#My_sweetheart
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#Part_03
পিয়াস ইতিকে ক্লাস রুমের সামনে নিয়ে গিয়ে বলল
পিয়াস : এটা তোমার ক্লাস রুম
ইতি: Thanks ভাইয়া
পিয়াস :হুম, এখানে কাউকে চেনো
ইতি : হ্যা আমার একটা বান্ধবী আছে,সানিয়া
পিয়াস :ওকে আমি আসি
ইতি :শুনুন
পিয়াস :বল
ইতি :ওই লোকটার কি মাথায় সমস্যা আছে
পিয়াস :তা কেন
ইতি :দেখলেন না হুট করে কি সব বলছিল
পিয়াস মৃদু হেসে বলল
পিয়াস :কি জানি, মনে হয় পাগল হয়ে গেছে,পরে কথা বলব বায়
ইতি :হুম
ইতি ক্লাসে ঢুকে দেখে সানিয়া বসে আছে,
সানিয়া :দোস্ত
ইতি :হুম
সানিয়া :ক্লাস চিনেছিস, আমার তো ফোন বন্ধ, তাই ফোন দিতে পারি নিই
ইতি:যা হলো কিছুখন আগে
সানিয়া :কি হয়েছে বল বল বল
ইতি ওকে সব খুলে বলল,সানিয়া অবাক হয়ে বলল
সানিয়া :কি ফারদিন ভাইয়া, সত্যি
ইতি:আমার মিথ্যে বলার কি প্রয়োজন
সানিয়া :ওনি আমাদের সিনিয়ার
ইতি :তাতে আমার কি,আমার তো মনে হয় জীবনে ভদ্রতা কি তা জানে না, রাক্ষস একটা
সানিয়া :কি বলিস, কেউ শুনলে খবর আছে,আর যদি ফারদিন ভাইয়া জানতে পারে তাহলে তো হলোই
ইতি :আমি ওনাকে ভয় পাই না।
সানিয়া :ইশশশ আবার কথা বলে চুপ কর, এখনি স্যার আসবে
ইতি:হুম
ভার্সিটি ছুটি হয়ে যাওয়ার পর, ইতি আর সানিয়া বের হচ্ছে তখনি ফারদিন গিয়ে সামনে দাড়িয়ে বলল
ফারদিন : Sweetheart
ইতি রেগে বলল
ইতি : কে আপনার sweetheart,
ফারদিন :তুমি
ইতি :আপনি আমাকে কেন বিরক্ত করছেন
ফারদিন :বিরক্ত কই করলাম,আমি বিরক্ত করলে তুমি শান্তিতে থাকতে পারবে না
ইতি :প্লিজ এমন কেন করছেন,থাপ্পড় মেরে ছিলাম তাই,আপনি আমাকে থাপ্পড় মেরে নিজের রাগ মিটান কিন্তু এভাবে বিরক্ত করবেন না
ফারদিন :না Sweetheart, তোমাকে কষ্ট দেওয়ার বিন্দু মাএ ইচ্ছে আমার নেই,কিন্তু আমার রাগ ভালো না, নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারি না,তাই আমাকে রাগাবে না
ইতি :কেন এমন করছেন,কয়েক মিনিটের দেখায় আপনার কি হয়েছে
ফারদিন :আসলেই জানি না,এই কয়েক মিনিটের দেখায় এমন মনে হচ্ছে যে তুমি আমার সুখের একটা কারণ হবে।তোমার প্রতি আমার এমন একটা অনুভূতি কাজ করছে, যা এর আগে কখন কার জন্য হয় নি।
ইতি :আপনাকে কিছু বলেই লাভ নেই,আমাদের পথ ছাড়ুন
ফারদিন :Okey bye sweetheart
ইতি আর কিছু না বলে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে গেল।
এবার কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরা যাক,,,,,,,,,,,,,,,
সামিয়া :তুই ঠিক আছিস
ইতি :হুম
সানিয়া :আজ পিয়াস ভাইয়ার জন্ম দিন, যাবি না
ইতি :না
সানিয়া :কি কেন
