তুমি আমি দুজনে পর্ব-০১

0
1114

সূচনা_পর্ব
#তুমি_আমি_দুজনে
#লেখিকা_হুমাইরা_হাসান

-তুমি এখানে কি করছো?

পুরুষালি ভরাট কণ্ঠস্বর শুনে হুর’মুরিয়ে উঠলো তুরা,, একা ঘরে বসে অপেক্ষা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছে নিজেও বুঝতে পারেনি, নিজেকে ধাতস্থ করেই ঘোমটার আড়ালেই এক পলক চোখ তুলে তাকিয়ে সাথে সাথেই চোখ নামিয়ে নিলো। দু’হাতে বিছানার চাদর খা’মচে গুটিয়ে গেলো তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লম্বা চওড়া লোকটাকে দেখে

-আন্সার মি ড্যা’ম ইট! তুমি আমার ঘরে কি করছো

প্রচন্ড ধ’মকে চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললো তুরা,গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। কথা গুলো গলার ভেতরেই দলা পাকিয়ে আসছে, কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে কিছু বলতে নিলেই, ওর সামনে এসে এক টা’নে ঘোমটা উঠিয়ে ফে’লে দিলো লোকটা।

ঘোমটা তুলে দেখতেই আহান থমকে যাই।তার সামনে ছোটো খাটো বাচ্চা একটা মেয়ে বসে আছে যাকে বউ রূপে কিছুক্ষণ আগেই সে কবুল বলে বিয়ে করেছে, তবে স্বেচ্ছায় নাহ বাধ্য হয়ে,,কয়েক মুহূর্ত বউ বেশে বসে থাকা মেয়েটাকে আগা গোড়া পরখ করলো ইয়াজিদ। ভয়ে কাঁপা কাঁপা ঠোঁট কা’মড়ে চোখ খিচে আছে, কপাল থেকে ঘাম ঝরে গলা বেয়ে পরে যাচ্ছে। নিতান্তই বাচ্চা একটা মেয়ে,তার বাবা মা কি করে পারলো এমন মেয়ের সাথে তার বিয়ে দিতে।
খপ করে তুরার হাত ধরে টান’তে টান’তে ঘর থেকে বের করে আনলো। তুরা এক হাতে ভারি শাড়িটা ধরে রীতিমতো দৌড়াচ্ছে লোকটার সাথে তাল মেলাতে না পেরে।
টেনে হিচ’রে সিড়ি বেয়ে তুরা কে নিয়ে নেমে ছিট’কে ফে’লে দিলো বসার ঘরে সবার সামনে।

-আহান! এ কেমন দুঃসাহ’সিকতা, ওর সাথে এমন ব্যবহার করার সাহস হয় কি করে?

-ঠিক যেভাবে তোমরা আমার পারমিশন ছাড়াই ওকে আমার ঘরে রাখার সাহস করেছো

-বিয়ে করা বউ ও তোমার, তোমার ঘরেই তো থাকবে

-উহু, ওকে আমি বিয়ে করিনি,তোমরা জোর করে দিয়েছো। আমায় নিজেদের নামে দোহায় দিয়ে জোর করে বিয়ে দিয়েছো তোমরা

বলেই চেঁচিয়ে পাশ থেকে ফুলদানিটা এক ধাক্কায় ফে’লে দিলো আহান, রাগে তার চোখ দু’টো টকটক করছে। বিকট শব্দে কাঁচের টু’করো টু’করো হওয়ার শব্দে দু’হাতে কান চেপে ধরে তুরা। চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। এমনটা তো হওয়ারই ছিলো,সে জানতো এমন কিছুই হবে।তবুও নিজেকে সামলে রাখতে পারছে না কিছুতেই

-আহান! তুমি এবার সীমা লঙ্ঘন করছো!

ধমকে বললেন আহানের বাবা ইনসাফ মাহবুব

-সীমা তো তোমরা অনেক আগেই লঙ্ঘন করে ফেলেছো আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই বিয়েটা দিয়ে, তাও নিতান্তই একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে।

আহানেরর কথায় নিজের কিছুটা শান্ত করে,গম্ভির ভাবে বলেন ইনসাফ মাহবুব

-যা হয়ে গেছে তাতে আর কারো হাত নেই,সত্য এটাই যে তুমি সকলকে সাক্ষী রেখে কবুল বলে তুরাকে বিয়ে করেছো, তুমিই ওর স্বামী আর ও তোমার স্ত্রী

