প্রিয়মুখ পর্ব-৪+৫

0
539

#প্রিয়মুখ
#ফারিহা_জান্নাত_
#পর্ব০৪

অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই গল্প জুড়ে দিলো।প্রায়ই সন্ধ্যা হয়ে এলো।
হাসিবের বাবা আর ঝুমকার বাবা বাগানে বসে তাদের ব্যবসার কথা বলছে।
হাসিবের মা,ঝুমুরের মা আর দুই চাচী মিলে ড্রইং রুমে বসে গল্প করছে।হাসিবের মা বার বার ঝুমুরের কথা জানতে চাচ্ছে কিন্তু ঝুমুরের মা বার বার কথা এড়িয়ে যাচ্ছে।

ঈশিকা,হাসিব আর ঝুমকা মিলে ছাদে চলে গেলো।

ঝুমকার বেশ বিরুক্ত লাগছে ঈশিকা ওদের সাথে থাকাতে।মনে মনে বলে যাচ্ছে….

ঈশিকা কেন যে আমাদের সাথে আসছে হাসিবের সাথে যে মন খুলে কথা বলবো তারও কোনো উপায় নেই। আসলে ননদ থাকাই বিপদ।হাসিব তো শুধু ঈশিকার সাথেই কথা বলছে আমার সাথে তো কোনো কথাই বলছে না।বিয়েটা হয়ে যাক তারপর ঈশিকার বাচ্চাকে মজা দেখাবো।

…..ভাইয়া আমার কিন্তু ঝুমকা আপুকে একটুও ভালো লাগে নি।(হাসিবের খুব কাছে এসে ফিসফিস করে বললো)

…..তাই (মুখে হাসিভাব এনে বলে)

….হুমমম ভাইয়া তুমি না বলেছো আমার এসএসসি রেজাল্ট ভালো হলে যা চাইবো তুমি তাই দিবে আমাকে।

….কিন্তু এখনো তো রেজাল্ট দেয়নি।

….তুমি জানো আমার রেজাল্ট ভালো হবে।

….কি চাই তোর বল।

….ভাইয়া তুমি ঝুমকা আপুকে বিয়ে করো না বাবা যা খুশী তাই বলুক।

হাসিব ঈশিকাকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ঝুমকা পিছন থেকে বলে উঠে….

….আপনারা দুজন ছাড়াও যে আরেকজন আছে সেটা কি দেখা যাচ্ছে না।দুই ভাই বোন মিলে গল্প করছেন আমি গেলাম কোথায়?(রসিকতার ভান করে বললো)

….ঈশিকা তুই ঝুমকার সাথে কথা বল, আমার মাথা ধরেছে আমি রুমে যাচ্ছি।
কথাটা শেষ করে তাড়াতাড়ি নিচে চলে আসলো।

নিজের রুমে এসে দরজাটা বন্ধ করে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে খাটের উপর লম্বা হয়ে শুয়ে গেলো।বার বার শুধু ঝুমুরের কথা মনে পড়ছে। আজও চোখের সামনে ভাসছে ঝুমুরের ছোটবেলার মায়া ভরা মুখটার কথা। সেই প্রিয়মুখ আজও খুঁজে বেড়াচ্ছে হাসিব।
মনে মনে বলেই যাচ্ছে, ঝুমুর তুমি কোথায় প্লিজ একটিবার আমার সাথে দেখা করো।তোমাকে যে জীবনে আসতেই হবে।

ওদিকে ঝুমুর রুম থেকে আর বের হয় নি।বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর বলছে,

….আকাশ তুমি প্রিয়জন হারানোর কষ্ট বুঝো না, ভালোবাসা বুঝো না,স্বপ্ন দেখো না কাউকে নিয়ে, মনের মাঝে কাউকে নিয়ে ছবি আঁকো না বেশ ভালো আছো তুমি। আর আমাকে দেখো এত কষ্টের মাঝেও আমিও ভালো আছি।

রাতের খাবার খেয়ে সবাই সবার রুমে ঘুমাতে চলে গেলো।ঝুমুরের খাবার ঝুমুরের মা নিয়ে আসলো রুমে।

….ঝুমুর খাবার খেয়ে নেয়।

….মা আমার ইচ্ছে করছে না খেতে ভীষণ ঘুম পাচ্ছে আমার।

….তা বললে তো হবে না মা।সারাদিন তো কিছুই খাওয়া হয়নি।মুখ খোল হা কর।

….ঝুমুর আর কথা না বাড়িয়ে মায়ের হাতে খেতে লাগলো।

অল্প একটু খেয়ে ঝুমুর বাহানা ধরলো আর খাবে না।

…মা আর খেতে পারবো না।পেট ভরে গেছে আমার। দেখো মা পেটে হাত দিয়ে দেখো।(মায়ের হাত নিয়ে ঝুমুর নিজের পেটের উপর রাখলো)

