আগে তোমাকে টাচ করতে, কিন্তু আজ বাধ্য হয়ে ধরে নিয়ে এসেছি,, আরোহি প্লিজ আমার উপর রাগ করে থাকলে আমাকে মারো বকো, কিন্তু এভাবে ইগনোর কোরো না প্লিজ
আরোহিঃ আমি কিভাবে রাগ দেখাব সেটাও কি আপনি ঠিক করে দিবেন নাকি?
আহানঃ এখন আপনি করে কেন বলছো?
আরোহিঃ আপনি করেই বলবো,, সরুন আমার সামনে থেকে (বলেই ওকে ধাক্কা দিয়ে চলে এলাম)
আহানঃ ( চোখের পানি মুছে নিচে এসে দেখি আরোহি কার সাথে যেন গাড়িতে করে চলে গেলো,,, দেখে আমার মাথা ঘুরার উপক্রম) (মনে মনে) আরোহির সাথে ছেলেটা কে? আরোহি ওর সাথে কেন গেলো? না না আমি এসব কি ভাবছি, হয়তো ওর পরিচিত কেউ হবে, আরোহি শুধু আমাকে ভালোবাসে,, আমাকে ( এরপর আহান নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করে)
____________________
পরের দিন কলেজে এনাউন্সমেন্ট হয় তাদেরকে নাকি ট্যুরে নিয়ে যাবে বান্দরবন,,আরোহি তো খুব এক্সাইটেড কিন্তু যখন শুনলো ৩য় বর্ষের ছাত্রদের নাকি ট্যুরটা হয়নি তাই তারাও যাবে,, এটা শুনে আরোহি যেতে চায় না, কিন্তু মিতু আর নিশার জোরাজুরিতে রাজী হয়,, এটা দেখে আহান খুশি হয় এবং আরোহির অভিমান কিভাবে ভাঙাবে সেটার প্লানিং করা শুরু করে দেয়,,,,,,
.
to be continued………. ?
(বানান ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন, অনেক তাড়াতাড়ি লিখেছি)