#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে
#Part_16
#Ariyana_Nur
বাইরে হালকা মৃদু বাতাস বইছে।সুবহে সাদেক উদিত হওয়ার পর থেকেই চারোপাশ থেকে আযানের সুমধুর শুর শোনা যাচ্ছে। আযানের সুমধুর শুর কানে যেতেই নুহার ঘুম ভেঙ্গে গেল।ঘুম ভাঙতেই পিট পিট করে চোখ খুলে তাকাল।মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছে।পুনরায় চোখ বুজে দু’হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরল।কালকের কথা মনে হতেই ধরফরিয়ে উঠে বসল।
রুমের হালকা আলোতে ঘুমঘুম চোখে চারোদিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিল নুহা। বেড থেকে নামতে নিলেই অসাবধনতা বসত পাশের টেবিল থেকে গ্লাসটা নিচে পড়ে গেল।
সাইফ সারা রাত নুহার পাশে বসে থেকে শেষ রাতের দিকে সোফায় গিয়ে গা বিছিয়ে দিয়েছিল।কখন যে ঘুমের দেশে চলে গেছে তা তার জানা নেই।গ্লাস ভাঙার শব্দে সাইফ তড়িঘড়ি উঠে বসল।বেডের দিকে তাকাতেই দেখে নুহা বসে আছে।সাইফ সোফা থেকে নেমে আস্তে আস্তে নুহার দিকে এগিয়ে আসল।
এদিকে নুহা একজনকে ওর দিকে এগিয়ে আসতে দেখে আরো ভয় পাচ্ছে।মনে মনে ভাবছে,তিনিও কি গ্লাস ভাঙ্গার জন্য মা এর মত বকাঝকা,গালাগালি করবে???না কি মারবে???
সাইফ কাছে আসতেই দেখতে পেল নুহা ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে।সাইফ আরেকটু আগাতে নিলেই নুহা চোখ খিছে বন্ধ করে ফেলল।যা সাইফ এর চোখ থেকে আড়াল হল না।সাইফ নুহার অবস্থা বুঝে দু’কদম পিছিয়ে সান্ত গলায় বলল….
—এখন কেমন লাগছে??বেটার ফিল করছ???
নুহা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল।
সাইফ সামনে থেকে সড়ে গিয়ে রুমের লাইট অন করে বলল….
—সাবধানে বেড থেকে নেমে যাও ফ্রেস হয়ে আস।
নুহাও চুপচাপ কোন কথা না বলে ওয়াসরুমে চলে গেল।
ওয়াসরুম থেকে নুহা ওজু করে বের হয়ে মাথা নিচু করে এক কোনায় দাড়িয়ে রইল।নুহাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সাইফ দুরে দাড়িয়েই জিগ্যেস করল….
—কিছু লাগবে???
নুহা কাচুমাচু করে নিচু আওয়াজে বলল….
—নামাজ পড়ব।
সাইফ ওর কথা শুনে কাবাড থেকে জায়নামাজ বের করে নুহার হাতে দিতে গিয়েও থেমে গিয়ে সোফার উপর রেখে বলল …..
—আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
কথাটা বলেই সে ওয়াসরুমে চলে গেল।
এদিকে সাইফ চলে যেতেই নুহা জায়নামাজ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।কেবলার কোন দিকে তা সে মিলাতে পারছে না।কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়বে তা নিয়ে দিধাদন্দে পড়ে গেছে।
সাইফ ফ্রেস হয়ে এসে দেখে নুহা জায়নামাজ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।সাইফ কোন কথা না বলে কাবাড থেকে আরেকটা জায়নামাজ বের করে এক পাশে গিয়ে নামাজ পড়তে দাড়াল।
নুহাও সাইফ এর দেখাদেখি সেদিকে ফিরে নামাজ পড়তে দাড়াল।এতোক্ষনে নুহা একবার ও সাইফ এর মুখের দিকে তাকায়নি।
নুহা নামাজ শেষ করে মুনাজাত নিয়ে অঝোরে কান্না করছে।সাইফ কিছুক্ষন ওর পাশে বসে থেকে ওকে এভাবে কান্না করতে দেখে সহ্য করতে না পেরে উঠে রুম থেকে চলে গেল।
🌨🌨🌨🌨🌨
মিসেস চৌধুরী নামাজ শেষ করে দোয়া দুরুদ পরে সাইফ এর রুমের দিকে অগ্রসর হল।নুহার হালচাল জানার জন্য।সাইফ এর রুমের সামনে এসে দেখে দরজা পুরো খোলা।মিসেস চৌধুরী তার পরেও দুবার নক করল।নক করার পর ভিতর থেকে কোন আওয়াজ না আসাতে তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন।
রুমের ভিতরে চোখ বুলাতেই দেখলেন নুহা ফ্লোরের মধ্যে এক হাত মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে আছে।
তখন নুহা অনেকক্ষন কান্না করার পর মোনাজাত শেষ করেই জায়নামাজে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে পেরেছিল।শরীর দূর্বল থাকার কারনে একটু পরেই ঘুমিয়ে যায়।
কারো কোমল হাতের স্পর্শ পেয়ে চটজলদি উঠে বসল নুহা।কাচা ঘুম থেকে এভাবে উঠার কারনে কিছুটা ভয় পেয়ে গেল।যার ছাপ স্পষ্ট তার চেহারায় দেখা যাচ্ছে।
মিসেস চৌধুরী মিষ্টি হেসে কোমল গলায় বলল….
—ভায়ের কিছু নেই।আমি।এখন কেমন আছো??আর এখানে কেন শুয়ে রয়েছো??
নুহা মাথা নিচু করে আস্তে করে বলল…..
—নামাজ শেষ করে কখন যে চোখটা লেগে গিয়েছিল বুঝতে পারি নি।
—এখন কি আরো ঘুমোবে???
মিসেস চৌধুরীর কথায় নুহা তার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে না করল।
মিসেস চৌধুরী মুচকি হেসে বলল….
—তাহলে চল আমরা মা,মেয়ে নিচে গিয়ে চা খেতে খেতে গল্প করি।আমার সাথে গল্প করতে সম্যসা নেই তো তোমার???
নুহা আবার ও মাথা নাড়িয়ে না করল।
মিসেস চৌধুরী আবার একটা মিস্টি হাসি উপহার দিয়ে বললেন….
—চল।
🌨🌨🌨🌨🌨
নুহা মিসেস চৌধুরীর সাথে নিচে এসে সোফায় বসতেই একজন ওর বয়সি মেয়ে সামনে খাবারের ট্রে রেখে বলল….
—বড় বউমনি এগুলা সব খাইয়া শেষ করবেন।আপনের লিইগা আজকে আমি আল্লাহর ফজরে উইডা সব করছি।সব না খাইলে কিন্তু আমি অনেক কষ্ট পামু।
নুহা কোন কথা না বলে মেয়েটার দিকে চেয়ে রয়েছে।বুঝার চেষ্টা করছে মেয়েটা কে হতে পারে।মেয়েটার চেহারাটা অনেক মিষ্টি।কিন্তু কথাটা যেন কেমন লাগছে নুহার কাছে।
নুহাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রুনা নিজেই বলতে শুরু করল….
