Black Rose Part-10 ( Season 03)

0
1318

#Black_Rose?
#season_03
#The_Dark_king_of_my_kingdom♚
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#Part_10
সকালের সূর্য উদয় হতে একটা নতুন দিনের শুরু।
মেঘ গোসল করে ফ্রেস হয়ে রুমে এসে আমানকে ডোকে,
–ঘুম ভালো ছিলো৷
–সকালও ভালো ভাবেই হলো।
–আমি না তোমার বর।
–হুম।
–তো তুমি এনে আমাকে মধুর শুরে ডাকবা ওগো শুনছো উঠো না।
–বয়েই গেল আপনাকে ওগো শুনছো উঠোনা বলতে।
–আপনা আপনি বাদ দেও না তুমি করে বলবা ওকে।
–আচ্ছা বলবোনে এখন উঠুন৷
–হুম ওকে।
আমান ফ্রেস হতে যায় আর মেঘ নিচে আসে,
–গুড মর্নিং মা।
–গু মর্নিং মেঘ৷ কিরে আমার ছেলেটা কই৷
–ফ্রেস হচ্ছে৷
–ও৷
–আন্টি,
–কিরে কেয়া সকাল সকাল।
–আন্টি বিয়ে তো শেষ এবার বাসায় যেতে হবে। অনেক দিন তো হলো।
–আর কিছু দিন থেকে যা (মোঘ)
–হ্যা কেয়া আর কিছু দিন
–না আন্টি বাবা মা আমাকে রেখে এই এতো দিন ছিলো সত্যি ওনারা আর থাকতে পারছে না।
–আহা রে তা খেয়ে যা৷
–আন্টি একটা কাজ আছে এখন না পরে।
–আচ্ছা সাবধানে যাস।
–হুম মেঘ আল্লাহ হাফেজ।
–আল্লাহ হাফেজ৷
কেয়া চলো গেল।
এদিকে আদহাম দেরও বাইরে যাবার দিন আজ। বেক টিকিট কেটে এসেছিলো আর থাকতে পারবে না।
–আমার বাড়িটা ফাকা হয়ে যাচ্ছে রে।
–কেন কি হলো (আমান নিচে আসতে আসতে)
–দেখ না সবাই চলে যাচ্ছে।
–আরে ছোট মা তুমি এমন বাংলার পাঁচের মতো মুখ করো না এর পরের বার আমি এক বারে বাংলাদেশে চলে আসবো।
–তাই নাকি৷
–হ্যা রে চাঁদনি আমি আর উনি থাকবো আর আদহাম চলে আসবে। (আদহামের আম্মু)
–বাহ তাহলে তো ভালোই হবে (মেঘ)
–হ্যা ভাবি তবে আজ এখন আসি আল্লাহ হাফেজ।
সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেল।
মেঘ আমান আর চাঁদনি খান খেতে বসলেন,
–বুঝলি আমান তোর কলেজ তো ছুটি তাই এই সুজকে যা গিয়ে সিলেট ঘুরে আয়৷ (চাঁদনি খান)
–মা তোমাকে একা রেখে (মেঘ)
–আরে পাগল একা কই বাসায় সব সার্ভেন্ট রা আছে তো তোরা যা আমান আমি সব রেডি করে রাখছি৷
–আম্মু আপনি তো অনেক দ্রুত। (আমান)
–হুম তোদের মা না তাই।
–আচ্ছা তো কি আজ বিকালে রউনা হই।
–হুম।
সবাই খাবার শেষ করতে লাগলো।


ওদিকল,
–সিলেট যাবি তুই আর রোজ হানিমুনে।
–ইম্পসিবল মা আমি রোজের সাথে তাও হানিমুনে কখনো না।
–তুই না গেলে আমার মরা মুখ দেখবি।
আকাশের মা রেগে কথা গুলো বলেই বেরিয়ে যায়।
–উফ আমার জীবনটায় কি সত্যি শান্তি নেই।
এর মধ্যে হটাৎ রোজ কফি বানিয়ে নিয়ে আসে।
–আপনার কফি।
রোজের কন্ঠ শুনে ওর দিকে তাকিয়ে আকাশের রাগ চরম উঁচুতে পৌঁছে যায়।
কাফির মগটা রোজের উপর ছুঁড়ে মারে গরম কমে যাওয়ার কারনে পুরে যায় না৷
–এসব অাদিক্ষেতা দেখাতে আসবি না এক দম।
আকাশ কথা গুলো বলেই রুম ছড়ে বেরিয়ে যায়।
–আদিক্ষেতা নয় ভালোবাসা জানি না কবে বুঝবে?।
রোজ সব কিছু পরিষ্কার করে নেয়।
–রোজ মা।
–জি মা।
–আজ বিকালে সিলেট যাবি তুই আর আকাশ সব কিছু গুছিয়ে নে।
–কিন্তু মা উনি কি।
–এতো ভাবিস না মা যাবে তাই যাবে তুই গুছিয়ে রাখিস৷
–ঠিক আছে।
আকাশের মা রোজের কপালো চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেল।


সকাল গড়িয়ে বিকাল হলো,
মেঘ গোল্ডেন কালারের একটা শাড়ি পরে রেডি হয়ে নেয়।
আমান মেঘকে পেছন থেকে জরিয়ে নেয়।
–কি মিষ্টি আমার বৌটা।
–আমার বর টাও কিন্তু কম মিষ্টি নয়৷
–মেঘ (বাইরে থেকে চাঁদনি খান)
–এই মা ছাড়ো।
আমান ছেড়ে দেয়৷
এরি মধ্যে চাঁদনি খান ভেতরে চলে আসে।
–কি রে তোরা রেডি৷
–হুম মা৷
–আচ্ছা আমান রউনা দে তাহলে৷
–আচ্ছা মা দোয়া করো।
আমান আর মেঘ রউনা হলো।
আমান গাড়ি চালাতে শুরু করে।
মেঘ বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে৷ সত্যি ভালোবাসার মানুষটার সাথে যাত্রা টা অন্য রকম ফিলিংস।


ওদিকে,
আকাশ না চাইতেও রোজকে নিয়ে সিকেট এর উদ্দেশ্য রউনা হলো।

এখন দেখতে হবে এর পরে কি হয়। ?
চলবে,