-মানি নাহ আমি, না আমি এই বিয়ে মানি না ওকে আমার স্ত্রী মানি। আমার উপর প্রেসার ক্রিয়েট করোনা, এর ফল ভালো হবে নাহ

বলেই ভরা ড্রয়িং রুমটাকে থমথমে বানিয়ে চলে গেলো আহান, একবার ও ফিরে তাকালো নাহ,দেখলো নাহ তার চলে যাবার পানে কারো চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকা অশ্রুপূর্ণ ছলছল দৃষ্টিতে। চোখ নামিয়ে নিতেই টপটপ অশ্রুবিন্দু ঝরে পরলো সারা কপোল জুড়ে।
এমন কিছুই তো হওয়ার ছিলো।অনিচ্ছা সত্ত্বেও অচেনা ঘরটাতে সন্ধ্যা থেকে বউ সেজে অপেক্ষা করছিলো তুরা, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তার স্বামী নামক মানুষটার আসার খবর নেই,অপেক্ষার পাল্লা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত হতেই ক্লান্ত শরীরে কখন চোখ লেগে গেছিলো বুঝতে পারেনি,আর তারপরেই…
চোখদুটো কোনো রকমে মুছে সংগোপনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল তুরা,সে জানতো এমন কিছুই হবে, তার পো’ড়া কপাল যে এমন অপমান লা’ঞ্ছনার বারিধারায় সিক্ত তা সে জানে, সুখ একটি অধরা প্রজাপতি তার নিকট, সে যতই তার পেছনে ছুটবে ততই পালাবে তার থেকে।

ড্রয়িং রুমে বসে থাকা ইনসাফ মাহবুব তার মা আমেনা খাতুন, স্ত্রী রুবি আর মেয়ে রাইমা। এতক্ষণর নির্বাক দর্শকের ভূমিকা ভেঙে রুবি খাতুন বলেন

-এমনটা হওয়ার ই ছিলো,আহান কতটা একরোখা আর জেদি তা তুমি জানো, তবুও বিয়েটা…

-সব কিছু জানার পরেও এমন কথা তোমার মুখে মানায় নাহ রুবি।

ইনসাফ মাহবুবের উত্তরে নিজের কথা সম্পুর্ণ করার আগেই থেমে যান তিনি। শুরু থেকেই তিনি দোমনা হয়ে ছিলেন,অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হওয়া বিয়েটাতে তিনি কতটা সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট তার মুখভঙ্গিতে স্পষ্ট নয়, তবে বিয়টা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হলেও এমনটা হওয়ার কথায় যে বছর দশেক আগে ছিলো এ বিষয়ে তিনিও অবগত। গিয়েছিলো বিয়ের নিমন্ত্রনে সেখানে গিয়ে নিজের ছেলেরই বিয়ে হয়ে যাবে এমনটা তিনি কল্পনাও করেনি।
বিধাতা তাদের ভুলে যাওয়া প্রতিশ্রুতিটা যেনো চোখে আঙুল দিয়ে মিলিয়ে দিলো। কিন্তু যেটা হয়ে গেছে সেটা বদলানোর সাধ্যিও যে নেই তাও তিনি মানেন।
ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এগিয়ে গেলো এক কোণায় জড়সড় ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা লাল বেনারসি পরা মেয়েটির দিকে।
তুরার গালে হাত রেখে বললো

-আহানের আচরণে কষ্ট পেয়েছো তা জানি, তবে ওকে ও তো দোষ দেওয়া যায়না। বিয়েটার ব্যপারে সে কোনো ভাবেই প্রস্তুত ছিলো নাহ।এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ও যতটা অবাক হয়েছে ততটা ডিষ্ট্রাবড। আশা করি তুমি সবটা বুঝতে পারবে, এখনি তোমায় আমি বুক ভরা আশা দেবো নাহ যে ও তোমায় মেনে নেবেই, তবে এমনটাও বলছিনা যে কখনোই মেনে নিবে নাহ। জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। এমনটাই মেনে আসছি আমরা, যদি সৃষ্টিকর্তা তোমাকেই আহানের জন্য করে থাকেন তবে আজ হোক আর কাল ও মেনে নেবেই, কতটুকু আশ্বাস দিতে পারবো জানি নাহ,তবে তোমার পরিবার হয়ে পাশে থাকবো।

বলেই নিচ তালার বা দিকের ঘরের দিকে চলে গেলেন। আমেনা খাতুন তসবিহ হাতে একমনে গুনে যাচ্ছেন,যেনো এদিকে কোনো ধ্যান নেই। বৃদ্ধা কথা খুব কম বলে, তবে বয়স্কা হয়ে গেলেও এ বাড়িতে তার যথাযথ মান্য এখনো হয় তা আচারণেই স্পষ্ট।