ইতি :ইচ্ছে করছে না
সানিয়া :না তোকেও যেতে হবে, ওখানে তো ফারদিন ভাইয়াও থাকবে
ইতি :তাতে আমার কি
সানিয়া :ভেবে বলছিস তো,ফারদিন ভাইয়া কিন্তু খুব রেগে যাবে
ইতি :তুই ভালো মতো রেডি হোস, পিয়াস ভাইয়ার জন্ম দিন বলে কথা
সানিয়া কিছুটা লজ্জা পেয়ে বলল
সানিয়া :দূর তুইও না
সন্ধ্যার দিকে,,,,,
ইতি :বাহ তোকে তো বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে, পিয়াস ভাইয়া তোকে দেখে হা হয়ে থাকবে
সানিয়া :চুপ কর তো,তুই সত্যি যাবি না
ইতি :না আর এই গিফটটা আমার পক্ষ থেকে দিয়ে দিস
সানিয়া :ঠিক আছে,তাহলে গেলাম
ইতি :সাবধানে যাস
সানিয়া :হুম
সানিয়া হোস্টেল থেকে পিয়াসের birthday Party গেল।ওই খানে ফারদিন গিয়ে সানিয়াকে বলল
ফারদিন :ইতি কোথায় ওকে তো দেখছি না
সানিয়া :ও আসে নিই
ফারদিন রেগে বলল
ফারদিন :কেন আসে নিই
সানিয়া ভয় পেয়ে গেল
সানিয়া :আ,,আআআ,আমি জানি না বলে ছিলাম আসতে,কিন্তু আসলো না
ফারদিন আর কিছু না বলে চলে যেতে লাগল,তখনি পিছন থেকে পিয়াস বলে উঠল
পিয়াস :কোথায় যাচ্ছিস
ফারদিন :কিছুখনের মধ্যে আসছি
বলেই ফারদিন চলে গেল,পিয়াসের চোখ পড়লো সানিয়ার দিকে, পিয়াস হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
সানিয়া :এটা আপনার
পিয়াস :হা কিছু বললে
সানিয়া সামান্য হেসে বলল
সানিয়া :এটা আপনার জন্য,ইতি দিয়েছে
পিয়াস :ও আসে নিই
সানিয়া :না
পিয়াস :এই জন্যেই মনে হয়, ফারদিন এভাবে বেড়িয়ে গেল
সানিয়া :হুম
পিয়াস :কোনো চিন্তার বিষয় না,ফারদিন ইতিকে ঠিক নিয়ে আসবে,যাই হক তোমাকে আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে
এর প্রতি উওরে সানিয়া সামান্য হেসে দিল।
অন্য দিকে,,,,,,,,
ইতি ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে ফারদিন ওর বিছানায় বসে আছে,ইতি দেখে বলতে লাগল
ইতি : ওফফ এখানেও আপনি,
বলেই ফারদিনের পাশে গিয়ে বসে বলতে লাগল
ইতি :না জানি কি হয়েছে আমার,সব জায়গায় শুধু আপনাকে দেখতে পাই।
ফারদিন ইতির কথা শুনে মুচকি হাসছে, ইতির ওর দিকে তাকিয়ে বলল
ইতি :এই যে আবার হাসছেনও,কিন্তু কল্পনার মাঝে আপনাকে খুব সুন্দর দেখায়।আমার মনে হচ্ছে হাত বাড়ালেই আপনাকে ছুতে পারব
বলেই ইতি ফারদিনের হাত ধরে বলতে লাগল
ইতি :এই দেখুন এখন তো আমি আপনাকে ছুতেও পারছি
বলেই হাত সরিয়ে সামনে তাকিয়ে,অবাক হয়ে আবার ফারদিনের দিকে তাকিয়ে বলল
ইতি :আমি ছুড়তে পারছি,তার মানে
ফারদিন :হুম, আমি এখানেই আছি,আপনার কোনো কল্পনা না
ইতি এখন লজ্জায় পড়ে গেল।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