….হয়েছে আর তামাশা করতে হবে না।তুই ঘুমিয়ে যা।আমি গেলাম।

মা চলে যাওয়ার পর দরজা বন্ধ করে ঝুমুর লাইট অফ করে শুয়ে পড়লো।কিন্তু কিছুতেই দুই চোখের পাতা এক করতে পারছে না।বার বার হাসিবের কথা মনে পড়ছে। যতই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছে কিন্তু চোখের পানি যে কারও কথাই শুনে না।বাধাহীন ভাবে ঝরতেই থাকে।চোখের পানি ঝরতে ঝরতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলো।

হাসিবও শুয়ে শুয়ে ঝুমুরের কথা মনে করছে। কখন যে ঝুমুরকে দেখবে।হাসিবের চোখেও ঘুম নেই।

রাত শেষে ভোরের আলো উঁকি মারছে। সকালের মিষ্টি রোদের আলোর ঝলকানিতে ঝুমুরের ঘুম ভেঙ্গে যায়।খুব ভোরে উঠে ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে যাওয়া ঝুমুরের নিত্য দিনের রুটিন।
আজকে ছাদে যাবে কি যাবে না চিন্তা করছে। কিন্তু মনে হলো এত ভোরে তো কেউ ঘুম থেকে উঠে না আমি বরং ছাদ থেকে ঘুরে আসি।

…..ঝুমুর আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে ছাদে গিয়ে লুকিয়ে দেখলো কেউ আছে কিনা।কাউকে না দেখতে না পেয়ে শান্তির নিঃশ্বাস ফেললো। যাক বাবা কেউ নেই এবার নিশ্চিন্তে কিছুক্ষণ হাঁটতে পারবো।
অল্প একটু হাঁটার পর ঝুমুর লক্ষ্য করলো কারও ছাদে আসার পায়ের শব্দ শুনা যাচ্ছে।

ঝুমুর ছাদের এক কোণায় লুকিয়ে গেলো।লুকিয়ে দেখলো কে আসছে.. যাকে দেখলো ঝুমুরের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো।

হাসিব!!!যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়।ওগো আল্লাহ এবারের মতো বাঁচিয়ে নাও।ঝুমুর বার বার হাত জোড় করে মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে লাগলো।

হাসিবের বাচ্চা ছাদে এত ভোরে কি করতে আসছে আমাকে একটু শান্তিতে ছাদে হাঁটতেও দিবে না।আমাকে দেখলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে।

হাসিব ছাদে নিজের মতো করে হাঁটাহাঁটি করে যাচ্ছে। আর ঝুমুর বের হবার পথ খুঁজছে।

চলবে……

#প্রিয়মুখ
#ফারিহা_জান্নাত
#পর্ব০৫

সুযোগ খুঁজতে লাগলো ঝুমুর। যখনই হাসিবকে ছাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো তখনই ঝুমুর দৌড় দিলো।আর ঝুমুরের পায়ের নুপুরের শব্দ পেয়ে হাসিব পিছনে তাকিয়ে দেখলো কেউ একজন ছাদ থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলো।হাসিবও পিছন পিছন আসতে লাগলো।

….এই যে কে আপনি দাঁড়ান প্লিজ আমার কথা শুনুন।

….ঝুমুর হাসিবের কথা শুনতে পেয়ে আরও জোরে দৌড়াতে লাগলো। কোনো রকম দৌড়ে নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে হাঁপাতে লাগলো।
মনে মনে ভাবছে,এই দৌড় যদি স্কুলের বার্ষিক খেলা প্রতিযোগিতায় দৌড়তে পারতাম নিশ্চিত প্রথম প্রাইজ আমিই পেতাম।
ড্রেসিং টেবিলে রাখা পানির বোতলের মুখ খুলে ঢকঢক করে অনেক খানি পানি খেয়ে নিলো।

উপরের দিকে তাকিয়ে ঝুমুর বলতে লাগলো…

থ্যাংকস আল্লাহ আজকে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছো আর একটু হলে তো ধরাই খেয়ে যেতাম।