—আমি রুনা।আমি এই বাড়িতে ১০ বছর বয়স থিকা আছি।খালাম্মা,বড় বাবায় সবাইর কাছে আমারে হেগো মাইয়া কয়।আর বড় দাদা ছোড দাদায় নিজের বইন কইয়া পরিচয় দেয়।হেরা অনেক ভালা বউমনি।হেগো মনে কোন অহংকার নাই।
মিসেস চৌধুরীঃরুনা তোর এই গুনগান পড়ে করেসি।তোর বউমনি চলে যাচ্ছে না।
রুনাঃ আইচা বউমনি পড়ে কতা কমনে।এহন আমি যাই।
আপনে এডি খাইয়া শেষ করেন।
🌨🌨🌨🌨🌨
মিসেস চৌধুরীর সাথে টুকটাক কথা বলতে বলতে চা আর হালকা নাস্তা শেষ করল নুহা।কথা বলতে মিসেস চৌধুরী যা জিগ্যেস করছে নুহা মাথা নিচু করে শুধু তার উওর দিয়েছে।আর তার কথা শুনেছে।নুহা চুপ করে বসে আছে।আশুর কথা জিগ্যেস করবে কি করবে না তা নিয়ে দ্বিধায় আছে।আশুর কথা জিগ্যেস করতে নিয়েও মনের মাঝে এসে বাসা বাধলো এক রাশ অভিমান।তাই কিছু না বলেই বসে রইল।মিসেস চৌধুরী নুহাকে এমন চুপ করে বসে থাকতে দেখে বলল….
—দেখ মা।আমাদের জীবনে যা কিছু হয় সব কিছুই আল্লাহ্ আগের থেকেই র্নিধারন করে রেখেছে।আর তার হুকুমেই সব হয়।তার হুকুম ছাড়া কিন্তু একটা গাছের পাতাও নড়েনা।
তাই র্নিধারিত ভাগ্যকে মেনে নিয়ে আল্লাহ্ এর দরবারে আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
আর প্রতিটি প্রনীই কিন্তু আল্লাহ্ জোয়ায় জোয়ায় সৃষ্টি করেছেন।আর আমরা আশরাফুল মাখলুকাত।আমাদেরও কিন্তু আল্লাহ্ জোয়ায় জোয়ায় সৃষ্টি করেছেন।আর আমাদের মেয়েদেরকে তো বিশেষ ভাবে তার জীবনসঙ্গীর বাম পাজোরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।জুরিটা কিন্তু আমাদের জন্মের আগেই নিধার্রন করে রেখেছেন।তাই যায় সাথে যার জুরি আল্লাহ্ ঠিক করেছেন সে এক ভাবে না এক ভাবে তার হবেই।
নুহাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে মিসেস চৌধুরী অবার বলল….
আমার কথা কি তুমি শুনছো???আমি তোমাকে যা বুজাতে চেয়েছি তা বুঝতে পেরেছো কি???
নুহা এতোক্ষন খুব মনোযোগ দিকে মিসেস চৌধুরীর কথা শুনছিল।মিসেস চৌধুরীর প্রশ্নে নুহা চমকে তার দিকে তাকিয়ে উপর নিচে মাথা ঝুলিয়ে হ্যা বুঝায়।
মিসেস চৌধুরী নুহার এমন কাজে মুচকি হেসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।তিনি চলে যেতে নিলেই নুহা কাচুমাচু করে বলল….
—আন্টি…..
মিসেস চৌধুরীর পুনরায় নুহার পাশে বসে বলল…..
—কিছু বলবে মা???
নুহা আমতা আমতা করে বলল…..
—আশু….
মিসেস চৌধুরীর মিষ্টি হেসে আশুর কথা বলতে লাগলো।
🌨🌨🌨🌨🌨
তখন সাইফ নুহার কান্না দেখতে না ছাদে চলে গিয়েছিল।কিন্তু অনেকক্ষন ধরে ছাদ থেকে রুমে এসে নুহার জন্য ওয়েট করার পরও যখন দেখল নুহা রুমে আসছে না।তখন নুহার খোজ নেবার জন্য নিচে যাবার সিদ্ধান্ত নিল।
এদিকে নুহা মিসেস চৌধুরীর সাথে কথা শেষ করে রুমের দিকে পা বাড়াল। মিসেস চৌধুরীর কাছে আশুর ব্যপারে সব শুনে নুহা অনেক খুশি।তার পরেও মনে মনে ঠিক করলো আশুর সাথে কথা বলবে না।ওর ঐ বড়গিড়ি করার জন্য একটা উচিত শিক্ষা দিবে।
নুহা নানান কিছু ভাবতে ভাবতে রুমে ঢুকতে লাগল।আর তখনি এদিকে সাইফ রুম থেকে বের হতে গিয়ে নুহার সাথে ধাক্কা লাগর।নুহা ধাক্কা খেয়ে এক কোনে কাচুমাচু করে দাড়িয়ে আছে।সাইফ নুহাকে এভাবে কাচুমাচু করে দাড়িয়ে থাকতে দেখেই রেগে বলল….