-তুমি আমার সাথে চলো, আজ থেকে আমার ঘরেই থাকবে

কাধের উপর কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় তুরা, তার দিকে হাস্যজ্বল চেহারায় চেয়ে আছে রাইমা, আহানের এর বড় বোন। স্মিত ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি দেয় তুরা। রাইমা তুরার হাত ধরে নিয়ে যায় সিড়ি বেয়ে উপরে তার ঘরের দিকে।
ইনসাফ মাহবুব এখনো ঠাই দাঁড়িয়ে আছেন ড্রয়িং রুমে, মনের ভেতর হাজারো অশান্তি, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা। তিনি ভুল করে ফেললো নাহ তো? নিজের প্রতিশ্রুতি রাখতে আর একটা জীবন বাচাতে দুটো জীবনেরই ব’লি দিয়ে ফেললো নাহ তো?

-এখানে এসো ইনসাফ

পোঢ় কণ্ঠে পিছু ফিরে তাকায় ইনসাফ, ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে বসে মায়ের কাছে, ক্লান্ত স্বরে বলে

-আমিকি অ’ন্যায় করে ফেললাম মা? তুমি তো সবটাই জানো,হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হয়েছে, তবে এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিলো।

তসবিহ গোনা থামিয়ে সামান্য কেসে গলা খাকারি দিয়ে বললেন বৃদ্ধা

-ধৈর্য ধর ইনসাফ,, হটকারিতায় হওয়া এ বিয়েতে দাদুভাইয়ের এমন উত্তেজিত হওয়া টা খুব ভুলের নাহ, ওকে একটু সময় দে ঠিকি মেনে যাবে।

চোখ থেকে চশমা টা খুলে হাতে নিলেন ইনসাফ। ছেলে তার যতটা যেদি আর একরোখা তাতে আদও মানবে কি না সন্দেহ আছে

-তুমি এখানটাই শুয়ে পরো,আর আমি না থাকলেও এই ঘরটা আজ থেকে তোমার, প্রয়োজনের সব রকম জিনিস ই পাবে এখানে।

তুরা কোনো রকম উত্তর হীনা ঠাই দাঁড়িয়ে আছে, রাইমা ব্যপার টা বুঝতে পেরে এগিয়ে গেলো তুরার কাছে, ওর হাত ধরে নিয়ে খাটের এক কোণায় বসিয়ে গালে হাত দিয়ে বললো

-আমিও একজন মেয়ে তুরা,আমিও বুঝি তোমার মনে কোন ঝড় চলছে, কিন্তু যা হয়ে গেছে, বিধাতা যা ঠিক করে রেখেছিলো তা বদলানোর সাধ্যি তো কারো নেই বলো? আমি জানি ভাইয়ের এরূপ ব্যবহারে তুমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছো,আর পাওয়া টাও স্বাভাবিক। কিন্তু ওর এমন প্রতিক্রিয়া করাটাও তো খুব একটা অস্বাভাবিক নাহ, ওকে একটু সময় দাও, আহান রাগি বদ’মেজাজি হলেএ দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, নিজের আমানতের খেয়ানত ও করবে নাহ।

তুরাও নিঃশব্দে মাথা পেতে নিলো সকল কথা। এছাড়া তার কোনো উপায় ও নেই, দুনিয়াতে এখন মাথা গুঁজার ঠাঁই বলতে শুধু এ বাড়ি আর বাড়ির লোকজন গুলোই তার সম্বল। তা ছাড়া তো…নাহ আর বেশি কিছু ভাবতে পারছে নাহ, মাথা টা কেমন দপদপ করে উঠছে, শারীরিক আর মানসিক চা’পে সে ক্লান্ত বিধ্ব’স্ত, একটু ঘুম প্রয়োজন। ঘরের লাইট বন্ধ করে দিলো রাইমা।
বিছানায় গা ঠেকাতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমের তলিয়ে গেলো তুরা।