ওদিকে হাসিব ভেবেই চলছে কে ছিলো মেয়েটা?এত ভোরে ছাদে কি করতে এলো আর আমাকে দেখে পালিয়ে গেলো কেন?মেয়েটার পায়ে নুপুর ছিলো।ছোট বেলায় দেখতাম ঝুমুর সব সময় নুপুর পরে থাকতো।তবে কি মেয়েটা ঝুমুর ছিলো। যদি ঝুমুর হয় আমার সাথে দেখা করে নি কেন?এত কাছে এসেও চলে গেলো কেন?ঝুমুর কেন এমন করছে আমার সাথে?
উফফ ভাবতে পারছি কিছু।(উত্তেজিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসলো)

একে একে ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।ঝুমুরের মা আর দুই চাচী মিলে নাস্তা তৈরি করছে।কিছুক্ষন পর নাস্তা বানানো শেষ হলে সবাইকে নাস্তা খাওয়ার জন্য ডাক দিলো।

সবাই নাস্তা করতে টেবিলে বসলো।ঝুমকা গিয়ে হাসিবের পাশে বসলো।হাসিবের পাশের আরেকটা চেয়ারে ঈশিকাকে বসতে বললো হাসিব।ঝুমকা বেশ বিরুক্তবোধ করলো যদিও সেটা মুখে প্রকাশ করলো না।সবাই নাস্তা করা শুরু করলেও হাসিব কিছুই খাচ্ছে না।

ঝুমুরের মায়ের নজর এড়িয়ে যেতে পারলো না বিষয়টা খেয়াল করলেন তিনি।

…..হাসিব, বাবা খাচ্ছো না যে কোনো সমস্যা?

হাসিব কি বলবে বুঝতে পারছে না।আমতা আমতা করে বললো….

….না আন্টি সব কিছু ঠিক আছে।

ঝুমকার ছোট চাচী বললো….

….বুঝতে পেরেছি কি রে ঝুমকা একা একা খাচ্ছিস হবু বরকে উপোস রাখবি নাকি।একটু খাতির যত্ন কর।তোর হাতে ঠিকই খাবে।
কথাটা শুনার পর সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।আর ঝুমকা তো লজ্জায় হাসতেও পারছে না।

হাসিবের তো ইচ্ছে করছে এক্ষুনি টেবিল ছেড়ে উঠে চলে আসতে। কোনো রকম সামান্য কিছু নাস্তা আর চা খেয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।

সবার নাস্তা খাওয়া শেষ হলে হাসিবের বাবা আর ঝুমকার দুই চাচাকে সাথে নিয়ে নিজেদের ব্যবসার কিছু দরকারী কাজ সারতে বাহিরে গিয়েছে সাথে হাসিবকেও নিয়েছে যদিও হাসিব যেতে চায়নি।

ঝুমুর বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলো ওরা গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছে। মনে মনে অনেক খুশি হলো।কিছু সময় অন্তত নিজের মতো করে ঘুরতে পারবে।

ঝুমুর নাস্তা করার জন্য নিচে আসলো।ঝুমুরের ছোট চাচী ঝুমুরকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বড় চাচীকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগলো…

….কি রে ঝুমুর বিয়ে কি তোর নাকি ঝুমকার?ঝুমকা তো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে আর তুই কিনা লুকিয়ে ঘরের কোণে বসে থাকিস।

বড় চাচী রাগে মিনমিন করে কিসব বলতে বলতে অন্য ঘরে চলে গেলো।

…..চাচী তুমিও না পারো(হাসতে হাসতে বললো)

….নাস্তা করে নেয়।আজকে ফাইজার হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিস। মেয়েটা কাল থেকে বলছে হাতে মেহেদী লাগাবে।কিন্তু আমিই তোর কাছে কাল যেতে দিইনি।

….ঠিক আছে চাচী আমি নাস্তা শেষ করেই ফাইজাকে মেহেদী লাগিয়ে দিবো।

….হুমম ফাইজা ছাদে আছে আর মেহেদী আমার ড্রেসিং টেবিলে রাখা আছে। আমি গেলাম কাজ আছে।

….ঠিক আছে চাচী।

নাস্তা শেষ করে ঝুমুর মেহেদী নিয়ে ছাদে গেলো।দেখে যে ফাইজা দোলনায় বসে আছে।
ঝুমুরকে দেখেই ফাইজা দৌড়ে কাছে এসে বলে…

….ঝুমুর আপু আমাকে মেহেদী লাগিয়ে দাও।কাল কতবার তোমার কাছে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আম্মু যেতে দেয়নি বলে যে তোমার নাকি মন খারাপ।

….আচ্ছা এখন লাগিয়ে দিবো কেমন, দেখো মেহেদী নিয়ে এসেছি।তুমি চুপ করে বসো।

ঝুমুর ফাইজাকে মেহেদী লাগিয়ে দিচ্ছে।পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছে ঈশিকা।কিন্তু ঝুমুর বলতেও পারবে না কেউ একজন তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ ঈশিকা বলে উঠলো…

….ওয়াও তুমি কি সুন্দর করে মেহেদী লাগাতে পারো।

কথাটা শুনে চমকে উঠলো ঝুমুর।

….ভয় পেয়ে গেছো আপু?