—ইউ স্টুপিট।দেখে চলতে পারো না?চোখ কোথায় থাকে তোমার?সব সময় এমন অন্ধের মত হাটাচলা কর কেন???
নুহার কন্ঠ আর বকাগুলো কেমন চেনা চেনা লাগছে।ভয়ে অস্তে অস্তে মাথা উঠিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই সাইফ কে দেখে ওর চোখ বড় বড় হয়ে গেল।নুহা কাপা কাপা গলায় বলল….
—মিঃ….তাউরা…. আপনি….এখানে?
সাইফ নুহার প্রশ্ন শুনে হাত ভাজ করে বলল….
—আমার বাড়ি আমার রুমে দাড়িয়ে আমাকে জিগ্যেস করছো আমি এখানে কেন???
নুহা সাইফ এর কথা শুনে আমতা আমতা করে বলল….
—তাহলে আমি ভুল রুমে চলে এসেছি।আমি আমার রুমে যেতে নিয়েছিলাম।আসলে আমি এ বাড়িতে নতুন।তাই চিনতে ভুল করে ফেলেছি।কথাটা বলে নুহা উল্টো দিকে চলে যেতে নিলেই সাইফ বলল….
—জ্বি না আপনি ঠিক রুমেই এসেছেন মিসঃ অন্ধ।ওপস্ মিসেস অন্ধ।
নুহা ঘুড়ে দাড়িয়ে কৌতূহল চোখে বলল….
—মানে???
—আমার জানা মনে মেয়েদের বিয়ের পর তার হাজবেন্ড এর রুমই তা রুম হয়।এম আই রাইট মিসেস নুহা সাইফ চৌধুরী।
নুহা কথাটা শুনে কতক্ষন সাইফ এর দিকে গোলগোল চোখ করে তাকিয়ে থেকে আবার মাথা ঘুরে পড়ে যেতে লাগল।
নুহা মাথা ঘুড়ে পড়ার আগেই সাইফ নুহাকে ধরে ফেলল।সাইফ বিরক্ত হয়ে বলল….
—এরা বোনেরা বোনেরা কি সেন্সলেস হওয়ার উপর পিএজডি করেছে নাকি আল্লাহ্ মালুম।
🌨🌨🌨🌨🌨
চোখে মুখে পানির ছিটা পরতেই নুহার জ্ঞান ফিরল। জ্ঞান ফিরতেই সাইফকে মুখের সামনে ঝুকে থাকতে দেখে নুহা ধরফরিয়ে উঠে বসল।নিজেকে বেডে দেখে অবাক হয়ে বলল….
—আমার স্পস্ট মনে আছে আমার দরজার সামনে মাথা চক্কর দিয়েছে।তাহলে আমি এখানে কি করে এলাম??
কথাটা বলে নিজেই বেকুব হয়ে গেল।
সাইফ কোন কথা না বলে কয়েকটা শপিং ব্যাগ নুহার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল….