________________

সকালের মৃদু স্নিগ্ধ বাতাসে পাতলা ফিনফিনে সফেদ পর্দা টা উড়ছে, পাখিদের কিচিরমিচির কলরবে সকাল টার স্নিগ্ধতা জানান দিচ্ছে পরিবেশ। ঘরের মধ্যেই অনবরত পায়চারি করছে তুরা। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস না থাকলেও গত ছয় মাসের অত্যা’চারে এ অভ্যাস টাও আয়ত্ত হয়ে গেছে, ফজরের আজানের পর বিছানায় থাকার জন্য তার পিঠে পরা মা’রের দাগ গুলো এখনো তাজাই আছে।
কিন্তু এখন তুরার উৎকণ্ঠার কারণ অন্য কিছু। রাতে তাকে সহ তার সাথে আনা জিনিস গুলোও আহানের ঘরে রাখিয়েছিলেন ইনসাফ মাহবুব। কিন্তু তুরা কে টেনে হিচ’ড়ে বের করে দিলেও তার জামা কাপড়ের ব্যাগ টা এখনো ওই ঘরেই আছে। রাতে রাইমা তার নিজের একটা জামা দিয়েছিলো শাড়ি চেঞ্জ করে পরার জন্য, কিন্তু রাইমা তার চেয়ে সাস্থ্যবান আর লম্বা হওয়ায় জামার গলা টা তার ঘাড় বেয়ে নেমে যাচ্ছে, আর দৈর্ঘ্যেও অনেক বেশি বড় যা পরে বাইরে যাওয়া টা বেশ অসস্থিকর।
রাইমা এখনো ঘুম থেকে উঠেনি। বেশ রাত করে শুয়েছে বলে তুরাও ডাকার সাহস করেনি।
বেশ কিছুক্ষণ পায়চারি করার পরে তুরা সিদ্ধান্ত নিলো সে নিজেই যাবে ও ঘরে, ভোরের আলো এখনো ফোটেনি পুরোপুরি, সারা বাড়িতে নিঃস্তব্ধতা বিরাজমান। আহান ও নিশ্চয়
এখনো ঘুমাচ্ছে।
ধীর পায়ে দরজা খুলে বাইরের দিকে পা বাড়ালো তুরা। দোতালার পাশাপাশি ঘর দুটোই রাইমা আর আহানের, তাই রাইমার ঘর থেকে বেরিয়ে কয়েক কদম ফেললেই আহান নামক ব্যক্তিটির ঘর।

নিঃশব্দে পা ফেলে ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তুরা, কাল রাতের পর থেকে এ ঘরের সামনে দাঁড়াতেও তার কপালে ঘাম জরো হচ্ছে, বার কয়েক নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে, আলতো ভাবে দরজাটায় ধাক্কা দিলো তুরা। সন্তপর্ণে ধাক্কা দিলেও তৎক্ষনাৎ খুলে গেলো দরজাটা। মাথা ঢুকিয়ে এক পলক দেখে নিলো ভেতরের অবস্থা। রুমের লাইট বন্ধ থাকলেও বারান্দার দরজা আর পর্দার আড়াল থেকে আসা সূর্যের ছোট ছোট রশ্নীকণায় বেশ স্পষ্ট ঘরের ভেতরের দৃশ্য। এদিক ওদিক ঘুরে তাকাতেই চোখে পরলো কাঙ্ক্ষিত জিনিসটা। আলতো ভাবে দরজা টা আরেকটু খুলে ঘরে ঢুকলো তুরা। পুরো ঘর জুড়ে সিগারেটের বিদঘুটে গন্ধ,দম বন্ধ হয়ে আসছে তুরার, ওড়না দিয়ে এক হাতে নাক চেপে ধরেই এগিয়ে গেলো। ব্যাগটা হাতে নিয়ে আবারও দরজার দিকে হাটা ধরতেই পেছন থেকে ওড়নায় টান পরলো।
ভয়ের চোটে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে তুরার, বুকের ভেতরটার অসম্ভব কাঁপুনি ধরেছে। কিছুক্ষণ স্থির দাড়িয়ে থেকেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আলতো ভাবে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো, উফফ,,যেনো জানে বেচে গেলো৷ ওড়নার কোণা টা টেবিলের কোণায় আটকে গেছিলো। মনে মনে হাজার বার শুকরিয়া করে ওড়না টা ছাড়িয়ে তারাহুরো বেরোতে নিলেই পায়ে কিছু একটার সাথে বিধে হো’চট খেলো তুরা, তাল সামলাতে না পেরে সামনে হাত বারাতেই হাত পরলো সুইচবোর্ডের উপর, হাতের চাপের সুইচ অন হয়ে ধপধপ করে লাইট গুলো জ্বলে উঠলো,, হাত থেকে ব্যাগ টা শব্দ করে পরে তুরা নিজেও ধাক্কা খেয়ে ঠা’স করে প’রলো মেঝেতে
.
.
.
চলবে ইনশাআল্লাহ