….না ভয় পাইনি কিন্তু হঠাৎ তোমার কথা শুনে চমকে উঠলাম।তুমি ঈশিকা রাইট?

….হুমম কিন্তু তুমি আমাকে কি করে চিনতে পারলে?

….তোমার চেহারা অনকটা তোমার মায়ের মতো দেখতে।এজন্য আন্দাজ করে বললাম।

….তোমার অনেক বুদ্ধি। তোমার নাম কি আপু?

ফাইজা বলে …

.. আমার ঝুমুর আপু।

….আচ্ছা আপু আমাকে তুমি মেহেদী লাগিয়ে দিবে?

…কেন দিবো না একটু বসো ফাইজাকে লাগিয়ে দিয়ে তোমার হাতে লাগিয়ে দিবো।

ফাইজাকে লাগিয়ে দেয়া শেষ করে কিছুক্ষণ পর ঈশিকার হাতেও মেহেদী লাগানো শুরু করলো।

….একটা কথা বলতে পারি?

ঈশিকার প্রশ্ন শুনে হঠাৎ ঘাবড়ে গেলো ঝুমুর(মনে মনে বলতে লাগলো কি বলে আল্লাহ জানে)

….আপু তুমি অনেক কিউট দেখতে।

ঝুমুর ঈশিকার কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে মেহেদী লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

….আমি কি তোমার সাথে মাঝে মাঝে গল্প করার জন্য তোমার রুমে আসতে পারি?

….অবশ্যই আসতে পারো ঈশিকা।

ঝুমুর মেহেদী লাগানো শেষ করে তার প্রিয় জায়গা পুকুর পাড়ে চলে গেলো।পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে নিজের প্রতিচ্ছবি পানিতে দেখতে ঝুমুরের খুব ভালো লাগে।আস্তে আস্তে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

প্রায়ই ১১টা বাজে।হাসিব শরীর খারাপের বাহানা করে বাবাকে বলে বাড়িতে চলে আসলো।বাড়িতে এসেই মাকে ডাকতে শুরু করলো।ভাইয়ের কথা শুনে ঈশিকা দৌড় দিয়ে আসলো।

….ভাইয়া মা আসতে পারবে না আন্টিদের সাথে গল্প করছে। কিছু লাগলে আমাকে বলতে পারো।

….এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়।

ঈশিকা হাতের মেহেদী দেখিয়ে বলে…

….আনতে পারবো না হাতে মেহেদী লাগিয়েছি।

….মেহেদী লাগানোর আর সময় ফেলি না।(বিরুক্ত হয়ে বললো)

….আচ্ছা ঝুমকা আপুকে বলি তোমাকে পানি এনে দিতে?

….বিষ আনতে বল বিষ(ধমক দিয়ে)

…ভাইয়া এই বাড়িতে কিউট একটা আপু আছে তুমি কি সেটা জানো?ওই আপুটাই আমাকে মেহেদী লাগিয়ে দিয়েছে নাম ঝুমুর (একটু ভয়ে ভয়ে কথাটা বলে)

ঝুমুর নামটা শুনেই বুকের ভিতরটা কেমন জানি করে উঠলো।পানির পিপাসা নিমিষেই যেন উধাও হয়ে গেলো।

….ঈশিকা তুই ঝুমুরকে দেখেছিস? কথা হয়েছে তোর সাথে? কোথায় আছে এখন বলতে পারবি?(উত্তেজিত হয়ে কথাগুলো বলেই যাচ্ছে)

….ভাইয়া কি হয়েছে তোমার? আপু কোথায় আছে সেটা তো আমি বলতে পারবো না তবে এই বাড়িতেই থাকে।

হাসিব বিরুক্ত হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।মনে মনে বলেই যাচ্ছে …

আজ যেভাবেই হোক ঝুমুরের সাথে দেখা করবোই।দরকার হলে পুরো ঘর খুঁজে দেখবো।ঝুমুরকে আমি হারাতে পারবো না।

ঈশিকা হা করে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে হঠাৎ করে ভাইয়ার কি হলো…

চলবে….