—কালকের থেকে তো এক পোশাকেই আছ যাও চেন্জ করে আছো।কথাটা বলেই সাইফ আবার রুম থেকে বের হয়ে গেল।আর এদিকে নুহা শপিং ব্যাগগুলোর দিকে হা করে তাকিয়ে থেকে কি হচ্ছে তা মিলাতে লাগলো।
🌨🌨🌨🌨🌨
ড্রাইনিং টেবিলে বসে সবাই ব্রেকফাস্ট করছে।মিঃ চৌধুরীর কাজ থাকার কারনে সে আজ আগেই চলে গেছে।যাবার আগে আশু আর নুহার সাথে আলাপ করে গেছে।আশু সকাল থেকে অনেক বার চেষ্টা করেছে নুহার সাথে কথা বলার জন্য।কিন্তু নুহা বার বার ওকে এড়িয়ে চলে গেছে।আশু তো এখন পাড়ছে না হাত পা ছড়িয়ে কান্না করতে।নীলাভের সাথেও নুহার মূহুর্তের মধ্যে মিষ্টি একটা সম্পর্ক তৈড়ি হয়ে গেছে।আশু খাচ্ছে আর আড় চোখে নুহাকে দেখছে।কিন্তু সেদিকে তার খবর নেই।নুহা খাবারের প্লেটে হাত দিয়ে খাবার নাড়াচাড়া করছে।আশুর সাথে এভাবে অভিমান করে থেকে তারও গলা দিয়ে খাবার নামছে না।
🌨🌨🌨🌨🌨
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই।সাইফ আজ অফিসে না গিয়ে নিচে সবার সাথে বসে লেপটপ কোলে নিয়ে কাজ করছে।
নীলাভ সাইফ কে সবার সাথে বসে থাকতে দেখে মজা করে বলল…..
—বাহ ভাইয়া বাহ।বউমনি আসতে না আসতেই এতো চেন্জ।তুমি আজ আমাদের সাথে বসে আছো।আমি তো বিশ্বাস করতেই পারতাছি না।বউ মনি তুমি তো একদিনেই ফাটিয়ে দিয়েছো।
সাইফ একবার ওর দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিল।রুনা ফোড়ন কেটে কাজ করতে করতে বলল….
—আমগো বড় দাদায় কি আপনের মতনি।আমগো বড় দায়ায় হইছে নায়কগো মত।দেখলেন না কাউলকা কেমনে বউ মনিরে কোলে কইরা নায়কগো মত সিড়ি দিয়া উপরে নিয়া গেছিলো।হেয় কিন্তু একটুও হরায় হয় নায়।আজকে সকালেও তো দেখলাম বড় বউমনি অজ্ঞান হয়াইয়া পইরা যাওয়নের আছে দাদায় বউমনিরে ধইরা হালাইছিল।তারপর কপালে আদর দিয়া কোলে তুইলা নিছিল।আর আপনে একবার ছোড বউমনিরে কোলে নিয়া হরান হইয়া আমগো পুতুলের মত বড়মনিরে ময়দার বস্তা বানাইয়া দিছেন।
এদিকে রুনার কথা শুনে মিসেস চৌধুরী আস্তের উপর সেখান থেকে কেটে পড়ল।সাইফ না শোনার ভান করে কাজ করতে লাগলো।আর নুহা বেচারী লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে আছে।আর আশু বুঝার চেষ্টা করছে কি হচ্ছে এখানে।নীলাভ রুনার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বলল….
—তোর মত মানুষ যেখানে থাকবে সেখানে আর কষ্ট করে টাকা খরচ করে সিসি টিভি লাগাতে হবে না।
রনাঃ বেশি কথা কইলে কিন্তু আমি ছোড বউমনিরে কইয়া দিমু আপনে হেরে ময়দার বস্তা কইছেন।
কথাটা শুনেই আশু নীলাভ এর দিকে কটমট করে তাকিয়ে মনে মনে বলল…
—নীলের বাচ্চা চার কোনাইচ্চা দেখতে হাতি শিয়ালের নাতি।নীলের ডিব্বা নীল।আপনার খবর আছে।আমাকে ময়দার বস্তা বলার উসুল আমি হাড়ে হাড়ে টের পাওয়াবো।
#চলবে
(ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।ধন্যবাদ)